আমি হুজুগে মানুষ। লোকে অনুরোধে ঢেঁকি গেলে। আমাকে অনুরোধও করতে হয় না। হুজুগ দিলেই আমি ঢেঁকিঘরসমেত ঢেঁকি গিলতে উদ্যত হই।
তার উপরে বেকার। কথায় আছে নাই কাজ তো খই ভাজ।
তো আমি খই ভাজি, নিজে খাই এবং বিলাই।
আমার অতিসম্প্রতি হুজুগের নাম “অ্যাম্বিগ্রাম”। সচলরা এই শব্দটির সাথে অতিপরিচিত আম্বিগ্রামগুরু জি.এম. তানিমের সুবাদে। তবে আমার মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ হিমু ভাইয়ের সূত্রে। তিনি কিছু অ্যাম্বিগ্রাম করলেন, খোমাখাতায় দিলেন। সেই গিয়ানজাম দেখে অ্যাম্বিগ্রামের ভূত চেপে বসল আমার ঘাড়ে। এরপর সুড়সুড় করে কানের ফুটো দিয়ে মাথায় ঢুকে পড়ে সে।
সেই পরশুদিন সকাল থেকে ওখানেই আসন গেড়ে বসে আছে সে।
১। আমিও শুরুটা করলাম নিজের নাম দিয়েই (TRISHIA)। এটা হয়ে গেলো খুব সহজেই। নিজের প্রতিভায় আমি নিজেই মুগ্ধ।
হিমু ভাইকে দেখালাম। তিনি বললেন বাংলায় করতে।
২। এবার পড়লাম গ্যাঁড়াকলে। বাংলা বর্ণমালার বাঁকগুলোকে বাগে আনতে গিয়ে আমার কালঘাম ছুটে যায়। অনেক খেটে খুটে যা দাঁড় করালাম, তা দেখে “তৃষিয়া” নয়, বরং সার্কিট ডায়াগ্রাম মনে হতে লাগলো।
আদতে কতখানি খারাপ হয়েছে বুঝতে এই অ্যাম্বিগ্রামের(!) মর্মোদ্ধার করার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করলাম খোমাখাতায়। কেউ যদি সিকিভাগও উদ্ধার করতে পারে তো আমি ধন্য।
৩। সে যাই হোক। আমি তখন পুরোদমে প্রেতাক্রান্ত, কাজেই কিছু দাঁড়াক বা না দাঁড়াক আমি গুঁতাতে থাকি। আমার পরবর্তী শিকার “চৈতী”, আমার সখী। এটা মনে হয় মোটামুটিভাবে উতরে গেল।
৪। গৌতমদা বললেন তাঁকে একটা করে দিতে। দিলাম। যা দাঁড়ালো তাকে অ্যাম্বিগ্রাম বলতে মন চায় না। লোগো বলা যেতে পারে বড়জোর। কারুর সাধ্য নাই এর মধ্য থেকে “গ” খুঁজে বের করে।
গৌতমদাও সরাসরি বলতে পারেন না যে ওটা আসলে কিস্যু হয়নি। তিনি বললেনঃ "অনেক সুন্দর হইসে দেক্তে।" অর্থাৎ আপেল আঁকতে গিয়ে সুন্দর আম হয়ে গেছে আর কি।
৫। তারপর করলাম “নববর্ষ”।
৬। হুদাই বসে বসে আর কী করব? করলাম “হুদাই” এর অ্যাম্বিগ্রাম।
৭। আরেক বন্ধু তাঁর নামের অ্যাম্বিচিত্র চাইলেন। আমি বেছে নিলাম তাঁর নামের ক্ষুদ্রতম অংশটি, ইংরেজিতে (চা বিরতি হিসেবে)।rony।
৮। ২ নং অ্যাম্বিগ্রামের(!) মর্মোদ্ধার করার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিলাম। সেই পুরস্কারের বিজেতা নিশাদকে করে দিলাম এর পরেরটি। অবশ্য এটিকে শুধুমাত্র উল্লম্বভাবে ঘোরানো যায়।
৯। গৌতমদা এবার একটা ইংরেজি অ্যাম্বিগ্রাম চাইলেন। সেটা অবশ্য একেবারে খারাপ হলো না।
রাত তখন দু’টো। তুমুল বেগে মাথা ঘুরছে আর মাথার মধ্যে তাবৎ বর্ণমালা চিৎ-কাত হয়ে নানান ভঙ্গিতে ছুটে বেড়াচ্ছে তখনো। পিঠ চুলকাতে গিয়ে আবষ্কার করি তর্জনী দিয়ে পিঠে কী কী জানি লিখে চলেছি আমি, নিজের অজান্তেই।
