সময়: মধ্যদুপুর
স্থান: গুলশানের এক অভিজাত জাপানি রেস্তোরাঁ
লক্ষ্য: সুশি আস্বাদন
কেন্দ্রীয় চরিত্র: ভেতো-১ আর ভেতো-২, দুই তরুণ হাভাতে বাঙালি যারা তাদের ভেতো জিভে অচেনা বিজাতীয় স্বাদ ছোঁয়াবার বাঁধভাঙ্গা বিলাসী ইচ্ছের তাড়নায় ঢাকা ঢুঁরে খুঁজে বের করেছে এই রেস্তোরাঁটি।
পার্শ্বচরিত্র: জুডো, রেস্তোরাঁর খাদ্যপরিবেশনকারী যুবক।
দৃশ্য-১
ভেতো-১ আর ভেতো-২ জাপানি কেতায় সাজানো রেস্তোরাঁর জানালা ঘেঁষে বসে। জুডো আন্তরিক একটা হাসি মুখে ঝুলিয়ে এগিয়ে এলো। দুটি সচিত্র মেন্যুবই হাতে। বইদুটো টেবিলে রেখে সে সাময়িকভাবে চলে যায় পর্দার আড়ালে। ভেতোদের সুযোগ করে দিলো আর কি। অশ্রুতপূর্ব সব নাম এবং অদৃষ্টপূর্ব সব ডিশের ছবির দেখে প্রাথমিকভাবে দিশেহারা হওয়ার জন্য।
দৃশ্য-২
দিশেহারা পর্বশেষে জুডো এগিয়ে এলো সহাস্যবদনে।
“আপনারা কি কুকড ডিশ নেবেন নাকি র?”
“আমরা সুশি খাব।”, ভেতো-১ এর আত্মবিশ্বাসী উত্তর।
“সুশি তো র। আমি সাজেস্ট করব সুশির সাথে অন্য কোনো কুকড ডিশ নিতে।”
দুই ভেতো মুখ চাওয়াচাওয়ি করে।
নিজেদের পকেটের ওজন নিয়ে চোখে চোখে শলাপরামর্শ সেরে নেয় চটজলদি।
সুশি খেতে এসে অন্যকিছুর পেছনে খরচ করা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে? এমনিতে জুডোকে বেশ আন্তরিক মনে হচ্ছে। বিপণন কৌশল হিসেবে একটার সাথে আরেকটা গছিয়ে দিতে চাচ্ছে বলে মনে হয় না।
“আমাদের কোনটা নেওয়া উচিত?” ভেতো-২ এর অকপট প্রশ্ন সাহায্যের জন্য আকুল আবেদনের মতো শোনায়।
“সুশি-স্মল আর টেম্পুরা বেন্টো বক্স নিন। টেম্পুরাতে কিছু কুকড আর ফ্রাইড আইটেম পাবেন।” জুডোর কণ্ঠ এবার আরো দয়ার্দ্র্য ঠেকে।
“খাওয়া যাবে তো?” লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে জানতে চায় ভেতো-১।
“কী যে বলেন! সবাই খাচ্ছে না?” জুডো সাহস জোগায়।
“ঠিকাছে। দিন তাহলে।”
দৃশ্য-৩
“কিন্তু আমি যে চপস্টিক দিয়ে খেতে পারি না!” ভেতো-২ এর উদ্বিগ্ন অনুযোগ।
“কাঁটা-চামচও দেব। ওটা দিয়ে খাবেন।” আশ্বাস দেয় জুডো।
এরপর একে একে দৃশ্যপটে আগমন ঘটে সবুজ-লাল বাঁধাকপির সালাদ আর সেদ্ধ চীনাবাদামের সালাদের। স্টার্টার হিসেবে। সবই পরিচিত জিনিস। কিন্তু ভেতোরা জাপনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করতে গিয়ে ঠাহর করতে পারে না। জুডোকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে নেয়।
“কীভাবে খাব?”
“যেমনে আসে, তেম্নেই খাইতে থাকেন। আমি অন্যগুলা আনতেসি।”
এতক্ষণে জুডো তাঁর কেতাদুরস্ত ভদ্রতার খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসে।
জুডো আবারো পর্দার অন্তরালে চলে যায়। ভেতোরা সালাদ মুখে দিয়ে আশ্বস্ত হয়। নাহ! খাওয়া যাচ্ছে!
