ঘণ্টাখানেক পর পাত্র দেখতে যাচ্ছি।
বিয়ে নিয়ে ভাবিনি কখনো। ছোটবেলায় কেউ বলেনি বড় হলে বিয়ে করতে হবে। বিয়ে নাকি জরুরি কিছু না। মানুষ হওয়া জরুরি। বিয়ে চাইলে করতেও পারি, নাও করতে পারি। ছোট মাথায় বিয়ের মাহাত্ম্য বোঝার কথা না। তাই এই বিষয়টা ভাবনার তালিকায় ঠাঁই পায়নি কখনো। মিশনারি স্কুলের অতিরক্ষণশীলতার চাপে প্রেম, বিয়ের মতো ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবার অবকাশও ছিলো না। দুয়েকজন দুঃসাহসী মেয়ে যাও বা প্রেম করত, ধরা পড়লে যে হেনস্থা হতো তাতে প্রেমজ ব্যাপারগুলো সুনজরে দেখতে পারতাম না আমরা। কলেজে অন্য স্কুলের নতুন কিছু মেয়ে ভর্তি হলো যাদের কেউ কেউ বিবাহিতা বলে গুঞ্জন ছিলো। তাদের ব্যাপারে আমরা কৌতূহল বোধ করতাম।
কলেজ পেরুনোর পর পৃথিবীটা হুড়মুড়িয়ে বদলে যেতে থাকে। সহপাঠী কোনো কোনো মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে যায়। বাসায় বিয়ের তাগাদা দেওয়া হয় তাদের। কেউ কেউ পালিয়ে বিয়ে করে। কেউ কেউ বিয়ে হয়ে যাওয়ার ভয়ে তটস্থ থাকে। কেন জানি আমার বিয়ের বয়স তখনো হয় না। কাউকে কাউকে ভালো লেগে যায়। কারো কণ্ঠ শুনে ভালো লেগে যায়, কারো কবিতা পড়ে। কিন্তু সেই ভালো লাগার দৌড় কখনোই বিয়ের ফিতে ছোঁয় না। প্রেমে-অপ্রেমে ভালোলাগাগুলো নিজেদের মতো করে মরেবেঁচে বদলে যেতে থাকে। পড়ালেখার গণ্ডি পেরিয়ে বেকারজীবনের ফুরফুরে দিনগুলো ফুরিয়ে আসতে থাকে। জীবনের খানাখন্দে চোট খেতে খেতে আমি বড় হতে থাকি। আর বড়রা বুড়ো হতে থাকে। তারা আমাকে জীবনচক্রের পরবর্তী ধাপ নিয়ে ভাবতে বলে যার প্রবেশদ্বারে বড় বড় হরফে লেখা "বিয়ে"।
এই সেরেছে! বিয়ে কেন?
বন্ধুবান্ধবদের বিয়ে শুরু হয়েছে অনেক আগেই। প্রশ্ন করি তাদের। শুনে ওরা অবাক হয়। যেন আদৌ করার মতো কোনো প্রশ্ন এটা নয়। ভেবেচিন্তে যে উত্তর তারা দেয় তা যতখানি না বিয়ের কারণ তার চেয়ে বেশি বিয়ের সপক্ষে দাঁড় করানো যুক্তির মতো শোনায়। তবে চেনামহলে অনেকেই যেহেতু বিয়ে করছে বা করেছে, তাই মতের অভাব হয় না। একেকজনের কারণ একেকরকম। কেউ আবার একাধিক কারণে বিয়ে করে। এমনকি কোনো কারণ ছাড়া নিতান্ত শখের বশেও বিয়ে করে। সবাই করছে তাই করা আরকি।
বিয়ের কারণগুলোর মধ্যে ধর্মীয় কারণ সবচেয়ে জনপ্রিয়। ধর্মমতে বিয়ে করা বাধ্যতামূলক, তাই বিয়ে করছে। ধর্মতর্কে আগ্রহী নই, তাই এ নিয়ে আলাপে যাই না। বরং ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের আলোকে বলি।
■□
প্রেমের যত ঐশ্বরিক ব্যাখ্যাই দাঁড় করানো হোক আর বিবাহের যত আধ্যাত্মিক গুণকীর্তনই করা হোক না কেন, "ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি"। শরীরি ব্যাপারস্যাপার নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে আমরা পছন্দ করি না। মেয়েরা তো একেবারেই না। ভালো ছেলেমেয়েদের সেক্স সম্পর্কে জানা তো দূরের কথা সেক্স নামে দুনিয়ায় যে কিছু আছে তা-ই জানার কথা না। আমাদের দেশে মেয়েরা এমন নিয়ন্ত্রিতভাবে লালিত হয় যে নিজের শারীরিক প্রয়োজন দূরের কথা, নিজের শরীর চিনতেই বাসররাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের যৌনতা বিষয়ক আলাপের সাধারণ রূপ বিবাহিত বোন/বান্ধবীদের সাথে কানেকানে খুনসুটি, বিয়ের মঞ্চে বরের সাথে রগরগে নসিহতপূর্বক ঠাট্টামশকরা। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ প্রকাশ্যে না হলেও ছেলেদের যৌনতার ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে উদার। তবে সাহস আর সুযোগের অভাবে অথবা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংস্কারবশত হাতেকলমে শেখা হয়ে ওঠে না বেশিরভাগের। বিয়ের আগে শারীরিক যোগাযোগের সুযোগও অপ্রতুল। সিনেপ্লেক্স আর রেস্টুরেন্ট ছাড়া আর কোথায় প্রেম করা (সেক্স তো বহুত পরের কথা) সম্ভব জানতে ইচ্ছে হয় আমার।
■□
আমি ঠিক বয়সে প্রেম করতে পারিনি। জীবনের পঞ্চদশ বসন্তে সম্ভাব্য প্রথম প্রেম ফিরিয়ে দিয়েছিলাম ছাঁচে ঢালা রক্ষণশীল দীক্ষার কল্যাণে। কৈশোর পেরোতে পেরোতে বয়সের অংকের সাথে সাথে ওজনের অংক আশংকাজনকভাবে বাড়তে থাকে। সেই অংক বহনযোগ্য সীমায় নামতে নামতে পঁচিশতম বসন্ত পেরিয়ে যায়। যথাসময়ে প্রেমের সুযোগ না হলেও প্রেম দেখা হয়েছে ঢের। একটা বয়সে আমরা সবাই প্রেমে পড়ি। আমাদের সমাজে মেয়েদের ব্যাপারটা হলো বেশিরভাগই প্রেমে পড়লে আর উঠতে পারে না। বা তাকে উঠতে দেওয়া হয় না। উদার বাবা-মায়েদের বলতে শুনেছি- "প্রেম করসো যখন, বিয়ে করে ফেলো।" রূপকথা আর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আমাদের শেখায় বিয়ে প্রেমের চূড়ান্ত পরিণতি। তাই প্রথম প্রণয়কে পরিণয়ে রূপ দিতে সচেষ্ট থাকি আমরা। প্রেমিকের দুর্ব্যবহার আর স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ একজনকে দেখেছি অনেকবার ব্রেকাপ করেও সেই ছেলের কাছেই ফিরে যেতে। কারণ ওদের সম্পর্কের ব্যাপারে সবাই জেনে গেছে। এখন সম্পর্কচ্ছেদ হলে সামাজিক ও পারিবারিক হয়রানি সামলাতে হবে। আরেকজনকে দেখেছি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত বলে ব্রেকাপ করত না। এই ছেলেকে ছেড়ে দিলে জীবনে আর কাউকে ভালোবাসতে পারবে না, ভালোবাসা পাবে না- এই ভয়ে। আমাদের মেয়েরা প্রেমে পড়লে এক অর্থে মানসিকভাবে বিবাহিতাই হয়ে যায়। প্রেম আর বিয়েকে আলাদা করে দেখে না। ভালোবাসার মানুষটার সাথে থাকতে চায় আর একটা সময়ে বাসা থেকে বিয়ের জন্য তাগাদা আসতে থাকে। দুপক্ষের সন্তুষ্টির আশায় তখন একটা বিয়ে হয়।
■□
"মেয়ে হয়ে যখন জন্মেছ, বিয়ে তো একদিন করতেই হবে।"-এটা আমাদের সমাজের বহুলচর্চিত বুলি। আমাকে জনৈক আত্মীয়া বলেছিলেন একবার। জবাবে বলেছিলাম, "কেন? ছেলে হয়ে জন্মালে বিয়ে করতে হবে না? আমি কি অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করব?"
একটা বয়সে পরিবার ও পড়শিমহল থেকে 'চাপ' আসতে থাকবে। এই বয়সটা একেকজনের বেলায় একেকরকম। বারোতে গ্রামে বেড়াতে গিয়ে শুনেছিলাম, "মাইয়া তো ডাঙ্গর হইসে। বিয়া দেওয়া দরকার।" শহরে এই বয়সটা আরো পরে আসে। আমার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বিয়ের বয়স হয়েছিলো আঠারো পেরুনোর পরই। প্রতিদিনই সে ঘরে ফিরে বিয়ের খবর শোনার আশংকায় ভুগত। এই চাপ কাউকে কাউকে প্রেমেও উদ্বুদ্ধ করে। কারণ "বিয়ে যখন করতেই হবে, পরিবারের পছন্দে অচেনা কাউকে বিয়ে করার চেয়ে দেখেশুনে পছন্দ করে করাই ভালো।" সমাজ ও পরিবারের এই চাপ এতই শক্তিশালী যে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ এড়াতে অ্যারেঞ্জড প্রেমও করে কেউ কেউ। প্রেমের জন্য এমন কাউকে নির্বাচন করে যাকে পরিবার থেকে মেনে নেওয়ার সম্ভাব্যতা বেশি। তাছাড়া সামাজিক মর্যাদার প্রতিযোগিতায় টিকতেও সঙ্গী নির্বাচনে যত্নশীল হয় অনেকে। "অমুকের হাজব্যান্ড বুয়েটের টিচার, আমারো বুয়েটের টিচার চাই।"
■□
আমাদের বাসায় যে মেয়েটা কাজ করত বাড়িতে বেড়াতে গেলে বাড়ির লোকজন বুঝিয়েশুনিয়ে পাঠিয়ে দিত কিছুদিন পর। বাড়িতে ভাত নেই। ওর বোনগুলো কাজ করে না। এক ভাই মাঝেমধ্যে রিকশা চালায়। অন্যজন ছোট। বাবা খোঁড়া। মৌসুমী ভিক্ষুক। ঘরে দুই ছেলে, তিন মেয়ে আর দুই নাতিনাতনি রেখে ওর মা আরেক বিবাহিত পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে ঘর ছাড়লেন। তালাক দিলেন বৃদ্ধ খোঁড়া স্বামীকে। কারণ এই স্বামী খাওয়াতে পরাতে পারেন না।
আরেকজনের কথা জানি। সে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে না। স্বচ্ছল বনেদি পরিবারের শিক্ষিত মেয়ে। চোখ ধাঁধানো সুন্দরী। বয়সে আমার চেয়ে ছোট। তার বিয়ের বয়স হয় বিশ পেরুতেই। ফেসবুকে এক ছেলের সাথে পরিচয়ের সূত্রে প্রেম হয়। পরে সেই ছেলেকে ছেড়েও দেয়। ছেলে নাকি অলস, জীবনে উন্নতি করতে পারবে না। "ভালোবাসি ভালোবাসি বলে তো আর জীবন কাটানো যাবে না।" ফেসবুকে চোখ সেঁটে বর খুঁজতে থাকে সে। রূপের কল্যাণে পাণিপ্রার্থীর অভাব হয় না তার। এক সামরিক কর্মকর্তা বিদায় হলেন বহুগামিতার অপরাধে। জনৈক বারব্যবসায়ীকে তালিকাচ্যুত করতে হলো তার নাকউঁচু স্বভাবের কারণে। একজন ফ্যাশন ম্যাগাজিনের মালিক বাতিল হলেন উচ্চতা কম বলে। এরপর সম্পর্ক হয় এক সহকর্মীর সাথে। যথেষ্ট বিত্তশালী না হওয়ায় তাকেও বিদায় নিতে হয়। ছেলের নিজের গাড়ি নেই। ওর যাতায়াতে সমস্যা হয়। মেয়ের ভাষ্যমতে, "বিয়ে করে আরামে থাকব, বিদেশে ঘুরতে যাব, ডায়মন্ড কিনব, নাইলে ভালো থাকি কেম্নে?" অনেক খুঁজেপেতে অবশেষে মনের মতো বর পেয়ে সে ভালো আছে।
আরেক বান্ধবী বলত,"আব্বুর বয়স বাড়তেসে, ইনকাম কমতেসে। এখন আমার সাথে স্ট্যাটাসে মেলে এমন ফ্যামিলিতে বিয়ে না করলে চলব কেম্নে?"
