বাবুনের আজ রেজাল্ট দেবে। এস এস সি।
সারারাত ঘুমুতে পারে নি। দুঃশ্চিন্তায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করেছে শুধু।
মাঝেমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে আর ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখেছে। যেমনটা সবাই পরীক্ষার আগের রাতে দেখে।
পড়া ভুলে গেছে, ঘুম ভাঙে নি পরীক্ষার দিন সকালে- এইসব হাবিজাবি স্বপ্ন।
আজ তো পরীক্ষা না, রেজাল্ট। তবু কেন ওসব স্বপ্ন দেখল কে জানে?
হয়ত অভ্যেস হয়ে গেছে ওসব স্বপ্ন দেখে দেখে।
বাবুন বরাবরই ভীষণ ভালো ছাত্র। সবসময় ক্লাশে ফার্স্ট হয়ে এসেছে। তবু রেজাল্টের সময়টা যত কাছিয়ে আসে ততই হাত-পা ঘেমে আসতে থাকে তার।
এবার থেকে গ্রেডিং সিস্টেম চালু হলো। ফার্স্ট স্ট্যান্ড করল নাকি সেকেন্ড স্ট্যান্ড এ নিয়ে চুলচেরা গবেষণারও সুযোগ নেই। তবু বাবুন অস্থির হয়ে ওঠে।
বিকেলে বিদূষিণী গার্লস স্কুলে রেজান্ট টাঙিয়ে দেয়ার কথা। সুতপার স্কুল। সুতপা বাবুনের সাথে একই স্যারের কাছে পড়ত। ওখান থেকেই বন্ধুত্ব।
গেল বছর সায়েন্স ফেয়ারের সময় বাবুনদের স্কুল থেকে পাঁচজনের একটা গ্রুপ গিয়েছিলো সুতপাদের স্কুলে। মেলাশেষে সুতপা আইসক্রিম খাইয়েছিলো বাবুনকে। যখন পরীক্ষার সিট পড়ল সুতপার স্কুলে তখন সে কথা মনে পড়েছিলো বাবুনের।
অথচ আজ বিদূষিণী গার্লস স্কুলের কথা ভাবতেই বাবুনের ঘাম ছুটতে থাকে। ঘড়ির কাঁটা যত এগুতে থাকে ততই অস্থির হয়ে ওঠে সে। উৎসাহ আর উৎকণ্ঠার এক মিশ্র অনুভূতি দলা পাকিয়ে গলার কাছে আটকে থাকে। একবার মনে হয় ঘড়ির কাঁটা এখানেই থেমে যাক। কাজ নেই রেজাল্ট জেনে। পরক্ষণেই একটা অদম্য কৌতূহল মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এতদিনের শ্রম, এত রাত জাগার ফসলটুকু দেখতে ইচ্ছে হয় খুব।
দুপুরের পর ঘড়ির কাঁটা গড়িয়ে গড়িয়ে এগোতে থাকে যেন। বাবুন টেবিলঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে রুবিক্স কিউব মেলাতে চেষ্টা করে। হয় না। কিছুতেই মনঃসংযোগ করতে পারে না।
পরীক্ষাগুলো ভালো হয়েছিলো তো আসলেই? বাবুন মনে করতে চেষ্টা করে। অংক, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সমাজের সন-তারিখ সব ঠিক ছিলো তো? ইসলামিয়াতের আয়াতগুলো? ইংলিশ রিঅ্যারেঞ্জ? ওটা ঝামেলা পাকাত প্রায়ই। আর বাংলার নম্বর তো সবসময়ই অনিশ্চত। বাবুনের লেখালিখির অভ্যেস আছে। স্কুলের পত্রিকায়, ছোটদের বিভিন্ন কাগজে ওর লেখা ছাপা হয়েছে বেশ কিছু। পরীক্ষার জন্য নোট মুখস্থ করে নি কখনো। মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছে খাতায়। ওতে নম্বর দেবে কি না কে জানে?
