কর্ণেল(অবঃ) সিদ্দিকুর রহমান গতকাল আমাকে জানিয়েছেন যে আমার সাথে অবৈধ সম্পর্কটা উনি আর রাখতে পারছেন না। এইসব অনৈতিক ব্যাপার স্যাপার পেছনে ফেলে তিনি এবার আমেরিকায় থিতু হতে চান মেয়ে আর জামাইয়ের সংসারে। আমার যে খুব খারাপ লাগছে তা নয়। খুব ঠান্ডা মাথায় লাভ ক্ষতির হিসেব করছিলাম টিভির পর্দায় শূন্য দৃষ্টি রেখে।
“ডার্লিং একটা নেবে নাকি?” জামশেদ জানতে চাইল। ফিরে দেখলাম হোত্কাটার চিবুক বেয়ে ফ্রাইড চিকেনের তেল গড়াচ্ছে। বমি আসে আমার। “না জানু, জানো তো রাতে আমি শুধু একবাটি স্যুপ খাই ।” আমি হাসার চেষ্টা করি।
জামশেদ মোটকাটা আমার স্বামী। বছর দুয়েক আগে ওটাকে আমি হুট করে বিয়ে করেছিলাম ডাক্তারের চেম্বার থেকে ফেরার পথে।আসলে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম অনেকদিন ধরেই - সেদিন ব্যাটে বলে দারুন মিলে গেল। ডাক্তারটা বলেছিল খুব বেশি হলে আর এক বছর বাঁচবে ও যদি মদ খাওয়া কমাতে না পারে । বিমর্ষ জামশেদকে সেদিন ভুলিয়ে ভালিয়ে কাজি অফিসে নিতে কোন সমস্যাই হয়নি। তবে গ্যালন কে গ্যালন মদ গিলেও ঐ বাটপার ডাক্তারের বাণীকে কচু দেখিয়ে এখনো বহাল তবিয়তে আছে সে।
তবে নাহ্। আমাকে ও খারাপ রাখেনি। মামার বাসায় খেয়ে না খেয়ে বড় হওয়া আমি এখন বড়লোকি জীবনযাত্রায় বেশ মানিয়ে নিয়েছি। ভীষন ভালবাসে জামশেদ আমাকে। সমস্যা শুধু একটাই। অসম্ভব কিপটে আর হিসেবী ও। “গতমাসেই না শাড়ি কিনলে!”,“সেইদিন না হাতখরচ নিলে!” কানের কাছে এইসব ঘ্যানঘ্যানানি আর ক্যাহাতক সহ্য হয়!
গতবছর একটা পার্টিতে বিপত্নীক সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আমার পরিচয়। বুড়ো ঝানু লোক, আমার দু'একটা কথা আর ইংগিতেই যা বোঝার বুঝে নিয়েছিল। ব্যাস তারপর আর কী - রিটায়ার্ড কর্ণেলর সাথে বেশ ভাল সময় কাটছিল আমার। বয়স অনেক বেশি হলেও লোকটার খরচের হাত ভীষন রকমের আগলা দেদারসে টাকা উড়িয়েছে আমার পিছে। খুব মিস করব আমি ব্যাপারটা। তবে সত্যি কথা বলতে কি এত উত্কন্ঠা আর ভাল লাগছিল না আমার। জামশেদকে ফাঁকি দিয়ে পরকীয়া করতে গিয়ে একদম ঘাম ছুটে যাচ্ছিল। আর বিদায় নেবার সময় যা করল বুড়ো - সব কষ্ট লাঘব হয়ে গেছে আমার।
পাঁচ তারা হোটেলর বরাবরকার মত ভাড়া নেওয়া কামরাটা থেকে বিষণ্ণ মনে বেরিয়ে আসছিলাম; পেছন থেকে ডেকে আমার হাতে একটা ভেলভেটের বাক্স ধরিয়ে দিল রিটায়ার্ড কর্ণেল।
“তোমাকে কত ভালবাসি সেটার একটা নিদর্শন। এটা দেখলে আমার কথা মনে পড়বে তোমার।”
বাক্সটা খুলতেই উজ্জ্বল আলোকচ্ছটায় আমার চোখ যেন ঝলসে গেল। চমত্কার হার একটা, অনেকগুলো মাঝারি আকারের ঝলমলে হীরা তাতে। কোনভাবেই লাখ দশেকের কম হওয়া উচিত না দাম।
বাক্সটা হ্যান্ডব্যাগে ভরে বুড়োকে একটা চুমো খেয়ে হাসিমুখে বেরিয়ে আসি আমি। মনের ভেতরে ঝড়ের বেগে চিন্তা চলছে। এটা এখন জামশেদকে দেখাই কেমন করে? মামা দিয়েছে বললে একদমই বিশ্বাসযোগ্য হবে না; ওনার অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেও সুবিধার নয়। এছাড়া তেমন একটা কেউ নেই যে এত দামি কিছু উপহার দিতে পারে আমাকে।
“ডার্লিং টিভিটা বন্ধ করে দেই, বেশি রাত জাগলে তোমার শরীর খারাপ করবে।” জামশেদের কথায় আমার হুঁশ ফিরল।
আমি আবার প্ল্যানটা ঝালাই করে নিলাম। নাহ্ কোন খুঁত নেই।
“জানো আজকে না দারুন একটা কান্ড হয়েছে!” বড় একটা শ্বাস নিয়ে বললাম।
“পার্লারে যেই বেডটাতে শুয়ে আমি ফেসিয়াল করাই, সেখানে দেখ আজকে কী পেয়েছি!”
