'আতেফ এসলাম' আর সুনয়না

চশমাওয়ালি এর ছবি
লিখেছেন চশমাওয়ালি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৯/২০০৯ - ৬:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'এই তোর কাছে কালো ষ্ট্র্যাপ আছে?' একেবারে ঘাড়ের উপর দিয়ে কানের পাশে মুখ এনে সুনয়না আপু জিগেস করে।

পড়ার টেবিলে বসে অনেকক্ষণ হলো একটা অঙ্ক মেলানোর খুব চেষ্টা করছি। সামনের মাসে এইচএসসির প্রি টেষ্ট। কলমের পেছনটা কাম্‌ড়ে কাম্‌ড়ে খাতায় চোখ রেখে একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম। সুনয়না আপু কখন ঘরে ঢুকেছে টেরও পাইনি।

'কিসের কালো ষ্ট্র্যাপ লাগবে তোমার?' চমকে উঠে জানতে চাই।

'আরে ঐ যে ইয়ের - তোরা বাংলা মিডিয়ামরা ওটাকে কী যেন বলিস? অন্তর্বাস। অন্তর্বাসের কালো ষ্ট্র্যাপ দরকার। নাহলে পুরো ব্যাপারটা ম্যাচিং হচ্ছেনা।'

'না না ওসব নেই আমার কাছে।' তাড়াতাড়ি বলি আমি। আরে বাবা থাকলেও কি এসব একে ওকে ধার দিয়ে বেড়াবার জিনিস? এমনধারা অবিবেচনা দেখে মেজাজটা একটু খারাপ হয়। তার ওপর যখন তখন বাংলা মিডিয়াম ফিডিয়াম বলে খোঁটা দেওয়াটাও ভালো লাগে না আমার। নিজে যেন খুব ইংলিশ্‌ মিডিয়াম! টেনেটুনে কোন মতে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়েছে রাজারবাগ গার্লস স্কুলে; তারপর সেই গত চার বছর ধরে শুনছি কিসের এ'লেভেল না ও'লেভেল করছে। যত্তসব!

'যা: বলিস কী!' ধুপ্‌ করে আমার বিছানায় বসে পড়ে ও। 'জানিস এই ম্যাচিং হওয়াটা কিরকম জরুরী একটা ব্যাপার? শুধু এতটুকুন কারণেই অনেকের ভাগ্যে অনেক কিছু হতে গিয়েও হয়না। এই যেমন আমার কথাই ধর। কী হতে পারত আর কী হয়েছে।'

বুঝলাম একটা গল্প শুরু হতে যাচ্ছে এখনি। কিন্তু পড়াশোনার অবস্থা যে একেবারে বেরাছেরা। খাতায় আধকষা অঙ্কটার দিকে তাকালাম একবার।
y = - 4y
একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে খাতাটা বন্ধ করি। চুলোয় যাক বিখাউজ অঙ্কটা আপাতত।

'এই তোর খালার মেকআপ বক্সটা এদিকে দে তো। একটা দাওয়াতে যাবো। তোর এখানে সাজতে সাজতে ঘটনাটা বলি।' এবার খাটের উপর পা তুলে আরাম করে বসে ও।

বিরস মুখে বক্সটা আলমারি থেকে বের করে দেই ওকে। এবার আমেরিকায় ফেরত যাওয়ার সময় ওটা আমাকে দিয়ে গেছেন খালা। আমার চেহারায় নাকি বিস্তর ঘষামাজা করার প্রয়োজন আছে ওটার ভেতরের জিনিসগুলো দিয়ে। ল্যানকম, ম্যাক আর কী কী সব ব্র্যান্ডের টুকিটাকি নানান কিছু দিয়ে ভরা বক্সটা। কোনটা কীভাবে দিতে হয় মোটামুটি দেখিয়ে দিয়েছিলেন খালা কিন্তু ওসব বেশি বেশি ব্যবহার করলে ফুরিয়ে যাবে ভেবে আলমারিতে চাবি দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম।