বিছানায় গেলাম। চোখ বুঁজলাম। অক্ষরগুলো চোখের সামনে এসে তা তা থৈ থৈ জুড়ে দিলো। তাদের ছলাকলা দেখতে দেখতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরশুদিনের কর্মকান্ড এ পর্যন্তই।
১০। গতকাল অ্যাম্বিগ্রাম করা হলো royena’র জন্য।
১১। আগামীকাল আমার বান্ধবী “অনিন্দিতা”র জন্মদিন। ওর জন্য করলাম এর পরেরটা।
১২। আজ একটা হলো বর্ষা আপুর জন্য।
১৩। অনার্য সঙ্গীতের জন্য "সঙ্গীত"।
১৪। আর virus।
১৫। আবারো গৌতমদার জন্য, সেই বিচিত্র লোগোসদৃশ অ্যাম্বিচিত্রের পাপমোচনের লক্ষ্যে। গৌতমদার নাম বড়ই অবাধ্য। বাগে আসতে চায় না কিছুতেই।
১৬। লুল্যাম্বিগ্রাম।
১৭। ১৫ নং অ্যাম্বিচিত্র দেখে দ্রোহীদা বললেন গরিবকে নাকি কেউ ভালবাসে না। বুঝলাম না !
এটা দ্রোহীদার জন্য। এ পর্যন্ত যতগুলো করলাম তার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের।
আরো কিছু অ্যাম্বিচিত্র পথে আছে। তারা আসতে থাকুক। ততক্ষণে আমি চা খেয়ে আসি।
( স্বীকারোক্তি: পাচনপ্রক্রিয়া মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং পেইন্টে সম্পন্ন। খাদ্যগুণ সম্পর্কে নিশ্চিত নই। তাই পরিবেশনে (ফটোশপ) মনোনিবেশ করেছি। )
মন্তব্য
পেজ লোড হবার সময় প্রথম সার্কিট ডায়াগ্রামটা দেখেই চলে যাচ্ছিলাম। ...ভাগ্যিস যাইনি!!
পরেরগুলো দেখে একটা কথাই মাথায় আসল।
....উরে খাইছে!!!!!
অ্যাম্বিগ্রাম দিয়ে একটা সচল ব্যানার হোক না। ব্যানারের লেখাগুলো সব অ্যাম্বিগ্রামে।
আমিও একটু যোগাযোগ করলাম। আমার নামেও একটা এ্যাম্বিগ্রাম চাই।
পিপিদা, কেমন লাগলো জানান। বেশি জট পাকিয়ে গেছে মনে হয়। "প" বানাতে হয়েছে অনেক সাধ্য সাধনা করে। একাধিকবার।
[img=auto][/img]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
৫ নম্বরটা সবচেয়ে ভালো হইছে। কারণ এটা দেখার সাথে সাথে মর্মার্থ উদ্ধার করতে পারছি ...
৭ নম্বরটা খুব্বি চুইট ...
১৪ দেইখাই মনে হইতেছে ভাইরাস লাগছে। ভালো হইছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আমার সচলে আসার অন্যতম প্রধান কারণ তানিম ভাইয়ের সেই পোস্ট। পোস্টটা পড়ে আমার মাথায় একসাথে দু'টা ভূত চেপেছিল, অ্যাম্বিগ্রাম ও সচলায়তন।
আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে অ্যাম্বিগ্রাম একটু সহজবোধ্য হওয়া উচিৎ। আপনার বেশিরভাগ অ্যাম্বিগ্রামে এই নীতিটা না মানা হলেও শিল্পগুণে প্রায় সবগুলোই উত্তীর্ণ। আপনার আইডিয়াগুলো চমৎকার। 'রনি'টা দারুণ লাগলো। 'বর্ষা'টা অবশ্য 'বর্ষ' মনে হচ্ছে (আমার ডাকনাম বর্ষ, এটাও মনে হওয়ার কারণ হতে পারে!)। 'দ্রোহী'টা খোমাখাতায় চোখে পড়েছিল, ভালো লেগেছে।
আমার অ্যাম্বিগ্রামগুলো আপনারগুলোর তুলনায় অনেক সাদামাটা। তারপরও দু'টা শেয়ার করছি।
[img=auto][/img]
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
রাহিন,
আপনার কাজগুলোও খুব সুন্দর!! কয়েকটা জমিয়ে একটা পোস্ট দিন না...
