[justify]আমি এই নিশুতি রাতে, যখন পুরা গ্রাম ঘুমে নিশ্চুপ হয়ে আছে, আমার বউ এর শরীরের পাশে শুকনো মুখে বসে আছি। ব্যাপারটা খুব রোমান্টিক হতে পারতো, কিন্তু হচ্ছে না। কারন এই গল্পের লেখক আমাকে দিয়ে আমার বউরে কিছুক্ষণ আগেই খুন করিয়েছে। আমি নাকি আমার বউ এর মাথা দা’র এক কোপে দুই ভাগ করে ফেলেছি। এখন লেখক আমার বউ এর মৃত্যুর পর আমার অনুভুতি কী হতে পারে তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে যদিও সুবিধা করে উঠতে পারছে না। তার
আমি এই নিশুতি রাতে, যখন পুরা গ্রাম ঘুমে নিশ্চুপ হয়ে আছে, আমার বউ এর শরীরের পাশে শুকনো মুখে বসে আছি। ব্যাপারটা খুব রোমান্টিক হতে পারতো, কিন্তু হচ্ছে না। কারন এই গল্পের লেখক আমাকে দিয়ে আমার বউরে কিছুক্ষণ আগেই খুন করিয়েছে। আমি নাকি আমার বউ এর মাথা দা’র এক কোপে দুই ভাগ করে ফেলেছি। এখন লেখক আমার বউ এর মৃত্যুর পর আমার অনুভুতি কী হতে পারে তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে যদিও সুবিধা করে উঠতে পারছে না। তার স্বজনমৃত্যুর অভিজ্ঞতা কম। সে প্রাণপণে চৌদ্দ বছর আগে তার দাদীর মৃত্যুর সময় তার নিজের অনুভুতি মনে করার চেষ্টা করছে। কী হাস্যকর ব্যাপার বলেন! কই দাদী আর কই বউ! আর সে নিশ্চয় চৌদ্দ বছর আগে বারো বছর বয়সে নিজের দাদীকে খুন করে নাই। ব্যাপারটা যে হাস্যকর তা সে নিজেও জানে, আর সে যে তা জানে তা আপনিও জানেন। আপনি খুব ভালো ভাবেই জানেন আমি যে কথাগুলো বলছি তা আসলে ঐ লেখকই লিখছে। সবকিছু জানার পরও আমাদের এই মিথ্যামিথ্যি খেলা।
লেখকের সমস্যা আরো আছে। সে খুন হওয়ার দৃশ্যটার একটু বিস্তারিত বর্ণনা দিতে চাচ্ছে। পেশাগত কারণে সে মানুষের এনাটমি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে। সে জানে খুলির ভিতরে ঠিক কোন জায়গায় কী কী থাকে। কিন্তু দা’র একটা কোপ পড়ার পর জিনিসগুলা যে কোনটা কিভাবে কোনদিকে কতদূর ছিটকে যাবে তা বুঝতে পারছে না। আমার বউ এর মুখের অবস্থা মাথায় দা’র কোপ খাওয়ার পর কেমন হয়েছে তা অবশ্য সে জানে, সে মাথায় দা’র কোপ খাওয়া মানুষ দেখেছে।
তার সেই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অস্ত্র হিসেবে দা বেছে নেওয়ার একটা কারন, আরো কারন আছে। এক, দা গ্রামে প্রায় সবার বাড়িতে থাকে, দুই, লেখক নিজে ছোটবেলা থেকেই দা ভয় পায়। আনাড়ি হওয়ার কারনে যতবার দা হাতে নিয়েছে ততবারই নিজের শরীরের কোন না কোন অংশ কেটে ফেলেছে। সমস্যা হলো দা’র কারনে জিনিসটা বীভৎস হয়ে গেছে। গলা টিপে মেরে ফেললে ব্যাপারটা পরিষ্কার থাকতো। এখন চারিদিকে মগজ-টগজ ছিটকে... ধ্যাৎ।
