প্রথম আলোর শেষ পাতার নিম্নার্ধ জুড়ে বিশাল বিজ্ঞাপণ।
চারটে খাট, তিনটে আলমারি, একটা ওয়ার্ড্রোব, একটি জুতোর বাক্স, একটি ডেস্ক আর দু’টো ড্রেসিং টেবিল।
বোঝাই যাচ্ছে কোন আসবাব কারখানার বিজ্ঞাপণ।
যে জিনিসটা বোঝা যাচ্ছে না সেটা হলো প্রতিটি আসবাবের সাথে বন্দুক, বেতার এবং পত্রিকার উপস্থিতির কারণ।
এরা কি কাঠের আসবাবের পাশাপাশি কাঠের বন্দুকও তৈরি করছে?
তাহলে পত্রিকা আর বেতার কেন?
আরেকটু নিচে যাওয়া যাক। সেখানে লেখাঃ
“এ মাটির সন্তান হিসেবে গর্ব করার মত হাজারটা কারণ আছে আপনার। তার মাঝ থেকে একটি কারণ, দেশকে নিয়ে আপনার একটি স্বপ্ন আমাদের একটু বলবেন?
বিনিময়ে কি দেব? আপনার জন্য থাকছে সারামাস জুড়ে ৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত ছাড় সকল অটবি-র পণ্যে, সারাদেশে সকল শো-রুমে।
ও, আর সাথে পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক অসাধারন স্যুভেনির যা কাজের প্রতিটি মুহূর্তে আপনার সঙ্গী হয়ে থাকবে।
*শর্ত প্রযোজ্য। ষ্টেশনারী, হার্ডওয়্যার, ইন্টেরিয়র, ম্যাট্রেস, ডোর ও প্লাশটিক পণ্য এ অফারের আওতামুক্ত। অন্য কোন অফার কোথাও চললে “সাবাস বাংলাদেশ অফার” কার্যকর হবেনা।”
বুঝলাম এটা অটবির বিজ্ঞাপণ। যদিও বন্দুক-বেতার-পত্রিকার ব্যাপারটা এখনো বুঝিনি।
“বিনিময়ে কি দেব?” দেখে ভেবেছিলাম বুঝিবা আসবাবের সাথে বন্দুক/বেতার/পত্রিকা উপহার দেয়া হবে।
দেখা যাচ্ছে তেমনটি নয়। এরা বলছে “সাবাস বাংলাদেশ অফার” নামে একটা প্রস্তাবের কথা। বিজ্ঞাপণের ডান অংশে বড় বড় হরফে লেখা মার্চ জুড়ে অটবির সাবাস বাংলাদেশ অফার। একদল নিচে ডান কোণে “দেশকে যারা এত ভালোবাসে তারা কি আর পিছিয়ে থাকতে পারে?”
বিজ্ঞাপণের মাথায়, কাঁধে, কোমরে কতগুলো হাতে লেখা চিরকুট সেঁটে দেয়া যেখানে লেখাঃ
”আমাদের দেশের মানুষের মত সহজ, সরল মন আমি পৃথিবীর কোথাও দেখিনি।”
”যে দেশ ভাষার জন্য যুদ্ধ করতে পারে তাকে নিয়ে গর্ব করাটা খুবই স্বাভাবিক।"
“আমাদের এই সবুজ বাংলাদেশ দেখতে অনেক সুন্দর। আমি আমাদের এই দেশকে অনেক ভালোবাসি।”
”আমার দেশের সহজ সরল মানুষ যাদের নিয়ে এদেশ তারাই আমার অনেক গর্বের কারন।”
”মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে, মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে গর্ব ও আনন্দ অনুভব করছি। আপনাদের প্রচেষ্টাকে অভনন্দন জানাই।”
এতক্ষণে একটু একটু ধরতে পারছি বোধহয়।
বন্দুক-বেতার-পত্রিকা আসলে প্রতীকি। ওগুলো মুক্তিযুদ্ধের সাথে অটবির একাত্মতার চিহ্ন।
দেশপ্রেমিকদের জন্য অটবি মার্চ মাসে ছাড় দিচ্ছে। এক টুকরো কাগজে যা খুশি তাই লিখে দেশপ্রেমিকদের কাতারে দাঁড়াতে পারে যে কেউ। লেখার মধ্যে “দেশ” থাকলেই হলো।
চিরকুটগুলো বিজ্ঞাপণে সংযোজিত হয়েছে রেফারেন্স হিসেবে। “এভাবে লিখুন, তাহলে ব্যাপারটা জমবে ভালো।” অর্থে।
ক্যাম্নেকী?