দৃশ্য-৪
এবার মেইনকোর্স।
সাথে সস আর সর্ষেবাটা (থুক্কু, ওয়াসাবি) দেয়া। ও দুটো একসাথে মিশিয়ে তাতে একটা করে নিগিরিজুশি ডুবিয়ে একবারে মুখে পাচার করতে হবে।
প্রথমে স্ন্যাপার নিগিরিজুশি। জিভ থেকে গলায় নামতেই একইসাথে স্বস্তি আর হতাশার চিহ্ন ফুটে ওঠে ভেতোদের মুখে। স্বস্তির কারণ “ইহা অখাদ্য নহে” আর হতাশার কারণ “ইহা সুখাদ্য নহে”। ভাতের স্বাদটুকু চিরচেনা।
জারণপ্রক্রিয়ার ফলে মাছের আমিষ অ্যামাইনো এসিড হয়ে তা থেকে “উমামি” নামের বিশেষ স্বাদটি বের হওয়ার কথা। কিন্তু ভেতোদের কাছে মাছের টুকরোটি স্বাদ-গন্ধহীন মনে হয়। অনেকটা মাশরুমের মতো।
একে একে বাকি নিগিরিজুশিগুলোও খাদ্যনালীতে পাচার হলো। স্বাদে বিশেষ কোন ব্যত্যয় নেই। “কাঁচা মাছ খাচ্ছি”- এই অনুভূতিটা থেকে থেকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়, এই যা। সেই অনুভূতিটুকু বিবমিষা স্তরে পৌঁছুনোর আগেই ভেতোদ্বয় দ্বারস্থ হয় টেম্পুরা বেন্টো বক্সের। বাক্সের খোপে খোপে সাজানো ভাত, রান্না মাছ আর ভাজা চিংড়িকে ভীষণ আপন মনে হয়। আলুনি টোফু স্যুপও বেশ উপাদেয় ঠেকে।
জিভে কিছু চেনাজানা স্বাদ পেয়ে যখন হতাশাটুকু একটু থিতিয়ে এসেছে তখন ভেতো-১ হাত বাড়ায় বাক্সের শেষ খোপে। সেখানে সাজানো রয়েছে মাকিজুশি নামের সুশি। সুশি বলতে এতদিন এটাকেই জেনে এসেছে ভেতো-১। তাই এটাকেও বেশ পরিচিত মনে হয় তার।
চ্যাপ্টা ভাতের দলার মধ্যে জারিত সবজি ও মাছ। চারপাশে একটা কালো আস্তরণ।
“চারপাশে এই পাতলা কালো জিনিসটা কী? মাছের চামড়া?” নাক কুঁচকে জিজ্ঞেস করে ভেতো-২।
“ধুরো, বোকা। এটা এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল, নাম নোরি।” গিয়ানি ভঙ্গিতে বলে এক টুকরো মাকিজুশি মুখে পোরে ভেতো-১।
মুহূর্তেই বদলে যায় তার অভিব্যক্তি। মাকিজুশির গায়ে মোড়ানো নোরির আঁশটে মেছো গন্ধে নাড়িভুঁড়ি উলটে আসতে চায়। দুমুঠো সাদা ভাত, আলু ভর্তা আর ডালের জন্য মন কাঁদতে থাকে হাত-পা ছুঁড়ে।
টিভির কিছু রিয়্যালিটি শোতে পোকামাকড় খেতে দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। তারা যেভাবে জান বাজি রেখে সেগুলো গলাধঃকরণ করে, ঠিক সেভাবে মুখগহ্বরে বন্দি মাকিজুশি মণ্ডকে পেটে পাচার করে দেয় সে। তারপর ঢকঢক করে পানি খায়। পানিও হঠাৎ করে ভীষণ স্বাদু মনে হয়।
ভেতো-১ এর অবস্থা দেখে ভেতো-২ আর মাকিজুশির দিকে হাত বাড়ানোর সাহস পায় না।
দৃশ্য-৫
এতক্ষণে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন জুডো মহাশয়।
“আপনারা খেতে পেরেছেন তো ঠিকমতো?” বিনয়ভরে জানতে চায় সে।
“জ্বি জ্বি।” দেঁতো হাসি দিয়ে সমস্বরে জানায় দুই ভেতো।
“বিল দেবো?”
