গতকাল একবার, আজ আরেকবার কানে এলো এই গপ্পো। বাংলাদেশের কোনো এক মহিলা সাপ হয়ে গেছেন।
কেন?
তিনি নাকি তার হজফেরত স্বামীকে বলেছিলেন অতগুলো টাকা হজের পেছনে ব্যয় না করে ব্যাংকে রাখলেই বরং কাজে দিত। অর্থাৎ ইসলাম সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের অপরাধেই মহিলার এই করুণ পরিণতি।
এ ধরনের খবর শুনলে আগে রাগ হতো, ইদানীং হয় না। এক ধরনের করুণামিশ্রিত ভোঁতা অনুভূতি নিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়াটাই সুবিধাজনক মনে হয়। তবে যেই দুই সূত্র থেকে এই গল্প কানে এলো দুটোই পীড়াদায়ক। দুজনই উচ্চশিক্ষিত। তাদের একজন শুনেছেন তার কলেজশিক্ষিকা বোনের কাছ থেকে, আরেকজন শুনেছেন অফিসের কলিগের মুখে। এবং তারা এহেন তেলেসমাতিতে এতটাই আলোড়িত যে কোনো যুক্তিতর্ক বা কটাক্ষকেই গায়ে মাখলেন না। সেই সাপটি নাকি মিরপুর চিড়িয়াখানায় প্রদর্শির হচ্ছে। তা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছেন একজন।
আশির দশকে সাপনির্ভর একধরনের চলচিত্রের চল ছিলো খুব। সেখানে দেখানো হতো কিছু কিছু সাপ ইচ্ছাধারী হয়, তারা যেমন খুশি তেমন রূপধারণে সক্ষম। কখনো বা মানুষের রূপ ধরে এরা লোকালয়ে চলে আসে। এরপর মানুষের সাথে প্রেম, ঈর্ষা, সংঘাত হেনতেন আরো অনেক কিছু। যারা খুব আগ্রহ করে এসব দেখতাম তারাও জানতাম এগুলো মিথ্যে। মজা লাগত বলেই দেখতাম। অথচ প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষিত মানুষেরা শোনামাত্র এ ধরনের খবর উড়িয়ে দিতে পারছেন না, বরং তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছেন দেখে বিস্মিত হবো না হতাশ হবো বুঝে উঠতে পারি না। আমাকে আবার বললেন নেটেও নাকি আছে এ খবর। আমি যেন নিজেই খুঁজে নিয়ে সত্যমিথ্যা যাচাই করি। টেকিকানাদের এই প্রবণতা লক্ষণীয়। নেটের সবকিছুই চোখবুঁজে মেনে নিতে চান।
নেটে একটা গুঁতো দিতেই এক ফোরাম থেকে বেরিয়ে এলো প্রায় কাছাকাছি একটা খবর।
সেখানে বলা হচ্ছে:
" মুগদা পাড়া এলাকার জনৈক এক নও মুসলিম মহিলা এবছর পবিত্র হজব্রত পালন করে এসে নাকি আফসোস করে বলেছিলোঃ
“হজ উপলক্ষ্যে এতগুলি টাকা খরচ হয়েছে, ইশ! এগুলো যদি লাভে(সুদে) খাটানো যেত!"
এ কথা বলার পরই নাকি ঐ মহিলা আস্তে আস্তে সাপে রূপান্তরিত হয়, এবং সে নাকি তার নিজ ছেলেকেও কামড়েছে।
তার স্বামী ও এলাকার লোকজন ঢাকা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা এরকম ভয়ংকর দর্শন কাউকে রাখতে রাজি হয় নি।”
এ খবর কেউ শুনেছেন সহকর্মীর কাছে, কেউ স্ত্রীর মুখে, কেউবা বাসে। এ নিয়ে নাকি পুস্তিকা বের হয়েছে, এমএমএস ছড়ানো হয়েছে দিকে দিকে। প্রমাণ হিসেবে আবার সেই ফোরামে একটা ভিডিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ভীতিপ্রদ মিউজিক।
ভিডিও দেখে সন্দেহ হওয়ায় ইংলিশে সার্চ দিলাম ইউটিউবে। যা পেলাম তা আরো চমকপ্রদ। ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ইন্দোনেশিয়ায় ধারণকৃত। কথাবার্তা আড়াল করতেই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
যে প্রাণীটি(!) দেখা যাচ্ছে তা আদৌ কোনোকালে প্রাণী ছিলো বলে মনে হয় না। মাথাজুড়ে ঝলমলে বার্বি ধাঁচের চুল দেখলে বরং খেলনা মনে হতে পারে। নেটে এর সন্ধান পেয়ে এর গায়ে গল্প চড়িয়ে ছড়ানো হয়েছে।
তথ্যের গতিপথ এমনিতেই বিটকেলে। চলার পথে কিছু রঙ ঝরে যায়, নতুন রঙের প্রলেপ পড়ে খানিকটা। রঙের প্রকরণ নির্ভর করে তথ্যদাতা ও গ্রহীতা দুইয়েরই রুচি, মেজাজ ও মনস্তত্ত্বের উপর। এই খবরটির বিকৃতি ও প্রচার উদ্দেশ্যমূলক তা বলা বাহুল্য। অনেকেই বিশ্বাস করেননি। শোনামাত্র উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেকে সেটা বিশ্বাস করতেও চাইছে। তা না হলে আলাদা আলাদা সূত্র থেকে এ খবর আমার কানে পৌঁছাত না। আমরা সাক্ষরতার হার নিয়ে উদ্বিগ্ন হই, শিক্ষার মানোন্নয়নের কথা বলি। কিন্তু পড়ালেখা জানা মানুষেদের অন্ধত্ব দেখলে আমাদের শিক্ষাদীক্ষার মূল্য নিয়েও সংশয় হয়। ধর্ম আর অন্ধবিশ্বাসের বিভেদরেখা টানতে জানি না বলেই আজো এদেশে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা চলে। প্রযুক্তিবিচ্ছিন্ন বিশাল জনগোষ্ঠী, যারা ইন্টারনেটের সব তথ্যকেই বেদবাক্যজ্ঞান করে তাদের মাঝে বিকৃত তথ্য ছড়ানো কত সহজ ভাবলে আতংকিত হই।
মন্তব্য
এক সময় সেবার তিন গোয়েন্দা পড়তাম, পেলে এখনো পড়ি...! এই গুজবের কথাতা পড়ে তিনগোয়েন্দার ভূত থেকে ভূতের কথা মনে পড়ে গেল!
