সঞ্জীব চট্টোপধ্যায়ের রাজনীতি নিয়ে একটা রম্য রচনা লিখেছিলেন। পরে সেটা একটু কাটছাট করে আসাদ্দুজামান নুর আবৃত্তি করেন। 'জিন্দাবাদ' নামের ওই আবৃত্তিটার কিছু লাইন এরকম:
".....তাহলে আমরা কিছু্ই পাবনা?
কেন পাবেননা? সবচেয়ে বড় জিনিস পাবেন, মজা, খেল খিলারিকা। আপনারা দর্শক, একবার ওদের বসাও, পাচ বছরে
আশা ভঙ্গ, আবার আমাদের বসাও, আবার ওদের, আবার আমাদের।"
এতদিন পর হঠাৎ স্মৃতি থেকে ওই রম্য রচনাটির কথা বের করার কারণ হলো আজকের দেশের মন্ত্রীসভার এক খবর।
বিডিনিউজে খবরটা এসেছে এই টাইটেলে "ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে না" আর আলু পত্রিকায় "সংবিধান পুনর্মুদ্রণের পর ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে"
আলু প্রত্রিকা অবশ্য একটু মলম লাগিয়ে দিয়েছে যে 'জামায়াতে ইসলামীকে এ আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে না" বলে আর বিডিনিউজে বলছে যে রাষ্ট্রধর্ম বলবৎ থাকবে এবং সেই সাথে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ বাদ যাবে না। (তবে তাদের সুত্র নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক
কোন মন্ত্রী)
প্রধানমন্ত্রী কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন বা এতে তার বা তার দলের লাভ ক্ষতি কতটুকু এটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতেই পারে তবে সেই আলোচনা পাশ কাটিয়ে একটি প্রশ্ন মাথায় কিলবিল করছে তা হলো ৭২ এর সংবিধানের অন্যতম মূলসম্ভ ধর্মনিরপেক্ষতা সেটি বাদ দিয়ে কিভাবে তিনি আমাদের সেই সংবিধানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন?
সঞ্জীবের ওই রম্য রচনার দর্শকের মত আমাদের প্রাপ্তি শুধুই মজা!
|
মন্তব্য
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মকে উপেক্ষা করার শক্তি,মানসিকতা এবং নিজেদের করা প্রতিজ্ঞা পালন করার সৎসাহস কারো নেই।আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ ব্যাপারে সরকার সম্পূর্ণ ধর্ম নিরপেক্ষ একটি সংবিধানে ফিরে গেলে কিছুই হবে না। অল্প কিছু মোল্লারা চেঁচামেচি করবে। কিন্তু সরকার শক্ত অবস্থানে থাকলে তা অন্ধকারে পালিয়ে যেতে থাকা বিড়ালের মিউ মিউ শব্দের মত অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
এখনো সময় আছে।
সরকারপ্রধানের স্পষ্ট বক্তব্যের পর সেকুলার বাংলাদেশের আশা করা সোনার হরিণের মতোই।
আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
love the life you live. live the life you love.
সঞ্জীব যেটা জানতেন না সেটা হলো আসাদুজ্জামান নূরও এটা পাঠ করবেন সভা-সমিতিতে। পাঠ করবেন দর্শক-শ্রোতার জন্য।
তারপর তিনি নিজেও একপক্ষ হবেন।
পাঁচ বছর বসবেন। পাঁচ বছর ভগ্ন আশা নিয়ে সভা-সমিতিতে ঢুঁ মারবেন। মেয়াদ ফুরালে আবার বসবেন।
আমি আসলে জানি না...
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য অরাজনৈতিক সংগঠনরা কতটা দাবী-দাওয়া জানাচ্ছে।
গণতন্ত্রে গলার জোরের একটা ব্যাপার আছে। দাবীর পক্ষে গলা না তুললে বিরোধীপক্ষের দিকে হাওয়া বইতেই পারে।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্ট তুলে ধরেছেন। আমার মনে হয় অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো তাদের মত কাজ করুক, আর আমরা যার সরাসরি কোনো সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত নই বা তার সুযোগ নেই, তারা কমপক্ষে নেটে এই বিষষটা নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারি।
বিগত কিছু ঘটনা যেমন মোস্তাফা জব্বার এর ফালতু প্রোপাগাণ্ডা বন্ধ বা মুসার প্রমাণ উপস্থাপনায় বাধ্য হওয়া দেখে আমার মনে হয় নেটে আওয়াজ তুললে এখন তা বেশ দূরেও পৌছায়।
আপানার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
love the life you live. live the life you love.
৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে গিয়ে যদি আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার পথটি মসৃন না থাকে (?), সম্ভবত এই ভয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান থেকে বিস্মিল্লাহ আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কথাটি বাদ দিতে চাচ্ছেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়তঃ ভুলে গেছেন, ৩৪% নতুন ভোটারদের কাছে দেওয়া, তার অঙ্গীকারের কথা.......
যে কারণেই তিনি ধর্মনিরপেক্ষতায় ফিরে যেতে চাইছেন না কেন, তার ফলাফল ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অশুভ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
love the life you live. live the life you love.
বাংলাদেশের রাজনীতির জানা গল্প। কী আর বলব!
-মাইনুল এইচ সিরাজী(অতিথি)
তবুও আশাবাদী হই!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
love the life you live. live the life you love.
কয়দিন আগে হাইকোর্টের রায় দেখে বেশ খুশি ছিলাম, যাক প্রতিকী হলেও বাংলাদেশ এখন সেক্যুলার। প্রধানমন্ত্রী কোন ধোঁয়াশা রাখতে চাননি, তাই একটু ঝেড়ে কাশলেন আর কি!
সজল
প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা দু:খজনক। শেষ আশার প্রদীপটি তিনি নিভিয়ে দিলেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
love the life you live. live the life you love.
নতুন মন্তব্য করুন