পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যটির প্রথম জন্মদিন আজ।
সকাল থেকেই বাড়ি জুড়ে হৈ চৈ। রান্না-বান্না, সাজসজ্জা আর বাচ্চাদের হুড়োহুড়িতে জেগে উঠেছে ঘুমন্ত বাড়িটা। বসার ঘরে তুতো ভাইবোনেরা মিলে বেলুন ফোলাচ্ছে, ঝালর ঝোলাচ্ছে। থেকে থেকে একটা করে বেলুন ফাটতে থাকে ফুটফাট শব্দে। ছো্টোরা ভয় পাওয়ার ভান করে চেঁচামেচি জুড়ে দিচ্ছে। মাঝারিরা চোখ মটকে নিজেদের বড়ত্ব ঝালিয়ে নিচ্ছে সেই ফাঁকে।
যার জন্মদিন সে মাঝেসাঝে এসে তদারকি করে যাচ্ছে সবকিছুর, খুশির কোলে চেপে। জন্মের পর থেকেই সে খুশির কোলে। খাওয়া-দাওয়ার সময় ছাড়া বাকি সময়টুকু খুশিকে ভীষণ পছন্দ তার। খাওয়ার সময় সে হাত-পা ছুঁড়ে চিৎকার জুড়ে দেয়। তবুও কীভাবে যেন ভুলিয়ে ভালিয়ে খুশি তাকে কীসব খাইয়ে দেয়।
খুশির আরো কিছু কিছু জিনিসে খুব রাগ হয় ওর। এই যেমন আজ ওকে প্যাম্পার্স পরিয়ে দিয়েছে সেই সকাল বেলা। নিজের ঈদের গোলাপি জামাটা নষ্ট হওয়ার ভয়ে। প্যাম্পার্স পরতে একদম ভালো লাগে না ওর সেটা জেনেও। তিনটেমাত্র দাঁত দিয়ে ও কামড়ে দিতে চেষ্টা করে খুশিকে। তাতেও রাগ হয় না মেয়েটা। বাবুকে কোলে নিয়ে এ ঘর ও ঘর ঘুরতে থাকে হাসিমুখে। হৈ চৈ, হট্টগোল দেখে।
বিশাল ডেকচিতে কাচ্চি রান্না হচ্ছে বাসার পেছনে। ডাইনিং টেবিলে দই আর রসগোল্লার হাঁড়ি সাজানো অনেকগুলো। কেমন যেন ঈদ ঈদ গন্ধ চারদিকে। খুশির মা আর ছোটো ভাইটা আসবে আজ, ঈদের দিনের মতো।
দুপুরের একটু আগে ইয়া বড় একটা বাক্সে জন্মদিনের কেক এসে হাজির হয়। সাদা রঙের ফুল বসানো তাতে। সে ফুল আবার খাওয়া যায়। বাচ্চারা মনে মনে নিজেদের জন্য ফুল বরাদ্দ করে রাখে। পছন্দসই রঙের কাগজের টোপর বেছে নেয় যে যার মতো। দেখতে দেখতে বসার ঘরটা বেলুনে উপচে পড়তে শুরু করে। লাল-নীল-সবুজ-হলুদ-সাদা-বেগুনি-গোলাপি-কমলা-সোনালি। পার্টি শেষ হওয়ার পরে কে কোন রঙের বেলুন নেবে তা নিয়ে শলাপরামর্শ চলতে থাকে কচিদের মধ্যে।
দুপুরের দিকে আসতে শুরু করেন অতিথিরা। হাতে রঙিন কাগজে মোড়ানো এক একটি বাক্স। বাক্সগুলো বসার ঘরে স্তূপ করে রাখা হয়। বেলা বেড়ে যাচ্ছে। তাই খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দেওয়া হয়। খুশি একটু উসখুস করে। ওর মা-ভাই এখনো আসে নি। তারা এলো বেশ পরে। অতিথিদের খাওয়া দাওয়া শেষে যখন কেক কাটার আয়োজন চলছে তখন। তাদের খেতে দিয়ে বসার ঘরে ব্যস্ত হয়ে গেলো সবাই। খুশিকেও হাজিরা দিতে হলো বাবুকে কোলে নিয়ে। বাবু খুব জ্বালাচ্ছে। এতগুলো মানুষ সেজেগুজে, কেক-বেলুন নিয়ে কেন এমন হৈ হল্লা করছে বুঝতে পারছে না সে। কোলে বসেই মোচড়ামোচড়ি করে বিরক্তি প্রকাশ করছে। বড়দের তা নিয়ে ভ্রূক্ষেপ নেই। তারা কেক কাটা আর ছবি তোলায় ব্যস্ত। কেকপর্ব শেষ হলে ছোটোরা বেলুন ফাটাতে শুরু করে। ঘর জুড়ে রংবেরঙের বেলুন ফুটতে থাকে ঠুসঠাস করে। বড়রা খানিক কপট রাগ দেখায় আর ছো্টোরা খিলখিলিয়ে হাসতে থাকে। একটা সোনালি বেলুন উড়তে উড়তে বারান্দায় চলে এলো পথ ভুলে। খুশির মা রাহেলা বানু সেখানে বসে পান চিবুচ্ছে। পাশে খুশির ভাই সোহেল বসে বসে পায়ের নখ খুঁটছিলো। সোনালি বেলুনটাকে উড়ে আসতে দেখে ছুটে গিয়ে লুফে নেয় সে। বেলুনটা দুহাতে সযত্নে ধরে মায়ের পাশে গিয়ে বসে।
