শাদিনামা: উইনডো শপিং

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: সোম, ০২/০১/২০১২ - ১১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গেল বছর পুরোটাটাই দৌড়ের উপ্রে গেছে। বিশেষ করে শেষের আটটা মাস ছিলো নাটকীয় সব উত্থানপতনে পূর্ণ। সময় পেলে প্রতিদিনই খানকয়েক ব্লগরব্লগর ড্রাফট করে রাখা যেত। কিন্তু থিতু হয়ে বসার সুযোগ এতই কম ছিলো যে খুচরো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া অনলাইনের খসড়াখাতায় বিশেষ কিছু জমা পড়েনি। দৌড়াতে দৌড়াতেই দৃশ্যপট এত দ্রুত বদলে যাচ্ছিলো যে আমার স্ট্যাটাসাসক্ত মনও সব খবরাখবর স্ট্যাটাসে তুলে দিতে পারছিলো না সময়মতো। ঘরেবাইরে আমার বিবাহ সংক্রান্ত আবহাওয়ার সাপেক্ষে কিছু ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের আলোকে ধারাবাহিক শাদিনামা লেখার ইচ্ছেটাও ওই খুচরো দুতিনটা স্ট্যাটাসেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেল। আজ ভাবলাম ওখান থেকেই শুরু করি।

মেয়ের বিয়ে নিয়ে আমার বাবা-মা'র উৎকণ্ঠা আর দশজন বাঙালি অভিভাবকের ধারেকাছে না হলেও শীতের সময় খানিকটা মৌসুমী মাথাব্যথা দেখা দিচ্ছে বছর দুয়েক ধরে। শীত বিয়ের মৌসুম। এ মৌসুমে চেনাশোনাদের বিয়েশাদি হয়। "বিয়ে করে কী হবে?" প্রশ্নের উত্তরে আম্মু একবার বলেছিলো তার নাকি শখ হয় নাতিনাতকুড়ের মুখ দেখার। উত্তরে "ওহ! সেজন্য বিয়ে করার কী দরকার?" বলার পর থেকে সে পথ মাড়ায় না আর। তবে ইদানীং যাদের বিয়ে হয় তাদের প্রায় সবাই আমার বয়েসি হওয়ায় মৌসুমী মাথাব্যথাটা সংক্রামক হয়ে ওঠে। বান্ধবীদের মায়েরা কেন জানি মেয়ের বিয়ে নিয়ে আলাপ করতে খুব ভালোবাসেন। বছরের পর বছর যোগাযোগ নেই এমন বান্ধবীদের মায়েরাও বাসায় ফোন দিয়ে মেয়ের বিয়ের গল্প ফেঁদে বসেন। দেখতে দেখতে বিয়ের হাওয়া এসব নামকাওয়াস্তে বান্ধবীদের থেকে একদম কাছের বন্ধুদের গায়ে এসে লাগতে শুরু করলে আম্মু-আব্বু একটু নড়েচড়ে বসে। বিয়েবাড়িতে আম্মু-আব্বুর চোখের ঝিলিমিলি বলে দেয় তাদের ক্ষ্যাপাটে মেয়েটার পাশে একটা শান্তশিষ্ট ভালোমানুষ ছেলে থাকলে মন্দ হয় না। বিয়ের বাজারে আমাকে সয়ে চলার মতো পুরুষ পাওয়া যে রীতিমতো অসম্ভব তা তাদেরকে বুঝিয়ে উঠতে পারি না। আজীবন নারীবিবর্জিত ফ্যান্টাসিতাড়িত লক্ষ্মী ছেলেদের সহ্য করা আমার পক্ষেও সম্ভব নয় বললে তারা গাল ফোলায়। বন্ধুবান্ধবদের অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিতব্য বিবাহ বিষয়ক দীর্ঘ ডাইনিং টেবিল বৈঠক এড়াতে বাবা-মাকে আমি বলি, "কেমন বাবা-মা তোমরা বলো তো। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে সেদিকে খেয়াল আছে?" শুনে বাবা-মা মনে আশ্বস্ত হয়। যাক, মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি জানাবে না। প্রাথমিক দুশ্চিন্তা দূর হলো। এর পরের ধাপ হলো পাত্র দেখা। "ঘটক পাখি ভাইকে ধরো। দাঁড়াও বায়োডাটা বানিয়ে দিচ্ছি।" বলে নিজ হাতে বায়োডাটা তৈরি করে প্রিন্ট করে দিই। এতে বায়োডাটায় আমার উচ্চতা ইঞ্চি দুয়েক বাড়ার, গায়ের রঙ কয়েক শেড কমার এবং আত্মীয়পরিজনের তালিকা দীর্ঘতর হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়। বাবা-মাও মেয়ের সহযোগিতায় খুশি। এখন কেবল পাত্র দেখার পালা। এটা ২০১০-এর কথা। জনৈক ঘটকের সাথে যোগাযোগ হলো। তিনি কিছু বায়োডাটা দিলেন। বায়োডাটাগুলো সবই প্রায় একই রকমের হলেও মাঝে দুই একটা মজার বায়োডাটা পেয়ে যাই। যেমন কিছু পাত্রের বাড়ির ঠিকানার পাশে ব্র্যাকেটে লেখা থাকে Own House/নিজস্ব, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতিহাসে সিজিপিএ/মার্কস, প্রাইমারি-জুরিয়র স্কলারশিপের ফিরিস্তি পাওয়া যায় কোনো কোনোটায়। প্রথম কয়েকটা বায়োডাটা দেখে রণে ভঙ্গ দিই। এসব অকাজের তথ্য দেখে বাছাই সম্ভব না। পাত্র আসুক। কথা বলে দেখি। ভালো লাগলে ভেবে দেখব।

ঘটক একদিন এলেন "বাসা দেখতে"। তিনি দেয়াল দেখলেন, আসবাব দেখলেন, পর্দা দেখলেন। সেই সাথে আমাকেও দেখলেন। আমার "শরীরস্বাস্থ্য" নাকি খুবই সুন্দর। আমি যেন এর থেকে মোটা না হই। আর পাত্রপক্ষ যদি জানতে চায় আমি কেন চশমা পরি, আমি যেন বলি "আমার চোখে কোনো সমস্যা নাই। এমনিই মাথাব্যথার জন্য পরি।" আমি বাবা-মার আশংকাকে মিথ্যা প্রমাণ করে "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন" নীতিতে নিজের রাগ সংবরণ করে হাসিমুখে বলি, "এটা তো সম্ভব না, চাচা। আমি ক্লাস ফাইভ থেকে চশমা পরি। আমার চশমার পাওয়ার অনেক। তাও আবার দুই চোখে দুই পাওয়ার। চশমা ছাড়া আমি কিছুই দেখতে পাই না। আপনি বরং এ ধরনের মানসিকতার পাত্র আনবেন না।" ঘটক মাথা নেড়ে চলে যান।