প্রতি বছর বর্ষায় অটবি ছাড় দেয় বলে জানতাম। জলকাদা মাড়িয়ে আসবাব কেনার হ্যাপা পোহাতে চান না বেশির ভাগ ক্রেতাই। তাই তাদের একটু উৎসাহ দিতে ১০% ছাড়।
মুক্তিযুদ্ধ বেশ বিক্রয়যোগ্য পণ্য হয়ে উঠেছে দিনে দিনে। এ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম আলোই তো গ্রামীন ফোনের সাথে মিলে ৩০ মিনিট কিনে নিল। এবার অটবির পালা। প্রথম আলোর লেজ ধরে এবার তারা বন্দুক দেখিয়ে আসবাব বেচবে। আসলেই দেশকে এরা বড্ড ভালবাসে। এই ভালবাসার মর্যাদা দিতে আসুন আমরা মার্চ মাসে অটবির আসবাব কিনি।
মন্তব্য
অটবির আসবাব না কিনলে কি পিছিয়ে থাকা হবে ? বড়ো বিপদে ফেললেন তো !
আগাই কেমনে, টাকা কই পাই !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
গুরু, চিন্তা কইরেন না, কয়দিন পর গ্রামীন, অটবি কইব, আত্মা বেইচা দাও, ফ্রি ফুন দিমু, ফ্রি খাট দিমু লগে মাথায় একটা ডাণ্ডার বাড়ি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- অটবি'র শ্লোগানটা কী যেনো? "পুরোটাই দেশি/সূতি/খাঁটি"!
আপনার উল্লেখ করা চিরকুটগুলো পড়লাম। গত ঈদের সময় সৌরভ একটা স্ট্যাটাস দিছিলো খোমাখাতায়। আমার কেনো জানি এখন প্রায়ই সেই স্ট্যাটাসটার কথা মনে পড়ে যায় ধুমধাম।
স্ট্যাটাসটা ছিলো অনেকটা এরকম, "মোটরবাইকের পিছনে একটা গরু বাইন্ধা নিয়া যাইতাছে কেউ, এমন একটা ফটুক প্রকাশ করছে জনৈক বলদ। এক বলদ কমেন্ট করছে 'অমানবিক'। আরেক বলদ আইসা সেইটারে 'লাইক' মারছে, কই যাইতাম!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হে হে হে, যতদূর মনে পড়ে, সেই ছবি নিয়ে সচলে একটা পোস্টও এসেছিল
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অটবি এখন বছরের সারা মাসেই ছাড় দেয়। গরমের দিনে গরম বেশি হওয়ার কারণে এক ছাড়, বর্ষার দিনে বৃষ্টিবাদলাকে সম্মান জানিয়ে আরেক ছাড়, শীতের দিনে বউয়ের সাথে জড়াজড়ি করে ঘুমানোর জন্য খাটের দামে ছাড়- অর্থাৎ ওরা চলছে ছাড়ের উপ্রেই। শুধু দুষ্ক হয়, মুক্তিযুদ্ধ আর একুশকেও ওরা ব্যবসার উপলক্ষ বানিয়ে ফেললো!