আরেকজন ছিলো আমার ঘনিষ্ট বান্ধবী। দেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। দারুণ আবৃত্তি করত, প্রাণ খুলে হাসত মেয়েটা। তার প্রেমিকের সাথে ঝামেলা চলছিলো। ছেলেটাও আমার বন্ধু। মেয়ের কথা, "ওর বাসার ফাইনান্সিয়াল কন্ডিশন খুব খারাপ। ওর বোনের বিয়ে হয় নাই এখনো। বোনের বিয়ে দিতেই তো ওর সব টাকা যাবে। নিজে বিয়ে করবে কীভাবে? সোনার ভরি এখন কত জানো?" শুনে ছেলেটা বলেছিলো, "আমি গরিব জেনেশুনেই তো আমার সাথে প্রেম করসে। ওর সোনার গয়না লাগবে ক্যান? ও ফুলের গয়না পরে আমারে বিয়া করবে।" ওদের বিয়ে হয়নি। মেয়েটা তার ইচ্ছেমাফিক গা ভর্তি গয়না পরে অন্যের গলায় মালা পরিয়েছে। ছেলেটার খবর জানি না।
আমার এক সহকর্মী (পুরুষ) প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মেয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী। কারণ এতে শ্বশুরের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এসব পর্যবেক্ষণ থেকে বুঝি বিয়ের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক।
■□
স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ভয়ে বিয়েতে অনীহা দেখেছি অনেকের। এ ব্যাপারটা বরং যুক্তিসঙ্গত মনে হতো আমার। বিয়ে মানেই বাঁধা পড়া- এমন একটা ধারণা ছিলো। অবাক হলাম যখন দেখলাম স্বাধীনতা পাওয়ার আশায় বিয়ে করছে কেউ কেউ। এদেশের মেয়েরা আঠারো হলে নিজের মতো করে থাকার জন্য মুভ আউট করতে পারে না। বিয়ে হলে একটা মেয়ে 'নিজের সংসার' পায়। শ্বশুরবাড়ি মধ্যযুগীয় মানসিকতার না হলে স্বামী ছাড়া আর কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। অবিবাহিত অবস্থার চেয়ে বিবাহিত অবস্থার এই তুলনামূলক স্বাধীনতাটুকু অনেকের কাম্য।
■□
কলেজের প্রথম দিন আমাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো আমরা কে কী হতে চাই। এক মেয়ে বলেছিলো ভালো মা হতে চায়। এত ছোট মেয়ের মুখে অমন পাকনা কথা শুনে হেসেছিলাম। বড় হতে হতে দেখেছি মা হতে চাওয়াও অনেক মেয়ের বিয়ে করতে চাওয়ার অন্যতম কারণ।
■□
এক প্রবাসী বন্ধু বিয়ে করতে চাইছিলো খুব। বলে, "দোস্ত, নিজে কামাই, নিজে রান্ধি, ঘুরেফিরে বেড়াই। কোনোকিছুর কমতি নাই। রাতে বাড়ি ফিরে রান্নাবান্নার পর যখন খাইতে বসি, ইচ্ছা হয় কেউ আমার সাথে খাইতে বসুক। গল্প করুক আমার সাথে।"
■□
গ্রিনকার্ডের আশায় বিদেশিনী বিয়ে করার ঐতিহ্য পুরোনো। সময়ের সাথে ঐতিহ্যও বদলেছে। মেয়ে হয়ত বিদেশে পড়তে যেতে চায়। বাড়ির লোকেরা একলা একটা মেয়েকে যেতে দেবে না। তাই প্রবাসী পাত্র খোঁজা হয়। পাত্র আমেরিকার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছে সেখানে স্পাউসকে বেশ মোটা অংকের ছাড় দেওয়া হয়- সেই সুবাদেও বিয়ে ঠিক হতে দেখেছি। আমার এক বন্ধু (ছেলে) ফেসবুকে আমার বান্ধবীর ছবি দেখে আমাকে ধরে ঘটকালি করার জন্য। আমাকে বলতে বলে ছেলে স্বাবলম্বী, বাপের টাকার অভাব নাই, ওকে বিয়ে করলে বাইরে যেতে পারবে।
প্রবাসীদের যারা বিয়ে করছেন তারা সবাই বিদেশ গমনেচ্ছু এমনটা কিন্তু বলছি না। বিদেশযাত্রার মাধ্যম হিসেবে বিয়ে ব্যবহৃত হয় এটা সত্যি।
■□
আমার এক বান্ধবীর মনে দুঃখ ছিলো সে নাকি দেখতে ভালো না। তাই তাকে কেউ পছন্দ করে না। সে চায় বিয়ের দিন অন্তত তাকে যেন খুব সুন্দর দেখায়। ফেসবুকের ছবি দেখে সবাই যেন ভালো ভালো কমেন্ট দেয়। তার পকেটমানির সিংহভাগ চলে যেত ফারজানা শাকিল আর কানিজ আলমাসের পকেটে। সুখের কথা হলো তার ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। তাকে বিয়েতে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছিলো, সবাই তার অ্যালবামে দারুণ সব কমেন্ট করেছে। আশা করি সে সুখে আছে।
আমার এক বন্ধুর প্রেমিকা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় ভোগে। আমার বন্ধুটি এখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে নি। বিয়ের খরচ কুলাতে পারবে না। মেয়েটার বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন আছে। এনগেজমেন্ট, গায়ে হলুদ, সংগীত, বিয়ে, বউভাত নেই এমন দায়সারা বিয়ে সে করতে চায় না।
■□
সেদিন এক বান্ধবীর বিয়েতে ছোট্ট একটা মেয়ের সাথে খেতে বসেছিলাম এক টেবিলে। ওর মা বলছিলেন ও নাকি বলেছে কক্ষনো বিয়ে করবে না। আমার আরেক বান্ধবী বলে, "কেন করবা না? বিয়ে করলে অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ি আর অনেক গহনা পাবা।"
স্বপ্নের শুরু এভাবেই হয় হয়তবা।
এছাড়া একঘেয়ে জীবনে নতুনত্বের আশায়ও বিয়ে করে লোকে।
এর বাইরেও কারণ থাকতে পারে। সব আমার জানা নেই বা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। আমার বিবাহিত বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তাই পর্যবেক্ষণও বেশ একপেশে। বিয়ের প্রচলিত ধারণায় অরুচি আছে এমন মানুষকেও বিয়ে করতে দেখেছি। ভালো লাগা মানুষটার সাথে জীবন কাটানোর জন্য স্রোতের বিপরীতে সাঁতরানোর মতো বিপ্লবী সবাই নয়। পছন্দের কারো সাথে থাকার জন্য একটা সাক্ষরের সমঝোতা হয়ত খুব বেশি কিছু না। ভালো লাগাটাই জরুরি। কার কী ভালো লাগে প্রশ্ন সেটাই।
আমি কখনো একাকীত্বে ভুগি না। ছোটবেলা থেকেই একা থেকে অভ্যস্ত আমি। একা একা শপিং করি, একা একা হলে গিয়ে মুভি দেখি, একা একা ঘুরেফিরে খাওয়াদাওয়া করি। দ্বীপান্তরে নির্বাসিত হলেও সুখে থাকব আশা করি। প্রিয়জনের সাথে আড্ডাবাজি, হৈচৈ করতে ভালোবাসি। তবে একাকীত্ব কখনোই পীড়া দেয় না আমাকে। অর্থনৈতিক উচ্চাশা নেই, সামাজিক চাপ নিয়ে মাথাব্যথা নেই, স্বাধীনতার অভাব নেই, জীবনে বৈচিত্র্যের কমতি নেই। বিয়ের স্বপ্ন তো কখনোই ছিলো না। বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে একাই যেতে পারি। সেজন্য বিয়ে করার বাধ্যবাধকতা নেই। মাতৃত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস নেই। ভালোবাসায় রুচি আছে। তবে বাজার ঢুঁড়ে তা খুঁজে পাবার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নই আপাতত।
আগের পর্ব
শাদিনামা: উইনডো শপিং
মন্তব্য
হ
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুব ভাল লাগলো লেখাটি। কিছু আগে আমিও একটি লেখা লিখেছিলাম বিয়ে না হওয়া আমাদের সমাজের আইবুড়ও মেয়েদের সমস্যা নিয়ে। প্রচলিত বিয়ের ধারণাটি নিয়ে ইদানিং আমিও ভিন্নভাবে ভাবতে শুরু করেছি। আসলে আমরা বিয়ে করি কাকে? মানুষটিকে নাকি তার পেশা, অর্থ, বিত্ত, মর্যাদা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বাহ্যিক সৌন্দর্যকে? যে মানুষটির এসব কিছুই নেই, যে শুধুই একজন রক্ত মাংসের, দোষে গুণে সাধারণ মানুষ, তাকে কি কেউ ভালবাসবে না? বিয়ে করবে না? আমরা মনে হয় মানুষকে বিয়ে করতে পারি খুব কম লোকই।
আবারও বিয়ের কথা বলে ফেললা,। প্রসংগক্রমে লিভ টুগেদারের কথাও আসতে পারে। তবে প্রেমিক যদি প্রতারক হয়, তবে মেয়েদেরই ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা এ ক্ষেত্রে বেশি। আর প্রেমিক প্রতারক কি না, সেটা একসাথে থাকার আগ পর্যন্ত যাচাই করার কোন পদ্ধতি কারো জানা আছে কি না, আমার জানা নেই। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, নারীর অবস্থান থেকে লিভ টুগেদারকে আমি সমর্থন করতে পারি না।
আমার মতে লিভ টুগেদার আর বিয়েতে একটা সাক্ষরের ব্যবধান মাত্র। ডিভোর্সের চেয়ে ব্রেকাপ বরং ঝামেলাহীন। তবে লিভ টুগেদার করার সামর্থ্য আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের হয়েছে কি না সেটা ভেবে দেখার বিষয়। কোনো মেয়ে বিয়ের চেয়ে লিভ টুগেদারে আগ্রহী শুনলে অনেক ছেলেরই চোখ ঝিলমিলিয়ে উঠবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মেভেরিক হলে সমস্যা নেই। শুধু মা-বাবা যেন মনে দুঃখ না পান। অবশ্য এটা নির্ভর করে তাদের জন্য আপনি কতটা ছাড় দিতে রাজি এবং তারা কতটা ছাড় দিতে রাজি তার উপর।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একদম পাঁচতারা পোস্ট
বাংলাদেশে মেয়ে হয়ে জন্মানো মানেই বিশ বছর পর থেকে বাধ্যতামূলক বিয়ে ইন্টারভিউ, দামড়া কিছু মহিলা আরো কিছু পাতি আত্মীয় নিয়ে যায় মেয়ে দেখতে। এই ফাজলামী বন্ধ হওয়া দরকার।
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ। আমাকে অমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি কখনো। চাকরিজীবনে পা দেওয়ার পরে বাবা-মা'র সাথে আলোচনাসাপেক্ষে সজ্ঞানে পাত্র দেখতে শুরু করেছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শুনে ভালো লাগলো।
..................................................................
#Banshibir.
সহমত।
লেখকের লেখা বেশ ভাল লাগল। গোছানো ভাবনার লেখা।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার!!
