উনুন থেকেই বলছি। সব অর্থেই। অফিসে বস জ্বালায়, রাস্তায় ট্র্যাফিক, বাসায় ইলেকট্রিসিটি।
আমি সচরাচর রেগে উঠি না। কিন্তু যখন রাগি তখন সেই অভাবটুকু পুরোদমে পুষিয়ে দেই। রাগটা আসে এক ঝলক বিদ্যুৎতরঙ্গের মতো। এলো আর গেলো। কিন্তু মাঝখান দিয়ে মেরামতের অযোগ্য কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। আসা-যাওয়ার মাঝের সময়টা সামাল দিতে পারলেই কেল্লা ফতে।
সেজন্য যেকোনো উপায়ে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করতে হবে। মুভি দেখা যায়, আড্ডা দেওয়া যায়, নতুন কিছু বানানো যায়। সবচেয়ে ভালো হয় কাউকে মাইর দিলে। কিন্তু তাতে পরবর্তীতে অপরাধবোধে ভোগার আশঙ্কা থাকে। তারচেয়ে বরং ঘন্টাখানেক ঝাড়া হেঁটে ঘরে ফিরে, গোসল করে, চা খেয়ে টানা একটা ঘুম দিলে বেশ ভালো কাজে দেয়।
আমার বস যিনি তিনি বস হিসেবে ভালো। উচ্চশিক্ষিত, ধোপদুরস্ত, জাঁহাবাজ লোক। খুউল, স্মার্ট, স্পোর্টি এন্ড ফ্রেন্ডলি। বয়েস ত্রিশের কাছেপিঠে। তিনি কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারেন শুরুতে এমনটা মনে হয়নি মোটেও। সমস্যাটা শুরু হলো রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে। কিছুদিন ধরে তিনি লক্ষ্য করছিলেন আমি রোজা রাখছি না। কয়েকদিন উসখুস করে একদিন জিজ্ঞেস করেই বসলেন।
“আপনি কি রোজা?”
“জ্বি না।”
“কখনোই রাখেন না?”
“জ্বি না।” (বেটা, তোর কী?)
“নামাজ-কালাম পড়েন তো?”
“জ্বি না।” (তোর কী?)
(কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা)
“আপনার ধর্ম কী? ইসলাম না?”
“কাগজে-কলমে।” (তোর কী?)
“আসলে কী?”
“অ্যাগনস্টিক বলতে পারেন। সংশয়বাদী।”
এবার তিনি ভূত দেখার মতো চমকে উঠে চেয়ে রইলেন আমার দিকে। আবারো কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা।
“দ্যাট মিনস ইউ আর স্টিল নট কনফিডেন্ট অ্যাবাউট দ্য এক্সিস্টেন্স অফ গড?”
“আই অ্যাম কনফিডেন্ট অ্যাবাউট হোয়াট আই অ্যাম।”
“আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে আল্লাহ নাই?”
“আছেন যে সেটাও তো প্রমাণ করতে পারব না। ইউ হ্যাভ টু মেক চয়েজের ইদার টু বিলিভ অর নট।”
রুমের আরেকজনকে ডেকে বস বললেন, “এ্যাই, তুমি প্রুভ করতে পারবা যে আল্লাহ নাই?”
মাথার ভেতর পরিচিত সেই বিস্ফোরণটা অনুভব করলাম এবার। মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করা জরুরি। আমি রুম থেকে বের হয়ে লাঞ্চ করতে ক্যান্টিনে চলে গেলাম।
বিশের পর আবারো এসব নিয়ে ভাবতে হবে ভাবি নি কখনো। বিশ পেরুতে না পেরুতেই আমি বুঝে গেছিলাম ধর্ম বিষয়ে তর্ক অর্থহীন। এমনকি নাস্তিকতাও একটা ধর্ম। আস্তিকদের “এ্যাই, তুমি কি নামাজ পড়ো?” আর নাস্তিকদের “এ্যাই, তুমি নাকি নামাজ পড়ো!”র মধ্যে আমি বিশেষ কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না। আমার হিসেব খুব সাদামাটা। ঈশ্বর সম্পর্কে যুক্তি আর বিশ্লেষণ দিয়ে কারুর ধর্মীয় অনুভূতিতে আমি আঘাত হানতে চাই না। ঈশ্বর যদি থাকেন, তিনি যদি সবকিছুর ঊর্ধ্বে, সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞ হয়ে থাকেন তবে আমার যুক্তি বোঝার ক্ষমতা তিনি অবশ্যই রাখেন। আর যদি আমার বুদ্ধিতে ফাঁক থাকে, যদি আমি ভুল বুঝে থাকি তাহলেও বলব এ একান্তই আমার আর ঈশ্বরের মধ্যবর্তী ব্যাপারস্যাপার। দোযখে পুড়লেও যেহেতু একাই পুড়ব, তাই অন্য কারুর নাক গলানোর প্রয়োজন দেখি না।
আমার এক চাচী আছেন। ভীষণ ধার্মিক। নামাজ-কালাম-রোজা-পর্দাপুশিদা সবকিছুতেই নিষ্ঠাবান। এক রোজার ঈদে তাঁর বাসায় বেড়াতে গেছি অনেকে মিলে। আমি তখন কলেজে পড়ি। এক আত্মীয়া আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “এইবার কয়টা রোজা রাক্সো?”। আমি ভদ্রকণ্ঠে বললাম, “আমি রোজা রাখি না।”
আমার সেই আত্মীয়া আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। চাচী তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, “এভাবে জিজ্ঞেস করা ঠিক না। কেউ রোজা রাখলে তার জন্য ভালো। তার সওয়াব হবে। কিন্তু সে যদি রোজা না রাখে সবার সামনে জিজ্ঞেস করলে সে অপ্রস্তুত হতে পারে। কাউকে প্রকাশ্যে অপ্রস্তুত করলে আল্লাহ নাখোশ হবেন।” আমি জানি না চাচী এই ফতোয়া কোথায় পেয়েছেন। আমি ধরে নিয়েছি এটা তাঁর নিজস্ব বিশ্বাস। কারণ সবাই আমার চাচীর মতো ভালো মানুষ না। আমার বসের মতো বকধার্মিকও অনেক আছেন যারা নিজে ধর্মপালন করেই আশ্বস্ত হন না। যে কোনো শর্তে অন্যকে হেনস্থা করাটাকেও ধর্মের অংশ বলেই মনে করেন।
এখন বসকে কী করে বুঝাই তার এই অযাচিত কৌতূহল আমার জন্য পীড়াদায়ক? কাজের জায়গায় কোনো তিক্ত তর্কাতর্কি চাই না আমি। ভদ্রভাবে এড়ানোর চেষ্টা করাই বুদ্ধিতে সায় দিলো।
দুদিন আগে লাঞ্চ করে ফিরছি।
বস বললেন, “খাইসেন?”
“জ্বি।”
“কী খাইলেন?”
