মূল গল্প: আন্তন চেখভের আ স্টোরি উইদাউট আ টাইটেল
সে অনেক আগের কথা। তখনো রোজ ভোরে সূর্য পুবদিকে উঠত আর সন্ধ্যে হলে ক্লান্তিতে ঢলে পড়ত পশ্চিমে। দিনের প্রথম আলো যখন আলতো করে ছুঁয়ে যেত শিশিরের ঠোঁট, বাতাসে স্বপ্নমাখা টাটকা জীবনের শব্দে আড়মোড়া ভেঙে চোখ মেলত পৃথিবী আর দিনশেষে ডুবে যেত নিঃশব্দ অন্ধকারে। প্রতিটা দিন ছিলো আর সবদিনের মতোই। প্রতিটা রাত সেই একই রকম। কখনোসখনো কিছু ঝোড়ো মেঘ হয়ত বজ্রধ্বনিতে গর্জে উঠত অথবা নগণ্য কোনো নক্ষত্র ছিটকে পড়ত আকাশের কোনো প্রান্ত থেকে। কিংবা মঠের অদূরে একটা বাঘের দেখা পেয়ে কোনো সন্ন্যাসী ভয়ার্ত ফ্যাকাশে চেহারায় ছুটে যেত বাকিদের জানাতে। ব্যস, এটুকুই যা হেরফের। এরপর প্রতিটা দিন সেই একই রকম গৎবাঁধা, উত্তেজনাহীন রুটিনবন্দি।
সন্ন্যাসীদের দিন কাটত রোজকার কাজকর্ম আর পুজোঅর্চনা করে। আর তাদের গুরুদেব মগ্ন থাকতেন সঙ্গীতসাধনায়। গুরুদেবের এ এক ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা। তাঁর সুরের মূর্ছনায় মঠের সবচেয়ে বয়সি সন্ন্যাসীরা, যাঁদের শ্রবণশক্তি বয়সের ব্যস্তানুপাতে ক্ষীয়মান, তাঁরাও অশ্রুসংবরণ করতে পারতেন না। তাঁর যেকোনো কথা, তা হোক বৃক্ষ-বিহঙ্গ কি সাগর-পাহাড়ের মতো অতি সাধারণ চিরচেনা কোনো বিষয়ে, সবার আবেগকে তীব্রভাবে নাড়া দিত। তিনি তাঁর বাণীর জাদুতে হাসাতে, কাঁদাতে জানতেন। যখন তিনি ক্রোধে উন্মত্ত হতেন বা আনন্দে উদ্বেলিত হতেন অথবা দারুণ ভালো বা দারুণ মন্দ কিছুর বর্ণনা করতেন কী যেন এক আবেগী শক্তি ভর করত তাঁর উপর। তাঁর চেহারায় ঝলসে ওঠা আবেগের গভীরতা ছলকে উঠত তাঁর দুচোখে। বজ্রনির্ঘোষ কণ্ঠে তিনি যদি সাগরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মাহুতির নির্দেশও দিতেন, মন্ত্রমুগ্ধ সন্ন্যাসীরা হয়তবা সে আজ্ঞা পালনেও তিলমাত্র দ্বিধা করতেন না।
ঈশ্বর-স্বর্গ-মর্ত্যের স্তুতিবাক্যে সাজানো তাঁর কাব্য, কণ্ঠ ও সুর ছিলো সন্ন্যাসীদের আনন্দের উৎস। একঘেয়ে জীবনের ঘূর্ণাবর্তে গাছ, ফুল, শীত, বসন্তও পুরোনো হয়ে যেত। সাগরের গর্জন আর পাখির ডাকও ক্লান্তিকর মনে হতো কখনো কখনো। কিন্তু গুরুদেবের সুর কখনো পুরোনো হতো না। তাঁর সৃষ্টি ছিলো সন্ন্যাসীদের আত্মার সঞ্জীবনী শক্তি। প্রতি বেলা আহার্যের মতোই অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টির উৎস।
যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলো এভাবেই। বনের পশুপাখিরা এগিয়ে গেলো কয়েক প্রজন্ম। আর বাকিসব পুরোনোই রয়ে গেলো। একই রকম সব দিন আর একই রকম সব রাত ঘুরেফিরে কেটে গেলো ছক বেঁধে। লোকালয় তখনো বেশ দূরে। মঠ থেকে নিদেনপক্ষে সত্তর মাইল মরুপথ। জীবনের মায়া ত্যাগ করে, সংসারের সব বন্ধন ছিন্ন করে, নিরুদ্দেশে হারাবার উদ্দেশ্যেই যারা পা বাড়াত পথে, মরুভূমিতে পদধূলি পড়ত তাদেরই।
তাই সেদিন রাতে এক শহুরে ভোগীপুরুষ যখন কড়া নাড়লো মঠের দুয়ারে, সন্ন্যাসীদের বিস্ময়ের অন্ত রইলো না। প্রথমেই জলখাবার চাইলো সে। পূজো না করে, গুরুদেবের আশীর্বাদ না নিয়েই। খেতে খেতে শোনালো তার শিকারের গল্প। শিকারে বেরিয়ে একটু বেশিই মদ খেয়ে ফেলেছিলো সে। নেশার ঘোরে তাই পথ হারিয়ে ফেলেছিলো। আত্মার শুদ্ধিলাভের উদ্দেশ্যে তাকে মঠে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে তার সহাস্য উত্তর: “আমি আপনাদের সঙ্গলাভের যোগ্য নই!”
খাওয়াশেষে সন্ন্যাসীদের দিকে চেয়ে বিরক্ত ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে সে বলে উঠলো:
“আপনারা তো কিছুই করেন না দেখছি। নাওয়াখাওয়া ছাড়া আর তো কোনো কাজ নেই। এভাবেই কি আপনারা আত্মার শুদ্ধি অর্জন করেন? একবার ভেবে দেখুন, যে সময়ে আপনারা এখানে পানাহারে ব্যস্ত আর মোক্ষলাভের স্বপ্নে বিভোর, ঠিক সে সময়েই আপনার পড়শিরা পচেগলে নরকের পথে পা বাড়াচ্ছে। শহরে কী ঘটছে দেখে আসুন একবার! অভাবের তাড়নায় কেউ অনাহারে ধুঁকে ধুঁকে মরছে, আবার কেউ প্রাচুর্য্যের ভারে হাবুডুবু খেতে খেতে তলিয়ে যাচ্ছে গভীর অন্ধকারে। সত্য নেই, বিশ্বাস নেই কোথাও। কে এদের বাঁচাবে? পথ দেখাবে কে? আমার মতো পথভোলা মাতাল? আপনাদের বিনয়, বিশ্বাস আর প্রেম কি শুধু এই চারদেয়ালে অকর্মণ্য জীবনযাপনের জন্য?”
কথাগুলো উদ্ধত আর অচেনা ঠেকলেও গুরুদেবকে বেশ ভাবিয়ে তুললো। সন্ন্যাসীদের সাথে চোখাচোখি হতেই খানিকটা ইতস্তত করে তিনি বললেন:
“ভাইয়েরা আমার, এই লোক ঠিকই বলেছে। অসহায় মানুষেরা অজ্ঞতার কারণে অবিশ্বাস আর পাপের অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। আর আমরা নিশ্চিন্তে হাত গুটিয়ে বসে আছি। আমাদের কি উচিত নয় তাদেরকে ঈশ্বরের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া?”