ভাবতে ভাবতে একটা ঘোরের মধ্যে চলে যায় যেন বাবুন।
অ্যালার্মের আর্তচিৎকারে চমকে ওঠে হঠাৎ।
তিনটে বেজে গেছে। বাবুনের আর তর সয় না।
ঝটপট তৈরি হয়ে ঘর থেকে বেরোয় সে।
বাসা থেকে স্কুল পনেরো মিনিটের পথ।
বিদূষিণী যত কাছে আসতে থাকে বাবুনের বুকের ধুকপুকানি ততো বেশি তীব্র হতে থাকে। স্কুলের ছাইরঙা গেইটটা চোখে পড়তেই গলা শুকিয়ে আসে তার।
রেজাল্ট দেয়ার কথা চারটায়। গেটের বাইরে তাই এখনো ভিড় জমে ওঠে নি।
বাবুন নিজেকে শান্ত করতে চেষ্টা করে। দোয়াদুরুদ পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে ভেতরে ঢোকে।
ভেতরটা পুরো ফাঁকা। কেউ নেই।
নোটিশ বোর্ডটা কোথায় কে জানে?
বাবুন করিডর ধরে এগুতে থাকে।
করিডরের ওপাশ থেকে একজনকে হেঁটে আসতে দেখা যায়। রাসেলের বাবা।
রাসেল দিবাশাখার ফার্স্ট বয়। বাবুন বরাবরই রাসেলের চেয়ে অনেক ভালো মার্কস পেত। প্রভাতী আর দিবা শাখার মধ্যে একটা অদৃশ্য প্রতিযোগিতাও ছিলো এ নিয়ে।
বাবুনকে দেখে তার দিকে এগিয়ে আসেন রাসেলের বাবা। হাতে এক টুকরো কাগজ।
“এই যে বাবুন, রেজাল্ট কেমন হলো? ফাইভ নিশ্চয়ই !” উচ্ছ্বসিত কন্ঠে জানতে চান রাসেলের বাবা।
“রেজাল্ট এসে গেছে?” বাবুনের কণ্ঠে পরিষ্কার ফুটে ওঠে ওর ভেতরের অস্থিরতাটুকু।
“হ্যাঁ হ্যাঁ, রাসেল ফাইভ পেয়েছে। এই যে। এই কাগজে তোমাদের স্কুল থেকে যে কয়জন ফাইভ পেয়েছে তাদের রোল নাম্বার টুকে নিয়েছি আমি। দেখো তো, তোমারটাও আছে নিশ্চয়ই।”
কাঁপা কাঁপা হাতে কাগজটা হাতে নেয় বাবুন।
২০০৪৮ …
২০০৪৯ …
২০০৫৪ …
এগুলো দিবা শাখার রোল নাম্বার। প্রভাতী শাখারগুলো ১ দিয়ে শুরু। রাসেলের বাবার তো সেটা জানার কথা।
হয়ত তিনি ধারাবাহিকভাবে লেখেন নি। বাবুন ভাবে।
আরো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে নাম্বারগুলো। বেশ কয়েকবার।
না। একই ক্রমানুসারে লেখা।
“আছে না তোমার রোল নাম্বার?” সোৎসাহে জিজ্ঞেস করেন রাসেলের বাবা।
কেমন যেন অবশ হয়ে আসতে থাকে বাবুনের শরীর। মনে হতে থাকে কেউ এসে ওকে এখান থেকে না নিয়ে গেলে এখানেই এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে অনন্তকাল।
“হেই, বাবুন! কী হলো, বাবা? তোমার রোল নাম্বার আছে তো এতে?”