--- থাবা বাবা!
ওই ফোরামে কি আসল ভিডিওটা দিয়েছো?
আামদের দেশে শিক্ষিতদের মাঝে অশিক্ষার হার আরো বেশি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
দিলাম।
বুয়েটের এক স্যারকে বলতে শুনেছি স্কুলে বা কলেজে থাকতে উনার কোনো এক সহপাঠীর জাদুটোনায় নাকি উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কী আর বলব?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কর্মসূত্রে আমার কিছু ভারতীয় পান্জাবী বন্ধু আছে । ওদেরই একজন গত বছর রোজার সময় মেইলে আমাকে উপরের ভিডিওর ভারতীয় সংস্করণ পাঠায় । কাহিনী ছিলো দিল্লীর কোন এক মহিলা হিন্দু কোন দেব/দেবীর অবমাননা করেছিলো ; পরে সে সাপ হয়ে যায় ।
এই সব ভিডিও বা, কাহিনী সবগুলোই আসলে চিলে কান নিয়ে গেছে টাইপের । তারপরও শিক্ষিত অনেক বিবেকবান লোককে এসব বিশ্বাস করতে দেখলে কষ্ট লাগে ।
কুসংস্কার-অন্ধ বিশ্বাস নিপাত যাক । সত্য-মানবতা বিকশিত হোক ।
মরণ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আহারে এইভাবে কপাল চাপড়াইয়েন না । লাল হয়া যাইবো ।
হিন্দুধর্ম এত প্রাচীন, প্যাঁচালো আর বহু-ভেরিয়েশন-যুক্ত, যে এসব ঘাপলা জন্মাবার আর ছড়াবার পথ আরো বেশি
আবার কিছুদিন পরে সেগুলোই ধর্মের অংশও হয়ে যায়...
কোন ধর্ম কেমন সেটা কিন্তু আলোচ্য নয় এখানে। খেয়াল করে দেখুন একই জিনিস হিন্দু ধর্মের আদলে উপস্থাপন করা হয়েছে হিন্দুপ্রধান দেশে আর মুসলিমপ্রধান দেশে সেটাতে ইসলামের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। ধর্মান্ধদের প্রকৃতি সবখানেই একরকম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিন্তাভাবনার চর্চা আমাদের উপমহাদেশে কম। ইন্ডিয়ান পাকিস্তানিদের সাথে মিশে দেখেছি, ওদের মধ্যেও এই জিনিস আছে। পড়ছে ফিজিক্স কিন্তু ইওরোপিয়ান বন্ধুকে জ্বীনের অস্তিত্ব প্রমানের জন্য কোরানের রেফারেন্স দিচ্ছে, দুধের অবিরাম প্রবাহ আছে এরকম দেবদেবির মুর্তি এখনও পাওয়া যায় ইত্যাদি বাকোয়াজি এঞ্জিনিয়ারিং পড়া লোকেরা বলছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ আসলে পরীক্ষায় পাশ করতে শেখে। শিক্ষা তাদের মনকে আলোকিত করে এমনটা মনে হয় না। ইউরোপিয়ানদের মধ্যে এই জিনিস নেই তা নয়, এ্যামেরিকানদের একটা বিশাল অংশ ভুদাই এটাও সত্য। তবে এই হার আমাদের মধ্যকার অবৈজ্ঞানিকদের মতো এতো বেশি নয়।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমাদের এখানে জন্মের পর থেকেই প্রশ্নাতীত বিশ্বাসের শিক্ষা পায় শিশুরা। প্রশ্ন ছাড়া বিজ্ঞান হয় না। তাই গোড়া থেকেই বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের ব্যবধান তৈরি হয়। এই ব্যবধান কমাতে অনেকে আবার ধর্ম থেকে কুসংস্কার বিতাড়িত করার পরিবর্তে কুসংস্কারের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ জাকির নায়েক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোদি, এইসমস্ত সংবাদ এতটাই ননসেন্স যে এদের ফোকরগুলো ধরিয়ে দিতে যাওয়া স্রেফ আপনার কালি কলম ও শ্রমের অকারণ শ্রাদ্ধ। বিশ্বাস ব্যাপারটাই অমনতর। অবিচল। অটল। তার চাইতেও বেশি অন্ধ।
বুয়েটের যে স্যারের কথা এক মন্তব্যের জবাবে বললেন, বোধকরি আমি তাঁর নাম আন্দাজ করতে পেরেছি (খাড়ান, স্যাররে কইয়া দিতাছি) ।উনি কিন্তু "জাদুটোনা" কথাটা একটা ইম্প্রোভাইজড হিউমার হিসেবেই বলেছেন। আসল কথাটা ছিল তাকে "পাগলা পানি" খাওয়ানো হয়েছিল
চমৎকার এই মানুষটা কিভাবে জাকির্নাইকের ভক্ত (এবং সেইহেতু কিয়ৎ পরধর্মবিদ্বেষী) বনে যায়, সেই ভেবে মাঝে মাঝে আমি এখনো অবাক হই। যাক, সে আরেক প্রসঙ্গ।
--------------
সাত্যকি
--------------