কিছুদিন পরপর ঘটক "দুর্দান্ত" সব পাত্রের সন্ধান আনেন। সবাই প্রবাসী। ছুটিতে দেশে আসবেন। তার আগে পাত্রের পরিবার পাত্রী দেখেশুনে রাখবেন। ছেলে দেশে এসে মাথা হেলিয়ে "তোমাদের পছন্দই আমার পছন্দ" বলে বিয়ে করবে। আমি অবশ্য তাদের দোষ দিই না। পড়ালেখা করতে করতে, ক্যারিয়ারের পিছে দৌড়াতে দৌড়াতে প্রেম করার সুযোগ পাননি নিশ্চয়ই। প্রবাস থেকে দেশি পাত্রী বাছাইয়ে পর্যাপ্ত সময় বিনিয়োগ করা সম্ভব নয় হয়ত। পারিবারিক পছন্দই ভরসা। পুরো প্রক্রিয়াটাই ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় আমাদের (আমার এবং আম্মু-আব্বুর) কাছে। পাত্রের পরিবার দেখার আগে স্বয়ং পাত্রকে দেখা জরুরি মনে করি। তাই পাত্রপক্ষসমূহের সাথে কথা খুব একটা এগোয় না। ঘটক দুর্দান্তস্য দুর্দান্ত এক পাত্রের বায়োডাটা দেখিয়ে তাগাদা দিতে থাকে। পাত্র ম্যাট্রিক-ইন্টারমিডিয়েটে স্ট্যান্ড করা। বুয়েটপাশ ইঞ্জিনিয়ার, প্রবাসী। শিক্ষিত পরিবার। পাত্রের মা ঢাকার নামী এক স্কুলের শিক্ষিকা। পাত্রের বাবা-মা আমাকে দেখতে ইচ্ছুক। আমি পাত্র দেখতে চাই। পাত্রপক্ষ চায় পাত্রী দেখতে। কদিন পরপর তাগাদা দেয় ঘটক। পাত্রপক্ষ নাকি আমাকে দেখার জন্য অস্থির। আমার বায়োডাটার কোন অংশ তাদের মনে ধরতে পারে আমি বুঝে পাই না। মেয়ের ধর্মে মতি নেই, মেয়ে নাচগান পারে, ছবি আঁকতে পারে জাতীয় কিছুই তো বায়োডাটায় লেখা নেই। ঘটক জানায় পাত্র নাকি জানুয়ারিতেই আসবে। চাইলেই আমি দেখা করতে পারব। এই ফাঁকে প্রাথমিক দেখাসাক্ষাৎ যেন সেরে নিই। আম্মু-আব্বু চাপ দেয় না আমাকে। ভালোয় ভালোয় এগোচ্ছে। মেয়ের মাথা বিগড়াতে চায় না তারা। কিন্তু মনে মনে চায় আমি দেখা দেই। হাজার হোক এত ভালো পাত্র! আমি বলি, "কী আছে জীবনে? চলো যাই।"

নির্ধারিত দিনে আম্মুকে নিয়ে বসুন্ধরা সিটিতে যাই। আগের রাতে ঘটকের সাথে আলাপ হয়েছে আব্বুর। ঘটক বলেছে খাওয়ার বিল যেন আমরাই দিই। খরচ বেশি হবে না। বড়জোর দুইতিনশো। বসুন্ধরা সিটির এক রেস্তোরাঁয় নিয়ে বসায় ঘটক। পাত্রপক্ষের তখনো দেখা নেই। ঘটক উশখুশ করতে থাকে। শাহরুখ খান তখন ঢাকায়। দেয়ালে সাঁটা টিভির পর্দায় তার লাইভ শো হচ্ছে। সেদিকে চোখ সেঁটে রেখে বলেন অন্যপাশের টেবিলে বসলে ভালো হতো। আমার মুখের উপর আলো পড়ত। আমাকে আরো উজ্জ্বল দেখাত তাহলে। আমি আর আম্মু হাসিমুখে কথা ঘুরিয়ে নিই।

পাত্রপক্ষের আসতে বেশ দেরি হয়। রেস্তোরাঁর দরজার ওপাশ থেকে দুজন ভদ্রমহিলা আর একজন ভদ্রলোককে দেখা যায়। তাদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ঠোঁটে হাসি ঝুলাতে না ঝুলাতেই তারা ঘটকের দিকে ইশারায় জানান তারা নামাজ পড়তে যাচ্ছেন। আমরা বসে বসে অপেক্ষা করতে থাকি। দেরি করার জন্য সশরীরে এসে ভদ্রতাসূচক ক্ষমাপ্রার্থনা না করার বিরক্তিটুকু উপেক্ষা করি। ধর্মপ্রাণ মুসলিম। নামাজে দেরি হচ্ছে নিশ্চয়ই।

নামাজশেষে ফিরে আসেন তারা। পাত্রের বাবা-মা আর খালা। পরিচয়পর্বের পর টুকটাক আলাপ হয়। আমার পছন্দ-অপছন্দ, পরিকল্পনা জানতে চান তারা। পাত্রের মা যেই স্কুলের শিক্ষিকা, সেই স্কুলের কাউকে আমি চিনি কি না জানতে চান তিনি। আমার দুজন বান্ধবীর নাম বলি। তাদের কাউকেই তিনি চিনতে পারেন না। আলাপের ফাঁকে জানতে চান আমি কী খাবো। আমিও ভদ্রতা করে মেনু নির্বাচনের দায় তার উপর বর্তে দিই। ঝামেলা এড়াতে ঘটককে বলা হয় মধ্যস্থতা করতে। ঘটক অর্ডার দিলেন। খেতে খেতে আরো কিছু আলাপ হলো। খাবারের যা বিল এলো তা দেখে পার্স যতটা মিইয়ে গেল, তারচেয়ে বেশি চটে গেল মেজাজ। ঘটকের দেওয়া হিসেবের প্রায় আটগুণ। রাতে আব্বুর ধমকটমক খেয়েও ঘটক সুসংবাদ দিলো আমাকে নাকি পাত্রপক্ষের খুব মনে ধরেছে। মেয়ে দেখতে শ্যামলা আর দাঁত একটু উঁচু হলেও বেশ মিষ্টি, বুদ্ধিমতী, কথা বলে সুন্দর করে। পাত্র এলেই দেখা হবে।

মাসখানেক পরের কথা। আমার এক ঘনিষ্ট বান্ধবীর বিয়ের আয়োজন চলছে। তার হলুদের গয়না বানানোর দায়িত্ব পড়ে আমাদের (বান্ধবীদের) কাঁধে। সেই বাহানায় আমার বাসায় চলে রাতভর আড্ডাবাজি। আমার যে দুই বান্ধবী পাত্রের মায়ের স্কুলে পড়েছে তাদের জিজ্ঞেস করলাম উনাকে চেনে কি না। শুনে দুজনই আমাকে চমকে দিয়ে বলে, "ক্যান জিজ্ঞেস করলি? বিয়ের ব্যাপারে?" আমি অবাক। কী করে জানল তারা? জানা গেল এই দুজনকে ভদ্রমহিলা কেবল চেনেনই না, এদের একজনকে তিনি ঘটক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন (বেচারি ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় পাত্রী হতে পারেনি) আর অন্যজনকে পাত্রী হিসেবে দেখেও ফেলেছেন। আমার সেই বান্ধবীকেও তারা জানিয়েছেন যে তাকে উনাদের মনে ধরেছে এবং পাত্র দেশে এলেই দেখাসাক্ষাৎ হবে। আমরা বিপুল উৎসাহে আব্বু-আম্মুকে এই চমকপ্রদ খবর দিই। "আমার স্বপ্ন" ভেঙে চুরচুর হয়ে যাওয়ায় আব্বু-আম্মু একটু মন খারাপ করে হয়ত। সেই ঘটকের সাথে আমাদের সম্পর্ক চুকে যায় সেবারই।