আচ্ছা, নিতুন কুণ্ডু বেঁচে থাকতে অন্যসব কর্পোরেট বা বিদেশি হাউজগুলোর মতো অটবি এই বেলেল্লাপনাটা করতো?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ইতিহাস নিয়ে বিক্রিবাট্টা আগেও ছিলো। কিন্তু রয়েসয়ে। ইদানীং ব্যাপারগুলো আসলেই বেলেল্লাপনা পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। গেলো বৈশাখে পিজা হাট একটা বিজ্ঞাপণ দিয়েছিলো, কলাপাতার উপর একটা লাল টমেটোসমৃদ্ধ পিজ্জা। লাল-সবুজ থিমটা বিক্রি করার চেষ্টা আরকি। গত মার্চে প্রথম আলোও করেছিলো নকশার পাতায়। লাল-সবুজে কী কী পদ রান্না করা যায় তা নিয়ে। প্রথম আলো এই ব্যবসাগুলোকে বেশ ঠেলে দিচ্ছে দেখা যায়।
অটবির বছর জুড়ে ছাড়ের কথাটা একদম ঠিক বলেছেন। মার্চেও ওদের ছাড় দেয়ার কোন একটা অজুহাত চাই। ইতিহাস এখন এতটাই বিক্রয়যোগ্য যে মার্চের ডিসকাউন্ট থিম হিসেবে এবার তারা বেছে নিলো মুক্তিযুদ্ধকে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লাল সবুজ থিম দেখানো খারাপ কেন ?
দেখানো নয়, বলেছি লাল-সবুজ থিম বিক্রি করার কথা। এই গতিতে এগুতে থাকলে অচিরেই ফেব্রুয়ারিতে সাদা-কালো আর মার্চ, ডিসেম্বরে লাল-সবুজ কনডম ছাড়া হবে বাজারে। শ্লোগান হবেঃ "ভালোবাসুন দেশের রঙ্গে"।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মনে হয় দেশাল কিংবা নিত্য উপহার, বাংলাদেশের পতাকার লাল সবুজ থিমে ফতুয়া বের করেছিল। সেটা কি তাহলে ঠিক হয় নি ? না কি ফতুয়ার শৈল্পিক মূল্য কন্ডমের থেকে অধিক (ধরে নিচ্ছি, তবে তর্ক স্বাপেক্ষ) বলে সেটাকে ছাড় দেয়া যেতে পারে
শুধু দেশাল, নিত্য উপহার বলছেন কেন? বাংলাদেশের তাবৎ ফ্যাশন হাউসগুলো তাই করে। বৈশাখে লাল-সাদা, বর্ষায় নীল, ফাল্গুনে হলুদ রঙ বেচার মতো করেই এরা দেশপ্রেমের মৌসুমে লাল-সবুজ বেচে। কেক্র্যাফট গেল ডিসেম্বএরে বিশাল পোস্টার করল। লাল-সবুজ ফতুয়া পরে স্মৃতিসৌধের সামনে লাস্যময় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে মডেল কন্যারা। মনে হচ্ছে লাল-সবুজ গায়ে লেপ্টে শরীরী সৌন্দর্যে ধন্য করে দিচ্ছে তারা দেশকে।
ধরে নিচ্ছি কিছু কিছু বুটিকব্যবসায়ী দেশপ্রেমিক এবং দেশকে ভালবেসেই তাঁরা লাল-সবুজ থিমটি ব্যবহার করছেন। কিন্তু দিনশেষে এটা তাঁদের ব্যবসা। মুক্তিযুদ্ধও যে লাভজনক পণ্য তা কিন্তু এঁরাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কোন দেশাত্মবোধ ছাড়াই নেহাত ব্যবসায়িক স্বার্থেই এই কৌশলটি প্রয়োগ করছে অধিকাংশ ফ্যাশনহাউজ। ফলে দেশাত্মবোধ একটা উপলক্ষ্য হয়েই রয়ে যায় যার কাঁধে চেপে কিছু মানুষ বেশ পয়সাকড়ি কামিয়ে নেয়। এদের পোশাক গায়ে চাপিয়ে কিছু নেকড়েও ভেড়ার পালে ভিড়ে যেতে পারে অনায়াসে।
বুটিক হাউজ গুলো স্বাধীনতার থিমে কাপড় তৈরির রেওয়াজ আমাদের বাঙ্গালিত্বে নতুন মাত্রা যোগ করছে বলে তো মনে হয়না।
কারণ, চেনা বামুনের পৈতা লাগে না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বামুন চিনব কিভাবে ?