এইসমস্ত সংবাদ ছড়ায় কী করে? মানুষ বিশ্বাস করে বলেই তো, নাকি? এগুলো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। লক্ষণগুলো উপেক্ষা করলে রোগ বাড়বে বই কমবে না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কবর আজাবের ভিডিও কিন্তু আছে বাজারে। যতদূর জানি সেগুলোর কাটতিও অনেক।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে কবর আজাব জাতিয় ঘটনার ভিডিওগুলা কারা করেন! কারা সেই আধ্যাত্মিক ক্যামেরাম্যান!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গোর-আজাবের ভিডিও দেখতে চাই আমি। এই জিনিসগুলো তৈরিই হয় মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য। ভয় দেখিয়ে ধর্মের পথে টানার মাহাত্ম্য কী আমি বুঝি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমিও এ জাতীয় কিছু মানুষ চিনি যারা কম্পিউটারে কিছু দেখলে সেটাকে দৈববাণী মনে করে। অনেকে মুখস্ত করে অনেক লেখাপড়া শেখে, সেই সাথে নিজেদের অ্যানালাইসিস করার ক্ষমতা বিসর্জন দেয়। পরবর্তীকালে তারা যা শোনে তাতেই বিশ্বাস করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, কারন সত্যমিথ্যার যুক্তি ব্যবচ্ছেদ করার কোন সামর্থ্য তাদের নাই। আমাদের পর্যবেক্ষন বা ভাবতে পারার সামর্থ্য ততক্ষণই তীক্ষ্ণ থাকে যতক্ষণ তাকে ধার দেওয়া হয়।
-রু
কম্পুকানাদের কম্পিউটারভক্তি সবচেয়ে বেশি। এদের মুগ্ধতা জাগাতেই বিজ্ঞাপনে "কম্পিউটারের সাহায্যে অমুক করা হয়" লেখা থাকে। ওয়ার্ডে লেখালেখি আর পেনড্রাইভে জিনিস লেনদেন করতে পারলেই বিশাল কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ ভাবেন অনেকেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ঠিক্কইছেন
খিয়াল কইরা! আমি কিন্তু তাইলে বি-শা-ল কম্পু বিশেষজ্ঞ কইলাম, হ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরেহ! তুমি তো আরো ভচমানু*! তুমি তো টরেন্টে মুভিও নামাতে পারো
* ভচমানু="বস মানুষ"-এর আবেগতাড়িত রূপ [কপিরাইট আমার এক জুনিয়রের]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওয়েল আই টেরাই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বড়দি তুমি সত্যিই ভচমানু। তুমি তো প্রেজিও বানাতে পারো!
প্রেজি কী গা?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রেজি এইখেনে!
আর সব আপ্নেদের আশীব্বাদ কৌদা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দা না দাদু? ঠিক্কইরা কও ভগিনী/নাতিনী, অ্যাকর্ডিংলি আশীর্বাদ দিব (ভগ্নিপতি/নাতজামাইয়ের তরে)...
<দীর্ঘশ্বাস>
এখন আর আশীর্বাদ করে লাভ কী? নাভীন তো অলরেডি টেইকেন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আচ্ছা, ওখানে তো দেখলাম এ বছরের গোড়ার দিকে কৌস্তুভের বাংলাদেশে আসার কথা। সে কি আসেনি নাকি এসে চলেও গেছে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হাঁসাপাপু, আমার এই লেখাটার শেষটা দেখেন। বিষাদান্তক উত্তর পাবেন।
আহা! দুঃখজনক!
আমি মাঝে কিছুদিন সচলে অনিয়মিত ছিলাম বলে অনেক খবরই জানি না দেখছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ,
তবে সামনের বার বড়দি আমার জন্য নিজের ইউনিতে কি একটা কনফারেন্স অর্গানাইজ করে তার ইনভিটেশন পাঠাবে বলেছে, তাতে হয়ত ভিসা পেতে সুবিধা হবে...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভচমানু
আমি শুনেছিলাম অন্যকাহিনী। হজ্বের টাকা জলে দেয়ার জন্য না; বরং সুদ খাওয়ার জন্যই মেয়েটি সাপ হয়ে গেছে। এখানে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছিলো। কয়েকজন তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন:
১।
২।
৩।
৪।
৫।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হে ধরণী, দ্বিধা হও!
