• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আষাঢ়ে গল্প ০২: গোত্রচ্যুত

ব্রুনো এর ছবি
লিখেছেন ব্রুনো [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৫/০৫/২০১২ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১

মফস্বল শহরটা সুন্দর ছিলো। তার কল্পনার সাথে খুব অল্পই মিলেছিলো সেটা। বাড়ি অনেক কিন্তু উঁচু না খুব, গাড়ি ছিলো কিছু, চাপা পড়ার মতো না। ধানক্ষেতও ছিলো সেখানে, ইটের প্রাচীরে ঘেরা। বৃষ্টিও হতো বটে, তবে তার গ্রামের মতো না, বস্তুত তাদের গ্রামের মতো বৃষ্টি আর কোথাও হয় না, সে জানে। দোতলার যে জানালার ধারে তার বিছানা ছিলো তার পাশেই ছিলো একটা গাছ, গাছে ছোট ছোট ফল। সে ফলটা চিনতো আগেই- আমলকী। গাছটা চিনতো না- এ গাছ তাদের গ্রামে ছিলো না। একটা পুকুর ছিলো বাসা থেকে একটু দূরেই, বিশাল, তার মনে হয়েছিলো তাদের পুরো গ্রামটাই বসে যাবে পুকুরের ওই গর্তের মাঝে।

প্রথমবারের মতো বাড়ি ছেড়ে ত্রিশ কি.মি.দূরের শহরে থাকতে আসার অনুভুতি অনেকটা সাধারণ ফ্যারিঞ্জাইটিস হওয়ার অনুভুতির মতো। অসহনীয় হয়তো না কিন্তু গলায় সবসময় কিছু একটা বিঁধতে থাকে। বাইরের কেউ কিছু বোঝে না, বোঝানোও যায় না, এমনকী হা করে দেখালেও গলার ভিতরে সামান্য লাল ছাড়া আর কিছু কেউ দেখে না, কিন্তু বিঁধতেই থাকে, সবসময়। শুয়ে থাকো কিংবা বসে থাকো সবসময় মনে হয় অন্য কিছু করলে হয়তো থেমে যাবে গলার এই কুটকুটানি। বিছানা, চেয়ার, টুল সবকিছু থেকে উঠে দাড়িয়ে হাটাহাটি শুরু করার দুরন্ত এক ইচ্ছা হয়, যেনো হাটাহাটির ভেতরেই লুকিয়ে আছে সবকিছুর সমাধান।

সে ফ্যারিঞ্জাইটিস না-হওয়া গলা নিয়ে ওই শহরের রাস্তায় রাস্তায় হাটতে থাকে। দূর থেকে হলুদ রঙের একগুচ্ছ বিল্ডিং দেখে, যার ভিতরে ঢোকার ইচ্ছে নিয়েই সে এই শহরে এসেছে। সেই এক গুচ্ছ হলুদ রঙের বিল্ডিং পার হয়ে এক গলি পথ ধরে সে রেল স্টেশনে আসে। কাউন্টারে খোঁজ নেয়, একঘন্টা অপেক্ষা করে, ট্রেন দেখে। ট্রেন চলে গেলে সে রেললাইন পার হয়ে আর এক গলিতে এসে পরে। সেই গলির বামদিকে একটা বইয়ের দোকান, তারপর আরো একটা বইয়ের দোকান, তারপর আরোও একটা বইয়ের দোকান, অবাক হয়ে দেখে সেই গলি জুড়ে শুধুই বইয়ের দোকান। বইয়ের গলির শেষে বড় রাস্তা, বড় রাস্তার অপরদিকে পাবলিক লাইব্রেরী, পাবলিক লাইব্রেরীর নীচে এক পৌঢ় ব্যক্তিকে ঘিরে অনেক লোকের ভিড়। সেই পৌঢ় ছোলার ঘুগনী বেচে। সে লাইনে দাড়ায়, ঘুগনী খায়। লোকটিকে তার প্রমিথিউস বলে মনে হয় যে প্রমিথিউস ভুল করে স্বর্গ থেকে অমৃত চুরি করেছে আগুনের বদলে।