“জ্বি জ্বি।”
জুডো চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে।
হাতে বিল নয়। পিরিচ ভর্তি মাল্টার ফালি। “এটা আমাদের পক্ষ থেকে কম্পলিমেন্টারি।” |
ভেতোদের চোখ ছলছলিয়ে ওঠে। আবেগে কণ্ঠ বুঁজে আসে। তাই ধন্যবাদ দেওয়া হয় না আর। শুধু মন ভরে দোয়া করে জুডোর জন্য। বেহেশতে যেন সে একটা মাল্টাবাগানের মালিক হয়।
দৃশ্য-৬
দুই ভেতো মাল্টা চুষতে থাকে। টক-মিষ্টি স্বাদে বিবমিষাভাব তলিয়ে আসতে থাকে ক্রমশ।
ইতোমধ্যে বিল দিয়ে চলে যায় জুডো।
বিলের অঙ্ক দেখে হৃৎপিণ্ড লাফিয়ে গলা দিয়ে বেরিয়ে আসতে চায়। মুখে মাল্টা থাকায় হৃৎপিন্ড বেরুবার পথ খুঁজে না পেয়ে স্বস্থানে ফিরে গিয়ে অস্থিরভাবে ধুকপুক করতে থাকে।
রেস্তোরাঁর অন্য প্রান্তে উপবিষ্ট অতিথিদের জন্য মাল্টা নিয়ে যেতে দেখা যায় জুডোকে।
ফিক করে হেসে দেয় ভেতো-১। আরেকদল সুশিখোরকে মেরে কেটে শেষে মলম লাগাতে যাচ্ছে জুডো।
দৃশ্য-৭
বিল পরিশোধ করে, জুডোকে বিদায় জানিয়ে বের হয়ে আসে দুই ভেতো।
ভেতো-২: এখন কই যাবি?
ভেতো-১: বাসায়।
ভেতো-২: বাসায় গিয়ে কী করবি?
ভেতো-১: ভাত খাব।
পরিশিষ্টঃ ছবিগুলো আন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত। সুশিজয়ের উত্তেজনায় ভেতোরা ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলো।
ইউটিউবে খুঁজে পেলাম সুশি খাওয়ার কেতাবর্ণিত এই মজার ভিডিওটি।
মন্তব্য
ভাল্লাগসে। এখানে এসে প্রথমে সুশি কেন সয়াদুধ খেতেও বিশ্রি লাগত। এখন সবই চলে।
আমার এক স্প্যানিশ বন্ধু বহুবার জাপানে গেসে ও এক জাপানবালাও জুটায়ে ফেলসে। সে শিখিয়েছিল, চপস্টিক যে লম্বা কাগজের খাপে দেয় সেটাকেই ভাঁজ করে সুন্দর চপস্টিক রাখার জিনিস বানিয়ে ফেলা যায়। আপনার বলা কাঠের টুকরোটা নতুন জানলাম।
কৌস্তুভ
সবই আসলে অভ্যেসের ব্যাপার, তাই না?
ঝোল-মসলায় অভ্যস্ত বাঙ্গালী জিভের সাথে সুশির প্রাথমিক পরিচয় একটু "ইয়ে" হওয়াই স্বাভাবিক।
ভাল্লাগসে জেনে ভাল্লাগ্লো। ভালো থাকুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
) ) ) ) ) ) )
লেখা দারুণ হয়েছে।
জনসচেতনতা বাড়াতে আপনার এ অসামান্য অবদান জাতি চিরকাল মনে রাখবে!
---- মনজুর এলাহী ----
হ। জনসচেতনতাই বটে!