আচ্ছা সুনয়না আপু ওর গল্প শুরু করার আগে একটু পটভূমিকা দিয়ে নেই। আমরা ওদের বাসায় ভাড়া আছি প্রায় পনের বছর হলো। ওদের বাসার সব ব্যাপার স্যাপারই একটু যেন কেমন কেমন। আমাকে চার বছরের নিয়ে সুনয়না আপুর ছ'বছরের জন্মদিনে গেছেন এখনো সেটা হলফ করে বলেন আম্মা অথচ সুনয়না আপু আর আন্টি দুজনেই সবসময় প্রমাণ করার চেষ্টায় থাকে যে আমি ওর চেয়ে বয়েসে বড় - নিদেনপক্ষে সমান। ঝগড়াঝাঁটিটা ওখানে একদম রুটিনমাফিক, প্রায়ই চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পাওয়া যায় ওদের ফ্ল্যাট থেকে। আর মাসের বেশির ভাগ দিন আজব সব মানুষদের দাওয়াত-গেট টুগেদার লেগেই থাকে ওদের বাসায়। দু'একবার আমি গেছিও ওসব দাওয়াতে। দেদারসে মদ্যপানের সুব্যবস্থা তো থাকেই আর রাত গভীর হলে লোকজন ঘরের আলো কমিয়ে গান ছেড়ে নাচ শুরু করে। বুড়ো ধাড়ি সব ইংলিশ্‌ সিনেমার পার্টির মত নাচে। আম্মাকে মদ আর নাচানাচির ব্যাপারটা এখনো বলিনি, তাহলে আর যেতে দেবে না।

সুনয়না আপু ইদানিং আবার মডেলিং নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। র‌্যাম্প মডেল ও। তবে আন্টির খুব ইচ্ছে ওকে নামকরা নায়িকা বানাবার। ইটিভির সাথে নাকি একটা নাটকের ব্যাপারে কথাও চলছে। খুব শিগ্‌গির নায়িকা হয়েও যাবে তাও জানি। কারণ ভীষণ সুন্দর ও দেখতে। গড়পড়তা যে কোন বাংলাদেশি মেয়ের চেয়ে লম্বা - প্রায় পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি মত। কাটা কাটা চেহারা। আর ধারালো ছোরার মত ফিগার। যেদিকেই তাকানো হোক মুগ্ধ না হয়ে পারা যাবে না। তবে সুনয়না আপুর সবচেয়ে মারাত্মক জিনিসটা হল ওর চোখ। এত সুন্দর চোখ আমি আর কারো দেখিনি; কোন ছবিতে বা টিভিতেও না। ঐ চোখে নিজের সর্বনাশ দেখবে না এমন ছেলে ঢাকা শহরে একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। এজন্যই বোধহয় নানা কিসিমের ব্যাটাছেলেদের ভিড় লেগেই থাকে ঐ বাসায়।

সমস্যাটা হলো - আন্টি আর ও - দুজনেরই কথাবার্তাই বেশ বিভ্রান্তিকর আর মিথ্যা মনে হয় আমার আম্মার। 'আফজাল সুনয়না কে নিয়ে নাটক করবে', 'আফসানা মিমি তো সুনয়না বলতে পাগল' এসব সবসময় শুনি। আম্মা বলেন সব চাপাবাজি। উনি বরাবরই বলে এসেছেন সুনয়না আপুর নাকি ছোটবেলা থেকে একটু হাতটানেরও অভ্যাস আছে। সুযোগ পেলেই এটাওটা সরিয়ে ফেলে। অনেকবার ওকে ঘরে একা রেখে ফিরে এসে ব্যগে রাখা টাকা খুঁজে পাননি আম্মা। যাকগে সে সব; এতদিন এক সাথে থেকে আমাদের এখন একে অন্যের বাসায় অবাধ যাতায়াত। যদিও আম্মা আমার ওখানে যাওয়াআসাটা খুব একটা পছন্দ করেন না।

সুনয়না আপু বক্সটা খুলে এক এক করে ফেস পাউডার, শ্যাডো, লাইনার, ব্রাশ এইসব বিছানায় রাখে। আমি তীক্ষ্ণ নজর রাখি।

'শোন ঐ যে কদিন আগে র‌্যাডিসনে আতেফ এসলাম একটা শো করে গেলো না - ওখানে তো আমাদেরও র‌্যাম্প শো ছিল ওর কনসার্টের আগে। বুঝলি ঐ কাজটা আমি কোন টাকা ছাড়া করেছি শুধু আতেফকে এক নজর দেখব বলে। ওহ হিস্‌সো কিউট!'

'কোন আতেফ, তুমি কি আতিফ ইসলামের কথা বলছ? ঐযে পাকিস্তানি গায়কটা - জুনুন ব্যান্ডের?'