রাসেলের বাবার কথায় কাগজ থেকে মুখ তোলে বাবুন। ওর চোখ পড়ে ভদ্রলোকের চোখ দুটোর দিকে। একটা নিষ্ঠুর আনন্দের ঝিলিক খেলে যায় সেখানে। বাবুন পরিষ্কার দেখতে পায়।
[শিরোনামে ইংরেজি শব্দের ব্যবহার আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এ গল্পের জন্য এ শিরোনামই উপযুক্ত মনে হয়েছে আমার]
মন্তব্য
একজন পিতা তার সন্তান সহ পৃথিবীর সকল সন্তান সমবয়সির প্রতি বন্ধুর মত হলে মানবতার জয় হবে। "টেল মি ' "বন্ধু"
বুঝলাম না।
আমি আমার বন্ধুদের বাবা-মায়েদের কাছ থেকে বন্ধুসুলভ আচরণ প্রত্যাশা করিনা। আমি হয়তো গল্পে আমার বক্তব্য তুলে ধরতে পারি নি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এরকম দেখেছি আমি, গল্পটা তাই অপরিচিত লাগেনি। (y)
তবে গল্পের বাবুনের পরিবারের অনুপস্থিতি খুব চোখে লাগছিলো, রেজাল্ট দিবে, ওদের বাসায় সেরকম আবহাওয়া আনলে ভাল হতো।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সহমত।
বাবুনের মা নামাজ পড়ে ওর গায়ে ফুঁ দিয়ে খেতে ডাকবেন, বাবুন খেতে না পেরে ভাত নেড়ে চেড়ে উঠে পড়বে এমন একটা ব্যাপার মাথায় ছিলো। কিন্তু পরে আর দেই নি।
দেয়া উচিৎ ছিলো। তাই না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ঠিক আছে... ঃ)
ধন্যবাদ। :)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গ্রেডিং এ ফার্স্ট ব্যাচ?
বেচারা!
:-(
আপনার গল্পে একটা ব্যাপার দেখলাম, তরতরিয়ে পড়ে ফেলা যায়। বলার ভঙ্গিটা ভালো, মনে হয় শুনছি যেনো কানে।
মর্ম
অনেক অনেক ধন্যবাদ, মর্ম।
আপনিও কি গ্রেডিং এর প্রথম ব্যাচ নাকি?
মিয়াঁও কেমন আছে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তা আর বলতে!
জাতীয় গিনিপিগ! :-(
'আপনিও'র মানে কি আপনি নয়া মিলেনিয়াম ব্যাচের?!
মিঁয়াও কোন আড়ালে সেধিয়েছে, চোখে পড়লেই কান পাকড়ে হাজির করবো! :-)
মর্ম
জ্বি, আমিও গিনিপিগ ব্যাচের। সারাজীবন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়েই কাটিয়ে দিলাম। :(
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মাবুদ! রক্ষে কর!
আমি কিনা বাসায় অবিরত বলে বেড়াচ্ছি ছোট ছোট কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরাও কী সুন্দর লেখালেখি করে, ভাবতেই ভালো লাগে?!
উহুহুম!
মর্ম
লেখা পড়ে আমিও খানিকটা নার্ভাস হয়ে যাচ্ছিলাম।
আমার সাথে না মিললেও, আমার এক বন্ধুর সাথে অনেকটা মিল পেলাম।
আমার লেখা কারুর অনুভূতিকে ছুঁতে পেরেছে ভাবতেই অবাক লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। :)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
১। ভাল্লাগসে... প্রথমে বুঝে উঠতে পারি নাই কেনো যেনো- শেষের অংশ দুইবার পড়লাম, খুঁটায়া...
২। ইয়ে, আরেকটা গল্পকার আসছে... :D
_________________________________________
সেরিওজা
১। আগে জানলে দুইবার লিখে দিতাম। ;)
২। কেডা? (চিন্তিত)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুন্দর গল্প। (চলুক)
আপনার লেখার মধ্যে বেশ একটা যত্নের ছাপ পাওয়া যায়। পড়তে খুব ভাল লাগে।
আর বাংলার নম্বর তো সবসময়ই অনিশ্চত।
অনিশ্চিত ?
প্রভাতী আর দিবা শাখার মধ্যে একটা অদৃশ্য প্রতিযোগীতাও ছিলো এ নিয়ে।
প্রতিযোগিতা ?