নামকরা বিদেশী ব্যাংকে বেনামে করা নিজের লকারটার চাবি জামশেদের হাতে তুলে দিলাম আমি।
“কীসের চাবি এটা?”
“চাবির রিংটা দেখ, যেই ব্যাংকে আমাদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে করা লকারটা আছে নিশ্চয়ই সেখানকার কোন লকারের চাবি এটা। আর মনে হচ্ছে এই চাবিটার গায়ে যে নম্বরটা খোদাই করা আছে সেটাই লকারটার নম্বর।”
জামশেদের চোখ চকচক করে উঠল। আমি জানতাম এটা ও খাবে। 'ফাইন্ডার্স কিপার্স' তত্ত্বতে বিশ্বাসী সে, একদম নীতিফিতির বালাই নেই জামশেদের এসব ব্যাপারে।
ঐ ব্যাংকটায় আগেই বেনামে একটা লকার নেওয়া ছিল আমার। গয়নাগাঁটি নেওয়ার নাম করে লকার রুমে ঢুকলে কেউ তো আর দেখতে আসে না আসলে কোন লকারটা খোলা হচ্ছে । সিদ্দিকুর রহমানের দেওয়া টাকাপয়সা বেনামীটাতে রেখেই খরচ করতাম আমি। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ওর দেওয়া হারটা একটা লাল বটুয়াতে ভরে ওখানেই রেখেছি।
“কাল অফিসে যাওয়ার পথে ব্যাংক হয়ে যেও। আমার মন বলছে ওখানে দারুণ কিছু একটা আছে।”
“আমার মনে হয় না ডার্লিং। দামী কিছু থাকলে নিশ্চয়ই এভাবে চাবি হারিয়ে ফেলত না।”
আমি আর কথা বাড়ালাম না। কাল হীরের হারটা আমার গলায় গর্দভটা নিজ হাতে পরিয়ে দিচ্ছে কল্পনা করতে করতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে গেলাম আমি।
সকাল ন'টায় জামশেদ বেরিয়ে যাবার পর থেকে ছটফট করতে থাকি আমি। আর তর সয় না আমার। সাড়ে দশটা নাগাদ আর পারা যায় না - ওর মোবাইলে ফোন করি আমি।
ফোনটা বন্ধ। ভীষন খারাপ হয় মেজাজটা আমার। হোত্কাটা নিশ্চয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে ফোন অন করতে ভুলে গেছে। সাড়ে এগারোটার পরও যখন বন্ধ পাই আর সহ্য করতে পারি না আমি। সোজা একটা সিএনজি নিয়ে রওনা হলাম ওর অফিসের দিকে।
উত্তেজনার আতিশয্যে জামশেদের কামরায় নক না করেই ঢুকে পড়ি আমি।
দড়াম করে দরজা খোলার শব্দে চমকে উঠতে দেখি টেবিলের ওপাশে বসে থাকা জামশেদকে। উপরের দু'টো বোতাম খোলা শার্টের - এসির মধ্যেও ঘামছে। নোংরা একটা মোষের মত লাগছিল ওকে দেখতে।
“ওফ আল্লাহ! তুমি ঠিক আছো তাহলে - তোমার ফোন বন্ধ পেয়ে তো আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম।”
একটু আমতা আমতা করে ও, “না মানে চার্জ চলে গেছে মনে হয়।”
অত খেয়াল করার সময় নেই আমার।
“কী ছিল লকারে এক্ষুনি দাও আমাকে।” যতটা সম্ভব গলায় ন্যাকামি নিয়ে বলি।
“তোমাকে বলেছিলাম না ডার্লিং ওখানে মূল্যবান কিছুই থাকার কথা না; এই যে দেখ খালি ছেড়া কিছু কাগজ ছিল ওতে। পাশের টেবিলে আমার লাল বটুয়াটার উপর রাখা কিছু ছেঁড়া খবরের কাগজের দিকে আংগুল তোলে ও, “খালি খালি সকাল বেলা আমাকে পাঠালে....”