আমি সুশির ব্যাপারে ভীষণ উৎসাহী হয়েছিলাম এক বন্ধুর কথায়। সুশি নাকি খেতে বেশ। তাকে একবার পেলে হয়!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হা হা হা হা ! 'সুশিত' দুপুর।
গুলশান দুইএ অল কম্যুনিটি ক্লাবের সাথে সামাদাদো নামের একটা জাপানী রেঁস্তোরা আছে। আমার এক বন্ধুকে খাওয়াতে বললেই খালি ফুসলিয়ে সেইখানে নিতে চায়, কিন্তু কেন জানি ঠিক সাহস করে উঠতে পারি না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ভাই রে, আমরা তো ঐ চুলোতেই মরতে গিয়েছিলাম।
জায়গাটা ভালো। লোকজনও বেশ আন্তরিক। সাহস করে একবার ঢুঁ মেরে আসুন। জীবনে এমন দুয়েকটা অভিজ্ঞতা হলে মন্দ কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপু, সুশী খারাপ লাগেনা, তবে নিগিরিজুশি বা টেমাকোজুশি না আমি মাকিজুশিটাই ভালু পাই। ভিনেগার দেয় বলে মাছের গন্ধটা পাওয়া যায়না, ভাগ্যিস! তবে বনানীর এক রেস্তোরায় স্কুইড খেতে গিয়ে বমি প্রায় হয়েই যাচ্ছিলো!
লেখা পড়ে মজা পাইসি। গতকাল্কেই সুশী নিয়ে ঘন্টাখানেক গেজাইসি খোমাখাতার পাতায়! তোমার পোস্ট দেখে তাই অবাক হলাম আর পড়ে মজাও পেলাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গন্ধটা মাছের না। নোরির। নোরি তো সামুদ্রিক শৈবাল, ওটা থেকে একটা শেওলা শেওলা গন্ধ আসে। তা যে যাই বলুক, আমি বাবা আর সুশিমুখো হচ্ছি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বালিকে, তোমার লাগি
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুন্দর পোস্ট। অনবদ্য উপস্থাপনা। বেশ মজা পাইলাম।
তবে কি জানেন, আম-জাপানীও কিন্তু দাওয়াত-পরব ছাড়া কাঁচা মাছ খেতে পায় না। টোকিও-নাগোয়ায় অফিস-আদালতের লোকজন দুপুরে ধোয়া ওঠা গলা ভাতের সাথে গরুর কিমার ঝোলই বেশী খায়। এদিকের ম্যকডোনাল্ড এর মত জাপানের অলিতেগলিতে কারি হাউস বা ইয়াকিতরির টোং যতটা সহজলভ্য, ভাল সুশির দোকান ততগুলো পাবেন না।
---
জাপানী খাবার ভাল লাগে, তাই কিছু বাম হাত দিলাম;
সুশি তো আনকুকড
তাই নাকি, যেসব মাছের কথা বললেন, সেগুলো তো ঢাকায় তাজা/জ্যান্ত পাওয়া যাবার কথা নয়। হিমায়িত মাছে ডিফ্রস্ট করে কাঁচা খেলে পেট নেমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সুশির ভাতও তো 'কুকড'। তাহলে আনকুকড আর থাকলো কি?
সাথে সস আর সর্ষেবাটা (থুক্কু, মাস্টার্ড) দেয়া। ও দুটো একসাথে মিশিয়ে তাতে একটা করে নিগিরিজুশি ডুবিয়ে একবারে মুখে পাচার করতে হবে।
ওয়াসাবি দেয় নাই, কেমুন জাপানি রেস্টুরেন্ট? নাকি সর্ষেবাটাই ওয়াসাবি? আর ইমানদার সুশিওয়ালার সামনে বসে যদি আপনি তার সুশিকে সসে ডোবান, তাহলে সে আপনার ওপর তার হাজার ডলারের চাপাতি নিয়ে চড়াও হতে দ্বিধা করবে না।
জারণপ্রক্রিয়ার ফলে মাছের আমিষ অ্যামাইনো এসিড হয়ে তা থেকে “উমামি” নামের বিশেষ স্বাদটি বের হওয়ার কথা।