“কেন জানতে চান? শুধু শুধু কষ্ট পাবেন।” (মুচকি হেসে)
তিনিও মুচকি হেসে থেমে গেলেন।
গতকাল সকালের কথা। অফিসের মেজাজ বেশ হালকা। আড্ডাবাজি চলছে।
আমার বস রোজার মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে শুরু করলেন। আমাকে দেখিয়ে আরেক সহকর্মীকে বললেন, “জানেন, সে রোজা রাখে না! রোজার ব্যাপারটা এত দারুণ! আপনি বিশ্বাস না করতে পারেন, কিন্তু দেখবেন এতে কত উপকার। রোজা আপনাকে ডিসিপ্লিনড হতে শেখায়।” বলে চোখ মটকালেন আমার দিকে চেয়ে।
“আমি যথেষ্ট ডিসিপ্লিনড।”
সাথের অন্যজন বললেন, “আসলে রোজা মানে তো খালি না খেয়ে থাকা না। রোজা নিজেকে কন্ট্রোল করতে শেখায়। যেমন দেখেন, রোজার সময় গালাগালি করা যাবে না।”
“আমি এমনিতেও কখনো গালি দেই না।” (রোজার মাসে আমাকে উত্যক্ত করাটাও গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা না।)
আলাপ আর বেশিদূর গড়ালো না। নিচে মিটিঙের ডাক পড়ল বসের। তিনি উঠে পড়লেন।
সারাদিন মেজাজ খিঁচড়ে থাকল। বিকেলে বাসে করে ফিরছিলাম। ধুঁকে ধুঁকে চলা বাসে বসে চিঁড়েচ্যাপ্টা হতে হতে মহাখালী হাইওয়ে পর্যন্ত এসে আর সহ্য হলো না। নেমে হাঁটা দিলাম। হাঁটতে হাঁটতে বিজয় সরণি হয়ে সংসদ ভবন এলাকায়। সংসদ ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেয় না এখন। আমি শর্টকাট মারার আশায় কী মনে করে সেদিকেই পা বাড়ালাম। ঢোকার মুখে একটা চেকপোস্ট। সেখানে বড় বড় হরফে লেখা, “প্রবেশ করার আগে অবশ্যই নিজের পরিচয় জানাবেন।”
আমি দায়িত্ববান নাগরিকের মতো নিজের পরিচয় জানাতে দাঁড়ালাম। দারোয়ান আমার গলায় ঝোলানো অফিসের অ্যাকসেস কার্ডে চোখ বুলিয়ে বললেন, “ঠিকাছে, যান।” পেছন থেকে আরেক চাচামিয়া বললেন, “উনারে যাইতে দেন, আমি উনারে চিনি।” হেসে ফেললাম। দারোয়ান চাচা গলায় ঝোলানো কার্ড দেখেই খুশি। এই কার্ডের পরিচয় জানার প্রয়োজন নেই তার। কার্ডে কার্ডে যে পার্থক্য থাকে তাও জানা নেই উনার। আরেকজন কিনা বলে দিলেন আমাকে চেনেন। বেশ! ব্যাগে একটা বোমা রাখলেই আজকে সংসদ ভবন আরামসে উড়িয়ে দেওয়া যেত। অনেক অনেকদিন পর সংসদ ভবনের ভেতরটা দেখলাম।
.............................................................................................................................
লেকের পাশ দিয়ে, টানেলের ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে বের হয়ে আসাদ গেটে চলে এলাম। আর কিছুদূর গিয়ে ঢুকলাম ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ডে। কেনাকাটা করতে না, এসির বাতাস খেতে। অনেকখানি হেঁটে ঘেমে গেছি, তাই। ভিতরে ঢুকে দেখি এসি নষ্ট। ঘুরেফিরে এক টিন সার্ডিন মাছ আর এক প্যাকেট কাজু বাদাম কিনলাম। “নতুন কিছু” হিসেবে আজ রান্নার চেষ্টা করব ভাবলাম। বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে এলাম। ফেসবুকে এক বন্ধুর সাথে “খাইষ্টা বস পিষ্টকরণ”-এর দীক্ষা নিলাম কিছুক্ষণ। রাঁধতে গেলাম দশটার দিকে। আগেই বলে দিই রান্না খুব ভালো হয়েছিলো। এত অল্প পরিশ্রমে যে মজার কিছু রান্না করা যেতে পারে আমার ধারণা ছিলো না। এবার রেসিপিটা দিয়ে দিই।
উপকরণ:
টিনের সার্ডিন মাছ ১২৫ গ্রাম
কাজু বাদাম ৩৫ গ্রাম
পেঁয়াজ বড় ১টা, কুচোনো
রসুন ১ কোয়া, কুচোনো
মরিচ ৩টা, চিরে দেওয়া
টমেটো সস দেড় চা-চামচ
তেল, জানি না। আমি টিনের ভেতর যে সূর্যমুখী তেল ছিলো সেটা দিয়েই রেঁধেছি।
লবণ ২ চিমটি
প্রণালী:
১। আগুনে প্যান দিয়ে তাতে পুরো তেল ঢেলে দিলাম। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ দিলাম। আমি প্রথমে পেঁয়াজ দিয়ে নেড়েচেড়ে তারপর রসুন, সবশেষে মরিচ দিয়েছি। সবগুলো একসাথে দিলেও অসুবিধা নাই মনে হয়।
২। ছোট দুইটা সার্ডিন মাছ ছিলো টিনে। পেঁয়াজ-রসুন-মরিচ থেকে একটা মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ বেরুলে মাছ দুটো ভেঙেচুরে প্যানে দিয়ে নাড়লাম কিছুক্ষণ।
৩। টমেটো সস দিয়ে নাড়লাম।
৪। কাজু বাদাম দিয়ে নাড়লাম। (এত নাড়ানাড়ির আদৌ দরকার ছিলো কি না জানি না।)
৫। ভেবেছিলাম সামুদ্রিক মাছ, তায় আবার সল্টেট কাজু বাদাম। তাই বোধহয় লবণ লাগবে না। কিন্তু চেখে দেখি লবণ কম। লবণ দিলাম।
একটু পানি দিয়ে ঢেকে দিলাম। এর দরকার ছিলো কি না তাও জানি না। টিভিতে দেখি রান্না করে ঢেকে দেয়। তাই দিলাম। দুই মিনিট পর নামিয়ে নিলাম।
............................................................................................................................
সময়: ৬-৭ মিনিট।
ডিশের একটা নাম দেওয়া দরকার। নাম দিলাম “সিজলিং সার্ডিন উইথ ক্যাশুনাট”। হে হে হে … ডিশের ইজ্জত বেড়ে গেলো।
খেয়েদেয়ে সবাই খুশি। সবচেয়ে বেশি খুশি আমি নিজেই। রান্নাবান্না করতে গিয়েই মাথা ঠাণ্ডা হয়ে গেলো। উনুনেই আমার নটে গাছটি মুড়ালো, আমার মাথাও জুড়ালো।
মন্তব্য
আদর্শ ব্লগরব্লগরের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
কি মাঝি, ডরাইলা?
এগয্যাক্টলি!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আব্বা ভাই ও বালিকা বইন- দুইজনের জন্যই ছলছল চোখে থেঙ্কু।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওরে, বুখে আয় বুনো!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি কী দুষ করলাম?
কি মাঝি, ডরাইলা?
আব্বা-ভাই হাহাহাহাহাহা!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাল্লাগসে লেখাটা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
বস কি ফ্রেঞ্চ কাট নাকি এখনো?
ইলেক্ট্রিকাল সার্জ বলায় এই গানটা মনে পড়ল। এইটা অবশ্য স্টর্ম !
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনি অন্তর্যামী।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"Bono didn't make the largest crap on earth, he is the largest crap on earth." সাউথপার্ক রক্স
কি মাঝি, ডরাইলা?
লাআআআআইইইইইক্কক্ককজ্জজ্জ...
এই কমেন্ট দেখে অনেকক্ষণ সংসদ সদস্যদের মত টেবিল চাপড়ালাম!
এবাবে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কি আর কমু। আমার এক বন্ধু একবার আমারে কইসিল ধর্মের ব্যাপারে পাবলিক প্লেসে কুন চু - চা করবানা কারণ সবার আগে জান। এইটা আমি অক্ষরে অক্ষরে মাইনা চলি। ধর্মসহিষ্ণুতা ব্যপারটাকে সেনা আর সেনাসমর্থিত শাসনামলে সিস্টেমেটিকালি ধ্বংস করা হইসে। যাই হউক, লেখা ভালো হইসে। রান্না করলে আমারও মেজাজ ভালো হয় - এটা একটা পরীক্ষিত থেরাপি, সবাই ট্রাই করতে পারেন।
ধর্ম নিয়ে গলাবাজি করতে আমারো ভাল্লাগে না। যে যেটায় শান্তি পায় করুক। কিন্তু নিজের ধর্ম অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা দেখলেই মেজাজটা বিগড়ে যায়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এতো ব্লগরব্লগর করেন ক্যান... গ্রররর...