'তুই একটা খ্যাত! আতিফ না আতেফ। ওতো এখন হিন্দি সিনেমাতেও গান গায়। ঐযে পেহেলি নাজরসে ক্যায়সা জাদু....। তারপর শোন না। অরগানাইজার কে ধরে আমার শো শেষে আমি একদম সামনের সারিতে বসে গেছি। কিন্তু দেখ কেমন লাগে। ওর কনসার্ট দেখতে ঢাকা শহরের সব বদ মেয়েগুলা ফিটিংফাটিং হয়ে যেন ওখানে মেলা বসিয়েছে। একেকজনের ভাব দেখে মনে হয় একেবারে জান দিয়ে দিবে। চড়ানো দরকার না সবগুলাকে বল?' গালে পাউডার ঘষতে ঘষতে জানতে চায় সুনয়না আপু।

আমি কোন উত্তর দেইনা। আতিফ ইসলামকে আমারো বেশ লাগে। ওরকম ফ্রি পেলে আর আম্মা যেতে দিলে কি আর আমি যেতাম না!

'তারপর আতেফ ষ্টেজে আসল। আহা সেকি দারুণ ওর গানের গলা! আর কি যে হ্যান্ডসাম দেখতে। একদম দিল ধাকধাক। সামনাসামনি না দেখলে কোনদিনও বুঝতে পারবি না। মনে হচ্ছিল ওকে কোলে নিয়ে বসে থাকি। ওর সাথে আমার বিয়ে হলে বাচ্চাগুলা একদম ব্র্যাড পিটের মত হত দেখতে জানিস? গান শুনতে শুনতে আমি তো সাত আসমানের উপর উঠে গেছি। এরমধ্যে দেখি পাশের ফাউল মেয়েগুলা শুরু করেছে,"ম্যারি মি আতেফ! প্লিস ম্যারি মি!" আমার তো রাগে গা জ্বলে যাচ্ছিল। আমিও চেঁচাতে শুরু করলাম। ওমা দেখি সে আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসে। চিন্তা কর অবস্থা।' চোখের উপর নীল রং এর আইশ্যাডো ঘষা বন্ধ করে ঢোক গিলে সুনয়না আপু - যেন গলা দিয়ে উঠে আসা উথ্‌লে ওঠা আবেগটাকে ঠেকালো।

'এরপরই ঘটল সেই অবিস্মরণীয় ঘটনা। শেষ গানটা করার আগে এত মেয়ে থাকতে আমাকেই ইশারা করে ষ্টেজে ডাকল আতেফ। আমি তো বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না। হাওয়ায় ভেসে যেন ষ্টেজে উঠলাম। আমাকে সাথে নিয়েই পুরো গানটা গাইলো সে। তারপর "ডাইহার্ট ফ্যান ট্যান" কি কি সব বলতে বলতে শো শেষ করলো। আর আমি তো এদিকে বোকার মত ষ্টেজেই দাঁড়িয়ে আছি। এবার আমার হাত ধরে ব্যাকষ্টেজে নিয়ে এলো আতেফ। বলল, খুবসুরৎ লাড়কি, তুম এহিপর খাড়া রাহো। হাম চেন্জ রুমপে যা'কর চেন্জ করকে আতা হে। ইসকে বাদ এক হোটেলপে মে তুমকো ডিনার খিলায়গা অর বাদমে আচ্ছাসা ওয়াক্ত গুজারেংগা - ঠিক হ্যায়?' (আসলে সুনয়না আপু হয়ত উর্দু কিংবা হিন্দীতে ঠিকঠাকই বলেছিল - কিন্তু আমার আবার উর্দু হিন্দি খুব একটা আসে না, তাই লিখতে ভুল হলেও হতে পারে)।

'বুঝলি আমি তো খুশির চোটে ফিট খাই আর কি।' ঠোঁটে লিপস্টিক দেওয়ার জন্য সাময়িক বিরতি নেয় সুনয়না আপু।

'তারপর? তারপর?' আমি অস্থির হয়ে জানতে চাই। 'কোন হোটেলে গেলে তোমরা? তোমাকে একা একা কোন গান শুনিয়েছিল?'

'নাহ। আতেফ চেন্জ রুমে ঢুকলো আর আমি আস্তে করে বাইরে চলে এলাম। অরগানাইজারদের গাড়ি ছিল। সোজা বাসায়।'

'ওমা! কেন?'