ইন্দোনেশিয়ায় হজ করা যায়?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একটু বিভ্রান্তি হতে পারে। ফ্রেজিংটা-
না হয়ে
এরকম হলে ক্লিয়ার হতো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ওহ! দাঁড়ি বাদ গেছে।
"এই মহিলা নাকি ইন্দোনেশিয়ার। হজ্জ করতে এসেছিল।" হবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
=))
সিংহটাও তো খারাপ না =))
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুধু বলাইদা-র মন্তব্যে 'লাইক' ক্লিকানোর জন্যেই মন্তব্যের লাইক ফিরায়ে দেয়া উচিত!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সাপ আবার দোয়া কুব্বত পড়ে ক্যামনে??
পলাশ মুস্তাফিজ
আমার নয় বছরের মা মণিকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলাম। তার মুখেই শুনি গুজবটা। পাত্তাই দিলাম না, আর মা মণিও বুঝে গেল ব্যাপারটা ছেঁদো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
একটা ইন্ডিয়ান বাংলা চ্যানেলে 'বেহুলা' দেখানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে দুনিয়া সাপে-সাপ ভরা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমিও সাপ হয়ে যাচ্ছি মনে হয়। হাঁসাপ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দারুণ ছবি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইয়ে, মাথার উপরে বাংলা বর্ণমালা লেখা থাকলে ভালো হতো না? অদূর ভবিষ্যতে তো মনে হয় পৃথিবীর বেশিরভাগই সাপ হাঁসাপ ইত্যাদি হবে (অতিস্বল্পসংখ্যক বিশ্বাসী বাদে), তখন কাকে বানান জিজ্ঞেস করতে হবে বুঝবো কি করে?
আশা করি আপনিও তখন সাপ হয়ে যাবেন আর বানান তো দূরের কথা, টাইপ করার বা লেখার মতো হাতই থাকবে না তখন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তা নিশ্চয়ই হয়ে যাবো, আমরা যত 'অবিশ্বাসী' আছি সবারই তো পরিণাম একই...তবে কিনা...এরকমও তো হতে পারে...
তদ্দিনে সারফেস কম্পিউটিং এর যুগ চলে আসবে, সুতরাং সাপ হওয়ার পরেও আমরা আরামসে কম্পিউটার ইউজ করতে পারব।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আরে ! আমার মতন পুরান পাগলে ভাত পায় না আর আপ্নে আইসেন সাপ হইতে !
মনমাঝি
আমি এখনো পুরাপুরি সাপ হই নাই। আপনি সিনিয়র সাপ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বকচ্ছপের একটা ঝুলায় দেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইয়ে, আপনাকে তো আমরা এমনিতেই হাঁসাপু বলি, এখন থেকে কি হাঁসাপাপু বলতে হবে?
বুনোহাঁসাপাপু। বাহ! বেশ এক্সটিক শোনাচ্ছে তো!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
না না! বুনো বাদ, শুধু হাঁসাপাপু ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বিলকুল। আর কপিরাইট্টা আমায় দিবেন কিন্তু।
অকি কৌদাদু!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বুনো আপু, আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টা তুলে এনেছেন বলে। আজ হয়তো ইবনে মিজান পরপারে বসে হাসছেন তার ফিল্মি সর্পচর্চার বর্তমান সংস্করণ দেখে।
কেউ কি কোনও পবিত্র ধর্মগ্রন্থে লেখা দেখেছেন যে সুদ খেলে বা কোনও অপকর্ম করলে মানুষ সাপ হয়ে যাবে এরকম কথা লেখা আছে! হায়রে সচেতনতা। আরও অবাক হই যখন দেখি শিক্ষিত মানুষজন এইসব গুজব মাথায় তুলে নাচেন। বিজ্ঞান পড়া মানুষজনও অলৌকিক পীরের দরবারে মাথা ঠোকেন। শুনেছিলাম হুমায়ুন আহমদও নাকি একটা ছেলের বাসনায় মাজারে মাজারে দৌড়েছেন। আর ঢাকায় দেখেছি এক বাবা হেঁটে চলেছেন আর তার পিছনে বিরাট লাইন ধরে স্যুট-টাই-জামদানী পরা সাগরেদরা বাবাকে অনুসরন করছেন। টংগী রুটে ল্যাংটা বাবা পরিবহনে ছয়লাপ। অনেকেই বলেন, হুশিয়ার, সামলে কথা বলো, বাবার সাথে অনেক কিছু আছে। তবে এপ্রসঙ্গে এক সেলুনে বসে শোনা বদের বদ দেহো-সাইদীর একটা অশ্লীল বক্তব্যের সামান্য উদ্ধৃত করি-
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বক্তাকে চিনেছেন তো ফাহিম ভাই?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্যাপারনা। আমাদের শাবানা, রোজীনা জীবনে বহুৎবার এইরকম সাপ হইছে। ভালোই লাগে দেখতে। কস্মেটিকস আর শাড়ি কেনার পয়সা লাগবেনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই সাপটা(?) দেখেছেন? এইটা পাউডার-লিপিশটিক মাখা নাগিন না।
এই সাপের চোখ নেই,
শিং নেই নোখ নেই,
ছোটে নাকি হাঁটে না,
কাউকে যে কাটে না,
করে নাকো ফোঁসফাঁস,
মারে নাকো ঢুঁশঢাঁশ ...