পরদিন সকালে সন্ন্যাসীদের বিদায় জানিয়ে শহরের পথে পা বাড়ালেন গুরুদেব। মঠটা পড়ে রইলো সুরশূন্য হয়ে। বিষন্ন একটি মাস কেটে গেলো। এরপর আরেক মাস। কিন্তু গুরুদেব ফিরে এলেন না। অবশেষে তিন মাস পরে তিনি উপস্থিত হলেন। উচ্ছ্বসিত সন্ন্যাসীরা ঘিরে ধরলেন তাঁকে। তাদের অনেক প্রশ্ন। অনেক কৌতূহল। কিন্তু সন্ন্যাসীদের উচ্ছ্বাস স্পর্শ করলো না গুরুদেবকে। তিনি নীরব কান্নায় ভেঙে পড়লেন। এ ক’মাসে যেন গুরুদেব অনেক বেশি বুড়িয়ে গেছেন, আরো শীর্ণকায় হয়েছেন। তাঁর চেহারায় ক্লান্তি, একটা অজানা দুঃখের প্রলেপ। তাঁর অশ্রুতে ক্ষোভের উত্তাপ।
তা দেখে সন্ন্যাসীরাও কেঁদে ফেললেন। জানতে চাইলেন তাঁর যন্ত্রণার উৎস কোথায়। গুরুদেব কিছুই বললেন না। নিঃশব্দে নিজের কুঠুরিতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। অনেক অনুনয়-বিনয় করে, তাঁর দুয়ারে কড়া নেড়েও কোনো সাড়া পাওয়া গেলো না। তিনি অন্নজল স্পর্শ করলেন না, নতুন কোনো সুর বাঁধলেন না। শুধু কাঁদলেন টানা সাতটি দিন। বাইরে থেকে শুধু শোনা গেলো তাঁর কান্নার ক্ষীণ শব্দ।
সাতদিন শেষে তিনি বেরুলেন। তাঁর চেহারায় যন্ত্রণা, ক্রোধ আর ঘৃণা। মঠের সব সন্ন্যাসীকে জড়ো করে শান্ত কণ্ঠে এবার তিনি বলতে শুরু করলেন সেই তিনটি মাসের কথা। যাবার পথের পাখির ঝাঁক আর নদীর গল্প বলার সময় তাঁর কণ্ঠে ছলকে উঠলো আনন্দ। তখন তিনি যেন এক যুদ্ধগামী সৈনিক যাঁর বুকভরা স্বপ্ন, যাঁর বিজয় সুনির্ধারিত। স্বপ্নকে সম্বল করে, মনে মনে কবিতা আর সুর ভাঁজতে ভাঁজতে একদিন তিনি পৌঁছে গেলেন তাঁর লক্ষ্যে।
এটুকু বলার পর তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে এলো। শহরের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখে ছলকে উঠলো বিতৃষ্ণা আর কষ্ট। সেখানে তিনি যা দেখেছেন তা কখনো দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন নি। এই বয়সে এসে এতদিনে প্রথমবারের মতো তিনি শয়তানের শক্তি আর মানুষের অসহায়ত্ব উপলব্ধি করলেন। ভাগ্যের পরিহাসে তিনি সর্বপ্রথম পা রেখেছিলেন এক ঝাঁক পদস্খলিতের আড্ডায়। জনাপঞ্চাশেক ধনী সেখানে পানাহারে মত্ত। দারুণ স্বাধীনচেতা, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী আর ভীষণ সুখী সেই লোকগুলো মদের নেশায় চুর হয়ে যা খুশি তা-ই বকে চলেছে। ঈশ্বরভক্তরা নাকি যতসব নচ্ছাড়ের দল। এই মাতালেরা কাউকে ভয় পায় না, ঈশ্বরকে নয়, শয়তানকেও নয়, এমনকি মৃত্যুকেও নয়। তারা রিপুতাড়িত; যা মন চায় তা-ই করে, বলে। তাদের হাতে গলিত সোনার মতো সুরা যার স্বাদ ও গন্ধে মত্ত মানুষগুলো বারেবারে ঠোঁট ছোঁয়াচ্ছে পেয়ালায়। প্রতি চুমুকে এক অবর্ণনীয় নিষিদ্ধ আনন্দ ছলকে উঠছে তাদের চোখেমুখে।
গুরুদেব অশ্রুবিজড়িত কণ্ঠে বলে যেতে লাগলেন সেসব অনাচারের কথা। সেই উন্মত্ত আড্ডার মধ্যিখানে টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে এক অর্ধনগ্ন নারী। কী নিষ্ঠুর সুন্দর সেই রমণী! যেন এক যৌবনবতী, দুঃসাহসী সর্পদেবী। তার দীঘল চুল, বাদামি ত্বক, কালো চোখ, ভরাট ঠোঁট আর নির্লজ্জ হাসির ফাঁকে ঝকঝকে দাঁতের পাটি যেন অদম্য ঔদ্ধত্য নিয়ে বলছে: “এই যে আমায় দেখো!” রেশম আর জরির ভাঁজ থেকে বসন্তের অঙ্কুরোদ্গত নতুন ঘাসের মতো উঁকি দেয় তার খোলা কাঁধ। সে মদ খেলো, গান গাইলো আর নিজেকে সঁপে দিলো অচেনা পুরুষদের আলিঙ্গনে।