ঘুগনী শেষ করে সে রাস্তার শেষ মাথায় এই শহরের গর্ব, এক দশ তলা বিল্ডিংকে নিজের নাম মাথায় লিখে দাড়িয়ে থাকতে দেখে। সে ওই বিল্ডিং এর ভিতরে যায়, খামোখা লিফটে ওঠে, লিফটসম্যান বোঝে, সে শুধু লিফটে ওঠার জন্যই লিফটে ওঠা লোকদের দেখে অভ্যস্ত। লিফট আটতলায় এলে লিফটসম্যান বিরক্তি নিয়ে বলে, ‘এই তলায় এখনো কিছু নাই। যান ঘুরে আসেন।’ সে নেমে কাচের দেওয়ালের দিকে যায়, যেয়ে নীচের দিকে তাকায়, দেখে পাতালে এক সারি রিক্সা আর ভ্যান লাইন ধরে চলে।

শহরের গর্ব থেকে নেমে এসে সে পকেট থেকে লিস্ট বের করে। সে মশারি কেনে, সিঙ্গেল, বাদামী রঙের। মেলামাইনের প্লেট, বাটি, মগ কেনে হালকা রঙ দেখে। সাবান, টুথপেস্ট, চিরুনী সব কেনা হয়ে গেলে একটা বড় আয়নার জন্য দামাদামি শুরু করে। আয়নাকে কিছুতেই আয়ত্তে আনতে পারে না, ভবিষ্যতে কোন একদিন ওই আয়না কেনার প্রতিজ্ঞা করে সে আবার হাটতে হাটতে তার বাসায় ফিরে আসে। এসে শুয়ে থাকে।

রাতে পাশের রুম থেকে টুয়েন্টি নাইন খেলার ডাক আসে। আর কিছু করার না থাকায় সে খেলতে বসে। কিছু নিয়ম তাদের গ্রামের থেকে আলাদা বলে মনে হয়। তাদের গ্রামে বিশ কিংবা তার বেশী ডাক হলে এমনিই ডাবল হয়ে যায়, এখানে হয় না। সে খেলতে থাকে মনোযোগ দিয়ে, সবাই তার তাস মনে রাখার দক্ষতায় মুগ্ধ হয়। তার পার্টনার তাকে আজীবনের জন্য পার্টনার বলে ঘোষনা দেয়, সবাই হাসে, সে বিব্রত হয়। সে ক্রিকেট আর সিনেমা নিয়ে গল্প করে, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই তাকে এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ক্রিকেট বলে মেনে নেয়।

কম তেল আর প্রায় মশলাবিহীন তরকারী দিয়ে ভাত খেয়ে কিংবা না খেয়ে সে বিছানায় যায়। সে সারাটা দিন নিয়ে মনে মনে চিন্তা করে। ভাবে যে নদীর কথা সে শুনে এসেছে তা আজ দেখা হলো না। থাক নদী আরো কিছুদিন একা একা, আগে সব রাস্তাঘাট চিনতে হবে, ঐ হলুদ বিল্ডিং গুলোতে ঢোকার আগেই সব চিনে নিতে হবে। আগামীকাল বাড়িতে ফোন করার আর পাবলিক লাইব্রেরীতে যেয়ে ছোলার ঘুগনী খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সে ঘুমাতে যায়। অস্বস্তিই মনোযোগ আকর্ষক, স্বস্তি না। সে বুঝতেও পারে না সর্বক্ষণ আর কিছু বিঁধছে না।