জারানোর আগেই মাছে উমামির থাকে, তাকে আলাদা করে বের করতে হবে কেন? আমিষ মাত্রেই উমামির স্বাদ আছে। সহয উপায়ে উমামি'র স্বাদ জানতে হলে এক চিমটি টেস্টিং সল্ট চেখে দেখুন। ইলিশ মাছ খাবার পরে হাত ধুলেও যে গন্ধটি যেতে চায় না, সেটাই উমামি গন্ধ (মানে অতটা সুখকর নয়)।
“ধূরো, বোকা। এটা এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল, নাম ওরি।”
মাকি বা তেমাকির বাইরে যে কালচে সবুজ (অথবা খয়েরী) জিনিসটি থাকে সেটা তো জানতাম 'নোরি'।
---
হুম, নোরি। লেখার সময় মাথা থেকে "ন" বেমালুম ফসকে গেছে।
উমামির ব্যাপারটা উইকিতে দেখলাম।
ওখানে বলা হয়েছে যে চাল জারণের ফলে যে ভিনেগার তৈরি হয় সেটা "উমামি" স্বাদ বের করে আনতে সাহায্য করে। আর ইলিশের উমামি গন্ধ কিন্তু আমার বেশ পছন্দের।
সর্ষেবাটাই সম্ভবত ওয়াসাবি। আর সসটা ছিলো সয়াসস। ভিডিওতেও তো দেখলাম সয়াসয়ে ডুবিয়ে সুশি খাওয়ার কথা।
ভাতটা রান্না করা। তার উপরে মাছের টুকরোগুলো কাঁচা। ওয়েটার ছেলেটিও বলল। আর খাবার সময়ও রান্না্র কোন লক্ষণ পেলাম না মাছের মধ্যে।
পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
উমামির ব্যাপারটা উইকিতে দেখলাম। ওখানে বলা হয়েছে যে চাল জারণের ফলে যে ভিনেগার তৈরি হয় সেটা "উমামি" স্বাদ বের করে আনতে সাহায্য করে।
আপনার লিঙ্ক বেয়ে আমিও উইকিতে উঁকি দিলাম। ওখানে বোধহয় সুশির উদ্ভব প্রসঙ্গে জারন নিয়ে কথা হচ্ছিল। পুরোনো ধাঁচের ফুনাযুশি বা নারেযুশি, (আমাদের শিদল/চাপা শুটকি বা নোনা ইলিশ এর মত) একটি খাবার এভাবেই তৈরী হয়, কিন্তু আমার কথা যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে বলি, সেটাতে যতই উমামি স্বাদ থাকুক, পঁচা মাছের গন্ধের চোটে তার আধমাইলের মধ্যে আপনি যেতে চাইবেন না।
আধুনিক সুশি মানে ওশিযুশি বা নিগিরিযুশিতে জারানোর বাধ্যবাধকতা নেই। তবে স্বাস্থ্যসচেতনতা বা পরচ্ছন্নতা বিবেচনায় মাছকে মিরিন বা আওয়াযেশু মেশানো হালকা গরম পানিতে এ ধুয়ে নেয়া যায়।
খুবই মজাদার লেখা।
ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি জাপানি খাবারের ধারেকাছে নাই বাবা...লেখা জটিলস্য জটিল হৈসে
জাপানি সব খাবারই যে অভক্ষ্য তা তো নয়। বেন্টো বক্সে বেশ কিছু রান্না করা আর ভাজা খাবার ছিলো। ওগুলো খেতে বেশ ভালো। ভাতটা আঠালো হলেও ভালো লেগেছে। হতাশ হয়েছি সুশি খেয়ে। এত নাম ডাক শুনেছি এর। স্বাদে-গন্ধে কোন অর্থেই তেমন আহামরি কিছু মনে হলোনা। কে জানে? হয়তো ভেতো বাঙ্গালি বলেই। জাপানিরা তো কত ভালবেসে সুশি খায়। সবই আসলে অভ্যেসের ব্যাপার। মাছের মাথা খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙ্গালি পাওয়া মুশকিল। অথচ আমি আজ পর্যন্ত ওটা ভালো লাগাতে পারিনি। ছোটবেলা থেকে অভ্যেস হয়নি বলেই। আবার অনেককেই দেখি গন্ধের কারণে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন না। আমার কিন্তু নোনা মাছের ঐ বিটকেলে গন্ধটাই ভালো লাগে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনাকে পেয়েছি আজকে!