এত গোছানো আর সুচিন্তিত লেখা খুব কম পড়ি! প্রথম পর্বের হালকা, মজার ধরনের সাথে এবারের গম্ভীর, গভীর ধরনের কন্ট্রাস্টটা ভালো লেগেছে। আমার চিরকাল মনে হয় 'মেয়েদের' ব্যাপারে শুধু ছেলেরাই লিখে গেছে, মেয়েদের নিজেদের চিন্তাগুলো নারীদের কলমে উঠে এসেছে বিভিন্ন শতকে দেশে হোক আর বিদেশে খুব খুব কম। তোমার চিন্তায় একরকম ভাবে এসেছ, আরেকজন লিখলে আরেকভাবে আসবে, এখানে মন্তব্যেই আসবে নিশ্চয়ই অনেক ভাবনা...। তোমার লেখায় মনে হয় সবগুলো পয়েন্টই উঠে এসেছে, নিজের পক্ষে এ বিষয়গুলো নিয়ে লেখার অক্ষমতা, অজ্ঞতা, সৎসাহসের অভাব আছে মনে হয়, কাজেই নতুন কিছু মাথায় এলে তোমার এখানেই বলে যাবোনি!
বেশিরভাগের সাথেই একমত, যেই দুই একটা পয়েন্ট নিয়ে নিজের কথা বলতে ইচ্ছা করছে, তার কয়েকটা বলি, সাহস করে!
আমি সবসময়ে বলি 'পার্টনারস ইন ক্রাইম'! আমার মনে হয় প্রচলিত ধারার বাইরে যা যা 'ক্রিমিনাল' অ্যাক্টিভিটিতে জড়িত থাকবো, তার সবেতেই সহযোগী না হোক, পূর্ণ সমর্থন না থাকলে 'বিয়ে' করার কার্যকারণ নাই!
তোমার মত সব 'বুলেট' দিয়ে দিলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রোমান্টিসিজম আমার ভালোই লাগে, তবে ন্যাকামো না। বাচ্চাকাচ্চাদের সাথে আমার সম্পর্ক বেশ ভালো। বাচ্চা দেখলেই আদর করতে ছোটে যারা আমি তাদের দলের নই। তাও কীভাবে জানি বাচ্চারা আমার সাথে ভিড়ে যায়। এখনো বাচ্চাদের সাথে খেলি। প্যারেন্টিং-এর ভয় না, বরং গরজের অভাব বলতে পারো। মাতৃত্বের আশায় বিয়ে করব অতদূর ভাবতে পারি না। আমি আসলে বন্ধু খুঁজি, যার সাথে আড্ডা দেওয়া যায়, সারাদিনের কাজশেষে যার জন্য ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করবে।
কিন্তু লোকে বলে হাজব্যান্ড নাকি বেস্ট ফ্রেন্ড হয় না! তেমনটা না হলে আরো পরের কথা ভাবি কী করে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হাজব্যান্ড বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে হয়ত দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে না। কিংবা অতি সামান্য ব্যাপারে ভুলবোঝাবোঝির সৃষ্টি হতে পারে। বন্ধুত্বের সবচেয়ে বড় অলঙ্কার হল পারস্পরিক সমঝোতা। আসলে শুধু-বন্ধুত্ব এবং বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রীকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া- এ দু'য়ের আবহ, প্রেক্ষিত এবং কার্যক্ষেত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিয়ের পর দৃশ্যপটে অজস্র নতুন এলিমেন্ট এসে হাজির হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে নাও হতে পারে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
শেষ প্যারাগ্রাফ এর পর আবার প্রথম লাইন টা পরে কারণ টা জানতে ইচ্ছা হলো
রবিবুড়ো তো বলেই গেছেন, "যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই..."
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তুমি শালা মারাত্মক একটা ভালো লেখিয়ে!
প্রেম বিষয়ে তোমার পর্যবেক্ষণ পূর্ণ নয়। তা হওয়ার কথাও নয়। যা দেখেছ তাই বলেছ। তোমার দুয়েকটা অনুসিদ্ধান্তেও দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু সেটাও থাকাই স্বাভাবিক। সবমিলিয়ে যা বলতে চাই, সেটা হচ্ছে তুমি মারাত্মক একটা দারুণ লেখিয়ে।
পুনশ্চ, আশালতার কাছে আমার নামে কী বদনাম করে বেড়াচ্ছ বলো দেখি? আমা(দে)র ওই একজনই আশা ছিল! তুমি ক্ষেপিয়ে দিচ্ছ্!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এত্ত প্রশংসা করলে?
প্রেম নিয়ে তোমার পর্যবেক্ষণ জানতে চাই!
আচ্ছা, আশালতাদিকে কী বলেছি যেন?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার পেম নিয়ে পর্যবেক্ষণ ওই, নারী ষলনাময়ী!
কোথায় কী বলছ সব বের করা হবে! মনে রেখ! এখনই স্বীকার করো, নয়ত... হুঁ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ওই যে, তোমার নারীপরিবেষ্টিত থাকার রহস্য?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আহা! ওতে রহস্যের কী আছে! ইশমাট হ্যানচাম বালকমাত্রই নারীবেষ্টিত থাকবে, সেই তো প্রকৃতির রীতি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তাইলে কোন বদনামের কথা বলছ? আমি তো ভাবলাম মেয়েরা যে তোমার আশপাশে নিরাপদ বোধ করে সেই আলাপের কথা বলছিলে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নিরাপত্তার কথা অবশ্য ঠিকই বলেছ। বালিকাদের কাছে তো আর টাকাপয়সাই বড় না! তারা ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চায়। যেমন পেম-বাচ্চাকাচ্চা...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি এত সুন্দর করে গুছিয়ে সব লিখে ফেলেছেন যে বলার মত বাড়তি আর কিছুই তেমন নেই। আমার কাছে সামাজিক চাপটাই সবচেয়ে কঠিন মনে হয়। আমি নিজে যদিও সামাজিক চাপ নিয়ে মাথা ঘামাই না, তবে বাবা মা , আত্মীয়দেরও চাপ সহ্য করতে হয় , এবং অনেক সময়ই প্রিয় মানুষদের দুর্গতির কথা ভেবে অনেক মেয়ে ইচ্ছে না থাকার পরও রাজি হয়ে যায় । আমাদের সমাজে এখন শিক্ষিত মেয়েদের নিজেদের পছন্দ মত ছেলেকে বিয়ে করার স্বাধীনতা দেয়া হয় কিন্তু নিজেদের পছন্দ মত সময়ে বিয়ে করার স্বাধীনতা দেয়া হয় না। অনেক ছেলেই বিয়ের বয়স (সমাজের নিয়মে) হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে না করে থাকতে পারে , কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে চিত্রটা এখনও সেরকম না । মেয়ে শিক্ষিত , স্বাধীন ,স্বাবলম্বী হওয়ার পরও তার বিয়ে করার সময়টা সমাজ নির্ধারণ করবে । বিয়ে নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই, যেহেতু ব্যাপারটা বাক্তিগত ইচ্ছে অনিচ্ছার, কাউকে ভাল লাগলে , বিয়ে করে একসাথে থাকতে চাইলে অবশ্যই থাকা উচিৎ। কিন্তু সেটা আমার যখন ইচ্ছে হবে তখন। সমাজের বেধে দেয়া সময়টা খুব পীড়াদায়ক ।
আমার উপর কোনোরকমের চাপ নেই। আমার বাবা-মা কখনো কোনো নিয়মের দোহাই দিয়ে বিয়ে করতে বলে নি। আমার এক আত্মীয়া আছেন যিনি কথায় কথায় ভয় দেখান অমুক তার মতের বিরুদ্ধে গেলে অমুকের মেয়ের বিয়েতে যাবেন না। আমার বাবাকে একবার এ কথা বললে আব্বু বলেছিলো, "এ যুগের পোলাপান! কাকে বিয়ে করবে, কবে করবে জানি না। করলেও আপনাকে দাওয়াত দেবে কি না তাও বলতে পারছি না। আগেভাবে এ নিয়ে তর্ক না করাই ভালো।"
তবে হ্যাঁ, আম্মু-আব্বু খুব খুশি হবে যদি আমার নিজের সংসার হয়। তাদের এই চাওয়াটা আমি দোষের মনে করি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার বাবা কে খুব ভাল লাগল। ওনাকে আমার শ্রদ্ধা জানাবেন। সবার বাবা মা এরকম উদার চিন্তা করতে পারলে অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যেত ।
ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"আমাদের সমাজে এখন শিক্ষিত মেয়েদের নিজেদের পছন্দ মত ছেলেকে বিয়ে করার স্বাধীনতা দেয়া হয় কিন্তু নিজেদের পছন্দ মত সময়ে বিয়ে করার স্বাধীনতা দেয়া হয় না। "
সহমত
চমৎকার।
বিয়ে নিয়ে এ ধরনের গোছানো লেখা আগে চোখে পড়েনি।
আমি পড়াশোনা করেছি প্রাইভেট ইউনিতে। সেখানে পাবলিকে চান্স পেয়েও সেশনজট এড়াতে ভর্তি হওয়া ভাল রেজাল্টধারী বালিকারা যেমন ছিল, তেমনি বেশ বড় একটা অংশ ছিল সাংসারিক সুখের প্রতি অতিআগ্রহী তরুণীদল। কোনমতে দু-তিন সেমিস্টার শেষে একটা 'ভাল' বিয়ে হয়ে গেলেই মোটামুটি যাদের ইহকাল- পরকাল যে চলে যাবে, সেটা জানাতে কখনোই কার্পণ্য ছিল না।
কলেজজীবন থেকেই বন্ধুত্ব, এমন এক বালিকা ছিল আমাদের ব্যাচের ফাস্টগার্ল। বিয়ের প্রপোজাল এলেই বেচারি রাগে নাওয়াখাওয়া ছেড়ে দিত। সেভেন্থ সেমি ফাইনালের সময় জনৈক ইউকে প্রবাসী সুপাত্রের বায়োডাটা তাকে এতটাই মুগ্দ্ধ করে, সে ক্লাস মিস করে ছোটে গোপনে বিউটি সেলুনে ফেয়ার পালিশ আর হেয়ার স্ট্রেইটনিং করাতে। কাজে লেগেছিল সেইসব। ঢাবিতে আধাআধি এমবিএ'র শেষে সখীটি লন্ডনে আছে এখন। ফেসবুকে হাস্যোজ্জ্বল যুগল ছবি দেখি। সুখী মানুষ দেখতেও ভাল লাগে।
তবে, ঠিক কী কারণে বিয়ে করেই সুখী হতে হবে কিংবা বিবাহিতা হতেই হবে-- সেটা এখনো ঠিক মাথায় ঢোকে না।
ইয়ে আপু, দুটো টাইপো আছে।
দিক্ষা > দীক্ষা আর ঢুঁরে > ঢুঁড়ে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এত্ত প্রশংসা!
বানান ঠিক করে দিলাম
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি আরও তিনটা পাইছি -
অতীষ্ট > অতিষ্ঠ
ঘনিষ্ট > ঘনিষ্ঠ
দীপান্তরে > দ্বীপান্তরে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পুরাই উচ্ছন্নে গেছি দেখি!
কার ঘাড়ে দোষ চাপানো যায়? কীবোর্ড নাকি পাত্র?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোদির বানান ভুল ধরায় যে কী আনন্দ - লা লা লা
কি্ডিং
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অত্যন্ত গোছনো, চমৎকার একটা লেখা পড়লাম । বিয়ে নিয়ে বর্তমান কালের একটি সুন্দর চিত্র ফুটে উঠেছে লেখায় । এই বিষয় নিয়ে আমার কিছু একটা লেখার ইচ্ছা আছে কোন একদিন, বিশেষ করে প্রবাসে জন্ম নেওয়া বড় হওয়া ছেলেমেয়েদের বিয়ে শাদি নিয়ে ।
ধন্যবাদ। লিখে ফেলুন সময় করে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার লাগলো।
একাকীত্বের ব্যাপারটা সম্ভবত তোমার এই বয়েসে আসবে না। আমার চেনাজানা যারা বিয়ে করেননি তারা সব্বাই একটা বয়েসে গিয়ে একাকীত্বে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিয়ে করলেই যে সুখী হওয়া যায় সেই গ্যারান্টি নেই। তবে দিনের শেষে একলা লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর ফাউ হিসাবে শিশুপালনের মতো চমৎকার একটা চাকরিও পাওয়া যেতে পারে।
তাই উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়...