দুপুরে বাস থেকে নেমে সে দেখে কোথাও কোন ভ্যান নেই। অগত্যা সে হাটা শুরু করে। প্রথমেই তার দেখা হয় হামিদ আলীর সাথে। হামিদ আলীকে দেখলেই তার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে। একবার তার এক নিখুত পুল শটের পর টেপ টেনিস বল গিয়ে দ্রুত গতিতে পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়া হামিদ আলীর দুই উরুর মাঝখানে লাগায় হামিদ আলী রাস্তার পরেই শুয়ে পড়েছিলো। মানুষ পরিহাসে নিষ্ঠুর, পরবর্তীতে নালিশ না করা হামিদ আলীর মহানুভবতা কেউ মনে রাখে নি, তার শুয়ে পড়া সবাই মনে রেখেছে। হামিদ আলী তাকে দেখে লাজুক স্বরে প্রশ্ন করে সে এই প্রথম বাড়ি আসছে কিনা। সে হ্যাঁ সূচক উত্তর দেয়। হামিদ আলী তার ঠিকানা বিস্তারিত বুঝে নেয়, জানায় সে প্রায়ই শহরে যায়, পরের বার শহরে গেলে সে দেখা করে আসবে। যতই সে বাড়ির দিকে আসে ততই কুশল জিজ্ঞাসার পরিমাণ বাড়তে থাকে। যতই সে বাড়ির দিকে আসে ততই ‘কিগো, ক্যামন আছো?’ কমে যেয়ে ‘কীরে, ক্যামন আছিস?’ বাড়তে থাকে, শেষে কিংবা মাঝে দু একটা ‘মনি’ যোগ হতে থাকে।

তারপর সে আমগাছ দুটো দেখতে পায়, তাদের পাশ থেকে নারকেল গাছ আর কাঁঠাল গাছও উকি মারে। তার হঠাৎ মনে হয় গত একমাসে সে কোন কাঁঠাল গাছ দেখে নি।

মা তাকে দেখে চলতে চলতে হঠাৎ দাড়িয়ে পড়ে। বলে, ‘মনি আইছিস?’ এগিয়ে আসে কিন্তু গল্পের মা’দের মতো জড়িয়ে ধরে না, শুধু একভাবে তাকিয়ে দেখে। তার মনে পড়ে মাত্র দুই মাস আগেও এই ধাড়ি বয়সেও সে মায়ের কাছে মার খেয়েছে। সে হঠাৎ বুঝে ফেলে ঐটায় ছিলো মা’র কাছে খাওয়া শেষ মার, মা তাকে আর কোনদিন মারবে না।

সে মাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে ঘরের দিকে যায়। বাবা খবর পেয়ে ক্ষেত থেকে আসে। দু একটা কথা বলে আবার দৌড়ায়, ক্ষেতে তিনজন লোক কাজ করছে, বাবার থাকার উপায় নাই। তার নিজেকে অতিথি বলে মনে হয়। সে বোঝে আগামীকাল ভোরে বাবা তাকে ক্ষেতে যেতে বলবে না।

সে বিকেলে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যায়। তারা তাকে স্বাগত জানায়। সে তাদের লিফটের কথা বলে, হলুদ বিল্ডিং এর পন্ডিতদের কথা বলে, সে তাদের মেয়েদের সালোয়ারের পায়ের দিকটা পেছন থেকে কিছুটা চিরে যাওয়ার কথা বলে। স্টেশনের বই এর দোকান থেকে বই ভাড়া পাওয়া যায় বললে তারা বিস্মিত হয় আর তার হঠাৎ করেই ভাড়া নেওয়া কিন্তু শেষ না করা দুটো থ্রিলারের কথা মনে হয়ে যায়। তার অস্বস্তি হয়। সে মনে মনে তার ছুটি একদিন কমিয়ে ফেলে।

তারা তাকে পত্রিকায় পড়া মাকড়শা মানবের কথা জিজ্ঞেস করে, জানতে চায় সে স্পাইডারম্যান সিনেমা দেখেছে কিনা। তার মনে পড়ে যায় পাশের রুমের ছেলেরা পরশুদিন সিডি প্লেয়ার আর টিভি ভাড়া করে স্পাইডারম্যান সিনেমা দেখবে। তার আরো অস্বস্তি হয়, সে তার ছুটি আরো একদিন কমিয়ে দেয়।