গুরুদেব ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে হাত নেড়ে বলতে লাগলেন ঘোড়দৌড়, মোষের লড়াই, থিয়েটার আর সেসব স্টুডিওর কথা যেখানে নগ্ন নারীদের ছবি আঁকা হয়, মূর্তি গড়া হয়। আর সন্ন্যাসীরা হতবিহ্বল হয়ে শুনে গেলেন শহরের সেই দুঃসহ, দুঃসাহসী বর্ণনা।
শয়তানের তাবৎ কীর্তি আর ধ্বংসযজ্ঞের ভয়ংকর রমণীয় রূপের বর্ণনা শেষে শয়তানকে শাপশাপান্ত করে গুরুদেব নিজের কুঠুরিতে ফিরে গেলেন। পরদিন সকালে কুঠুরি থেকে বেরুলেন তিনি। দেখলেন মঠ জনশূন্য।
সব সন্ন্যাসী মঠ ছেড়ে পালিয়ে গেছে শহরে।
মন্তব্য
চেখভ প্রিয় লেখকদের একজন!
তাঁর 'জনৈক আমলার মৃত্যু' আমার প্রিয় গল্পের একটি।
এটাও অনেক ভালো লাগলো !
এই জন্যেই কই সাদু সোন্নাসি ভালা না!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
'জনৈক আমলার মৃত্যু' পড়ি নাই এখনো।
অনুবাদ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভাল লাগল । খুব সুন্দর অনুবাদ ।
মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরছে, করেই ফেলিঃ লাগল, রইল - তে কি ও কার হয় ?
যেমন আপনি লিখেছেন "মঠটা পড়ে রইলো সুরশূন্য হয়ে । "
অথবা আমি যেমন লিখলাম "ভাল লাগল ।"
নিয়মটা আসলে কী ? কখন ও - কার দিব আর কখন দিব না ?
ফাহিম হাসান
ধন্যবাদ।
বাংলা একাডেমী ও-কারের যথেচ্ছ ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া অনুরূপ ও-কার ব্যবহার করা হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে এমন অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়াপদ এবং বিশেষণ ও অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে ও-কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব ঘটতে পারে। সে হিসেবে রইল ঠিক, রইলো ভুল। কিন্তু যুক্তি হিসেবে "বিশেষ ক্ষেত্র" অনেকটা "নিপাতনে সিদ্ধ"-এর মতো দুর্বল মনে হয় আমার। সার্বজনীন নিয়ম থাকলে "কখন ও - কার দিবো আর কখন দিবো না" প্রশ্নই উঠত না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাহ দারুণ গল্প!
ঝরঝরে অনুবাদটির জন ধন্যবাদ।
এরকম আরো আসুক
সংসারে এক সন্ন্যাসীর কথা মনে করিয়ে দিলেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোহাঁস শাব্বাস!!
জ. ই. ন.
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চেখব আমারও খুব প্রিয়। ভালো লাগলো।
সুমিমা ইয়াসমিন
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এই গল্পটা আরো কারো অনুবাদে পড়েছিলাম
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ওটাতে লোকালাইজেশন ছিল না অতটা
০২
দুর্দান্ত অনুবাদ
০৩
শুভ সচল
(এখন থেকে নিশ্চয় লেখার ধার আর পরিমাণ কমে যাবে)
লোকালাইজেশন কি ভালো?