ঢাকায় যে মাছগুলো জ্যান্ত পাওয়া যাবে, সেগুলো দিয়ে সুশি খেয়ে ভাল লাগবে না। আর যেগুলো দিয়ে সুশি মজার হয়, সেগুলো কে তাজাও পাওয়া যাবে না। বাকী থাকলো চিঙড়ী।
দেশী কুঁচো চিংড়ী বা সবুজ-কালচে বাগদা চিংড়ী দিয়ে অসাধারন তাজা মাছের সুশি সম্ভব। তবে শর্ত একটাই চিংড়ীগুলোকে জীবিত কিনুন। ছাল মাথা ছাড়িয়ে বহতা পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ভিনেগার-পানি-চিনি (৪৫-৪৫-১০%) মিশ্রনে আধাঘন্টা বা গোলাপি না হওয়া পর্যন্ত চুবিয়ে রাখুন। তারপর লেবু-লবন মাখানো ক্ষিরার সালাদ বা (যদি পান) সুশির ভাতের ওপর রেখে খেয়ে দেখুন।
সুশি সম্পর্কে মত পাল্টাবে। একটু ওয়াসাবি ও সয়াসস হলে আরো জমবে।
দেখি। টেরাই করে জানাব আপনাকে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- কাঁচা মাছ পছন্দ করে পেত্নীরা। আমরা কি জাপানীগো মতো নাক বোঁচা পেত্নী নাকি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- শখ করে মাঝে মধ্যে খাই সুশি। কাঁচা মাছেরগুলো খাই না। হয় ভেজেটারিয়ান নাইলে ভাজা চিঙড়ি চুংড়ি দিয়া বানায়া দেয়। একবার পরিচিত এখ পোলা শয়তানি কইরা একটা রোল বানায়া দিছিলো। ভিতরে পুরা একটা পরত ওয়াসাবি (আপনার কথায় সর্ষেবাটা আরকি) দিয়া রাখছিলো। সেইটাতে কামড় দিয়া আমি আমার বাপের নাম শুদ্ধা ভুইলা গেছিলাম কয়েক মুহূর্তের জন্য। তারপর জ্ঞান ফিরা আসছে পরে ঐ পুলার বাপের নাম ভুলাইছি গাইলাইয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি গালি দেই নাই। আমার তখন "ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি" অবস্থা। মানুষ চোখে সর্ষে ফুল দেখে। আমি দেখছিলাম ডাল, ভাত, আলু ভর্তা। ঠিক ঐ মুহূর্তে মনে হচ্ছিলো, কখনো দেশ ছেড়ে বাইরে থাকতে হলে কী অবস্থা হবে। ফেইসবুকে আমার খাদ্যবিষয়ক স্ট্যাটাসগুলো দেখে প্রবাসীরা যে কেন আমাকে দিক্কার দেন তখন বুঝেছি। বিদেশে গেলে আমি ঝালমুড়ি, ডালপুরি, মালঞ্চের চা, স্টারের ডাল-খাসি পাব কই?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- পাইবেন না। দেশের বাইরে গেলে জীবনেও এইসব বেহেশতি খাবার পাইবেন না। বিদেশের সব খাওন হৈলো গুমুত। ঐগুলা খাইয়াই জীবন কাটাইতে হবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার এই মূহুর্তে আপনাকে আবার ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে। আছি এক অজপাড়াগাঁয়ে। কতদিন যে এসব খাই না। ঃ(
___________________
মুক্তি আজিকে নাই কোনধারে
আকাশ সেও যে বাঁধে কারাগারে
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ঠিকাছে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হে হে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখাটা ভাল লাগল।
মাত্র কিছুদিন আগের স্মৃতিতো, এখনও আম্লান…।
অফিসিয়্যাল ডিনার, লো-হেই দিয়ে শুরু, তারপর আট কোর্সের সি-ফুড ডিনার। চার কোর্সের পর মনে হল কয় যুগ চলে গেছে, কখন হবে এ যন্ত্রণার অবসান… আর তো পারিনা। নিজে ভোজন রসিক, ভোজন যে এত যন্ত্রণার হতে পারে…
লেখা ভাল লাগল জেনে খুশি হলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি শুরু কর্সিলাম রহস্যপোন্যাস ভাইব্যা... শিক্ষামূলক লেখারে কইষ্যা মাইনাস...
সুশি খাই নাই। দেখি খাওয়ানোর কোন স্পন্সর পাই কি না...