মা-বাবা দু’দিন থেকে যেতে বলে। সে তখনো শুরু না হওয়া পড়াশোনার চাপের কথা বলে, বলে একমাস পরে আবার আসবে,বলে প্রায়ভেট টিউটর ঠিক করতে হবে, প্রায়ভেট টিউটর ঠিক করা জরুরী। এইসব যুক্তিতে মা-বাবা পরাস্ত হয়। তারা তার প্রস্থানের অনুমতি দেয়। শুধু মা, মা’দের মতোই, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে বলে। বাবা, বাবাদের মতোই, সাবধানে চলাফেরা করতে বলে।

সে পরদিন সকালে রওনা দেয়। যাওয়ার সময় তার শিউলি গাছের নীচে কিছু শিউলি ফুল দেখে। তার এক মুহুর্ত্তের জন্য মনে হয় পরেরবার আসার সময় শিউলি ফুল থাকবে না। সে মাকে পিছন পিছন আসতে নিষেধ করে, মা আসে। সে যতদূর দেখা সম্ভব কিছুক্ষণ পর পর পিছনে তাকিয়ে মাকে দেখে, শেষবারের মতো দেখার পর তার মনে হয় থাকলেও হতো, স্পাইডারম্যান হয়তো পরেও দেখা যেতো।

বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবে। সে এসব অসম্ভব কথা ভেবে ভেবে বাসের জন্য অপেক্ষা করে।

বাস একসময় চলা শুরু করে, বাস একসময় উজানগাঁর হাটের কাছে আসে, সে উজানগাঁয় নেমে পড়ার কথা ভাবে। সে এসব অসম্ভব কথা ভেবে ভেবে শহরের দিকে চলে।

বস্তুত মূলোৎপাদন একটি প্রায় মৃত আভিধানিক শব্দ যা বৃক্ষের ক্ষেত্রে সশব্দ হলেও মানুষের ক্ষেত্রে নীরবে ঘটে।

ব্রুনো

eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%6d%65%67%68%64%75%74%30%30%36%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%22%3e%6d%65%67%68%64%75%74%30%30%36%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))


মন্তব্য

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"শেষবারের মতো দেখার পর তার মনে হয় থাকলেও হতো, স্পাইডারম্যান হয়তো পরেও দেখা যেতো।" - এইসব বোধ এতো গভীরে ছুঁয়ে যায়!

"বস্তুত মূলোৎপাদন একটি প্রায় মৃত আভিধানিক শব্দ যা বৃক্ষের ক্ষেত্রে সশব্দ হলেও মানুষের ক্ষেত্রে নীরবে ঘটে।" -
দারুণ করে বললেন, ব্রুনো। এটাও অনেক অনেক ভালো লাগলো। (চলুক)

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ব্রুনো এর ছবি

আমের আগের গল্পটার মতো এই গল্পেও আপনি প্রথম কমেন্ট করলেন :) ।
(ধইন্যা)

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এর পরেরটার অপেক্ষায় থাকলাম।
সেটা নিশ্চয়ই এই দুটো থেকে আলাদা আমেজের হবে। (হাসি)

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর জলছবি এর ছবি

ভাল লাগল গল্পটা। শেষের লাইনটা মাথায় ঢুকে গেছে। (Y)

ব্রুনো এর ছবি

পড়ার জন্য (ধইন্যা) ।

সত্যপীর এর ছবি

চমৎকার গল্প (Y)

..................................................................
#Banshibir.

ব্রুনো এর ছবি

ধন্যবাদ।

কুমার এর ছবি

হাত্তালী, চমৎকার।

ব্রুনো এর ছবি

(ধইন্যা)

পথিক পরাণ এর ছবি

গল্পের ভেতর চমৎকার কিছু বাক্য আর ভাব ছড়িয়ে আছে। (Y)

ইয়ে-- আমি ভুল ভাবছি কিনা জানিনা। শেষ বাক্যে আপনি কি ''মূলোৎপাটন' বলতে চেয়েছেন?