পান চিবুতে চিবুতে রাহেলা বেগম চেয়ে দেখে বেলুনের দিকে।
“এইটার বাতাস বাইর কইরা রাখ, বাড়িত গিয়া আবার ফুলাইস।” রাহেলা বেগম ছেলেকে সম্পত্তি রক্ষার পথ বাতলে দেয়।
বুদ্ধিটা মনে ধরে সোহেলের। বেলুনের পেছন দিকের গেরো খুব সাবধানে খুলতে চেষ্টা করে। পাছে ফেটে না যায়।
মন্তব্য
সুন্দর লাগলো সমাপ্তিটা (গল্পটা তো বটেই)।
ধন্যবাদ, পাঠুদা।
ভূটানযাত্রীদের মতিগতি ভালো না কিন্তু! জানেন তো?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যথারীতি একটানে পড়লাম এবং ভাল লাগল।
একবার মনে করলাম বুঝিবা বাবুর চোখে দুনিয়া দেখব। এরপর টের পেলাম গল্পের আবরণটা খুশিকে ঘিরে।
ওদের নিয়ে ওদের মত করে আসলেই আমরা ভাবিনা।
অট:
রমাপদ চৌধুরী'র 'খারিজ' পড়েছেন? আপনার হয়ত ভাল লাগবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
‘খারিজ’ পড়ি নি। আরো কত কিছু যে পড়ি নি। আপনি এর আগে একবার একটা বইয়ের খোঁজ দিয়েছিলেন। সেটাও জোগাড় করা হয় নি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
'খারিজ' আলাদা বই হিসাবে এখন আর পাওয়া যায় কিনা আমি জানিনা, তবে রমাপদ চৌধুরীর উপন্যাসসমগ্রে আছে নিশ্চিতভাবে।
হায়াত্ মামুদের 'শব্দকল্পদ্রুম' খুঁজে পড়ার কথা বলেছিলাম বোধ হয়, বাংলা ব্যাকরণ নিয়ে আমার পড়া অন্যতম সহজবোধ্য বই।
দুটো বইয়ের বিষয়বস্তুর সাথে আপনার আগ্রহ একই বিন্দুতে এসে মেলে বলে মনে হয়েছে, এজন্যই আলাদা করে বলা। ব্যস্ততার ফাঁকে জোগাড় করে যদি পড়ে ফেলতে পারেন তাহলে কেমন লাগল তা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
দারুণ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লাগলো, বুনোহাঁস
ধন্যবাদ, আপু
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভাল্লাগলো
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হুম
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একই জাতীয় বাক্যবিন্যাসের কারণে বর্ণনা কিছুটা ঝুলে গেছে বলে মনে হয়।
তবে গল্পের সমাপ্তি সুন্দর। মানবিক। রাহেলা বেগমকে "আপনি" বললে আরো ভালো লাগতো।
অফ টপিক:
যেহেতু বানান নিয়ে আপনার তৎপরতা বেশি, তাই আপনার লেখায় ভুল বানান পেলে আনন্দ লাগে, টিচারের ভুল দেখলে ছাত্রদের যেমন
এক নজরে দেখা -
বেলুন ফুলাচ্ছে, ঝালর ঝুলাচ্ছে (ফুলাচ্ছে, ঝুলাচ্ছে কি খুব সঠিক? নাকি ফোলাচ্ছে, ঝোলাচ্ছে বলা উচিত? দোলাচ্ছে, বোলাচ্ছে স্মর্তব্য। বুলিয়ে দিই, কিন্তু বোলাই।)
নষ্ট হয়ার ভয়ে (মনে হয় টাইপো। তবে কী লিখতেন ভেবে কৌতূহল হচ্ছে: হওয়ার? নাকি হবার? "দেয়া-নেয়া" সঠিক হওয়া সত্ত্বেও আপনি যেভাবে নাকচ করে দেন, তাতে মনে হয় "হওয়ার" লিখতেন এবং "হবার" ভুল বলে ঘোষণা দিতেন। অথবা উল্টোটা।)
কোন রঙের বেলুন নিবে তা নিয়ে (নিবে? নাকি নেবে?)
