তার-ও আছে শরৎচিঠি ফড়িংরঙ খুব
রাতের অনুষদে
নক্ষত্রের ভবঘুরে আলো হয়ে ওঠে অতি-বেগুনি
গেলো বছরের দিনপঞ্জিকার চিত্রে
ডুবুরির জলমগ্নতা
প্রবাললিপি ও মারমেইড ছবি
সেখানে একটি বালকের স্বপ্নদোষের স্মৃতি লেপ্টে রয়
গোপনীয়তাপ্রিয় স্কেচখাতার পাতায় পাতায়
বসন্তস্মারক অক্ষরে
আছে মুঠোর ভেতরে বিকেলের অপেক্ষালগ্নে
চূর্ণ করা হাওয়া
ঘেমো রুমালে আঁকুপাঁকু পাঠবিমুখতা
কোন প্ররোচনায় ভেজানো দরজা
দূরগামী বাসের চঞ্চলতা নিয়ে দুলে ওঠে
দুটো চৌকস চোখ হঠিয়ে দেয় সুপেয় অন্ধকার
নিরুপমাদের-ও আছে স্থাণুর অবসাদ
নিঃসঙ্গতার হারপুন গেঁথে যাবে একদিন
শিকড়-কোমল-বুক
নিরুপমারা-ও ছুঁতে চাইবে
কারো টলটলে চোখ
দ্বিতীয় আকাশে ডানা মেলা বিরহী ঘুড়ির সন্তাপ
মন্তব্য
বাহ, স্বপ্নে ছুঁয়ে যাওয়া পাখির পালক যেন! 'নিঃসঙ্গতার হারপুন'-এই রুপকটির ব্যবহার মন কেড়েছে। কবিতাটির সব সব সবটুকুই সুন্দর, বিষণ্ণ কোমল, নিখুঁত লক্ষ্যভেদী!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ, রোমেল ভাই। অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
দ্বিতীয় আকাশে ডানা মেলা বিরহী (ঘড়ির) ... সন্তাপে ...
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
উপস, ঘুড়ি হবে। পাঠে শুভেচ্ছা জানবেন।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আরেকটা প্রিয় কবিতার কথা মনে পড়ে গেলো...
''চিকন কঞ্চির মতো ছিপছিপে রোদের ভিতরে আসি..
কে আমাকে নুইয়ে দেয় মা? আমার ভীষণ ভয় লাগে।
নাসারন্ধে নিমের ফুলের ঘ্রাণ..
কোথায় লুকাবো মা? ভয় লাগে, আমার ভীষণ ভয় লাগে!''
#বয়ঃসন্ধি: আবুল হাসান
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আজ দুপুরে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে অদ্বৈত মল্ল বর্ম্মনের “তিতাস একটি নদীর নাম” পড়ছি, তখন ড্রেসিং টেবিলের সামনে শাড়ি পড়ে আমার কিশোরী মেয়ে রোদেলা একমনে কিছুটা সাজছিল আর বেশিটা দেখছিল নিজেকে। আর তখনই মনে পড়ে গেল এই কবিতাটি,
অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত শোভা, অত স্বাধীনতা!
চেয়েছিল আরো কিছু কম,
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে
বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিল
মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!
অতটা চায়নি বালিকা!
অত হৈ রৈ লোক, অত ভিড়, অত সমাগম!
চেয়েছিল আরো কিছু কম!
একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিল
একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!
(আবুল হাসান, "নিঃসঙ্গতা")
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এই কবিতাটি দারুণ লাগে, তবে একটু পুরুষালি-ও মনে হয়।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আরে, গরিবের পোস্টে...
"চিকন কঞ্চির মতো ছিপছিপে রোদের ভিতরে আসি" - আহা, পুরোটা শেয়ার করো।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
স্বয়ং কবি হয়ে আহাকে এত কম জানাটা ঘোর অন্যায়।
মোর চউখে 'বেতা', আস্তেধীরে টাইপ করবোনে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এবার বইমেলায় আবুল হাসান সমগ্র কিনেছি, এখনো হাতে পৌঁছায় নি। তবে যা পড়েছি- কেবলি মুগ্ধতা।
আমার চশমা ধার নেও, তবুও টাইপ করো।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
''চিকন কঞ্চির মতো ছিপছিপে রোদের ভিতরে আসি..
কে আমাকে নুইয়ে দেয় মা? আমার ভীষণ ভয় লাগে!
পানাপুকুরের পাশে জলের আয়না আছে, মুখ ধুই..
আমি কাকে নুইয়ে দিই মা? আমার ভীষণ ভয় লাগে!
নাসারন্ধে নিমের ফুলের ঘ্রাণ.. খয়েরী দুপুরে আমি আলোর আঁধারে কেন ভেসে যাই মা?
আমার ভীষণ ভয় লাগে।
আমার সুন্দর হতে ভালোই লাগে না, আমি ভয় পাই।
আমার শরীরে এই অসহবিসহ আলো, বিচ্ছুরণ তেলেসমাতির খেল..
আমার শরীরে এই সোনালি ত্বকের ছটা, বুক জোড়া উঁচু শিহরণ!
কোথায় লুকাবো মা?
ভয় লাগে, আমার ভীষণ ভয় লাগে!''
#বয়ঃসন্ধি: আবুল হাসান
মুগ্ধতা জাগাতে আহার কোন বিকল্প এখনো খুঁজে পাইনি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
তিন লাইনের স্ট্রাকচারটা কি spontaneous নাকি এই কবিতায় সেটা necessary ছিলো? চারটা নতুন সমাসবদ্ধ পদ পাওয়া গেলো - চমৎকার। একেবারে শেষ পংক্তিটা একটু বোধের অগম্য রয়ে গেলো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাবছি। আমি যেহেতু একেক প্যারায় বয়ঃসন্ধির একেক "অংশের" কথা বলেছি, তাই প্যারা করেছি।
শেষে ঘুড়ি হবে, টাইপো ছিলো, খেয়ালই করি নি।
আপনার পাঠ আমাকে মুগ্ধ করছে। প্রীতি।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
দারুন লাগলো
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
শুধু একটা শব্দই বলবে অসাধারণ লাগল! খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে!!
ধন্যবাদ, মৃত্যুময়। আপনার কবিতা-ও পড়তে আগ্রহী।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
শুভ কামনা জানবেন ভাইয়া। সাধারণত আমি কোট করে মন্তব্য করতে অভ্যস্ত, কিন্তু প্রতিটি স্তবক ভালো লাগায় আর করতে পারি নি!
আমার দুটো কবিতার লিংক দিয়েই দিলাম, কিন্তু খুবই সাধারণ মানের বিধায় লজ্জিত! মন্তব্যের পরিবর্তে সমালোচনা করলে খুব প্রীত হব(যদি সময় পান)।
রৌদ্রদহন, সুরম্য।
লিখে যান পরিকল্পনা স্থির করে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, পরিকল্পনা সুস্থির করে!!
চমৎকৃত হলাম!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
নতুন মন্তব্য করুন