একটু আগে যে বললাম দা’র কোপ খাওয়ার পর মানুষের চেহারা কেমন হয় তা লেখক জানে, সেটা কিন্তু পুরোপুরি সত্যি না। সে যে লাশটা দেখেছিলো তা মাথায় দা’র কোপ নিয়ে দুইদিন ডোবার পানির নিচে ছিলো। মগজ-টগজ কিছু ছিলো না, কিংবা ছিলো হয়তো ডোবার নীচে, কেউ খুঁজে দেখে নি। মাথায় যেখানে দা’র কোপ পড়েছিলো সেখান দিয়ে নাকি এক টাকি মাছের বাচ্চা ঢুকে বসেছিলো মাথার ভিতরে। লেখক অবশ্য সেই টাকি মাছ দেখে নি। তার মা পইপই করে নিষেধ করে দিয়েছিলো যাতে সে ওই লাশ না দেখতে যায়। পনেরো বছরের ছেলেরা মা’র নিষেধ খুব কমই শোনে। সে গিয়েছিলো, সে ফুলে ঢোল হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়েছিলো, সে এমন এক চোখ দেখেছিলো যা আর কেউ কখনো দেখে নি।
আমি কেনো আমার বউকে খুন করলাম তা নিয়েও এই লেখক নিশ্চিত না। একবার বউ এর পরকীয়ার কথা ভেবেছিলো, কিন্তু সে মনে হয় লিঙ্গবাদী, কোনভাবেই আমার বউরে সামান্য দোষী হিসাবে দেখাতেও রাজী না, যেনো মেয়েরা পরকীয়া করতেই পারে না। একবার আমার পরকীয়ার কথা ভেবেছিলো, কিন্তু পরকীয়া থেকে ফেরানোর জন্য আমাকে আমার বউ এর হুমকী কিংবা কাকুতি-মিনতি, কোনটাই তার পছন্দ হচ্ছে না। এইখানে মনে হয় সে গোয়ার্তুমি করছে। সে তার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাচ্ছে না। যে লাশ সে দেখেছিলো সেই মেয়েও তো পরকীয়া করেছিলো, গ্রামের সবাই জানে। লেখকও জানে, তবুও সে আমার বউ এর দিকে মায়াভরা চোখে তাকাচ্ছে আর মাথা নাড়াচ্ছে- না, পরকীয়া না।
এই গোয়ার্তুমির কারনও বোধহয় ব্যাক্তিগত। সে ওই মাথায় দা’র কোপ খাওয়া মেয়েটার পেছন পেছন সকালে নদীতে যেতো প্রতিদিন। যখনি সে দেখতো মেয়েটা তার বাড়ির সামনে দিয়ে নদীর দিকে যাচ্ছে, সে গামছাটা টান দিয়ে নিয়েই পিছু নিতো। সে তিনবছর ধরে প্রতিদিন একই সময়ে ওই মেয়েটার সাথে একই নদীতে গোসল করেছে। সে তিনবছর ধরে প্রতিদিন দেখেছে মেয়েটার শরীর আস্তে আস্তে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, আস্তে আস্তে পানি থেকে উঠছে। সে জানতো সে যে মেয়েটাকে দেখে তা মেয়েটা জানে। ঘাটে সে ছাড়া আর কেউ না থাকলে মেয়েটা বুকের নীচে কলস দিয়ে সাতার কাটতো, তাদের গ্রামে পচিঁশ বছরের আর কোন মেয়ে সাতার কাটতো না।
কিন্তু সেই মরে যাওয়া মেয়ের কারনে আমাকে ফাসিয়ে দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে বলেন? আমি ইতিমধ্যে আবিষ্কার করেছি আমার বাবা নাকি আমার পর রেগে যেয়ে আমার ভাইকে সব সম্পত্তি দিয়ে দিচ্ছিলেন (আমার যে ভাই আছে তাও এই প্রথম জানলাম, বাবা যে আছে তা অবশ্য আন্দাজ করেছিলাম) আর তাই আমি নাকি আমার বাবাকে খুন করার প্লান করছিলাম (কি সর্বনাশ!)। আমার বউ আমাকে ঠেকাতে যাওয়ায় আমি নাকি কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দা বসিয়ে দিয়েছি!