খাওয়া-দাওয়ার সময় ছাড়া ... তাই খাওয়া দাওয়া শুরু... অতিথিদের খাওয়া দাওয়া (খাওয়া দাওয়া? নাকি খাওয়া-দাওয়া? হাইফেনসহ আরো কিছু যতিচিহ্নের ব্যবহারে আপনার অনীহা লক্ষ্য করা যায়।)
বেলুনটা দুহাতে সযত্নে (কেন দু'হাতে নয়? দু'টি যেমন? তাহলে "দুটো" কেন? দুইটি থেকে দু'টি। কিন্তু দুটো তো দুইটো থেকে নয়।)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার পরিচয় জানতে পারলে বানান নিয়ে আলাপ করতে উৎসাহ পেতাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনাকে উৎসাহিত করতে পারছি না বলে দুঃখিত। কারণ আলোচনা করার মতো ধৈর্য আমার নেই। কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়েছিল, সেগুলোর কথা জানালাম। গৃহীত হলো কি না, জানার কৌতূহল ছিলো। এর বেশি কিছু নয়।
আপনার কৌতূহল নিবৃত্ত করতে পারছি না বলে দুঃখিত। খুঁজে খুঁজে আমার পোস্টে এবং মন্তব্যে বেনামে বানান বিষয়ে আলাপ আগেও দেখেছি। ভুলস্বীকার করতে আমার আপত্তি নেই, তবে আড়াল থেকে তীর ছোঁড়ার এ প্রবণতাকে সাধুবাদ জানাতে পারছি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শ্রেণীবৈষম্যের চমৎকার উপস্থাপণ
- মুক্ত বিহঙ্গ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্পের বিষয়টা ভালো, কিন্তু বর্ণনা বিষয়ের চেয়ে কিছু কম ভালো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মেনে নিচ্ছি। ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার প্রোফাইলে লিখতে পারিনা জাতীয় বিনয় দেখলাম...
এখন দেখছি লিখতে কোনো অসুবিধে হয় না আপনার...
খুব সহজাত, একদম বুনো...!
অনেক ধন্যবাদ নিয়ে নিন!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে এই লেখা এতখানি প্রশংসার দাবিদার কি না সে বিষয়ে আমি সন্দিহান।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখার বিষয়টা ভাল ছিল। পাঠক হিসাবে একটু বেশী আশা করেছিলাম। একটা কিছু চমকের। একই গতিতে লেখাটা শুরু হয়ে শেষ হয়ে গেল। এজন্যই লেখাটা পড়ে 'কিছু একটা নেই,কিছু একটা নেই' এই অনুভূতিতে ভুগছি।
আপনার লেখার হাত বেশ ভাল,ঝরঝরে, একটানে পড়ে শেষ করা যায়। এতোদিনে সবার কাছে শুনে শুনে নিশ্চয়ই আপনার কাছে কথাগুলো নতুন কিছু আর নয়।
দৃশা
ধন্যবাদ, দৃশা।
শেষ দুই লাইনেই চমক ছিলো। আমি হয়ত ঠিকমতো তুলে ধরতে পারি নি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শেষ হইয়াও হইল না শেষ, চমৎকার ছোটগল্প বুনো। কাল রাতে মন ছিল না পড়ে দেখবার মত। ভাল লেগেছে শেষটা, শুরু অতটা নয়।
পরে আলাপ করব, শুধু জানিয়ে গেলাম ভাল লাগাটুকু।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যে একখান গল্প, তা নিয়ে আবার পরেও আলাপ করবে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হায় বেলুন
সোনালী রং এর বেলুন!