আর কিনা এই জিনিসের ঘাড়ে চেপে ধর্ম কপচাচ্ছে একদল লোক!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রথমে আমাদের বাসার বুয়ার কাছে শুনি এই ঘটনা পরে youtube এ পাই এই ভিডিও।হাসতে হাসতে আমার অবস্থা শেষ।কি আর বলবেন কিছু একটা শুনলে মানুষের মনে হয় মাথা ঠিক থাকে না।
--------------------------------------
Sad Songs
সত্যজিত রায়ের কি যেন একটা গল্প মনে পড়ছে, সাধুবাবার সাপ 'বালকিষণ' কে মেরে ফেলে কে যেন সাপ হয়ে গিয়েছিলো...
এইসব 'বিশ্বাসী'রা জানলে হয়তো বলেও বসতে পারে উনি নিজের বা পরিচিত কারো অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছেন
অপছন্দনীয়দা, গল্পটার নাম খগম, ছোটবেলায় পড়ে রীতিমত শিউরে উঠেছিলাম।
আমাদের গ্রামগুলোতে এরকম নানান আষাঢ়ে কেচ্ছা শোনা যায়, সেখানে সেসবে বিশ্বাস করার মত মানুষও এন্তার আছে। কিন্তু শহুরে উন্নতমনা(?) মানুষেরাও যখন বানমারা, জাদুটোনা,চালপড়া থেকে কুফরি কালামের মত গালগপ্পো নির্বিবাদে বিশ্বাস করে তখন গ্রামের ওসব মানুষদের আর দোষই দেই কী করে?
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
"সাপের ভাষা সাপের শিষ, ফিস ফিস ফিস ফিস
বালকিষণের ভীষন বিষ, ফিস ফিস ফিস ফিস"
(স্মৃতি থেকে লিখলাম। দুই একটা জায়গায় গণ্ডগোল হয়ে যেতে পারে।)
-রু
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খাইসে রে।
সাপ ভালো পাই। বাংলাদেশে একই সাথে সবচেয়ে লম্বা বিষধর সাপ (কিং কোবরা / শঙ্খচূড়) এবং সবচেয়ে লম্বা নির্বিষ সাপ (রেটিকুলেটেড পাইথন) -এর আবসস্থল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমি সাপ ভালো পাই না। শুধু সাপ না, কোনো সরীসৃপই ভালো পাই না। কিন্তু আপনার ছবিগুলো ভালো পেয়েছিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দুঃখিত। আপনার ফিরতি জবাব খেয়াল করি নাই। আপনাকে অসংখ্য
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এই দারুণ আর্বান লেজেন্ডটার জন্য
ও, আপনি প্রোপিক পাল্টানোয় প্রথমে চিনতে পারি নি...
ভালো বলেছেন- আরবান লেজেন্ড।
প্রোপিক দেখেই তো চেনার কথা। ওটা তো আমারই ছবি
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ছোটবেলায় টিভিতে শুদ্ধ বাংলায় সিনেমাকে ছায়াছবি বলত, এটা কি তাই?
হ দ্য ইয়েস! এইটা আমার সিনেমা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সবই কেয়ামতের আলামত। জোরে শোরে, জিকিরে ফিকিরে রামনাম জঁপতে থাকেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ঘ্যাচাং_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সুদ খেলেই যদি সাপ হয়ে যেত, তাহলে বাংলাদেশে আজ মানুষের বদলে কোটি কোটি সাপ থাকত। ঘরে, বাজারে, সিনেমা হলে, শপিং মলে, রেস্তোরাঁতে, অফিসে, খেলার মাঠে, স্টক এক্সচেঞ্জে, হাসপাতালে, বঙ্গভবনে, হাওয়াভবনে, সবখানে।
তবে পিচ্চিকালে ইচ্ছাধারী নাগিনের কারিশমা দেখতে খারাপ লাগত না। বেশ মজা করেই দেখতাম তখন।
কতদিন সাপের সিনেমা দেখি না! আজকাল আর বানায় না নাকি? শেষবার দেখেছিলাম স্কুলে থাকতে। একটা দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা। ভাষা বুঝি না, কিন্তু খুব মজা পেয়েছিলাম।
মিথ+হরর+স্পেশাল ইফেক্টস= নির্মল বিনোদন!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দৈনিক আমারদেশ অনলাইন এডিশনে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সংখ্যায় বগুড়া থেকে আসাদুজ্জামান ফিরোজ বিরচিত "আমিরের বায়ুচালিত গাড়ি আসছে শিগগিরই" শিরোনামে একটা সচিত্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
লেখায় দাবি করা হয়েছে বায়ুচালিত গাড়ির নির্মাতা আমির প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগুলো মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বেশকিছু সূরা থেকে গবেষণা করে পেয়েছেন।
বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে গিয়ে..