ধন্যবাদ আপনাকে।
"প্রতিযোগিতা" বানানটা ভুল হয়েছে। সেজন্য দুঃখিত।
"অনিশ্চিত" এর ভুলটা টাইপো। এখনো অতিথি বলে সংশোধন করতে পারছি না।
ভালো থাকবেন। :)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আচ্ছা 'প্রতিযোগ' কখন হয় আর 'প্রতিযোগিতা' কখন হয়?
রেজাল্ট নিয়ে আমার একটা কুসংস্কার আছে যে আমার রেজাল্ট কেউ ফোন করে জানালে ভাল হয়। তাই রেজাল্টের দিন গ্যাঁট হয়ে বাসায় বসে থাকতাম। তারপর কেউ ফোন করে জানালে নাকটা উঁচু করে বাসা থেকে বেরুতাম। ধরা খাইলাম বুয়েটে এসে, এইখানে তো রেজাল্ট ফোনে জানার কোন উপায় নাই। তারপর কি হৈল জানে শ্যামলাল :(
অর্থগত দিক থেকে "প্রতিযোগ" আর "প্রতিযোগিতা"র কোন পার্থক্য নেই। দুটোই বিশেষ্য।
প্রতিযোগ => প্রতিযোগী <= প্রতিযোগিতা
যেমনঃ length => long <= longness
এস এস সি পর্যন্ত রেজাল্ট নিতে সশরীরে হাজির হয়েছি। এইচ এস সি আর বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট পেয়েছিলাম ফোনে। এরপর তো ইয়া হাবিবি ...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনেক ভাল লেগেছে । বিশেষ করে....
তবে কয়েক জায়গায় হোচট খেয়েছি । মাত্র গতবছর এস.এস.সি দেলাম বলেই হয়ত । যাকগে, এরকম আরো লেখা চাই । ভাল থাকবেন ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কোথায় কোথায় হোঁচট খেয়েছেন খুলে বললে উপকার হত।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
:)...তেমন কিছু না আসলে । গল্পের সাথে সম্পর্ক নেই । দাড়ান,বলি ।
১.
ফলাফল অনেকদিন ধরেই স্ব স্ব স্কুলে দেয়া হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে না ।
২.
একা ?? ঠিক বিশ্বাসযোগ্য নয় । সন্তানের এতোদিনের শ্রম, এতো রাত জাগার ফসলটুকু দেখতে মা বাবার ও খুব ইচ্ছে হয় ,তাই না??
৩.
আমি আমার দশ বছরের স্কুল জীবনে কখনো এ রকম দেখিনি । যেদিন ফলাফল প্রকাশিত হত সেদিন দিবা শাখার আগে ছুটি হয়ে যেত । আমরা স্কুলে ১২টার সময় এসে দেখতাম অনেক বড় ভাইরা এসে পড়েছেন , ক্লাসে ক্লাসে ঘুরে স্যারদের থেকে দো্য়া নিচ্ছেন । যত সময় বাড়ত ভীড় আরো বাড়ত ,পুরোনে স্যাররাও আসতেন। ক্লাস শেষে আমরাও অনেকে থেকে যেতাম ফলাফল জানতে ।
আর যে স্কুলে বাবুন পরীক্ষা দিয়েছে সে স্কুলের নোটিশ বোর্ড কোথায় তার জানা উচিত ,তা না হলে পরীক্ষার সময় সিট প্লান জেনেছে কিভাবে??
৪.
"........." আর প্রভাতী শাখার রোল থাকার সম্ভাবনা দেখে মনে হচ্ছে আরো অনেকে এ+ পেয়েছে । যেখানে ২০০১ এ সারা দেশে মাত্র ৭৬ জন এ+ পেয়েছিল,সেখানে একটি অখ্যাত স্কুল (ধরে নিচ্ছি) ৩ টি এ+ পেয়েছে সেটা কল্পনা করা একটু শক্ত।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলে ফেলেছি । দু:খিত ।
নাক গলাচ্ছি বলে দুঃখিত, 'কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করিলো যে সে মরে নাই...' জানেন তো ?? রবিঠাকুরের 'জীবিত ও মৃত' গল্পের কথা বলছি...