২০১০-এর বিয়ের মৌসুমে আমাদের অগ্রগতি এতটুকুই। সেই দুর্দান্ত পাত্রকে স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য আমার বা আমার বান্ধবীর কারোরই হয়নি। লাভের মধ্যে এটুকুই যে কিছুদিনের জন্য হলেও বিয়ের বাজারে পসার জমানোর ব্যাপারে আমার বাবা-মা'র আগ্রহে খানিকটা ভাটা পড়ে। এবং তাদের মেয়ের বিয়ে বিষয়ক চিন্তাভাবনা "কেন তুমি নিজে কাউকে পছন্দ করে আনো না?" শীর্ষক প্রাচীন সংগীতে ঘুরপাক খেতে থাকে। (চলবে?)


মন্তব্য

আশালতা এর ছবি

নাম দেখে ভেবেছিলাম বিয়ের শপিঙে গিয়ে মজার কিছু কাণ্ডের কথা পাবো। কিন্তু... বিয়ে করতে এত হ্যাঙ্গাম ?! সেরেছে !!

আর হ্যাঁ, চলবে তো বটেই। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নাশতারান এর ছবি

এটা তো বিয়ের শপিং-ই হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

মন খারাপ চলুক

নাশতারান এর ছবি

মন খারাপের কিছু নেই। এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনি অ্যাত্ত দিন পরে লিখলেন? খালি ফাঁকিবাজি, না?

আচ্ছা, সচক্ষে বানানটা স্বচক্ষে হবে না?

নাশতারান এর ছবি

খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

জয়ন্তী এর ছবি

হো হো হো

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

বিয়ে যখনই করেন, ২০১২ সালে একটা খানাদানার আয়োজন করেন। অনেকদিন বিয়ের খাবার খাই না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

চলেন সবাই মিলে একদিন ফখরুদ্দিনে গিয়ে "বিয়ের খাবার" খাই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

খালি একটা মিস কল দিয়েন, চইলা যামু ফখরুদ্দিনের দোকানে। দেঁতো হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

আপনি কিন্তু আমার কাছে চা-ও পান।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ইশতিয়াক  এর ছবি

বিয়ের মৌসুমে এক শ্রেণীর লোক নিয়ম করে পাত্রী দেখে বেড়ায়; আপনার কাহিনীর দলটি মনে হয় এই গোত্রভুক্ত।

আমি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আবিবাহিত শিক্ষককে চিনি যার পরিবার এই অভ্যাসে আক্রান্ত।

নাশতারান এর ছবি

পাত্রী দেখাটা তো দোষের কিছু না। কীভাবে দেখা হচ্ছে সেটা ভেবে দেখার দরকার আছে। পাত্রকে আড়ালে রেখে একেক পর এক পাত্রী বুকমার্ক করে রাখাটা আপত্তিকর।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লিখতে থাক রে বুনো, আমরাও পড়ি কিস্যা-কাহিনী। পাত্রের বর্ণনা পড়া শুরু করেই ভাবছিলাম, "চেনা চেনা লাগে যে?!"... কী করবো, চারপাশে তো একই প্রোফাইলের ছড়াছড়ি...

নাশতারান এর ছবি

চেনার সম্ভাবনা প্রবল।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শাব্দিক এর ছবি

শিরোনাম টা জটিল হইসে। চা নিয়ে বসলাম।

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমারো ওই লাইনে পইড়া যাওয়ার বিয়াপুক সম্ভাবনা আছে দেঁতো হাসি
লেখা গুল্লি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নাশতারান এর ছবি

কোন লাইনে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনার লাইনেই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নাশতারান এর ছবি

আমি তো সবসময়ই বেলাইনে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমিও

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কালো কাক এর ছবি

আরে একী ! ঘরে ঘরে কি একই কাহিনী ? খাইছে

নাশতারান এর ছবি

বেশিরভাগ ঘরের কাহিনি এর চেয়ে অনেক বেশি বেদনাদায়ক।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

২০১১তে কী হৈল? পছন্দের ভালু লুক পাওয়া গেল?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সিরিজ তো বদ্দা... আসিতেছে সে খবর লিচ্চয়! চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাপস শর্মা এর ছবি

হুম। এই হল অবস্থা ? তয় এম্নে অইলে ক্যাম্নে কি ব্যাবস্থা ? ( সিরিজ দৌড়াক)

নাশতারান এর ছবি

হুম

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

চলুক

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হা হা হা! ব্রেশ ব্রেশ! তবে ২০১১-তে আমাকে নতুন একটা বায়োডাটাও দেখতে হয়নি, এটা খেয়াল হলো কেবলই!

২০১১-এর বিস্তারিত বিবরণ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

আমি ২০১১তে এক লটে আটটা পেয়েছি Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

ইদানিং "কেন তুমি নিজে কাউকে পছন্দ করে আনো না?" লাইনে আমাদের বাবা-মা'রা ভালোই দৌঁড়াচ্ছেন মনে হচ্ছে!ভালো অগ্রগতি!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ওহ ইয়েস! এইটা আগে জানালেই হতো, ইশকুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হুদাই খালি সময় নষ্ট করলাম, এতদিনে বিবাহ না হলেও বেশ কয়টা প্রেম ট্রেম হয়ে যেত! জেবনে কত গল্প জমতো! মেলা লস! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

আশালতা এর ছবি

খুক খুক... মানে 'বেশ কয়টা' না হইলেও এক দুইটাও কি হয় নাই ? বিশ্বাস কর্তে বলতেছেন ?! ইস্রে, হইলেও হইতে পারত এইরকম কত্তগুলা গল্প মিস গেল। তাইলে তো হাছাই বিরাট লস। চোখ টিপি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরে আশা'পা, আপ্নে বিশ্বাস করলেই বা কী, না করলেই বা কী? আমি তো আগাগোড়াই একটা রামগাধা ছিলাম, এখনো আছি! কত পাত্ররে "নারে ভাই, থাউক" বলে ফিরায়ে দিয়েছি, বাপ-মায়ের মুখ চেয়ে কে জানে! আহারে, বেচারারা! ঐ ধরেন কেলাশ নাইনে যে নতুন ছেলেটা এসেছিলো, তারপর ধরেন গিয়ে মাস্টারের বাড়িতে মেয়েদের ব্যাচ শেষ হবার পরে ছেলেদের ব্যাচ শুরু হবার আগে দিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে যে ছেলেটা দাঁড়িয়ে থেকে মিটি মিটি হাস্তো! আহহারে! এখন তো মনে করেই মনটা কেমন উদাআআস হয়ে গ্যালো! এই জীবনে তো একটা প্রেমও ঠিক্টহাক কর্তে পার্লাম না! কবে যে জীবন 'জেবন' হয়ে গ্যালো! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