কি বলব বুঝছি না!
কতটা নির্লজ্জ হলে নিজের দেশের ইতিহাস সংস্কৃতি গর্বের বিষয় গুলো নিয়ে বাণিজ্য করা যেতে পারে!
গ্রামীণফোনেরটা বোধহয় শুরু ছিল, মার্চের শুরুতেই এমনটা দেখলাম। এর পর আর কি দেখব?!
ডিসেম্বর এর কথা চিন্তা করতেও ভয় পাচ্ছি!
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
স্বাধীনতার মাসে লুঙ্গি খুলে রাখুন ঘটবির আলনায়!
স্বাধীনতার মাসে বান্ধবীকে পাকড়ে চেপে ধরুন ঘটবির সোফার ওপর!
স্বাধীনতার মাসে ঘুষের টাকা রাখুন ঘটবির আলমারিতে!
স্বাধীনতার মাসে ব্লগিং করুন ঘটবির রিভলভিং চেয়ারে হেলান দিয়ে!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- চল দোস্ত ঘটবিতে ফুন্দিয়া জিগাই অরা ঘটবি টাট্টি বানায় কীনা! ধর ঘটবির তৈরী সোফার কিংবা খাষ্টাঙ্গের (এইটার কথা তুই বলোস নাই, তোরে মাইনাস) সদ্ব্যবহার করার পর যদি হাগায় ধরে যায় তখন কী হবে? স্বাধীনতার মাসে হাগতে হবে না, নাকি হাগামুতা বন্ধ এই মাসে?
আর খালি বান্ধবীরে জাপ্টে ধরলেই হবে? এরপরের ঘটনায় যোগান দিতে "বাঁচতে হলে জানতে হবে" জিনিষ ঘটবি বানাবে না স্বাধীনতার মাসে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
=))
হাসতে হাসতে শেষ!!
আমার বাসায় অটবির কিছু নাই...আমি মনে হয় দেশ প্রেমিক না...মানে...দেশ প্রেমিকা না...
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এই অ্যাডগুলা ডিজাইন করল কোন গাণ্ডু? জানতে মঞ্চায়! এমন বিরক্ত হইলাম কথায় কথায় দেশ নিয়ে ছানাছানি দেখে, অটবির ব্যবসা তো এমনিতেই ভালো, হুদাই এইসব ফাইজলামির মানে কি? বন্দুকগুলা এই অটবির এক্সেকিউটিভ কমিটির ...
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইটা অখন বিজ্ঞাপনের নতুন স্ট্রাটেজি
ভাই বহুত মজা পাইলাম কমেন্ট পইড়আ। ওহ, এখনো হাসি থামাইতে পারতেছি না, খিখিখি...
ফারাবী
ঠিক এই কারণেই ব্যবসায়ী শ্রেণীটাই আমার পছন্দ না। সবকিছুর মধ্যে লাভ খুঁজ, সমাজ, সম্পর্ক, নারী, ভালবাসা, আর এখন দেশ। এইসব মানুষদের পাদুকাপেটা করা উচিত, অন্ততপক্ষে।
ফারাবী
অটবি S@ifur's
বুঝলাম না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একটা কবিতা মনে পড়ল..