০২
অসংখ্য ধন্যবাদ
০৩
আবারো ধন্যবাদ
(কী জানি!)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার অনুবাদ ! আমারও শহরে যাইতে মন চায় !
দুঃখ হচ্ছে, আর এরকম অনুবাদ পাওয়া যাবে না বলে ! সচল অভিনন্দন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ, রণদা!
আমারও শহরে যাইতে মন চায় !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাহ, অনুবাদ ভালো লেগেছে...
তবে এই পোস্ট ভাল্লাগে নাই, সচল হৈলে সবাইরে থ্যাঙ্কু দিয়া একটা পোস্ট দিতে হয়- জানেন না ??
...সচলাভিনন্দন।
_________________________________________
সেরিওজা
অনুবাদ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
থ্যাঙ্কু পোস্ট দিতে লইজ্জা লাগে। "আমার জর্মদিন, আমারে ইউশান" মনে হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চোখ পরীক্ষা করাতে হবে, সচল হওয়াটা চোখ এড়িয়ে গেছে প্রথমে, আন্তরিক অভিনন্দন!!
গল্প ভাল লাগল, কাকে অভিনন্দন জানাই ভাবছি!?
গল্পকারকে নাকি অনুবাদক-কে?
দুজনকেই উচিত বোধ হয়, তাই সই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ!!!!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরেহ! খেয়াল করিনি তো!
পূর্ণসচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অভিনন্দন!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপুউউউউউউউউউউউউ... চেখভ মিয়ারে ভালা পাই...আর গল্পটার অনুবাদ হইসে সেইরাম! আর অভিনন্দন সচলত্ব প্রাপ্তিতে!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
থেঙ্কু আপুউউউউউউউউউউউউ...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নিজ লেখা সম্পাদনার কর্তৃত্ব অর্জনে শুভেচ্ছা।
আজকে নতুন লেখা পড়তে পেলে বেশি ভাল লাগত।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ।
অনুবাদটা সচলায়তনে দেওয়ার জন্যই করেছিলাম। তখন সম্পাদনার সুযোগ ছিলো না বলে কাটাছেঁড়ার জন্য নিজের ব্লগস্পটে রেখেছিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনুবাদ ভাল লাগল বুনোপা
সচলাভিনন্দন কিন্তু শীতকাল আসার আগেই আবার ঘুম দিয়েন না
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ।
ঘুম দিয়েই উঠলাম। দেখা যাক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চেখভ এমনিতেই প্রিয়, অনুবাদ ঝরঝরে।
অভিনন্দন।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ধন্যবাদ, আপু
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুন্দর অনুবাদ। সচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন!
ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপু কেমন আছেন?
ভালো লাগলো অনুবাদটা।
আমি মূলটা যেহেতু আগে পড়িনি তাই মনে হয় বেশি ভালো লেগেছে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
এই তো আছি, ভাই।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বেশ ভালো লাগলো লেখাটা। (আগেও বলেছিলাম সম্ভবত)
সচল হবার অভিনন্দন
ধন্যবাদ। (না, আগে বলেন নি)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অভিনন্দন সচলত্বপ্রাপ্তিতে।
চমৎকার লাগল লেখা।
বেশি বেশি লিখুন।
ধন্যবাদ, আপু!
লিখতে তো চাই-ই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- এজন্যই আমি শহরে থাকি...
- প্রথমে আপনার অনুবাদ পড়লাম; তারপর মুল গল্প পড়লাম। আপনার অনুবাদ বেশ ভাল লাগল।
অনন্ত
- আমিও
- ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনুবাদ বেশ লাগল।
সচলাভিনন্দন! (তালিয়া)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ, তিথী!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্পটা মনে হয় সবার প্রথমে আমিই পড়েছিলাম।
সচলত্বে অভিনন্দন।
কি মাঝি, ডরাইলা?