'ঐ যে বল্লাম না - ম্যাচিং এর ব্যাপারটা। অন্তরে যে বাস করে তার সাথে ম্যাচিং ছাড়া অন্তর্বাসে কেমন করে ডিনারে যাই বল? ডিনারের পর আচ্ছা ওয়াক্তের কথাটা মনে রাখতে হবে না?' সুনয়না আপুর মেকআপ নেওয়া মনে হচ্ছে শেষ হয়েছে। একদম স্বর্গের হুরপরীর মত লাগছে ওকে। আয়নায় আরো একবার চোখ বুলিয়ে সন্তুষ্টির হাসি দিয়ে আমার ঘর থেকে হঠাৎবের হয়ে গেল ও।

এ আবার কেমনধারা গল্প শোনালো সুনয়না আপু - এর কোন মানে হয়?
আরে বাবা ডিনারে খেতে যাবি, তারপর গল্পগুজব করে ভাল সময় কাটাবি এর সাথে ম্যাচিং অন্তর্বাসের কী সম্পর্ক? কিছুই মাথায় ঢোকে না আমার। গজ্‌গজ্‌ করতে করতে বিছানার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শ্যাডো, লাইনার এসব গুছিয়ে রাখছিলাম বক্সে।

দেখি নীল রং এর আইশ্যাডোটা আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে ওটা।


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আহা ! আফসোস ছাড়া কি করব আমার জাতির জন্য !!!
__________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চশমাওয়ালি এর ছবি

র‌্যাডিসনে কিন্তু সত্যি সত্যি এই ব্যাপারটা হয়েছিল। ওর এত আকূল ভক্তগণ যে এইদেশে আছে জেনে নিশ্চয় ভদ্রলোকের খুব ভাল লেগেছে।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

y= -4y !!!!!!

তার জোড়া দিয়া আসি, বাকিটা পরে পরমুনে!

চশমাওয়ালি এর ছবি

ছোটবেলায় আমার কিন্তু অঙ্ক করতে করতে মাঝে মাঝে এইরকম লাইন চলে আসত হাসি

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

অনীক আন্দালিব এর ছবি

y এর ভেলু তাইলে জিরু। নাকি? ইয়ে, মানে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এমন কোনো মন্তব্যই মাথায় আসছে না যা প্রকাশ করা যাবে... তাই বিদায় নিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

চশমাওয়ালি এর ছবি

মনে হচ্ছে লেখাটা দিয়ে সবার বিরক্তির কারণ হয়ে গেছি। আমি কিন্তু বাস্তবতা নিয়েই গল্প লেখার চেষ্টা করি। এইরকম তো হয় রে ভাই।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধুরো, আপনের উপরে বিরক্ত হইছি তা কে কইলো? আমি জানি বাস্তবে এই চরিত্র প্রচুর আছে এই দেশে। যারা শহীদ আফ্রিদি, আতেফাঞ্ছামদের "মেরি মি" বইলা গলা ফাটায়... গালিটা তাদের উদ্দেশে... আপনার জন্য প্রযোজ্য নহে।
গল্প তো চমৎকার হইছে... স্যরি আমি আগের মন্তব্যে বোঝাইতে পারি নাই সেটা... আপনি বাস্তবতা নিয়েই গল্প লেখা চালিয়ে যান।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

আতেফ এছলামের আইপিসহ ব্যাঞ্চাই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

চশমাওয়ালি এর ছবি

ব্যান করতে পারলে খারাপ হত না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার কাছে তো দারুণ মজা লাগল গল্পটা দেঁতো হাসি

আরো লিখুন।

চশমাওয়ালি এর ছবি

ধন্যবাদ।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো বলতেই হবে। ধন্যবাদ,

অগ্রীম ঈদ মোবারক।

দলছুট।
===========
বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

আপনার লেখা আমার দারুন পসন্দ। কথোপকথন sirijerসিরিজের বিরাট ফ্যান আমি! দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

রেশনুভা এর ছবি

যাই কইতে চাই, আরেকজন আগেই কইয়া ফালায়। কপালটাই এরুম ... দেঁতো হাসি
মেঘ আর বৃষ্টি কি কেনাকাটায় ব্যস্ত নি? লেখা ভালা হইছে।

চশমাওয়ালি এর ছবি

লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
মেঘ আর বৃষ্টির জীবনে একটা ঝামেলা হয়ে গেছে। খুব শিগগির লেখাটা দেব।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নাহ, মানতেই হয় একটা দারুণ গল্প লিখেছেন আপনি... শেষের অংশটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আরো নিয়মিত লিখুন না আপনি...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

চশমাওয়ালি এর ছবি

S)
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আরে! প্রিয় ... লেখিকার লেখা দেখি! গল্প দারুণ, তবে ভাবছি আর দুই দিন পর লিখলে আরও মাল-মসলা পেতাম কিনা। খাইছে

ফেসবুকে অনেক রকম নখরামো দেখেছিলাম আতিফকে নিয়ে। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে যা ছ্যাবলামোটা করলো রে বাপ...