_________________________________________
সেরিওজা
ব্লগরব্লগরব্লগর ... (রাগ কেনু?)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
১.
অ্যাগনস্টিক আর অ্যাথেয়িস্টের বাইরে পশ্চিমে "নো রিলিজিওন" বলে আরো একটা অপশন আছে। অর্থাৎ আমার রিলিজিওন আছে না নাই তাতে তোমার কী? বাংলাদেশের পাসপোর্টে রিলিজিওন অপশন না থাকাকেও এই জায়গা থেকে শ্রদ্ধা করি।
২.
আমি সার্ডিনে কাজুবাদাম দেই না। পেঁয়াজ দেই দুবার। একবার মাছ দেওয়ার আগে রসুন আর কাঁচা মরিচের সাথে আরেকবার মাছসহ পেঁয়াজ ব্রাউন হতে শুরু করার মুখে।
আমার পরিচিত এক সন্দেহভাজন শিবির ঘরে বৌ থাকা সত্ত্বেও চিত্ত চাঞ্চল্যের ভয়ে পেঁয়াজ কম খায়। সার্ডিনের এই প্রিপারেশানে সে আমার অর্ধেক পেঁয়াজ দেয়
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
১.
আমার জন্য আসলে "নো রিলিজিওন"-ই পার্ফেক্ট।
২.
আমি কিছুতেই কিছু দেই না। এইটা একটা আবজাব রান্না। চিত্তচাঞ্চল্য কমানোর জন্য
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নামকরন ঠিকমত হয়নি।
উনুনের কেচ্ছা না হয়ে হ-য-ব-র-ল হলে ঠিক হতো।যথারীতি ছাত্রের গরুর রচনা লিখতে বসে গরু নদীতে পানি খেতে গেল- বলেনদীর বর্ননা লেখা শুরু করার মত।
তবে একটা কথা কি কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইসলামের ৫টি স্তম্ভ।এই ৫টি অনুশাসন যারা মানেনি তাদের কি হয়েছে বলতে পারব না, তবে যারামেনেছে বা পালন করছে তাদের যে উপকার ছাড়া কোন ক্ষতি হয়নি তা হলফ করে বলতে পারি।আমি একটি ওয়াজে শুনেছি- আপনাকেও শুনানোর প্রয়োজনবোধ করছি।
নামাজ বেহেস্তের চাবি। ধরেন আপনি ইহজগতে পুন্য করার কারনে বেহেস্তে গেলেন।
গিয়ে দেখবেন- বেহেস্তের দরজা বন্ধ, তালা মারা। তখন আল্লাহর কাছে জানতে চাইবেন, আল্লাহ আমাকে বেহেস্তে পাঠিয়েছ কিন্তু বেহেস্তের দরজায় তালা কেন?
আল্লাহ বলবেন, তালার চাবি তোমার পকেটে।
আপনি পকেটে হাত দিয়ে দেখবেন, চাবি নেই।
তখন আপনি অসহ্য হয়ে বলবেন, পকেটে তো চাবি নেই।
আল্লাহ হাসিমুখে বলবেন, নামাজই হল বেহেস্তের চাবি। তোমার পকেটে চাবি নাই মানে তুমি নামাজ পড় নাই। তোমার স্থান দোজখে।
একবার চিন্তা করে দেখুন সব ভালো ভালো কাজ করার পরও আপনি অল্পের জন্য বেহেস্তে যেতে পারলেন না। তাই, কী দরকার নামাজ-রোজা বাদ দেয়ার? জীবনে কত সময়ই তো আমরা অপচয় করি। আমার ধর্মে এসব বিধি বিধান থাকলে আমি পালন করতাম, সবাইকে পালন করতে বলতাম। আমার কাছে ধার্মিক লোকদের কদরই আলাদা।
নিজের রান্না নিজে খেয়ে ভালো বললে তো হবে না। সবাইকে খাওয়াতে হবে, সবাই যদি ভাল বলে তবেই ভালো। বেরোজদারী, বেনামাজিদের হাতে আমি কিছু খাই না। তাই রান্না আদৌ ভালো হয়েছে কি না বলা যাচ্ছে না।
বিপ্লব কুমার কর্মকার
ছাগুকমেন্টোদাহরণ ১
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
জ্বি
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
পারি নাআআআআআআআআআআআ!!!!!!!!
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
আলহামদুলিল্লাহ! জবর মন্তব্য করেছেন ভাই! আমার কাছেও বক ধার্মিক লোকেদের কদরই আলাদা! তাদের আমি সযতনে গোনার বাইরে রাখি!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনাকে আল্লাহ পাক হেদায়েত করুন। ২৪ ঘন্টা না ঘুমানো, সকাল ৯টা থেকে রাইতের ১১টা পর্যন্ত টানা অফিসে কাজ করা, সকালের নাস্তার পর এখনও পেটে কয়েক'শ কাপ কফি ছাড়া আর কিছু পরে নি......তার পরও আপনার মন্তব্য দেখে মনটা খুশ হয়ে গেলো। এরেই বলে এন্টারটেইনমেন্ট।
ক'দিন আগে একজন ফেইসবুকে কইসিলো সায়েন্স আসলে কিছু জানে না, কারন "Science could not successfully discover human brain yet." কি আর কমু, সারাদিন মনটা খুশি ছিল।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
সিমি।
হেহেহে ...... পড়ে অনেক মজা পেলাম।
এই বকধামিক গুলারে দেখলেই মেজাজ গরম হয়া যায়। এরা নিজেরা যে ধ্ম পালন করতেসে এটা অন্নকে দেখায়ায় আসলে সবচেয়ে বেশি মজা পায়।
আপনার চাচির মত ভাল ধামিক কখনও পাইসি বলে মনে পড়েনা।
আর মসজিদের হুজুর বেচারারা মাঝে মাঝে না বুঝে এমন রদ্দিমারা এমন মজাদার কিছু কথা বলে যে হাসি চেপে রাখাই কস্তকর।
ভালো ব্লগরব্লগর। বাড়াবাড়ি নিয়ে মন্তব্য না করি, আমারও মাথায় রক্ত চড়ে যায় এসবে।
ধর্ম নিয়া ক্যাচাল বহুত, ইনফ্যাক্ট মোস্ট অব দ্য ক্যাচাল ধর্ম নিয়েই(ব্যক্তিগত মত এটা, দয়া করে এই নিয়ে পোষ্টে ক্যাচাল কইরেন না কেউ)।
রান্না কথা পড়ে প্রথমে ভাবছিলাম খাইতে চাবো, পরে দেখি চিংড়ি দেওয়া ।
আগে প্রায়ই সংসদ ভবনে যেতাম। গেটের গার্ডগুলান আসলেই কাজের না। আমাকে আগে যেমন জিজ্ঞেসই করতো না আমি কে!!! নিয়মিত যাওয়ায় পরিচিত ছিলাম, পরে কয়েক বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম। ফাও বিয়ে খেতে। ভিতরে টেনিস কোর্ট আছে। ঐখানে বিয়ের অনুষ্ঠান(!) হয়।
ধর্ম নিয়ে চাপাচাপির ঘটনা প্রায় সব অ্যাগনস্টিকের সাথেই ঘটে। এ আর নতুন কিছু না।
আর প্রথম লাইন নিয়া কই।
ক্লাসে স্যার জ্বালায়, রাস্তায় ট্র্যাফিক, বাসায় ইলেকট্রিসিটি,পানি; ছাত্রের বাসায় ছাত্র এবং ছাত্রের মা।
আমি তাইলে কই থেকে বলতেছি, কন তো?