বড়দের মুখের দিকে তাকিয়ে জীবনের পঞ্চদশ বসন্তে প্রথম প্রেম ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি তখন মিশনারি স্কুলের ভালো ছাত্রী। প্রেম মানেই পাপ! 'বড়' হওয়ার পর যাদের ভালু পেয়েছি তারা আমাকে ভালু পায় নাই, আবার আমাকে যারা ভালু পেয়েছে তাদের আমি ভালু পাই নাই। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি তো কাউকেই ভালু পাই না! আমার তো মহা মুশকিল দেখি! এই জন্যেই চোখ গরম করে না তাকিয়ে, কাউকে কাউকে সুযোগ দিতে হতো, আহারে! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

gora এর ছবি

আপনার এই কমেন্ট তা আমার সাথে ১০০% মিলে যায়,তবে বড় হয়ে একজন কেই ভাল পেয়েছিলাম বলে মনে করলেও কিছু বলার আগেই মনে হল নাহ নট মাই টাইর......খাইছে

গৌতম এর ছবি

আগে বলবেন না, একটু চেষ্টা করে দেখতাম। চোখ টিপি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এখন তো বুইল্লাম, আপ্নে বৌদির থেকে পারমিশন শিলিপে শাইন করায়ে আনেন দেখি! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

গৌতম এর ছবি

বৌদি সর্বোচ্চ চারজনের পারমিশন দিয়ে রেখেছেন। দেঁতো হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আহ্‌হা! দিদিকে বলতে হবে, প্রেম করার জন্যে তো চার ভারি কম পড়ে যায়! এ সংখ্যাটা আনলিমিটেড করে দেয়ার জন্যে আমি বলবো ওকে, ঠিকাছে! (ইনোসেন্ট হাসির একটা ইমো দরকার!)

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

বেছে নাও!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নাশতারান এর ছবি

আম্মু-আব্বুর প্রেমের বিয়ে। আমাদের পরিবারপরিজনের বেশিরভাগেরই তা-ই। তাদের মেয়ের সেই এলেম নেই বলে তারা যারপরনাই হতাশ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

gora এর ছবি

আর যখন কেউ পছন্দ করে আনে তখনও হাজারটা দোষ বার করা হয়..........মন খারাপ

দ্রোহী এর ছবি

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ!

এই জিনিস এক পর্বে ছইলত ন! সিরিজ চাই, প্রতি বায়োডেটায় একটা করে পর্ব চাই। দেঁতো হাসি

নাশতারান এর ছবি

সব বায়োডাটা তো একই রকমের। বায়োডাটা নিয়ে একটা পর্ব দিবো না হয় দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নিশা এর ছবি

চ্রম।।।সিরিজ চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

নাশতারান এর ছবি

দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি
ঠিক হইছে। আগেই বলছিলাম বুয়েটের পোলাপান পাত্র ভালো না!

নাশতারান এর ছবি

কবে বললেন? Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

চরম উদাস এর ছবি

মনে মনে বলছি আরকি ইয়ে, মানে...

শৌণক  এর ছবি

এম্নিতেই সার্চ লাইট দিয়ে খুঁজেও বিয়ের পিড়িতে বসানোর মত কাউকে রাজি করাতে পারতেছি না...তার মধ্যে আবার এই প্রপাগান্দা! আপ্নারে না হয় স্টার এ খাওয়াবো... দরকার হইলে ল্যাব রিপোর্টও লিখে দিবো, তাও এই মেসেজ ব্রডকাস্ট কইরেন না! পিলিজ...
নাইলে দিল্লী ক্যা লাড্ডু অধরাই থেকে যাবে ! দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি

হেহেহেহেহে আমার বাপ মা আমাকে বলেছেন বিয়ে করার জন্য। আমি বলেছি পোস্ট গ্রাডটা হয়ে গেলে আমি রিটায়ার করছি, অ্যারাউন্ড সেপ্টেম্বর ২০১২, যদি পাশ করি আরকি খাইছে তারপরে সারাদিন শুধু বসে বসে খাবো আর মোটা হবো আর গেমস খেলবো আর কোন কাজ করবো না হোয়াটসোএভার। তাই আমাকে কোন বড়লোক মৃতপ্রায় শ্বশুরের কাছে ঘরজামাই হিসেবে দিয়ে দেয়া হোক।

আর আমি যে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশান) জানি এইটা বায়োডাটায় বড় বড় করে লিখে দেবো ভাবছি। মরণাপন্ন শ্বশুরগন যাতে পটল তোলার আগে তাঁদের বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে, এইরকম কোয়ালিফাইড জামাতাই চাইবেন দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশান)

এটা কি বুকের মধ্যে কিলাকিলি করার সিস্টেম? তাইলে ঐটা আমিও পারি। মি. বিন এর কাছ থেকে শিখছিলাম।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি পারি কি না পারি তা মেয়ের কাছে পরীক্ষা দিতে রাজি! দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আঁকাইন এর ছবি

চলুক হাসি

============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।

নাশতারান এর ছবি

অকে দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

জলের ফোটা এর ছবি

আমিও আগেই কয়েছিলাম, এডা একটা শপিং! তবে বসুন্দরা পর্যন্ত একটাও যায় নাই।

সিরিজ চলুক।

নৈষাদ এর ছবি

চলুক চলুক। ভাল লেগেছে।

হঠাৎ মনে হল এই ব্যবসাটা এখনও তেমনভাবে জমেনি - পাত্রপক্ষের দেখতে আসলে কিভাবে 'গ্রুমিং' করবেন। পুরুষদের জন্য আকর্ষণীয় 'বিবাহযোগ্যতা বাড়ে এমন "সিভি" কিভাবে লিখতে হবে...। চাকুরীর সিভি বনাম পাত্রত্বের সিভি... মন খারাপ

(আমি কঠিন কঠিন 'টেস্টের' কথা শুনেছি। ধরুন পায়ের পাতার নিচ দিয়ে চিকন কাঠি ঢুকিয়ে দেখা হয় পায়ের নিচে ফাঁকা আছে কিনা (স্লাইড-ক্যালিপার্সের এবং তার সাথে জড়িত পড়াশোনার কথা মনে হল), এই টেস্টটা আবার অন্যভাবে করা যায় - পায়ের নিচে আলতা লাগিয়ে পায়ের ছাপ নিয়ে দেখা যেতে পারে কতটুকুর ছাপ পরে। কিংবা চুল টেনে দেখা হয় 'জেনুয়িন' কিনা, এটেনসানের ভঙ্গিতে দাঁড়ালে হাটুতে হাটু লাগে কিনা [আর্মিতেও এটা দেখা হয়], তারপর ধরুন... থাক)।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পাত্র/পাত্রীকে সকাল-সন্ধ্যা লেফট-রাইট আর পিটি করানোর প্ল্যান আছে নাকি শাশুড়িকূলের? চিন্তিত

