আয়োজিত বিয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ বায়োডাটা। সিভি ছাড়া যেমন চাকরির বাজারে নামার উপায় নেই (সে আপনার মামা-চাচার হাত যত লম্বাই হোক না কেন), তেমনি আপনি যত যোগ্য পাত্র বা পাত্রীই হোন না কেন, বায়োডাটা ছাড়া বিয়ের বাজারে ঝাঁপি খুলতে পারবেন না। আপনার বাবার কলিগের বন্ধুর বোনের ভাসুরের হয়ত বিবাহযোগ্য দুর্দান্ত ছেলে/মেয়ে আছে, আপনার বিল্ডিংয়ের অমুক ফ্লোরের ছেলেটার বা মেয়েটার হয়ত বিয়ের বয়স হয়েছে, অফিসের অমুক কলিগের তমুক কাজিন হয়ত আপনার মতো কাউকেই খুঁজছেন। চাইলেই হয়ত দিনক্ষণ ঠিক করে বিকেলের চাপর্বে আলাপে বসা যেতে পারে, না হলে নিদেনপক্ষে ফেসবুকে অ্যাড করে যাচাইবাছাই করা যেতে পারে। কিন্তু না। বিয়ের বাজারে আপনার কাছে শুরুতেই যেটা চাওয়া হবে তার নাম বায়োডাটা তথা জীবনবৃত্তান্ত। কোনো কফিশপে আলাপ অথবা বইমেলায় সাক্ষাৎ পরে, আগে বায়োডাটা জমা দিতে হবে। আর সেজন্য প্রথমেই আপনাকে একটা বায়োডাটা বানাতে হবে। মনে হতে পারে এহেন গুরুত্বপূর্ণ যে বায়োডাটা যেটা ছাড়া কিনা বিয়ের আলাপ পাড়ারও সুযোগ নেই, তাতে না জানি কী বৃত্তান্ত লেখা থাকতে হবে। ভয় নেই। বায়োডাটা একটা ভূমিকা মাত্র। নামে জীবনবৃত্তান্ত হলেও জীবনের সব বৃত্তান্ত এতে থাকবে না। সব বায়োডাটায় ঘুরেফিরে একই জিনিস থাকে। নাম, ঠিকানা, পেশাগত বিবরণ, পারিবারিক ফিরিস্তি। একটি সুসংকলিত আদর্শ বায়োডাটায় ভালো ভালো তথ্যগুলো মোটাদাগে ছাপা থাকবে, চলনসই তথ্যগুলোকে বুড়িছোঁয়া হবে আর অকথ্য তথ্যগুলো চেপে যাওয়া হবে। বায়োডাটায় যা থাকে তার থেকে ঢের বেশি তথ্য ফেসবুক প্রোফাইলেই থাকে। চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে নিজ হাতে বায়োডাটা বানিয়ে না দিলে (এবং কিছুদিন পরপর নিজের বায়োডাটার খোঁজ না নিলে) গুরুজন আর পাখিভাইদের হস্তক্ষেপে তার বিপুল অঙ্গহানির সম্ভাবনা প্রবল। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে বিয়ের আগ পর্যন্ত পাত্র/পাত্রীর অংশগ্রহণের আগ্রহ/ইচ্ছা/সুযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কম হওয়ায় বায়োডাটায় মূল প্রার্থীর সৃজনশীলতার প্রকাশ বড় একটা দেখা যায় না। ঘটকের আনা বায়োডাটাগুলোর ছকে ফেলে নতুন বায়োডাটা তৈরি করা হয়ে থাকে। ফলে বৈচিত্র্য খুব একটা থাকে না বললেই চলে।
আমার কাছে দুদিন আগেও অনেকের বায়োডাটা আসত। আমার বায়োডাটাও অনেকের কাছে যেত (এখনো যাচ্ছে হয়তবা)। বায়োডাটার বান্ডিল হাতে নিয়ে বাদ দিতে দিতে দেখা যেত ঠগ বাছতে গ্রাম উজাড় হওয়ার দশা। বাড়ির বিবরণ (কেউ কেউ ব্র্যাকেটে লিখে দেন Own house), গাড়ির বিবরণ (মডেল নাম্বার, রংসহ), সিজিপিএ দিয়ে মানুষকে বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই। প্রতিবারই একটাদুটা দেখে রণে ভঙ্গ দিয়েছি। মাঝেমধ্যে কিছু চমকপ্রদ ভিন্নধর্মী বায়োডাটাও পেয়ে যাই।
গেল ডিসেম্বরের কথা। এক পাত্রের বায়োডাটা দেখতে বসে ভড়কে গেলাম। প্রজেক্ট, থিসিস, প্রফেশনাল ট্রেইনিং, কম্পিউটার স্কিল সব দেওয়া আছে। শুরুতে লেখা "Objective: To be an efficient and innovative engineer"। প্রথমে থতমত খেলেও পরে বুঝতে পারি ঘটকের হাতে পাত্রের চাকুরির বায়োডাটা জমা পড়েছে। চাকরির ঠিকানায় বিয়ের বায়োডাটা জমা পড়েছে কি না কে জানে?
আরেকদিন ঘটকের জরুরি তলবে তার বাছাই করা দুর্দান্ত এক পাত্রকে দেখতে যাই। যাওয়ার পরে পাত্রের বায়োডাটা দেখতে দেন ঘটক। বায়োডাটার চুম্বক অংশ এমন:
Hair Style: Black few curly and straight
Marital status: Never
Car: X Corola 20**, White
Motor Cycle: Honda *-***
Staying: At top floor in own house with a decorated flat and garden.
অনেক কষ্টে হাসি গিলে সেই ঈষৎ কোঁকড়া চুলওয়ালা গাড়ি-হোন্ডা আর বাগানওয়ালা ফ্ল্যাটের মালিক পাত্রের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। সাক্ষাতে পাত্রের প্রথম কথা, "আমার বায়োডাটা দেখসেন?"
সেবারের পর নাকে খত দিলাম ঘটকের অফিসের ত্রিসীমানাতেও আর যাচ্ছি না। বাসায় বলে দিলাম কেউ বায়োডাটা দিতে চাইলে বা আলাপ করতে চাইলে যেন মেইল করে দেয়। এর কিছুদিন পর মেইলে একখানা বায়োডাটা এলো। তার চুম্বক পয়েন্ট- "Complexion : Semi fair"।
আরেকজনের ইমেইল আইডি দেওয়া হলো বায়োডাটা পাঠানোর জন্য। ইমেইল আইডি *****সুইট@ব্লাব্লাব্লা.কম [*****=পাত্রের নাম]। ভারী মিষ্টি ছেলে তাতে সন্দেহ নেই।
গেল বছর এক পাত্রপক্ষের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। পাত্রের ভগ্নিপতি প্রথমেই জানতে চাইলেন আমি ধর্মকর্ম করি কি না। জানালাম ধর্মপালন দূরের কথা ধর্মের ধারেকাছেও বিচরণ করি না। বললেন, "মরার পর আল্লার কাছে কী জবাব দিবা?" স্মিত হেসে বললাম, "দেখা যাক।" এরপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন আরবি পারি কি না। বললাম, পারি। স্কুলে আয়াত লিখতে যেটুকু লাগত সেটুকু পারি। তিনি মুখ বেঁকিয়ে বললেন, "অহ! তাইলে আর কী পারো? ওইটা তো সবাই পারে।" আলাপচারিতা পাত্রের সামনেই হচ্ছিলো। ভগ্নিপতির এহেন আচরণে তার মধ্যে কোনো বিকার দেখিনি। তার কাছে হয়ত আদৌ অশোভন মনে হয়নি এসব। এই পাত্র কোনো না কোনো সুপাত্রীর গলায় মালা দেবেন নিশ্চয়ই। নিঃসন্দেহে তার এহেন রুচি আর ভব্যতাবোধের ফিরিস্তি তার বায়োডাটায় লেখা থাকবে না।
আমার এক সহকর্মী (পুরুষ) আমার বিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। তার সব কথাবার্তা ঘুরেফিরে বিয়েতে চলে যায়। তিনি কীভাবে বিয়ে করেছেন, আমার কেমন বিয়ে করা উচিৎ, আমার জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। অফিসের পরে কোথায় যাচ্ছি, আমার বন্ধুরা কি ছেলে না মেয়ে এসব নিয়ে নিয়মিত জেরা করতেন তিনি। কয়টা বিয়ে দিলে নাকি বেহেশত নসিব হয়। হাতের কাছে আমি থাকতে সওয়াব কামানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ তিনি। উনার উৎসাহ কিছুতেই প্রশমিত করতে না পেরে খুব গুছিয়ে একটা বায়োডাটা তৈরি করে দিলাম। নিজের বিয়ের গল্প করতে গিয়ে প্রায়ই তিনি বলেন কোনো এক পাত্রীকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তার মা-কে পছন্দ হয়নি বলে। পাত্রির মা নাকি জাঁদরেল মহিলা। তিনি বলেছিলেন মেয়েকে তিনি স্বাবলম্বী ও স্বাধীনচেতা করে গড়ে তুলেছেন। তিনি খুঁজছিলেন 'নম্রভদ্র' মেয়ে। তাই এমন 'স্বাধীনচেতা' মেয়েকে বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠে না। আমি নিজের বায়োডাটায় লিখে দিলাম, আমার স্বাধীনচেতা, মননশীল ও মুক্তচিন্তার মানুষ চাই। এরপর থেকে আর বিয়ের আলাপ পাড়েননি ভদ্রলোক।
জনৈক ঘটক আমাকে বুদ্ধি দিয়েছিলেন আমার চশমার কথা চেপে যেতে। বলাবাহুল্য পাত্রদেরও অনেককিছু চেপে যেতে বলেছেন তিনি। সেই ঘটকের পিছু ছাড়ানোর পর বুয়েটের রেসিডেন্ট ঘটকের সাথে যোগাযোগ হয় বান্ধবীর বিয়ের আসরে। সম্প্রতি তিনি আমার হাসি দেখা যায় না এমন একখানা ছবি চেয়েছেন। ভাবছি ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিয়ের জন্য একটা ডিজিটাল সিভি বানিয়ে নিবো যাতে আমার নাচ, গান থাকবে, রান্নাবান্নার দৃশ্য থাকবে, আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আর পাড়াপড়শির সাক্ষাৎকার থাকবে। আমাকে হাসলে কেমন দেখায়, কাঁদলে কেমন দেখায় সেটাও হেসেকেঁদে দেখিয়ে দেবো ভিডিওতে। ইউটিউবে খুঁজে পেলাম ডিজিটাল সিভির নমুনা:
জমে থাকা বায়োডাটাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিচিতদের কেউ কেউ। মৃদুলদা বুদ্ধি দিয়েছেন এগুলো নিয়ে একটা ঘটকালি এজেন্সি খুলে ফেলতে। উনার ভাষায়: "আর ক্ষতি কইরেন না, এদের গতি করে দেন।" তবে চিত্রবিচিত্র সব পাত্রের সাথে বৈচিত্র্যময় সাক্ষাতে তিতিবিরক্ত হয়ে হম্বিতম্বি করার পর আমার বায়োডাটাপাঠের হার কমে এসেছে। সব বায়োডাটা আমার হাতে পৌঁছায় না। এক পাত্র নাকি আমার বায়োডাটা দেখেই আমার প্রেমে পড়ে গেছিলেন। একদিকে আমার মা-কে বেলায় বেলায় ফোন করে খোঁজখবর নিতেন, অন্যদিকে ফেসবুকে তুমুল স্টকিং করতেন। কারো রুচি, ভাবনা, পছন্দ-অপছন্দ না জেনে শুধুমাত্র নাম, ঠিকানা আর পারিবারিক ফিরিস্তি দেখে কী করে কাউকে পছন্দ করে ফেলা যায় বুঝি না। আফসোস! আজ পর্যন্ত বায়োডাটা দেখে কারো প্রেমে পড়তে পারলাম না!
আগের পর্বগুলো
শাদিনামা: কার্যকারণ
শাদিনামা: উইনডো শপিং
মন্তব্য
চুম্বক পয়েন্ট আসেনাই তো!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ঠিক করে দিয়েছি। এখন এসেছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হাইসেন না। ঠাডা পড়ব! ঠাডা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রয়াত নায়ক জসিমের কথা পইড়া হাসলাম
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এটা পড়ে শব্দ করে হেসে দিছি
একবার ঘটক আমার এক আত্মীয়ার জন্য আমেরিকান এক পাত্র আনে। পাত্রের সঙ্গে আলাপে বসে তার কাছে ওখানকার বাঙালী সমাজ সম্পর্কে জানতে চাইলাম। কিন্তু সে নিজের যোগ্যতা হিসেবে জানালো সে 'এমেরিকা'তে 'এমেরিকান' সমাজে সেটেল করেছে, এবং সেজন্য তাকে বিশেষ ল্যাংগুয়েজ কোর্স করতে হয়েছে। সে কোন নেটিভ বাঙালীর সাথে মেলামেশা করে না, যাতে তার 'এমেরিকানত্ব' ক্ষুন্ন হয়।
উপস্থিত পাত্রী সাথে সাথেই বাতিল করে দিল এমেরিকান পাত্রকে। কিন্তু আমার মায়া হলো তার হবু বউটার জন্য। কোন মেয়ের কপালে এই পাত্র লেখা আছে কে জানে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
'এমেরিকান' পাত্রের কথা শুনে 'কেনাডা'র পাত্রের কথা মনে পড়ে গেল।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
পাত্র তো হেব্বি! এইটা তো ষাটের দশকের কোন সিনেমার নায়কের কথা মনে পড়িয়ে দিল
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কচি????
কি পরিমাণ বেকুব হইলে এগুলা লেইখা আশা করে মেধাবী, গুণী, ধার্মিক, সুন্দরী, সর্বোপরি কচি মেয়েরা তার উপর হামলায় পড়বে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
সুন্দর কচি !!!!! মুরগি কিনতে গেছে নাকি ???
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"কচি" দেখলেন সবাই, "মোজা" দেখলেন না কেউ? তাকে "মোজাদার রান্না" করে খাওয়াতে হবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি ঠিক এটাই বলতে যাচ্ছিলাম।
মোজা দিয়ে কোন নতুন পদ বেরিয়েছে বোধহয়।
কিংবা হতে পারে মোজার মধ্যে পরিবেশন করতে হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মাইরালা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
না দেখেছি, কিন্তু এটাকে কেমন জানি মুরগি বাছাই এর মতো লাগলো তাই লিখলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইটা সিওর ফাজলামি করে বন্ধুবান্ধবরা বানিয়েছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সৌভাগ্যক্রমে বায়োডাটা বাছাইমূলক যন্ত্রণায় পড়তে হয়নি তেমন। তবে চাকরির সিভি দেখতে যেয়ে যেসব আজগুবি তথ্য (উদারহণস্বরূপ- Wife: abcd (married) ) দেখেছি তাতেই আইডিয়া পেয়েছি বিয়ের বায়োডাটায় কী বস্তু থাকতে পারে।
নিজের একটা বায়োডাটা বানিয়েছিলাম মনের মাধুরী মিশিয়ে; দোষগুণের বর্ণনা, ইচ্ছা, স্বপ্নের বয়ান দিয়ে। আমার মনে হয়েছিলো আমি কোথায় কামলা দেই/দিসি, কোন পরীক্ষায় কী রেজাল্ট, আমার বাপভাইয়ের নাম এগুলো অদরকারী তথ্য। তারচেয়ে আমার ভালো লাগা, মন্দ লাগা ও আমি নিজে কী আর মানুষ আমাকে কীভাবে দেখে এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিলো। আত্মীয়ঘটক সেটা দেখে চোখ কপালে তুলে বললেন "এইটা কী !"
তারপর একটা বায়োডাটা দিয়ে বললেন এইরকম করে লিখে দিতে। ঐটায় আবার আমি কোন তথ্যই খুঁজে পেলাম না যেটা দেয়া উচিত।
আমার বায়োডাটা প্রজেক্টের ঐখানেই সমাপ্তি।
মনের মাধুরী মেশানো বায়োডাটা একখান আমারও আছে। মেইল করতে বললে ওইটা দেই। পপুলার পাত্রদের এই বায়োডাটা দেখেই আমাকে বাদ দেওয়ার কথা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ডিজিটাল সিভি টা !!!!!!!!! একি অবস্থা !!!!!!
এতো যন্ত্রণা না করে নিজেই নিজের পছন্দমতো একজন মানুষ খুঁজে নেয়াটা সহজ না!
বিয়ে করার আগে নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস করা উচিত - আমি আসলেই বিয়ে করতে চাই কিনা, আমার আসলেই বিয়ে করা দরকার আছে কিনা, এবং আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে কেমন মানুষ চাই। উত্তর যদি হয় - হ্যাঁ, আমার বিয়ে করা দরকার। আমি এখনই বিয়ে করতে চাই, এবং আমি জানি আমি কেমন মানুষ বিয়ে করতে চাই। সেক্ষেত্রে শুভস্য শীঘ্রম্। আর উত্তর যদি হয় - না আমার বিয়ে করার দরকার নেই, তাহলে বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারে আফসোস্ রাখার দরকার নেই। উত্তর যদি হয় - আমি এখন বিয়ে করতে চাই না, তাহলে সেটা সবাইকে সাফ্ সাফ্ জানিয়ে দেয়া ভালো। উত্তর যদি হয় - আমি জানি না আমি কেমন মানুষ বিয়ে করতে চাই। সেক্ষেত্রে "অভিভাবকের পছন্দই চূড়ান্ত" সেটা জানিয়ে দেয়া ভালো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নিজে খুঁজে পেলে কি এত ঝঞ্ঝাট করে কেউ?
আমি জানি আমার কেমন মানুষ পছন্দ। এবং আমার বিশ্বাস এভাবে খুঁজে তাকে পাওয়া সম্ভব না। সেটা শুরুতেই সাফসাফ জানিয়ে দিয়েছি। আমার বাবা-মা সুযোগ চেয়েছেন আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করার জন্য। বর্তমানে যা চলছে তা হলো অমূল্য রতনের সন্ধানে "যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই" কার্যক্রম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"না আমার বিয়ে করার দরকার নেই, তাহলে বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারে আফসোস্ রাখার দরকার নেই।"
আফসোস আমার (বিবাহযোগ্য ছেলে/মেয়ে) নাহয় নাই কিন্তু পরিবার , সমাজ তাদের আফসোসের যন্ত্রণায় তো টেকা দায় !
"আমি এখন বিয়ে করতে চাই না"
না না, বয়স হয়ে যাচ্ছে না? বুড়াবয়সে কে বিয়ে করবে ?
"আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে কেমন মানুষ চাই" আমি জানি । কিন্তু বড়দের কথা হলো এমন মানুষ নাকি অর্ডার দিয়ে বানাতে হবে। সুতরাং কিছু বাদ দিয়ে, কিছু মেনে নিয়ে , কিছু যোগ করে যা'ই পাওয়া যায় সেটাকেই একটু চেঁছেছুলে নেয়া যায় কীনা দেখো।
এটাও এতো সহজ নয়!
হাসতে হাসতে মাথা খারাপ!!
নাচ, গান থাকবে, রান্নাবান্নার দৃশ্য থাকবে, আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আর পাড়াপড়শির সাক্ষাৎকার থাকবে। আমাকে হাসলে কেমন দেখায়, কাঁদলে কেমন দেখায় সেটাও হেসেকেঁদে দেখিয়ে দেবো ভিডিওতে
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ একটা বর্বর প্রথা। আমাদের অনেকেরই বাবা-মা এই প্রথায় বিয়ে করেছেন। তাতে এই প্রথার বর্বরতা একটুও কমেনি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার বাবা-মা এই প্রথায় বিয়ে করেন নাই। তাদের জন্য ব্যাপারটা আরো পীড়াদায়ক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমিও মডিফায়েড বর্বর প্রথায় বিয়ে করেছি প্রেম ভালোবাসায় কেউ সাড়া দেয়নি বলে। বিয়ের আগে হবু বউকে বলছিলাম, চল পালাই। তাইলে প্রেম না করার কলংকটা ঘুচবে। বউ রাজী হয় নাই বাপের ডরে। এত বছর পর আফসোস করে, ক্যান পলাইলাম না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
_____________________
Give Her Freedom!
প্রথাটা বর্বর হবে কেন, এটা কারো ওপর চাপিয়ে দেয়াটা বর্বরতা। আমাদের দেশে বহু মানুষকে দেখেছি যারা ইচ্ছে এবং আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও কারো সাথে কোন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন নি। অমন মানুষদের অন্যের সাহায্য নেয়া ছাড়া উপায়টি কোথায়? সারা দুনিয়াজোড়া ব্যবসা করা ম্যাচমেকার, ডেটিং সার্ভিস এগুলো আসলে কী? একজন মানুষ যদি আরেকজন মানুষের প্রেমে না পড়ে তাহলে সারা দুনিয়ার ডেটিং সার্ভিসওয়ালাদের কি সাধ্য আছে তাদেরকে পরস্পরের প্রেমে ফেলার! কেউ কি এই নিশ্চয়তা দিতে পারে যে তার প্রেম হবেই, অথবা তার এমন প্রেম হবে যেটা বিয়েতে গড়ানো সম্ভব হবে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটাও আপনার বলা "চাপিয়ে দেওয়া" গোত্রে ফেলা যায়। আমরা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পথে হাজারটা বাধা গড়ে রাখবো। এর ফলেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়ে উপায় কি?
আর ডেটিং সার্ভিস তো বর্র মনে হয় না। কারো সম্পর্কে "ভাসা-ভাসা" জেনে তার সাথে সাক্ষাত করে "নিজেদের মধ্যে ক্লিক করছে কি না" যাচাই করাটা রীতিমত মানবীয় মনে হয় আমার কাছে। না হলে, না হলো। স্বাধীন দুজন মানুষ হেটে গেল দু দিকে ব্যাস। আত্মীয় স্ব্জন্দের হাতে পড়ে ব্যাপারটা এমন সুস্থ থাকে না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বর্বরতা কি না সেটা নির্ভর করে অ্যারেঞ্জমেন্টটা কীভাবে হচ্ছে তার উপর। ওই যে বললেন, "আত্মীয়স্বজনদের হাতে পড়ে ব্যাপারটা এমন সুস্থ থাকে না।"- ব্যাপার সেটাই। বড়দের আব্দারকে পাশ কাটিয়ে ছেলেমেয়েদের বোঝাপড়ার সুযোগ দেওয়া হোক- তাহলেই ব্যাপারটা স্বাভাবিক থাকবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার লেখা পড়ে যতটা না মজা পাইছি, তার চাইতে বেশি মজা পাইছি "কেনাডার" পাত্রর প্রোফাইল দেখে।
এজন্যই বলি প্রেম কইরা বিয়া শাদি করেন। অ্যারেঞ্জ মেরেজের হ্যাপায় যাওয়ার দরকার নাই। প্রেম কইরা কোর্ট মেরেজ করেন। পয়সা হজম খেল খতম।
আজকাল কমেন্ট করতে গেলেই রাজ্যের আলস্য এসে ভর করে মনে!
কদিন আগে বিবিধ কারণে এক ছোটভাইয়ের করা মন্তব্যটা বোধ হয় লেখাটা্র জন্য সবচেয়ে যুৎসই হবে- "ধ্রুপদী হইয়াছে!"
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমার উচ্চতা ফাইভ পয়েন্ট ফাইভ ইঞ্চি -- এইটা সবচেয়ে ভাল হইছে
কী ধরনের প্রকৌশলী সেটাতো বলেননি - হয়তো effcient and innovative অধিজনন প্রকৌশলী হতে চান এটা বুঝতে চেয়েছিলেন
কী ধরনের প্রকৌশলী তাও লেখা ছিলো। প্রাইভেসির খাতিরে চেপে গেছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি বড় হয়ে জনদরদী, জননেতা হতে চাই। নিজের জন্য না, কেবল আপনার কলিগের ছওয়াবের জন্যই তার আয়োজনে ন্যুনতম দশ বারোটা বিবাহ করতে ইচ্ছুক আমি। জিগান তারে তিনি রাজী আছেন কিনা। তাইলে বিসমিল্লা বলে টিনের ট্রাঙ্ক বগলে চেপে মধ্যরাতের ট্রেনে উঠে বসি। কী আছে জীবনে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহা! আপনি একা এত চাপ নিবেন কেন? দেশে কি আর জনদরদী নাই?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ব্যাপক মজা পাইলাম ।
---------------------
আমার ফ্লিকার
ভালো বুদ্ধি। কয়েক প্রকার বায়োডাটা বানিয়ে রাখতে হবে দেখছি!
হ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার কাছে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ, প্রেমের ম্যারেজ সব ম্যারেজই ভালু লাগে
বিয়ে হইলেই আমি খুশি!
লেখা জব্বর হৈসে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
মেয়ে হইলে সবগুলো বায়োডাটাওলাগুলাকেই বিয়ে করে ফেলতাম। দুর্দান্ত। এদের সাথে দুই মিনিট গল্প করাও ব্যাপক সুখের ব্যাপার।
আপনের সমস্যা কি, হেহ !
সমস্যা হচ্ছে অধিকাংশ মানুষই মনে হয় এইগুলো দেখে। তবে বায়োডাটা দেখে একটা মানুষের রুচি ও শিক্ষা সম্বন্ধে ধারণা করা যায়।
শাদিনামা চলুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বায়োডাটা সাধারণত পাত্র নিজে বানায় না। বায়োডাটা থেকে তাই পাত্রের চেয়ে পাত্রের পরিবার ও ঘটকের রুচি ও শিক্ষা সম্বন্ধে ধারণা করা যায়। আমাদের ঘটকদের রুচি ও শিক্ষা নিয়েই আরেক পর্ব নাজেল করা সম্ভব।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মনে পড়ল - বিয়ের পরে একবার বউ নিয়ে নিউইয়র্কে বেড়াতে গিয়েছিলাম। জ্যাকসন হাইটসে একা গিয়েছি একটা কিছু কিনতে। বন্ধুর চেনা এক ঘটক মহিলা পাকড়াও করলেন। বিনীতভাবে জানালাম যে বিয়ে করে ফেলেছি - বউ আধা মাইল দূরেই আছে। উনি আরও বিনয়ী হয়ে জানালেন যে আমি আমার জীবন তথ্য ওনাকে দিয়ে রাখতে পারি - যেই দিনকাল - কখন আবার কি হয়ে যায় - এই নিউইয়র্কেই কত ঘটনা ঘটল। ঘটক হতে হলে একটা স্পেশাল মাইন্ড সেট দরকার, মানুষ দেখা মাত্রই কার সাথে এর বিয়ে দেওয়া যায় সেটা মনে মনে যাচাই করে নিতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে। মানুষটি বিবাহিত কি অবিবাহিত এটা পরের ব্যাপার। ঘটক আসলে কোনো পেশা নয় - ইটস অ্যা ট্রেইট।
ঘটক মাত্রেই অশিক্ষিত নন। আমার এক বান্ধবী আছেন - মার্কিন দেশের একটা কর্পোরেশনে বেশ উঁচু পদে কাজ করেন। উনারও এই গুন আছে। ভালো ম্যানেজমেন্ট স্কিলের সাথে ম্যাচ মেইকিং স্কিলের কিছু সম্পর্ক আছে। আমাকে একবার বলল - তোমার ওই বন্ধুটার ডিভোর্স হয়ে গেলে আমাকে খবর দিও তো - আমার ওই বান্ধবীটার সাথে ওর সম্বন্ধ করব। আমি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম তোমার বান্ধবীও তো বিবাহিত? জবাব দিল - হ্যাঁ তবে ওর জামাইয়ের সাথে বেশি দিন টিকবে না বলেই আমার ধারনা
ঘটকের চরিত্র নিয়ে একটা পর্ব আসা উচিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খোদা !!!! আপনার বান্ধবীরে তো শিকল দিয়া বান্ধে রাখা উচিত Dangerous element !!!
ঘটকালি একটি মানসিক ব্যাধি ! বিবাহিতরা সাবধান!!!
এই সিরিজটা সত্যি চমৎকার!
বিয়া কত্তে এতনি হ্যাপা! । এই জন্যই কই- বিয়াশাদি একখান ভ্রান্ত ধারমা। কেউ আমার কথা শুনেনা। আপনার সেই চ্রম ইয়ে বায়োডাটার প্রসিদ্ধ সব বাঘাবাঘা বলদ পাত্র পার্টিদের জন্য এক্ষান রাইখ্যা গেলাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
এই সব বায়োডাটা মাটায় কাজ হবে নাগো আফা। তাড়াতাড়ি গিয়া ভালো জ্যোতিষের কাছ থিকা পাত্থর লন আর তা নইলে কোন হুজুরের ফু দেওয়া পানি খান দ্রুত মনবাঞ্ছা পুরন হবে এনশাল্লাহ্ ।
লেখায় । আর আপনার জন্য শুভকামনা রইলো - আশাকরি এসব বায়োডাটা শাক/সব্জি ছাড়াই আপনি আপনার মনের মানুষকে পেয়ে যাবেন
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চাকরির ঠিকানায় বিয়ের বায়োডাটা জমা পড়েছে কি না কে জানে?
ঘটককে এই লেখার একটা কপি পাঠিয়ে দ্যান!
facebook
বায়োডাটা কন্সেপ্টের বিরোধিতা করবো না, প্রচলিত কন্টন্টের বিরোধিতা করবো। একটা সংক্ষিপ্ত কেন্দ্রিক বায়োডাটা আয়োজিত বিয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে পারে।
ব্যক্তিগতভাবে আয়োজিত বিয়ে অত্যন্ত অপছন্দ করি। এটা অমানবিক প্রক্রিয়া। বিবাহ একটা সামাজিক স্বীকৃতি বা প্রথা। প্রেম প্রয়োজন, প্রেমোৎসারিত হতে হবে বিয়েকে।
_____________________
Give Her Freedom!
লেখিকার জন্য শুভ কামনা থাকল, যেন তার মনোবাসনা জলদি জলদি পূর্ণ হয় (গুড়)
আচ্ছা, এই "পাত্রী চাই" বিজ্ঞাপনটা কেমন হবে --
পাত্রী চাইঃ
নামঃ....
সুসংবাদ! সুসংবাদ! বঙ্গদেশের বিবাহেচ্ছুক বায়োডাটাসন্ধানী নারীদের জন্য পরম সুসংবাদ !!
খোদ গার্ডেন অফ ইডেন হইতে সরাসরি জগৎবিধাতা মহান ও একমেবাদ্বিতীয়ম নিরাকার ইশ্বরের আপন সন্তান রক্তমাংসের বাবা আদম ও ইভের ৯০ ও ৯১-তম সাক্ষাৎ বংশধর পাইপলাইনে আছেন! ইঁহাদের জন্য পাত্রী চাই!
ইঁহারা ডাইরেক্ট মহান পরমেশ্বর ইশ্বর থাকিয়া শুরু করিয়া আদম-হাওয়া হইয়া বিশ্বের তাবৎ নবী-রসুল-পয়গম্বর-নূহ-ইব্রাহীম-মুসা-যীশু-মোহাম্মদ হইয়া দুনিয়ার বহু মহাপরাক্রমশালী রাজা-বাদশাহ-সম্রাট ও রাজবংশ হইয়া বিশাল মোগল সাম্রাজ্যের হর্তাকর্তা মহারাজা হইয়া শেষমেশ এই বঙ্গদেশে এক মহাদাপটশালী মহাজমিদারব্যাঘ্ররাজ বঙ্গপুঙ্গবের ঘরেই পয়দা হইয়াছেন। একদম আদ্যোপান্ত ডাইরেক্ট এ্যাকশন! এমন বংশলতিকাওয়ালা, নীলতমের চেয়েও নীলতর অলৌকিক রক্তওয়ালা বিশ্বের মহুচ্চতম বংশের পবিত্রতম "বায়োডাটা" বিশ্বব্রম্মাণ্ডে আর কোথাও পাইবেন না আপনারা !! তবে ইঁহারা এখনও মনে হয় স্কুলবালক.... তবে অগ্রিম পাত্রী অডিশনিং চলিতেছে।
পূণঃ তবে তাদের আব্বাজান, ৮৯-তম মহান ইশ্বরপুত্র মহাজমিদারব্যাঘ্ররাজ যদি ইতিমধ্যে কোন কারনে পূনঃসিঙ্গেলভবত্ব অর্জন করিয়া ফেলেন, তাহা হইলে আর অপেক্ষার প্রয়োজন পড়িবে না - অবিলম্বেই পাত্রী প্রয়োজন পড়িবে।
সুতরাং, এখনই রেজিস্ট্রেশন করুন। হেলায় এ সুযোগ হারাইবেন না।
------------------------
ডিস্ক্লেইমারঃ এখানে যে পাত্র ও তাদের দাবীকৃত যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে - তা সবই বাস্তব। শুধু এই বিজ্ঞাপনটা প্রস্তাবিত।
****************************************
সবই ভাল লাগলো। লেখা, মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য সবই।
সবার প্রতিক্রিয়া আর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
উহু... ধন্যবাদ পর্ব এখনি শেষ করলে মন্তব্য করব কিভাবে?
লেখা মজাদার কিন্তু দৃষ্টি অন্য খানে... যদিও জানি বিয়ে প্রসেসের এই পর্যায়ে একটা ছেলে বা মেয়ের মনে নানা ধরনের চিন্তা ঘুরপাক খায়। কিন্তু আমার মনে হয় না, জনসম্মুখে যখন তা প্রকাশ পায় তা সত্যিই সেই ব্যক্তির মনের কথা! জীবন তো আর এই উপমহাদেশের ছিঃনেমার মত না যে "শুধুই মনের মত মানুষ" এর সাথে জীবন পার করার জন্য রিক্সাওয়ালা বা বাসার কাজের মেয়ের সাথে বিয়ে করে কেউ গৃহান্তরি হয়! কেউ মুখে বলুক আর না বলুক এই যুগে সবাই দেখে স্টাটাস, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি, শিক্ষা ইত্যাদি সব সব...
আমরা যা বলি আর অনলাইন এ যে ভালু ভালু কথা পড়ি তা যদি বাস্তব হত খোদার কসম বাংলার বুকে কাওকে বুইড়া-আবিয়াইত্তা বা আইবুড়ি বলা হত না!
বি.দ্র: বিয়ে করার আগে দুজনে সতভাবে আলোচনা করে নেয়াটা খুবই জরুরি এবং বিয়ের পর সেই অনুযায়ী চললে মনে হতে বাধ্য যে "আরে তাই তো, মনের মানুষটিকেই তো পেয়েছি" ... ওক্কে, স্মাইল!
আগেই পড়েছি, এখন জাঝা দিয়ে গেলুম।
আহেম!
আমার বায়োডাটাফাটা তো কেউ এখন চাইলো না, তবে যদি ঘটনাচক্রে কেউ চেয়ে বসে আর আমি একটা ১০০% সত্য বায়োডাটা লিখে দেই, তাহলে সেইটা পড়ে হবু পাত্রী প্লাস তার বংশ ভিরমি খাবে এইটা নিশ্চিত। পরীক্ষায় পাশ হলে রিটায়ার করুম বলে ভেবেছি। ফল ২০১২ তেই প্ল্যান। আমার রিটায়ারমেন্টের প্লানই তো থাকতেছে তিন পাতার
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ছেলে পছন্দ করে বিয়ে করেছে। শাশুড়ী পুত্রবধুকে শুনিয়ে বলতে শুরু করলেন তার পুত্রধনের জন্য কত কত বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। কিছুদিন পরে বধু শুনে মাতা-পুত্রের কথা। ছেলে বলছে, মা এই মেয়ের সাথে আর সংসার করব না। তুমি ভাল দেখে আরেক্ টা মেয়ে দেখে আমার আবার বিয়ে দিও!
হায় প্রেম হায় biodata
ভাই, আমার রুম এর সাথে বাথরুম নাই, আমার বাবা-মার রুম এর সাথে আছে। মিরপুর এর এক মেয়ের দাবি বিয়ের পরে তাকে আমার বাবা-মার রুম এ থাকতে দিতে হবে আর আমার বাবা-মা আমার রুম এ থাকবে। আমার প্রশ্নঃ এই মেয়েকে কি বিয়ে করা উচিৎ হবে?
[বিঃ দ্রঃ মেয়ের বাবা তিতাস এর তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী এবং ঢাকায় বাড়ী গাড়ির মালিক]
নতুন মন্তব্য করুন