"শাবাশ বাংলাদেশ,
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়"
তার সাথে নতুন করে যুক্ত করি..
"মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা
প্রতিনিয়তই হয়"
- মুক্ত বয়ান
"থিম মার্কেটিং" যে জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে... নেক্সট সেমিতে না তিন ক্রেডিটের কোর্সই নিতে হয়!
কোয়ালিটি প্রোডাক্টের বদলে ঘোড়ামুখো বিজ্ঞাপন বাণিজ্যের এই নির্লজ্জ হুজুগে ধিক্কার...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খাইচে !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মানে কি? আপনের দেশ-প্রেমের রহস্য উন্মোচিত হইয়া গেছে?
হরে ভাই বিপদে আছি । জার্মানিতে অটবির জিনিস পাওয়া যায় না । আমাগো কি হপেরে কালিয়া
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বিজ্ঞাপন ১: জীবনের পরাজয়
বিজ্ঞাপন ২: টেবিলের রকমারি ব্যবহার
বিজ্ঞাপন ৩: কুণ্ফু বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন ৪: অবাঙ্গাল বিদেশী অটবি বিজ্ঞাপন - জোকারি ছাড়া
এগুলা মজাই লাগলো। বিশেষ করে প্রথমটা।
এগুলোর আগেও অটবীর আরো দুটো বিজ্ঞাপন ছিলো। একই সাথে বানানো দুটো বিজ্ঞাপন, একটা হোম ফার্ণিচারের আরেকটা অফিস ফার্ণিচারের। সেদুটোই অটবীর প্রথম টিভি বিজ্ঞাপন। যা বানিয়েছিলাম আমরা। বিশেষ করে হোম ফার্নিচারের বিজ্ঞাপনটা আমার নিজের অনেক পছন্দের। অনেক খাটনি গেছিলো সেটা বানাইতে। জিঙ্গেল করছিলো অর্ণব। নতুন বিয়া করা এক দম্পত্তির সারপ্রাইজ গিফট... ২০০৪/৫ এ বানানো সম্ভবত।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রথম তিনটা ভালো লেগেছে। ২য় আর ৩য় টাতে নেপথ্যকন্ঠের তরুণী প্রমিত উচ্চারণে বাংলা বললে আরো ভালো লাগত। শেষেরটা একটু বেখাপ্পা ঠেকল। যদি অটবির আসবাবের আন্তর্জাতিক মান বোঝাতে বিদেশি জঙ্গল ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহলে ঠিকাছে। কিন্তু বনের জন্তু জানোয়ারকে যদি অটবির গুণগত মানের সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে বলব উদ্ভট এবং হাস্যকর।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শেষেরটা পাকি টিভিতে এয়ার হওয়া - এইবার যা বুঝার বুইঝা লন
এইটাতো মার্চ মাসের থিম।এপ্রিল ও আন্দাজ করা যায়।মে তে কি হবে??
মে তে আমার জন্মদিন।অটবি কে জানাব ভাবতেসি
ভালো বলেছেন।
ঘুম পরীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে মে মাস জুড়ে অটবির খাটে ৫% ছাড়। আসুন, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পরীর দেশে যাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শালারা তো সবকিছুই বেচে দিতে চায় দেখি!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
রাজনৈতিক দলগুলার মহান কৃপায় 'স্বাধীনতার চেতনা' ই যখন পন্য হইয়া গেছে তখন ঘটবির এই বিজ্ঞাপন আর এমুন কি দোষ করলো !!!
হিমু ভাইয়ের মন্তব্য যথারীতি পাঁচ তারকা(মন্তব্যের উপর তারকা দিবার কোনো রেওয়াজ সচলে নাই তার উপর আমি অচল !!)
ভায় দা ভায় আমার চৌদ্ধ বংশধারায় কেউ ঘটবির আসবাবপত্র ব্যাবহার করে নাই, মনে লয় বংশপরস্পরায় আমরা দেশপ্রেমিক না !!!