------------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

ব্রুনো এর ছবি

না, আপনি ঠিকই ভাবছেন। মূলোৎপাটন-ই হবে। লজ্জার ব্যাপার হলো এটা টাইপো না, আমি বানানটা জানতাম না :( । তবে পৌঢ় কিন্তু টাইপো (অবশ্য এটা আপনি ধরেন নি) :)

মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বাহ, ভালো লাগলো বেশ! (Y)

ব্রুনো এর ছবি

অনেক অনেক (ধইন্যা)।

সাত্যকি. এর ছবি

এই গল্প পড়ে অন্তত আমার মনে আর কোন সন্দেহ রইল না যে, আপনি একজন জাত লেখক।
নিজেকে ইনফিরিওর ইনফিরিওর লাগছে। :(

ব্রুনো এর ছবি

এসব কী বলেন। আমিও একদিন নিশ্চয় গুই এর মতো কিছু লিখে উঠতে পারবো হুম :D

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হ।
দুইজন সেইরাম লেখক একে অপরের পিঠ চাপড়াইতে থাকিলো। (দেঁতোহাসি)

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ব্রুনো এর ছবি

:D

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

:))

ইয়াসির এর ছবি

বাহ ব্রুনো, বাহ! সত্যিই দারুণ।
চালিয়ে যান ^:)^

ব্রুনো এর ছবি

চালাবো, বলছেন? ঠিক আছে, সব দায়-দায়িত্ব আপনার। :)

ইয়াসির এর ছবি

যেদিন খুব বিখ্যাত হয়ে যাবেন, সেদিন বুঝবেন, কিছু গরীবের কথা বাসি না হতেই ফলে :)

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভালো লেগেছে। (Y)

ব্রুনো এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

তাপস শর্মা এর ছবি

ফাটাফাটি। (Y)

ব্রুনো এর ছবি

(ধইন্যা) ।

সুমাদ্রী এর ছবি

সুন্দর লেখা। শেষ লাইনটা কবিতার পঙতির মতন। (জাঝা)

ব্রুনো এর ছবি

অনেক অনেক (ধইন্যা) ।

সাফি এর ছবি

খুব ভালো লাগলো ব্রুনো।

ব্রুনো এর ছবি

ভালো লাগলেই ভালো :) । ধন্যবাদ।

বন্দনা এর ছবি

কেন যেন মনে হোল, কিছুটা আমার নিজের গল্প, দেশে গেলে আমার ও নিজেকে অতিথি বলে মনে হয় মাঝেমাঝে। আপনার লিখার হাত অসাধারন। অফটপিক, আপনার ব্রুনো নাম দেখলেই আমার ব্রুনো মাসের একটা গানের কথা মনে পড়ে। :p

ব্রুনো এর ছবি

আমি যদিও গান সম্পর্কে বিশেষ অজ্ঞ, তবুও গানটা শুনতে ইচ্ছে করছে। কোন গানটা বলেন তো?
পড়ার জন্য (ধইন্যা)

বন্দনা এর ছবি

আমি ইংরেজী গান কম শুনি, কদিন আগেই ব্রুনো মার্সের এই গানটা শুনলাম, আপনার নামের সাথে মিলে গেলো তাই গান্টার কথা আবার মনে পড়ে গেলো। এটা কি আপনার নিক না আসলেই আপনার নাম?
http://www.youtube.com/watch?v=LjhCEhWiKXk&ob=av2e

ব্রুনো এর ছবি

এইটা আমার নিক। আমার আসল নাম এরকম যে কেউ বিশ্বাসই করতো না যে এইটা আমার আসল নাম।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