নৈষাদ এর ছবি

আসলে হাঁটুতে হাঁটু লাগলে সেটা ভাল কি না খারাপ জানিনা। করণটাও মনে করতে পারছি না (ছিল কি)। তবে শুনেছিলাম আর্মিতে হাঁটুতে হাঁটু লাগলে প্রবলেম।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দৌড়াইতে পারবে না। আমি পারি না যেমন!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

দৌড়াইতে হবে কেন? ইয়ে, মানে...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কালো কাক এর ছবি

এগুলা এখন আর চলে না। এখন রেস্টুরেন্টে খেতে যেয়েই আচারব্যবহারহাঁটাহাসিকন্ঠ যাচাই হয়। চরিত্র/পূর্বপ্রেমের ইতিহাস জানার জন্য দেখা হয় ফেইসবুক (ইদানিং ব্লগ প্রোফাইলও খোঁজা হয়)।
তবে সিভির ব্যাপারটা চিন্তা করা উচিত। কোন সিভিতে পেয়েছি পাত্রের শিক্ষা ও চাকরীজীবনের বিশদ বর্ণণা, কোথাও বাপদাদা থেকে শুরু করে খালুর শিক্ষাচাকরী, কোথাও উচ্চতা ও গায়ের রঙ আছে; কোথাও নাই। আবার কোথাও আবক্ষ ছবি, কোথাও ঠ্যাং পর্যন্ত, কোথাও দিনের আলোতে গাছের পাতা ধরে টি-শার্ট জিন্স পরিহিত, কোথাও স্যুটটাই ফিটফাট বাবু। একটা স্ট্যান্ডার্ড বায়োডাটা টেমপ্লেট থাকা উচিত ছবির মাপ সহ। দেঁতো হাসি

নাশতারান এর ছবি

আমি পাত্রের সাথে ওয়ান-অন-ওয়ান সাক্ষাতে আগ্রহী। ছেলে ঠিক তো সব ঠিক। পরিবার, সমাজ ব্লা ব্লা ব্লা সবই সামলে নেওয়া সম্ভব।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

নৈষাদ'দা, মুশকিল কী জানেন, পাত্র/পাত্রীর বায়োডেটায় জরুরি খবরগুলানই কেউ লিখে না, বা জানানো জরুরি মনে করে না... এই যেমন ধরেন পাত্রের এক্স তারে এখনো ত্যক্ত করে কিনা, পাত্রীর কোন্‌ এক্স কত বড় ছাত্রনেতা ছিলোটিলো (মানে ধরেন বিবাহের পরে এসে পাত্রকে ঠেঙিয়ে যাবে কিনা); পাত্র ধূমপান করে কিনা, আর পাত্রীকেও করতে দেবে কিনা; পাত্রী যে মাঝে মাঝে বন্ধুবান্ধব্দের সাথে থাট্টিফাশট নাইট পাট্টি করে, সেটায় বিবাহের পরে পাত্রও সানন্দে যোগ দেবে কিনা... ইত্যাদি জরুরি বিষয়গুলোর কোন মূল্য নেই! মন খারাপ
কোন মানে হয়! আচ্ছা, সবখানেই 'অভিজ্ঞতা'র একটা দাম আছে কিনা? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শিশিরকণা এর ছবি

বিবাহ ঘটনাটাই তো লিগ্যাল উপায়ে নাতি নাত্নী বানানোর জন্য ঘটে। ঐ লাইনে এক্সপিরিয়েন্স কেমন সেটাও উল্লেখ থাকা উচিত।

তার পরে ধর পাত্রী ঝগড়া ঝাঁটিতে কেমন পটু, পাত্র কি পরিমান লুল, শাশুড়ী কি পরিমান খাইষ্টা এগুলাও থাকা উচিত। এবং এগুলা বুঝানোর জন্য একটা সূচকও থাকা দরকার।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আসো, আমরা একটা তৈরি করি, জনসার্থে ব্র্যাক (Biodata Referencing and Cummulation) খাইছে

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

খি খি খি দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কল্যাণ এর ছবি

সার্থ না স্বার্থ?? ইয়ে, মানে...

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

পল্লব এর ছবি

আমি কঠিন কঠিন 'টেস্টের' কথা শুনেছি।

হ, এইরাম আমিও শুনসি, দাঁত দেখা, হাঁটু দেখা, ইত্যাদি নানানরকম। ছোটবেলায় এইসব পড়ে খুবই কনফিউজড হইতাম, কারণ কৃষিবিজ্ঞানেও এগুলা পড়সি ইয়ে, মানে...

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নাশতারান এর ছবি

কৃষিবিজ্ঞানের সাথে মিল পাওয়াই স্বাভাবিক। "তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র" তো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

পল্লব এর ছবি

অ! গুড পয়েন্ট!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নিবিড় এর ছবি
নাশতারান এর ছবি

হে হে হে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

gora এর ছবি

পুরোটা না হলেও অনেক খানি আমার সঙ্গে মিলে যায় ................................. মন খারাপ

নাশতারান এর ছবি

অনেকের সাথেই মিলে যাবে। মন খারাপ কইরেন্না। দুনিয়া বিবিধ তামশায় পরিপূর্ণ। have fun!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

gora এর ছবি

হম নিজেকে এখন পুরাই তামাশার বস্তু বলে মনে হয় তবে খুশি হব না কাঁদব বুঝতে পারি না.......:/

পল্লব এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নাশতারান এর ছবি

আইচ্ছা দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

Shams Ud Doha এর ছবি

সিজিপিএ দেয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন দেখে লজ্জা পেলাম। আমার বাওডাটা তেও রেসালট জুড়ে দিয়েছিলাম ভালো ছিল বলে হাসি
পাত্রীপক্ষ প্লাস পাত্রী সবাই পছন্দ করেছে । যদিও বিয়ে টা এখনও হয়নি তবে সম্ভাবনা আছে। ভালো যে কোন কিছুই দেয়া যেতে পারে। দোষের তো কিছু দেখি না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভালোটা যদি যেকোনো কিছুই দেয়া যায়, তাহলে খারাপগুলো দিতে অসুবিধা কী? নাকি সেগুলো আপনার বৈশিষ্ট্য না! কেবল ভালো গুলোই হাইলাইট করে উল্লেখ করবেন আর খারাপগুলো একেবারেই চেপে যাবেন, এইটা একটা অসৎ কাজ মনে হয় না?

রু (অতিথি) এর ছবি

ভাবছি, ধুসর গোধূলির বায়োডাটা দেখতে কেমন হবে!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

দুধে ধোয়া বায়োডাটা বানানোর মতো 'ভালো কোনো কিছুই' নাই আমার। তাই বায়োডাটা বানানোরও কোনো তাগাদা নাই ব্রো। হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সেকী! আপ্নে এখনো বায়োডাটা বানাইতেছেন্না! পরে তো কইবেন পোলাপান বেয়াদ্দপ! লাইন ভাঙছে! ইয়ে, মানে...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রু (অতিথি) এর ছবি

দুধে আলতা মিশানো বায়োডাটা বাদ দেন। সচলে আপনার লেখা আর মন্তব্য দেখে কয়টা পোটেনশিয়াল সম্বন্ধ উলটা দিকে দৌড়িয়েছে সেইটা হিসাব করেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সেটা আর বলতে!
তাছাড়া মানুষকে সন্তুষ্ট করে এমন বায়োডাটা বানানোর ক্ষমতা/উপায়/ইচ্ছা নাই দেখেও দৌড় দিয়ে থাকবে পটেনশিয়াল সম্পর্কসমূহ। গ্যালো, আমার জীবন জৈবন সব গ্যালো। এখন পরকালের ভরসায় থাকা ছাড়া আর কোনো গতি নাই! মন খারাপ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধুগোদা, এভাবেই তো সবকিছু হয়, জবের জন্য সিভি লিখলে, কেউ কি তার খারাপটাকে হাইলাইট করে? আমি বলছিনা সিজিপিএ বিয়ের জন্যে খুব একটা ভাল নিয়ামক, কিন্তু পাত্রীপক্ষ যখন খাচ্ছে সিজিপিএ, পাত্রপক্ষ আর কী করবে?