-------------------------------------------------------------------
তারাপ কোয়াস
......আমরা সত্যি ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠছি। অটবি, পিজাহাট ... সব পলিশড।
ঘুড়ি ছুটতে ছুটতে কোথাও না কোথাও গিয়ে টান পড়বে একদিন।
অটবি শুধু বর্ষায় ছাড় দেয় না, সব ঋতুতেই সব সময়েই কোনো না কোনো ছাড় দিয়েই রাখে।
এবারের এই সাবাস বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনে তবু আমিও অবাক হয়েছি। চোখে পড়লো পত্রিকার এই বিজ্ঞাপনটা সেদিনই।
বাজে অ্যাডভার্টাইজিং, বোকা মার্কেটিং, আর বিশ্রী দেশফেশাত্নবোধ ছাড়া আর কোনোকিছুরই উদাহরণ বা আলামতও হ'তে পারে না এটি।
আর কিছু আসোলে বলার নাই।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হাহাহা এই দেশপ্রেম দেশপ্রেম খেলা শুরু হয়েছে ইন্ডিয়া থেকে নকল করে। আমি আজ থেকে ৮ বছর আগে এক বিজ্ঞাপণী সংস্থায় কাজ করতাম। তখনি দেখেছিলাম তাদের ভারতের ট্রেন্ড নকল করার একটা ভাবসাব। ইউনিলিভার সেবার হুইল সাবানে "আমার বাংলাদেশ" টাইপের একটা বিজ্ঞাপণ দিল। যখন ভারতীরা তাদের ক্রিকেটারদের মডেল বানানি শুরু করলো তখন আমরাও শুরু করলাম আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে টানাটানি।
খালি দেশপ্রেম জিনিসটার মর্মার্থ যে কী সেটা আমরা ভারতীদের কাছ থেকে এখনও শিখতে পারিনি। কারো কাছ থেকেই শিখতে পারিনি। আমরা খালি উপরেরটাই নিতে জানি, ভেতরের কিছু শিখিনা।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
আসলেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দেশপ্রেমের সংজ্ঞা ভারতের কাছ থেকে শিখলে সেটা আরোও বিপদজনক হতে পারে । ইন্ডিয়ার নতুন জেনারেশনের ধর্মীয় ভাবাপন্ন জাতিয়তাবাদি দেশপ্রেম যা আছে সেটা রীতিমতো অসুস্থ্য । (একটু জেনারালাইজেশন হলো । কিন্তু নতুন জেনারেশনের সাথে মিশে আমার এরকমই অভিজ্ঞতা ) । কোন কিছুরই অতিরিক্ত ভালো না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ইন্ডিয়া থেকে নকল করে কথাটায় দ্বিমত আছে।
বাংলাদেশের উঁচু পর্যায়ের বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলারই কর্তাপদে ভারতীয়দের বসিয়ে রেখেছি আমরা। এখন এই প্রবণতা কিছুটা কমলেও, কয়েকবছর আগেও প্রায় সবগুলা বড় সংস্থারই সিইও টাইপ লোক ছিলো ভারতীয়। গ্রে'র উঁচুপদের ৭/৮ জন তো সিরিয়াল ধরে ভারতীয়। [অবশ্য এটা ভারতীয় এজেন্সিই]
তাদের পথ ধরেই তৈরি হয়েছে আমাদের পরবর্তী বিজ্ঞাপন প্রজন্ম। তাদের হাত ধরে শিখেই। কীভাবে চিন্তা করতে হয়, তাও শিখিয়ে দিয়ে গেছে ভারতীয়রা। আমাদের বিজ্ঞাপনী চিন্তাধারা ভারতের দিকে যাবে না তো কার দিকে যাবে?