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
আরে বেটা, ওইটা চিংড়ি না, কাজু বাদাম।
ছাত্র আর তার মা আমাকেও জ্বালাত। ছাত্র ফাঁকিবাজি করত আর তার মা করত বেতন নিয়ে গড়িমসি। তার উপর আবার না বুঝে পড়াশোনা নিয়ে মাতব্বরি করত।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওয়াজ-নসিহত শুইনা যা কইতে আইসিলাম ভুইল্যা গেলাম গা
যা কইতে নিসিলাম,
মেজাজ খারাপ থাকলে আমার রান্না জঘন্য হয়, নিজেই খাইতে পারি না এমন। এইটা অনেকবার হইসে কাজেই এখন মেজাজ খারাপ মানে উনুন হৈতে দূর:)
লেখা ব্যপক হৈছে।
ফটুতে যদি সেই সার্ডিনের প্রিপারেশন হয় তয় খাইতে ভাল হৈছে বইলাই মনে হয়।
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
হ। ফটুতে যা দেখলেন এইটাই সেইটা। আমার মা বেলে মাছের ঝুরি করে। খেতে অনেকটা সেরকম।
আমার রান্নাবান্নার দৌড় ডিম ভাজি আর ম্যাগি পর্যন্ত। এই রান্নাটা "নতুন কিছু" ক্যাটাগরিতে পরে। এরপরে কোনোদিন গরম মাথা নিয়ে রাঁধতে গেলে কী অবস্থা হবে বলা যায় না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কি জানি একটা ভাল গুরুগম্ভীর কথা লিখবো ভেবে লগাইলাম কিন্তু মাঝের একটা কমেন্ট পড়ে সেইটা বেমালুম ভুলে গেলাম।
এই কথাটা খুব পছন্দ হইলো। আমার আস্তিক নাস্তিক দুইদলের লোকজনের কাছেই কথা শুনতে হয়। আস্তিকের দল কথা শোনায় কারণ আমি ধর্মকর্ম করি না। আর নাস্তিকেরা ভাবে আমি এখনো কনফিউজড।
সেইদিন আমার এক বড় ভাই (যিনি আবার স্বঘোষিত এথেইস্ট, নিরলসভাবে লোকজনকেকে তাঁর দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন- আমার মতো দুষ্ট লোকজন যাকে বলে "নাস্তিকধর্ম প্রচার" করেন ) আমাকে অনুরোধ করলেন ঈদের মধ্যে তার ডিউটি করে দেবার জন্য। আমিও হালকা চালে বললাম বস আপনি না এথেইস্ট, আপনার তো এইসব ধর্মীয় ছুটি নেয়া ঠিক না। পরে দেখি বেচারা খুব মন খারাপ করে ফেলেছে। আমার নিজেরও খারাপ লাগলো। বেচারা হয়তো চাইছিলো রোগিদের সাথে না থেকে বাচ্চাদের সাথে ছুটির দিনটা কাটাতে।
মাঝে মাঝে আমার সারকাজম বেশি করা হয়ে যায়। লোকজন মাইন্ড করে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মাঝের কমেন্টটা অনেককেই প্রভাবিত করেছে দেখা যায়!
ঈশপের সেই লেজকাটা শেয়ালের গল্পটা পড়েছেন না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একই কোটেশন কয়বার মারছেন ওডিন্দা???
আচ্ছা ব্যাপারতো ওডিনদা! আমিও দেখছি কিছুদিন ধরেই আমার পরিচিত বেশ অনেকে আছে, যারা সুযোগ পাইলেই 'নাস্তিকধর্ম প্রচারাভিযান' চালায়! ইদানিং ক্যান জানি মনে হচ্ছে, এইরকম লোকের সংখ্যা ঠিক উলটা দলের মতই পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে, যেন জোর করে নিজের দলে টানার চেষ্টা! ভাই আমি যা খুশি করি, আমার জ্ঞান তোমার থেকে কম তা তোমাকে কেও বলেছে? আমাকে আমার মত থাকতে দিলে তোমার অসুবিধাটা কী, এইটাই বুঝলাম না!
আর সারকাজম নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি! বেশিরভাগ মানুষের সেন্স অফ হিউমার দেখি নাইই প্রায়! বা বুঝে না, মাইন্ড খায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমারে নেমতন্ন করবেন না দাওয়াত দেবেন ঠিক করেন আগে।
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আমার কাছে নেমন্তন্ন দ্য দাওয়াত নাই। আপনার কাছে থাকলে বইলেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওফ! লোকজন যে কত বিরক্তিকর রকমের চিজ হয়| আপনার বসের মত লোকেরা তো জ্বালায়ই, আমাকে যে আরো কতসব বিচিত্র প্রশ্ন করে সে আর কি বলব!
রাগ হলে একটু দৌড়োদৌড়ি করে দেখতে পারেন, বেশ কাজ দেয়|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দৌড়াই না। তবে অনেক অনেক হাঁটি। স্ট্রেস কমাতে খুব কাজে দেয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সম্ভবত, এসএসসি বা কাছাকাছি বয়স পর্যন্ত ধর্ম নিয়ে অনেকের একটা তীব্র ফ্যাসিনেশন কাজ করে। তারপর ভার্সিটিতে উঠে আমি অনেককেই ঐ মোহ থেকেই বেরিয়ে বিলকুল উলটো পথে হাঁটতে দেখেছি। আমি ব্যাপারটাকে দেখি স্রেফ অভ্যাস হিসেবে। অভ্যাসের কারণেই হয়তো নামাজটা ঠিকঠাক না পড়লেও রোজা-টোজ়া শেষমেষ রাখা হয়ে যায়।
কাঠমোল্লাদের নিয়ে গল্পের ইয়ত্তা নেই। আমার পাশের রুমের তাবলীগ ভাইজানরাও আমাকে কম জ্বালাতন করেননি। তবে আমার ঘাড় একটু ত্যাড়া হওয়ায় ত্যাদড়ামোর লোভ সবসময় সামাল দিতে পারিনা, এজন্য ওনারা মেলা আগেই আমাকে দ্বীন-ঈমান সম্পর্কিত বয়ান দান থেকে ইস্তফা দেন।
অদ্রোহ।
আমি কাউকে কাউকে দেখেছি তারুণ্যে বৈপ্লবিক চিন্তাচেতনার ঘোড়া ছুটিয়ে মাঝবয়সে উলটো পথে হাঁটতে। ধর্মের ক্ষেত্রেও, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাতেও। মানুষ হয়ত একটা সময়ে এসে হাল ছেড়ে দেয়। উত্তর খোঁজার চেয়ে তৈরি উত্তর মুখস্থ করা সহজ। একদিন আমিও হাল ছেড়ে দেবো এমনটাও বিশ্বাস করেন অনেকে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সিজলিং সার্ডিন উইথ ক্যাশুনাটে টেস পাইলামনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি যাতে টেস পাইতে পারেন সেইজন্যই এই রেসিপি দেওয়া। একদিন রান্না করে দাওয়াত দিলে আমরা সবাই গিয়ে মিলেমিশে টেস করে আসতে পারি। সাইডডিশ হিসেবে দইবড়া থাকলে তো কথাই নাই
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কারন, আপনি ধার্মিক লোকদের কদর জানেন। ধন্যবাদ। আমিও এই কথাই বলেছি।
আপনার হায়াত, রিজিক, সম্মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক।দুষ্টামি বাদ দিয়ে বাকী সামান্য ক’টা দিন স্রস্টার পথেই থাকবেন- এই কামনাই করি।
বিপ্লব কুমার কর্মকার
ভাই, আপনি ধার্মিক আছে, ধার্মিক থাকেন। অন্যের উপর জ্ঞান জারতে আসেন ক্যান? পেটের ভাত হজম হয় না নাকি ?