এখন আপনি বলেন, কাদম্বিনীকে জ্যান্ত অবস্থায় চিতায় তুলে দেয়া হলো, এটাকি বিশ্বাসযোগ্য ?? ...
আপনার মন্তব্য থেকে বুঝতে পারছি- আপনার মনে হচ্ছে গল্পের ফাঁকগুলো অনেক বড়- আপনি সদ্য এসেসসি দিয়েছেন বলে তা আরো বড় বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, এটা গোয়েন্দা গল্প না- যে এই জাতীয় ফ্যাক্ট এখানে গোলযোগ তৈরী করবে। লেখকের কিছু স্বাধীনতা তো থাকা উচিত, তাই না ??...
রাগ করবেন না যেন, গল্পটা আমার বেশ লেগেছে, এজন্যেই এভাবে বলা। আপনি একজন সচেতন পাঠক জেনে ভাল লাগছে।
ভবিষ্যতে আপনার এইরকম মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
_________________________________________
সেরিওজা
১
এটা ন' বছর আগের কথা। আমাদের সময় ফলাফল পরীক্ষা কেন্দ্রেই দেয়া হয়েছিলো।
২
উপরে কনফুসিয়াসও বলেছেন পারিবারিক আবহের অভাবের কথা। তবে একা একা রেজাল্ট আনতে যাওয়াটা অবাস্তব কিছু না। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে।
৩
এ অংশটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। নির্ধারিত সময়ের ঘন্টাখানেক আগে গিয়েছিলাম আমি। গিয়ে দেখি কেউ নেই।
নোটিশ বোর্ডটা দেয়ালে সাঁটা ছিলো না। বহনযোগ্য। পরীক্ষার সময় বাইরে রাখা ছিলো। পরে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি সারাজীবনই এ ধরনের নোটিশ বোর্ড দেখে এসেছি বলেই হয়তো অতটা ব্যাখ্যা দেয়ার কথা মনে হয়নি।
৪
বাবুনের স্কুলটা অখ্যাত নয়। সেখান থেকে তিনজনের বেশি জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলো।
তবুও পয়েন্টগুলো মাথায় রাখবো যাতে ভবিষ্যতে আর আপনাকে হোঁচট খেতে না হয়।
এতটা খুঁটিয়ে পড়ার জন্য এবং ধৈর্য্য নিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। :)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাহ! ভাল্লাগলো আপু...তবে শেষে এসে দুঃখ পেলাম...কেন জানিনা মানুষের পঁচা দিকটা আমার দেখতে ভালু লাগেনা! :(
আমি রেজাল্ট একা আনতে গিয়েছিলাম...আমাকে কেউ ভালুবাসেনা, কেউ আমার সাথে যায়নাই! :(
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার বুঝি খুব ভালু লাগে মানুষের পচা দিকটা দেখতে ? :(
গল্প ভাল্লাগ্লো শুনে ভাল্লাগ্লো। :D
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুন্দর গল্প ।
আমার নিজের রেজাল্ট এর ঘটনা মনে পড়ে গেল! সে কী টেনশান!
(Y)
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধন্যবাদ, বোহেমিয়ান। :)
দুঃখিত। এ মন্তব্যটা আমারই। অটো লগইন করতে গিয়ে যে অতিথি অ্যাকাউন্টে চলে গেছে খেয়াল করি নি। মন্তব্য মডারেশন কিউতে জমা হতে দেখে বুঝলাম কিছু একটা ঘোট পাকিয়েছি।
ভালো থাকবেন। :)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ক্যাম্নেকি! আপ্নের মন্তব্য মডারেশন কিউ তে জমা হয়না??? আমার হয় কেনু কেনু কেনু?
