দীর্ঘ দীর্ঘ দিন পর সচলায়তনে লেখার সূযোগ পেলাম। কারণ শেয়ার করার আগে একটু ভূমিকা দিয়ে শুরু করি।
ক’দিন আগে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে বাচ্চাদের বই পড়াতে গিয়ে এক মাছের গল্প পড়লাম। এক মাছ হঠাৎ পেয়ে যায় এক বিশেষ মতা। মতা হচ্ছে সে যা চাইবে তা-ই হতে পারবে। যখন যেমন খুশি। এই খুশিতে ডগমগ হয়ে সে চাইতে লাগল বিরাট রাজপ্রাসাদ, গাড়ি, দামী স্যুট, পুরো পৃথিবী এক রাতে দুই দুইবার ঘোরা আরও ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই করে করে সে অন্য সব মাছের ঈর্ষার জায়গায় পৌঁছে গেল। আর ইচ্ছাপূরণ মাছটি একের পর এক সম্ভারে ভাসতে লাগল। তবে পুরো পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ চাইলেও একটি খুব প্রয়োজনীয় জিনিষ সে চাইতে ভুলে গেল তা হচ্ছে জ্ঞান। তাই তার বুদ্ধিহীনতায় সে একদিন সাধারণ মাছ হতে ইচ্ছা করল। আর সাথে সাথেই পরিণত হল অতি সাধারণ এক মাছে। হারাল তার ইচ্ছেপূরণ মতা। কেননা সাধারণ মাছের তো আর ইচ্ছেপুরণের মতা থাকে না। এক অতি সাধারণ মাছ হয়েই শেষকালে তার মরতে হল।
গল্পটি মাথা থেকে এর পর থেকে কোনভাবেই আর সরলো না। সরছে না। কারণটি আরেকদিন আলোচনা করব। আজ দু'য়েকটি অজুহাত জানিয়ে এতদিন লেখার বিরতির কারণটি জানাচ্ছি।
আমার তিনটি ছেলে আছে। স্বচ্ছ, ঋদ্ধ ও শুদ্ধ। ছেলের বাবা বা মা হবার অভিজ্ঞতা যাদের আছে তাদের বিস্তারিত আর কিছু বলতে হবে না সে আমি জানি। সেই তিন ছেলের দাপটে আমার বাড়ি সবসময়ই এ্যাকশন আর হরর মুভির কেন্দ্রস্থল। আমার প্রথম ছেলের পর দ্বিতীয় বার আলট্রাসনোগ্রামে যখন ডাবল ছেলের খবর পাওয়া গিয়েছিল আমার মা আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তাঁর দ্বারা আর পালা সম্ভব হবে না বাচ্চা। যদিও সে অসুস্থতার অজুহাত দিয়েছিল কিন্তু আমি চুপিচুপি খবর নিয়ে জেনেছি যে সে বহাল তবিয়তেই থাকতো শুধু আমরা বেড়াতে যাওয়া ছাড়া। যাকগে সে কথা। আমার ছেলেদের খুব কমন কিছু কাজ একজন আরেকজনকে খাট থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়া বা শুধুমাত্র আমার গলায় ঘুমাবার সময় কে হাত রাখবে সে নিয়ে হাতের কাছে গাড়ি-পাথর-প্লেন-চামচ যা পাবে নির্দ্ধিধায় অপর পকে ছুড়ে মারা। আর ওদের মারামারির তালিকায় ওদের চেয়ে বেশ বড় সাইজের একজন লোকও যোগ হয়। সে হচ্ছে ওদের বেচারা বাবা। আমাকে ভয় পেলেও ওদের বাবাকে তারা নস্যি মনে করে। প্রায়ই আমার জরুরী কোন কাজের সময় পাশের ঘর থেকে বিকট চিৎকার ও আমাকে ডাকাডাকির শব্দ পেলেই বুঝি বড়র উপর হামলা চলছে। গিয়ে দেখি হয়তো কাটাচামচ দিয়ে বাবাকে খোঁচাচ্ছে না হয় তিনজন জাপটে ধরে কিলঘুষি মারছে। কারণ জানা যায় কোন একজনকে বাবা ধমকেছে। এমনিতে সারাদিন তিনজন তিনজনের নরকের শত্র“। তবে তিনজনের বাইরের কোন প্রতিপকে পেলে ওরা একজোট হতে একমূহুর্তও সময় নেয় না। হাতের কাছে সহজে পাবার জন্য ওদের বলির পাঠা হতে হয় প্রায়ই ওদের বাবাকে। (তবে মাঝে মাঝে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ায় আমার প্রায়ই শুনতে হয় ওর বাবাকে অপদস্থ করার কালাকানুন নাকি আমারই শেখানো যদিও বিষয়টি চরম মিথ্যে)। যাক গে বেশী কথার দরকার নেই। ওদের ছোট্ট একটি কাজের উদাহরণ দিয়ে শেষ করি।
আমার বাড়ির কাজের সাহায্যকারী ঠিকা একজন মহিলা আছেন যার সাথে আমার দেখা হলেই ওদের বিরুদ্ধে বিস্তর নালিশ শুনতে হয়। বেশী শুনতে হয় ওনার কাপড় খুলে দেবার অভিযোগ। কারণ থাকে ওদের গোসল থেকে টেনে নিয়ে আসার ঘটনা। বেশী সময় পানিতে থাকতে না দিলেই তিনজনে ঝাপিয়ে পড়ে ওনার শাড়ি খুলে দেয়। যাতে সে আর ওদের পানি থেকে আনার সাহস না পায়। আমি বেশ চড় থাপ্পড় মেরে-----বুঝিয়ে--------অনেকভাবে তাদের এ কুঅভ্যাস দূর করার ব্যাপক চেষ্টা করি। আর পানিতে থাকা ছাড়াও ওদের আরেকটি বিষয় প্রিয় তা হচ্ছে ঘরকে আস্তাবল বানিয়ে রাখা। তো একদিন আমি বাড়ি ফিরে তাজ্জব ঘর বেশ পরিচ্ছন্ন। তবে একটা উৎকট গন্ধ পাচ্ছি। যদিও প্রথমটায় খেয়াল করতে পারিনি। তো অবাক আমি কিছুণ ঘুরে ফিরে ওদের গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর বা শারীরিক কোন সমস্যা শুরু হল কিনা। পেলাম না। একসময় কৌত’হল মিটাতে না পেরে জানতে চাইলাম ওরা আজ বুয়ার সাথে কি কি করেছে। কোন সমস্যা পেলাম না। (তবে আমার ছেলেরা মিথ্যে খুব একটা বলতে পারেনি----- যা বলার চেষ্টা করে তা বোঝা যায়)। আমি তো বেশ অবাক। জানতে চাইলাম কোন দুষ্টুমিই কর নাই? ওরা মনেই করতে পারল না। পরে আমার জমজের একজন খুব হালকা গলায় জানাল আজ শুধু ফ্রিজে রাখা ডিমগুলো ভাঙা ছাড়া তো কিছুই করেনি তারা। ফ্রিজ খুলে দেখলাম আমার ফ্রিজের গোটা বিশেক ডিমের শয্যা আর বুঝলাম উৎকট গন্ধ রহস্য!
আমার সেই ছেলের একজনের হাত ভেঙেছিল। গত একমাস ধরে আমার নিজের কাজের পাশাপাশি তাকে সারাদিন সামলে রাখাটা ছিল আমার দিনের বড় অংশ। আর সামলানোটা তার হাত ভাঙার জন্য নয়------- সে সারাদিন স্কুলে না গিয়ে ঘরে আছে সেজন্য! তবে বর্তমানে আমার তিনছেলের স্কুলেই গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। ছুটিগুলো যে কেন এত বড় দেয় কর্তৃপ তা বুঝি না!
বি.দ্র. অসুখী মন নিয়ে ক’দিন আগে আমি তীব্র যাতনা অনুভব করছিলাম একদিন। ছোট্ট একটি ঘর ----- চাওয়াকে না পাওয়া --- আরও কত কিছু------------। একা ঘরময় হাঁটতে হাঁটতে কান্ত আর ভারাক্রান্ত আমি বারান্দার দরজাটা খুললাম। ছোট্ট এক চিলতে বারান্দায় ঝকঝকে রোদে ছোট্ট ছোট্ট তিনখানা ফতুয়া দুলছে। আমার সমস্ত অবসাদ, গ্লানি, দুঃখ, হতাশা গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে আমার মনটা এক অদ্ভুত সুখের আলোয় ভরে গেল। অচিন রঙের আলোয় আমি বুক ভরে শ্বাস নিলাম।
মন্তব্য
অনেকদিন পর আপনাকে সচলে পাওয়া গেল। কারণ তো আপনি নিজেই জানালেন। আপনার ছেলেরা যেন আরেকটু শান্ত হয়, যাতে করে আপনি আরেকটু বেশি সময় পান আমাদের সাথে কাটানোর, এই কামনা করি। আপনার রাতের গল্পগুলো মিস করেছি। আবার কিছু দারুন লেখা ছাড়েন তো! আপনার ও আপনার ছেলেদের, পরিবারের জন্য শুভকামনা।
বি: দ্র: আপনার এই লেখার বি: দ্র: অংশটুকু খুব অসাধারণ লেগেছে। আমার একটা কথা খুব ভাল লাগে "হ্যাপিনেস ইজ সামথিং ইউ ডোন্ট ফাইন্ড, ইটস সামথিং ইউ ক্রিয়েট"
"অতন্দ্র প্রহরী"
মজা লাগল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
শাহরিয়ার মামুন-এর মন্তব্য থেকে উদ্ধৃতি
আপনার ছেলেরা যেন আরেকটু শান্ত হয়...
কিন্তু বাচ্চারা খুব চুপচাপ আর শান্ত হলে কেমন হাবাগোবা মনে হয়( চাক্ষুষ করার কথা বলছি)।
তাদের দুরন্তপনাটাই যেন মানায় বেশি।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
আপনার ছেলের গল্পগুলো খুবই ভাল লাগল, শেষের প্যারা বেশী ভাল লাগল ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এ লেখার শ্রেষ্ঠ অংশ !
অভিনন্দন দীর্ঘদিন পর সচল প্রত্যাবর্তনে !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কথাটা ১০০% সত্য
আমি রাজ স্বাক্ষী
ক্যামেলিয়া প্রায়ই ছেলেদের দিয়ে স্বামীকে সাইজ করার টেকনিক বিভিন্নজনের কাছে জানতে চায়
আমার কাছ থেকেই কমপক্ষে ২০-২৫টা বুদ্ধি নিয়েছে
০২
আর মাত্র পাঁচ বছর
তার পরেই তোকে বিশ ডজন বালতি আর বিশ ডজন টাওয়ের গিফট করব
তুই সারা ঘর হেঁটে হেঁটে কাঁদবি আর টাওয়েল চিপে চিপে চোখের পানি দিয়ে বালতি ভার্তি করবি
(ঢাকা শহরের পানির সংকট তাকে কিছু কমলেও কমতে পারে)
বাহ॥ এক টুকরা মায়া যেন!
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাহাহাহাহাহাহা, এমন সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার ২টা ভাগ্নে আছে। উহাদের কারণে আপনার অভিজ্ঞতার রসাস্বাদন অনেকটা সহজেই করা গেল!
ভালো থাকুন।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
- আমার দুইটা ভাগ্নে আছে। এখনকার কথা বলছি না, যখন পিচ্চি ছিলো সেই তখনকার কথা। একবার আপা বাইরে যাবে, আমি বল্লাম থাকুক ওরা আমার কাছে। বিটলামি করলে আমার ঘরে ঢুকাইয়া দিমুনে সোজা বানাইয়া। আপা কয়, হ- তারপর ঘরের দরজা খুললে দেখা যাইবো ওরা লাফাইতে লাফাইতে ব্যাঙের মতো বাইর হৈতাছে আর তুই থ্রী-স্টুজেসের মতো সোজা লাঠির মতো চুল খাড়া কৈরা বাইর হৈতাছস!
তয় বিচ্ছুগুলোর বুয়া'র কাপড় খোলার অভ্যাস ছিলোনা। এইটা যদিও মারাত্বক ভালো লক্ষণ! আপনের ছেলেদের আমার কোচিং সেন্টারে পাঠিয়ে দিয়েন। এরকম ছাত্রই আমি খুঁজতাছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার ছেলেদের নামগুলো খুবই চমত্কার!
লেখাটি পড়ে সুকুমার রায়ের "ডানপিটে" ছড়ার কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত না করেই পারছি না। কী জীবন্ত বর্ণনা!
বাপরে কি ডানপিটে ছেলে! -
কোন্ দিন ফাঁসি যাবে নয় যাবে জেলে।
একটা সে ভূত সেজে আঠা মেখে মুখে,
ঠাঁই ঠাঁই শিশি ভাঙে শ্লেট দিয়ে ঠুকে!
অন্যটা হামা দিয়ে আলমারি চড়ে,
খাট থেকে রাগ ক'রে দুমদাম পড়ে!
বাপরে কি ডানপিটে ছেলে! -
শিলনোড়া থেকে চায় দুধভাত ফেলে!
একটার দাঁত নেই জিভ দিয়ে ঘ'ষে
এক মনে মোমবাতি দেশলাই চোষে!
আরজন ঘরময় নীল কালি গুলে,
কপ্ কপ্ মাছি ধ'রে মুখে দেয় তুলে।...
আপনাকে অনেকদিন অনুপস্থিত দেখে ভাবছিলাম, আমার গোল রুটির এক নিয়মিত খাদিকাকে হারালাম বুঝি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
@সংসারে এক সন্ন্যাসী
আপনাকে আগে এক মন্তব্যে জানিয়েছিলাম যে
আপনার ব্লগ আর মন্তব্য নিয়মিত পড়ি
এই যে সুকুমার রায়ের "ডানপিটে" ছড়া পেলাম
এ কি কম কথা
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ভালো লাগলো পড়ে... পিচকিদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
দারুণ লেখা। 'ছোট্ট ছোট্ট তিনখানা ফতুয়া'র ক্ষমতায় আমি বিমোহিত।
তিনছেলের মায়ের অবস্থা মায়ের মুখেই শুনলাম, বাপের নাজেহাল অবস্থাটাও খানিকটা আন্দাজ করলাম। বাপরে বাপ! আমি তো এক ছেলের মারই কুলাতে পারি নি। ওই বেচারা কেমনে যে তিনটার...
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
দারুণ লিখেছেন ক্যামলিয়া।
কুড়ি মাসের এক কন্যার বাপ আমি । সারা বাসা মাথায় তুলে রাখার পরও একটু বকলেই বেশ মন খারাপ করে বলে - "বাবা. বাবা.. আমি বালু"
আমি মনে মনে বলি - হ রে মা... কথা সত্য !
চমতকার এই লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে !
বেঁচে থাকার মজাই অন্যরকম মনে হচ্ছে। ছোট ছোট কিংবা বলা যায় টুকরো টুকরো ঘটনা গুলোই আসলে তৈরী করে মায়া।
আপনার লেখা পড়ে যুগপত্ দুঃখ এবং আনন্দ লাগল। হঠাত্ করে ছোট বেলার কিছু ঘটনা মনে পড়ে গেল; সেই সাথে মনে পড়ে গেল আম্মু-আব্বুকে কি জ্বালানটাই না জ্বালিয়েছি সেই সময়।
জয় হোক সব আম্মু-আব্বু দের।
ডানপিটেছেলেদের জন্য ভালবাসা!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঐ তিনটি ফতুয়া আমিও দেখতে পাচ্ছি, আমারও বুক ভরে যাচ্ছে সীমাহীন ভালোবাসার এক ভালোবাসায়...
আমারও তো মেয়ে আছে একটি, তার জামার একটি সামান্য সুতোর মর্মও আমি জানি...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আহা! কষ্টটা লাগছে ঐ বেচারার জন্য। যে নাকি তিনখানার মার আর একখানার চোখরাঙানি খেয়ে খেয়ে...................
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ক্যামলিয়া আপু
ব্লগ ভাল লেগেছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ভাল লাগলো বিচ্ছুকাহিনী শুনে। সবচেয়ে ভাল লাগলো আপনার তিন ছেলের নাম। কপিরাইট নেই তো, না? আমার আবার গণ্ডা চারেকের শখ। তবে অচিরেই এদের এযুগের রাজীব-ডিপজল-মিশা সওদাগর ডাকা শুরু হলে অবাক হবেন না।
সবার প্রতি অসংখ্য ভালবাসা আর ধন্যবাদ _
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
অনেক ভাল লেগেছে আপু
দুলাভাইয়ের তাহলে বাসায় প্রায়ই থ্রি স্টুজেসের মতন চুল খাড়া হয়ে যাবার অভিজ্ঞতা নিতে হয় দেখছি।হাঃ হাঃ।
সবার সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলব, আপনার শেষের প্যারাটি খুব ভাল লেগেছে।আপনার লেখার পড়তে পড়তে আম্মুর কথা মনে হচ্ছিল, চিন্তা করছিলাম যে আমি এমন করলে আম্মু কি করত তখন?
ভাল থাকবেন আর আপনার তিন সৈনিক সহ সবার জন্য থাকল আন্তরিক শুভকামনা।
যময বাচ্চা আমার দারুণ লাগে !
আর এরা যদি দুরন্ত হয়, তাহলে তো কথাই নেই।
আপনার লেখার শেষের অংশটুকু অসম্ভব সুন্দর ক্যামেলিয়া। আপনার সমস্ত মাতৃত্ববোধ যেন নিঙড়ে নিঙরে পড়ছে।
বাচ্চাদের জন্য অনেক অনেক আদর।
থাকুক না ওরা ওরকমই দুরন্ত...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাচ্চাদের উচ্চশিক্ষার জন্য আমার কাছে পাঠাবেন। এখনই না, ওদের আরো মেধা আর যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। নেক্সট পোস্ট থেকে আমি ডিসাইড করব ওদের ভর্তি করব কিনা।
স্বচ্ছ, ঋদ্ধ ও শুদ্ধ-র জন্য ভালোবাসা, আদর। দুষ্টসোনারা এভাবে জ্বালাতনে, ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকুক মায়ের আঁচলে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
স্বচ্ছ, ঋদ্ধ ও শুদ্ধ - চমৎকার তিনটি নাম। ভালো লাগল ওদের কাহিনী। ওরা তো এমন করবেই, ওরা তো আর বুড়ো নয়। ওদের জন্য শুভেচ্ছা।
লেখাটি আবারও পড়লাম। মানুষের তিনটি হাত। ডানহাত, বামহাত, অজুহাত। সুতরাং অজুহাত দেখিয়ে ভালো লেখা থেকে পাঠককে বঞ্চিত করবেন না।
নতুন মন্তব্য করুন