ডায়াগনোসিস ভুল। গোনার বাইরে রাখি কারণ একমাত্র বক ধার্মিকেরাই ছিদ্রান্বেষী হয় আর অন্যের নানা ভুলে ব্যাপক ভাবে জ্ঞান দান করতে আসে। ধার্মিকেরা অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানে না।
যদি না বুঝেন তাহলে দয়া করে তফাত যান। ফ্রি তে পাওয়া সব কিছুর মতোই ফ্রি জ্ঞানে আমার অরুচি আছে।
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সার্ডিন মাছ-ভাত দিয়া খাউয়া যায় না বড়?
ভাত দিয়াই তো খাইলাম। তবে পাউরুটি দিয়া সেন্ডুইচ কইরা খাইলেও ভালু লাগার কথা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুব ভালো লাগলো। এটা নতুন কিছু না আমার জন্য, তবে আপনি মনে হয় বেশি ভদ্রভাবে মোকাবিলা করসেন।
এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নাস্তিকতা যদি ধর্ম হতো তাহলে একটা নাকি অষ্টম মেজর ধর্ম হয়ে যেত, বসকে বলে পারো এটা...মেজাজ খারাপ থাকলে আমি বিপুল পরিমাণ খাওয়া দেই। তোমার মেজাজ গরম আর আমার মেজাজ গরমের মধ্যে একটা সাপ্লাই-ডিম্যান্ড সম্পর্ক দেখছি
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খেলে আমারো মন ভালো হয়।
আর, আমি নাস্তিক নই, ধর্মহীন বলতে পারেন। আমজনতা মনে করে ধর্মহীনতা মানেই নীতিহীনতা। একজন অধার্মিককে যে পীড়া তারা দেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত পীড়ারই প্রতিক্রিয়া। চিন্তার পরিধি বাড়তে না দিলে এ পীড়া কমবার নয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তবে গল্পটা একটা টপিকে রাখলে বেশি ভালো হতো। রান্নাটা আনায় আমেজটা চলে গেল একটু। নাহলে হয়তো শেয়ার মারতাম।
আমি আসলে এসব ডিবেট করে মজাই পাই। বাড়াবাড়ি বলা যায়, বা কালচারাল ওরিয়েন্টেশন। ভাল একটা দূর্বল পয়েন্ট ঐতিহাসিক বা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখিয়ে দিলেই তো সাধারণত থেমে যায়। কি জানি, একেক জন একেক রকম।
এটা খাস ব্লগরব্লগর। লিখে শান্তি পেলাম, তাই লিখলাম।
আমি আগে তর্ক করতাম। এখন করি না। বিতর্ক মানেই অপর পক্ষকে ভুল প্রমাণ করা। আর এখানেই তিক্ততা শুরু হয়। কেউ নিজের বিশ্বাস ছাড়তে চায় না। সামাজিক স্বীকৃতি থাকলে তো কথাই নেই। যারা বুঝতে চায় না তারা কখনোই বুঝবে না। তবে ভব্যতার সীমা অতিক্রম করলে আমিও যে দুয়েক কদম এগুবো না এমনও না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গুড আইডিয়া!
নেহাতই বাজে ব্লগরব্লগর - খিদে পাইয়ে দিল, ঘরে কিছু নাই; কি হবে এখন?
“খাইষ্টা বস পিষ্টকরণ” এর রেসিপি চাই বরং।
ওইটা তো ছিক্রেট রেসিপি! পাঠমাত্রই পুড়াইয়া ফেলার নিয়ম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ইদানীং HBO তে কুংফু পান্ডা নামে একটা মুভি প্রায়ই দেখায়, মাতিস কে নিয়ে ছবিটা এতবার দেখেছি যে ঐটার পুরা স্ক্রিপ্ট মুখস্ত হবার মতনই। ঐ খানে ছিক্রেট রেসিপি নিয়া মজার কিছু ডায়ালগ ছিলো, তোমার জন্য তুলে দিলাম..
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার সবচেয়ে বিরক্ত লাগে কেউ আমাকে ইসলামী মার্জিত পোশাকের উপর জ্ঞান ঝাড়তে আসলে। আমার দেখা মতে দেশে বিদেশে সর্বত্রই মার্জিত পোশাক সর্বজন প্রশংসিত। কিন্তু আমি জিন্স পরে আমার পিচ্চি পাচ্চা ভাগ্নে ভাগ্নীর জন্যে ঈদের জিনিস কিনতে বাজারে গেলে আমার রোযা কবুল হবে না, এই নসিহত যে দিতে আসে, তাকে আমি ছেড়ে দিতে পারি না। ছোট থেকেই আমার জিন্স প্রীতি নিয়ে পরিচিত মৌলবী গ্রুপের পর্যালোচনা শুনছি। অথচ আমার নিজের পরিবারের দুই কূলের নামাজ-রোযা ইত্যাদি যত্নের সাথে পালন করা নিকটাত্মীয়রা কোনদিনও আমার পোশাক নিয়ে একটা আক্ষেপের কথা উচ্চারণ করেছেন মনে পড়ছেনা! বাইরের লোকের এহেন নাক গলান সহ্য করা তাই বেশ মুশকিল। আমার রাগ কন্ট্রোল অ্যাবিলিটি তোমার থেকে খারাপ।
রোযা রাখা কিন্তু আসলে আত্ম-সংযম অনুশীলনের বিষয়। এই সহজ কথাটাই কেউ মনে রাখে না দেখি। রাখলে হয়ত অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শিখত, খুঁত ধরতে থাকাটা কিন্তু সংযমহীনতার পরিচয়ই বহন করে! কালকে আমার শিক্ষকদের সাথে ইফতার ছিল, সেখানে আমার হিন্দু-মুসলিম সব প্রফেসররাই ছিলেন। আমরা মোটে দুজন মেয়ে, রোযা আছি, কিন্তু পর্দাতো করি না, মাথায় কাপড় ছিল না, শুধু শুধু ইফতারের সময় কেন দেব? আমাদের অনেক যত্নবান মুসলিম স্যারেরাও কিন্তু আমাদেরকে এই নিয়ে একটা মন্তব্যও করেন নাই! অথচ তাঁরা প্রায় সব বিষয়েই উপদেশ দেন, শেখান, এমনকি সারকাসমেও কম জান না কেউ কেউ। আমি একটু অবাক হয়ে আবার তাঁদের সহিষ্ণুতা দেখলাম, পরমত শ্রদ্ধাশীলতা দেখলাম আরেকবার, উপলব্ধি করলাম আমার এখনো তাঁদের থেকে অন্য অনেক বিষয়ে শেখার আছে।
রান্না করলে আমার মুড আরো খারাপ হয়। তবে কেক বেক করতে আমার বেশ ভাল লাগে, কারণ মনে হয় আমার নিজের সুইট টুথ আছে, আর কেক আমার খুউব ভাল লাগে! খোলা হাওয়ায় হাঁটা আমারও কাজে দেয়। মাছ খেতে পছন্দ করি, কিন্তু আমার না সার্ডিন ভাল লাগে না! আর যেকোন বাদাম এমনি এমনি আমার খুব প্রিয় হলেও 'রান্নার' মধ্যে বাদাম খুব পচা লাগে! আমার মনে হয় না “সিজলিং সার্ডিন উইথ ক্যাশুনাট” ভাল লাগবে...
তবে সার্ডিন থেকে আমার একটা কৌতুক মনে পড়ল, শেয়ার করি -
একটা সাবমেরিন দেখে আতঙ্কিত বাচ্চা সার্ডিন তা মা-কে: "মা, মা ঐটা কী জিনিস?!"
মা সার্ডিন সাহস দিয়ে: " চিন্তা নেই বাছা, ঐটা হল - 'জাস্ট আ ক্যান অফ পিপল'।"
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমারো কেক খুউব ভালো লাগে।
..........................................................................................