--লেখা ভাল্লাগসে। বুয়েটে রেজাল্ট আনতে যাইতাম সবার শেষে লুকায় লুকায়, আর ইস্কুলে সারাজীবন এসেম্বলিতে রেজাল্ট নিয়েছি।
এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে। আপনার মন্তব্যও মডারেশন ছাড়া যাবে। রয়েসয়ে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বিকালে গিয়ে আসলে লাভ হয় না ভাইয়া। দেখা যায় বেশির ভাগই লুকায় লুকায় যাওয়ার জন্যে বিকালে যায়। :D
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরে বোকা জিয়েম, বিকেলে যারা যায়, তারা আমরার ভাই ভাই। ডিইপিটি তে ডি পেয়ে এমন খুশির চিক্কুর দিসিলাম যে সবাই ভাবসিল আমি মনে হয় সকালের পাব্লিক। :D
এই কাজ আমার ভাই করেছিলো একবার! :D
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো লেগেছে । আমারও নিজের রেজাল্টের দিনের কথা মনে পড়ে গেলো !! :-)
এই মাস্টার্স লেভেলে এসেও রেজাল্টের দিন আমার সেই এক-ই রকম ভয়ের অনুভূতি-ই হয় :-(
মুক্ত বিহঙ্গ
সচলায়তনে লেখা পাঠিয়েও আমার এমন অনুভূতিই হতো।
লেখা পোস্ট হবে কি হবে না, পোস্ট হলে গালমন্দ শুনতে হবে কীনা। :P
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একটু অস্বস্তি থাকলেও খুব ভাল লেগেছে...নিজের জীবনের সাথে মিল পেলাম!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
উপরে অন্যরা যে সমালোচনা করেছেন তার বাইরে কোন ব্যাপারে অস্বস্তি বোধ করে থাকলে জানিয়ে দিন। আমার কাজে দেবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুঁটিনাটি ভুল বাদে গল্পটা অনেক ভাল লাগার মত। বিশেষ করে শেষ কয়েক লাইন গল্পটাকে একটা খুব ভাল মানের গল্পের কাতারে দাঁড় করাতে সক্ষম।
সব মিলিয়ে বলব ভাল লেগেছে। :)
ফারাবী
ধন্যবাদ, ফারাবী।
আমার মতে গল্পটার শেষ অংশটাই মূল। বাকিটুকু অনুষঙ্গ মাত্র। চেষ্টা করব খুঁটিনাটি ভুলগুলো কাটিয়ে উঠতে।
ভালো থাকবেন। :)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাবুন দেখি আমার মেয়ের বয়সী। :D
আপনার কি বাবুনকে জামাই হিসেবে পছন্দ হয়েছে নাকি? (চিন্তিত)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মেয়ে রাজী থাকলে আমার আপত্তি কীসে? মেয়ে কি রাজী? :D
নিজের মেয়ের খবর নিজেই জানেন না! কেমন বাপ আপনি?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- মেম্বর হৈলেন একজন আদর্শ বাপ। তিনি পরিবারের কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। পরিবারের খোঁজ রাখেন তাঁর 'পরিবার'। :ডি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্পটা পড়ে এসএসসি রেজাল্ট দেবার দিনের কথা মনে পড়ে গেল :D
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
:D
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সেমি অফটপিকে কিছু কথা বলি: আমি গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার আগের ব্যাচ। আমার কাছে এক আধ নম্বরের ইঁদুর দৌড়ের থেকে গ্রেডিংয়ের দলীয় ইঁদুর দৌড় অনেক সুস্থ বলে মনে হয়। আধা গ্রেড (কিংবা আধা নম্বর) পিছিয়ে থাকা কেউ যে আমার থেকে কম মেধাবী কিংবা কম জানে কিংবা কম যোগ্য নয়, এটা বুঝতে পারাই মূল কথা।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আপনার সাথে একমত।