অথচ যে মেয়ের কারনে এই লেখক আমার বারোটা বাজাচ্ছে তার সাথে সে কথা বলেছে মাত্র একদিন। পৌষের এক সকালে ভাপওঠা নদীর ধারে বসে যখন মেয়েটা তার হাত, পা আর মুখে সাবান দিচ্ছিলো আর এই লেখক যখন একমনে তার দিকে তাকিয়ে তার হাত, পা, আর মুখের সাবানের ফেনার ভিতর হারিয়ে যাওয়া আবার জেগে ওঠা দেখছিলো, তখন মেয়েটি হঠাৎই তার দিকে তাকিয়ে বলেছিলো, ‘তুমি কোন ক্লাশে পড়?’ এই লেখক তখনও একটু বোকা ছিলো। তার প্রশ্ন বুঝতে আধ মিনিট সময় লেগেছিলো। সে জড়িয়ে উত্তর দিয়েছিলো, ‘নিউ টেন।’ মেয়েটা হেসেছিলো, বলেছিলো, ‘তোমাকে দেখে বোঝা যায় না। আমি ভেবেছিলাম সেভেন এইট হবে। পানিতে না নেমে বসে আছো কেনো? সাবান নিবা?’ সে নিয়েছিলো, না নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। সে প্রাণপণে সাবান মেখেছিলো, ওই সাবানটা নিশ্চয় অন্যরকম ছিলো, আর কোনদিন কোন সাবানের গন্ধ ওইরকম হয় নি। সাবানটা মেরে দেওয়ার চিন্তাও তার মাথায় এসেছিলো, ভেবেছিলো বলবে সাবান নদীতে পড়ে গেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সে গোসলের শেষে সাবানটা মেয়েটার দিকে বাড়িয়ে দেয়। মেয়েটা সাবান নেয়, নীচু হয়, নীচু হয়ে শাড়ি চিপে পানি ঝড়িয়ে ফেলে, তারপর তার দিকে তাকিয়ে হাসে, হেসে বাড়ির দিকে রওনা দেয়।
যা ভেবেছিলাম তাই। আমি শেষ হয়ে গেছি। আমি এখন আমার বউ এর লাশ টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছি আর তাও টানছি দুই পা ধরে, মানে বুঝতেই পারছেন রক্তের একটা মোটা রেখাও যাচ্ছে আমার পিছন পিছন। কোথায় যাচ্ছি বুঝছেন তো? বাড়ির পিছনের ডোবায়। আমি এইমাত্র জানলাম আমার বাড়ির পিছনে একটা ডোবা আছে। এই লেখকের এখন বৃষ্টি আনার কোন ইচ্ছেই নেই। কাল সকালে সবাই দেখবে আমার দরোজা থেকে ডোবা পর্যন্ত রক্তের দাগ চলে গেছে। আমি অবশ্য টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়েও দাগ মুছতে পারি, কিন্তু আমাকে সেটাও করতে দিবে না। পিশাচ লেখক! আমারে ফাসিঁতে চড়ানোর সব আয়োজন শেষ করে ফেলেছে, শেষ করে সে এখন ঝাপসা চোখে ল্যাপটপের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে আছে আর বহুদিন আগে ফুরিয়ে যাওয়া এক সাবানের গন্ধ নেওয়ার নিরর্থক চেষ্টা করছে।
ব্রুনো
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%6d%65%67%68%64%75%74%30%30%36%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%22%3e%6d%65%67%68%64%75%74%30%30%36%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
মন্তব্য
হাহাহা
মজা পাইলাম।
লেখক তো আসলেই আনাড়ি দেখি!