হ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুব ভালো লাগলো পড়ে..।।
ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বেলুনের পেছন দিকের গেরো খুব সাবধানে খুলতে চেষ্টা করে। পাছে ফেটে না যায়।
..............................উত্তেজনাটা টের পাইছি লেখায়। নিমগ্ন হয়া গেছি।
আমি নিজে কোনো উত্তেজনা খুঁজে পাই নি লেখায়। একেবারেই ফ্ল্যাট লেখা। আপনি ভুল বোঝেন নি তো?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লেগেছে, বিশেষ করে লেখার সমাপ্তিটা, তবে আপনি কিন্তু এর চেয়েও ভালো লিখেন।
আচ্ছা। মনে থাকবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিকাছে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোহাঁস ভাই, লেখাটা ভালো লাগলো। যদিও কিছু বানান ভুল হয়েছে।
প্রথম যেদিন সচলে কমেন্ট করি, সেদিন কমেন্টটা ছিল আপনার এক মন্তব্যের বিপক্ষে।
ভাই আপনার ইমেইল আইডি জ়ানা থাকলে খুব ভালো হত। আমি নিজেও খুব বানান ভুল করি। কিছু শিখতে পারতাম আপনার কাছ থেকে।
ভালো থাকবেন।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
লেখাটা তাড়াহুড়ো করে পোস্ট করা মানছি। বানানে আমি তিনটা ভুল দেখতে পাচ্ছি।
হয়ার > হওয়ার [টাইপো]
নিবে > নেবে
খাওয়া দাওয়া > খাওয়া-দাওয়া
আর কিছু থাকলে জানিয়ে দিন। চাইলে haash.buno অ্যাট gmail-এ অ্যাড করে নিতে পারেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শেষটুকু বেশি ভালো লাগলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমারো
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লেগেছে
আচ্ছা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভাল্লাগ্লো! গল্পের শেষটা মচৎকার তবে শুরুর বর্ণনাটুকু কেন জানি না বেশী ভালো লাগে নাই। শেষে এসে বলতে পারি, বেশ ভাল্লাগসে, প্লটটা নষ্ট হয়নাই!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শুরুর বর্ণনাটুকু কেন বেশি ভালো লাগে নাই? প্লিজ, ভালো লাগাও।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্পটা ভালো লাগছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্পটা ভাল লেগেছে।
বেলুনটা ফোলাও (সমাপিকা ক্রিয়া), বেলুনটা ফুলিয়ে দাও (অসমাপিকা ক্রিয়া)।
দরজাটা খোল (সমাপিকা ক্রিয়া), দরজাটা খুলে দাও (অসমাপিকা ক্রিয়া)।
ধন্যবাদ, আলমগীর ভাই।
অভিধানে ঝুলা, ঝুলানো, ঝোলা, ঝোলানো, ফুলা, ফুলানো, ফোলা, ফোলানো সবই দেখতে পাচ্ছি। তারা বলছে ঝোলা, ঝোলানো, ফোলা, ফোলানো যথাক্রমে ঝুলা, ঝুলানো, ফুলা, ফুলানো’র কথ্যরূপ। ঝুলানো, ফুলানো যদি ঠিক বানান হয় তাহলে ঝুলাচ্ছে, ফুলাচ্ছে-ও ঠিক হওয়া উচিত। তবে ঝুলছি হয়, ঝোলছি হয় না। ফুলছি হয়, ফোলছি না। অবস্থাদৃষ্টে আপাতত যা মনে হচ্ছে, উ-কার সবখানেই ঠিক। কিন্তু কথ্যরূপে সবখানে উ-কার ও-কার হয় নি।