জামশেদ হাসিমুখে বোমটা ফাটানোর পর আমার কানে আর কিছুই যাচ্ছিল না। এতবড় মিথ্যেবাদী ও! ছোটলোক, চামার, বাটপার, বদমাশ...আমাকে এভাবে বোকা বানাচ্ছে শয়তানটা! কিন্তু মুখ থেকে একটা শব্দ বের হয় না আমার; রাগে দুঃখে কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। হৃদপিন্ডটা যেন বের হয়ে আসবে বুকটা ফেটে বাতাসের অভাবে।
হাহাকার করে ওর উপরে প্রায় ঝাপিয়ে পড়তে যাচ্ছিলাম; খুট করে জামশেদের কামরার এটাচ্ড টয়লেটের দরজাটা খুলে যাওয়ায় নিজেকে সামলে নিলাম।
ওর কাকলাশ মার্কা প্রাইভেট সেক্রেটারিটা বের হয়ে আসে অবিন্যাস্ত চুল ঠিক করতে করতে। ওটা দেখতে বিষম বদখত। পাতিলের তলার মত শুধু কালোই না; দাঁত উঁচু এবং দেহটা অপুষ্ট হাড্ডিসার।
"স্লামালিকুম ম্যাডাম।" নব বধূর মত লাজুক গলায় বলে মেয়েটা।"আসলে আমাদের টয়লেটের ফ্ল্যাশটা কাজ করছে না তাই স্যারের এখানে এসেছিলাম।"
ঠিক তক্ষুনি ওর কণ্ঠার বেরিয়ে থাকা হাড়ের দিকে নজর পড়ে আমার।
এবং আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে; মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠে আবার - কারন ওখানটাতে ঝলমল করছে আমাকে দেওয়া কর্ণেল(অবঃ)সিদ্দিকুর রহমানের হীরের হারটা।
----------------------------------------------------------------------
অনেক আগে পড়া একটা ইংরেজি গল্পের ছায়া এখানে আছে। তবে সেটা সম্ভবত ছিল বন্ধকির দোকান নিয়ে। দুঃখিত সেই গল্পটার বা লেখকের নাম কোনটাই মনে পড়ছে না।
মন্তব্য
মূল গল্পটার নাম কেউ জানলে জানাবেন, পড়ার ইচ্ছা আছে সেই লেখকের আরও কিছু টুইস্টভরা লেখা।
ৎ লিখতে ত লিখে দু'বার ` দেবেন। হস্ ব্যবহার করেছেন দেখলাম কিছু জায়গায়।
সেক্রেটারিরাই তাহলে শেষতক জেতে... যাহোক, মেঘ-বৃষ্টির দ্বিতীয় কথোপকথন কই?
সেবা প্রকাশনীর একাধিক অনুবাদ ছোট গল্পের মাঝে এই পরকীয়া টাইপ গপ্পো আছে। মূল লেখক কে তা জানি না- একবার অনীশ দাস অপু আরেকবার কাজীদা'র অনুবাদে এটা পেয়েছিলাম; আপাতত এইটুকুই বলি।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
এই গল্পের কাহিনীর মতই একটা মুভি দেখেছিলাম: "Dus kahaniyan" দশটা গল্পের একটা ছিল এইটা। তবে সেখানে আর্মির লোকটি বেশ তরুণ মেজর ছিলেন। পোস্টিংয়ের কারনে দূরে চলে যাবার আগে হার দিয়ে গিয়েছিলেন। এই যা। সম্ভবত এটা কোন উপন্যাস বা ছোটগল্প থেকে নেয়া।
@ইশতিয়াক ভাই, দুইটা t দিলে একটা বক্স আসে।
@অনীক আন্দালিব ভাই, ধন্যবাদ।
আপনার দেওয়া তথ্য থেকে বের করে ফেলেছি কোন গল্পটা পড়েছিলাম। Roald Dahl এর "Mrs. Bixby and the Colonel's Coat."