"এই গাড়ি খাড়াভাবে শূন্যে ওঠে যেতে পারবে এবং একই সঙ্গে শূন্যে স্থির হয়ে থাকতে পারবে।"
গাড়ির অপেক্ষায় জিকির করতে থাকি...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এইরাম গাড়ি আমির সাহেবকে ফকির বানিয়ে দেবে নিমিষেই।
উপরের লাইনটা একটু এডিট করে দিলেই গ্রহণযোগ্য হয়। কীভাবে তা নিচে দেখাচ্ছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এই গাড়ি ধোয়ামোছা করতে করতে হাত ব্যথা হয়ে যেতে পারে
আহা, এত হাসাহাসি করছেন কেন বেচারাকে নিয়ে? বিজ্ঞানী তো আর প্রতিদিন জন্মায় না।
তাছাড়া ওনার কথায় যুক্তি আছে, বজ্রপাতের বিশাল এনার্জি দিয়ে যদি গোটাকয় ক্যাপাসিটর চার্জ করে রাখা যায় আর সেইগুলো ডিসচার্জ করে করে বাসায় বাসায় সাপ্লাই দেয়া যায় তাহলে বাংলাদেশের বিদ্যুত সমস্যা মিটবে না কি? হতে পারে ক্যাপাসিটরের সাইজ পৃথিবীর ব্যাসার্ধের সমান হতে হবে, কিন্তু তাই বলে পিছিয়ে যাবো কেন আমরা? 'বজ্রপাতের রশ্মি' ব্যাপারটা অবশ্য বুঝিনি, তবে ওটা বুঝলে তো সেই 'প্রাণতোষিণী মহাপরিনির্বাণ' তন্ত্রের পাতা উল্টে আমি নিজেই এতদিনে কিছু একটা বানিয়ে ফেলতাম।
ডঃ জাফর ইকবালের 'পথচারী স্কুল' গল্পে এই রকম একজনের কথা লেখা ছিলো, যিনি ছাতে অ্যালুমিনিয়ামের ডেকচি ঝুলিয়ে স্যাটেলাইটের সিগন্যাল ধরেছিলেন এবং বেসমেন্টে ক্যাপাসিটর জড়ো করে বজ্রপাতের সময় সেগুলো চার্জ কারার চেষ্টা করেছিলেন। পৃথিবীতে কত আবিষ্কারই তো আগে কল্পনা করে পরে বাস্তবায়িত হয়েছে, এটাই বা হবে না কেন?
সাউথ পার্কের সিজন ১ এপিসোড ১ [Cartman gets an anal probe] দেইখেন।
আরে নাহ, হাসাহাসির কিছু নাই ! আমারে এক প্রো-ঘামাতি বা প্রো-সামথিং পাব্লিক বলসিলেন, ইহুদী-নাসারারা আজ পর্যন্ত যতকিছু আবিষ্কার করসে - যত জ্ঞানবিজ্ঞান লিখসে বা কপচাইসে - তার সবকিছুই মহাগ্রন্থে লুক্কায়িত অর্থাৎ 'গায়েব' অবস্থায় নিহিত আছে। ব্যাটারা সবকিছু ঐখান থেকে চুরি করে নিয়েই নিজেদের নামে চালায়া দিসে। কি বদ ! আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, ঐ একই বই আপনারাও তো ১৪০০ বছর ধরে দাড়ি-নোক্তা সমেত ঝাড়া মুখস্থ করে আসতেসেন। এক-দুজন না। লাখে লাখে। ১৪০০ বছর ধরে। ওদের থেকে নিশ্চিত ভাবেই অনেক বেশি জানেন ঐ বই সম্পর্কে। তাহলে আপনারা কেন কোন জ্ঞান-বিজ্ঞান পাইলেন না ওইখানে। জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে তাহলে মুসলমানরা কেন সবচেয়ে পশ্চাৎপদ জাতি আজ, হাতের মধ্যে এত বড় একটা বিজ্ঞানের কিং-সলোমন্স-মাইন থাকতে ? লোকটারে তোতলাতে দেখে, দয়া পরবশ হয়ে আমিই ওর হয়ে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করলামঃ হয়ঃ ১। ঐ গ্রন্থ বিজ্ঞানের বই না, এটা আসলে নীতি-নৈতিকতা-ধর্মাচার আর পারলৌকিক বিষয়ের বইমাত্র। অন্যকিছু এর উদ্দেশ্যও না। আপনারা এর মধ্যে এইসব 'গায়েবী বিজ্ঞান' তত্ত্ব আরোপ করতেসেন স্রেফ বাস্তব জীবনে ইহুদী-নাসারাদের তুলনায় নিজেদের ব্যর্থতাটা ঢাকার জন্য; নতুবাঃ ২। ওর মধ্যে যদি সত্যি সত্যি বিশ্বব্রম্মান্ডের তাবৎ জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি (রেডিও-টেলিভিশন-এ্যারোপ্লেন-সুপারকম্পিউটারের ডিজাইন সহ) 'গায়েব' অবস্থায় বিদ্যমান থাকে - আর আপনারা ১৪০০ বছর ধরে এর সবকিছু গুলে খেয়েও এই জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির টিকিটিরও নিশানা না পান - আর ওরা এর দুই পাতা দুইদিন পড়েই এই 'গায়েবী' তত্ত্ব ভেদ করে ফেলতে পারে, তাহলে তো বলতে হবে ইয়াহুদী-নাসারারাই আসল মুসলমান - তারাই স্রষ্টার আসল পেয়ারা বান্দা, আর আপনারাই আসলে 'ইয়াহুদী-নাসারা' ! আপনাদের এক্ষুনি তওবা পড়ে, নাকে খৎ দিয়ে, ঐ ইয়াহুদী-নাসারাদের কাছেই নিজ ধর্মে দীক্ষা নেয়া উচিৎ !!
