দু'এক দিন আগে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল ওয়াকআউট করলো... বিষয়টা কিন্তু ইন্টারেস্টিং!!!
স্বাধীনতার ঘোষক কে? এই প্রশ্নের উপরে আলোচনা হচ্ছিলো। বি,এন,পি,র দাবী জিয়াউর রহমানই সেই ব্যক্তি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবী হলো, শেখ মুজিবই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, তত্কালীন সামরিক অফিসার মেজর জিয়া তো যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন। এই বিতর্কের এক পর্যায়ে বিরোধী দল ওয়াক আউট করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। আমি প্রচন্ডভাবে আশাবাদী তিনি আমাদেরকে কম করে হলেও পথটি দেখিয়ে দিয়ে যাবেন। যদিও সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত সেরকম কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গতকালই কেবল ঘোষণা আসলো, ২০১০ সালের মধ্যে আমরা মেশিন রিডেবল্ পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবো। অ..নে..ক আগে থেকেই এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছে। গত নির্বাচিত সরকারের আমলে একবার উদ্যোগও নেয়া হয়েছিলো..... কিন্তু অনুমেয়ভাবেই কোন সফলতার মুখ দেখেনি সেটি। এবারো কিন্তু অনেক উত্সাহী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। বাজারে রটিত আছে, প্রধানমন্ত্রী তনয় স্বয়ং দেশে আসছেন এই কারণে। আমার তাতে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই.... আমি একটি সফল শেষ দেখতে চাই।
আমি আশা করতে ভীষণ ভালোবাসি।।
অথচ দেখুন, এথনো আমাদের নেতারা আজ থেকে আটত্রিশ বছর আগের একটি বিষয় নিয়েই অতি সরব।? জিয়াউর রহমান নিজেও কোনদিন এই বিষয়ে সরব ছিলেন না। আর বঙ্গবন্ধুর তো প্রশ্নই আসে না। আমরা যে যেভাবেই নিই না কেন, এই দুই মহান ব্যক্তিকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটা দেয়া উচিত্।
আমি আশা করি, একদিন আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের ভাবোদয় হবে। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে স্বস্থানে রেখে অনাগত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবেন, দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতির পেছনে তাদের মূল্যবান সময় এবং মেধা ব্যয় করবেন।
সেই দিন কবে আসবে???
মন্তব্য
আসবে না...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমাদের দেশে হবে সেই মেয়ে কবে
কথায় না পটু হয়ে কাজে ব্যস্ত হবে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এই দুই মহান ব্যক্তিকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটা দেয়া উচিত্।
তো, জেনারেল জিয়া কেনো মহান?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একই প্রশ্ন আমারও।
চামে শেখ মুজিবের কাতারে জেনারেল জিয়ার স্থান করে দেয়ার হাস্যকর অপচেষ্টায় আগে বেজায় বিরক্তি বোধ করতাম। এখন ঘেন্না হয়।
কোথায় হেডমাস্টার! আর কোথায় দপ্তরি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ইতিহাসে মুজিব আর জিয়ার স্থান নিয়ে সংসদে আলোচনার কোন অর্থ হয় না। সংসদে বসা তিন-চারশো লোকের পাকনামি দিয়ে ইতিহাসে এদের স্থান পরিবর্তন করা যাবে না।
সংসদে সাংসদদের আলোচনা প্রায়শই একে অন্যের পোঁদে আঙুল দেয়ার দিকে চলে যায়। শেখ কামাল ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেছিল কি না কিংবা খালেদা জিয়া রাতে কোথায় থাকে সেসব আলাপের জায়গা সংসদ না, এই সাধারণ ব্যাপারটা সাংসদরা বুঝতে চান না। স্পীকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন আর প্রধানমন্ত্রীকে তৈল মর্দনে তাদের সময়ের সিংহভাগ ব্যয় করা হয়। দেশের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা আর কাজ করার জন্য তাদের লোকে নির্বাচিত করেছে, এই জিনিসটা এত দ্রুত তারা বিস্মৃত হন যে গোল্ডফিশও লজ্জা পাবে।
আমিও একমত।
আমি ভীষণ রকম রাজনীতি-বিমুখ।
...কেবল আমি না, আমার চারিপাশের সমস্ত সহপাঠীদের প্রায় শতভাগেরই এই দশা।
কারণ কেবল এই নোংরা সাংসদগুলো ...
হিমু, আমি নিজেও নেতাদের কাছ থেকে বেশী আশা করি না। কারন তারা পেশাদার রাজনীতিক। একজন পেশাদার রাজনীতিকের নীতি হল নিজের ভুল স্বীকার না করা।
আমি আশা করি সেদিনের যখন কেউ সংসদে অবান্তর কথা বললে তাকে ২০০% টাক্স দিতে হবে। তাহলে যদি তারা সংযত হয়।
নতুন মন্তব্য করুন