কিভাবে একটি মহাবিশ্ব তৈরি করবেন (শেষাংশ)

তারাপ কোয়াস এর ছবি
লিখেছেন তারাপ কোয়াস [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৬/১২/২০১১ - ৭:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সবথেকে বিস্ময়কর হচ্ছে যে শেষ পর্যন্ত সবকিছু কতটা ঠিকঠাক ভাবে ঘটেছে আমাদের জন্য। ধরুন মহাবিশ্ব যখন গঠিত হচ্ছিলো তখন যদি সামান্য একটু অন্যভাবে ঘটতো যেমন অভিকর্ষ যদি ভগ্নাংশ পরিমাণ শক্তিশালী বা দুর্বল হতো, যদি মহাবিশ্বের প্রসারণ সামান্য একটু দ্রুত বা ধীরগতিতে ঘটতো তাহলে হয়তো আপনাকে আমাকে বা আমরা যার উপর দাড়িয়ে আছি তা তৈরির জন্য যে স্থায়ী উপাদান(স্টেবল এলিমেণ্টস) দরকার তাই থাকতো না। অভিকর্ষ যদি কানাকড়ি পরিমাণও শক্তিশালী হতো তাহলে আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হয়তো চুপসে যেত অনেকটা ভুল ভাবে টাঙ্গানো তাঁবুর মত, নির্ভুল মানের অভাবে যার সঠিক মাত্রা,ঘনত্ব আর গঠনের উপাদানগুলি হতো না। যদি সামান্য দুর্বল হতো, তবে কোনকিছুই সংযুক্ত হতো না, তখন আজীবনের জন্য মহাবিশ্ব হতো নিষ্প্রভ, ইতস্তত ছড়ানো শূন্যতা।


এ কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে হয়তো আরও অনেকগুলি বিগ ব্যাং ঘটেছিলো, হয়তোবা ট্রিলিয়ন, ট্রিলিয়ন সংখ্যক, যা ছড়িয়ে আছে অসীম ব্যাপ্তিতে আর সেকারণেই আমাদের অস্তিত্ব রয়েছে এমনই এক বিশেষ মহাবিশ্বে কারণ এই মহাবিশ্বেই আমাদের অস্তিত্ব সম্ভবপর বলে। যেমনটা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এডওয়ার্ড পি. ট্রায়ন বলেছিলেন: " কেন তা ঘটেছিলো তার উত্তরে আমার বিনীত প্রস্তাবনা যে আমাদের মহাবিশ্ব আসলে সেই অতি সাধারণ ঘটনার মতই যা সব সময়ই ঘটে চলছে। গাথ এর সাথে যোগ করেন: "যদিও এমনটা হতে পারে যে একটি মহাবিশ্ব উদ্ভবের সম্ভাবনা খুবই ক্ষুদ্র, ট্রায়ন গুরুত্ব আরোপ করেছেন যে কেউই ব্যর্থ প্রচেষ্টাগুলি গুণে দেখেনি।"

ব্রিটেনের রয়াল এ্যাস্ট্রোনমার মার্টিন রিস মনে করেন যে আসলে অনেকগুলা মহাবিশ্ব আছে । সম্ভবত অসীম সংখ্যক। প্রত্যেকটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের, ভিন্ন সমাহারের(কম্বিনেশনস্) আর আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বসবাস করছি যেটায় সবকিছুর এমন সমন্বয় ঘটেছে যা আমাদের অস্তিত্বকে সমর্থন করে। তিনি এটাকে একটা বড় কাপড়ের দোকানের উপমার সাহায্যে এভাবে বর্ণনা করেন যে "আপনি খুব একটা অবাক হবেন না, যদি সুবৃহৎ কোন কাপড়ের দোকানে যেয়ে আপনার মাপে কোন পোশাক খুঁজে পান", যদি অনেকগুলি মহাবিশ্ব থাকে, প্রত্যেকটা ভিন্ন সেটের সংখ্যা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, সেখানে এমন এক মহাবিশ্ব থাকবে যেটার সুনির্দিষ্ট সংখ্যাগুলা জীবনের জন্য উপযোগী। আমরা সেই একটার মধ্যেই বসবাস করছি।"