আপ্নে ছেকেন্ড
ওয়ান টু
থ্যাঙ্কু
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সচলাভিনন্দন
অনুবাদ খুব ভাল লেগেছিল, এখন আরেকবার বললাম
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আগেই পড়েছি, মন্তব্য করা হয়নি। ভালো লেগেছে অনুবাদ।
সচলত্বে অভিনন্দন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ, তাসনীম ভাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনুবাদ নিয়ে আগের মন্তব্যই আবার রিপিট করলাম, আর সচলত্বপ্রাপ্তির জন্য অভিনন্দনটা নতুন হিসাবে দিলাম
গল্পের খসড়া পড়ে মতামত জানানোর জন্য আর অভিনন্দনের জন্য দুটো বিশাল বিশাল ধন্যবাদ, আপু
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্পটা খুব ভাল লাগল। সচল হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।
অসংখ্য ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সচলাভিনন্দন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ, গৌতমদা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
...কিন্তু চেকভ না চেখভ?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
চেকভ > চেখভ > চেকভ ... এই পর্যন্ত তিনবার বদলালাম। কোনটা ঠিক আপনিই বলেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
স্যরি, আপনি যে তিনবার বদলেছেন জানতাম না। আর কোনটা ঠিক, আমিও জানি না। স্যরি এগেইন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অদ্ভুত তো! স্যরি কেন? আমি নিজে নিশ্চিত নই বলেই তো বললাম।
আপনি বলার পর নেট ঘেঁটে দেখলাম kh-এর উচ্চারণ ক এবং v এর উচ্চারণ ফ আর ভ-এর মাঝামাঝি। তাহলে বোধহয় চেকভই ঠিক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রুশ ভাষাতত্ত্ব ও ধ্বনিতত্ত্বে ডিগ্রিধারী একজন কনফার্ম করলেন উচ্চারণটা চেখভ/চেখফ। রুশ ভাষায় ক আর খ-এর জন্য আলাদা বর্ণ রয়েছে এবং চেখভের নামটা খ-দিয়েই লেখা হয়। আর শেষে ভ/ফ যেকোনোটা দেয়া যায় কারণ উচ্চারণটা মাঝামাঝি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আচ্ছা, তাহলে "চেখভ"ই সই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
জট্টিলস!
চেখভের লেখা ভালু পাই। অনুবাদ ও ভালো লাগল।
সচল হওয়ায় অভিনন্দন।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরে আরে !!
অভিনন্দন আভিনন্দন!!!
............................................................................................
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আরে আরে !!
ধন্যবাদ ধন্যবাদ !!!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সচলাভিনন্দন!
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হে হে হে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সচলাভিনন্দন!!!
কিন্তু এমন উপলক্ষে পুরনো লেখা কেন? একটা কড়কড়ে নতুন লেখা হলে মানানসই হতনা?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ, পাণ্ডবদা।
খসড়া পড়ে মন্তব্য করার জন্যও ধন্যবাদ।
লেখাটা কি খুব বেশি পুরোনো হয়ে গেছে?
আচ্ছা, দেখি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখা ভাল লেগেছে।
সচলত্বের জন্য অনেক অভিনন্দন গ্রহন করুন
ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনুবাদ ভাল্লাগলো।
অনুবাদ দিয়ে পূর্ণসচলত্বের শুরু বলে ধরে নিচ্ছি ব্যাপক আগ্রহ-অনুবাদে। বিক্ষিপ্ত না করে পরিকল্পনামতো অনুবাদ শুরু করুননা।
ধরেন-চেখভের একডজন গল্প অনুবাদ করলেন, তারপর ধরলেন অন্য কাউকে। তাহলে পাঠকের লাভ হলো- একের পর এক সে পেয়ে গেলো একেকজন মহারথী'কে।
আর আপনার লাভ? সে না হয় নিজেই বুঝে নিলেন
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ।
আমি চেখভের আরেকটা গল্প অনুবাদ করব বলে ভাবছিলাম। আ্পনার বুদ্ধিটা ভালো লাগল। সেজন্য আবারো ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন মন্তব্য করুন