আমাদের পুরা সিস্টেমটাই তো অসৎ। অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন প্রেমের সময় সবকিছুতে শুধু মধু, বিয়ের পর আসল রূপ বের হয়ে আসে, সেটাও একরকম অসততা।

আবার ধরেন আমার মত যারা বালছাল প্রেম পিরিতির ধারে কাছ দিয়া যাইতে পারি নাই, তাদের জন্যে উপায় কি ভাই একটা বায়োডাটা বানানো ছাড়া? আর বায়োডাটা বানাইলে তো শিক্ষাগত ব্যাপার জবের ব্যাপার চলেই আসবে। এগুলাকে অত ক্রিটিক্যালি দেখার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কালো কাক এর ছবি

জবের সিভিতে ভালো ভালো কথাই লেখে সবাই। কিন্তু ইন্টারভিউএ যেয়ে সব বের হয়ে যায় কারণ প্রার্থীকে নিজের মুখেই নিজের দুর্বলতাগুলো বলতে হয়। আমি ১০০% পারফেক্ট বললে চাকরি পাওয়া সম্ভব না।
কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে দেখি ঘটনা অন্যরকম। দোষ বললে সবাই মুখ কালো করে ফেলে ! আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি একজন মানুষের গুণের চেয়ে দোষগুলো জানা জরুরি। কারণ দোষের সাথেই মানিয়ে নেয়ার ব্যাপার থাকে।
বিয়ের ইন্টারভিউ যারা নেন তাদের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর একটা শর্ট ট্রেনিং করে নেয়া উচিত। চোখ টিপি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অবশ্যই দোষগুলো জানা বেশী জরুরী। এ ব্যাপারে বোধহয় অমত হওয়ার কিছু নেই। আমি যেটা বলছিলাম, বলে দেখেন বিয়ের বাজারে আপনার দোষ, মানুষ তাকিয়েও দেখবে না। আপনার বিয়েই হবে না, স্পেশালি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের কথা বলছি।

তর্কটা কোনটা উচিৎ আর কোনটা অনুচিৎ সেটার না। সেটা বোধহয় সবার কাছেই পরিষ্কার, আমি শুধু অনুচিৎ কাজটার কারণ বলার চেষ্টা করছিলাম। ভাল থাকুন হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নাশতারান এর ছবি

পাত্রীপক্ষ যখন খাচ্ছে সিজিপিএ, পাত্রপক্ষ আর কী করবে?

নির্ভর করে সিজিপিএ খাওয়া পাত্রীপক্ষ তার (পাত্রের) পোষাবে কি পোষাবে না তার উপর।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

জব করা আর একজন মানুষের সাথে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত খুঁটিনাটি শেয়ার করা- দুইটা আলাদা জিনিস ব্রো।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বস আমি যেইটা বুঝাইতে চাইছি, সেইটা হইল গিয়া মানুষ খায়। কার সিজিপিএ কত, কয়টা বাড়ি আছে, আত্মীয়-স্বজন হাই প্রোফাইল কে আছে এগুলা কুনোকিছুর উপ্রেই তো শান্তি নির্ভর করে না। কিন্তু মানুষ এগুলা সবই খায়। এটা আইডিয়াল কেস বা এইটাই হওয়া উচিৎ এরম কিছু কই নাই বস।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পল্লব এর ছবি

বিয়ার পরে সম্পর্ক কেমন হবে, কেমন বোঝাপড়া হবে, সেটায় গিয়া সিজিপিএ ধুইয়া পানি খাওয়ার কিছু আছে?

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নাশতারান এর ছবি

যারা দেন তারাও ভালোর জন্যই দেন নিশ্চয়ই। কিন্তু সিজিপিএ বিয়েতে কী কাজে আসে আমি ঠিক বুঝি না। চাইলে কেউ বাড়ির আয়তন, গাড়ির মডেলও জুড়ে দিতে পারেন। সেটাও পাত্রীপক্ষের মনে ধরতে পারে। কার কী মনে ধরে বলা তো যায় না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সেটাই আসলে বলতে চাচ্ছিলাম, কার কী মনে ধরে সেটা তো আর বলা যায় না!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নাশতারান এর ছবি

সমস্যা হলো অনেকেই বায়োডাটায় বাড়িগাড়ির ফিরিস্তি দেখে পাত্রের রুচিবোধ এবং নিয়ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এই জন্যেই বায়োডাটা দরকার, বায়োডাটা দেখে কিন্তু রুচিবোধের একটা আন্দাজ পাবেন, যার সাথে যা মিলে দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নাশতারান এর ছবি

আপনি মনে হয় বিয়ের বায়োডাটা বানান নাই বা দেখেন নাই কখনো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নাহ এখনও না হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রু (অতিথি) এর ছবি

সাধারনত আপনার লেখা পড়ে অনেক হাসি, আজকে মন খারাপ হয়ে গেল। এই সময়টা বেশ খারাপ যায়। আমি মোটামুটি পাশ কাটিয়ে গিয়েছি। তারপরেও একটু আধটু আঁচ গায়ে এসে লেগেছে। খুব বিরক্তিকর একটা ব্যাপার।

নাশতারান এর ছবি

মন খারাপ করাতে চাইনি। আমার নিজেরই মন খারাপ হয়নি। বিয়ের জন্য মানসিক তাড়না বা পারিবারিক চাপ কোনোটাই ছিলো না। চেনাশোনাদের অনেক যন্ত্রণা পোহাতে দেখেছি। সেই সূত্রে মানসিক প্রস্তুতি ছিলো যেটা আম্মু-আব্বুর ছিলো না। মাঠে নেমে পরিস্থিতি দেখে আম্মু-আব্বুর উচ্ছ্বাস কমেছে। এবং সেটা হওয়া জরুরি ছিলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ইয়ে টাইপ পাত্র তোমার হাতে কীরকম নাকানিচুবানি খাবে ভেবেই খ্যাক্ষ্যাক করে হাস্তেছি! হো হো হো
আঙ্কেল আন্টির তোমার সঙ্গে যাওয়াটা তোমার নিজের জন্য যতটা না জরুরী, তার চাইতে জরুরী পাত্রপক্ষের নিরাপত্তার জন্য! হো হো হো

আমি একটা বায়োডাটা বানামু ভাবতেছি! লিখমু, পাত্র সচল! দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নাশতারান এর ছবি