রিস দাবি করেন যে ছয়টি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এই সংখ্যাগুলির মান যদি সামান্য একটুও পরিবর্তন ঘটতো তাহলে আজকের মত সবকিছু হতো না। যেমন বর্তমানে মহাবিশ্ব যে রকম অবস্থায় আছে সেরকম হওয়ার জন্য হাইড্রোজেনকে নিখুঁত এবং ধীর স্থির ভাবে হিলিয়ামে রূপান্তরিত হতে হবে, এমনভাবে হতে হবে যেন এর এক হাজার ভাগের ৭ ভাগ ভর, শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই মানটা এরচেয়ে সামান্য একটু হ্রাস করুন: ০.০০৭ শতাংশ থেকে ০.০০৬ শতাংশে, তাহলে কোন রূপান্তর ঘটতে পারতো না, ফলাফল মহাবিশ্বে শুধু হাইড্রোজেনই থাকতো, অন্যকিছু না। আবার এই মানটাই সামান্য একটু বাড়ান- আসল মান থেকে .০০৮ শতাংশে, এত বেশী পরিমাণে বন্ধন ঘটতো যে হাইড্রোজেন অনেক আগেই ফুরিয়ে যেত। যে কোন ক্ষেত্রেই, সংখ্যাগুলার সামান্যতম পরিবর্তনে এ মহাবিশ্বকে আমরা যেভাবে জানি এবং তার জন্য যা দরকার, তা এখানে থাকতো না।

আমার বলা উচিত যে এখনো পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় দেখা যেতে পারে যে অভিকর্ষ একটু বেশীই শক্তিশালী আর একদিন তা মহাবিশ্বের প্রসারণকে থামিয়ে দিয়ে তাকে আবার নিজের উপরই চুপসে দিতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রবল চাপে তা আরেকটি অদ্বৈত বিন্দুতে(সিংগুলারিটি) পরিণত হয়। সম্ভবত পুরো ব্যাপারটি আবার গোড়া থেকে ঘটবে। আবার এমন হতে পারে যে অভিকর্ষ খুবই দুর্বল এবং মহাবিশ্ব আজীবন দূরে ধাবিত হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্ত কিছু এত দূরে অবস্থান করবে যে তাদের মধ্যে কোন ধরনের মিথষ্ক্রিয়া সম্ভব না , আর সেজন্য বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হয়ে পড়বে নিশ্চল আর মৃত কিন্তু বেশ প্রশস্ত এক স্থান।* তৃতীয় যে বিকল্প আছে তা হল যে অভিকর্ষ একদম মাপমতো, যাকে কসমোলজির ভাষায় বলে 'ক্রিটিকাল ডেনসিটি', আর সেটা মহাবিশ্বকে ধরে রাখবে একদম সঠিক মাত্রায় যেন সবকিছু অনির্দিষ্ট কাল ধরে ঘটে যেতে পারে। কসমোলজিস্টরা কখনো এটাকে হালকা চালে গোল্ডিলক প্রভাব বলে ডাকেন- যেখানটায় সবকিছু একদম ঠিকঠাক মত( উল্লেখ্য যে, সম্ভাব্য তিনটি মহাবিশ্ব যথাক্রমে বদ্ধ, খোলা আর সমতলীয়(ফ্ল্যাট) হিসাবে পরিচিত)