হিমু এর ছবি

ছেলেগুলিও কি আতেফের সাথে রাইতে আচ্ছা ওয়াক্ত গুজরানের জন্য বেয়াকুল নাকি?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সুযোগ পেলে পিছপা হবে বলে মনে হয় না। এক্কেবারে গুরু মানে! গান তো পরের কথা, মুখের কথাই ঐ টাইপ হয়ে গেছে লোকজনের। সাজ-সজ্জার কথা বাদই দিলাম।

কলিকাল গেছে একটা...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

একটু রয়েসয়ে ইশতি ভাই, একটু রয়েসয়ে...!!!
আপনেরে বাগে পাইতে ওৎ পাইতা আসি- অতএব একটু সাবধান... দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

চশমাওয়ালি এর ছবি

ইশতি ভাই,
কেমন তোমার মাতা পিতা
কেমন তাদের হিয়া?
এত বড় হইছে পোলা
দেয়না কেন বিয়া?
ছেলে খালি মাল মসলা খুঁজে - বিয়ে থা করার জন্য 'আচ্ছা ওয়াক্ত' তো 'কাজা' হয়ে যাচ্ছে!

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

জি.এম.তানিম এর ছবি

ভাল হয়েছে... তবে মনে হয়েছে আরেকটু সময় নিয়ে লিখলে লাস্টের পাঞ্চটা আরো ভাল হতো... চলুক
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

চশমাওয়ালি এর ছবি

ধন্যবাদ তামিম ভাই।
আসলে খুব তাড়াহুড়া করে লিখি। বাচ্চাকাচ্চা খাইয়ে দাইয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে, ওদের আব্বার জন্যে ভাত রেঁধে, গরুগুলোকে জাবনা দিয়ে, উঠোনটা ঝাড় দিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসার সময় পাইনা। হাসি

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

জি.এম.তানিম এর ছবি

আমারও প্রায় একই অবস্থা, মহাজনের ক্ষেতে কামলা খেটে ধান তার গোলায় তুলে দিয়ে আসতে হয়।

লিখতে থাকুন, পড়তে থাকি...

( অফ টপিক: আমার নাম কিন্তু তামিম না, তানিম... খাইছে)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

চশমাওয়ালি এর ছবি

তানিম ভাই আমি খুব খুব লজ্জ্বিত এবং দুঃখিত।
আসলে মন্তব্য লেখার সময় কেন জানি তামিম ইকবালের কথা মনে পড়ল আর দেখুন কেমন টাইপো মেরে বসে আছি।
এইবারের মত মাফ করে দেন। হাসি

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

জি.এম.তানিম এর ছবি

আরে ধুর কি যে বলেন... মাফ টাফের কথা কোথা থেকে আসতেছে... এইটা কোন ব্যাপার না।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা হা!

তিথীডোর এর ছবি

বাচ্চাকাচ্চা খাইয়ে দাইয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে, ওদের আব্বার জন্যে ভাত রেঁধে, গরুগুলোকে জাবনা দিয়ে, উঠোনটা ঝাড় দিয়ে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আপনার সেন্স অফ হিউমার জোশ!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

গল্প বেশ ভালো লাগলো। আর নামটা বোধ হয় আসলাম হবে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

চশমাওয়ালি এর ছবি

সুবিনয়দা, আমার লেখা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সেইরকম ঝাকানাকা! চোখ টিপি

[আতেফেস্লামের কঞ্ছার্টের গপ্প শুনতে মঞ্চায়! ইয়ে, মানে... ]

---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

চশমাওয়ালি এর ছবি

লেখা ভাল লাগার জন্য থ্যাংকু্।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সুনয়নার ফটু দেইখা পুরা মন্তব্য করুম চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ভ্রম এর ছবি