খুবই ভালো লেগেছে আপনার গল্পটি। উপরে একজন মন্তব্য করেছেন যে আপনি একজন জাত লেখক। কোনো সন্দেহ নেই এ বিষয়ে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ব্রুনো এর ছবি

নিজেকে জাত লেখক প্রমাণ করতে অনেক দূর যেতে হয়, আমি কেবলি শুরুতে। অনেক (ধইন্যা)

নিলয় নন্দী এর ছবি

সৈয়দ শামসুল হক আর সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্পের স্বাদ পেলাম যেন।
আপনার বিখ্যাত হতে আর বেশি দেরি নেই।
=DX

ব্রুনো  এর ছবি

(ধইন্যা)

স্পর্শ এর ছবি

খুব ছুঁয়ে গেল! এই গল্পটা আরো অনেকবার পড়া হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ব্রুনো  এর ছবি

এইটারে সেমি-অটোবায়োগ্রাফিক্যাল গল্প বলতে পারেন। :p
(ধইন্যা)

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার আপনার লেখার হাত। আগে পড়া হয়নি, মিস হয়ে গেছিল, বড্ড মিস হয়ে গেছিল। পাঁচতারা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ব্রুনো  এর ছবি

ধন্যবাদ। ইয়ে, এই যে পাঁচতারা কিংবা একতারা, এই ব্যাপারটা কী আসলে? কোন রেটিং সিস্টেম?

সুরঞ্জনা এর ছবি

হুঁ, এক তারা থেকে শুরু হয়ে পাঁচ পর্যন্ত যথাক্রমে 'তেমন ভালো না', 'ভালোই', 'ভালো', 'বেশ ভালো' এবং 'অসাধারণ' বোঝায়। :)

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

ব্রুনো  এর ছবি

ধন্যবাদ। এরকমই ধারণা করেছিলাম। শুধু আমি কেনো দেখি না সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। নীচে থ্রি-ডি কবির মন্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আশা করি আপনার একটা নিক পেতে সময় লাগবে না। তখন তারা ঠিকই দেখতে পাবেন। সেটার জন্য তাড়া দিয়ে আরও কয়েকটা গপ্পো নামান দেখি!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ব্রুনো  এর ছবি

(ধইন্যা) বেশী তাড়া দিয়ে গল্প নামাতে গেলে দেখবেন সেগুলা মডু-প্যানেলেই আটকে গেছে :D

নজমুল আলবাব এর ছবি

চমৎকার

ব্রুনো  এর ছবি

(ধইন্যা)

আজরফ এর ছবি

ভাল লাগলো। আপনার লেখনির হাত ভাল। লেখা থামাবেন না যেন।
অফটপিকঃ ভাই, নতুন লেখায় আগের লেখার লিংক গুলো দিয়ে দিলে পাঠকের সুবিধা হয়।

ব্রুনো  এর ছবি

প্রশ্নই আসে না লেখা থামানোর :)
লেখার শুরুতে ব্রুনো'স ট্যাগে ক্লিক করলেই সবগুলো একসাথে পাবেন। গল্পের শুরুতেই একগাদা লিঙ্ক থাকলে কেমন যেনো লাগে দেখতে।

^_^ এর ছবি

ঝকঝকে লেখা।সব ঘটনা এমন সুন্দরভাবে শেষ হওয়া, কোন কমবেশি নাই- একদম পরিমিত। =DX

ব্রুনো  এর ছবি

(ধইন্যা)

guest_writer এর ছবি

(Y)
একসাথে সবগুলো লেখা পড়ার ভেজাল হলো যে, কোনটাই ঠিকভাবে মনে রাখতে পারলাম না। মানে একটা গল্পের আমেজ জমে উঠতে না উঠতেই অন্যটা পড়লাম। একহন ভেবে ভেবে মনে করতে হচ্ছে। তবুও ছাড়বোনা। দরকার হলে আবার পড়বো।
এবার তবে ০৩ ।

----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

ব্রুনো  এর ছবি

:)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।