যাহ! আমি এত খারাপ নাকি? Smiley

[হ। পাত্র সচল হওয়া জরুরি চোখ টিপি ]

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

gora এর ছবি

বায়োডাটার নামটা সুন্দর..হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

লক্ষ্য করলাম বুনোহাঁস এর আগের লেখা দিয়েছিল নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে, এবারো তাই। সিরিজের পরের পর্বের জন্য যেন আবার বছর ঘুরে না যায়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সেটা বাংলা নববর্ষে ছিলো না? তাইলে বছরে দুইটা। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

বাংলা নববর্ষের পত্থম পহরে লিখেছিলাম বিরতির আগের শেষ লেখাটা

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নাশতারান এর ছবি

গতবছর প্রথম লেখাটা তো ২৭ জানুয়ারিতে ছিলো দেখলাম। সে যা-ই হোক। অনেকদিন ধরের বিয়ের বাজার নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিলো। লিখব লিখব করেও হয়ে উঠছিলো না। এখন যখন লিখে ফেলেছি ধুম করে, আশা করি এখনই থেমে যাবো না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি এর ছবি

নিজ দায়িত্বে পাত্র/পাত্রী খোঁজাই ভালা।প্রায় দশ বছর আগে আমার মা বলেছিলেন, "বাবা, প্রেম করবানা , আমি তোমার জন্য রাজকন্যা নিয়ে আসব"। আজ দশ বছর পরে আমার নাদের আলী আমাকে বলেন, "বাবা, ইন্টারনেটে মেয়ে খুঁজে নাও"।

মরাল অব দ্য স্টোরীঃ বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে।

নাশতারান এর ছবি

"মা, ইন্টারনেটে ছেলে খুঁজে নাও" কজন অভিভাবক বলেন? নিজে খুঁজেপেতে আনতে পারলে আমার বাবা-মা যারপরনাই খুশি হতো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সঞ্জয় কুমার চৌধুরী এর ছবি

আজীবন নারীবিবর্জিত ফান্টাসিতারিত লক্ষ্মী ছেলেদের আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়

সাধে কি বলে : It's always easy to get a partner if you already have one.. হাসি

চলুক...

নাশতারান এর ছবি

বিয়ের বাজারে শিক্ষিত লক্ষ্মী ছেলেদের দাবিদাওয়ার ফর্দ শুনলে টাশকি খাবেন। সামাজিক ও পারিবারিক প্রশ্রয়ে মাথাখাওয়া না হলে অমন অবাস্তব আবদার করার কথা না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

guest_writer নীলকমলিনী এর ছবি

আমি বিবাহ যোগ্যা মেয়ের মা। প্রবাসী। আমাদের এখানে বাঙালি ছেলে পাওয়া খুব মুশকিল। আমি মেয়েকে বলেছি ওর যাকে ভাল লাগবে বা ওকে যে ভালবাসবে তার সাথেই আমি বিয়ে দেব। আমি সবসময়য় চেয়েছি মেয়ে এম এ করার পর বিয়ে করার কথা ভাববে। ও যখন বিয়ে বা কারো সাথে মিট করতে রেডি তখনি জানলাম এত সোজা না। আমদের বা মেয়ের বাঙালি ছেলেই ছিল প্রথম পছন্দ।
Biodata জিনিসটা আমি একদম পছন্দ করিনা সে জন্য আমি বানাই নি। ছেলের সাথে মেয়ের সরাসরি কথা বলাই আমার কাছে মনে হয় ঠিক। কিন্তু biodata ছাড়া কেও কথাই বলে না। শিক্ষিত মানুষও যে কত অশিক্ষিত সেটা এইসময় বুঝা যায়। মেয়ে আবার ভীষণ রোমান্টিক, সে চায় রাস্তাঘাটে ধাক্কা লেগে প্রেম হয়ে যাবে।কিন্তু বিদেশে ধাক্কা লাগার মতো
বাঙালি কোথায়?
বুনোর লেখা পড়ে দেখছি বাংলাদেশেও সমস্যা। এত ছেলের মাঝেও ছেলে পাওয়া যায় না।
আমরা প্রবাসে থেকে গেছি বলে আমার মেয়ের এত সমস্যা হচ্ছে। আমার মতো অনেক বাবা মা আছেন এখানে।
শেষে মেয়েরা যখন বিদেশী ছেলে বিয়ে করে আমাদের বলার কিছু থাকে না।
আরেক টা সমস্যা হল এখানে বড় হওয়া বাঙালি ছেলেরা অনেক সময় এখানে বড় হওয়া বাঙালি মেয়ে বিয়ে করতে চায় না। অনেকেই দেশে গিয়ে বিয়ে করে আসে।
মেয়েরা কিন্তু দেশের ছেলে বিয়ে করতে চায় না।

বিবাহ যোগ্যা মেয়ের মা রা বহুত ঝামেলায় আছি।
তোমার সিরিজ চলুক।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চলুক

সচলায়তনের পাঠকের কাছ থেকে এরকম বাস্তব মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। মন্তব্যের সাথে আমিও বলতে চাই, চলুক।

নাশতারান এর ছবি

বাইরে বড় হওয়া মেয়ে দেশে বড় হওয়া ছেলে বিয়ে করতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। সিংহভাগ বাঙালি পুরুষ সংকীর্ণমনা।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাই দ এর ছবি

কথার সাথে একটু দ্বিমত শুধু বাঙ্গালি পুরুষ না লিখে বাঙ্গালি লিখলে হত... সংকীর্ণমনাতে বাঙ্গালি পুরুষ মহিলা তেমন পার্থক্য নেই

উচ্ছলা এর ছবি

এদিক ওদিক চ্যাটিং করতে করতেও প্রেম হয়ে যায়...শেষে বিবাহও হয়...চ্যাট্রুমগুলায় মাঝে মইধ্যে ঢুঁ দিয়েন...ইট মাইট ওয়ার্ক...
দেঁতো হাসি

লেখা খুব মজা হয়েছে চলুক

নাশতারান এর ছবি

ভালো কথা মনে করেছেন। অনলাইন চ্যাটিং নিয়েও একটা পর্ব করা যায়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কিন্তু বুনো কি আদৌ ওয়ার্কআউট করতে চাচ্ছে? নাকি পাত্রদেরকে ওয়ার্কআউট করাতে চাচ্ছে? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

আহা! এখনই তর্ক কেন? আসিতেছে... আসিতেছে... শয়তানী হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কালো কাক এর ছবি

চ্যাট্রুমে তো ASL এর পরেই দুষ্টু কথা বলতে চায় সবাই ! তবে ফেবু ভাল জায়গা। দেঁতো হাসি