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে না, প্রথমটা তো জব্বর! মানে, তুখোড়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
রাহিন, আপনার প্রথম অ্যাম্বিগ্রামটাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হবে।
প্রথমটায় আমি মুগ্ধ। পটুয়াকে মনে পড়িয়ে দিল।
আপনার সাথে সহমত। আপনার প্রথমটা দুর্দান্ত। আরো করুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রাহিন পোস্ট দ্যান। তারপর জয়েন করেন জায়গামতো।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ!
@হিমু'দাঃ পুরোনো অ্যাম্বিগ্রামগুলো একটু ঘষামাজা করেই দিয়ে দিচ্ছি।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
আমি বহুকাল কারো কাছে অ্যাম্বিগ্রাম চেয়ে বসে আছি।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- নিজে খাইট্টা খান ছাতিপা। সিসটেম কইয়া দেই!
আপনার অক্ষরগুলো হলো (আংরেজীতে) এমনঃ
, , এবং
এইবার এই অক্ষরগুলারে একসাথে জোড়া দেন, মানে একটার একটা সাজালে এমন একটা জিনিষ পাবেন।
এইবার এই তিনটা অক্ষররে পুরা একশ আশি ডিগ্রী ঘুরায়া ফেলেন আর মাঝখানে একটু জায়গা রেখে একই লাইনে সাজান। এমন দেখাবেঃ
এবার মাঝের খালি জায়গাটায় আসল যুক্তাক্ষরটা এনে বসানঃ
এই অক্ষরটা পেয়েছি — এই অক্ষরটাকেই একশ আশি ডিগ্রী ঘুরিয়ে একটার লেজে আরেকটাকে জুড়ে দিয়ে।
আপনার নামের চূড়ান্ত চিত্রটা দাঁড়াবে এখন এমনঃ
হয়ে গেলো আপনার নামের অ্যাম্বিগ্রাম।
[বিদ্রঃ আমার আঁকার হাত ভালো না বিধায় পেইন্টে ভালো করে আঁকতে পারলাম না। একদম ইনস্ট্যান্ট এভাবেই মাথায় এলো। আপনি চাইলে অক্ষরগুলোকে ইচ্ছেমতো টেরেজেটি, একাবেকা, তেরিকাটা, যেমন খুশি তেমন করে আঁকতে পারেন।]
বাংলায় অ্যাম্বি বানানোর ব্যাপারে জংলী হাঁস, কালিদাস কিংবা তানিম বলে যেতে পারবে প্রতিটা পদক্ষেপ।
ট্রাই দিয়ে দেখেন। আপনিও অ্যাম্বিশিল্পী হয়ে যেতে পারেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জনাব ধুগো,
আপনের ইডিয়ট'স গাইডের লাইগা থ্যাংকু।
- শুক্রিয়া জনাব
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওরে খাইছে!!! আপ্নেতো দেখি ছুপা-রুস্তম!!!!!!!!!!!!! তলে তলে অ্যাতো অ্যাতো!!!
- তাও তো চিনলেন না মিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো ছেলে হিসাবে। আগে গাইল পাড়ে, তবে শেষমেষ ফরমাইশ রাখে।
কই দেখি আমার শালিদের লিস্ট টা কই গেল খুইজা দেখি, এই বেলা একটা এম্বিগ্রাম পাউয়াযাইলেউরযাতার্তারে।
- হে হে হে
লাভ নাই দুর্দান্ত'দা। আমি ছেলে হিসাবে ভালু না।
তাছাড়াও খাটাখাটুনির মধ্যে আমি নাই। কালিদাসরে ধরেন। ও হেব্বি ডিজাইন ফিজাইন করে আপনারে অ্যাম্বি বানায়ে দিবে। তারপর হল্যাণ্ডে গিয়ে আপনারে সেইটার মর্ম উদ্ধার করে দিয়ে আসবে।
আমি বড়জোর অক্ষরগুলা বের করে দিতে পারি। তাও আংরেজীতে। বাংলায় খাটনি বেশি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো ছেলে হিসাবে। আগে গাইল পাড়ে, তবে শেষমেষ ফরমাইশ রাখে।
কই দেখি আমার শালিদের লিস্ট টা কই গেল খুইজা দেখি, এই বেলা একটা এম্বিগ্রাম পাউয়াযাইলেউযাতার্তারে।
শালিকার তালিকা লৈয়া ভুল কেবলার দিকে রুকু দিলে তো ছৈল্ত ন!