[বাংলা একাডেমী বানান অভিধান, সংসদ বাঙ্গালা অভিধান ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অভিধানে ক্রিয়াপদের পাশে স.ক্রিয়া, অস. ক্রিয়া এরকম দেখতে পাবেন। বানান কোনটা ব্যবহৃত হবে তা নির্ভর করবে বাক্যের গঠনের উপর (সমাপিকা হিসাবে না অসমাপিকা হিসাবে)। আবার পুরুষ ও কাল ভেদেও ক্রিয়ারূপের পার্থক্য হয়। খেয়াল করুন:
আমার একটা কথা শোন। (সমাপিকা ক্রিয়া, সঠিক প্রয়োগ)
আমি একটা কথা শুনি। (ব্যক্তিভেদে ক্রিয়ারূপের পার্থক্য, সঠিক প্রয়োগ)
আমার একটা কথা শুনে যাও।(অসমাপিকা ক্রিয়া, সঠিক প্রয়োগ)
কথাটা শুনে অমুক বাড়ি চলে গেল। (অসমাপিকা, সঠিক প্রয়োগ)
শেষ দু্ই বাক্যে কখনো শোনে হবে না। প্রথম বাক্যে শুন দিতে পারেন তুচ্ছার্থে, কিংবা কথ্যরূপে। তবে সাধারণ অর্থে শোন হবে।
সব ক্রিয়াপদ একই রকম নিয়ম মেনে চলে না। প্রয়োগটা মনে রাখতে হয়। অভিধান বানানের ভুল দেখাতে পারে, প্রয়োগের না।
কথ্য ভাষাতে 'সঠিক বানান' বলে কিছু থাকার কথা না। সিলেটকে আমি দিব্যি ছিলেট লিখতে পারি। উচ্চারণটা প্রাধ্যান্য পেলে হয়। ফুলাচ্ছে, ঝুলাচ্ছে কথ্যরূপ ধরলে হয়ত ঠিক তবে শুদ্ধরূপে বাক্যের গঠন অনুসারে ঠিক না।
অভিধানে ক্রিয়াপদের পাশে স.ক্রিয়া, অস. ক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি না। শুধু ক্রি. দেখতে পাচ্ছি। আপনার অভিধান কোনটি?
সে আমাকে গান শোনাল।
সে আমাকে গান শুনাল।
দুটাই ঠিক না?
কথ্যরূপ বলতে চলিত রূপ বুঝিয়েছিলাম। আঞ্চলিক উচ্চারণ নয়।
অভিধানমতে ফুলাচ্ছে, ঝুলাচ্ছে নয়, বরং ফোলাচ্ছে, ঝোলাচ্ছে হলো চলিত রূপ।
আমি কিন্তু এত যুক্তিবিশ্লেষণ করে ঝুলাচ্ছে, ফুলাচ্ছে লিখি নি। দীর্ঘদিনের অভ্যাসবশত লেখা। নতুন রীতিতে যদি পরিবর্তন এসে থাকে তাহলে অন্য কথা। কিন্তু বাংলা একাডেমীর বানান অভিধানের শেষে ‘চলতি ভাষায় ক্রিয়াপদের কতকগুলি রূপ’শিরোনামে হ, খা, দি, নি, শু, কর্, কাট্, লিখ্, শিখ্, উঠ্ ধাতুগুলোর বিবিধ রূপ দেওয়া। শুন্, ঝুল, ফুল্ ধাতুগুলোর উল্লেখ নেই। এসব ক্ষেত্রে একই নিয়ম খাটবে নাকি এদের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলে দেওয়া হয় নি বুঝতে পারছি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শেষটুকু ভাল্লেগেছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঐ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
পুরোটাই ভালো লেগেছে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
জন্মদিন পালনের চিরন্তন কাহিনী সুনিপুণ ভাষায় বর্ণনা করলেন, খুব ভালো লাগলো। তবে গল্পের শেষটা কিন্তু একটা মেসেজ হতে পারে-যেমন নিজেদের অধিকার রক্ষার। অনেক ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
ওভাবে অবশ্য ভেবে দেখি নি। ধন্যবাদ আপনাকে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"কোন বানান ভুল বাইর করতে না পারলে ১০০টাকা জরিমানা করা হবে"
ishumia@gmail.com
ভালো লাগলো!
চমৎকার! শেষটুকু তো খুবই ভালো লাগলো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ভালো লেগেছে,কিন্তু শেষ টা আরেকটু জমলে আরো ভালো লাগতো।
[বিষণ্ন বাউন্ডুলে]
নতুন মন্তব্য করুন