মৃত্যুর প্রহর গুনি

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: সোম, ৩০/০৩/২০১৫ - ২:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক মাস হতে চললো অভিজিৎ রায় খুন হয়েছেন। এক মাসে তার হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কদ্দূর এগিয়েছে সেও আমরা দেখেছি, দেখে চলেছি। হুমায়ূন আজাদ, রাজীব হায়দার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম প্রমুখের মৃত্যু এর থেকেও পুরোনো খবর। তাঁদের বেলায়ও বাঙালির দ্বিধান্বিত শতছিন্ন মতবিভক্তি আমরা দেখেছি। আর দেখেছি বিচারপ্রক্রিয়ার দায়সারা মন্থরতা। প্রাথমিক আবেগের রেশটুকু কেটে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা যেন। সে পর্যন্ত বিচারপরক্রিয়া কোনোমতে ঝুলিয়ে রাখতে পারলেই আরসব খবরের নিচে এই মৃত্যুগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। পরবর্তী মৃত্যু পর্যন্ত বলা চলে নিশ্চিত প্রশান্তি।

তো, এবারের মৃত্যু বেশ দ্রুতই এসে গেল। আজ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি এলাকায় ওয়াশিকুর রহমান নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে তিনি ব্লগার ছিলেন। কোথায় লিখতেন, কী লিখতেন জানি না এখনো। সেটা আসলে প্রাসঙ্গিকও নয়। আশা করি অচিরেই তার তার মৃত্যুকে বৈধতা দিতে তার "ধর্মবিরোধী", "উসকানিমূলক" ব্লগের খবরাখবর পাবো আমরা। যেমনটা পেয়েছি পূর্ববর্তী সকল মৃত্যুতে। মৃত্যুর জন্য এদেশে আপাতত এর থেকে ভালো অজুহাত তো আর নেই। এদেশে ধর্ম বেচে খাওয়া এতই সহজ আর ধর্ম বিষয়ক আলোচনা এতই গর্হিত অবস্থানে পৌঁছে গেছে যে অভিযোগের সত্যাসত্য বিচার করতেও হয়ত আতঙ্কিত বোধ করবেন আমজনতা। ধর্মকে কেন্দ্র করে ভয়ের একটা সংস্কৃতি ক্রমেই ঘনীভূত হয়ে নিরেট আকার নিচ্ছে, যে কারণে বাংলাদেশের আমজনতা ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে ভয় পায়, ধর্মব্যবসায়ীদের ভয় পায়। সেই সূত্রে এখন তারা ব্লগারদেরও ভয় পান। ব্লগার মানেই হত্যাযোগ্য নাস্তিক এমনটা প্রচারণার প্রচেষ্টা গণজাগরণ চলাকালে রাজীব হায়দারের হত্যাকাণ্ড দিয়ে শুরু। ব্লগিং সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান না রাখা আমবাঙালি যে এই প্রচারণা বেশ "খেয়েছেন" এতে কোনো সন্দেহ নেই। হত্যার অজুহাত হিসেবে ব্লগিং যে বেশ মোক্ষম কারণ তা সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর খবর উপস্থাপনের ভঙ্গিমা খেয়াল করে দেখলেই বোঝা যায়।

অভিজিৎ রায় যখন খুন হন, সংবাদমাধ্যম তাঁকে চিনিয়ে দেয় ব্লগার হিসেবে। অভিজিৎ রায় অবশ্যই ব্লগার ছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র ব্লগার তিনি ছিলেন না। তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন, গবেষক ছিলেন, লেখক ছিলেন, একজন মুক্তবুদ্ধির মানুষ ছিলেন। মৃত্যুর পর তার সব পরিচয় ছাপিয়ে শুধুমাত্র "ব্লগার" পরিচয়কে তুলে ধরার পেছনে ব্লগিংয়ের সাথে নাস্তিকতাকে ওতপ্রোতপভাবে জড়িয়ে ফেলা এবং সেই পথ ধরে ব্লগারহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার পরিকল্পিত প্রচেষ্টাটুকু বুঝতে কষ্ট হয় না।

ওয়াশিকুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের খবরের ভাষা পর্যবেক্ষণ করুন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বেগুনবাড়ি এলাকায় ওয়াশিকুর রহমান নামে এক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।

সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, আহত ওয়াশিকুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের তেজগাঁ জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

খবরটি এমন হতে পারত:

"রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বেগুনবাড়ি এলাকায় ওয়াশিকুর রহমান নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।

সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, আহত ওয়াশিকুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের তেজগাঁ জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে তিনি ব্লগ লিখতেন। লেখালেখির সূত্রে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

কিন্তু না, খবরে বারবার ওয়াশিকুর রহমানকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে ব্লগার হিসেবে। ওয়াশিকুর রহমান নামে এক যুবক নন, ব্যক্তি নন। ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে। ব্লগার যেন ব্যক্তি নয়, মূল স্রোতের বাইরে একটি ভিন্ন হত্যাযোগ্য প্রজাতি।

খবরটি দেখুন। শুনে দেখুন "ব্লগার" শব্দটিতে কতখানি জোর দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে:

"নিহত ওয়াশিকুর রহমান ব্লগে লেখার পাশাপাশি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন।"

ব্লগিং কোনো পেশা নয়। ব্লগিং কারো অন্নসংস্থান করে না (করলেও আমার জানা নেই)। ব্লগিংয়ের পাশাপাশি কেউ ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করে না। ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত সময় আর অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা বাদ দিয়ে সে ব্লগিং করে।

দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ তিনি অন্তত ওয়াশিকুর রহমানকে "ভিকটিম" আর "নিহত ভদ্রলোক" বলে অভিহিত করেছেন। "ব্লগার" বলে চিহ্নিত করতে সচেষ্ট হননি। এ নিয়ে যে আদৌ ভাবনার কিছু আছে সেটা সম্ভবত সময় টিভির রিপোর্টার ভেবেও দেখেননি। তিনি ক্রমবর্ধমান ব্লগারবিরোধী সংস্কৃতির তোড়ে ব্লগিংকে শিরোনাম করতেই সচেষ্ট। তার এই প্রচেষ্টাকে দোষ দিই কী করে? এগারো বছর আগে হুমায়ূন আজাদ চলে গেছেন। রাজীব হায়দার খুন হয়েছেন দু বছর আগে। শফিউল ইসলাম খুন হয়েছেন গত বছর। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড এক মাস পেরুলো মাত্র। ওয়াশিকুর রহমান খুন হলেন আজ সকালে। দূরত্ব কমে আসছে ক্রমশ। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়ায় গতি যোগ হচ্ছে না। লেখার কারণে হত্যা করাকে সামাজিকভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাগে অলিখিত বৈধতা দেওয়া হচ্ছে এভাবেই। ব্লগারহত্যাকে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারলে বিচারহীনতার দায় এড়ানো সহজ হয়। ব্লগিংকে পাকাপাকিভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারলে, ভয় আর বিভ্রান্তি দিয়ে মূল জনস্রোত থেকে ব্লগারদের বিচ্ছিন্ন করে উপস্থাপন করতে পারলে দায়বদ্ধতা এড়ানো সহজ হয়। তাই জনমনে এই বিশ্বাসটা গেঁথে দিতে হবে যে ব্লগার কোনো ব্যক্তি নয়, বরং একটি বিনাশী শক্তি যার দমনে হত্যা করা যেতেই পারে। এখন হয়ত রোজই দুয়েকজন করে "ব্লগার" মারা পড়বেন। সকালের খবরের কাগজের সাথে এক কাপ চায়ে ডুবিয়ে মৃত্যুগুলো চিন্তা থেকে ঝেড়ে ফেলতে অভ্যস্ত হবে অ-ব্লগার মানুষেরা। নিজের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্টতা না পেলে কজনই বা একাত্মতা অনুভব করতে পারে? কজনই বা পারে ব্যক্তিগত লাভক্ষতির হিসেব ছেড়ে কোনো ব্যক্তি বা বিশ্বাসের জন্য লড়াই করতে?

এ বছর বইমেলা চলাকালে ধর্মীয় অনুভূতির ধুঁয়ো তুলে রোদেলা প্রকাশনীতে ভাংচুর হলো, আলি দস্তির ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ বইটি প্রত্যাহাত করে নিয়ে পার পায়নি রোদেলা। মেলায় তাদের স্টল বন্ধ করে দেওয়া হলো। কজন প্রকাশক মেলা কিংবা বাংলা একাডেমিকে বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন বা বর্জন করেছেন?

গত বছর ফারাবী শাফিউর রহমানের ফেসবুকীয় হুমকিতে যখন রকমারি ডট কম নাকে খত দিয়ে অবিশ্বাসের দর্শন, বিশ্বাসের ভাইরাস বইগুলো সরিয়ে ফেললো, কজন বর্জন করেছিলো রকমারি ডট কমকে? ফারাবী শাফিউর রহমানকে আইনের আওতায় এনে রকমারির নিরাপত্তা নিশ্চয় করার দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছিলো রাষ্ট্র? এই দায়বদ্ধতা কি আদৌ রাষ্ট্র স্বীকার করে এখন?

যে দেশে বইমেলার মাসে টিএসসির জনারণ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে দুজন মানুষকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়া যায়, অভিজিৎ রায়ের রক্তাক্ত নিথর শরীর আধা ঘণ্টা ফুটপাথে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকে, সে দেশের মানুষ কি একদিনে এমন স্বার্থপর, ক্লীব হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়?

হুমায়ূন আজাদ ব্লগার ছিলেন না। তার হত্যাপ্রচেষ্টার সপক্ষে যুক্তি দাঁড় করানোর লোকের অভাব হয়নি। একইভাবে অভাব হয়নি রাজীব হায়দায়, শফিউল ইসলাম, অভিজিৎ রায়ের খুনের ঔচিত্য প্রমাণের প্রচেষ্টার। ওয়াশিকুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বৈধতা নিয়ে তর্কবিতর্ক হবে কি না সেটা সময় বলে দেবে। হয়ত হবে না আদৌ। কারণ লেখার দায়ে বিনাবিচারে প্রাণ খোয়ানো এখন বেশ প্রতিষ্ঠিত বাস্তবতা। সে যা-ই লিখুক না কেন, কিংবা আদৌ কিছু না লিখুক। নাস্তিক শব্দটাকেই ক্রমশ হত্যাযোগ্য নিশ্চিত দেয়ালের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। নাস্তিকের হত্যাকাণ্ডের বিচার শিঁকেয় তুলে রাখাটা ক্রমশ সহজ হয়ে এসেছে। অভিজিৎ রায় আর বন্যা আহমেদের রক্তাক্ত ছবি ঘুরেফিরে বেড়িয়েছে ফেসবুক জুড়ে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষগুলোর নৃশংস নিস্পৃহতা আমরা দেখে গেছি। ফুটপাথে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অভিজিৎ রায়ের দেহ, ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা মগজ চশমা আর আঙুলের টুকরো দেখে দেখেছি। আর দেখেছি তার হত্যাকাণ্ডকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কদর্য প্রচেষ্টা। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় নিহত ওয়াশিকুর রহমানের মৃত্যুকে ব্যক্তিগত ভাবনার মানদণ্ডে "বিচার" করারও লোকের অভাব হবে না। এই চর্চাকে আমরাই প্রশ্রয় দিয়ে চলেছি দিনের পর দিন। বিরুদ্ধমতের প্রতি তীব্র অসহিষ্ণুতার বীজ থেকে জন্মানো বিষবৃক্ষ এখন আমাদের গভীরে শেকড় বিস্তার করে ফেলেছে। আমরা জেনে গেছি ধর্ম এখন সবথেকে সুলভ ও সহজ হাতিয়ার। স্রোতের বিপরীতে যাওয়া শুধুমাত্র বোকামি নয়, রীতিমতো প্রাণঘাতী। একেকটা মৃত্যুকে একান্তই ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতি ভেবে পাশ কাটিয়ে যেতে শিখেছি আমরা।

আমাদের আছে ফেসবুক। শোক প্রকাশে কিছুদিন প্রোফাইলের ছবি, কভারের ছবি অন্ধকার করে রাখবো; হ্যাশট্যাগ দেবো, ইভেন্ট খুলে তাতে হাজারে হাজারে Going চেপে ওয়ালে "সাথে আছি" লিখে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলব।

হেফাজতে ইসলামের হুমকিতে বাংলা একাডেমি একটা স্টল বন্ধ করে দিলে বলব, "এই বইমেলা আমার না।"

ধর্মান্ধ তরুণদের হাতে লেখকের মৃত্যুতে বলব, "এই দেশ আমার না।"

নাস্তিকের রক্তে ফুটপাথ লাল হলে ভাববো, "এই মৃত্যু আমার না।"

কোনো অচেনা যুবক ব্লগিংয়ের দায়ে খুন হলে বলবো, "আমি ব্লগার না।"

না। এই বইমেলা আপনার। এই দেশ আপনার। এই মৃত্যুও আপনার। এবং বিশ্বাস করুন, বিনা ওজরে ঘাড়ে কোপ পড়তে আপনাকে ব্লগার হতেও হবে না এখন।

এদেশে নির্বিচারে মৃত্যুর জন্য ব্লগার হওয়া এখন আর পূর্বশর্ত নয়। ব্লগারবিদ্বেষের যে সাজানো সংস্কৃতির মধ্যে আমাদের বসবাস, সেখানে আপনি লিখুন বা না লিখুন, "ব্লগার" ট্যাগটা কোনোমতে একবার সেঁটে দিতে পারলেই হলো। অনেকেই হাত গুটিয়ে নেবে, মুখে কুলুপ আঁটবে, দেখেও না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে যাবে। আমাদের এই আত্মকেন্দ্রিকতা, অজ্ঞতা, ভয়, নীরবতা, নির্লিপ্ততা আমাদের সবার মৃত্যুর পূর্বাভাষ।

আপনি হয়ত ব্লগার নন, লেখক নন, নাস্তিক নন। তাই বলে ভাববেন না আপনি নিরাপদ। যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেন, বিরুদ্ধমতকে গ্রহণ করতে না পারলে অন্তত যুক্তি দিয়ে সসম্মানে প্রত্যাখ্যান করতে না শেখেন, বিচারহীনতার জন্য রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহিতা প্রত্যাশা না করেন, এই মৃত্যুর ছায়া বিস্তৃত হতে হতে একদিন আপনাকেও গ্রাস করবে। লড়াইগুলোকে যদি ব্যক্তিগত ভাবতে থাকেন, নিজের স্বার্থপর গণ্ডি থেকে বের না হন, মৃত্যু পায়ে পায়ে আমাদের প্রত্যেকের দোরগোড়ায় এসে কড়া নাড়তে শুরু করবে। তাই প্রতিটা লড়াই আপনার। সর্বস্ব দিয়ে লড়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন, নির্বিচারে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকুন। তা না হলে আসুন শুধু ফুল-পাতা-পাখি নিয়ে লিখি; দৈনন্দিন জীবনচর্চায় মজে থাকি। এবং নিভৃতে নিজেদের মৃত্যুর প্রহর গুনি।


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

শ্রদ্ধা

প্রহর গোনাই বাস্তবসম্মত, যদিও জানিনা একক অনেক বড় হয়ে গেল কিনা!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

গান্ধর্বী এর ছবি

আপনি হয়ত ব্লগার নন, লেখক নন, নাস্তিক নন। তাই বলে ভাববেন না আপনি নিরাপদ। যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেন, বিরুদ্ধমতকে গ্রহণ করতে না পারলে অন্তত যুক্তি দিয়ে সসম্মানে প্রত্যাখ্যান করতে না শেখেন, বিচারহীনতার জন্য রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহিতা প্রত্যাশা না করেন, এই মৃত্যুর ছায়া বিস্তৃত হতে হতে একদিন আপনাকেও গ্রাস করবে। লড়াইগুলোকে যদি ব্যক্তিগত ভাবতে থাকেন, নিজের স্বার্থপর গণ্ডি থেকে বের না হন, মৃত্যু পায়ে পায়ে আমাদের প্রত্যেকের দোরগোড়ায় এসে কড়া নাড়তে শুরু করবে। তাই প্রতিটা লড়াই আপনার। সর্বস্ব দিয়ে লড়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন, নির্বিচারে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকুন। তা না হলে আসুন শুধু ফুল-পাতা-পাখি নিয়ে লিখি; দৈনন্দিন জীবনচর্চায় মজে থাকি। এবং নিভৃতে নিজেদের মৃত্যুর প্রহর গুনি।

চলুক

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

অতিথি লেখক এর ছবি

মৃত্যুর প্রহর গুনি

দেবদ্যুতি

সুবোধ অবোধ এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

সহনশীলতার মানে এই নয় আমরা ভীতু , ভয়ে কাতর । তবে ওরা কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে, অন্ততপক্ষে ঘৃণা করে যাওয়াটাও একধরণের পালিয়ে বাঁচা। আর সাবধান ওদের মণ্ত্রণা/মণ্ত্রণা হচ্ছে অন্ধ গুজব, বিচ্ছিন্নতা ওদের অস্ত্র এবং কাপুরুষতা হচ্ছে পরিণাম।

ট্রোল

মাসুদ সজীব এর ছবি

না এভাবে কেউ ভাবছে না। ভাবছে না শিক্ষিত, উদার, মুক্তিযুদ্ধমনা, রাজাকার বিরোধী বলে পরিচয় দেওয়া প্রগতিশীলরা ও। তারা বলছে নাস্তিক হলেই কোপ খাচ্ছে, এবং খাওয়াটাই স্বাভাবিক। এরাই নিহত ব্যাক্তিকে নাস্তিক প্রমাণ করে খাসিঁ তত্ত্ব দিচ্ছে, কেউ আবার স্বাধীনভাবে লেখার সময় যেহেতু এখনও আসেনি তাই লিখে মরে গিয়ে সরকারকে বিব্রত না করার বাণী দিচ্ছে!

কিছু বলার ভাষা পাই না এদের জন্যে। হ্যাঁ তারাই ঠিক, আজ নাস্তিক মারছে। ভবিষ্যতে কোন একদিন মুক্তিযুদ্ধমনা, রাজাকার বিরোধী দের মারলে তখন তারা নতুন কোন তত্ত্ব শুনবে? তখনও হয়তো আরেক কাওমি গ্রুপের উদ্ভব হবে, তারাও এদের মতো বলবে ‘মুক্তিযুদ্ধ কে নিয়ে লেখার সময় আসেনি, রাজাকারকে গালি দেওয়ার সময় আসেনি। যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি করে, যারা রাজাকার বিরোধী প্রচার চালায় এরা আসলে বলদ, আর বলদ মরবে এটাই স্বাভাবিক। সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি। নচিকেতার সেই বৃদ্ধাশ্রমের গানটির মায়ের মতো আমিও একশো বছর বাঁচতে চাই, ততদিনে নিশ্চয় নতুন আরেকটি কওমি গ্রুপ আসবে বাংলাদেশে! আমি সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষন রকম।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

নাশতারান এর ছবি

একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো। আমাদের স্বাধীনভাবে লেখার সময় তখন থেকেই শুরু। সেদেশে কিনা নাস্তিকতার দায়ে মানুষ মারা পড়ছে। সরকারের জন্য তো ব্যাপারটা বিব্রতকর বটেই। সেটা আড়াল করতে হবে কেন? সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হলো সমস্যাকে স্বীকার করা। বাংলাদেশে মৌলবাদ আছে এই বাস্তবতা এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। জনগণ যে যত যা-ই বলুক, সমস্যার সুরাহা তো সরকারকেই করতে হবে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মাসুদ সজীব এর ছবি

আমার কথা সেটাই। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া ভূ-খন্ডে মাত্র চব্বিশ বছরের মাঝে ধর্মনিরপেক্ষ একটা রাষ্ট্র কি করে জন্ম নিলো? হঠাৎ করে সব সাম্প্রদায়িক মানুষ অসম্প্রদায়িক হয়ে গেলো? না, সেটা হয়নি। এত দ্রুত কোন রাষ্ট্রের মানুষের চিন্তা-চেতনা-বিশ্বাস বদলে যায় না। তারপরও কি করে ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হলো? হয়েছে একজন মহামানব ছিলেন তখন বাঙলার বুকে, যার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি সময়ের সীমাবদ্ধতা আর সকল শৃঙ্খল ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। সাম্প্রদায়িক মানুষের দেশে অসম্প্রদায়িক এক রাষ্ট্র সৃষ্টি করে ছিলেন। অথচ আজ যারা বলে পরিবেশ নেই, দেশের বেশিভাগ মানুষ ধর্মান্ধ বলে সরকারের কিছু করার নেই তাদের একবার স্মরণ করা উচিত সেই সময়কে, শেখ মুজিবুর রহমান কে। জনগনের উপর দোষ চাপিয়ে লাভ নেই, রাষ্ট্র-সরকার যেভাবে চায় একটা রাষ্ট্রের মানুষ সেই নিয়মেই চলে, এই সত্যটুকু যতদিন মেনে নিতে পারবে না ততদিন বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা সম্ভব না।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

আয়নামতি এর ছবি

কী বলবো বুঝচ্ছি না।
সাথে আছি, খুনের প্রতিবাদ করছি-খুনীর ফাঁসি চাই, ইত্যাদি খুব ফাঁপা আর অক্ষর সর্বস্ব লাগছে।
নিরাপদ দূরত্বে বসে দূরে থাকা অরাজক দেশটার জন্য সত্যি কান্না পায়।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দিদিগো, এসব দেখেশুনে আমার বাসার গৃহকর্মী যে আমাদের সাথে ২১ বছর কাটিয়ে দিয়েছে, আমাকে বলে, 'মামা, এসব লেখালিখি ছাড়েন, না জানি আপনের আবার কবে কি হয়!'
ভাল থেকোগো দিদি।

স্পর্শ এর ছবি

'গুনি' বানান 'ণ' নাকি 'ন'?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নাশতারান এর ছবি

গুণন=multiplication
গুনতি=computation

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এরকম আরও হত্যা, এবং সেটাকে জায়েজ করার জন্য সর্বস্তরের নানান মানুষের নোংরা প্রচেষ্টা... সামনে আরও কত যে এসব দেখতে হবে, সেই চিন্তা করি...

স্পর্শ এর ছবি

ব্রাইট সাইড টা হচ্ছে, নিজেই যদি শিকার হয়ে যাই তাহলে আর এসব দেখতে হবে না... হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

হুঁ, গুনছি, এটাই সত্য কোনো ফাঁকি নাই।

স্বয়ম

শিশিরকণা এর ছবি

ফেসবুকে স্ট্যাতাস আপডেট করাও মাইক্রোব্লগিং।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নাশতারান এর ছবি

এ ব্যাপারটা শুরু হয়েছে গণজাগরণ থেকে। প্রথমে রাজীব হায়দারকে খুন করে ব্লগিং আর নাস্তিকতাকে একীভূত করার চেষ্টা করে আতঙ্ক ছড়ানো হলো। ব্লগ চলে এলো ফেসবুকে। ব্লগ আর ফেসবুকের বিভেদটা কমে আসায় এবং এ ব্যাপারে অজ্ঞতার সুবাদে অনেকে সাধারণ ফেসবুকারদেরও ব্লগার ভাবতে শুরু করল। ব্লগ বা ফেসবুক এখন আর ব্যাপার না। কেউ কোথাও কিছু লিখছে? সেটা কারো ভালো লাগছে না? ব্যস। হত্যা জায়েজ হয়ে গেল।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রানা মেহের এর ছবি

এভাবে সবার কাছে ভাল থেকে কিছুদিন বেশি বেঁচে থাকা যায়,
মৃত্যু আটকানো যায়না।
আজ এই লোকদের না আটকালে একে একে যে আমাদের সবার নাম্বার আসবে,
এই কথাটা কেন যে মানুষ বোঝেনা।

তোমার লেখা ভাল লাগলো।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নাশতারান এর ছবি

এই কথাটা কেন যে মানুষ বোঝেনা

বোঝেনা, কারণ বোধটা পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে বোধ সৃষ্টি হওয়ার পরিবেশটাও ধ্বংস করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে অনেক আগে থেকে। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যা দিয়ে এর শুরু। যে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথ লাল করতে হয়, যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে যে দেশে চল্লিশ বছর অপেক্ষা করতে হয় সে দেশে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সংখ্যালঘু হতে বাধ্য। চল্লিশ বছর কম সময় নয়। দুটো নষ্ট প্রজন্ম তৈরি করতে চল্লিশ বছরের পরিকল্পিত কূপমুণ্ডকতা যথেষ্ট।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

এক লহমা এর ছবি

চলুক মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

খুব অবাক হই, দেশের এত এত শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবি লেখক সাংবাদিক সাহিত্যিকের বিপরীতে এক অসৎ মাহমুদুরের মিথ্যাচার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। গত কয়েক বছরে ব্লগারদের উপর হামলার প্রথম উস্কানিদাতা আমারদেশ ও মাহমুদুর। সে-ই প্রথম শাহবাগের ব্লগারদের নাস্তিক হিসেবে অপপ্রচার শুরু করে। বাংলা কমিউনিটি ব্লগে যারা আছেন তারা জানেন এখানে ব্লগারদের মধ্যে প্রধানত দুটো স্রোত। একটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি, আরেকটা বিপক্ষ শক্তি। শাহবাগের গণজাগরনের ব্লগার আর তার প্রতিপক্ষ ব্লগারদের মধ্যে যে বিরোধ ছিল সেটা মোটেও আস্তিকতা এবং নাস্তিকতা নয়। এখানে বিরোধের মূল উৎস মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ। ব্লগে যেসব বড় বড় ইস্যু নিয়ে আমরা মেতে থাকি তার প্রায় সবটাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। ব্লগযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বরাবরই ছিল কোনটাসা, তারা কোন ব্লগেই লেখালেখির যুদ্ধে সুবিধা করতে পারেনি, পারার কথাও না। বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বরাবরই সংখ্যালঘু। সেই যুদ্ধে পরাস্ত হবার পরও তাদের করার কিছুই ছিল না। ঠিক সেই সময়ে মাহমুদুরের আমারদেশ তার হলুদ সাংবাদিকতার মিথ্যাচারের সাম্রাজ্য নিয়ে হাজির হলো শাহবাগের জাগরণের প্রথম সপ্তাহ যাবার পরেই। সেখানেই হঠাৎ করে বিনা কারণে সুপরিকল্পিতভাবে ব্লগারদের নাস্তিক বলা শুরু হলো গোয়েবলসীয় কায়দায়। সেই অপপ্রচারের জন্য তৈরী হয়ে ছিল জামাত-শিবির-হেফাজত চক্র এবং অতঃপর শুরু করলো ব্লগারদের আক্রমণ। পরবর্তীতে সমীকরণটা এমন দাড়িয়েছে ব্লগার=নাস্তিক=খুনের যোগ্য পাত্র।

অথচ ব্লগিং কোন পেশা নয়, ব্লগারের কোন দল নেই, যে কোন মতের মানুষই ব্লগ লেখে, আস্তিক নাস্তিক সবাই ব্লগ লেখে। যারা ব্লগ লেখে তারা প্রথম পরিচয় মানুষ, তারপরের পরিচয় তার পেশা, তারপর তাকে ব্লগার বলা যেতে পারে। তবু মিডিয়াতে প্রথম পরিচয় হিসেবে ব্লগার কথাটা এমনভাবে লেখা হয় যেন ব্লগার খুন করাটা মানুষ খুনের চেয়ে লঘু ব্যাপার। ব্লগার মানে তার পরণের কাপড়ে কোথাও 'অশালীনতা' ছিল যার ফলে তাকে খুন করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। বর্তমানে সেই অশালনীতার নাম ধর্মে অবিশ্বাস বা নাস্তিক। নাস্তিক পরিচয়ে কেউ খুন হলে তার খুনীরা কি কোন সুবিধা পায়? জানি না। কিন্তু এটা সত্যি যে এই্ আক্রমণের টার্গেট নাস্তিক ব্লগারে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা সমস্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির জন্য হুমকি। যে মাদ্রাসা ছাত্রগুলোকে এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে তার পেছনে যারা আছে তাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী। তখন কে কখন চাপাতির নীচে পড়বে আমরা জানি না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নাশতারান এর ছবি

নাস্তিক পরিচয়ে কেউ খুন হলে তার খুনীরা কি কোন সুবিধা পায়?

হ্যাঁ, পায়। তারা ছাড় পায়। বেনিফিট অভ ডাউট পায়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ব্লগার খুন বিষয়টা সম্ভবত সমাজে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। এরা মরবেই টাইপ বিষয়।

নাশতারান এর ছবি

সম্ভাবনার পর্যায়ে নাই ব্যাপারটা। ব্লগার কী বেশিরভাগই জানে না। যারা জানে তাদের বেশিরভাগই ভুল জানে। তাই প্রতিক্রিয়া মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে তৈরি হয়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

চাপাতির টার্গেট লেখক। ওদের ভয় কলম/কীবোর্ড। যারাই এগুলি চালায় সবার ঘাড়ের পিছনে চাপাতি ঘুরছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।