ধূগোকে ধইন্যপাতা সাথে পুঁদিনাপাতা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আজ সকালঅবেলা উঠেই খোমাখাতায় ট্যাগ দেখে মন্টা ভরে গেছিলো, তাড়াতাড়ি তাই আমার নামের এম্বিগ্রামটা প্রোফাইল পিকচার বানিয়ে ফেল্লাম।শিল্পীর ব্যাখ্যা বাদ মে, আমার ব্যাখ্যা শুনেন!!!! (খোমাখাতায় আগেই কইছি)। বর্ষা নাম নিলেই যেই রংগুলোর নাম মনে আসে, বুনোহাঁস ঠিক সেই রংগুলো ব্যবহার করেছে, আমার ঘাড় ত্যাঁড়ামিটা স্বভাবটা বোঝাতে কাট কাট জ্যামেতিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। আর বৃষ্টিস্নাত দিন বোঝাতে ওয়াশটা দেয়া হয়েছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আপনার ঘাড় ত্যাঁড়ামির খবরটি আমার জানা ছিলোনা। জ্যামিতিক প্যাটার্ন এমনিতেই দেওয়া। তবে রঙ নির্বাচন আর ওয়াশের ব্যাখ্যাটুকু ঠিক আছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অসামান্য, অসামান্য, অসামান্য! আর কিছুই বলার নাই। এক সময় তানিমের সাথে অ্যাম্বি নিয়ে আলাপ করতাম। তখন বাংলায় অ্যাম্বিগ্রাম বানানোর কথা বলতাম। বাংলার জটিল হরফগুলো অ্যাম্বিগ্রামে দেখে কী যে ভালো লাগছে!
আহ্, আমারও হাত নিশপিশ করছে... টেরাই করে দেখবো নাকি একবার..
দারুণ হচ্ছে কিন্তু আপু ,
চা খেয়েই ফের লেগে পড়ুন!!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তানিম যে কী আগুন ধরায় দিয়া গ্লো!
বেশি পছন্দ হয়েছে ১ আর ৮ !!!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
- দিলাম বাংলায় একটা টেরাই নিজের চীজ বার্গারে আকীকা দেওয়া ফার্স্ট নেইমটা নিয়াই। যদিও অক্ষরগুলারে সিঁড়ির আদলে রাখলে ভালো হৈতো। কিন্তু ঐযে, আঁকতে পারি না। ব্যাঙ আঁকতে গেলে হয়ে যায় গরু!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কলাপাতা রঙের মনির।
সচল হাচল ছানাচল টুকুনচল সবতের এম্বিগেরাম চাই।
আমি যে আপনের অ্যাম্বিগ্রামের বিরাট ফ্যান... তা তো জানেনই... আর কী কমু?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার সব এম্বিগ্রাম
আমিও লাইনে দাঁড়ালাম
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেট, আপনার জন্য।
[img=auto][/img]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হেহে...জব্বর হইসে তো! থ্যাঙ্কু!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অনেক অনেক জোস!!!!!
লুলটা বেশি জুস!!
তবে দেখতে খুব ভাল হলেও ,না বলে দিলে কিন্তু সব কয়টার অর্থ বোঝা যাবে না!
আমার ট্যালেণ্ট ও নাই, ধৈর্য্য ও নাই, নাইলে এই ভূত শিউর ঘাড়ে উঠত!
ধূগোদার কমেন্ট এ পাঁচ তারা ।
বোহেমিয়ান
সবাই টেরাই দেয়, আমিও দিলাম, প্রথমটা আমার ছেলের নামে ইংরেজীতে 'মাতিস'
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার নামডা এট্টু নেইখা দেননা...চা পান খিলামুনি...