সচলে স্বাগতম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ওহ! দুর্দান্ত! এক নিঃশ্বাসে পড়লাম! এমন গল্প আগে কখনো পড়িনি! লেখক পাঠকের সাথে খেললেন! আর পাঠকও সেই নতুন ধরনের খেলায় ভালভাবে মেতে রইল শেষ অব্দি!
গল্পের মধ্য দিয়ে একজন গল্পলেখকের মনোবিশ্লেষন অদ্ভুত দক্ষতার সাথে ফুটে উঠেছে!
আমি এখন থেকে সদা সতর্ক থাকব যাতে আপনার কোন লেখা মিস না হয়ে যায়, কারণ তা আপনার মত একজন অসাধারণ লেখকের লেখা মিস করা পাপ বয়ে আনবে আমার জন্য!
কী যে বলেন তার ঠিক নাই। উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
লেখক আনাড়ি কিন্তু লেখাটা তো দেখি খুবই ভালো!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, কী বলবো বুঝতেছি না! আপনার মন্তব্য পেয়ে অসাধারণ লাগছে।
আরে সাব্বাশ, কী বিষয়বস্তু !
গল্প লেখা চালিয়ে যান
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চলবে আশা করি। অনেক অনেক
আনাড়ি লেখকের চমৎকার গল্পটা ভাল লাগল। সচলে স্বাগতম
ভালো লাগলে লেখক সার্থক।
আরে !!
দারুণ তো !!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এত টাইপো থাকলে পড়ে আরাম পাই না যে।
সচলে স্বাগতম।
লেখা চলুক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
টাইপো না, বানান কম জানার কারনে ভুল হয়েছে মনে হয়। ধরিয়ে দিলে শুধরানো চেষ্টা থাকতো পরের লেখায় ।
পড়ার জন্য
এইরকম আইডিয়া কই পেলেন ভাই ?
লেখা ভালো লাগল ভীষণ, ভিন্নরকম একটা লেখা পড়লাম অনেকদিন পর।
এইরকম অদ্ভুত গল্প আরো লিখবেন।
পড়া আর উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
ইন্টারেস্টিং!
ধন্যবাদ ।
সত্যিকারের এক্সপেরিমেন্টাল গল্প। এক কথায় অসাধারণ হইছে, অসাধারণ।
প্রত্যেকটা গল্পই এক্সপেরিমেন্ট, অন্তত নিজের সাথে। অনেক অনেক ।
অসাধারণ গল্প
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গ্যালারীতে তো বসলেন, নতুন কিছু আসবে কিনা বুঝতেছি না । অনেক ।
লেখা ব্যাপক হইছে।
লেখাটা ভালো লেগেছে। নতুনত্বের স্বাদ পেলাম।
"আষাঢ়ে গল্প ০১" মানে আরো গল্প আসছে, তাই তো?
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
অন্তত তারা যাতে আসে সে চেষ্টা থাকবে।
খুব ভাল লাগলো গল্পটা
ভালো লাগলে লেখক সার্থক।
কী চমৎকার !
আষাঢ়ে ০২ এর অপেক্ষায়
আমিও আষাঢ়ে ০২ এর অপেক্ষায়
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
দারুন লাগল। চালিয়ে যান।
মারাত্মক রকম ভালো লেগেছে। মারাত্মক, মারাত্মক, মারাত্মক ভালো লেগেছে।
আপনার আগামী লেখা কবে আসবে? এই যে গ্যাট হয়ে বসলাম, পরের পর্বের জন্য।
লেখায়
তারা যাতে দ্রুত আসে সে চেষ্টা করবো কথা দিচ্ছি।
এক কথায় বলি - দুর্দান্ত!! অন্যরকম আকৃতির একটা গল্প, যেটাকে কোন একটা কাঠামোর মধ্যে ফেলা যায় না সহজে। এরকম 'আনাড়ি' লেখা আরো চাই
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
প্রথম গল্পেই এতো উৎসাহ পাবো, বুঝি নাই।
পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে গেলাম। এই লেখা আনাড়ি লেখকের হলে লেখক যেন এমন আনাড়িই থাকে।
আপনার নিকটা পছন্দ হইছে ।
একদম অন্যরকম লেখনী, চমৎকার। আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আপনার প্রত্যাশা যেনো পুরণ করতে পারি।
চমৎকার লেখা...পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম লেখার মধ্যে...প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা লাইন যেন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল সেই ঘটনাপ্রবাহে...