অনেক শুভকামনা রইল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম। সময় বয়ে গেলে একাকী সময়ে সঙ্গী খুঁজে পাবো না হয়ত। আজ কাউকে বেছে নিলে তাকেও যে পাবো তা-ই বা কী করে বলি? বন্ধুমহলে এরই মধ্যে ডিভোর্স শুরু হয়ে গেছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একাকীত্ব বড় মারাত্মক জিনিস। এটা ছাড়াও মানুষের অমরত্বের লোভ আছে - সেই লোভেই সন্তানের জন্ম দেয় তারা। সঙ্গী এবং সন্তান নানান ক্যাচাল করে জীবনটাকে ব্যস্ত রাখে তাই আর একা লাগে না। বিবাহিত এবং সন্তানের বাবা-মারা তাই প্রায় জীবন থেকে ছুটি চান।
পায়ে ব্যথা পাওয়ার ভয়ে যেমন ফুটবল খেলা বন্ধ করা উচিত নয়, তেমনি ডিভোর্সের ভয়ে বিয়ের থেকে দূরে থাকার কারণ নেই। মধ্যবিত্ত বাংলাদেশি সমাজে এটা খুব আনকমন নয় আর, মানুষ ডিভোর্সের পরও নতুন জীবন করছে, কোন সমস্যা ছাড়াই। মাঝে মাঝে ডিভোর্স জীবনের কন্ট্রোল-অল্ট-ডিলিট বাটনটা চেপে ধরে, প্রথমে ব্যথা লাগলেও পরে নতুন করে শুরু করার একটা সুযোগ পাওয়া যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর সুলিখিত পোস্ট। পড়তে দারুন ভাল লেগেছে।
বেরিয়ে পড়ুন তাড়াতাড়ি বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন মানুষের, বিভিন্ন কালচারের সাথে চেনাজানা হওয়াটা জীবনের অপরিহার্য্য একটা অংশ বলে আমার মনে হয়; জীবন অবিশ্বাস্যরকম সম্বৃদ্ধ হয়। আমি বাবা-মায়ের ঘর ছেড়েছি সেই ষোল বছর বয়েসে। জীবনে এই একটাই ভাল কাজ করেছি
পুরুষের উপর নির্ভরশীল না হয়েই যে দিব্যি সুখে, শান্তিতে জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়, এই আত্মবিশ্বাস আপনার মাঝে দেখে ভাল লেগেছে। তবে মনের মত, ঠিক আপনার মত কাউকে পেলে বিয়ে-টিয়ে করে দেখতে পারেন। সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ, স্বচ্ছ আর শ্রদ্ধাপূর্ণ হলে বিয়ে করতে অন্নেক মজা
ভাল থাকুন।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দেশজয় করে নিই আগে। তারপর বিশ্বজয়ে যাবো না হয়
ভালো লাগল শুনে। ভালো থাকুন
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লেগেছে, এবং আমি নিজেও তাই মনে করি। তবে, আমার পুরনো ছোট্ট একটা খটকা আছে এখানে যেটার সদুত্তর খুঁজে পাই না, বা হয়ত পেলেও বুঝতে পারি না।
বিয়ের উপায় তো ২ টা- অ্যারেঞ্জ অথবা অ্যাফেয়ার। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আমার মনে হয় একটা সুযোগ থাকে; মনের মত কাউকে পেলে না হয় প্রেম ট্রেম করা গেল, সম্পর্কও হয়ত স্বচ্ছ ও শ্রদ্ধার হলো ধরে নিলাম, যার পরিনতি এক সময় বিয়েতে গড়াতে পারে। অবশ্য সবসময় তা হবে এমন ভাবার কোন কারন নেই। আবার হলেও বিয়ের পরও অনেক দাবার ছক উল্টে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে প্রথম ক্ষেত্রে ছবি/বায়োডাটা/সামগ্রিক আর্থসামাজিক স্ট্যাটাস বিবেচনা/এক আধ বার রেস্টুরেন্ট এ দেখা/...ইত্যাদির মাধ্যমে কীভাবে একজন ছেলে বা মেয়ে পাওয়া সম্ভব যারা নিজেদের মনের মত বা যাদের একটা সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক হতে পারে?
আবার লোকজন তো দেখি অনেকেই এভাবে বিয়ে করে দিব্যি সুখে থাকে, কেউ বা সুখের ভান করে। আসলে কে যে কীভাবে সুখে থাকে বা সুখি হয় বোঝা মুশকিল। জগত বড়ই বৈচিত্রময়!
আমার মনে হয় বিয়ে প্রেমের হোক বা আয়োজিত- দুটোতেই ভালোমন্দের সম্ভাব্যতা সমান।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমারো তাই মনে হয় অনেকটা; এর সঙ্গে মনে হয়, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কিছুটা সুযোগ থাকে নিজের কাছে এই যা।
কেমন সুযোগ?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধরে নিচ্ছি একজন ছেলে ও মেয়ের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে, সম্পর্কটা সুন্দর বোঝাপড়ার। এখন পরবর্তীতে তারা যদি এক সময় সম্পর্কটাকে আরো এক ধাপ বাড়ায় ও সেখান থেকে সেটা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়; তাহলে কিন্তু আপনি টিউনড, মনের মত কাউকে পেয়ে গেলেন! কিন্তু ঘটক পাখি ভাইয়ের মাধ্যমে আমি যখন পাত্র/পাত্রী খুঁজছি, তখন আমার কাছে এই অংশটুকু থাকছে না, আমাকে নির্ভর করতে হচ্ছে অল্প কিছু সময়ের বিবেচনার উপর।
সুযোগ বলতে এরকম কিছুই মাথায় ছিলো।
বুঝেছি। দ্বিতীয়টা বলতে আমি আয়োজিত বিয়ে বুঝেছিলাম। তাই কনফিউজড ছিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যখন স্কুল কলেজে পড়েছি, "ভালো ছেলেরা মেয়েদের সাথে মেশে না", "ভালো ছেলেরা প্রেম করে না"... এসব শেখানো হয়েছে ভালো মতই। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরেও এই মগজধোলাই কাটেনি অনেকটা সময়। কিন্তু আমাদের জেনারেশনের হয়েছে নতুন এক বিপদ। আমাদের বড় করা হয়েছে, 'অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ' এর যুগের মত করে। কিন্তু আমরা এসে পড়েছি, নতুন এই যুগে। এখন এমন কি ছেলে-মেয়ে চাইলেও অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ দিতেও বাবা-মাদের হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। আর এ যুগে আমরা ঐ সেকেলে প্রথাটা মেনে নিতেও পারি না। সব মিলে না করেছে প্রেম, না হচ্ছে অ্যারেঞ্জড বিয়ে... দু-দিকেই ধরা। এখনকার ছেলে-মেয়েরা হয়তো এই সমস্যায় পড়বে না এতটা।
আর প্রেমের সাথে বিয়ের সম্পর্ক/পার্থক্য নিয়ে তোমার ধারনা খুবই স্বচ্ছ মনে হলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার বাবা-মা বলে নিজে পছন্দ করে নিতে। সেইটা এখন বললে চলবে? বিয়ে করার মানসিক প্রস্তুতি দেয় নাই ছোটবেলা থেকে, প্রেম করারও না।
বিয়ে দিলে কিছু বুঝে ওঠার আগে কলেজ পেরুতেই দেওয়া দরকার ছিলো। দুনিয়াদারি বোঝার পর দুই ঝলকে কাউকে বেছে নেওয়া মুশকিল।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
একদম ঠিক কথা।
"বিয়ের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক।"
সেটাই! আমার বড় ভাগনের একটা সম্বন্ধ এসেছিল। পাত্রীপক্ষ ছেলে দেখতে এসে মুখ কাচুমাচু করে বলেই ফেলল "আপনার একটু সিম্পল, আমরা আরেকটি গরজিয়াস ফেমিলি খুঁজছিলাম"।
হ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনেকগুলো সত্য একসাথে বলে ফেললেন গো দিদি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখাটা ভালো হয়েছে। গোছানো, আর বেশ টু দি পয়েন্ট।
পাত্র কেমন দেখলে জানিয়ো।
সবচেয়ে বড় কথা এই, যে প্রেম করলে সবসময় বিয়ে করা যায় না। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই বদলায়। কেন জানি মনে হয়, যতই বদলাই না কেন আমি এক মানুষের সাথে বেশীদিন থাকতে পারবোনা। অথবা ভাইস ভার্সা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পাত্র দেখেছি এক ঝলক। আমাদের পৌঁছাতে পনেরো মিনিট দেরি হয়েছিলো। উনাদের কোনো এক মিলাদে যাওয়ার তাড়া ছিলো। চলে যাচ্ছিলেন তারা। আমরা যাওয়ায় পাত্র ফিরে এসে অ্যাপোলোজাইয করে গেলো। মুরুব্বিদের সাথে দেখা হয়নি। উনারা ফিরে এসে আলাপ করার প্রয়োজন বোধ করেননি।
একই মানুষের সাথে বেশিদিন থাকার ব্যাপারে আমিও অমনটা ভাবি। যাওয়ার পথে আম্মুকে বলছিলাম, ঠিক মানুষ পাওয়া অত সোজা না। দুয়েকটা ডিভোর্সের পরে ঠিক মানুষটা পেয়ে যাবো আশা করি। মানুষ তো ভুল করেই শেখে।
শুনে আম্মুর চেহারাটা যা হলো!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দ্যাটস দ্যা স্পিরিট। ঠিক মানুষকে বিয়ে করলেও যে সে সব সময় ঠিক থাকবে তার গ্যারান্টি নাই। মানুষ বদলায়। সময়ের সাথে যদি আর সেই ঠিক মানুষের সাথে না বনে তবে আলাদা হয়ে যাওয়ার অপশন আছে এটা মনে রাখা ভালো।
শুন, মোটামুটি তোমার সাথে বনিবনা হয় এইরকম কাউকে ধরে বিয়ে করে ফেল। তারপর ঠোকাঠুকি, ঘষাঘষি হতে হতে একসময় খাপে খাপ মিলে যাবে। আর না হলে আবার কাউকে জাইত্যা ধরবা। লজ্জার কিছু নাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
জাইত্যা ধরতে লজ্জার কিছুই নাই, কিন্তু সে্ও যদি জাইত্যা ধরার প্রস্তুতি নিয়ে রাখে তাহলে বিপদই আছে
খাইসে...
এলিজাবেথ টেলর ৮ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। তাঁর পাত্রদের ভেতর রিচারড বারটনকেই আবার বিয়ে করেছিলেন দুইবার। প্রতিবার বিয়ের সময় নাকি তিনি ভাবতেন তাঁর আগের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। এবার তিনি ঠিক মানুষটিকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন!!
বাইরে থেকে কিচ্ছুটি বুঝতে পারবেন না হেহে। বিয়ে করে দেখেন। লাইফ চেঞ্জ হয়ে যাবে। বলবেন, এতদিন কোথায় ছিলেন হাহাহা
এটা প্রচলিত মিথ । তবে আমার তা মনে হয়না । অন্তত নিজের আশেপাশের চারিদিক দেখে বলতে পারি। আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। আরেঞ্জ, লাভ, একপক্ষীয় প্রেম সব ধরণের বিয়ে দেখেছি। আমার মাছে বিয়ে মানেই হল লিগ্যাল ... । আর কিছুই নয়।
ডাকঘর | ছবিঘর
ওই তিনটা ডটে অনেকগুলো শব্দ বসবে। সেক্স, সম্পত্তি, সন্তানসন্ততি ইত্যাদি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার বাবা-মাকে কোন শান্ত বিকেলে বসে বসে গুটুর গুটুর করতে দেখেছেন? এটা কিন্তু ওরা তিরিশ বছর ধরেই করে আসছেন। তাও কি গল্প ফুরোয়? এটাই প্রেম। এর চেয়ে বেশি উচ্চাশা করলে হতাশ হবেন।
বললাম তো পরের মুখে ঝাল খেয়ে আহা উহু করছেন...
মানুষ প্রেমে পরে। পরা মানে তো পতন। পতন সর্বদাই নিম্নমুখী। এইরুপ নিম্নমুখী পতন হতে অনেক যত্নে নিজেকে রক্ষা করতে পেরে বেশ তৃপ্তিবোধ নিয়েই ছিলাম। কিন্তু বিধি বাম। এখন আত্মীয় অনাত্মীয় সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর মুখে ক্রমাগত '' বয়স তো পেরিয়ে যাচ্ছে। বিয়ে করছ কবে? মেয়ে দেখব, নাকি ঠিক করা আছে '' শুনতে শুনতে আমার ত্রাহি অবস্থা। তাই ভাবি, কোন একদিন একটা ছোটখাটো প্রেমজনিত পতন ঘটে থাকলে মন্দ হতোনা।
অবস্থা এমন হয়েছে যে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমায় দেখলেই বিয়ে বিষয়ক কিছু একটা বয়ান দিয়ে ফেলেন। পরশু একজন আমাকে শুনিয়ে বললেন...
''বিয়ে হচ্ছে একটা গুহার মতো। বিবাহিতরা এই গুহার ভেতরে প্রবেশ করে এখন মাইঙ্কা চিপায়। তারা (কেউকেউ) বেরুনোর চেষ্টা করছে প্রাণপণে, কিন্তু পারছে না। আর যারা বিয়ে করে নাই, তারা গুহায় ঢুকে দেখতে চাচ্ছে, ভেতরে কি মধুটা আছে!''
অন্যজন আমায় ঐ গুহায় ঢুকতে উদ্বুদ্ধ করতে একেবারে সক্রেতিসকে টেনে আনলেন...
আমি নিজে অবশ্য ভাবি, একা একা এই বেশ ভালো আছি। বাজারে যাইনি বলে তেলে বেগুনে জ্বলে গিন্নীর রাগ নেই...। তবুও মাঝে শাঝে কি জানি কি হয়! খুব রাত করে বাড়ি ফিরে দরজা খুলতে খুলতে নির্মলেন্দু ভর করে...
'‘আমি বলছিনা ভালবাসতেই হবে,
আমি চাই কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত...''
------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
সে কী? কক্ষনো প্রেমে পড়েননি?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বালক বেলায় ''টাকা আনা পাই'' ছবিতে ববিতার ফুলানো ঠোঁট দেখে কেমন কেমন লাগা (পরে আরও অনেককেই দেখে তেমন তেমন লেগেছে, এখানে সে বর্ণনা বাহ্য), কিংবা স্কুল ইউনিতে (কলেজে সহশিক্ষা কার্যক্রম ছিল না) দুয়েক জনের দিকে একের অধিকবার তাকিয়ে থাকাকে যদি প্রেমের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত না করেন, তবে মনে হয়, প্রেমে পড়া বলতে যা বোঝায়, আমি তাতে পড়ি নাই...
বলুন প্রেমে পড়েছেন, কিন্তু প্রেম করেননি
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যাক! প্রেম করতে না পারলেও প্রেমে তো পড়েছিলাম... ভেবেও শান্তিইইই......
ফাকা বাড়িতে ফিরে একা একা খেতে, কি টিভি দেখতে যা বিশ্রী লাগে... আমি ভীষণ পেঁচা স্বভাবের, মানুষ এড়িয়ে চলি, একলা থাকতে ভালো লাগে, তবু ঘুরে বেড়ানো, কি শপিং করা, বা শখের কিছু করা একলা করার চে, কারো সাথে করতে, সময়টা শেয়ার করতে আরও বেশি ভালো লাগে। আব্বু আম্মু তো সারাজীবন থাকবে না, বন্ধু বান্ধবদেরও নিজস্ব জীবন আছে, তাদেরকেও চাইলেই সব সময় পাওয়া যায় না, এজন্যি এক্তা পার্টনার ইন ক্রাইম দরকার হয়।
বর্তমানে বাধ্যতামূলক ব্যাচেলর লাইফ কাটাচ্ছি, অবাধ স্বাধীনতা, তবু কিচ্ছু করতে ভালো লাগছে না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হুম!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অসাধারণ একটা ব্যাখ্যা দিলেন। মনে হয়না এর চেয়ে ভালো কিছু বলা যেতে পারে। জাস্ট হ্যাটস অফফ...
শুধু একটা কথা আজ আপনি যা ভাবছেন, কাল যদি সবাই এভাবেই একটু একটু করে এই পরিবর্তিত প্রচ্ছদে ভাবতে শুরু করে তাহলে সত্যি অনেক কিছু ভাঙা সম্ভব। কিপ দিস টিওন ... গেন এ লম্বা হ্যাটস অফফ
ডাকঘর | ছবিঘর
আমাকে বললেন? কোন ব্যাখ্যা?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যা বললেন নিজের লেখায় সেই কথাই বললাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
ও আচ্ছা! ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি কেন বিয়া করছি বলি,
শীতকালে লেপের নিচে ঢুকার আগে অন্য কেউ যাতে লেপটা গরম করে রাখে সেই জন্যি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমার বিয়ে করার কারণটা তাইলে এই ফাঁকে বলে ফেলিঃ
হঠাৎ করেই এমন একজনের দেখা পেলাম যিনি "RESPECT" এবং "PRIVACY" এই দুটি শব্দের অর্থ বুঝেন। বাকি যাদের সাথে দেখা/পরিচয় হয়েছিল, তারা চেনাজানার কোনো না কোনো একটি পর্য্যায়ে চরম "ব্যাটাগীরি" দেখিয়েছিল, যা 'আন্ডার নো সারকামস্ট্যান্সেস' আমার কাছে গ্রহনযোগ্য
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
যেসব ছেলের ব্যাটাগিরি করে পৌরুষ জাহির করতে হয়, তাদের আমি ব্যাটা বলেই মনে করি না। হুহ!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
অসাধারণ এবং বিশাল গুণ! নিজের মাঝে দেখতে পাই না
..................................................................
#Banshibir.
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার মনে পাপ
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমারো
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমারও
এইটা বেস্ট হইসে।
এইটা ঠাট্টা হিসেবে নিতে পারেন, অবিবাহিত বেশি বয়সের মেয়ে অথবা ছেলেদের আচরণ আমার কেমন জানি অস্বাভাবিক মনে হয় .. আমি নিজেউ বিয়ে করিনি .. আমার বিয়ে করতে চাবার কারণ এইরকম ...
-- আমার খুব একা একা লাগে .. এই একা একা লাগা, কিছু ভালো না লাগা , শুন্যতা .. এটাকে আমি মানসিক অবসাদ(depression) বলি .. পছন্দের মানুষের সাথে সময় কাটানো মনে আনন্দ দেয় .. গভীর প্রেমের কথা বললে আমি তাকে পৌষ মানা পাখির মত ভাবি .. "দিবানিশি মন চায় ওরে বাইন্ধা তরে রাখি"(Oxytosin and bonding) .. দুক্ষজনক এইসব প্রেমের বেপারে আমি বার বার ব্যার্থ হই ..
-- এই মানব সভ্যতা টিকে থাকত না যদি না প্রেম না থাকত .. হাজার বছরের বিবর্তন দুম করে মন থেকে মুছে ফেলতে পারি না যদিনা আমি বিবর্তিত হয়ে আসন্ন বিলুপ্তপ্রাপ্ত প্রাণীতে পরিনত না হই .. এখানে বলে নেব, বিয়ে না করেউ সন্তান লাভ করা যায় , কিন্তু বেপারটা সমাজের কাছে আপত্তিকর ..
প্রেমিকার সাথে দুদন্ড কাটালে, একবার ফোনে কথা বললে, দেখা করলে আমি শান্তি পাই .. কিন্তু হায় বেপারটা কেন জানি সফলতার(বিয়ে) মুখ দেখছে না .. নিতান্ত ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার বলি সে প্রেম ভালবাসা আর বিয়ের ইচ্ছা এর মধ্যে পার্থক্য খুঁজে আমাকে বিব্রত করে .. আমার আচরণে সে নির্বুদ্ধিতার, অপরিপক্কতার পরিচয় পায় .. আমি কবে বড় হব(আমি ত্রিশ ছুই ছুই .. মমম .. আমি পুরুষ ..).. তার প্ররোচনায় আমার নিজেকে বিয়েপাগলা মনে হয় ... "আরো কত দুরে আনন্দ ধাম ....." .. আপনাদের আনন্দ দিলাম না দুক্ষ দিলাম বুঝলাম না .. আমি একটু বেশি কথা বলি(high dopamine) ..
হুমায়ূন আজাদ লিখেছেন, "প্রেম বিশেষ বিশেষ সময়ে কোনো কোনো নরনারীর জীবনে জোয়ারের মতো দেখা দেয়, তাতে সবকিছু- অধিকাংশ সময় তারা নিজেরাই- ভেসে তলিয়ে যায়; তবে আজীবন মানুষ বাস করে নিষ্প্রম ভাঁটার মধ্যে।"
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হুমায়ুন আজাদ সাহেব কাউকে ভক্তি করেননা বলে জানি, উনার প্রতি আমার ভক্তি আছে .. কিন্তু উনার চোখের সামনে মানুষজনদের একসাথে সংসার করতে দেখেও উনি এই ব্যাপারটাকে কেন অস্বীকার করেন জানিনা .. তবে মানুষে মানুষে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় রাগ অভিমানের কারণে .. সেটা একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতি .. ভাই বোনের সম্পর্ক গ্রহ তারার মত সত্য (e=mc2) .. কিন্তু বিয়ের সম্পর্কে ভাঙ্গনকে একটা পথ হিসেবে দেখা হয় .. সম্পর্ক কেমন জানি দোদুল্যমান হয়ে যায় .. রাগ অভিমানের ঝরে আমি দুরে চলে যাই, আবার 'তুমি','তুমি', 'কু কু' ডাক শুনলেই সুতায় টান পরে .. এটা খুব কষ্টের ..
"মন কাননে ফুটিয়াছে ফুল, প্রেম তরণী পেয়েছে কুল .. .. হৃদয় যমুনার দুকুল বহিয়া, প্রেম বয়ে যায় উজান .. " শিশুপার্কের ওই চর্কিতে চড়ব দুজন .....
মারাত্মক লেখা।
ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রেম করতে করতেই তো জীবনটা কাটিয়ে দিলাম। সেই শৈশব থেকে প্রেমের শুরু আর অদ্যবধি চলছে। তবে সবগুলোই একতরফা শুধুমাত্র একজনের সাথে ছাড়া। ভালোই আছি বলা যায়।
লেখায়
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ওরে কয় কী!!! দাদা আমারে এট্টু ট্রেন করেন । আজকে পাইলাম আপনারে, আপনার মতো একজনকে আমার দরকার ছিল। আমাদের চ্রম উদাস ব্রো শুনছি ইভটিজিং এ উস্তাদ। উনার কাছে ঐডার দীক্ষা নেমু। আর এর পরেরটা আপনার কাছে থেকে
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
অমন একতরফা প্রেমে যে কত পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
পড়ে অনেক ভাল লাগলো । ভাল লাগার মতই গোছান লেখা বটে
আমিও ঠিক সামাজিক নই , তবু একা একা কোনকিছু করতে ভাল লাগে না । ধরেন , খুব চমৎকার কিছু একটা দেখলেই কাউকে সেটা দেখাতে / শেয়ার করতে ইচ্ছে করে । নইলে , সেটার অনন্দ অনুভবে ঘাটতি রয়ে যায় ( আমার নিজের ক্ষেত্রে )
পাত্র কেমন দেখলেন জানিয়েন , পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই পাব বলে আশা করি
ধন্যবাদ। আজকের পাত্র দেখার অভিজ্ঞতা উপরে দুষ্ট বালিকার মন্তব্যের জবাবে বয়ান করেছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমিও বিয়া করসি একা না থাকার জন্য। এক্কেরে আঠার মত লাইগা থাইকা রাজি করাইসি অন্যপক্ষের মেজর কোন আফসোস আছে নাকি জানিনা, আমার নাই। "পরিবারের পছন্দে" প্লাস্টিক বারবি কপালে জুটবে, এই ভয়েই ঐদিকে যাইনাই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আপনাদের জন্য ভালোবাসা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
তোমার ঘ্যান ঘ্যানানির ব্যাপারে আমি সার্টফিকেট দিতে পারি। প্রেমে পড়ুক না পড়ুক, ঘ্যানর ঘ্যানর এর হাত থেকে বাচার জন্য হলেও রাজি হয়ে যাবে যে কোন মেয়ে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
চাইলে সবকিছুরেই স্কিল বানানি যায়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টিউলিপাপু যে ফার্স্টক্লাস মুরগি রান্ধে সেইটা বললেন না?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সে তো রান্ধেই, আরও বহুত কিছুই করে, কিন্তু আমার বেলায় তো আর তার তেমন কিছু বলার নাই, কামের মধ্যে খালি আছে ভাল বোম্বাই মরিচ ফলাইতারি, যেডি আল্টিমেটলি আমি নিজেই খাই
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমাকে লোকে চিরকাল বিয়ে-পাগল, বাচ্চা-পাগল বলে জানে। শুধু আমার বৌ প্রথম দুই সপ্তাহে বুঝে উঠতে পারে নাই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু পর্যবেক্ষণ, খুব নিপুনভাবে তুলে ধরেছো - মোটামুটি পুরোটার সাথেই একমত। চমৎকার হয়েছে লেখাটা। তোমার অন্যতম সেরা লেখা, নিঃসন্দেহে।
ধন্যবাদ, যুধিষ্ঠিরদা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার!
ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মেয়ে হয়ে জন্মালাম আর একটা ছেলের জীবন নষ্ট করার এই সুবর্ণ সুযোগ এই ভাবে হেলায় হারাবো? কক্ষনো না এই জন্যই সব মেয়ের বিয়ে করা উচিত
লেখাটা দারুণ লাগলো, আগেরটার মতই। কয়েকটা লাইন কোট করার মতন
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
মুহাহাহাহা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বেশট কমেন্ট
যে মানুষটাকে মনে মনে ভালো লাগত সেই একদিন বলল, আমার জন্য তার অনেক কষ্ট হয়, শুনে চুপ করেছিলাম, তারপর থেকেই কেমন জানি তার উপর অধিকার অনুভব করতে শুরু করলাম, খেয়েছে কিনা, মাইগ্রেনের ব্যাথা হচ্ছে কিনা, তারপর এক পঞ্চমীর চাঁদের রাতে প্রথম তার হাত ধরলা, এখন ধরে আছি সে হাত, এই বছরে হয়ত গান গাইতে পারব "প্রভাতে উঠিয়া ওমুখ হেরিনু, দিন যাবে আজি ভালো" কিন্তু নিজের ভেতরের যে একা আমি, সে একা একা এখনো বোধ করি। আপনার লেখাটি খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম। মন্তব্যগুলোও। অনেক ক্ষেত্রেই একমত কম ক্ষেত্রেই দ্বিমত। কিন্তু আমি সামনের দিঙ্গুলি নিয়েই চিন্তিত। যে মানুষটার সাথে এতদিন সকাল বিকাল কথা বলছি, সপ্তাহে ২/১ বার দেখা হচ্ছে, হাত ধরে ফুটপাথে বসে থাকছি, যার ভাবনাগুলোয় মন হারিয়ে যায়, বিয়ের পরেও সে কী এমন থাকবে?
অপ্রাসঙ্গিক কথার অবতারনা করলাম বোধহয়।
আমরা সবাই একা। তবে প্রিয় সঙ্গীর পাশে থেকেও নিঃসঙ্গ বোধ করাটা প্রত্যাশিত নয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এতোরকমের এতো পয়েন্টস! ফাডায়ালাইছ বুনোদি!
হে হে
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বিয়ে নিয়ে দারুন কমপ্রিহেনসিভ গোছানো একটা লেখা। আসলে, আমার মনে হয় বিয়ের মত সামাজিক বন্ধনের গুরুত্ব, ওজন, ভারিক্কি, তাৎপর্য; এসব সেই সমাজের রক্ষনশীলতার সমানুপাতিক।
ধন্যবাদ!
ঠিক বলেছেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখাটা অনেক ভালো লাগলো ভাই। আমি লিখলে এভাবেই লিখতে চাইতাম, আপনার মত গোছানো হোতো না কেবল! বিয়ে না করে বাইরে পড়তে আসায় তার আগের কয়েক মাস কেবল এটাই শুনতে হয়েছে সবার কাছে। কিছু কিছু মানুষের কথা শুনে এটাও মনে হয়েছে, বিয়ে না করে একা বাইরে যাওয়া মানেই বেলেল্লাপনা। তাদের "ভালো মেয়ে" র ডেফিনেশন টা বিয়ের মধ্যে আটকানো।
শুভকামনা থাকলো।
ধন্যবাদ।
আমাকেও শুনতে হবে হয়ত। তবে সৌভাগ্যবশত আমার বাবা-মা এই "কিছু কিছু মানুষ"কে আমাদের নিজেদের ব্যাপারে নাক গলানোর সুযোগ দেয় না কখনো। তাই আমার গায়ে এই সামাজিক উত্তাপের আঁচ লাগে না খুব একটা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
উফ! দুর্দান্ত এক পোস্ট!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
facebook
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ক্যান, অমুক-তমুক ভাইয়ের ফ্ল্যাট!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্যাচেলর সিনেমার লিটনের ফ্ল্যাট!
facebook
এই ফ্ল্যাটগুলো কোথায় কীভাবে সরবরাহ করা হয়? এগুলো কি আদৌ নিরাপদ? দুদিন পরপর যে ভিডিওগুলো নিয়ে রব ওঠে সেগুলো কোথায় ধারণ করা হয়?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এইতো বুঝে ফেলছেন! বলছিলাম, ভালোবাসতে চাইলে আর ভালোবাসতে জানলে কি আর ভেন্যুর অভাব হয়রে চাঁদ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখাটা চমৎকার লাগল। কোন পয়েন্টই বাদ দেননি আপনি।
ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অতি অসাধারণ একটা পোস্ট। পড়তে পড়তে বেশ কয়েকটা জিনিষ নিয়ে কমেন্ট করার কথা মনে হয়েছিল। মন্তব্য পড়তে যেয়ে সব গুলিয়ে খেয়েছি। যাই হোক, যেই দুই একটা মনে আছে তাই লিখি।
বিয়ে করতে চাই না, হাত পা ঝাড়া অবস্থাটা খুব উপভোগ করি। আমি বেশ পুরানো মানসিকতার, লিভিং টুগেদারের কথাও ভাবতে পারিনা। যদি বিয়ে করতাম তাহলে মনে হয় যেটা দেখতাম সেটা হচ্ছে আমার পোলাপানের জন্য কীরকম রোল মডেল হবে।
ধন্যবাদ। পোলাপান পর্যন্ত ভাবতে গেলে বিয়ে করা উচিত মনে করি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লাগলো লেখা। গুছানো পরিপাটি।
পরের পর্ব আসবে তো?
ভালো থাকুন, আর আশা করি মনের মত কাউকে পেয়ে যান।
ধন্যবাদ। পরের পর্ব আসবে আশা করি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দারুণ! অনেক গোছানো!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখাটা খুব ভালো লাগলো। মূল কারণগুলো খুব ভালো ভাবে তুলে এনেছো। তবে আমার মাথায় একটাই কথা ঘুরছে শুধু, বুনোর লেখায় কীভাবে বানান ভুল?! সুলক্ষণ না কিন্তু!
আগেও যেমনটা বলেছি... এই লেখাগুলো পড়লে বুঝি কতো আরামে উৎরে গেছি এই পর্বটা। ছেলে হওয়ায় আমার উপর দিয়ে তেমন কিছু যেতো না, কিন্তু আমার সম্মতিতে বা অগোচরে হয়তো এমন অনেক কিছু হতো।
বিয়ে কী, কেন, বিকল্পগুলো ভালো কি মন্দ, তা তাত্ত্বিক আলোচনার বিষয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই বিকল্পগুলোর মোটামুটি সবগুলোর মধ্য দিয়েই গেছি। বিয়ে করার আগে যত চিন্তা/দুশ্চিন্তা থাকুক না কেন, বিয়ে করে যেন মন ঠাঁই পেয়েছে। বয়সের সাথে সাথে জীবনের সমস্যাগুলো জটিল এবং গভীর হচ্ছে। এমন সময় একান্ত আপন কারও সাথে সেই সময়টা ভাগ করে না নিতে পারলে আমি অন্তত পাগল হয়ে যেতাম। একটা বয়সের পর দেওয়ালের সান্নিধ্য ভালো লাগে না আর।
নিয়তি সবার জন্য কাউকে তৈরি করে রেখেছে কি না জানি না, শুধু এটুকু জানি যে মানুষ বদলায়। একই মানুষ সময়ের সাথে বদলে বিভিন্ন রকম হয়। বিয়ে যার সাথেই হোক, যখনই হোক, এই ব্যাপারটা মাথায় থাকলে কষ্ট কম। আমার বৌ তো স্রেফ পোটেনশিয়াল ফর চেঞ্জের ভরসায় একটা পরীক্ষিত, প্রমাণিত চামার বিয়ে করে ভুগেছে (বৌ বলবে এখনও ভুগছে!)। একটা সময় অনেক ঝগড়া হতো, এখন বৌ দোস্ত মানুষ। এই পর্যায়টায় পৌঁছতে পারলে মনে হয় বিয়ের আগের ঝুট-ঝামেলাগুলোর দাম উশুল হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যেই ব্যাপারটা সবচেয়ে দুঃখজনক তা হলো জেন্ডার-বায়াসড হয়ে মেয়েদের প্রতি খুব নিম্নরুচির আচরণ। বৌয়ের কাছে গল্প শুনেছি বিদেশ-পড়ুয়া কত আম্রকানন হাবিজাবি কথা বলে গেছে মুখের উপর -- স্রেফ "পাত্রপক্ষ" হওয়ার আভিজাত্য থেকে। গল্প শুনে উপরে উপরে টিটকারি করে বলি "ইশ, পারলাম না ঐ রাজকীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে", ভিতরে ভিতরে কুঁকড়ে যাই এই লজ্জায় যে আমিও হয়তো সত্যিই এমনটা করতাম।
আফটার অল, সব ভদ্রলোকই সুযোগ ও সাহসের অভাবে ভদ্রলোক।
আমাদের দেশে পাত্রপক্ষের ভব্যতাবোধ কম (অধিকাংশ ক্ষেত্রে)। এটা আমাদের বহুলপ্রচলিত পুরুষতন্ত্রের উপজাত বলতে পারেন। সুখী দম্পতি দেখতে আমার ভালো লাগে। সংসার অবিচ্ছিন্ন সুখের হবে এমনটা আশা করি না। একজন মানুষের স্বভাবের নেতিবাচক দিকগুলো জানতেও সময় লাগে। সেগুলো জেনে বুঝে চলতে শিখলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাওয়ার কথা। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে এই সুযোগটা কই? দেখি। দেখতে থাকি।
বানানের ভুলগুলো কিছুটা অনভ্যাস আর কিছুটা বেখেয়ালবশত। সকালে রেনেটদার বিয়েতে গেছিলাম। ফিরেছি বিকেলবেলা। হুড়োহুড়ি করে পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে পড়েছি পাত্র দেখতে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কাচ্চি খাচ্ছি কবে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যেদিন বলবেন সেদিনই
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লগাইতে বাধ্য হইলাম! চমৎকার গুছানো লেখা!
---------------------
আমার ফ্লিকার
আহা! ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুব ভাল লাগল লেখাটা বুনোহাঁস।
আমার কয়েকটা পর্যবেক্ষণ ও এখানে যোগ করতে চাই। যদিও প্রায় সবই মিলে যায়। আবার কখনো কখনো স্ববিরোধী ও মনে হতে পারে।
১. প্রেমে পড়া বা হঠাৎ কোন ভালবাসায় জড়িয়ে পড়া টা নিঃস্বার্থ হলেও বিয়েটা অনেক চিন্তা ভাবনা করেই লোকে করে। আর্থিক বিষয়তো আছেই।, অন্যটা হচ্ছে বুড়ো হলে কে দেখবে আর উত্তরাধিকারীর ব্যাপারও এর সাথে জড়িত।আমাদের সমাজে প্রচলিত ই হচ্ছে একজন ছেলে তার চেয়ে কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করবে। এটার পেছনে একই কারণ। আর বয়সে ছোট হলে বোধ হয় বশ মানানো ও সহজ হয়।
২. বিয়ে করে সংসারী হতে হবে এই লক্ষ্যে প্রেম করাটা ঠিক মানতে না পারলেও আমার নিজের মনে হয় কাউকে খুব ভালবাসলে সেটাকে বিয়ে পর্যন্ত ভাবা যেতেই পারে যদি অন্য কোন সমস্যা না থাকে।
৩. আমার খুব পরিচিত বন্ধু-বান্ধবকেও দেখেছি (ছেলেদের) খুব ঘন ঘন প্রেমে বা সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে। সেটা প্রেম না স্রেফ মোহ সেটা বোঝার আগেই একধরনের শরীরী সম্পর্কেও জড়িয়ে যেতে। অন্যদিকে বেচারী মেয়েটা হয়ত সিরিয়াসলী ভালবেসে ফেলেছে। এই জটিলতা শেষ পর্যন্ত অনেক নিষ্ঠুরতার মধ্যদিয়ে শেষ হয় কিংবা শেষ ও হয় না। আমার মনে হয় এজাতীয় মানুষ সে ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন নিজে গভীর প্রেমে পড়ার চেয়ে অন্যকে প্রেমে জড়াতেই বেশি ভালবাসে। বিয়ে বা লিভ টুগেদার ও বেশ দয়িত্বশীল কাজ। তাই এটাতেও জড়াতে চায় না। তবে বদলানোর অজুহাতে এই জাতীয় মানুষ ও এই তথাকথিত আধুনিক ধ্যান ধারনা ছেড়ে আর দশজন সাধারন মানুষের মত দুম করে বিয়ের পিড়িঁতে বসে পড়ে। তবে এক্ষেত্রে মেয়েটা অবশ্যই বয়সে ছোট, আকর্ষনীয় চেহারার হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ আসলে কতটা বদলায়? তার ভেতরটা ককনোই পুরোপুরি বদলাবার নয়। হয়ত কোন যোগ-বিয়োগের খেলায় এই টুকু নিজেকে বদলায়। তবে সেটা কতদিনের জন্য?
খুব কাছের এই আত্মীয়কেও (মেয়ে) এভাবে সম্পর্ক বদলাতে বদলাতে একসময় বিয়ে করে সংসারী হতে দেখেছি। কতটুকু ভাল আছে জানিনা। এর উত্তরে হয়ত তারা বলবে শেষ পর্যন্ত তারা আসল মানুষ খুঁজে পেয়েছে। কি জানি? প্রেমের সময় তো একবারে উন্মত্ত প্রেম করতে দেখেছি। তাই আমার মনে হয় বিয়েতে শেষ পর্যন্ত ভালবসার চাইতে অনেক ক্ষেত্রেই হিসেব নিকেশ মুখ্য থাকে। অবশ্য সবাই তো আর এক খুরে মাথা কামানো নয়।
ধন্যবাদ। আপনার সাথে একমত
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অতি অতি অতি চমৎকার পোস্ট। সবাই সব কথা বলেই দিয়েছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা! ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার লেখা। নিজেকে নিয়ে লেখার মত সৎসাহসটি অনুকরণযোগ্য। এই পর্বগুলো নিয়ে তাসনুভার "Samosa for arranged soul" এর মত একটি নভেলাও সৃষ্টি হতে পারে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ধন্যবাদ, রেজওয়ান ভাই
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লেখা
ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বিবাহ করে যে লাভ হয়েছে (লেজ কাটার বুদ্ধি আর কি!) - আগে "মন কী যে চায় বলো, যারে দেখি লাগে ভালো' টাইপের উড়ু উড়ু ভাব থাকতো। ইশ্ ঐ মেয়েটা কী আমার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকালো, ওর কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে ইত্যাদি টাইপের উশখুশে কাজে মন বসতো না। এখন সেই সমস্যা নাই। (নিঃসন্দেহে জৈবিক/হরমোনজনিত কারণেই এই আকর্ষন)
তবে দিনে ২ ঘন্টা অরেকজনের কাছে আকর্ষনীয় হয়ে থাকাটা যতটা সহজ, ২৪ ঘন্টা ব্যাপারটা ততটাই কঠিন। পরষ্পরের প্রতি দাবী/আকাঙ্খা পূরণ করাটা একটা অসহ্য ব্যাপার। ভালবাসার দাবী খুবই পেইনফুল হয় - বাবা মা চায় পোলাপান লেখাপড়া শিখুক, প্রতিষ্ঠা পাক --- ভালবাসা থেকেই ... ব্যাপারটা সেই সেন্স থেকে বলা।
আপনার লেখাটা খুবই ব্যাপক। এক্সাইটেড হলে (যেমন ভয় পেলে) মানুষ কেউ ভয়ে গুটিশুটি মেরে যায়, কেউ বেশি কথা বলে হাইপার একটিভ হয়। আমার মনে হয় আপনার এ্যাত ভাল এবং ব্যাপক লেখা সেই উত্তেজনা মোকাবেলার জন্য নিঃসরিত ডিফেন্স মেকানিজম (হরমোন) এর ফলে বের হয়েছে --- (হিংসা মূলক মন্তব্য )
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বিয়ের ব্যাপারে আপাতত নির্লিপ্ত বোধ করছি। এই বিষয়টা আমার জন্য একদমই নতুন। সেজন্যই অনেক অনেক বেশি ভাবতে হচ্ছে মনে হয়।
উইকডেতে অফিসে ৮ ঘণ্টা + রাস্তায় ৩ ঘণ্টা + চানাহারে ১ ঘণ্টা + ঘুমে ৮ ঘণ্টা=২০ ঘণ্টা
বাকি থাকে ৪ ঘণ্টা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দারুন লাগল পোস্টটা, মন্তব্য পড়তেও ভাল লাগল। এর সবচেয়ে বড় দিক ছিল এই বিষয়ে অন্যান্য পোস্টগুলোতে আধিক্য বা পাক্ষিকতা ছিল, এই পোস্টে এ ধরনের ব্যাপারগুলো একদম চোখে পড়নি।
খুব গুছানো এবং সুলিখিত। পরের পর্ব গুলিতেও আশা করব এই গুণ গুলি বজায় থাকবে।
অতশত ভেবে তো লিখি না। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দারুন গুছানো লেখা হে বুনোহাঁস!
অনেকক্ষন ধরে পড়লাম। ভাবলাম। নিজের বিয়ে করা না করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলাম খানিকক্ষণ- কোন মহিলা গাধা আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবে- এইসব আরকি। সবশেষে ইট্টু ডরাইলাম।
তারপরে এখন মনে হচ্ছে একটু ব্যাটলফিল্ড থ্রি খেললে ভালো লাগবে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কবি বলেছেন, "ডরাইলেই ডর..."
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার লেখাগুলো বারবার কেন যেন নিজের বলেই মনে হচ্ছিল... পরিবারের কারো কাছ থেকেই বিয়ের ব্যপারে কোনো রকম কথা শুনিনি ছোটবেলায়... কিন্তু,ইদানিং এ ব্যপারে টুকটাক শুনতে হচ্ছে... পড়াশুনা শেষ হয়ে আসছে যে... আর মাকে যদি বলি,বিয়ের কি প্রয়োজন,তাহলে উত্তর পাই,"মা-বাবা তো সারাজীবন থাকবেনা,আপন বলতে জীবনে সবসময়ই কাউকে লাগে।" আমিও আর বেশি উচ্চবাচ্চ করিনা...
সেটাই
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনেক গুলো বাস্তবিক ঘটনাসহ কার্যকারণগুলো উঠে এসেছে লেখায়, চমৎকার ।
জীবনের উদ্দেশ্য-লক্ষ্যটাকে ঠিক করা আগে দরকার বলে আমি মনে করি। সেই উদ্দেশ্য-লক্ষ্যের পথে হাঁটার পাশাপাশিচাইলে প্রেম চললো, ইচ্ছে হলে বিয়ে করলো বা না করলো সমস্যা কৈ! তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি 'পরিবার' জিনিসটাকে পছন্দ করি, জীবনের বৈচিত্র্য-মাত্রিকতাও কিছুটা বাড়িয়ে দেয়।
শুভ কামনা রইলো। জীবনের চলার পথটা আনন্দময় হোক।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরেহ! এইটা একটা দারুণ লেখা৷ দারুণস্য দারুণ৷ সমস্ত পয়েন্ট অসম্ভব স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ খুউউবই ভালো লাগলো৷
আমিও একা একা দিব্বি থাকি, তেমন কোনও 'একা লাগা' অথবা 'ফাঁকা লাগা'র ফিলিংস হয় নি৷ কলকাতায় এসে তো তাও আমার উড়নচন্ডী স্বভাবটা অনেক শান্ত হয়ে গেছে৷ দিল্লী-গুরগাঁও অঞ্চলে ছিলাম সময় একটা ব্যাকপ্যাক সবসময় রেডি থাকত৷ মাঝেমধ্যেই শুক্রবার সকালে উঠে বস আশিসদাকে এস এম এস করে দিতাম অফিস যেতে পারব না বলে৷ তারপর যে কোন বাস ধরে দেরাদুন কিম্বা উখীমঠ গিয়ে যে কোন ট্রেকার ফেকার ধরে একটু দূরের কোন পাহাড়ী গ্রামে গিয়ে একা একা দুদিন কাটিয়ে ফেরত আসতাম৷ এক একটা জায়গায় আবার মোবাইলের টাওয়ারও পাওয়া যেত না৷ আমি একলা থাকাটা রীতিমত এনজয় করি৷
বিয়ে নিয়ে আমার বন্ধুরা পর্যন্ত কি চাপ দিত ---- বাপ রে বাপ!! যখন কম্পু শিখতে ভর্তি হলাম, এক সিনিয়ার দিদি তো রীতিমত একটা দুটো ছেলে ধরে আনত আমাকে প্রেমে পড়াবার জন্য৷ এদিকে আমি বাচ্চাকাচ্চা দিব্বি ভালবাসি৷ আপনার মতই একেবারে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে গিয়ে চটকাতে লেগে যাই না, কিন্তু বাচ্চারাও আমাকে দেখি আমাকে বেশ পছন্দ করে৷ কিন্তু নিজস্ব একটা সৃষ্টি থাকুক, এমনটা এখনও মনে হয় নি৷
এই নিয়ে আসলেই পাতার পর পাতা লিখে ফেলা যায়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আসলেই
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খুব ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এ লেখায় আরো আগে মন্তব্য করবো ভেবেছিলাম।
যেদিন লেখাটা পোস্ট করেছেন সেদিনই আক্দ হল আমার। চাকরি করা মেয়ে, যেটার আমার প্রধান রিকোয়ারমেন্ট ছিল। খুব ভাল লাগছে, অসাধারণ অনুভূতি এসব ক্লিশে কথা বলবো না, কারন আসলেই এখন সময়টা যাচ্ছে তাকে চিনতে। জানি না এই চিনে নেয়া-চিনতে দেয়ার পালা শেষ হবে কবে। ভাল কথা, এটা কিন্তু 'সেটল ম্যারেজ' - বসুন্ধরা সিটিতে পাত্রী দেখে কনফার্ম করা হয়েছে। বিয়ের পর তাকে জানিয়েছি সেটল ম্যারেজ (বা লাভ ম্যারেজ, যেটাই হোক না কেন) শেষ বিচারে একটা বাজি। মিলে গেলে ভাল, না হলে মানিয়ে চল - এই আর কি। আমি বাজি ধরেছি তার শিক্ষার উপর, তার পরিবারের শিক্ষার উপর। আশা করি সব ভালভাবে চলবে।
তাকে এই লেখাটা পড়তে বলেছি, এখনো জানি না পড়েছে কিনা। ভাল থাকবেন সবসময়।
আশা করি বাজিতে জিতে যাবেন দুজনেই।
একটা কৌতূহলী প্রশ্ন করি। চাকরি করা মেয়ে কেন আপনার প্রধান রিকোয়ারমেন্ট ছিলো?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অর্থনীতিটাকে প্রাধান্য দিয়েছি সবার আগে তাই। এ বাজারে ঘুষ না খেয়ে (পাই না তাই খাই না আর কি, পাওয়ার সুযোগ থাকলে কী করতাম বলতে পারবো না) একার আয়ে ভালভাবে সংসার চালানো মুশকিল। বৌ এর চাহিদা মেটানোর মত অর্থ কখনই আলাদাভাবে হাতে তুলে দিতে পারবো না জেনেই চাকরিজীবী মেয়ের চাহিদা জানিয়েছি মুরুব্বীদের।
যুক্তিসঙ্গত এবং বাস্তবসম্মত কারণ। ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বিশাল পোষ্ট ,তারচেয়ে বিশাল আলোচনা , পড়ে মনে হল বাপরে লাইফ ইজ এ টোটাল ইকুয়েশন । তবে আপনার লেখার হাত দারুন বলতে হবে ।
ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, জীবন একটা সমীকরণই বটে। যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ শেষে ফলাফল শূন্য। একেকজনের সূত্র একেক- এই যা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
[আপনার নামের মধ্যে ১৩ মানে কী?]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আবারো বলি, লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে রে বুনো।
আবার বিয়ে করতে মন চায়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এবারেরটা দেশে এসে কোরো
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কি বলবো!!!! ব্লগের এই লেখাটা পড়লাম যখন আমার সেটল ম্যারেজ হয়ে গেছে। কখনো ভাবতেও পারিনি এই আমি ! সেটল ম্যারেজ করবো! যদিও কখনোই বিবাহ নামক ইন্সটিটিউশনে জড়ানোর মতো কাউকে খুঁজে নিতে পারিনি। কারণ ' প্রেমের সময় প্রেমিকার সবকিছু সুন্দর আর বিয়ের জন্য এমন মেয়ে চাইনা, সংসারী মেয়ে চাই' - ছেলেদের এই তত্ত্ব আমাকে পীড়া দিতো। পরিচিত বন্ধুদেরও এই নীতি মেনে চলতে দেখেছি, ব্যতিক্রমও ছিল অবশ্য। যাই হোক কথা বেশি হয়ে যাচ্ছে............ এই লেখাটা পড়তে অনুরোধ করেছে সদ্য পরিচিত হওয়া একটি নতুন মানুষ - যে কিনা এখন সমাজের নিয়ম অনুযায়ি আমার জীবনসঙ্গী। তবে এটা লংটার্ম নাকি........... তা জানি না। লেখাটা পড়েছি নতুন মানুষটির সাথে বসেই। আমি কখনো ভাবিনি একেবারেই না দেখে, কথা না বলে, না বুঝে না জেনে যে লোকটিকে বিয়ে করেছি সে আমাকে এই লেখাটা পড়তে বলবে। আরো অনেক কিছুই আমার জন্য বিস্ময়কর। বন্ধুমহল এখনো বিশ্বাস করে না ভদ্রলোককে কবুল বলার আগে দেখিনি। অবশ্য একেবারেই দেখিনি তা নয়, মাত্র দশ সেকেন্ডের জন্য তাকে দেখেছিলাম। এক জুম্মাবারের(শুক্রবার) ওই দেখার এক সপ্তাহ পর আরেক জুম্মাবারে তার সাথে আমার আকদ হয়। এর মধ্যে তার সাথে আমার একবারও ফোনে কথা হয়নি। যা আমার পরিবারের কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি। মা বিয়ের আগেই এ বিষয়কে কেন্দ্র করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো। তাকে অনেক কষ্ট করে বোঝানো হয়েছে এসব কোনো ব্যাপার না। আমার আকদ হয় ২০ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত নয়টা বিশ মিনিটে। আমি কবুল বলেছি সেই খুশিতে মা ওই শীতের রাতেই ২০ রাকাত নফল নামাজ পড়ে ফেলেছেন। তাদের ধারণা ছিলো আমি বিয়েটা শেষ পর্যন্ত করবো না। যদিও এইবার আমার কোনো শর্তে ছেলে বা তার পরিবার বাধ মানেনি বরং ছেলে চেয়েছে চাকরিজীবী।
ঘটনার আকস্মিকতা এখানেই! আমি মিডিয়ায় কাজ করি, বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন সময়ে নানাবিধ সংগঠন করেছি। স্বাভাবিকভাবেই বিয়ে সংক্রান্ত আমার অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। কারণ সব জেনেশুনেই অর্থাৎ আমার বায়োডাটায় চাকরি করি এটা দেখার পরও সব তথাকথিত প্রগতিশীল ব্যক্তিরাই বিয়ের বাজারে একটা সংসারী পাত্রী দেখতে আসে!!!!! বেশ কয়েকবারই দেখে যাওয়ার পর পছন্দ হয়েছে কিন্তু মিডিয়ার চাকরি ছাড়তে হবে এই শর্ত দেয়ার পর আমি ঝামেলা বাধিয়েছি। বিষয়টি কখনো বাসায় বুঝতে পেরেছে কখনো পারেনি।
নতুন এই মানুষটিকে আমি মাত্র জানতে শুরু করেছি, বিয়ের পরদিন তার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আপনি কত সালে এসএসসি পাশ করেছেন? এরপর আরো বেসিক বেশ কিছু প্রশ্নই আমি তাকে করেছি যা কিনা মেয়েরা বিয়ের আগে জেনে নেয়। ভদ্রলোকের ব্যাখ্যা অনুযায়ি এই বিয়েটা একটা লটারি - ভালো হলে ভালো আদারওয়াইজ মানিয়ে চলতে হবে। কখনো ভাবিনি বিয়ের একদিন পরে অপরিচিত এই মানুষটা আমার জন্য খুব সহজ, সাবলীল একটা পরিবেশ তৈরি করবে। যার ফলে তার সাথে আমি অনেক কিছুই শেয়ার করতে পারি। একবারও মনে হচ্ছে না এখন, সে আমার জন্য পুরোপুরি অপরিচিত ছিল মাত্র পাঁচদিন আগেও!!!!! স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া এই আমার কাছে খুব অস্বস্তিকর বিষয় হলো জামাই ভদ্রলোক আমাকে অফিস থেকে শেওড়াপাড়ার বাসায় দিয়ে আবার তার রামপুরার বাসায় যায়। যা আমার প্রত্যাশিত ছিলো না। থমকে যাই তিনি কি করছেন? লৌকিক আচার-আচরণ নাকি স্বামীর দ্বায়িত্ববোধ পালন করছেন। তার মতে লটারি ভালো কি খারাপ তা এক বছর পর বোঝা যাবে....... উদার মানসিকতার পুরুষ প্রমাণ করার মতো অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই শুনতে পাচ্ছি তার মুখে। দেখা যাক.... এগুলো শুধু মুখের বুলিই থাকবে নাকি কর্মেও পরিণত হবে।
আপনাদের দুজনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চমৎকার পোস্ট
যা বলার সব বলেই দিয়েছ। শুধু একটা কথা বলে যাই। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবার আগে নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা আর ন্যূনতম পড়াশোনা শেষ করাটা খুব জরুরি। প্রেমে পড়ে নিজের পায়ে না দাঁড়িয়েই বিয়ে করে ফেলে, তারপর সেই বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসার মত পরিস্থিতি হলেও অনেককে দেখেছি বের হতে পারছে না শুধুমাত্র নিজের / সন্তানের খরচ নিজে চালাবার সামর্থ্য নেই বলে।
ঠিক বলেছো। আমিও দেখেছি এমন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অদ্ভুত লেখা।
নিজের কথা বলি এক্টু, একপক্ষীয় ব্যর্থ পাগলা প্রেম, দ্বিপক্ষীয় প্রেমের বেশ কিছুদিন পর অপর পক্ষের মুখ ফিরিয়ে নেয়া, দ্বিপক্ষীয় প্রেমের অল্প কিছুদিন পর নিজের মুখ ফিরিয়ে নেয়া (খারাপ কাজ করেছি) এবং অবশেষে পার্শিয়ালি আয়োজিত বিবাহ মোটামুটি সবকিছুর অভিজ্ঞতা আছে। কিছু কিছু মানুষ আছেনা যারা একা বেশিদিন থাকতে পারেনা? আমিও মনে হয় সেরকমই
আয়োজিত বিবাহ মানে আমার কাছে একটা রিস্ক নেয়া, তবে 'ক্যালকুলেটেড রিস্ক'। আমার ওনার সাথে পারিবারিকভাবে দেখা হওয়ার পর কথা বলে মনে হয়েছিল হুমম কিছু কিছু ব্যাপারে অনেকটাই কম্প্যাটিবল, পার্সোনাল স্পেস দেওয়ার ব্যাপারে উদারতা আছে (সবসময় দেয় তা না) ইটিসি ইটিসি। অনেক কিছু না মিললেও "আই উইল ওয়ার্ক ইট আউট" ভেবে রিস্কটা নিয়ে নেই। ওর কারণ সম্পর্কে ঐ ভাল বলতে পারবে।
রূপকথার জীবন যাপন করছি তা বলব না, অনেক চরাই অনেক উৎরাই। কখনো মনে হয় আর না!! আজকেই শেষ!! সে তো ব্যাগ নিয়ে বেরও হয়েছিলা একবার (আমি রাস্তা পর্যন্ত যেতে সাধাসাধি করাতে ফেরতও এসেছে একটু পরই )। বেশ কয়েকবছর হয়ে গেল, দেখা যাক আর কয়দিন চালাতে পারি আমরা এইভাবে। একটাই কথা বলতে পারি মিনিমাম এক্সপেকটেশান (যতটুকু না হলেই নয়) নিয়ে মাঠে নামুন। বাকিটা হক মাওলা!
আচ্ছা, হক মওলা!
ভালো থাকবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভাইরে, বিয়ে না করে কেউ যদি ভালো থাকতে চায় তবে চারপাশে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ রব উঠে যায়, বেশুমার মানুষ “বিয়ে কেন ভালো, একা থাকা ভালো নয়” - এই নিয়ে তুমুল কসরত শুরু করে। সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে পাত্রী দেখা, মনে হয় এর চাইতে সহজ কাজ পৃথিবীতে আর নেই। কি ভয়ংকর ব্যাপার, একটা ছবি, বায়োডাটা হাত থেকে হাতে ঘুরছে, নানান মন্তব্য করছে লোকজন - এটা কোন সুস্থ চর্চা হতে পারেনা।
বায়োডাটা বলে একটা জিনিস আছে, সেখানে চৌদ্দ-গুষ্ঠির কে কি করে তাই লেখা, পাত্র কিংবা পাত্রীর নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ-সমস্যা এইসবের কোন খবর থাকেনা। ব্যক্তিগত সমস্যা/অপছন্দের কথা লিখতে চাইলে সবাই বলে এটা দেয়া উচিত না, বিয়ে হবেনা। বিয়ে করার জন্য কি একজন মানুষ প্রথম থেকেই সত্য লুকিয়ে রাখবে?
বিয়ে নিয়ে আমাদের দেশে যে পরিমাণ হিপোক্রেসি হয় তার তুলনা মেলা ভার, আর কার্যকারণ মনে হয় ’একটা বিয়ে করিয়ে দিতে পারলে অনেক সোওয়াব’ বলে একটা কিছু।
শাদিনামা সিরিজ ভালো চলুক ....
খাঁটি কথা। বায়োডাটা নিয়ে কোনো এক পর্বে লিখব।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বিয়ে না করাই ভালো। আর তাছাড়া দেশে ভালো ছেলে নাই। লাস্ট পিস আমি ছিলাম।
ঠকে যাওয়া মানুষদের মধ্যে আমি কেউ নই, কিন্তু একেবারে ঠকিনি যে তাও নই। একমত মোটামুটি সব কথাতেই, তবে সব ছেলেদের ও যে একই হাল তাও নয়। প্রতিবাদ করছিনা, বলছি মাত্র নিজের কথা।
কম উচ্চতা আর পারিবারিক স্ট্যাটাস এর দায়ভার বয়েছি আজও, বয়ে চলেছি। কিডনি প্রতিস্থাপিত বাবা আর চাকরি শেষ হওয়া মা'র একমাত্র সন্তান আমি , পড়ছি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ভালোবাসার কাজ বেসেছি। কিন্তু সত্যি এটাই মুক্ত চিন্তাটা মনে রেখে বাইরে দেখানোর লোকসংখ্যা নেহাতই কম দিদি। আমিও চাই সবাই নিজের চিন্তার জানালাটা খুলুক। কিন্তু নির্মমতা টা ভালোবাসতে হলেও আজ অনেক যোগ্যতা লাগে দিদি। যাকে ভালোবাসতাম সে ঠিকই প্রয়োজন মতো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো আমায় আমার ভাইয়ের প্রেমের প্রস্তাবে।
আজও আছি তার সাথে, ভালোবাসছি, যোগ্যতা ছাড়াই বাসছি। বিয়ের স্বপ্ন তাই দেখিনা, আমিও একাই বড় হয়েছি। আপনার কাছ থেকে তাই একা সুখী হবার রেসিপিটা কোনদিন জিজ্ঞেস করে নেবো।
ধন্যবাদ, অসাধারণ লাগলো পোস্ট টা।
নতুন মন্তব্য করুন