কি বলবো, তাকিয়ে দেখি ভদ্রলোকের প্রাথমিক তোতলানো বন্ধ হয়ে গেছে। চোখ জ্বলন্ত ইটের ভাটার মতো রক্ত লাল। এই মারে কি সেই মারে। আমার ওনার কিছু 'বিশেষ' কানেকশন বিষয়ে কেমন একটু সন্দেহ ছিল। আর কথা না বাড়িয়ে দ্রুত অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলাম। পশ্চিম বঙ্গের ব্যারাকপুরের কাছে ওনাদের আদি বাড়ি। বাঙালদের একটু পচিয়ে পঃবঃ-কে একটু পাম্পট্টি দিলে খুব খুশি হন। তো, তাড়াতাড়ি ঐ টেকনিকেই পরিস্থিতি সামাল দিলাম তখনকার মত। হাসাহাসির বিষয় নয় মোটেই।
মনমাঝি
লাইক্কর্লাম
হ। 'বিষকন্যার প্রেম' তেমনই একটা। অঞ্জু ঘোষ ছিলো। ইডিয়ট কাঞ্চন না ওয়াসিম ছিলো খ্যাল নাই!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"বিষকন্যার প্রেম" দেখি নাই। দেখলেও খ্যাল নাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অঞ্জু ঘোষ কোন্টারে ভাই ?? রোজিনার একটা দেক্সিলাম, যেইখানে সে এবং তার যমজ বোন দুইজনেই সাপ হইতে পারে। খুবই জটিল সিনেমা। কে কোন বোন, কে কখন সাপ হইলো- এইগুলা মনে রাক্তে রাক্তেই ইনসেপশনের চেয়ে অনেক জটিল মনে হইসিলো।
ওরে খোকা! অঞ্জু ঘোষ হলো বেদের মেয়ে জোছনার নায়িকা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ, খোকাই রয়ে গ্লাম। দেখি- এমেজলিল সায়েবের ইশটাইলে কিচু খেতে চাইতে হবে... পেটে খেলে মাথায় সইবে।
আরে, আমাদের ছোটবেলায় এইটার যাত্রাপালাটাও কত বিখ্যাত ছিল! অঞ্জু ঘোষের নাম দিয়ে পোস্টার ঝুলত সর্বত্র...
সাব্বাস! অঞ্জু ঘোষ যে যাত্রা করতেন সেটা মনে রাখার জন্যে। কিন্তু অঞ্জু ঘোষ কি পশ্চিম বাংলার? নাকি ওঁর যাত্রাপালা দুই বাংলাতেই হতো?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কইতাপারিনা... তবে মনয় পব'র।
অঞ্জু ঘোষ তো জানতাম চট্টগ্রামের।
অঞ্জু ঘোষ চট্টগ্রামেরই। বেদের মেয়ে জোছনা প্রবল জনপ্রিয়তা লাভ করে বাংলাদেশে। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে ছবিটা আবার তৈরি করা হয়, অঞ্জু ঘোষকে নায়িকা রাখা হয় কিন্তু মনে হয় নতুন নায়ক নেওয়া হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখানে বলছে অঞ্জু ঘোষ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মেয়ে। পিতৃপ্রদত্ত নাম অঞ্জলী ঘোষ। এখন থাকেন কলকাতায়। বেদের মেয়ের জোছনার পশ্চিমবঙ্গ সংস্করণের নায়ক ছিলেন চিরঞ্জিৎ। আমি দুটাই দেখেছিলাম।
বাংলা চলচ্চিত্রের আরেকজন নায়িকা অরুণা বিশ্বাসের পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামে। অঞ্জু ঘোষের মতো তিনিও উঠে এসেছেন যাত্রাশিল্প থেকে। তাই বোধ হয় বিভ্রান্তি হচ্ছে।
উইকি ভুক্তি:
বেদের মেয়ে জোছনা- http://bn.wikipedia.org/wiki/বেদের_মেয়ে_জোসনা
অরুণা বিশ্বাসের বাবা অমলেন্দু বিশ্বাস- http://bn.wikipedia.org/wiki/অমলেন্দু_বিশ্বাস
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আচ্ছা, তার মানে যদ্দিনে আমার জ্ঞানগম্যি হয়েছে তদ্দিনে উনি কলকাতায় পাকাপোক্ত হয়ে গেছেন।
একটুখানি কারেকশন দেই বুনোআপু, অরুনা কখোনও যাত্রায় অভিনয় করতেন না। কিংবদন্তি যাত্রাশিল্পী বাবামায়ের সন্তান হলেও অরুনা বা তার ভাই যাত্রামাধ্যমে কাজ করেননি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দুঃখিত। শুধরে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বেদের মেয়ে জোছনা!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইন্টারনেটে দেখলাম বুনোহাঁস বুনোহাঁস হয়ে গেছে!
বুঝি নাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মানে মনে হয় বলতে চাইছিলেন, নেট ঘেঁটে জানা গেছে তুমি বুনোহাঁস থেকে আসলেই Wild Duck
হয়ে গেছ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাও তো বুঝলাম না
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ট্রান্সফর্মেশন!
মানুষ সাপ হয়ে যাবার পোস্টের লেখিকা বুনোহাঁস নিক ছাড়িয়ে এখন নিজেই
হয়ে গেছে!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নিকও নাই।
আরে, এই জিনিস আমি আগেও দেক্সি মনে হচ্ছে। কিন্তু কথা হলো আমিতো ভাবসিলাম এইটা চলতা-ফিরতা-কথা বোলতা সর্পমানুষ হবে! যা দেখলাম তাতো আমিও বানাইতে পারতাম, কেউ আমার ট্যালেন্টের কদর করতে শিখলো না বুঝলা?