আপনার ভালো লাগলেই লেখা সার্থক।
আশাকরি 'আষাঢ়ে'র পর শ্রাবন-ভাদ্রেও চালিয়ে যাবেন।
দেখলেন না কেমন বৈশাখে আষাঢ়ে গল্প চালিয়ে দিলাম?
ভাই দারুন লিখেছেন। আরো লিখবেন। এভাবে চলতে থাকলে আপনাকে দিয়েই হবে!!
দোয়া রাইখেন । পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অভিষেক ম্যাচেই শতক হাকালেন।শচীন না হলে ও সাকিব তো হবেন অবশ্যই।
সাকিবই ভালো।
ছক্কা হাঁকিয়েছেন ইনিংসের প্রথম বলেই, অভিনন্দন। গল্প ভালো লেগেছে, ভিন্ন ধরণের, ভিন্ন স্বাদের গল্প। বেশ করে লিখুন, আমরা নতুন অনেক কিছু পেতে যাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। সচলে স্বাগতম
দেখা যাক টিকে থাকতে পারি কিনা!
উৎসাহের জন্য
ভাল লেগেছে গল্প। সচলে স্বাগতম, লেখা চলুক।
চলার চেষ্টা থাকবে।
মজা পাইসি
ধন্যবাদ।
তুমুল আরামদায়ক লেখা। সচলে আপনি যেমন নতুন আমি পুরান হয়েও নতুনের মতন ঝকঝকা।
ভাল থাকুন। খুবই ভাল লেখা!
আপনার এই নতুনের মতো ঝকঝকা থাকাটা আমাদের জন্য দুঃখজনক । আমাদের জিরাতে অরুচি ধরিয়ে আপনি এইরকম বিশ্রাম নিতে পারেন না।
লুদমিলার জন্য শুভকামনা।
মাই গুডনেস! পুরাই সিরাম!
তবে মনে মনে গেস করেছিলাম, একেবারে শেষ লাইনে হয়তো, মেয়েটার মৃত্যুর সাথে আনাড়ি লেখকের কোন একটা যোগাযোগ থাকলেও থাকতে পারে, এইরকম একটা সন্দেহ পাঠকের মনে আলতো করে ঢুকিয়ে দেবেন।
ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো।
ভালো লাগলো গল্পটা
এদ্দিন পর কি আর এই মন্তব্য আপনার চোখে পড়বে? যাই হোক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভাল লাগলো।।।
এই গল্পটা দারুণ লাগলো। আপনার গল্প লেখার হাত আছে, চালিয়ে যান।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এইটা আমারো পার্সোনাল ফেভারিট, এখন পর্যন্ত।
অনবদ্য! দারুণ লেখনী।
ঠিক করে বলুন তো হে, বই টই বেরিয়েছে নাকি আপনার।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার সমগ্র সাহিত্যকর্ম দিয়ে বড় জোর দেড় ফর্মার এক চটি বই (ভিন্নার্থে নিয়েন না, প্লিজ!) হবে, তার বেশী না।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি মন্তব্য না করলে উপরের তিনজনের মন্তব্যও হয়তো আরো অনেক অনেক দিন চোখে পড়তো না।
এই গল্পটা পড়া হয়নি আগে। না পড়লে বুঝতেই পারতাম না আমি কি পড়া থেকে বঞ্চিত ছিলাম। অসাধারণ