_________________________________________
সেরিওজা
হ। ঠিক্কইস, খোকা। অবশ্যই ইহা একটি অতিশয় শিক্ষামূলক পুস্ট। কারণ ইহাতে আমার উচিত শিক্ষা হইসে।
তবে সুশিরহস্যউদ্ঘাটনে ভেতোদের উৎসাহী উদ্যোগের বর্ণনা হিসেবে ইহাকে রহস্যগল্পও বলা যাইতে পারে বলিয়া বোধ করি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি সুশি দিয়া শিক্কা কামু
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আলবৎ ! সুশির সাথে শিক্কা ফ্রি !!!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হাহা! মজা প্লাম!
রাতাতুই খাবার দাওয়াত পেয়েছিলাম একবার দুই ফরাসীর কাছ থেকে। ঠিক এই অনুভূতিটাই হয়েছিল।
ঠিকানাটা বিশদ দিয়েন একসময়। ঢুঁ মারতে হবে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
রাতাতুই তো নিরামিষ। কতটাই বা অখাদ্য হবে? আপনি সুশি খেয়ে বলুন। রেস্তোরাঁর নাম সামদাদো। উপরে ওডিন বললেন "গুলশান দুইএ অল কম্যুনিটি ক্লাবের সাথে"। আমরা ঘুরপথে খুঁজে খুঁজে গিয়েছি। গুলশান-১ থেকে গুলশান-২ এ যাবার পথে, আগোরা, সিটি ব্যাঙ্ক পেরিয়ে বাঁয়ের গলিতে। বড় মসজিদ পেরিয়ে গলির শেষ মাথায় গিয়ে আবার ডানে বেশ খানিকটা যাওয়ার পর "সামদাদো"।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুশি আমি বেশ অনেকবারই খাইছি। অতোটা খারাপ লাগে নাই। আমার বিভিন্ন সংস্কৃতির খাদ্য টেস্ট করার বদভ্যাস আছে। সেটা যতো অখাদ্যই হোক খেয়ে দেখি। ঢাকায় সুশি বেশিরভাগই খাইছি কোরিয়ানায়। সেখানে অবশ্য সুশি খাওনের আগে 'সোজো' খাইছি বেশি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'সোজো' কী জিনিস?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুশি অত্যন্ত বদখত একটা খাবার এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই । এর থিকা ট্যাংরা মাছ ভাজি যে আরো হাজার গুন সুস্বাদু খাবার এইটা কে কারে বুঝাবে ! পার্থক্য একটাই যে ট্যাংরার কপালে এক্সোটিক তকমাটা নাই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ট্যাংরা ভীষণ অপছন্দ করি। অদ্ভুত একটা ব্যাপার হলো আমার অপছন্দের বেশির ভাগ মাছের নাম শুরু হয় "ট" দিয়েঃ ট্যাংরা, টাকি, টাটকানি ... (আর কী কী আছে?)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হাহাহাহাহা..........লেখা অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে। আর কমেন্ট পড়ার আগে বুঝতেই পারিনি যে দেশের অভিজ্ঞতা!