যে প্রশ্নটি মাঝেমধ্যেই আমাদের সবার মনে উকি দিয়ে যাচ্ছে তা হল : কি ঘটবে যদি আপনি মহাবিশ্বের শেষসীমা ছাড়িয়ে চলে যেতে যান আর ব্যাপারটা কি অনেকটা পর্দার মাঝ দিয়ে মাথা গলিয়ে দেবার মতই ঘটবে? যদি মহাবিশ্বে আপনার অবস্থান না থেকে থাকে তাহলে কোথায় তার অবস্থান হবে? প্রান্তসীমা ছাড়িয়ে গেলে আপনি কি খুঁজে পেতে পারেন? এর হতাশাজনক উত্তরটি হচ্ছে যে আপনি কখনোই মহাবিশ্বের প্রান্ত সীমায় পৌঁছুতে পারবেন না। তার কারণ এই নয় যে সেখানে যেতে দীর্ঘ সময় লাগবে (যদিও আসলে দীর্ঘ সময়ই লাগবে)। কারণ যদিও আপনি যুদ্ধংদেহী মনোভাবে, একদম সরলরেখায়, অনির্দিষ্ট কাল ধরে চলতে থাকেন, তারপরও আপনি কখনোই মহাবিশ্বের প্রান্তসীমা ছাড়িয়ে বাইরে আসতে পারবেন না। যা ঘটবে তা হল যেখান থেকে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছিলো, সেখানেই ফিরে আসবেন (অনুমান করা যায় সে সময় আপনি দীর্ঘ পরিশ্রমের কারণে ভগ্ন হৃদয়গ্রস্থ হয়ে এ থেকে অব্যাহতি দেবেন) । এর কারণ হল মহাবিশ্ব এমন ভাবে বেঁকে যায় যা আমাদের ধরানার বাইরে আর এই বক্রতার ব্যাপারটা আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতার তত্ত্ব দ্বারা সমর্থিত যার কথা আমরা যথাসময়ে আলোচনা করবো, এখনকার জন্য কেবল এতটুকু মনে রাখলেই যথেষ্ট হবে যে আমরা কোন অন্তহীন, বৃহৎ প্রসারণশীল কোন বুদ্বুদ ভেসে চলছিল না বরং স্থান এমন ভাবে বাকিয়ে যায় যে তা হয়ে সীমানা হীন কিন্তু সসীম। এমনকি স্থান প্রসারিত হচ্ছে কথাটা যথাযথ না কারণ যেমনটা নোবেল লরিয়েট স্টিভেন ওয়াইনবার্গ বলছেন, " সৌরজগত আর ছায়াপথ সমূহ সম্প্রসারিত হচ্ছে না, আর আর স্থান নিজে সম্প্রসারিত হচ্ছে না।" বিপরীতে, ছায়াপথ সমূহ নিজেদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। পুরো ব্যাপারটা আমাদের অন্তঃ জ্ঞানের(ইনটিউইশন) জন্য এক চ্যালেঞ্জ। যেমনটা জীববিজ্ঞানী জে.বি.এস. হালডেন এর বিখ্যাত পর্যবেক্ষণ:" মহাবিশ্ব আমাদের ধারণায় শুধু উদ্ভটই না, আমরা যতটুক ধারণা করতে পারি তার চেয়েও উদ্ভট।

মহাবিশ্বের বক্রতা বোঝাতে প্রায়শ যে উপমাটি ব্যবহৃত হয় সেটা হচ্ছে, আপনি কল্পনা করার চেষ্টা করুন এমন একজনের কথা যে সমতল বিশ্বের বাসিন্দা, কোনদিন গোলক জাতীয় কিছু দেখিনি; তাকে পৃথিবীতে আনা হল। এখন তিনি যতদূরই ঘোরাঘুরি করুক না কেন পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশে, কখনোই এর প্রান্ত খুঁজে পাবেন না। তিনি হয়তো অবশেষে যেখানটায় তার ভ্রমণ শুরু করেছিলেন ঠিক সেখানটাই ফিরে আসবেন আর অতি অবশ্যই কিভাবে তা ঘটলো তা ব্যাখ্যা করতে যেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়বেন। ঠিক এরকমই, স্থানে আমাদেরও একই অবস্থা, সেই সমতল বিশ্বের বিভ্রান্ত বাসিন্দার মতই শুধু আমাদের বিভ্রান্তিটা আরও এক উঁচু মাত্রা থেকে ।

ঠিক এমন কোন জায়গা নেই যেখানটায় আপনি মহাবিশ্বের প্রান্ত খুঁজে পাবেন, তেমনই এমন কোন জায়গা নেই যেখানে দাড়িয়ে আপনি বলতে পারবেন,"এইখানটাতেই সবকিছুর শুরু হয়েছিল, এটাই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু"। আমরা সবাই এর কেন্দ্রে আছি। সত্যি বলতে কি আমরা সেটা নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারবো না; গাণিতিকভাবে তা প্রমাণ করতে পারবো না। বিজ্ঞানীরা কেবল ধারণা করেন যে আমরা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড কেন্দ্র হতে পারি না- তা দিয়ে যাই বোঝাক না কেন- সেটা কিন্তু সব জায়গায় সব পর্যবেক্ষকের জন্যই প্রযোজ্য। তারপরেও, আসলে আমরা ঠিক জানি না।

আমাদের কাছে মহাবিশ্বের বিস্তৃতি শুধুমাত্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের শুরুর পর থেকে বিলিয়ন বছরগুলাতে আলো যতদূর পর্যন্ত পরিভ্রমণ করেছে। দৃশ্যমান মহাবিশ্ব-যে মহাবিশ্বের কথা আমরা জানি আর যার কথা বলতে পারি সেটা মিলিওন মিলিওন মিলিওন মিলিওন (১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০) মাইল চওড়া। কিন্তু বেশীর ভাগ তাত্ত্বিকদের মতে মহাবিশ্ব মোটামুটিভাবে অতি প্রশস্ত, যেটাকে 'মেটা ইউনিভার্স' বলা হয়ে থাকে অনেক সময়। রিস এর মতে বৃহত্তর, অদেখা সেই মহাবিশ্বের সীমানা পর্যন্ত কত আলোকবর্ষ আছে তা সংখ্যায় লিখতে গেলে "দশটি শূন্য না, এমনকি একশতটিও না, মিলিওন সংখ্যক শূন্য দ্বারা" লিখতে হবে। সংক্ষেপে, আপনার ধারণার চেয়েও যথেষ্ট পরিমাণে স্থান ইতোমধ্যেই বর্তমান, অপর পার্শ্বের অতিরিক্ত কি আছে তার কষ্টকর কল্পনায় না যেয়েই।

দীর্ঘ সময় ধরে বিগ ব্যাং তত্ত্বে এক ফাঁক ছিল যা অনেককে ভুগিয়েছে তা হল যে এটা ব্যাখ্যা করতে পারতো না যে আমরা কিভাবে এখানে এসে দাঁড়ালাম। যদিও সমস্ত পদার্থের ৯৮ শতাংশ যা বর্তমান, তা তৈরি হয়েছিলো বিগ ব্যাং এ, যেগুলা ছিল মূলত হালকা গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত যেমন হিলিয়াম, হাইড্রোজেন আর লিথিয়াম। আমাদের অস্তিত্বের জন্য অতি জরুরি ভারী বস্তুসমূহ যেমন কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন আর বাকি সব কিছুর একটি কণাও বিগ ব্যাং এর উত্তপ্ত চুল্লিতে তৈরি হয়নি। কিন্তু- এটাই সেই ভেজাল প্রশ্ন- এইসকল ভারী উপাদান গঠন করার জন্য আপনার দরকার বিগ ব্যাং এর মত তাপ এবং শক্তির। অথচ একটিমাত্র বিগ ব্যাং হয়েছে এবং তা সেই উপাদানগুলি তৈরি করেনি, তাহলে সেগুলা আসলো কোথা থেকে?

মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে ভদ্রলোক সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি ছিলেন একজন কসমোলজিস্ট যিনি অত্যন্ত অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখতেন বিগ ব্যাং তত্ত্বকে আর "বিগ ব্যাং" শব্দটির প্রচলন ঘটান তীব্র ব্যঙ্গ পূর্ণ ভাবে, উপহাস করার লক্ষ্যে। আমরা তার কাছে ফিরছি একটু পরেই, কিন্তু তার কাছে যাওয়ার আগে আমরা ফিরে দেখি সেই প্রশ্নটিতে যে কিভাবে আমরা এখানে এসে পৌঁছলাম, হয়তো তা বিবেচনা করার জন্য কয়েক মিনিট সময় নিলেও সেটার দরকার আছে যে ঠিক কোথায় "এখানে" ।

মূল: বিল ব্রায়সন

ডিসক্লেইমার: খোলা মহাবিশ্বে আরও একটি ধারণা যোগ হয়েছে যেটা সম্ভবত এই বইয়ের প্রকাশকালীন সময়ে(২০০৩) ছিল না। আগ্রহীরা এইখানে বিস্তারিত দেখতে পারেন।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

ভাল্লাগছে। চলুক

ইউটিউব লিংকটা কাজ করে না।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ দ্রোহীদা।

দ্রোহীদা, লিংক অন্য পিসিতে চেক কর্লাম, কাজ করে। সমস্যাটা ধর্তে পার্লাম না(সম্ভবত ফ্লাস আপডেট নাই দেঁতো হাসি )


love the life you live. live the life you love.

দ্রোহী এর ছবি

এখন কাজ করছে। তখন "৫০২ সার্ভারের আভ্যন্তরীণ সমস্যা" দেখাচ্ছিল। দেঁতো হাসি

অনিকেত এর ছবি

অসামান্য, অসাধারণ গুরু গুরু

তারাপ কোয়াস এর ছবি

লইজ্জা লাগে অনেক ধন্যবাদ অনিকেত'দা


love the life you live. live the life you love.

তাপস শর্মা এর ছবি

জাস্ট ফাটাফাটি। অসাধারণ বললেও কম হবে... গুরু গুরু

তারাপ কোয়াস এর ছবি

দেঁতো হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


love the life you live. live the life you love.

তারেক অণু এর ছবি

পরের পর্ব, জলদি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারাপ কোয়াস এর ছবি

ইয়েস বস দেঁতো হাসি


love the life you live. live the life you love.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।