[img=auto][/img]
বাঘাদা, চা পান খিলাইতে ভুইলেন্না কিন্তু !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সরাসরি কইবার লাগবু। এম্বিগেরাম লাগব। ফিরি কেউ কইরা দিব না।
মুই ও চাই। বাংলা। ইংরাজি।
বাংলা
[img=auto][/img]
ইংরাজি
[img=auto][/img]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মামা, এই আপার লাইগা এক হাফ কাচ্চি লাগান।
এহহেরে আমারডা এহাবারে নিস্যা কইরা আঁকাইছে। তাউ যুদি বাঘ থাকতো, খালি সবুজ আঁকিয়া কি চাপান চাউয়া সঠিক? এইডার জইন্যে এট্টা কালার চা খিলান যাইতে পারে.....
ওম্মা....বাঘও আছে দেহি.....খিয়ালই করি নাই। হালায় কী সিন আইলো দুনিয়ায়, পুরাই তাব্দা......ওই মেমছাবরে দুত চেনি ছাড়া এট্টা কালার চা
হায় হায়! কী কাণ্ড! সবার নামের অ্যাম্বিগ্রাম করে দিল বুনোহাঁস, অথচ আমারটা নেই, এ কী উপহাস!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এটা দেখুন।
[img=auto][/img]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কাঁদিস না রে কাঁদিস না রে মুছে ফ্যাল চোখের জল ♪♫
একথা সত্যি যে আপনার করা অ্যাম্বিগ্রামগুলো দেখতে খুব সুন্দর হলেও পাঠোদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে আমার জন্য করা অ্যাম্বিগ্রামটা সবচেয়ে ভালো হয়েছে।
আজকে আপনার লাক বিয়াপক ভালু।
গতবছর কোন এক সময় জীবজন্তু-পশুপাখি নিয়ে গল্প লেখার হিড়িক পড়ে গেল, আর তার দুই দিন পর তাদের অভিশাপে সার্ভার ক্র্যাশ।
এবার এই এম্বিগ্রামের জ্বর কোথায় যায় দেখার অপেক্ষায়।
১৫, ১৭ অতি উত্তম।
অসাধারণ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সবাইতো ভাল ভাল বলেই দিল। আমারো বেশ ভাল লেগেছে। নিঃসন্দেহে সুন্দর হয়েছে।
৩, ৪, ১১, ১৫ বাদে বাকীগুলোকে আমার প্রথমে ক্রিপ্টোগ্রাম (গুপ্তলেখ?) তারপরে এম্বিগ্রাম (উভলেখ?) মনে হয়েছে। পাঠককে শুরুতেই চমকে দেয়া বা বিভ্রান্ত করা যদি টার্গেট হয়ে থাকে তাহলে ঠিক আছে। তবে বিভ্রান্তি নয়, বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে একটি অক্ষরমালার একই মানে বা একই ছবি থেকে এক বা বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে অনেক মানে বের করাটাই কি উভলেখের উদ্যেশ্য নয়? সেক্ষত্রে আমি যতটা সময় আর আগ্রহ 'এখানে কি লেখা আছে' বুঝতে ব্যায় করছি আর তারপর 'এটা এভাবে লিখে কি বোঝানো হয়েছে' এটি বুঝতে ব্যায় করছি - এই দুটির মধ্যে একটি ভারসম্য জরুরী বলে মনে হয়। 'এখানে কি লেখা আছে' বুঝতে যতটা সময় ব্যায় করছি, উভলেখর থেকে আমি তত দুরে যাচ্ছি। আপনার উভলেখর সাথে আমার যোগাযোগটি, বেশী ঘটছে 'এটা এভাবে লিখে কি বোঝানো হয়েছে' এই ভাবনাটি তে। তাই যত দ্রুত আমি ভাবনার এই দ্বিতীয় পদে চলে আসছি, আমার মনে উভলেখটি ততটা প্রানবন্ত হয়ে উঠছে। এখানে ১০ নম্বরের গোলাপী যত খুব দ্রুত একটি নারীসুলভ নমনীয়াতার কথা বলেছে, একই ভাবে ১৬ নম্বরের গোলাপীতেও একটা উগ্রপুরুষালীতা দেখা গেছে একই দ্রুততায়।
আপনি যেহেতু এতে অনেকটা সময় দিয়েছেন এবং 'চা খেয়ে' আরো কিছু সময় দেবেন তাই কথাগুলো বললাম।