আহা! এই আতেম এসলাম কে নিয়ে কটূক্তি করে কতরকমের কথাই না শুনতে হয় বন্ধুদের কাছ থেকে...
গল্পটা বেশ মজা লাগলো।

সুধীর  এর ছবি

জুনূনের নাম জানতাম। আতিফ আসলামের এই সুযোগে ছবি দেখলাম গুগল করে।

http://www.mp3lyrics.org/a/atif-aslam/atif-aslam_33.Jpg

হ্যান্ডসাম নিঃসন্দেহে।

টেন্ডুল্কারকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল ঢাকার এক ত্রয়োদশী এবং সোনারগাও হোটেলের সামনে সে কি কান্না! ছবি বেরিয়েছিল কাগজে।

অনেক সেলিব্রিটি সুযোগ নেয়, অনেকে সৎ সংসারী।

দ্রোহী এর ছবি

দারুণ গল্প।

আমারো সুনয়না আপু থুক্কু আতেফ এসলামের সাথে ডিনারে যেতে মঞ্চায়। দেঁতো হাসি

দ্রোহী এর ছবি

আতেফ এচলামের গান্টা কোরিয়ান ভাষায় শোনেন। প্রিতম শালা চুরার চুরা।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমার কোরিয়ান বান্ধবী টিভিতে 'পেহলে নাজার মে' শুনে তব্দা খাইসিলো, আর আমি খাইসিলাম এই গানান শুইনা!

---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সবজান্তা এর ছবি

আরে আতেফ তো আতেফ, শেজাদ রয় নামের আরেক পাকিস্তানি ছাগু আইসা যেই বেইলটা পাইলো...... হাস্যকর !

আপনার গল্পটা দারুণ লাগলো। যথারীতি দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

সুধীর  এর ছবি

চমৎকার সুরেলা গলাও এই যুবকের। http://www.youtube.com/watch?v=Wno0tlYqJdc&feature=related http://www.youtube.com/watch?v=Wno0tlYqJdc&feature=related

(সুরঞ্জনা , ব'লো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে) । ঈর্ষিত না হয়ে উপায় নেই।

অনেক দিন পরে এক গল্প পড়লাম, যা সত্যিই ভালো লাগলো। নাকি সত্যি কাহিনী?

হিমু এর ছবি

সুধীর ভাই দেখি আতেফ এছলামের ছবি দেখে আর গান শুনে বিয়াপক উশতেজিত!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দ্রোহী এর ছবি

সুধীর ভাইয়ের জন্য আবু লুলুর পানশালাটা পোস্টান।

প্রবাসিনী এর ছবি

খুব মজা পেলাম পড়ে।

আর ম্যাকের আর ল্যাঙ্কমের কসমেটিক্স শেয়ার করেন কেন? এত ভাল ব্র্যান্ড!
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

চশমাওয়ালি এর ছবি

হা হা। আমি তো শেয়ার করি না। আমারগুলা সব আলমারিতে তালা দেওয়া - নাহলে শেষ হয়ে যাবে না!
এই গল্পের 'আমি' আমি না। উত্তম পুরুষে লিখতে আরাম হয় তাই লিখি।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চাইবার আগে পাকিদের বাংলাদেশে ঢুকতেই দেওয়া উচিত না।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

রেনেট এর ছবি

দারুণ লাগলো চলুক
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সমুদ্র এর ছবি

অনেক মজার!

"Life happens while we are busy planning it"

সৈকত [অতিথি] এর ছবি

দারুণ তো!!!!

আলমগীর এর ছবি

এটা একটা খুব ভালো লেখা। পাঁচ তারা রইল।

স্বীকার করে বলি, আপনার প্রোফাইলের ছবিটা লেখা পড়তে গেলে বিকর্ষণ করে।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

মজা পেলাম

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

আলতাইর এর ছবি

পোলায় গান খারাপ গায় না। তবে জুনুন এ? আমি তো জানতাম জাল না বড়শী নামের কি এক্কান ব্যান্ডে গাইতো। তাপ্পর ঘরোয়া ক্যাচাল কইরা বাইরাইয়া পরসে! আমি একটা ঘটনার কতা জানি, যদিও হুনা কতা। ২ মাইয়া কেমতে জানি গ্রীনরুমে ঢুইকা পরসিলো। পরে কান্ধে কইরা ২ডারেই বাইর কত্তে হইসে!!

আলতাইর এর ছবি

কইতে ভুইলা গেসি, লেখা চরম লেখা -গুড়- হয়েছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।