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই যে চরিত্র বাবা, আপনার কোন চিন্তা নাই! সুগভীর তদন্ত শেষে আমরা আবিষ্কার করেছি - আসলে আপনার লেখকটাই খুনি! আপনার বউকে সে-ই খুন করে এখন আপনাকে 'ফ্রেইম' করার চেষ্টা করছে। ব্যাটা একটা স্যাডোম্যাসোচিস্টিক সিরিয়াল-কিলার, একটা ভয়ঙ্কর চতুর সাইকো। একেকটা খুন করে আর ব্লগে-ব্লগে একটা করে গল্প পোস্ট করে - যেখানে একটা চরিত্র থাকে - যাকে সে 'গল্পের মধ্যে ফ্রেম' করে আর তার মুখ দিয়ে সে আকারে-প্রকারে নিজের অপরাধটাই স্বীকার করে। কিন্তু কেউ বুঝতে পারে না, সবাই ভাবে এটা নেহাতই গল্প। আর সে নিজে মনে মনে হাসে। এটা একাধারে তার স্যাডোম্যাসোচিজমের আর্টিস্টিক বহিঃপ্রকাশ (নিজে মেরে আবার তা নিয়ে গল্প লেখা শেষে 'ঝাপসা চোখে ল্যাপটপের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে' নিজেরই বুক ভাসানোকে আর কি বলে বলুন!), আবার আমার মতো গোয়েন্দাদের দিকে গল্পের ছদ্মবেশে একরকম সাংকেতিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়াও বটে। ভাবখানা এই - 'ক্লু নেই বলে মাথার চুল ছিড়ে সাফ করার দরকার নেই। এই যে ক্লু দিয়ে গেলাম, ঘটে কিছু থাকলে এখন ধর্ দেখি!'
ট্রাজেডি হল, নিহতের পাশাপাশি আপনার মত ফুলের মত পবিত্র গল্পের চরিত্ররাও বিনাদোষে ওর স্যাডোম্যাসোচিস্টিক সিরিয়ালকিলিং-ইন্সটিংটের নৃশংস সাইড-ভিক্টিমে পরিণত হচ্ছেন অনবরত, এবং মর্মন্তুদ পরিণতি বরণ করছেন। ব্লগে-ব্লগে আপনার মত ওর এরকম অনেক চরিত্র ছন্নছাড়ার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বুক চাপড়ে মাতম করছে। ফাঁসিকাষ্ঠের জন্য অপেক্ষমান আপনার মত এইসব 'চরিত্রের' হা-হুতাশ আর চাপা কান্নায় ইন্টারনেট জগতের ডিজিটাল আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। নাঃ এ অবস্থা আর কিছুতেই চলতে দেয়া যায় না।
হ্যাঁ, এইবার কিন্তু ওর সব চালাকি আমরা ধরে ফেলেছি। ব্যাটা যত বড় পাকা ধড়িবাজই হোক, এবারে আর তার পালানোর কোন রাস্তা নাই। তাছাড়া এবার আপনার মত একটা জ্যান্ত 'চরিত্র' হাতেনাতে পেয়ে গেছি, যে কিনা সব জানে - জানে কিভাবে ফলস্ এভিডেন্স প্ল্যান্ট করা হয়েছিল, কাকে দিয়ে জোর করে সেটা করানো হয়েছিল, কে করিয়েছিল, ইত্যাদি স-অ-ব। সুতরাং এবার এক্কেবারে ক্যাঁক! হুঁ-হুঁ বাবা, তুমি ঘুঘু দেখেছো ফাঁদ দেখনি!
সুতরাং আপনি দ্রুত নিম্নলিখিত ঠিকানায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন - আদালতে সাক্ষ্য দিতে হবে। ভয় নেই, আপনাকে আমরা 'উইটলেস প্রোটেকশন কাস্টডিতে' রাখব!
ইতি
গোয়েন্দা ধাকানাকা
২৪/৪ সচল বাগিচা
ফাঁকা-১০০০
ব্লগধাম।
****************************************
শুনতে পাবে তো সবাই! আস্তে বলেন, আস্তে
অসাধারণ লাগলো।
এবার ০২ পড়বো।
------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
নতুন মন্তব্য করুন