আমি একটা জাপানি খাবারের কথা জানি, যেটা আমাদের স্বাদের সাথে মেলে----চিকেন কারাগে (খারাগি-ও বলেন অনেকে)। স হজে বলতে গেলে, সয়াসসে ভেজানো চিকেনের বোনলেস পিস, কর্নফ্লাওয়ারে গড়িয়ে ডুবোতেলে ভেজে নেওয়া। আগের কলাবাগানে একটা ফাস্ট ফুড শপে এই জিনিস করত, আফসোস, এখন ওটা উঠে গেছে।
লেখা সুস্বাদু হয়েছে জেনে খুশি হলাম।
কেন? এক্কেবারে গোড়াতেই তো ভেন্যু উল্লেখ করা আছে।
কারাগের বর্ণনা আর ছবি যা দেখলাম তাতে মনে হলো সেদিন এ জাতীয় কিছু একটা ছিলো বেন্টো বক্সে। খেতে বেশ ভালো। সেদিন যে কয়েকটি খাবার আমাদের জীবনরক্ষাকারী ওষুধের কাজ করেছিলো তাদের মধ্যে সম্ভবত কারাগেও সামিল ছিলো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গুলশান দুই-এ একটা কোরিয়ান রেস্টুরেন্ট আছে। সু-রা। ঐখানে যাইতে পারেন। সুশির জন্য না, বিফ আর চিকেন বুলগোগির জন্য। এগুলা খেতে ভাল।
কড়ি ফেলে অচেনা বিজাতীয় স্বাদ চেখে দেখার মতো অ্যাডভেঞ্চারাস সঙ্গী পাই কম। যাকে ফুসলে ফাসলে নিয়ে গিয়েছিলাম সে সুশি খেয়ে গভীর মানসিক আঘাত পেয়েছে। সে সুস্থ হয়ে উঠলে সু-রা তেও না হয় ঘুরে আসা যাবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমারে একটা ভালো হইটালে গুস্ত দিয়া তিন পেলেট ভাত খাওয়াইলে আমনের জিবল্যা থিকা ছুঃছিঃ খাউয়ার অরুছি কাইট্যা যাইবোগা বইলা আমার অভ্রান্ত ভারমা।
পুনশ্চ: নেকা যে কুনো প্রকার গুস্ত দিয়া তিন পেলেট ভাত মারার মতোই আরামদায়ক হইছে।
নেকার মধ্য দিয়েই "গুস্ত দিয়া তিন পেলেট ভাত মারার মতো আরাম" পাইলেন জেনে বিয়াফক খুশি হইলাম।
পুনশ্চ: সেদিন আমি আর আমার দোস্ত খাসির গোস্ত আর ডাল দিয়া ভাত খাইয়া রুছি ফিরাইসিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুশি একটি সুশীল খাবার
সুশীল=সুশি+ই্ল (ill)
অর্থাৎ, সুশি একটি ছিক খাবার।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখাটা খুবই মজাদার হইসে।
গত বছর জুলাইয়ে জাপানি খাবার খাইসিলাম। সাংহাইতে। দুই চাইনিজ কলিগের সাথে। আমার কাছে কিন্তু খারাপ লাগে নাই। যা যা বললেন, মোটামুটি এইগুলা তো খাইসিলামই, এর বাইরেও বেশ কিছু আইটেম ছিল। অতো মনেও নাই। এক বিশেষ রকম চা ছিল, সেইটা মনে হয় ফ্রি ছিল। খালি দেখি দিতেই আছে তো দিতেই আছে। তবে আমার অবস্থাও ধুগো'দার মতো হইসিল। না বুইঝা বেশিক্ষণ ডুবায়া রাইখা যেই না মুখে ভইরা কামড় দিসি, সাথে সাথে মনে হইল মাথার মধ্যে দশ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিক শক খাইসি। নাকের ভেতর থেকে জ্বলতে জ্বলতে একেবারে সরাসরি মনে হয় মগজে গিয়া ঢুকলো! কয়েক সেকেন্ডের জন্য আমার অবস্থা একেবারে কেরোসিন! তবে এ ছাড়া অভিজ্ঞতা বেশ ভালোই। সুশি এর আগে খাইসিলাম গুলশানের চাইনিজ রেস্তোরাঁ 'ব্যাম্বু শুট'-এ।
হ।
আপনি তো ভীষণ মনোযোগী পাঠক! ধন্যবাদ।
কিন্তু, এডিট করতে পারছি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একটা কথা হঠাৎ মনে পড়লো, আপনার না বাইরে খাওয়া মানা! তাও খাইসেন যে! এর শাস্তি হিসাবে আমাদের একদিন কোরিয়ান খাবার খাওয়ান
আমার ডায়েটিশিয়ান তৈলাক্ত খাবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তাই কাঁচা মাছ খাওয়ায় খাদ্যসংবিধান লঙ্ঘন হয়নি বোধহয়।
তবে কোরিয়ান খাবার খাওয়াতে আপত্তি নেই। কেউ স্পন্সর করলে খাওয়াতে পারি-নিজ হাতে মুখে তুলে দিয়ে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তাইলে একটা স্পন্সর যোগাড় করেন। আমার হাত আছে, নিজেই খাইতে পারবো
সুশিল বর্ণনা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হুম! সামদাদোতে আসল জিনিসটাই খান নাই দেখতাসি!
****************************************
নতুন মন্তব্য করুন