বিক্রি দিয়ে আসি তিন পাটি ঘুম: অবনী বাড়ি আছো?

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/১২/২০০৯ - ৫:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিক্রি দিয়ে আসি তিন পাটি ঘুম: অবনী বাড়ি আছো?
==================================
মাঝরাত্রে ঘুম ভাঙলে আর সুখ লাগে না। মেঘ দেখা যায় না যে মেঘ খাবো! তারাগুলো ভীষণ নারীবাদি, কেবল নিজেদের মেলে ধরে। ওরা কি মেঘবালকের মাঠে যাবে না?

অনেকগুলো মেষ আছে, অনেকগুলো গাভী। ঘাসের, শিশিরের ওম নিয়ে তারা লাইনে দাঁড়ায়। খামারী লোকগুলো দুধ দুয়ে নেয়। দুধের রঙ মেঘসাদা।

হুঁশ, হুশ।

'একটু-ও যাবো না।'
'না গেলে সরে দাঁড়া।'

রাত কী আজ গেছে উত্তরের বনে, জলের ধারে। ওখানে দু'টি ব্যাঙ খেলা করে। ব্যাঙগুলো আদর পায় নি। সবাই কেবল হঙস-হঙসী নিয়ে লিখলো। তাদের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে আমি মাছ শিকারে নামি। জলের গন্ধ মাতৃস্তনআঘ্রাণ।

রাতখেকো লোকেরা ভালবাসে সিগারেট, টিভি-নিয়ন্ত্রক
অথবা তারার জামাত
কতিপয় মাকড়সার কাছে পেলবশয্যায় চুলের
অরণ্যে বিলি-কাটা-রাত

কই নাতো। সিগারেট খেয়েছিলিম বড়জোর তিন কী চারবার। একবার সপ্তম শ্রেণীতে। জ্যাঠামশাইদের ঘরটা ছিল টিনের। সে ঘরের চালে শীতকালে শীমের মাঁচা করা হতো। শীমের বাকলের ভিতরে ফাঁকা। আমরা পাড়াতো ছেলেরা মিলে ধুমপানের আসর জমালাম। বাড়ির পিছনে বরই গাছে নিচে, নালিঘাসের জামাতে। দূরে একটা বকুলফুল গাছ ছিল। সকালে দৌড় লাগে; গোছা গোছা কুড়িয়ে এনে মালা গাঁথার।
বকুল আমি হাতে নিই না। অসহ্য ঘ্রাণ।
শীমফুলে মালা দিয়েছিলিম একজনকে।
মেয়েটা জন্মান্ধ ছিল।
একদিন পাগল হয়ে রাস্তায় উজান দিল।
কেউ কেউ......কেউ কেউ বলে তাকে...।

চুলে বিলি কাটতে পারে নিধি। মেয়েটার পিচ্চি হাত অসম্ভব পেলব। তবে তাকে বায়না দিতে হয়- চকলেট, দুধেলা চকলেট। এটুকু বয়েসে সে বিনিময় শিখে গেছে।

রাত হলে মাছেরা কি ঘুমায়? আজ কোন মাছ পাচ্ছি না বড়শিতের আঙটিতে!
এমন রাতে কি অবনী বাড়িতে থাকে না? দেখো, দরজা আর খিড়কী ঘুমের অবশে এঁটে আছে।

"অবনী বাড়ি আছো
দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া"

অবনীদের দু'টি পেয়ারা গাছ। একটা-ও কমলার ঝাঁড় নেই। কাজি পেয়ারা। ডাসা ডাসা। ওদের খামারের বিদেশী গাভীগুলোর ওলানের মতো। অবনী দরজায় কুকুর রাখতে নেই।
বাঙাল ছেলেরা কুকুরকে লাথি মারে। তোমার বাবা মানুষমারা পশুপ্রেমিক।

ফয়সলের মুখে নিশ্চয় শুনেছ যে গেল ছুটিতে তোমার বাড়ির সামনে কী লঙ্কাকাণ্ড হলো! কুকুর ভয় লাগে। কুকুরের অনেক শ্রবণশক্তি, ঘ্রাণশক্তি। শয়তান আর কুকুরের মাঝে পার্থক্য হলো শয়তান অমঙ্গলম আর কুকুর বন্ধুবৎসল।
একেকজন একেকটা রূপক ব্যবহার করে। আমি করি বিড়াল। আর গন্ধ তো সবকিছুরই আছে। সবকিছুর যেমন ঘুম আছে আধোআধো।
তবে সর্তক থাকবো। কড়া বেজে গেছে।

"কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছো?’"

কে সরিষার ক্ষেতে বেড়া টেনে দিয়েছে কড়া এঁটে! আমি তো উড়তে পারি না সুদর্শনের ঘুড়ি, আমি তো গাছে চড়তে পারি না প্রিয় হনুমান। উফ, ঝলসে দাও, পুড়িয়ে দাও। দরজার গঠন হয়ে পাহারা দিবো বাড়ি।

যেখানে ধান-পাকা-রঙ শীতের আভাস
সে দেশে জলের ধারে বসে ফেলেছি ছিঁপি
মাছ শিকারে গিয়ে চুপি চুপি অলুব্ধ বাতাস
এবঙ আমি কথায় কথায় মাঠের গন্ধ মাপি

করম দোষে বারবার সন্তরণ। যমুনা কি একেকটি বিন্দু নদী। কার গাল গড়িয়ে পড়ে বুকপকেটে। বুকপকেটে একটি স্বপ্ন। স্বপ্ন আর ঘুম পরষ্পরের পাহারাদার।

"বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস
দুয়ার চেপে ধরে–
‘অবনী বাড়ি আছো?’"

বৃষ্টিশব্দ বিষাদের নামতাপাঠ। কার ছাতায় ঝুলে ঝুলে টুপটাপ হচ্ছো ধুলির স্নান। গাভীরা মেঘ খায় না। বোকা। আমি খাই। আমি ঘাস খেতে পারি না। ঘাসেরা সূর্যকে দেবতা মানে। শিশির সাজিয়ে পূজো দেয়। আমি সূর্য হবো।
পরাঙ্মুখ। অবনী, মানুষের ভিড় ঘাসদের মতো। অবনী, মানুষ কি পরাঙ্মুখী? তবে কেন কপাটে রাখি করস্পর্শ। দুয়ারে...দুয়ারে....বৃষ্টি লাগিয়ে আনি বর্ষা। টিনের চালে বর্ষা যদি দাদরাতাল।

"দুয়ার চেপে ধরে–
‘অবনী বাড়ি আছো?'"

বুক যেন হৃদপিণ্ডের দুয়ার। শিনায় শিনায় জমে আছে পাপ। অন্যপাপ। অবনী, বুক চেপে ধরে......বাড়িতে কই তুমি?

মারিয়া প্রচুর সিগারেট খায়। ধোঁয়া পান করে। উইডস। গাঞ্জা। সে পাহারাদার নেই এমন ভাঁড়ার। আমি চিনি। আমি মাঝি চিনি, দাঁড় চিনি। আমি নিজেকে জানি না। মারিয়াকে পাহারা দিতে ইচ্ছে হয়, পারি না। ধর্ম আর নৈতিকতা মানুষকে খেয়ে ফেলল। ওহ্, তবে মুক্ত হয়ে কবে স্নান দিব?
আমাকে চিনে সম্পর্কের চুক্তিপত্রগুলো, আমার বিবরণ ধরে আছে আমার রচনা ও সম্পর্ক।
মারিয়া সিগারেটের বন্ধু চায়। একা একা সিগারেট টানতে সুখ নেই। মারিয়া কি অবনীদের বাড়ি চিনে?

অন্ধকার ও ঘাসের গন্ধ পরষ্পর সমান
চন্দনে মৌ জমলে দুর্হৃদ চাচাতো বোন
আজ বিপুল রাতে সবাই জেগে জেগে জঙশন
বালিশের আরশে চৌকস ঘুম ঘরান্তর আহবান

অবনী তোমার বালিশে চন্দনের সুরভী। তোমাদের আদিপুরুষ কি ফরাসী? হবে হয়তো.... মসুরীডালের ক্ষেতের আইল ধরে চলে গেছে রেললাইন....মেঠো ইঁদুরের ট্রেন। ওগো, জঙশনে টিকিট নিয়ে আছি। মাস্টার ইস্টিশিন ছেড়ে চলে গেছে ভূতের গ্রামে।
আমার বাড়ি ফেরা হয় না।

"আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছ?’"

ওগো, লাল পতাকা।
ওলে, সবুজ জামা।
বাঙলাদেশ।
অবনী, বাঙলাদেশ তোমার বাড়ি। অবনী, আমি মরে গিয়ে বাঙলাদেশ হয়ে গেছি।
আমি মরে গিয়ে তোমার বাড়ি আছি।
অবনী, অন্দরমহলের আছো আজ রাতে। বেশ। হৃদয়ের অন্দরমহলের কাঁসার শব্দ নিয়ে আসছে ঘুম।
"সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া"
আজ তবে না ঘুমালে-ও আছো।

রাতে মাছ শিকারে গিয়ে বিক্রি দিয়ে আসি
তিন পাটি ঘুম ও মাকড়সার জাল
আমি ও আমার বিশ্বস্ত শয়তানের পিছে
ঘুরে অবিনাশী ছায়ার রুমাল


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখার কিছুই বুঝতে পারলাম না। তবে বকুল ফুলের গন্ধে আমার মাথা ঘোরে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এটা মুক্তগদ্য।
শক্তির "অবনী বাড়ি আছো" কবিতার পাঠ-ও বলতে পারেন। মাঝে আমার লেখনী ও কবিতা আছে।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ষষ্ঠ পাণ্ডব [অতিথি] এর ছবি

পুরাই মাথার উপ্রে দিয়া গ্যালো।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ঠিকাছে। লাফ দিয়ে দেখতেন ধরা যায় নাকি। খাইছে
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অতিথি লেখক এর ছবি

পানি খাই... হেঁচকি উঠতাসে!!! কী লিখলেন ভাই!?! কিছুইতো বুঝা পারলাম না।

দুয়ারে...দুয়ারে....বৃষ্টি লাগিয়ে আনি বর্ষা। টিনের চালে বর্ষা যদি দাদরাতাল

লাইনটা মনে হয় ঠিকভাবে শেষ হয়নি। তাই না?

---- মনজুর এলাহী ----

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সিগারেট খেলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়। খাইছে আমার মনে হয় ১, ২, ৩ অনুচ্ছেদে ভাগ করে লেখা উচিত ছিল। বুঝতে সহজ হতো। তবে এখন তো সম্পাদনার সুযোগ নেই!
লাইনটা ঠিকই আছে। আগের লাইনটার সাথে অর্থ মিলিয়ে পড়ুন।
মনজুর এলাহী, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বারোজগিরি ভেবে নিয়ে পড়লাম। ভাল।

কিছু বানানে টাইপো আছে। কী এবং কি -র পার্থক্য প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মে দেখে নিতে পারেন।

বাঙালি বা বাঙাল শব্দে ঙ-র ব্যবহার অনেকেই করেন।

কিন্তু বাঙলাদেশ এভাবে লেখা খুব রিডিকুলাস।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

"বারোজগিরি" শব্দের অর্থটা কি জানা যাবে?
প্রমিত বানান রীতি প্রায় বছর চারেক আগে পাঠ করা, ভুলে গেছি। অনলাইনে পেলে পড়ে নেব'খন।
ঙ এর ব্যবহার নিয়ে আমার কিছু ভাবনা আছে। তবে দেখা যাচ্ছে ভাবনাগুলো আপাতত স্থগিত রাখতে হবে; সবাইকে পদে পদে বোঝানোর উৎসাহ নেই।
বাঙলাদেশ অনেকে লিখেছেন, লেখেন ও লিখবেন। যতদূর মনে পড়ে, বাঙলাদেশের সংবিধানে 'বাংলাদেশ' আছে বলে এবং অধিক প্রচলিত বলে বাংলাদেশ' বানানে লেখার সুপারিশ করা হয়।
যারা 'বাঙলাদেশ' লিখেন সবার ধারাকে 'রিডিকুলাস' বলা কিন্তু হাস্যসম্পদ হওয়াই বৈকি।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উদ্ধৃতি

যারা 'বাঙলাদেশ' লিখেন সবার ধারাকে 'রিডিকুলাস' বলা কিন্তু হাস্যসম্পদ হওয়াই বৈকি।

হাস্যসম্পদ মানে কী?

হাস্যস্পদ বলতে চাইলে কিছু বলার নাই। 'বাঙলাদেশ' যারা লেখেন তারা না জেনে লেখেন। অথবা তাদের অন্য উদ্দেশ্য আছে।

প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মে লেখা আছে-

শব্দে অব্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হলে কিংবা পদের মধ্যে বা শেষে স্বরচিহ্ন থাকলে ঙ হবে৷ যেমন: বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের৷ বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ-দু'টি ং দিয়ে লিখতে হবে৷ বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে৷

নিজের খেয়াল মত দেশের বানান লিখবেন-এতে নিজেই হাস্যস্পদ হবেন।

উইলিয়াম বারোজের কথা বলেছি।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হাস্যস্পদ লিখতে চেয়েছিলাম (টাইপোর ভূত বোধহয় ঘাড় থেকে নামবে না!)। 'বাঙলাদেশ' অনেকেই লেখেন- সেজনদের মধ্যে ভাষাবিদ থেকে শুরু করে কবি, সাহিত্যিক অনেকে আছেন। উদাহরণ- হুমায়ুন আজাদ, দেলোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রমুখ। এরা কী জানেন না জানেন সেটা আমরা জানি। কার কী উদ্দেশ্য সেটা-ও জানি। আপনার চাপিয়ে দেয়া 'বাংলাদেশের' উদ্দেশ্য জানি না।
কবিতা বা গল্প লেখার বেলায় আমি অনেক শব্দের পরিবর্তন ঘটাই। অনেকে করেন। যেমন ধরেন- 'নরম'কে নরোম লেখা হয় আরেকটু নরোম তুলতুলে করে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ঘন'কে ঘনো করে। জীবনানন্দ দাশ সর্বপ্রথম 'সাদা'কে শাদা লিখেছিলেন। প্রতিক্রিয়াশীলরা চিরকালই থাকে; থাকবেই। কিন্তু 'শাদা' বানানটাই আজকে অনেকের প্রথম পছন্দ।
কিছু কিছু শব্দের ব্যাপারে সবার 'নিজস্ব বানান' রীতি থাকে। বানান রীতি না বলে অভিরুচি-ও বলা চলে। আমি 'ঙ' ব্যবহার করি। ভাষিক কিছু যুক্তি আছে এবং নিজস্ব ভাললাগা।
হ, নিজের দেশের বানান নিজের মতো লিখতে পারি। দেশের প্রতি সে দাবী আছে। বানানটা তো আজকের না। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। হবেই। মানুষের মনোভাব প্রকাশের জন্য ভাষা; ভাষার জন্য মানুষ নয়। এসব উচ্চমার্গীয় আলোচনা আসতে পারে; কিন্তু 'তর্ক করতে চাইলে তর্ক চালিয়ে নেয়া যায়।
সংবিধানে তো অনেক কিছু আছে। আমি তো সব মানি না; মানে মানতে ইচ্ছে করে না। আমি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। সংবিধান তো আমাকে 'বিসমিল্লাহ্' দিয়ে আইনপাঠ শুরু করতে বলে! সংবিধান বা যে কোন নীতি, আইন গড়ে উঠে নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে। আমার নৈতিকতা নিয়ে সংশয় নেই।
উইলিয়াম বারোজের নাম শুনি নাই আগে। ইঙরেজি সাহিত্যে আমার বিচরণ কুয়োর ব্যাঙের মতো।
==============================
আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম, গল্পগুলো অনুমতি নিয়ে করা নাকি। আপনি আমার প্রশ্নের জবাব দেন নি। সেটা নিয়ে অভিযোগ নেই; তবে একটা পোস্টে সবার মন্তব্যের জবাব দিলে আমারটা-ও দেয়া উচিত। এটা সহজাত শিষ্টাচার।
মঙ্গলে থাকুন।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনি নিজের প্রশ্নের নিজেই উত্তর করেছিলেন দেখে আমি আর মন্তব্য করিনি।

হিমু এর ছবি

আশরাফ ভাই, বাংলাদেশকে বাঙলাদেশ লিখি আমরা ঠিক কী যুক্তিতে? নরম নাহয় নরোম হয়ে তার নরমত্ব আরো জোরদার করলো, বাংলা বাঙলা হয়ে কি তার বাংলাত্ব আরো পরিস্ফূট করে?

আর, আপনাকে আষরাফ লিখলে আপনি বিরক্ত হবেন না হাসি ?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হয়তো বা। আমার কাছে আরেকটু কোমল লাগে। এছাড়া ভাষিক কারণগুলো তো আগেই বলেছি। আপনার মন্তব্যের আগেপিছের মন্তব্যগুলো পড়লে কারণগুলো পাবেন।

ষ আর শ এর উচ্চারণ এক না; তাছাড়া লিপিবিন্যাসে পার্থক্য আছে অনেক। আপনি একা 'আষরাফ' লিখলে সেটা ব্যক্তিগত আক্রমণ হবে; কিন্তু বছরের পর বছর ধরে আরো অনেক যোগ্য ব্যক্তিরা 'আষরাফ' লিখলে সেটা নিয়ে বির্তক হতে পারে বৈকি। নাম নিয়ে আমার শুচিবাই নেই; ভিতরের জিনিসটাই বড় করে দেখি। হাসি
শুভ নববর্ষ।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনলাইনে এটা পাওয়া গেল। এটা বাংলা একাডেমীর প্রমিত রীতি কিনা জানিনা।

তবে দেখা যাচ্ছে ভাবনাগুলো আপাতত স্থগিত রাখতে হবে; সবাইকে পদে পদে বোঝানোর উৎসাহ নেই।
পদে পদে না বুঝিয়ে একটা বিস্তারিত পোস্ট দিয়ে দিতে পারেন। সেখানেই আলোচনা চলুক। বাংলাদেশকে ঙ দিয়ে লেখাটা ঠিক কিনা জানিনা তবে দেখতে অস্বস্তি লাগে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

লিঙকের জন্য ধন্যবাদ প্রপ্রে। হাসি
বিস্তারিত পোস্ট দিলে এখন সুবিধে করতে পারব না; কারণ, আমার হাতে রেফারেন্স নাই। দেশ ছাড়ার আগে আমি কোন বাঙলা বই আনি নি (সেটা নিয়ে অজস্র আফসোস)। এখানে কিছু ইঙ্গিত ছিল। আগ্রহ থাকলে পড়তে পারেন বা এখানে আলোচনার সূচনা হতে পারে।
আপনার অস্বস্তি লাগে! আমি তো সোনায় সোহাগা পাই। কোমল কোমল লাগে বানানটা।

----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঐ পোস্টের কোন এক মন্তব্যে পড়েছিলাম। ততটা বিস্তারিত নেই, তেমন কনভিন্সড হইনি। অনেকেই ব্যতিক্রমি কাজকর্ম করে মজা পায়। আপনি আপনার মত লিখুন।

আপনি কি সামহয়্যারেও লিখতেন? যতটা মনে পড়ে শুরুর দিকে আপনার নামের বানানে র এর ফোটা ছিলনা, ঠিক না? (যদি আপনি সেই একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন)

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বিস্তারিত লিখি নি। কারণ, রেফারেন্স চাইলে আমি দিতে পারতাম না।
বাঙলা ভাষা কিন্তু এখনো স্ট্যান্ডার্ডাইজড হয় নি; মানে আধুনিক ভাষাগুলো যেরকম স্বাতন্ত্র্য হয় (যেমন ধরেন: ইঙরেজি, ফরাসী)। MLA কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করে। বাঙলাটা আসলে ভেজাল। একটা বাক্যকে ভেঙে আপনি অনেকভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। যেমন ধরেন: 'আকাশে সুন্দর চাঁদ উঠেছে' বা 'সুন্দর চাঁদ উঠেছে আকাশে' বা 'আকাশে উঠেছে সুন্দর চাঁদ।' ইংরেজি (এখন থেকে ং এই ব্যবহার করি; ঝামেলা পাকাতে ভালো লাগে না)-তে কিন্তু Suject-verb-objective নিয়ম মানা হয় সাধারণত। তার উপর আছে ব্যকরণের বিভিন্ন জটিল নিয়ম। তো, সহজ, প্রমিত করার কাজ শুরু করেছেন বা কাজ করেছেন অনেকেই। ড মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, হুমায়ুন আজাদ, সুনীতিকুমার প্রমুখ। কিন্তু কেউ শেষ করতে পারে নি; আবার আছে নানা মুতির নানা মত।
বাংলাতে বর্ণ আছে প্রায় ৫০টি; এর মাঝে অনেকগুলো পরাশ্রয়ী (ঙ, ং, ঁ, ৎ)। অর্থ্যাৎ, শব্দের শুরুতে ব্যবহার করা যায় না, অন্য বর্ণের সাহায্য দরকার হয়। এখন কল্পনা করেন শিশুদের কথা। জটিল ব্যকরণ, অনেক বর্ণ, ভাষিক রীতি, উচ্চারণের তারম্যতা (লেখা হয় একরকম- কিন্তু উচ্চারণ ভিন্ন) ইত্যাদি অন্তরায় সৃষ্টি করে শিক্ষার ক্ষেত্রে। এগুলো কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। ভাষিক (linguistic) এসব ব্যাপার সহজ করার জন্য এবং বাংলাকে আধুনিক ভাষাতে রূপান্তরিত করার জন্য (এর মানে এই না যে বাংলা ভাষা আধুনিক না; আধুনিক কিন্তু জিনিসপত্রগুলো সাজানো না- ছড়ানো ছিটানো) প্রমিত রীতির উপর কাজ শুরু করা হয়। হুমায়ুন আজাদের দর্শনের সাথে আমার না মিললে-ও তাকে শ্রদ্ধা করি বাংলা ভাষার উপর অসামান্য কাজ করার জন্য।
১. শহীদুল্লাহ কতকগুলো বর্ণ বাদ দিতে চেয়েছিলেন। যেমন ধরুন: স, শ, ষ এর মাঝে থেকে ষ বাদ, ং, ঁ, ৎ (ত) এগুলো বাদ বা বিকল্প কিছু করা।
২. যেহেতু ৎ এবং ত এর উচ্চারণ একই, ত ব্যবহার করা যায়। ং এবং ঙ এর ক্ষেত্রে-ও একই ব্যাপার।
বাংলা একাদেমীর কিছু আবাল আছে (সত্যি মেজাজ খারাপ হয় এদের কাজ দেখে)। ভাষার উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই, সব চোখ-বন্ধ-করে-টিপসই ধরনের কাজ করে। এই যে বাংলা প্রমিত বানান রীতি করল, এর মাঝে অনেক ভ্রান্তি।
ফরাসী ভাষায় একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন যে তারা নতুন কোন শব্দ ঢুকালে নিজেদের মতো করে নেয়। বাংলায়-ও আমরা করি, কিন্তু ইংরেজি শব্দগুলো অকৃত্রিম রাখা হয়। ফলে অন্যান্য বিদেশী শব্দের মতো এগুলো খাপ খায় না। বাক্যের মাঝে সহজে ভেসে উঠে। মানে অপভ্রংশ ব্যবহার করা হয় না ইংরেজি শব্দগুলোর জন্য; অন্যান্য বিদেশী শব্দগুলো কমবেশি পরিবর্তিত হয়ে যায়।
=======================
ঙ এর ব্যবহার বা আরো কিছু জিনিস আমি মজা করতে ব্যবহার করি না। ভবিষ্যতে বাংলা ভাষার উপর কিছু কাজ করার ইচ্ছে আছে।
=======================
জ্বি, আমি স্যামহয়ারে লিখি। আশরাফ মাহমুদ নিকে। আমার ব্লগে-ও একটা নিক আছে, কিন্তু অস্থির ব্লগে তেমন যাই না। আর লিটল-ম্যাগে মাঝেমাঝে লেখালেখি করি (বৈদেশে থাকলে প্রচুর ঝামেলা)। সামুতে আমাকে স্বাগতম জানিয়েছিলেন আপনি। মনে আছে?
========================
উপরের পয়েন্টগুলো আরো বিশ্লেষণের প্রয়োজন। এগুলো শুধু আপনাকে একটু আবছা ধারণা দেয়ার জন্য বলা।
========================
শুভকামনা, প্রপ্রেদা।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ বিস্তারিত বলার জন্য।

সামহয়্যারের পোস্টটা দেখলাম। আমি ঠিকই ধরেছিলাম। আপনার প্রথম পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম, সে অর্থে স্বাগত জানানো বলা যেতে পারে হাসি

নিয়মিত লিখতে থাকুন, আপনাদের লেখনীর মাধ্যে নতুন নতুন বিষয় জানার সুযোগ হবে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বিনীত।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ জাকি এর ছবি

আপনার মন্তব্যঃ

বাংলা একাদেমীর কিছু আবাল আছে (সত্যি মেজাজ খারাপ হয় এদের কাজ দেখে)। ভাষার উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই, সব চোখ-বন্ধ-করে-টিপসই ধরনের কাজ করে। এই যে বাংলা প্রমিত বানান রীতি করল, এর মাঝে অনেক ভ্রান্তি।

২৭ নভেম্বর ২০০০ তারিখে 'বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' এর মধ্যের কিছু অসঙ্গতি আলোচনার মাধ্যমে সংশোধিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আনিসুজ্জামান, প্রফেসর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জনাব জামিল চৌধুরী এবং জনাব সেলিনা হোসেন।

এঁদের মধ্যে কাকে আপনার আবাল মনে হয়?

আপনার নিজের বানান দেখেন। অন্যকে আবাল বলার আগে নিজের আবালত্ব আগে ঢাকুন।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

যাদের নাম উল্লেখ করলেন তাদের কাউকে আবাল মনে হয় না। তবে যাদের আবাল মনে হয় তাদের নাম উল্লেখ না করি। বিতর্কে যেতে চাই না এখনি। তবে ২০০০ এবং এর পূর্বের উর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তাকেই আবাল মনে করি। এখনো কিছু আছে। এরা গবেষণার টাকা আত্মসাৎ করে, অন্যের লেখা নিজের নামে চালায়।
'একাদেমী' বানানটার কথা বললেন তো? ইংরেজি শব্দগুলোকে আমি সুযোগ পেলেই অপভ্রংশ আকারে লিখি (উপরে একটা মন্তব্যে আগে বলেছি কারণটা)। আমি আবাল হলে যে অন্য আবালকে আবাল বলতে পারব না এটা কেমন কথা? যে যুক্তি দিলেন সেটা হেত্বাভাস।
আমার কাছে কোন অভিধান নেই যে বানান দেখে ঠিক করব, কোন প্রুফ-রিডার নেই। যে যা লেখুক না কেন সবাই শেষ পর্যন্ত প্রুফ-রিডারের কাছে হাত পাতে। চোখ টিপি
এই যে এখনো যে 'প্রমিত রীতি আছে সেটাতে অনেক ভুল। কয়েকটা উদাহরণ দিই:
*‘ন’ 'ণ', ‘জ’ 'ঝ', ‘শ’ 'ষ' 'স', খন্ড ‘ত’. দুই কণ্ঠমূলীয় নাসিক্য ধ্বনি ‘ং' ও 'ঙ’, 'ই' 'ঈ' এবং উ-কার স্বরবর্ণের সংখ্যা নির্ণয় প্রভৃতি বিষয়ের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই। আগের রীতিগুলোকে সংস্কার করে এবং এখান-ওখানে থেকে ধার করে করা।
* প্রমিত রীতি প্রবত্তকরা নিজেরাই রীতির ভিত্তি নির্ণয় করতে পারেন নি (আমার মনে হয়)। উচ্চারণ নাকি বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক ভাষিক রীতি অনুসরণ করা হবে সেটা স্বচ্ছভাবে বলা নেই। সরলীকরণ করতে চাইলে-ও লিপিগত পুনর্বিন্যাসের উপর কারো নজর নেই। সামগ্রিক কোন কাজ হয় নি; ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ হয়েছে। অনেকটা এরকম- আজ পায়ে ব্যথা, তাই পায়ে ঔষুধ লাগানো হলো; কাল আরেক অঙ্গে; কিন্তু পুরো শরীর চেক-আপের কথা কেউ তুলে না।

রীতি তো একটা তৈরী হলো কোন রকমে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। খোদ বাঙলা একাদেমীর পুস্তকে রীতি মানা হয় না, পাঠ্যপুস্তকে মানা হয় না। আইন তৈরী করলে পুলিশ-ও রাখা লাগে (সব মানুষ তো আর সহজাতভাবে নৈতিক না)। একেক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি নিজের মতো করে লিখে। কে কারে মানে!
চলমান ভাষাগতি ও আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। প্রতিদিন না হলে-ও সময়ে সময়ে সমস্যা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সাত-আট বছর পর কয়েকটা রীতি হাতে ধরিয়ে দিলে তো হবে না। হয় না।
=======================
এগুলো তো সাধারণ কয়েকটা উদাহরণ দিলাম। আরো আছে। কিন্তু আমার রেফারেন্স না থাকা, গদি না থাকার কারণে চুপচাপ থাকতে হচ্ছে। একদিন হবে। অনেকে চিন্তা করে। একদিন দেখবেন সবগুলো ফুলিঙ্গ মিলে আগুন হয়ে গেছে।
=======================
'আবাল' ব্যবহারে আপনি আহত হলে আমি দুঃখিত (যদি-ও এসব ছোটখাট গালি মানুষ প্রত্যহ সরকার, নেতাদের দেয়)।
=======================
পোস্ট দিয়েছিলাম কবিতার নিয়ে। মুক্তগদ্য। সেটা দেখি মুক্ততর্কে চলে গেছে। দেঁতো হাসি বাঙালিদের আউটলুকে নজর ভালো হয়। খাইছে
=======================
আপনাকে চেনা চেনা লাগছে। আমি আবার মানুষ চিনতে পারি সহজে। হাসি
=======================
শুভ সন্ধ্যে।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তীরন্দাজ এর ছবি

পড়তে ভালো লাগলো খুব।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

তীরন্দাজদা', শুনে খুশি হলাম। শুভকামনা।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ফারুক হাসান এর ছবি

চিত্রকল্পগুলো চমৎকার লেগেছে। বেশি বেশি লিখবেন হাসি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ফারুক ভাই, অনেকদিন অনিয়মিত ছিলাম। পুরোদমে শুরু করেছি এবার। হাসি
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অবনীবাড়ি আছো?

শক্তির এই কবিতাটা অসম্ভব রকমের দরদ দিয়ে সুর করে গান সচল শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার

০২

শুভদা কবিতাটা গেয়ে আপলোড করেন না

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

তাই নাকি? আমি-ও দাবী জানালাম। হাসি
মাহবুবদা, উপস্থিতির জন্য শুভেচ্ছা।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তুলিরেখা এর ছবি

ভালো লাগলো।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বিনীত।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সবাইকে পোস্ট সম্পর্কিত মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করছি। বানান ভুল ধরতে গিয়ে পোস্ট লেখা বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তুক! চোখ টিপি
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সুস্থ তর্ক-বিতর্ক ভালো লাগছে। অনেক কিছু জানা হচ্ছে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

জানতে জানতে নিজেই অজানা হয়ে যাচ্ছি, প্রপ্রেদা। দেঁতো হাসি তবে 'আবাল' শব্দটা রুক্ষ হয়ে গেছে মনে হয়। আজকে মাথা একটু গরম।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার অনুভূতির জন্য শ্রদ্ধা। অনেক সময় আমরা এরকম বলে ফেলি, কিন্তু কয়জন সেটা স্বীকার করি?

জানাতে জানাতে অজানা হবেন কেন, ইন্টাড়্যাকশন (র দিয়ে লেখা যায়না) বাড়ছে, এটা ভালো তো। আপনার কাছ থেকে আরো লেখা প্রত্যাশা করি।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

লেখা অনেক আছে। তবে সচলে নাকি ব্লগারের একটি পোস্ট প্রথম পাতায় থাকলে অন্যটি দেয়া উচিত নয়, তাই অপেক্ষা করছি।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দুইটা লেখা দেয়া যায়, তবে পাঠকের কথা চিন্তা করে একটু দেরীতে দেয়াই আমি ভাল মনে করি। পরপর একই লেখকের দুটা লেখা অনেক সময় পাঠক পড়েনা। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, সেটা আপনি নিশ্চই বোঝেন। হাসি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

বইখাতা এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার লেখা।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বইখাতাকে কলমের শুভেচ্ছা।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তানবীরা এর ছবি

এই কবিতাটা আমার খুব পছন্দের।
******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমার-ও! পুরো লেখাটা জ্বরের ঘোরে লিখে ফেলেছিলাম।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সচলে একদিন পর একদিন আসি, আর আমার মিথস্ক্রিয়ার নাই ঠিকঠিকানা। পরিচিতদের লেখাই পড়া হয়না আলস্যভরে, আর আপনাকে চেনা হয়নি দেখে বোধহয় পড়িওনি এটা আগে। সব যে বুঝে ফেলেছি তা নয়, কবিতার অ্যান্টেনাটা আমার আবার ভাঙ্গা, তবু ভালো লাগলো, কেমন যেন ঘোরের মধ্যে থাকা যাচ্ছিল পড়তে পড়তে। আর ভালো লাগলো আপনার তর্ক করাটা, বেশ ভালো লাগলো!

সাইফভাইয়ের পোস্টে লিঙ্ক না দিলে এটা পড়াও হতোনা। ধন্যবাদ আপনাকে।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমি সামুর আদি আশরাফ মাহমুদই। চোখ টিপি সবকিছুর জন্য কিছুমিছু ধন্যু জানাচ্ছি, হে দুষ্ট বালিকা। হাসি

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।