সামুদ্রিক মাছও খুউব ভালো লাগে। কাজু-পেস্তা-আখরোটও। তা কাঁচা-পাকা যেমনই হোক না কেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দেখা যাচ্ছে অনেক সচলই রেগে গেলে রান্না করেন, দেখা হলে ক্ষেপায় দিতে হবে তাহলে ভালো খাওয়া কিছু পাওয়া যাবে। এই পোস্ট থেকে ক্ষেপানোর উপকরণও পাওয়া গেছে, বুনোহাঁসেকে "রমজানের মাহত্ম্য" আর যাযাবরকে "জিন্স ও ইসলাম" নিয়ে নসিহত করলে ডিনার ও ডেসার্ট (কেক) নিশ্চিত।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো প্রস্তাব। কিন্তু তাদের হাতের কাছে পেলে তো!
ক্ষেপলে কেক বানাই বললাম কই?! রান্না করতে হবে ভাবলেই তো মেজাজ আরো খারাপ হয়! তবে মেজাজ ভাল করার জন্যে অনেক সময় এক কাপ চা খেতে খেতে গান শুনি, বা চায়ের সাথে একটা বই নিয়ে বসি। আপনি ক্ষেপিয়ে দিলে এক কাপ চা করে খাওয়াতে পারি বরং। আর যদি কেক বানানোই থাকে তো অলরাইট, আপনার জন্যে এক পিস বরাদ্দ রইল। কিন্তু তার জন্যে কেকটাকে টিকে থাকতে হবে, আমি নিজেই পুরোটা না খেয়ে ফেললেই হয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
উফ মেরি খিদা!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সামুদ্রিক মাছ আমারো ভাল লাগে, খালি ক্যান্ড সার্ডিন ভাল লাগে না। ইশ! আমার এখন ফিশ অ্যান্ড চিপস খেতে ইচ্ছা করছে।
আর মাঝরাতে এরকম চক্কেট কেক-এর ছবি পোস্ট করায় তীব্র নিন্দা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জিন্স সম্পর্কে একটা মজার পর্যবেক্ষণ হলো, মেয়েরা দেদারসে চুড়িদার পরছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। অথচ জিন্স পরলেই লোকের চোখ টাটাবে।
এই দুইয়ের মধ্যে আসলে পার্থক্য কোথায়?
পার্থক্য সম্ভবত অভ্যাসে। আমরা পরিবর্তনকে সহজে গ্রহণ করতে চাই না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বামদিকের ছবিটা ভালু।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কেনু? বামদিকে এমন কী আছে যা ডানদিকে নাই? দুইটা ঠ্যাং-ই তো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাঁয়ে খালি পায়ে, আর ডানে জুতা পরে। মেয়েদের জুতা পরা না জানি কোন ইহুদী-নাসারাদের আবিষ্কার!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রাগ হলে রান্না!!! আমার তো রান্না করতে হবে ভাবলেই মেজাজ খারাপ হতে শুরু করে।
লেখা অতীব সুস্বাদু হইসে
"ধর্মকথা" নিয়ে আর কিছু না লিখি, এই বিষয়ে ক্ষ্যামা দিসি।
আমিও ক্ষ্যামা দিসি, ভইন।
রাগ হলে ভালোমন্দ খাই। রান্নার "গঠনা" এই প্রথম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি আজকে কাচকি রানসি! এই মাছগুলা এত তেল খাইতে পারে, বিশ্বাস করার মত না। বিপি যদি এইটা জানতো, তাইলে চুপিচাপি গালফে কাচকির পোনা ছেড়ে দিত, এত হ্যাঙ্গাম লাগতো না...
ঠিক বলেছেন। ওয়াজ করতে গিয়ে হুজুররা কত ভালো খানাপিনা, কত টাকা-পয়সা, আদর-আপ্যায়ন পায়।আর আমি?
এখানেও দেখি, সবাই কেক খাওয়ার আমন্ত্রন পায় , আমি তফাত যাওয়ার নিমন্ত্রন পাই। বালিকা বাংলা ছি:নেমার নায়িকা হলে তো বলেই দিত,”দূর হ শয়তান............পাবি ..................পাবি না।”
এই আসরে আর আসব না।
বিপ্লব কুমার কর্মকার
কেক খাওয়ার আমন্ত্রণ পাবেন কী করে? আপনিই তো বললেন বেরোজদারী, বেনামাজিদের হাতে আপনি কিছু খান না। আমার অবশ্য রোজাদার, নামাজিদের হাতে খেতে রুচিতে বাধে না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপ্নারতো তাও বস। আমার এক খালাতো সামনে পাইলেই নসিহত দান করা শুরু করে। একদিন ওনার সামনে আমাকে একজন জিজ্ঞেস করসে, কেমন আছো? আমি ভালো মনে উত্তর দিলাম, মোটামুটি। আমার সেই খালা বলে, এইটা কি উত্তর দিলা!! আমিতো ভ্যাবাচাকা খেয়ে বলি কেন, কি হইসে!! উনি বলে, মোটামুটি কেন বল্লা? আল্লাহ নারাজ হয়। আল্লাহ ভাবে আমি আমার বান্দাকে খুশি রাখি নাই। সবসময় বলবা, আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি! আর কই যাই!!! একবার ভাবসিলাম বলি, মিথ্যা কথা বললে আল্লাহ নারাজ হয় না? পরে আবার ভাবলাম, বেকার তর্ক করে কি লাভ
সিমি।
আমার এক বন্ধু বুয়েটের গোড়ার দিকেই পুরোদমে মুসল্লি হয়ে গেলো এবং দেদারসে নসিহত বিলাতে শুরু করলো। আমাকে নসিহত দিতে আসলে আমি অনেক যুক্তি দেখাতাম। এক পর্যায়ে সে কাঁদোকাঁদো স্বরে বলত, "হায় আল্লাহ! ক্যান যে এর সাথে কথা শুরু কর্সিলাম!"
আমার একটা পর্যবেক্ষণ হলো যারা বিশ্বাস করবেন বলে মনস্থির করে ফেলেন তারা সচরাচর যুক্তির পথ মাড়াতেই চান না। "কোনো একটা কারণ তো নিশ্চয়ই আছে যা আমরা বুঝি না" বলে চোখ বুঁজে বিশ্বাস করতে চান। তা করুন। মনের শান্তি বড় কথা। আমার শান্তিতে বিঘ্ন না ঘটালে আমার কোনোই সমস্যা নেই তাতে। বিশ্বাসে অনেক ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও সেই বন্ধুর সাথে বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি কখনো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওনাকে কিছু বোঝাতে গেলে, উনি আমার আম্মাকে ডেকে বলে তোর মেয়ে বেয়াদপ, এই মেয়েকে বিয়ে দিবি কিভাবে! তখন আমার আম্মা এসে শুরু করে, বড়দের মুখে মুখে তর্ক কর কেন!!
ধর্মালাপ ছাড়ছি বহুত আগে। বিশ্বাসের সঙ্গে তর্ক করে লাভ কী?
একবার একজন হুজ্জতি শুরু করলো। আমি জিগাইলাম ধর্ম পালন না করলে কী হয়? কয় দোজখে যাবা, জাহান্নামে যাবা। আমি কইলাম আমি যদি সজ্ঞানে এবং সশরীরে জাহান্নামে যাইতে চাই, আপনার কোনো সমস্যা আছে?