আমাদের দেশের এখনো প্রচুর বিজ্ঞাপন তৈরি হয় ভারতীয় নির্মাতা দিয়ে। এত সাধারণ সব বিজ্ঞাপন বানাতে এজেন্সিগুলো ভারতে ছোটে, দেখলে গা জ্বলে।
বাংলাদেশের একটা বড় কোম্পানি, যারা দেশী পণ্যের জয়গান গাইতে গাইতে গলা শুকায়, তারা কোনোদিন বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন বানায় নাই। এমনকী এক্সট্রা হিসাবেও তারা দেশী মডেল নিতে নারাজ। সবচেয়ে মজার কথা হলো, সেই কোম্পানির বেশ কয়েকটা বিজ্ঞাপনের কনসেপ্ট আমি লিখে দিছি। তারা কলকাতার নির্মাতার কাছে যায় বিজ্ঞাপন বানাতে, সেই নির্মাতা কনসেপ্ট চায়া মেইল করে আমার কাছে, আমি এখান থেকে লিখে পাঠাই, সেই কনসেপ্ট আবার কলকাতা হয়ে ঢাকায় আসে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইয়ে, ছাড় দেবার পর কি অটবি এই মাসে দেশের মাটি খেয়ে বাঁচবে ???
_________________________________________
সেরিওজা
মাটি খাবে কেন? আমাদের মাথা খাবে। অটবির উচিত এবার দোলনা আর কফিন বানানো। বিজ্ঞাপণের বক্তব্য হবে এমনঃ
"দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আপনার আরামই আমাদের আরাধ্য। "
যে মাসে কফিনে ১০% ছাড় দেয়া হবে আমরা ঐ মাসে মরব।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হ'
আমি 'দেশপ্রেমিক' হইতে পারিনাই, কিন্তু মরার আগে 'দেশপ্রেমিক' হইবার একটা সুযোগ আসলেও আসতে পারে ভেবে বেশ ভালো লাগতেছে!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমাদের তিনজনেরি পিসি টেবিল অটবির, বইয়ের শেলফও, ভাবতেসি খাট পালঙ্ক বেইচা অটবি থেইকা কিনুম, যা আছে কপালে...মুক্তিযোদ্ধা বাপের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাইসিলো সার্টিফিকেটের জন্য, বাপ সার্টিফিকেট নেয়নাই... এর চেয়ে কমে যদি দেশপ্রেমিক হইতারি তাইলেতো মন্দ না... :|
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার নিকট আত্মীয়ের মধ্যে একজন আছে সার্টিফিকেট ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা। আবার মুক্তিযুদ্ধ করেনাই কিন্তু সার্টিফিকেট আছে এমনও আছে একজন। কী চমৎকার তাইনা?
আসলেই চমৎকার
কী আর বলব?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুব চমৎকার পিপিদা... কী আর বল্বো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি গরীব মানুষ। ২০০ টাকার টেবিলে পড়ে বড় হয়েছি। অটবির টেবিল চেয়ারে বসে পড়ালেখা করার সুযোগ পেলে এতদিনে নোবেল পুরষ্কার পেয়ে যেতাম!!!!
সব্বোনাশ! নোবেল কর্তৃপকক্ষের সাথে গোপণ চুক্তি আছে নাকি অটবির?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- প্রফেসর ইউনূসের নোবেল পাওয়ার পেছনে এই তাইলে গঠনা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গড়াগড়ি খাই .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
কই? অটবির খাটে না তো আবার?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এরপর প্রেস্টিজ লুংগীর স্বাধীনতা দিবস অফার দেওয়া উচিত, সবুজ লুংগীতে লাল সূর্য, একটা লুংগী কিনলে বীর বাংগালীর জন্য গামছা ফ্রী।
সবাই করছে ওরা বাদ যাবে কেন? ইন ফ্যাক্ট, লুংগী আমাদের জাতীয় পোশাক।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ব্যবসার প্রসার ঘটছে... ফুলে ফেঁপে উঠছে নষ্টারা।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন