লতার সংসার

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: সোম, ২২/০৩/২০১০ - ৯:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শূন্য

লতা যখন এ বাসায় আসে তখন ওর বয়স নয় কি দশ। আন্দাজ করা। নিজের বয়স জানত না ও। আট সদস্যের অভাবের সংসারে ক্ষুধার্ত মুখগুলোর বয়সের হিসেব কেউ রাখে না। মেয়ে হলে তো নয়ই।

ওরা ছিলো চার বোন, দুই ভাই। ভাইবোনদের মধ্যে লতা দ্বিতীয়, বোনদের মধ্যে বড়। বড় ভাই রাসেল ঠেলা চালাত। বাবা আব্দুর রব শেখ একজন মৌসুমী ভিখিরি। ঈষৎ ত্রুটিপূর্ণ পায়ের জোরে ভরা মৌসুমে ভিক্ষে করে খান, বাকিটা সময় ঘরে বসে থাকেন। মেজাজ খিঁচড়ে গেলে বউ পেটান। লতার ভাষায় “ভাদাইম্যা”। সংসার চলে ছেলেমেয়েদের উপার্জনেই। ছোটগুলো অনেক ছোট। সংসারের ভারবহন তো দূরের কথা, নিজেদের শরীরের ভারই বহন করতে শেখেনি ঠিকমতো। তাই রাসেল আর লতার কাঁধেই সংসারের জোয়াল তুলে দিয়েছেন রব শেখ।

এক বছর হলো লতা ঘরছাড়া। আগে যে বাসায় ছিলো তাদের যৌথ পরিবার। শাশুড়ি-বউদের মধ্যে কূটকাচালি করে বেদম বার খেত মেয়েটা। তার চিহ্ন ছিলো ওর মুখে, হাতে, পিঠে। শুকনো খ্যাংড়াকাঠির মতো কালটে শরীরে একটা কাটাছেঁড়া নির্বাক মুখ। চাহনিতে ভয়, কথায় আড়ষ্টতা।

শুরুর কয়েকটা সপ্তাহ ছিলো ওর বিশ্রামকাল। ভাঙ্গাচোরা শরীরটা মেরামত করার জন্য। টিভি দেখত আর বারান্দায় বসে হা করে আকাশ গিলত লতা। মাঝে মধ্যে বাসা থেকে উধাও হয়ে যেত। অনেক খুঁজে পেতে ওকে পাওয়া যেত বাসার পেছনে, সীমানা প্রাচীর আর ঘরের দেয়ালের মাঝের এক ফুট সঙ্কীর্ণ ফাঁকে গুটিশুঁটি মেরে বসে থাকতে। অচেনা শহরে এভাবে হুটহাট বেরিয়ে পরা নিরাপদ নয় এটুকু বোঝাতে বেগ পেতে হয়। এরপর ও আর বাইরে যায় না। ঘরের মধ্যেই আড়াল খোঁজে। রান্নাঘরের দরজার পেছনে, বাথরুমের অন্ধকারে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।

শুরুতে সবাই ভাবত আর দশটা শিশুর মতোই নিজের কল্পনার একটা জগৎ গড়ে নিয়েছে লতা। সেখানে আর কারুর প্রবেশাধিকার নেই। কিন্তু ধীরে ধীরে আরো কিছু বিচিত্রতা ধরা পড়ে ওর আচরণে। রাতে ঘুমুত না। অন্ধকারে ঘাপটি মেরে বসে থাকত। একা একা কথা বলত, হাসত। এমনও বহুবার হয়েছে যে মাঝরাতে বাড়ির কেউ বাথরুমে যাবার জন্য উঠেছে আর অন্ধকার করিডর দিয়ে যেতে যেতে আচমকা ধাক্কা খেয়েছে লতার গায়ে। কিংবা অন্ধকারে কোন মেয়েলী কন্ঠের হাসি আর ফিসফাস কথাবার্তা শব্দ শুনতে পেয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে ওকে মনোচিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। ডাক্তারের সাথে একান্ত আলাপে লতা জানায় ওর একা একা লাগে, বাড়ির জন্য মন কাঁদে, ছোট ভাইবোনগুলোর কথা মনে পড়ে। আর কিছু না।

ডাক্তার পরামর্শ দেন ওকে ব্যস্ত রাখার। পারলে কিছুদিনের জন্য যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

গ্রামে গেলে লোকে বলে, “খারাপ বাতাস লাগসে”। ঝাড়ফুঁক চলে কিছুদিন। এরপর রব শেখ ঠেলে পাঠিয়ে দেন লতাকে।

বাড়িতে ভাত নেই।

এক

ও ফিরে আসে সেই ইট-কাঠ-পাথর, বাসন-কোসন আর টেলিভিশনের জগতে। এবার উদ্যোগ নেয়া হয় ওকে পড়ালেখা করানোর। গ্রামের স্কুলে নাকি ক্লাস টু পর্যন্ত পড়েছে। তাই তৃতীয় শ্রেনীর বই এনে দেয়া হয় ওকে। বইয়ের প্রথম ছড়াটা খুলে ও ঝুলে ঝুলে পড়তে থাকেঃ

“বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর …”

“কী বলিস এসব? বইয়ে তো এগুলো লেখা নাই।”

“আমাদের টু’র বইতে তো এই ছবির সাথে এই ছড়াই ছেলো।”

বোঝা গেলো একেবারে গোড়া থেকে শুরু করতে হবে।

পড়ালেখায় ভীষণ উৎসাহ লতার। উৎসাহের সাথে সাধারণত মেধার একটা যোগ থাকে। মেধা যেদিকে ঝোঁকও সেদিকে হয়। কিন্তু লেখাপড়ায় লতার মেধা হতাশাজনক পর্যায়ের। এক মাস ঘষামাজার পরেও সে বলেঃ

“ব-এ আ-কার বা ড-এ শূন্য র-এ হ্রস্ব-ই কারে ড়ি= বাদাইরা”

“বর্গীয় জ, দন্ত্যন এ যফলা=ইদন্য“

“ন ঔ কারে নৌ, ক-এ আ-কার কা=লৌকা”

“লৌকা না, বল নৌকা”

“নৌহা”

“নৌকা !!!”

“লৌহা !”

তবুও চলতে থাকে পড়ালেখা। বছর ঘুরতে বর্ণমালা আয়ত্ত্বে চলে আসে মোটামুটি।

ঈদে রব শেখ ব্যস্ত হয়ে ওঠেন মেয়েকে দেখার জন্য। রোজার ঈদে সবার জন্য জামা আর কুরবানীর ঈদে গোসত নিয়ে লতা বাড়ি যায়। সাথে নগদ টাকা, চাল-ডাল, সেমাই, ম্যাগি নুডুলস আর বিস্কিটের প্যাকেট।

হপ্তাখানেক থেকে ফিরে আসে আবার। সেই পুরনো কালো পাংশুটে মুখ নিয়ে। এক কাপড়ে। ওর নিজের নতুন জামা, চুড়ি-ফিতে-কানের দুল রেখে দেয় পাতা আর শাহেদা। শম্পা তখনো মায়ের কোলে। সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে শেখেনি তখনো।

পুরনো রুটিনে ফিরে আসে লতা। কলপাড়ে বসে বাসন কোসনের সাথে কথা বলে।

“তুই এইখানে বইসা থাক। ওরে আগে গোসল দেই। আরে, রাগ করিস ক্যান? তোরেও মাজব তো!”

বিকেলে পড়ালেখা, সন্ধ্যায় টিভি। রাতে অন্ধকারে কল্পিত বন্ধুদের সাথে চলে গোপণ আড্ডা।

মাঝেমধ্যে ওর মা অসুস্থ হয়, দাদী মৃত্যুশয্যার কাতরাতে থাকে, ভাইয়ের অ্যাক্সিডেন্ট হয়। লতা টাকা-পয়সা নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বাড়ি যায়। আবারো ফিরে আসে শহরে জমানো মেদ-মাংস ঝরিয়ে কঙ্কালটাকে সম্বল করে। হাতে পায়ে খোসপাঁচড়া নিয়ে।

দুই

দিন গড়িয়ে যায়। বয়সের সাথে সাথে লতার দৈর্ঘ্য বাড়ে। রব শেখ বলেন মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে।

সে কী! কতই বা বয়স হলো? বারো কি তেরো বড়জোর!

না, রব শেখ এ যাত্রায় লতার বিয়ে দেবেনই দেবেন। এবার তিনি পাতাকে পাঠাবেন।

লতা কিছুদিন বউ সাজার অনুশীলন করে। মাথায় ঘোমটা দিয়ে ঘোরে ফেরে। প্রায় শোনা যায়না এমন নীচুস্বরে কথা বলে। ঘোমটা সামলাতে গিয়ে উঠতে বসতে হোঁচট খায়। তবুও গিন্নী গিন্নী খেলা অব্যাহত থাকে।

মাস শেষে লতা চলে যায়। শাড়ি-গয়না আর জমানো টাকা নিয়ে। নিজের সংসার করতে। বিয়ের উপহার হিসেবে পায় সোনার নাকফুল আর কানের দুল।

এবার আসে পাতা। ছোট, হ্যাংলা গড়ন, রোদে পোড়া মুখ, মাথায় উঁকুন। লতার পুরনো মুখটা ভেসে ওঠে চোখের সামনে। পাতা আরো চঞ্চল। নিভৃত কোণে দাঁড়িয়ে একা একা কথা বলে না। বাড়িশুদ্ধ মানুষের সাথে ঝগড়া করে বেড়ায়। পড়াশোনায় মন নেই একেবারেই। কাজে তো আরো নয়। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বাড়ি যাওয়ার জন্য চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। পছন্দের হিন্দি সিরিয়াল দেখতে না দিলে থালাবাসন ভাঙ্গে।

অবশেষে পাতাকেও বিদায় করা হয়।
গৃহশ্রমিকের অভাবে বাড়ির লোকজনের ঘাম ঝরে কিছু্দিন। মাসখানেক নানান সূত্রে লোক খুঁজে যখন বেশ একটা হতাশা আর বিরক্তি এসে ভর করেছে, তখন ফোন করেন রব শেখ। লতাকে আবারো পাঠাতে চান তিনি।

মানে? বিয়ে হয়নি ওর?

না, ভালো ছেলে পাওয়া যায়নি।

লতাকে এবার একটু নতুন লাগে। চাহনি আরো ক্লান্ত। শরীর আগের মতই ভঙ্গুর।

জানা গেলো লতার পাঠানো টাকায় ছাগল কিনেছিলেন রব শেখ। অভা্বের তাড়নায় সেটাও বেচে দিতে হয়েছে। বিয়ের জন্য যে টাকা লতা নিয়ে গিয়েছিলো তাতে কিছুদিন সংসার চলে। সেটুকু ফুরিয়ে যাবার পর পাড়াত ভাইয়ের পরামর্শে লতা, শাহেদা, রাসেল আর ওয়াসেল ঢাকায় আসে গার্মেন্টসে কাজ করতে। একটা ছাপড়া ভাড়া নেয় চারজন মিলে। মাসশেষে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য তাগাদা দিতে শুরু করে। এক সকালে ঘুম থেকে উঠে লতা দেখে ভাইবোনরা কেউ ঘরে নেই। ওকে একা ফেলে চলে গেছে। লতা ওর শেষ সম্বল সোনার দুলজোড়া বিক্রি করে ভাড়া মিটিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ি ফেরার কয়েকদিনের মাথায় রাসেল হুট করে বিয়ে করে ফেলে। আরেকটি নতুন মুখ সংযোজিত হয় পরিবারে।

তিন

লতা আবারো ঢাকায় ফেরে। অথবা ফিরতে বাধ্য হয়।

জীবন আবারো গড়াতে থাকে পুরনো চাকায় ভর করে। বর্ণমালা পেরিয়ে লতা শব্দগঠন করতে শেখে।
পোলাও-বিরিয়ানি-খিচুড়ি রাঁধতে শেখে। নতুন কাপড় কেটে কুটে আবার জোড়া লাগায়, অ্যাপ্লিক করতে শেখে।

স্বভাবেও খানিকটা পরিবর্তন চোখে পড়ে। বয়সটাই তো পরিবর্তনের।
বাসার ছোট খাট যে কোন কিছু হারালে লতার ডাক পড়ে। ও ছাড়া কেউ হারানো জিনিস খুঁজে পায়না।

লতাকে খুঁজে না পেলে এখন আর অস্থির হয় না কেউ। সবাই জানে রান্নাঘরের দরজার পেছনে অথবা বাথরুমের আড়ালে ওকে পাওয়া যাবে। এই শান্তিপূর্ণ আড়ালটুকু পেলেই ও খুশি। অনেক কিছুই বদলে গেছে। কিন্তু কল্পিত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি কখনো। ওদের সাথে টুকটাক আলাপ সেরেই ঘোমটা মাথায় আবারো কাজে মনোযোগী হয় লতা।

রব শেখ মাঝে মধ্যে মেয়েকে দেখতে আসেন। মাসের বেতন আর রাহা খরচ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। ভাবুকদিয়ায় ফিরে মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে থাকেন। আর লতা বউ সেজে সংসারধর্ম শিখতে থাকে ঢাকা শহরে।

এর মধ্যে হঠাৎ একদিন আলটপকা এসে হাজির হন রব শেখ। লতাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। লতার মা নাকি “আরেক ব্যাটার সাথে ভেগে গেছে”। সে লোকের বউ বাচ্চা আছে জেনেও। গ্রামে সালিস হয়েছে। রব শেখ বউকে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছেন। জোবেদা খাতুন রাজি হননি কিছুতেই। রব শেখ লতাকে বাড়িতে নিতে চান। যদি মাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘরে ফেরাতে পারে।

লতা বাড়ি যায়।
কিন্তু জোবেদা খাতুন ফেরেন না। ঐ ঘরে সতীন আছে। অভাবও আছে। তবে তার কামড় অতটা তীব্র নয়। রব শেখের তুলনায় নতুন স্বামী তরুণ, কর্মক্ষম।

বাড়িভর্তি ছেলে মেয়ে, নাতিনাতকুড়। পাড়ার লোকে খোঁটা দেয়। বউ ভেগে গেছে বলে। ঘরের দাওয়ায় বসে হাত-পা ছড়িয়ে কাঁদেন পঞ্চাষোর্দ্ধ রব শেখ। লতা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসে।

কাজের ফাঁকে অদৃশ্য বন্ধুদের সাথে আর আড্ডা জমে না এবার। থেকে থেকে চোখ ভিজে ওঠে।

রব শেখ শম্পাকে পাঠিয়ে দেন লতার কাছে। লতা আর পাতার চেয়ে এই মেয়েটি একদমই আলাদা। হেসে খেলে পুরো বাসা মাতিয়ে রাখে সে। লতা তার হারানো শৈশবের একটা খন্ডকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। মাঝে মধ্যে যখন কান্না ছলকে ওঠে বোনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে।

চার

এরপর একদিন তত্ত্ব আসে। লতার বিয়ে। এবার সত্যি সত্যি বিয়ে হবে। লতার বিয়ের গয়না কেনা হয়। লাল শাড়ি। নতুন মোবাইল। আর সবুজ একটা স্যুটকেস। অধোবদনে স্যুটকেস গোছায় লতা। এবার নিজের একটা সংসার হবে ওর।

পাঁচ

জোবেদা খাতুন নাকি সন্তানসম্ভবা। সে খবর লতাকে এখনো জানানো হয়নি।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়গড় করে গল্প বলে গেলেন কথক। শুনলাম মুগ্ধ হয়ে।

কখক হঠাত্‍ বললেন, "শেষ তো!"

চমক ভেঙ্গে বলতে হলো, "তাই!?"

বলার ঢংটা বড় ভালো লাগলো।
আনন্দীদির একটা গল্প পড়েছিলাম, ওটার মতো, তবু অন্যরকম।

মর্ম

নাশতারান এর ছবি

লতাকে নিয়ে লেখার সময় আনন্দীদির মাধবীকে মনে পড়েছিলো ঠিকই, কিন্তু গল্পটা মাথায় ছিলো না। এবার গিয়ে পড়ে দেখি আসলেই বেশ মিলে গেছে। হয়তো লতা আর মাধবীর ভাগ্য একই ছাঁচে গড়া বলেই। তবে লতা আরো হতভাগ্য। ওর কখনোই মন বসেনি শহরে। বারে বারে শেকড়ের টানে ছুটে গেছে, শেকড় ওকে গ্রহণ করেনি। ওর পুষ্টিটুকু শুষে নিয়েছে, কিন্তু নিজের অংশ হতে দেয়নি। লতা একান্ত নিজের একটা আলোঝরা বারান্দা চেয়েছে সবসময়। সেটুকুও ওর কপালে জুটবে কীনা কে জানে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

সহমত!
"নদীতে বালির দাগ" বোধহয় গল্পটার নাম ছিলো...

দারুণ লাগলো!!!
বুনো গল্পকারকে চলুক

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বইখাতা এর ছবি

চেনা গল্প । মন খারাপ হয়ে যায়। আবার ভুলেও যাই। নিজের ভাগ্যটা তো আর ওরকম খারাপ নয় ! একই বৃত্তে গড়িয়ে গড়িয়ে চলতে থাকে সবকিছু।
লেখা ভালো লাগলো খুব।

নাশতারান এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আসলেই আমরা ভুলে যাই। উলটো কত অভিযোগ করি নিজেদের জীবন নিয়ে !

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নাশতারান এর ছবি

রাহা মানে পথ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

শূন্য এক দুই ... এই ক্রম ছাড়া বাকি সব ভাল। কারণ বহুজনের ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে যাচ্ছে।

বিক্রম শেঠের 'আ সুইটেবল বয়' উপন্যাসে ১.১, ১.২, ১.৩ এই ক্রমে অধ্যায়ের নাম দিছিলেন। বিজ্ঞান-বইয়ের অধ্যায়ের মত। বইটা পড়ছিলাম অনেক বছর আগে। তখন বেশ মজা পাইছিলাম।

নাশতারান এর ছবি

গল্পটা শুরুতে আস্ত ছিলো। পরে টুকরা টুকরা করলাম একঘেয়ে হওয়ার ভয়ে।

আপনার কথাটা মাথায় থাকল। হয়তো পরে কখনো ... (সব্বোনাশ! আরো লিখবে? ইয়ে, মানে...)

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সব্বোনাশ! আরো লিখবে?

মুহাহাহাহা... এইটা একটা কথা হৈসে। এই কথা তো আমি বলুম, আপনি ক্যাঁন ?? !!!

আর এই জাতীয় সব গল্পই আমার কাছে একইরকম লাগে। তাড়া নাই কারো, ধীর-নিশ্চিত অমোঘ পরিণতি...

_________________________________________

সেরিওজা

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

কিছু কিছু পর্যবেক্ষণ অসাধারণ লাগল ।

এই ধরনের লেখা পড়লে খুব মনখারাপ হয়ে যায়, কি মন্তব্য করব বুঝতে পারি না।

আরও লেখ, অনেক অনেক, খবরদার থামবে না কিন্তু হাসি

নাশতারান এর ছবি

খুব ছোটবেলায় একটা রূপকথার গল্প লিখেছিলাম। এরপর কখনো গল্প লেখার সাহস করিনি। এই গল্পের কিছুটাও যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাতেই আমি খুশি। আরো ভালো লেখার জন্য আসলে বেশি বেশি না লিখে বেশি বেশি পড়া জরুরি মনে হয় আমার।

আর যদি কখনো থেমে যাই তাহলে তুমি টোকা দিয়ে মনে করিয়ে দিও। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বাউলিয়ানা এর ছবি

দারুন লিখেছেন।

আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাতো আমরা সবাই দেখি, কিন্তু এমন চমতকার করে গল্প বানাতে পারে কয়জন। আপনি পেরেছেন এবং এরকম লেখা আরও চাই।

নাশতারান এর ছবি

একই রকম লেখা আরো লেখা কি ঠিক?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বাউলিয়ানা এর ছবি

হা হা..আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এরকম লেখা বলতে আমি কপি-পেষ্ট লেখা বুঝাইনি চোখ টিপি

আমি বলতে চাইছিলাম আমাদের চারপাশের ঘটনাগুলো নিয়েই আরও গল্প লিখুন। এটা কিন্তু খুব সহজ না। যে লেখাটা পড়ে মনে হয়, আরে! এটা তো আমার চেনা গল্প কিন্তু আগে কখনও এভাবে ভাবিনি!

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। লিখতে পারলে খুশি হব।

ভালো থাকবেন। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।