ঢাকায় আমি এখন আর গাড়িতে চড়ুম না ঠিক করছি। হুদাকামে সময় আর টাকা নষ্ট। হাঁটলে বিনা পয়সায় অনেক কম সময়ে গন্তব্যে যাওন যায়। আর ঘামায়া গেলে কোনো শীতাতপিত শপিং মলে ঢুকে সুন্দরীদের দিকে মিনিট দশেক তাকায়া থাকলেই শরীর মন সব চাঙ্গা।
সার্ডিন মাছ খাইতে কবে আসতে হবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শেষ লাইন বাদে পুরা মন্তব্যের সাথে সহমত।
রেসিপিতে উপকরণের লিস্ট তো দেওয়াই আছে। সদাইপাতি করে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে আসেন যেকোনো সন্ধ্যায়। রেঁধে খাওয়াব।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি মানুষের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি এবং অবশ্যই কখনোও ধর্ম নিয়ে তর্কে যাই না। আমি আস্তিক কি নাস্তিক এটা নিয়ে কারো কাছে জবাব দেয়াটাও পছন্দ করি না। আমি যা করি, নিজেরটা খেয়ে-পড়েই করি। তবে নামাজ-রোজা নিয়ে অনেক লোকের অযথা খোঁচা দেয়া কথাকে খুবই বিশ্রী চোখে দেখি (উভয় পক্ষই এই কাজটা খুবই উৎসাহ নিয়ে করে থাকে)।
ইদানিং ঢাকায় হাঁটা-হাঁটির পরিবেশ বেশ ভালোই গজিয়েছে। টাইমলি গন্তব্যে পৌছুতে হলে গাড়ি ছেড়ে হেঁটেই যেতে হয় !!!
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
যারা অন্যের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করেন না তারাও যদি ভদ্রমতো নিজেকে সংযত রাখেন তো আমি খুশি।
গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা ধরেছি এমন বহুবার হয়েছে। কিন্তু অফিস ম্যালা দূরে রে, ভাই। আড়াই ঘন্টা হাঁটার ধৈর্য সবসময় থাকে না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সমাজে যখন বিশ্বাসীরা সংখ্যাগুরু তখন সংখ্যালঘু হিসেবে কিছুটা এরকম সমস্যায় পড়তেই হবে। দেশে না হয় এই অবস্থা, অবাক হই দেশের বাহিরে এসেও যখন বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষের ভদ্রতাবোধ দেখে। একজন বিধর্মীর প্রতি যে ব্যবহার তারা করে সে ভদ্রতাটুকুও আপনাকে দেখাবে না, যদি শুনে আপনি সংশয়বাদি বা নাস্তিক। বিধর্মী হলেও সে একপ্রকার আস্তিক, শুধু তার স্রষ্টা ভিন্ন। কিন্তু সংশয়বাদি মানে আপনার স্রষ্টায় সংশয় আছে। এই খানেই তাঁদের আপত্তি।
আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নিয়ে বিতর্কে আমিও যাই না, কারণ আপনার মতই বিতর্কের মাঝে হার/জিতের একটি ব্যাপার লক্ষ্য করি। আমি নিজে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম পালন না করলেও অন্যের পালন নিয়ে চিন্তিত নই। সমাজের একটি প্রক্রিয়ায় সমাজকে টিকিয়ে রাখার জন্যেই ধর্ম এবং এর রীতিনীতিগুলো মানুষ তুলে আনে আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি জানে, আদিম মানুষদের তুলনায়। সেই সমাজিক নিয়মেই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ধীরে ধীরে মানুষের কাছে কমে যাচ্ছে, যেমন গিয়েছে আপনার, আমার মত অনেকের কাছেই।
এই ব্যাপারে ডেনিয়েল ডেনেটের "Breaking the spell: Religion as a natural phenomenon " বইয়ের এপ্র্যোচকে আমার কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য মনে হয়। তিনি দেখান যে ধর্মগুলো কিভাবে লোকজ ধর্ম হতে এক পর্যায়ে মানুষের দ্বারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে যেমনতর আমাদের লোকজ ভাষা, লোকজ সংস্কৃতি কিংবা লোকজ সঙ্গীত নিয়েছে জাতীয় ভাষা, জাতীয় সংস্কৃতি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গীত, আধুনিক, রক কিংবা রাগপ্রাধান ইত্যাদী রূপে। আপনি হয়তো রক পছন্দ করেন তাই বলে বলতে পারেন না যারা গজল শুনেন তারা উম্মাদ। তেমনি আপনি হয়তো এক বিশ্বাস পালন করেন তাই বলে ভিন্নবিশ্বাসী মাত্রেই খারাপ সেটাও আমি দেখি না। যারা সেভাবে দেখে তিনি আস্তিক বা নাস্তিক যেই হোক না কেন, আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে আপনার একটি বক্তব্যে আমি দ্বিমত প্রকাশ করবো। আস্তিকতা বিশ্বাসের উপর ভিক্তি বলে নাস্তিকতাকেও একটি বিশ্বাসের মাঝে ফেলে দিতে হবে সে ধারণায় একমত হতে পারছি না। সচলেই দিগন্তের একটি লেখা আছে এই বিষয়ে নাস্তিকতার বিরুদ্ধে কিছু মিথ। সেই সাথে মুক্তমনায় অভিজিতের আরেকটি লেখা আছে নাস্তিকতাও একটি বিশ্বাস হলে । লেখা দু'টো দিলাম কোন প্রকার প্রচারের জন্য নয়। শুধু যদি আপনি জানতে আগ্রহী হোন, এই জন্যে। আশা করি ভিন্ন ভাবে নিবেন না।
লেখাটি আসলেই উত্তম ব্লগরব্লগর হয়েছে। রান্নার উপকরণের সাথে এরকম একটি সিরিয়াস বিষয় উপস্থাপনের আইডিয়াটিও ভাল লেগেছে। ভাল থাকুন। তাড়াহুড়ার মন্তব্যে বানান ভুল থাকতে পারে, অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী সে জন্যে।
আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত। তবে কিছু কিছু নাস্তিক আছেন(যারা নিজেদের নাস্তিক বলে দাবি করেন আরকি) যাদের অ্যাটিচ্যুড অতিধার্মিকদের মতোই আগ্রাসী। আশপাশের সব মানুষকে হেদায়েত করার দায়িত্ব এরা নিজ কাঁধে তুলে নেন। নাস্তিকতাও যখন কেউ প্রচার করেন তখন সেটাকে ধর্মের মতোই দেখায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি কারো ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাই না এবং ধর্মীয় আলোচনা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলি। ধর্ম একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং ব্যক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ আমি অপছন্দ করি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এই বিষয়ে নিজের অবস্থান আরেকটু পরিষ্কার করতে আবার মন্তব্য করা। আপনার সাথে আমার দ্বিমত নেই এই ব্যাপারে সেটা আমার আগের মন্তব্যেই উল্লেখ করেছি। আমি যেমন পছন্দ করি না কেউ এসে আমাকে তাবলিগের জ্ঞান দিক, তেমনি আমিও অন্য কাউকে আমার বিশ্বাসে আসার জন্য প্ররোচিত করতে যাই না। আমি মনে করি প্রতিটি প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যক্তি নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে হেদায়েত করেও কোন লাভ নেই।
তবে, ব্যক্তিগত প্রচারের প্রয়োজন না থাকলেও সামষ্টিক প্রচারের প্রয়োজন আছে। উদাহরণ স্বরূপ জামাতীদের নানান প্রপাগান্ডার কথা ধরতে পারেন। এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা যদি মনে করেন যে সেই সব প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রয়োজন নেই তাহলে একদিন প্রপাগান্ডাই সত্যি হিসেবে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস জানানো মানে কি মুক্তিযুদ্ধের প্রচার? যদি সেটাকে প্রচার বলেন তবে এটাও প্রচার, কিন্তু অডিয়েন্স হল বৃহত্তর গোষ্ঠী। সুনির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নয়, সকলের উদ্দেশ্যে। এখন যে যার নিজস্ব বিদ্যা/বুদ্ধি অনুসারে কোনটাকে গ্রহণ করবে সেটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব ব্যপার যতক্ষন না সে আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি হুমকি স্বরূপ হয়। তাই আমার দৃষ্টিতে এরকম প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। আপনার ব্লগটি কিন্তু অনেকটা সেরকমই। আপনার ব্লগ পড়েও অনেকের মনে হতে পারে, আরে তাই তো? এভাবে তো চিন্তা করিনি।
এ কারণেই এরকম একটি সুন্দর লেখায় নাস্তিকতাও একটি ধর্ম এরকম বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছি। তাহলে আমাকে বলতে হয় সকল মুসলামনই বাংলা ভাই বা লাদেন, কিন্তু সেটা সত্য নয়। একথা সত্য নাস্তিকতাকে, কমিনিউজমকে কেউ কেউ বিশ্বাসে পরিণত করে ফেলে এবং কিন্তু আসলে সেগুলো কোন প্রকার বিশ্বাস নয়। এগুলোকে আমরা বিভিন্ন দর্শন হিসেবে দেখতে পারি। কিন্তু দর্শন এবং ধর্মের মাঝে পার্থক্য হল, দর্শন সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়, কিন্তু ধর্ম নয়। যে কারণে যে সমস্ত কমিউনিস্ট মার্ক্স এর দর্শনকে অপরিবর্তনীয় হিসেবে দেখে, তারাই সেটাকে তখন ধর্মে পরিণত করে ফেলে।
আপনার-আমার চিন্তায় কোনো বিরোধ দেখতে পাচ্ছি না। কোনো ধারনাকে অকাট্য বিশ্বাসে পরিণত করাতেই আমার আপত্তি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো স্বাধীন ভাই। আপনার এফোর্টে বিপ্লব!