আসলে আমাদের ব্যাচটা এই পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত ছিলো না। সব বিষয়ে ১০০ পাওয়ার জন্য গিয়ানী পোলাপান হুদাই জান কয়লা করে পড়ত। ইসলামিয়াতের আরবি আয়াতগুলা মুখস্থ করা সময় আর শক্তির অপচয় ছাড়া কিছু মনে হয় না আমার। কিন্তু ওটা না করলে ইসলামিয়াতে ৯০+ মার্কস আসবে না। গ্রেডিং সিস্টেমে এ ব্যাপারটা নাই। ৮০+ তোলার জন্য এতো শ্রম অপচয় করতে হয় না।
শুধু ছাত্রছাত্রীরা না, শিক্ষকেরাও প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁরা খাতা দেখেছেন পুরনো নিয়মে।
সব এক্সপেরিমেন্টের মতোই প্রাথমিক ব্যর্থতার ধাক্কা গেছে আমাদের ব্যাচের উপর দিয়ে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপু, গল্পের শেষ টা দারুণ হয়েছে।
কিন্তু রেজাল্ট নিয়ে টেনশনের অংশটা পড়তে একটু বোরিং লেগেছে। যদিও রেজাল্ট আউট হবে শুনলে "টেনশন" শব্দটাই মাথায় আসে প্রথমে, তারপরও :)
আর দিবাশাখার বদলে ডে শিফট বলা যেত কি? দিবাশাখা বলে বা শুনে অভ্যস্ত নাতো, চোখে লাগছে।
ভেবে চিন্তে "দিবা শাখা" লিখি নি, আপু। গল্পটা একেবারেই হুট করে লেখা। মাথায় ঐ মুহূর্তে যা এসেছে, তাই। অনেক ফাঁক ফোঁকর আছে জানি।
গল্পের প্রায় পুরোটা জুড়েই তো টেনশন। সেটাই যদি বোরিং লাগে তাইলে যাই কই?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার রেজাল্ট আনতে কেউ যায় নাই। :(
অবশ্য আমি নিজেই যাই নাই। কক্সবাজারে রোদ পোহাইতেছিলাম! 8)
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
রেজাল্ট কি ওহী মারফত পাইছিলেন? (চিন্তিত)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার লেখার ধরনটা খুব ভালো।পড়া শুরু করলে আর থামা যায়না।
গল্পটা ভালো হইছে।শেষটা পরে মন খারাপ হয়ে গেলো।ভালো থাকুন।
[বিষন্ন বাউন্ডুলে]
ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাহ! এই চমৎকার গল্পটা আগে পড়া হয়নি!
আমার নিজের পরীক্ষা দেবার পরে আর কোন চিন্তাভাবনা হয় না। মোটামুটি একটা ধারণা থাকে যে এইরকম পরীক্ষা দিয়েছি, এইরকম হবে রেজাল্ট, খুব একটা পার্থক্য হয়নি কখনোই। আর এইরকমের ভালো করতে হবে, ঐরকমের গ্রেড পেতে হবে এগুলা নিয়ে কখনো মাথা ঘামাই নাই। HSC পরীক্ষার রুটিন দেবার পরে আর্টস-এর স্ট্যান্ড করা বান্ধবিকে ফোন দিয়ে বাংলা সিলেবাসে কী, কী গদ্য আর পদ্য আছে জিজ্ঞেস করায় তার চতুর্থবার রিভিশনের মাঝে ডিস্টার্ব করায় এমন ঝাড়ি দিয়েছিল! :D
কিন্তু কেন জানি না SSC আর HSC দুইটার রেজাল্টের দিনই বেশ ভালো চিন্তা হচ্ছিলো। মনে আছে আমি যথাক্রমে গল্পের বই আর সিনেমায় মুখ ডুবিয়ে ভুলে থাকার চেষ্টা করছিলাম ব্যাপারটা। :)
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমরা কিন্তু সবাই নিজেরা রেজাল্ট আনতে যেতাম, কারও কারও সাথে বাবা-মাও যেত। ইদানীং অনেক তাড়াতাড়ি রেজাল্ট দিয়ে দেয় দেখছি, স্কুলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, টেনশনের অপেক্ষার সিস্টেমটা মনে হয় আর নাই। ফোন মারফত sms-এ জানা যায়, ওয়েবসাইটে জানা যায়, স্কুল থেকে জানা যায়, অনেক সিস্টেম। আর অনেক দ্রুত ডিটেইল্ড রেজাল্ট দিয়ে দিচ্ছে দেখলাম এই বছরে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন