নেইমপ্লেটের উপর বড় বড় হরফে লেখা:
ড. ভূতরাজ আঁহমেদাশশ্মান
স্থান: কবর বা শশ্মানের উত্তর কোণ।
এখানে পিচ্চি ভূত, ধামড়া ভূত- সব ভূতরোগের চিকিৎসা করা হয়।
এই নেইমপ্লেইট দেখে কার না আগ্রহ জন্মে! বলেন। আমি-ও দাদীজানের কাছ থেকে দাদার সাদা জোব্বাটা যোগাড় করে একটা ছদ্মবেশ নিয়ে পেললাম। চিকিৎসক ভূতলোক ভদ্র মানুষ। নাকের উপর সর্ষফুলের চশমা আঁটা। বাঁ হাত দিয়ে টেবিলে অনবরত তবলা বাজানোর মতো শব্দ করে চলছেন।
যদি-ও আমার ভূতামি কোন রোগবালাই নেই, তবু-ও ভূতবিদ্যার প্রতি আগ্রহ থাকার কারণে তার আলয়ে যাওয়া। উদ্দেশ্য তার সাথে ভূতরাজ্য ও ভূতের নিয়ে একটু বুদ্ধিজীবিক বাতচিত করব!
বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করা যাক।
৬
ভূতের সাথে অদৃশ্য হওয়ার ব্যাপার জড়িত বৈকি। অদৃশ্য হতে পারার এই আদিম ইচ্ছেটা কি লেখক কৌশলে ভূতের গল্পে প্রকাশ করেন? মানুষের প্রাগহৈতিহাসিক ভয় হলো প্রকৃতি! হ্যাঁ, প্রকৃতির সকলধরনের ভয়কে জয় করে আয়ত্তে আনাই যেন আমাদের জ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য। সে মোতাবেক বলা যেতে পারে, প্রকৃতির অজানা অংশকেই মানুষ হয়ত গল্পের ছলে তুলে ধরে। এবং ক্ষেত্রবিশেষে এই অজানাটুকু জানা হয়ে যায়! বিশ্বাস করলেন না? চলেন গ্রামের বাড়ির পুকুরে ডুব দিয়ে আসি, রাতের বেলা। আলেয়া দেখা যায়। পুকুরে আগুন জ্বলার মতো করে কী যেন জ্বলতে থাকে। এই জন্য গ্রামীণ প্রথা হলো গভীর রাতে মাছ ধোয়া উচিত না বা একা একা পুকুরপাড়ে বসা উচিত না। ওই আলেয়াটুকু মূলত কাঁদায় আটকানো মিথেন গ্যাস, গলিত-পচা গাছপালার অংশ, মাছের আঁশ ইত্যাদিতে বিদ্যমান ফসফরাসের কারণে সৃষ্ট। আমি নিজে একটা গল্প জানি। এই আলেয়াকে বলা হয় জলপরীর ধোঁয়া। মানে, জলপরী যখন গভীর দিঘীতে অদৃশ্য হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় তখন মানুষের চোখে ধোঁকা দেয়ার জন্য এই আলেয়ার সৃষ্টি করে!
৭
ভূতনগরে অনেকে ন্যাংটো থাকে! সবাই ইচ্ছে মতো ভূতবাজি করে। সবচেয়ে মজার ভূতবাজি হলো মানুষকে নাজেহাল করা। যেসব পুরুষের চুল বড় বড় তাদের চুলে মেয়ে উঁকুনভূত বাসা বাঁধে। আর সারাদিন চুলকানোর অবস্থা সৃষ্টি করে। ফলে অস্বস্তি এড়াতে বোকা পুরুষগুলো চুল কেটে ফেলে! হা হা, হি হি। মেয়ে ভূতগুলো ভীষণ হিংসুটে, না হয় একটু খোলামেলা চুল রাখতে চাওয়া!
৮
লিঙ্গভেদে ভূতদের হাসির পার্থক্য আছে! পুরুষ ভূতবৃন্দ হোঁ হোঁ হোঁ করে হাসে, আর নারী ভূতরা হৈঁ হৈঁ হিঁহ হিঁহ করে!
জ্বি, এতদিন ভূল জানতেন। সেকি ঘাড় ফিরাবেন না; মামতো ভূত ঘাড় মড়কে দিবে কিন্তুক!
৯
মামতো ভূতের দুষ্টু ঝোলায় এখনো
ন্যাংটো ভূতের জামাকাপড় লুকানো
দুই ভূতে মিলে মনেচ্ছায় যেমনখুশি সাজি
সারাদিন পাড়ায়-বেপাড়ায় করে ভূতবাজি
পথ ভুলিয়ে কবরখানায় নিয়ে হালুমহলুম ভয় দেখানো
হোক তাদের নামে ভূতরাজের কাছে নালিশ জানানো
ভূতরাজের আবার উদাস মুখে কষ্ট মাখানো
মানুষ লেগেছে ভূতের পিছে চোখ ধাঁধানো
তার চেয়ে চলো আমরা যারা টুশকি-শিশুদল
ভূতের সাথে খেলাধুলায় শান্তি খুঁজি কেবল!
১০
তত্ত্বের আগে তত্ত্বের প্রয়োগ হয়, বা ঘটনার ব্যখ্যা দেয়ার জন্যই তত্ত্ব সৃষ্টি করা হয়। সাধারণত। অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এভাবেই আবিষ্কৃত। যেমন ধরুন- আপেলের আকাশে উড়াল না দিয়ে মাটিতে পড়াকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিউটন মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব আনলেন কিংবা নিউটনীয় বলবিদ্যা ও ম্যাক্সওয়েলের বিদ্যুৎচুম্বকীয় তত্ত্বের মাঝে সম্বন্বয় করতে গিয়েই আইনস্টাইন ফাঁদলেন যে আলোর গতি সর্বদাই সমান- যা আগে কেউ ভাবেন নি। ভূতবিদ্যা বা ভূতের গল্পে-ও একই রকম প্রয়োগ। পরাবাস্তব, কিংবা জাদুবাস্তব যাই বলুন না কেন সব পূর্বে উপস্থিত ছিল। অধিকাংশ সংস্কৃতি বা পরিমণ্ডলে বা পরিবেশে। সোনার কাঠি রূপার কাঠি মিলিয়ে রাজকন্যার ঘুম ভাঙানোকে মেলানো যায় জীবন ও মৃত্যুর মাঝে সূক্ষ্ম ব্যবধানটুকু বোঝার কল্পনার সাথে! মানে হলো, জীবন ও মৃত্যু বিষয়ক মানুষের এই ভাবনা প্রাগৈতিহাসিক। এটাকে কল্পনা ও সাহিত্যের সাথে মিলিয়ে পূর্বপুরুষরা এই রূপ দিয়েছেন। মনে হয়।
এই প্রবাহমান বিষয়গুলোর যৌক্তিক ব্যাখ্যার দেয়ার জন্য বা বিশদাকারে বোঝার জন্য পরাবাস্তব ও জাদুবাস্তব শব্দের ও তত্ত্বের প্রয়োগ হচ্ছে। ভূতের গল্পে বিষয়টা আরো প্রকট। মনোবিজ্ঞানের-ও সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। জাদুটানা বা বাণটেনে (গ্রামাঞ্চলে তাবিজ করে মানুষ বধ করার ধারা এখনো প্রচলিত) বিষয়গুলো কিন্তু দু'টো দিকই উম্মোচন করে। শক্রুর শেষ রাখতে নেই বা শক্রুকে ঘায়েল করা উচিত; একই সাথে নিজের সহগোষ্ঠী বা সহভাবকদের মঙ্গলে রাখার চেষ্টা। মূলত, সেই প্রাচীন সময় থেকে মানুষ দ্বিব্যক্তিত্বের অধিকারী।
১১
ফরিদপুরের কাল্লোস মিয়া একদিন সাংঘাতিক সমস্যায় পড়লেন। তার বাসায় ভূতবাহিনী হানা দিল। রাতে তারা বারান্দার গ্রীল ধরে নাচানাচি করে- গান গায়; ঘুমন্ত লোকজনের পায়ের পাতায় সুড়সুড়ি দেয়! একটা বাচ্চা ভূত আছে; সবাই ডাকে দুধেলভূত। সে চুকচুক করে বিড়ালের লাহান দুধ খায় মিটসিফ খুলে; যদি-ও তার বিড়ালের মতো গোঁফ বা লেজ কোনটাই নেই।
কাল্লোস মিয়া মসজিদে ছুটলেন রবিবারের ছুটিতে। জোব্বা হজুরের কাছ থেকে পানি পড়া এনে ছড়িয়ে দিলেন বাড়ির চার সীমানায়।
না, কাজ হলো না। বরং, সাময়িক ক্যার্ফু জারীতে ভূতবাহিনী আরো অস্থির হয়ে উঠল। তারা কাপড় কাটতে লাগল। বাসিন্দাদের চুল ছিঁড়তে লাগল ঘুমের মাঝে। নিশু, কাল্লোস মিয়ার ছোট মেয়ে, একটা ছোট পুতুল পেয়েছিল গত ঈদে। নাগাভূত তার বাচ্চার জন্য সেটা চুরি করে নিয়ে গেল!
নিশু কাঁদছে তো কাঁদছেই।
কাল্লোল মিয়ার কিঞ্চিৎ সন্দেহ হলো যে জোব্বা হজুর পানিপড়া দেয়ার আগে অজু করেছিল কিনা! কাজ তো করে না!
পরেরদিন বিকালে অফিস থেকে এসে কড়া একটা ঘুম দিলেন। সন্ধ্যের দিকে পুরাতন বইপত্তুর ঘেটে ভূত তাড়ানোর কৌশল শিখে ফেললেন। কাঠকয়লা আর তুষ দিয়ে ধুপ বানিয়ে রাখতে হবে।
কিন্তু ভগবানবাম! দূষিত বাতাসে সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ল।
সেদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজে পরখ করলেন। যে গলিপথ দিয়ে আগে অফিসে যেতেন সেটা দিয়ে আর যান না; অফিস শেষে ঠিক ঠিক বাড়ি ফিরেন, বাসে হট্টগোল করেন না! মোড়ের কাছে পাড়াতো ছেলেমেয়েদের বকা দেন না।
দেখা গেলো, অতি আশ্চর্য; বাসায় ভূতের উপদ্রব শূন্যপ্রায়।
১২
রহস্যগল্প ভূতের গল্পের বর্ধিত, পরিশীলিত রূপ বলা চলে। ভূতের গল্পকে নিম্নবিত্ত গল্প ধরা হলে রহস্যগল্পকে মধ্যবিত্ত গল্প বলা চলে। মানুষ রহস্য ভালবাসে না, প্রকৃতি ভালবাসে।
মূলত প্রকৃতির গঠনই মানুষের কাছে রহস্য। তেমনি ভূতের গল্পের অসংযমতায় এর আকর্ষণ।
আবেগ নৈতিকতা বা যুক্তির ভিত্তি না হলে-ও, ভূতের গল্পে আবেগের খেলা অধিনায়কের মতোই বড়ো। শিল্প হলো মানুষের আবেগ বা অনুভূতি নিয়ে খেলা করা। কেউ সুশৃঙ্খলভাবে করেন, কেউ ইচ্ছেমতন।
১৩
পূর্বে বাঙালির সাহিত্যপ্রেম ছিল ভাতের সাথে সম্পর্কযুক্ত! এখনো। বাঙালি ভাতঘুমের আগে বই পড়ত- বই মানে গল্পের বই। ভূতরা যখন হানা দিল গল্পে তখন বাঙালি সবজায়গায় ভূত দেখতে শুরু করল। ইস্কুলে, পাঠশালায়, অফিসে, বাসের কোণায়, পুকুরধারে, রাস্তার পাশে- সর্বত্র। বাঙালির এই ভূতপ্রীতির কারণে যৌক্তিক মানুষ হতে সময় লাগে বেশি। কিন্তু আশা কথা হলো ভূতের গল্পের বদৌলতে বাঙালি বেশ কল্পনাপ্রবণ। এক চামচ বেশি বুঝে!
১৪
সবচেয়ে বড় ভূত হলো ঈশ্বর! কিংবা জটিল রূপকথা। আর ভূতের গল্প যেমন লোকমুখে ডালপালা গজায় তেমনি ঈশ্বরের সম্বন্ধীয় চিন্তাগুলো সময়ের সাথে সাথে সাম্রাজ্যবিস্তার করে। মাঝে মাঝে ঠেঁক না দিলে বিপদের আশংকা থাকে।
১৫
ইলাস্টিক টানলে বড় হয়, তারপর ঘচাং করে ছিঁড়ে যায়। ভূতের গল্প টানলে মেদবহুল হয়, তারপর আস্তাকুঁড়ের মালে পরিণত হয়।
সে বিচারে ভূতবাজি এখানে সমাপ্ত করা হলো!
মন্তব্য
সিরিজটা এখানে শেষ করলে মনে হয় ঠিক হবে না, অন্ততঃ নিচের কারণগুলির জন্যঃ
১. বিশ্বসাহিত্য না হোক, মূলধারা বাংলা সাহিত্যে ভুতের উপস্থিতি বা ভুতের গল্প নিয়ে একটা রিভিউ থাকা দরকার।
২. ভুতের রাজনৈতিক ব্যবহার, বিশেষতঃ গ্রাম্য রাজনীতিতে এর সফল ব্যবহার নিয়ে কথা থাকা দরকার।
৩. ভুত তাড়ানো বা ভুতগ্রস্থদের জন্য প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা নিয়ে কথা থাকা দরকার।
৪. এই পোস্টের চৌদ্দ নাম্বারে যেটা বললেন সেটা সবচে' গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। এটি নিয়ে বিস্তারিত না লেখা হচ্ছে পাঠককে ঠকানো।
আপাততঃ চারটা পয়েন্ট মনে পড়ল। পরে আরো মনে পড়লে বলব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই তো মুশকিলে ফেলে দিলেন! এটাকে বলে অনুরোধে ঢেঁকি গেলা। লিখতে পারি।
১। (ইংরেজি পিরিয়ড দেয় কীভাবে?) ভূতের গল্প পড়া বা লেখা বেশি হয় নি। তাই জানি না। কয়েকটা নাম উল্লেখ করলে স্মৃতিভান্ডারে দেখতে পারি কিছু আছে কিনা। লিংক থাকলে দিয়েন, চায়ের সাথে টা-ও হবে।
২. গ্রাম্য রাজনীতিতে এর ব্যবহার অনেক। রূপকথার প্রভাব অনেক বেশি (আমি রূপকথার অংশ হিসেবে ভূতের গল্পের উপর জোর দিচ্ছি); স্পেসিফিক্যালি।
৩. বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা তো জানা। রোগের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা হয়। মনত্বাত্তিক বিশ্লেষণ, বংশগতির উপাত্ত বিশ্লেষণ ইত্যাদি-ও করা হয়।
৪. এটা লিখলে ঈশ্বরভূত ক্ষেপে যেতে পারে! কিংবা ধর্মভূত!
পাণ্ডবদা', এরকম ঘনিষ্টভাবে কেউ লেখা পাঠ করলে ভালো লাগে। আপনার মন্তব্য শুধু উৎসাহই দিচ্ছে না, বরং চিন্তার খোরাক যোগাচ্ছে। কৃতজ্ঞতা রইল।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
উরে, আমাকে দেখি পুরো 'সচল' করে দিয়েছে! ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
অভিনন্দন! আমি মনে হয় ফার্স্ট হইলাম!!
ভুত নিয়া আলোচনা করতে চান? তাইলে আড্ডায় আসেন। চা-টা আমার অ্যাকাউন্টে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একটা পোস্ট লেখার ইচ্ছে আছে। আড্ডা পোস্ট কোথায়? যদি-ও ঘুম পাচ্ছে তবু-ও একটু বাতচিত করতে অসুবিধে নেই।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
- পাণ্ডব'দা, আমিও শুনবো ভূতের গল্পো, আমিও।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অভিনন্দন!...
লেখায় ব্যাপক মজা পাচ্ছি! ছোটবেলার ভূতগুলা আমার বেশি প্রিয়!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কয়েকটা ভূতের গল্পের নাম বলেন। কাজে লাগবে।
পাঠ করার জন্য ভূতেল ধন্যবাদ!
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ভূত ভূতং ভৌতো...
মজা লাগলো!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হা হা।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
থাইমেন না... আরও আসুক ভুতবাজী!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চেষ্টা করতে পারি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
সেটাই- চলুক না। ভালোই তো লাগতেছিলো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
উৎসাহ পেলাম।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আরে বা:! এইটা বেশ ভাল তো৷ দুই পর্ব একসাথেই পড়লাম৷ আপনি দেখি আরেক "যমদত্ত'৷ বেশ বেশ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
খুশি হলাম। 'যমদত্ত' বুঝি নি! কী জিনিস?
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আপ্নেরে মিয়া ঘাড় মটকাইতেই হইব। আমাগো ল্পইয়া উলটা কপ্তা কন... গ্ররররররররররর।
অনেক আগে জ্বীন নিয়া আমার একটা হাইপোথিসিস ছিলো, নাম 'কোরান ও বিজ্ঞানের আলোকে জ্বীন' ভাবতাসি লেখাটা দিতেই হইব।
---নীল ভূত।
হা হা প গে! ভূত তো আগেই ভয়ে নীল হয়ে আছে, আমার ঘাড় মটকানো তো দূরের কথা!
পোস্টান। না হলে আইডিয়া চুরি হইতে পারে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ভূত নেই জানি এবং মানি আর ইউরোপে ভূততো থাকার প্রশ্নই আসে না এই চরম সত্য জানা সত্বেও একা একা অন্ধকারে কোথাও হাটলে কেনো একটা ভূতো ভূতো ভয় করে????
ভূত আরো টানা যেতে পারে। সুলেখকের হাতে ভূত টানাও মানিয়ে যায়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
টানাটানি চলুক। শুধু 'নীল ভূত' আর 'পিচ্চি ভূত' আমাকে নিয়ে না টানুক।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
নতুন মন্তব্য করুন