জানি না বিশ্বাস হবে কি না তবে "Dus kahaniyan" সিনেমাটা আমি দেখিনি। তাই নেটে ওটার রিভিউ পড়ে বেশ অবাক হলাম কারন আসল গল্পটার চেয়ে এটার সাথে মিল বেশি আমার গল্পের। মনে হচ্ছে হিন্দি সিনেমার কাহিনীকার হিসেবে ভবিষ্যত বেশ উজ্জ্বল হবে আমার।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ স্ক্রীপ্ট রাইটার হিসাবে আপনাকে অভিনন্দন।
সম্ভবত কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট ইন্সটল করা নেই।
এই টুইস্টের একাধিক গল্প আগে পড়েছি, আপনি কোন গল্পের ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন তা নিয়ে নিশ্চিত নই...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
বেশ!
যে বা যার গল্পের ছায়া অবলম্বনেই হোক, গল্প আপনার নিজের মৌলিক লেখার মত মনে হল।
আরো লিখুন।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ব্যাকেই দেখি আমার মতো খ্রাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ! আপনি আমার কষ্ট বাঁচিয়ে দিলেন অনেকখানি! ... জাহিদ ভাইয়ের এক গল্পে আমি এই গল্পের ছায়া পেয়ে বলেছিলাম অনুবাদ করব Dahl এর গল্পটা! প্রায় ১০ পাতার গল্পটা নাকানীচুবানী খাওয়াচ্ছিল ভালই! উফফ! স্বস্তির শ্বাস ফেলে এখন শিফট ডিলিট মারা যাবে।
আপনার গল্পটা দারুন লাগল। আরও আরও আরও লিখুন।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাল্লাগছে।
আমার জন্যে যদিও লগ ইন করে মন্তব্য করাটা খুব কঠিন (বেশির ভাগ সময় মোবাইল ফোন থেকেই browse করা হয়), তাও দুষ্ট বালিকার লেখা দেখে একটা কমপিউটার খুঁজেপেতে লগ ইন কর্লাম।
খবরদার মেয়ে, ভুলেও শিফট ডিলিট দিয়ো না। মূল গল্পের অনুবাদ পড়ার মজাই আলাদা।
আর কী বলব, মানীর মান আল্লায় রাখে। ভাগ্যিস আগেই স্বীকার গেছিলাম এইটা ইংরেজি গল্পের চোথা না হলে কী বেইজ্জ্বতিটা না হইত!
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
আক্ষরিক অনুবাদের চেয়ে ছায়ানুবাদগুলি বেশি সুপাঠ্য হয় বেশিরভাগ সময়। হাতের কাছে ডাল-এর আরো ভালো গল্প থাকলে ছায়ানুবাদ করুন আরো।
হ... আক্ষরিক অনুবাদ খুব কাঠখোট্টা লাগে আমার কাছে। আমার কাছে ঐটাই বেশি পছন্দ... মূল গল্পটা পইড়া, ভালো কইরা বুইঝা তারপর সেই বইটারে দূরে গিয়া মরতে কয়া, গল্পটারে নিজের মতো করে লেখা...
এইজন্যই সেবার আমি ভক্ত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই ধরনের গল্প আগেও পড়া থাকলে লেখার কারণে দারুন লেগেছে। হিমু ভাইয়ের সাথে আমিও গলা মিলাই। এমন ছায়ানুবাদ আরো করুন।
আরেকটা প্রশ্ন। "কাকলাশ" মানে কি?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
কাঁকলাশ কথাটা এসেছে কৃকলাশ থেকে। কৃকলাশ মানে গিরগিটি।
গল্পের ছায়ানুবাদ দারুণ। আহা কর্ণেলটা যদি তরুণ হতো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ তুলিরেখা
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
ভালো লেগেছে।
ছায়ানুবাদ ভালো হৈছে! আরো লিখুন!
..................................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
মূল গল্পটা পড়া থাকা সত্ত্বেও ভাল লাগল...চমৎকার অনুবাদ!
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আপুনি! ডালের আরও কিছু সেরম গল্প আছে, সেগুলোর ছায়ানুবাদ করুন পিলিজ! আপনারটা খুব ভাল লেগেছে কারণ কন্টেক্সট আমাদের চারপাশ, অনুবাদে সেরকম হতনা...ডালের গল্পগুলোতে সেরকম কিছু টুইস্ট আছে, সব গল্পই নেটে পাবেন। পিলিজ, পিলিজ, পিলিজ!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি তো শুধু ডাল রেসিপি-ই পাইলাম
ওরে ফাটাফাটি গল্প।
হ, আরো ছায়াময় গল্প দেন.........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দারুণ লাগলো আরও চাই
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গল্পটা আগে পড়িনি। এখন পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ছায়ানুবাদ খুব ভালো হয়েছে। খুব সাবলীল আর মসৃণ গতির লেখা।
দারুণ লাগলো।
দারুণ
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নতুন মন্তব্য করুন