খুঁটিয়ে দেখার জন্য এবং গঠনমূলক সমালোচনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাকে অ্যাম্বিশিল্পী ভেবে বসবেন না যেন। আমার অ্যাম্বিগ্রাম তৈরির সর্বপ্রথম চেষ্টার ফসল এগুলো। গত দু'দিন ধরে পারি বা না পারি, নাওয়া খাওয়া ভুলে এগুলো করেছি। এই পোস্টটি সেই দু'দিনের দিনপঞ্জি মাত্র। ম্যালা ত্রুটি বিচ্যুতি আছে জানি। চা খেয়ে ফিরলে সেগুলোও কাটিয়ে উঠতে পারব আশা করি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কাজগুলো অসাধারণ লেগেছে। বারবার ল্যাংডনের সাইটের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। খুবই প্রফেসনাল হয়েছে অ্যাম্বিগ্রামগুলি। অবশ্য দুই একটা বুঝতে একটু অসুবিধা হয়েতে সেটাও মনে রাখতে হবে। এবারে বোধহয় এম এস পেইন্ট আনস্টল করে ফেলতে হবে। ওস্তাদদের হাতে কাজের কাজ ছেড়ে দিয়ে আমি একটু "ঘুড়ে" আসি।
সবশেষে বলে যাই, এরকম একটা দারুণ কাজের সূচনার অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। শুভেচ্ছা রইল।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আপনার এ মন্তব্যের পর আমার আর কিছু না বলাই শ্রেয়। গতকাল থেকেই আপনি প্রশংসাবানে আমাকে জর্জরিত এবং বিব্রত করে চলেছেন।
ভালো থাকুন সবসময়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আগে একবার তানিম ভাইরে অনুরোধাইসি- এবার আপ্নেরেও অনুরোধাইলাম...
আমার একটা করা যায় ?? দ্রুহীদারটার মতো হইতে হবে... দেতে হবে...
_________________________________________
সেরিওজা
এইটা চলে নাকি সুহান?
[মার্জিনে আঁটে না দেখে আড়াআড়ি খাটো করে দিছি, আসলটা দেখতে হলে ফ্লিকারে খোঁচা দিতে হবে]
আঁকিবুকি নিজে করার ইচ্ছা থাকলে বোলতা হ্যায়, ফটোশপ ফাইলগুলা পাঠায়া দেই। আরামসে খেলেন নিজের অ্যাম্বি নিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেলাম ...
[img=auto][/img]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধুগোদা, আপ্নের জন্যে একটা শালী যোগাড় করা নয়া বছরের অত্যাবশকীয় কাজগুলার মাঝে রাখলাম... থ্যাঙ্কু বস।
[আপাতত বস একটু দৌড়ের উপর আসি। সময় কর্তে পারলেই আপনারে জানাবো ফাইল্গুলা পাঠানোর জন্যে... ]
বুনোপা, আপ্নের তো আর শালীর দর্কার নাই, তাই খোমাখাতায় যা বললাম তা আরেকবার বলে যাই। কোন এক ব্যাডভেঞ্চার গল্পে আপনাকে নায়িকা কর্বো ইনশাল্লাহ... থ্যাঙ্কু আগেইন।
_________________________________________
সেরিওজা
এই সব কেমনে বাঁনায়:(
এটা দেখুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরে আমি কি ভাইসা আইছি নাকি!! আমারও একটা অ্যাম্বিগ্রাম চাই-ই চাই, না দিলে হুম... (এইটা একটা হুমকি ).
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
একটু দেরি হয়ে গেলো। তাই ভয়ে ভয়ে দিচ্ছি
[img=auto][/img]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নিজের একটা অ্যাম্বিগ্রাম দেখতে মঞ্চায়...। দিবেন্নি কইরা..
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এই নিন।
[img=auto][/img]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দারুণ কাজ...। লক্ষ কোটি ধন্যবাদ।।
আর তোমাকে হুদাই আপনি আপনি করতেছি; তুমি তো দেখি বিবর্তন'০৩।। এই বান্দাও তাই
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অসাধারণ হয়েছে!!!
নতুন মন্তব্য করুন