নাশতারান এর ছবি

সবাই না। অনেকেই হয়ত। asl-এর পরে আমি জিজ্ঞেস করতাম 'why?'
বুদ্ধিশুদ্ধি থাকলে সেখান থেকে কথা আগাত। বেক্কল লুল হলে সেখানেই ব্লক করে দিতাম। এটা ফেসবুক আসার আগের কথা। ফেসবুকে প্রাইভেসি রক্ষা করতে পারলে ভালো। নাইলে ফেসবুকেও লুল্বাজি কম হয় না। আমার চেনা ভালো পরিবারের শিক্ষিত ছেলেও ফেসবুকে লগইন করে নতুন নতুন মেয়ের খোঁজ নিতে। এমনকি মেয়েদের নাম-ফোন নাম্বার-কাকে কীভাবে কী বলে পটাতে হবে সেই লিস্ট সরবরাহ করা হয় এমন গ্রুপও আছে ফেসবুকে। এহেন বিকৃত রুচির কারণ সম্ভবত আমাদের সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতাবশত আক্রান্ত সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

পোস্ট এবং মন্তব্য মিলে চরম বাস্তবসম্মত একটা বিষয় উঠে এসেছে। অবশ্যই চলুক। চলুক চলুক চলুক

তবে এখন পর্যন্ত আমার যা মনে হলো, বিয়ের পাত্র-পাত্রী দেখা বা নির্বাচন সম্পর্কিত সামাজিক আচার-প্রেক্ষাপট-সমস্যাগুলো সবাই বলছে। কিন্তু এর সমাধান কী তা নিয়েও মনে হয় আলোকপাত করা দরকার। প্রেমের বিয়েতে পাত্র-পাত্রী নিজেদের পছন্দ ঠিক করে ফেলে, সুতরাং সেখানে মনে হয় যোগ্যতা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকেই থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা বিয়ের পরে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা। আবার বাবা-মায়ের নির্বাচিত পাত্র-পাত্রীর ক্ষেত্রে হুট করে অজানা-অচেনা একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে ঠিক করে ফেলাও ঠিক কতটুকু যুক্তিসংগত তারও ঠিক নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, উভয়ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা লটারীর মতো, লেগে গেলে গেলো আরকি। যদিও হতে পারে একজন সুশিক্ষিত ছেলে বা মেয়ের ক্ষেত্রে প্রেমের বিয়েতে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা কম। আবার বাবা-মাদের দেখা যায় পরিবারের উপরে গুরুত্ব বেশি দেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর অন্যতম কারণ হতে পারে, তাঁদের ধারণা, পরিবার ভালো হলে সেই পরিবারের ছেলে বা মেয়েও ভালো হবে। যদিও আরও অনেক কিন্তু থাকতে পারে।

কিন্তু স্বাভাবিকভাবে কী উপায়ে একজন যোগ্য-শিক্ষিত ছেলে/মেয়ে তার জীবনসঙ্গীকে নির্বাচন করতে পারে যদি তার প্রেম করার সুযোগ না ঘটে? এমন হতে পারে, নিজে কিংবা পরিবার থেকে প্রাথমিকভাবে পরিচয় করা (সেটা আত্মীয়সূত্রে, পরিচিতের মাধ্যমে, মেইল, নেট ইত্যাদি) এবং এরপরে নিয়মিত যোগাযোগ আলাপ-সাহচার্যের মধ্যে দিয়ে অন্তত দুজনের বোঝাপড়া হবার আগ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না যাওয়া। কিন্তু এক্ষেত্রেও মনে দুরভিসন্ধি থাকলে এই সময় অপব্যহারের সুযোগ নিতে পারে কেউ কেউ।

আর একটা বিষয়, বিয়ে করতেই হবে এই একুশে আইনের ভিত্তি কী? স্বাবলম্বী ছেলে বা মেয়ে যেকেউ যদি এই ঝামেলা (!, ?) এড়িয়ে থাকতে চায়, তাইলেই দেখা যায় গেলো গেলো রব উঠে যায়। যেনো বিয়ে করলেই সাত খুন মাফ, বিবাহিতরা ধোয়া তুলসী পাতা ইয়ে, মানে...

অতীত

নাশতারান এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উত্থাপনের জন্য। এ যুগে বিয়ে কী এবং কেন এ নিয়েও পরের কিছু পর্বে লেখার ইচ্ছে রইলো। ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে পারি বিয়ে প্রেম করে হোক বা পারিবারিকভাবে- সুখের সম্ভাব্যতা উভয়ক্ষেত্রে সমান।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

মজাদার লেখা। আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলাম।

বিয়ে করা কত কঠিন সেটা বুঝতে পারছি। আমার ধারনা ছিল আমরা অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সমস্যা সমাধান না করতে পারলে বিয়ের অধিকার নিশ্চিত করে ফেলেছি।

আশাকরি ২০১২ এর অভিজ্ঞতা অনেক চমৎকার হবে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

এলোমেলো এর ছবি

আমি একটা বায়োডাটা পেয়েছিলাম, প্রবাসী পাত্র, পিএইচডি করছে| লিখেছিল তার বডি টাইপ এথলেটিক দেঁতো হাসি

নাশতারান এর ছবি

আমি তো বায়োডাটায় ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্সও দিতে চেয়েছিলাম Smiley
নাচতে নেমে ঘোমটা দিয়ে লাভ আছে, বলেন? আড়চোখে মেপে দেখার চেয়ে সাফসাফ বলে দেওয়াই ভালো না?
আব্বুর জ্বালায় পারলাম না মন খারাপ

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাশফুল এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

gora এর ছবি

দেঁতো হাসি

সনামিকা এর ছবি

চলছে...চলবে! চোখ টিপি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মনে বড় সাধ জাগে বিদেশ ফেরত সোনালীবেন্দ্রেরা আমায় দেক্তে আসবে, পর্দায় সাল্লুখানের ধিঙ্গাচিকা শরীরের দিকে কুদৃষ্টি রাক্তে রাক্তে সে আমার প্যালারাম সদৃশ গতরের প্রশংসা করবে...

বয়েস হোয়ে যাচ্ছে রে আপা, আমার কি কিছু হবে না ?? ওঁয়া ওঁয়া

নাশতারান এর ছবি

ফ্যাসিবাদী ভালো বলতে পারবে দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাশফুল এর ছবি

লেখা দারুণ হয়েছে আপু। চলুক। দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

হুমম।

অচল  এর ছবি

আজীবন নারীবিবর্জিত ফ্যান্টাসিতাড়িত কোন লক্ষ্মী ছেলেকে পছন্দ করা সম্ভব নয়

যদি কিছু মনে না করেন তো একটা কথা বলি, এই প্রথম কোন মেয়ে পাইলাম যে "নারীসঙ্গের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পরনো পুরুষকে বিয়ের জন্য চেয়ে top ranking এ রাখে" এতদিন উল্টা দেখছি তো, তাই একটু টাস্কি খাইছি হাসি

সাফি এর ছবি

নারীবিবর্জিত আর নারীসঙ্গের পূর্বাভিজ্ঞতা না থাকা কি এক হলো?

guest_writer এর ছবি

অসাধারন লেখা...।
চলুক

কল্যাণ এর ছবি

বিয়ের সিস্টেমে বড় ধরনের গলদ আছে। এত দেখে শুনে বায়োডাটা-মাটা চালাচালি করে পরিবারের পছন্দে বিয়ে করার কারণটা কি? বিয়ের পর আত্মীয়-স্বজন-পরিবারকেতো আর একঘরে শোয়া লাগেনা!!! বড়ই আচানক।
পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।