প্রোপার নাস্তিকতারে মনে হয় না ধর্মের সমতুল্য কিছু বানানোর উপায় আছে। নাস্তিকতারে যে ধর্ম বানায়া ফেলে, সম্ভবত সে ভণ্ড নাস্তিক। নাস্তিকতার সাথে বিজ্ঞান এবং যুক্তির ব্যাপক সম্পর্কে আছে- এবং এর ফলে কখনোই নাস্তিকের পক্ষে কোন কিছু গায়ের জোরে অ্যাবসলিউটলি বলা আসলে সম্ভব না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হতে পারে এরা নব্য নাস্তিক। অল্পবিদ্যার জোরে অতি আত্মবিশ্বাসী। গায়ের জোরে কোনোকিছু অ্যাবসলিউট ঘোষণা করার কথা বলছি না। নিজের বিশ্বাসের জোরে অনধিকার চর্চার কথা বলছি। অনেক বিদ্যাধরের মধ্যেও এমন প্রবণতা দেখে বিরক্ত হয়েছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কথা সত্য। চরম উগ্রতাবোধ সব ক্ষেত্রেই খুঁজে পাবেন, অল্প/বিস্তর।
রাইট।
নাস্তিক নামটা আসলে নেগেটিভ, পরনির্ভর। এটা শুনলে মনে হয় একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নেই।
আবার নাস্তিকতা-আস্তিকতা ছাড়াও আরো ডিমেনশান আছে। এবসলিউটিস্ট-রিলেটিভিস্ট। এবসলিউটিস্ট নাস্তিকদের আচরণ মূলত কঠোর আস্তিকদের মত হয়।
মানুষের মাইন্ডসেটের আরেকটা রিলেটেড ডিমেনশান আছে, ইন্ডিভিজুয়ালিস্ট আর অথরিটারিয়ান। ইন্ডিভিজুয়ালিস্টরা মানুষকে মানুষের মত থাকতে দিতে শান্তি পায়। নাস্তিক হোক আর আস্তিক হোক, ইন্ডিভিজুয়ালিস্টরা নির্দ্বিধায় স্বস্তিদায়ক। কেবল নিজের চরকায় যে তেল দেয় তার বিশ্বাস আমাকে কিভাবে বিচলিত করতে পারে?
আপনি প্রোপার নাস্তিক বলতে সম্ভবত ইন্ডিভিজুয়ালিস্ট (এবং হয়ত রিলেটিভিস্ট) নাস্তিক বুঝিয়েছেন। নাস্তিকতা তো কেবল একটা প্রশ্নে যৌক্তিক, বৈজ্ঞানিক অবস্থান। বিজ্ঞান আর যুক্তি তো সেই বিশ্বাসকে জীবনযাপনে কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে সেটা বলে দেয় না। ফলে নাস্তিক যখন গায়ে পড়ে মত প্রচার করে, সেটার দায় নাস্তিকতার যুক্তিগুলোর উপর বর্তায় না।
রমজান হইলো রোজার মাস। রোজা সম্পর্কে তেমন কিছু না বলার থাকলেও রমজান নিয়া আসে।
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে আমাকে একবার বলতে বলুন, বিশাল পোস্ট বেরিয়ে যাবে গড়গড় করে। শুরু হবে এম্নে-
রমজান একটি সুস্বাদু মাস। এই মাসে মুসলমানরা ধর্মীয় আচার হিসেবে সারাদিন উপবাসের পর সন্ধ্যায় ইফতারের মত মহাগুরত্বপুর্ণ কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ইফতারের জন্য গড়ে উঠেছে ছোট বড় বিভিন্ন দোকান; যেখানে পাওয়া যায় অতি প্রয়োজনীয় ইফতারি আইটেমগুলো। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা কিছু ইফতারির দোকান বিখ্যাত হয়ে উঠেছে তাদের বিশেষ আইটেমের কারনে। যেমন- 'ওয়েসিস এর হালিম, চকের বড় বাপের পোলায় খায়, আনন্দের রুমালি রুটি, চাচার কাবাব...
রমজানের থেকে ভালু মাস আর নাই গো ভাই
মাঝখানে একজনের মন্তব্য পইড়া ব্যপক তামাশা পাইলাম।
অঃটঃ তেল কতটুকু দিতে হবে?
---- মনজুর এলাহী ----
এত ভাজাপোড়া খাওয়া ভালো না।
তেল মোটেও অফটপিক না। এইটা পুরাই অনটপিক। টিনের ভিতরে তেল থাকে। ওইটুকুতেই কাজ চলে। আপনি যদি সমুদ্রে ছিপ ফেলে সার্ডিন ধরে খেতে চান তাইলে আবার আলাদা হিসাব।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো সারাদিন অভুক্ত থেকে সন্ধ্যায় একগাদা ভাজাপোড়া খেয়ে নাক ডেকে ঘুমানো কোনদেশি ডিসিপ্লিন আমি বুঝি না।
এই বাক্যটা লেখার স্পিরিটের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বুঝতে পেরেছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রান্নার যে ছবিটা দেখলাম সেটার দাওয়াত পেলে কিছু কার্যকর টিপস দিতে পারতাম ধর্মের ষাঁড় সামলানোর
কিন্তু দিলাম না। কারণ অত মূল্যবান জিনিস মাগনা দিলে দাম থাকে না
সহমত
...........................
Every Picture Tells a Story
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রচার-সংযমের পরামর্শ দিয়ে দেখতে পারেন। রোজার মাসে যেকোনো কিছুর সংযমের আহ্বানেই মুসলমান সংবেদনশীল।
কস্কি মমিন!!! শপিং মল আর কাচাবাজার দেখলেও আপনার তাই মনে হয়???
______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
কিছু বলার নেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখা ভালৈছে। এইবার লিংকটা আপনার বসেরে পাঠায়া দেন।
আর রান্না (প্লাস খাওয়া) নিয়া কেবল একটাই কথা আমার, "আই ইট হোয়েন আই এ্যাম আপসেট"!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেই অফিসে তো আর নাই আমি। পাঁচ বছরে পদ্মার জল বহুদূর গড়িয়েছে।
খেলে আমারো মন ভালো হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রেসিপিটা ভাল্লাগসে ভাই !
নতুন মন্তব্য করুন