কিন্তু এইটাকে মহিলা বলছে ক্যান? আমি তো দেখলাম রীতিমতো সোনালি দাঁড়িও আছে! এইটা বরং স্ক্যান্ডিনিভিয়ান লোকগাথার কোন দেবতার শাপগ্রস্ত ভাইকিং লর্ড হইলেও হইতারে কিন্তু!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অপমান!!
সাপ আমার দুই চক্ষের বিষ!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বাহ! এইটা পড়া ছিলো না, বা মনে নাই। আমার অবশ্য থর অনেক পছন্দের ক্যারেক্টার হলেও, গ্রীক মাইথোলজি বেশি প্রিয় (অবভিওয়াসলি ইউ নো! ) আমার মতে সবচেয়ে জট্টিল সর্প চরিত্র হলেন ইনি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
উরে! গর্গনভগ্নীরা আমার সুডুবেলামতে সবচেয়ে ভয়াল ক্যারেক্টার ছিলো! [বেশ সর্পিল আলুচনা হচ্চে কিন্তু! ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাহ রে! সাপের পোস্টে কি খরগোশালুচনা হপে?!
আর আমি কিন্তু এখনো বুই পাই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আচ্ছা, এইটা কেমন আইডিয়া? তন্ময়দা যেমন ওডিন নিক নিসে, তুমিও মেডুসা নিক নিয়ে লও। দেখতেশুনতে ভালো হবে, আর তাছাড়া, ইসে, বলতে নেই, জনগণের কনফ্যুশনও কমবে...
হ! এরেই কয় চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে! তা এই আইডিয়াখানা এই নিকটা সচল হবার আগেই দিতে হতো কিনা? এখন আর দেখতেশুনতে ভালো হলেই বা ক্যাম্নে কী?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দুনিয়াতে কয়েকটা মানুষ আর কোন কাজ না পেয়ে এই পোস্টে আলগা কমেন্ট করে যাচ্ছে সেই তখন থেকে। বুনোহাঁস, যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, আর কৌস্তুভ এই দোষে অতি দুষ্ট। সুহান রিজওয়ান আর অপছন্দনীয় বর্ডারলাইনে। দ্রোহী, ধুসর গোধূলির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
-রু
আতঙ্কে হাত পা...
হা-হাত পা? পেটের ভেতর সেঁধিয়ে যাচ্ছে না তো? আপনি ঠিক জানেন তো এটা কোন ধরণের মেটামরফোলজিক্যাল সাইন নয়?
ঠিক করে রেখেছিলাম বস্টনে গেলে যে সব রেস্টুরেন্টের নাম বলেছেন আপনার ঘাড় ভেঙে সেগুলোতে খাবো, আপনি সাসকাটুনে এলে আপনাকে নিজে রেঁধে খাওয়াবো (অতিথির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অব্যর্থ উপায়), আর যদি দুই জনেই কোলকাতা বা ঢাকা যাই একই সময়ে তাহলে সময় বুঝে ব্যবস্থা করা যাবে। এখন এই মেটামরফোসিস শুরু হলে তো শেষটা সেই ব্যাঙ-ই ভরসা (আপনার শুরু হলে আমারও তো দেরী হওয়ার কথা নয়) তা ব্যাঙ তো সব দেশেরগুলোরই স্বাদ এক রকম হওয়ার কথা ।
ধরণ না! ধরন!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দুঃখিত হাঁসাপাপু :-ss
আপনে এখনও ব্যাঙ খাইয়া দেখেন নাই? ভালো খেতে, নরম মুরগীর মতন। আমি ব্যাঙ খাওয়া নিয়ে কদিন আগেই মুখবইয়ে স্ট্যাটাস দিছিলাম, কিন্তু আপনি তো আমার লিস্টে নাই। অ্যাডায়ে ফেলেন।
কলেজে ব্যাং কাটার পর এক সপ্তাহ মুরগি খেতে পারি নাই
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ইয়ে, এই কমেন্টটাকেও গোনায় ধরে বর্ডারের একদিকে ঠেলে দেয়া যায় না?
এখন আর বর্ডারের একদিকে ঠেললে লাভ হয় না। ধূসরের নিচে গেলেই কমেন্টগুলো চাপা পড়ে যায়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আইছে! রাত জেগে অ্যাত খেটে এইসব কর্তেছি! শুকুর করেন মিয়া, এন্টারটেইনমেন্ট-এর ব্যবস্থা করছি! চান্দা দিয়ে যায়েন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সাপ হইতাম চাই... মানুষ থাকতাম চাই না।সাপ হওয়াটা কিন্তু খারাপ না, ফ্রিতে ব্যাং, তেলাপোকা, ঝিঁঝিঁ পোকা খাওয়া যাবে, আবার সাপ হবার সুবাদে জোর যার মুল্লুক তার নীতির উপর ভিত্তি করে কেঁচো সাহেবের বিলাসবহুল ভিলা দখল করে নেয়া যাবে।
পলাশ মুস্তাফিজ
আর সাপের ভিডিওটা দেখলাম না, ভয়ে।
নতুন মন্তব্য করুন