এ আবিষ্কারটি প্লুটোর গ্রহমর্যদার কাছা ধরে টান দেয়। আসলে আগে যে সেই দাবি খুব একটা শক্তপোক্ত ছিল তাও না। যেহেতু পূর্বে ভাবা হতো যে প্লুটোর দখলকৃত স্থান আর তার চাঁদের দখলকৃত স্থান এক আর অভিন্ন, তা থেকে অভিপ্রেত যে সবার অনুমানের চেয়েও আসলে প্লুটো অনেক ক্ষুদ্র - এমনকি বুধের চেয়েও। সত্যি বলতে কি আমাদেরটা সহ সৌরজগতের সাতটি চাঁদও এর থেকে বড়।
এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে যে আমাদের সৌরজগতেরই একটি চাঁদ খুঁজে পেতে এত দীর্ঘ সময় লাগলো কেন। এর উত্তরে বলা যায় যে তা কিছুটা নির্ভর করে জ্যোতির্বিদরা ঠিক কোথায় তাদের যন্ত্রপাতি তাক করে রেখেছেন, আর কিছুটা নির্ভর করে তাদের যন্ত্রপাতি কি নির্ণয় করার জন্য নকশাকৃত আর সর্বোপরি এটা প্লুটো বলে। প্রায়শই ঠিক কোথায় তাদের যন্ত্রপাতি তাক করে রেখেছেন তার উপরে নির্ভর করে। জ্যোতির্বিদ কার্ল চ্যাপম্যান বলেন "বেশীর ভাগ লোকজনই ভাবে যে জ্যোতির্বিদরা রাতের বেলা মানমন্দিরে যেয়ে সারা আকাশ পর্যবেক্ষণ করা শুরু করে দেন। ভুল ধারণা। পৃথিবীর প্রায় সব টেলিস্কোপেরই নকশা করা হয়েছে আকাশের ক্ষুদ্রতম এলাকা যেমন হতে পারে তা বহুদুরের কোয়াসার(quasar) বা কৃষ্ণ বিবর(ব্ল্যাকহোল) কিংবা সুদুরের কোনো ছায়াপথ পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে। একমাত্র সামরিক বাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিত আর প্রস্তুতকৃত টেলিস্কোপের নেটওয়ার্কই সারা আকাশ চষে বেড়ায়।"
আমাদের সর্বনাশ করেছে শিল্পীর কল্পনায় আঁকা পরিষ্কার নিখুত ছবির উপস্থাপনা দেখে যা আসলে বাস্তব জ্যোতির্বিজ্ঞানে অনুপস্থিত। ক্রিষ্টির ফোটোগ্রাফে প্লুটো হচ্ছে ক্ষীণ এবং অস্পষ্ট-এক টুকরো মহাজাগতিক দানা- আর এর চাঁদ রোমাণ্টিক ধরণের উজ্জ্বল না, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এর ছবির মত মত সতেজ, ঝকমকে কোন উপগ্রহ না কেবল একদম ছোট্ট আর অস্পষ্টতা থেকে আলাদা করা ভীষণ দুঃসাধ্য এমন এক আভাস মাত্র। এতই অষ্পষ্ট ধরনের যে এরপর আরও সাত বছর লেগে গেছে অন্যকারও এই চাঁদকে পুনঃ নির্ণয় করতে আর তা সতন্ত্রভাবে এর অস্তিত্তকে নিশ্চিত করে।
ক্রিস্টির আবিষ্কারের একটা চমৎকার যোগাযোগ রয়েছে যে তা ঘটেছিলো ফ্ল্যাগস্টাফ এ, যেখানে ১৯৩০ সালে প্রথম প্লুটোর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তী আবিষ্কারের বীজ বোনা জৌতির্বিজ্ঞানে সেই ঘটনার জন্য বেশীরভাগ কৃতিত্ব দেয়া যায় জৌতির্বিদ পার্সিভাল লোওয়েল'কে। লোওয়েল, যিনি বোস্টনের অন্যতম বনেদী আর পুরনো এক পরিবার থেকে এসেছিলেন। যিনি বিখ্যাত মানমন্দির এর অধিকারী ছিলেন যা তার নামে নামকরণ করা, কিন্তু তিনি প্রায় অমোচনীয় রূপে স্মরণীয় তার বিশ্বাসের জন্য যে মঙ্গল খালবিল দিয়ে ভর্তি আর তা তৈরি করেছিল পরিশ্রমী মঙ্গলবাসীয়রা, মেরু অঞ্চল থেকে বিষুবীয় অঞ্চলের শুকনো কিন্তু উৎপাদনশীল জমিতে পানি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।
লোওয়েল এর আরেকটি দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে নেপচুন থেকে বহুদূরে কোথাও এক অনাবিষ্কৃত গ্রহের অস্তিত্ব রয়েছে যাকে এক্স গ্রহ নামে ডাকতেন। লোওয়েল এর এ বিশ্বাস গড়ে উঠে তার পর্যবেক্ষণে প্রাপ্ত ইউরেনাস আর নেপচুনের কক্ষপথের বিচ্যুতি দেখে। আর তিনি তার জীবনের শেষ বছর বায় করেন গ্যাসীয় দানবকে খুঁজে পেতে যার অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি ছিলেন নিঃসন্দেহ। দুঃখজনক ভাবে ১৯১৬ সালে তিনি আকস্মিক মৃত্যু বরণ করেন, যার আংশিক কারণ তার সেই অনুসন্ধানে পরিশ্রান্ত হয়ে আর অন্যটি তার এক উত্তরাধিকারীর সাথে তার সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়ে পড়ায় সেই অনুসন্ধান বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। যাহোক ১৯২৯ সালে, মঙ্গল এর খালবিল এর
কাহিনী (যেটা বর্তমানে চরম বিব্রতকর হিসেবে বিবেচিত) থেকে কিছুটা হলেও মনোযোগ সরিয়ে আনার জন্য লোওয়েল মানমন্দিরের পরিচালক সিদ্ধান্ত নেন যে তারা স্থগিত হয়ে যাওয়া অনুসন্ধান পুনরায় শুরু করবেন আর তার ফলশ্রুতিতে ক্যানসাস এর ক্লাই টমবাহ নামে এক তরুণকে নিয়োগ করা হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসাবে টমবাহ'র কোন আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না কিন্তু তিনি ছিলেন অধ্যবসায়ী আর বিচক্ষণ এবং এক বছরের অটল অনুসন্ধানে যেকোনভাবেই তিনি প্লুটোকে চিহ্নিত করেন, ঝলমলে অম্বরে এক ক্ষীণ আলোক বিন্দু হিসাবে। এটা এক আশ্চর্যজনক আবিষ্কার আর সবচেয়ে লক্ষণীয় যে ব্যাপারটা তা হল পর্যবেক্ষণ থেকে লোওয়েল এর অনুমান যে নেপচুনের পরেও অন্য গ্রহের অস্তিত্ব আছে সেটা পুরোপুরি ভ্রান্ত হিসাবে প্রমাণিত হয়। টমবাহ এক নজরেই বুঝতে পারেন যে নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি লোওয়েল এর দাবি মোতাবেক কোন গ্যাসীয় দানব না কিন্তু নতুন গ্রহ সম্পর্কিত তার বা অন্যকারও কোন ধরনের অনুচ্চারিত মতামত দ্রুতই প্রবল উত্তেজনায় ধুয়ে মুছে যায় যা সহজে আলোড়িত হওয়ার সেই যুগে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকল সংবাদে হাউকাউ করে পরিবেশিত হয়। এটা ছিল আমেরিকান কর্তৃক আবিষ্কৃত প্রথম কোন গ্রহ আর কেউই মাথা ঘামাতে রাজি হয়নি এই ভেবে যে এটা আসলে বহুদূরের এক বরফ বিন্দুর মত। এর নামকরণ করা হয় প্লুটো তার আংশিক কারণ ছিল যে প্রথম দুই অক্ষর লোওয়েল এর নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে মনোগ্রাম তৈরি করে বলে। লোওয়েল এর মৃত্যুর পরবর্তী কালে সর্বত্র তাকে প্রথম সারির প্রতিভাবান হিসাবে স্বিকৃতী জোটে আর টমবাহ'কে অধিকাংশই ভুলে যায় শুধুমাত্র গ্রহসংক্রান্ত জ্যোতির্বিদগণ ব্যতীত, যারা তার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাশীল।
সল্পসংখ্যক জ্যোতির্বিদ এখনো ধারণা করেন যে হয়তো কোথাও এক্স গ্রহ রয়ে গেছে- বিশাল আকৃতির। হয়তো বৃহস্পতির চেয়েও দশগুণ বৃহৎ আকৃতির কিন্তু এত দুরে যে তা আমাদের কাছে অদৃশ্য।(এর গায়ে এত অল্প পরিমাণ সূর্যের আলো পড়ে যে প্রতিফলন করার মত কিছুই থাকে না)। ধারণাটি হচ্ছে যে এটি বৃহস্পতি বা শনির মত কোন সাধারণ গ্রহ হবে না - সেটা হওয়ার জন্য তা অনেক দুরে রয়েছে; আমরা আলোচনা করছি হয়তোবা ৪.৫ ট্রিলিয়ন মাইল নিয়ে- তবে অনেকটা সূর্যের মতই যা সূর্য হয়ে উঠতে পারেনি। মহাকাশের অধিকাংশ নক্ষত্রই যুগ্ম(দুই তারকা সমৃদ্ধ), তাই আমাদের নি:সঙ্গ সূর্যকে একটু অদ্ভুতই মনে হয়।
প্লুটো সম্পর্কে কেউই ঠিক নিশ্চিত নয় যে এটা কত বড় বা কি দিয়ে গঠিত, কি ধরনের বায়ুমণ্ডল আছে এর, কিংবা আসলে এটা ঠিক কি। অনেক জ্যোতির্বিদ ধারণা করেন যে এটা মোটেও কোন গ্রহ না, বরং কাইপার বেল্ট নামক বহিঃ সৌরমণ্ডল এ অবস্থিত এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবথেকে বড় সাধারণ একটি বস্তু। তাত্ত্বিক ভাবে কাইপার বেল্ট এর প্রথম প্রস্তাব করেন ১৯৩০ সালে এফ সি লেওনার্ড নামে এক জ্যোতির্বিদ কিন্তু এর নামকরণ করা হয়েছে জেরার্ড কাইপার এর নামে, যিনি একজন ওলন্দাজ, কাজ করছেন আমেরিকায়। তিনি এ ধারণাকে বিস্তৃত করেন। কাইপার বেল্ট হচ্ছে 'সংক্ষিপ্ত-কালীন ধূমকেতু'র উৎস- যারা প্রায়শই পাশ কাটিয়ে যায়- যাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হ্যালির ধূমকেতু। আরও নিঃসঙ্গ ধরনের 'দীর্ঘ-কালীন ধূমকেতু'(যাদের মধ্যে সম্প্রতি ভ্রমণ করে যাওয়া হেল বপ আর হায়াকুটেক) আসে আরও অনেক দুরের অর্ট মেঘ মণ্ডল থেকে(অর্ট ক্লাউড) যা বেশ হালে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এটা নিশ্চিত যে প্লুটো অন্যসব গ্রহদের মত আচরণ করে না। আর এটা শুধু ক্ষীণকায় আর অস্পষ্টই না এর গতিবেগ এতই অনিশ্চিত যে আজ থেকে শতবর্ষ পরে প্লুটোর অবস্থান কোথায় হবে তা কেউ আপনাকে বলতে পারবে না। যেখানে অন্যসব গ্রহ মোটামুটি একই সমতলে পরিভ্রমণ করে, প্লুটোর কক্ষপথ সমতল থেক ১৭ডিগ্রী কোণে হেলে পড়া, যেন অনেকটা কারও মাথার উপর অসভ্যের মত হেলে থাকা টুপির প্রান্তের মত। এর কক্ষপথ এতই অনিয়মিত যে এর দীর্ঘকাল ধরে প্রতিবার সূর্যকে পরিভ্রমণ করার সময় এটা নেপচুনের থেকে আমাদের বেশী কাছে চলে আসে। ১৯৮০ আর ১৯৯০ এর দশকের বেশীর ভাগ সময়েই নেপচুন ছিল আমাদের সৌরজগতের সবথেকে দূরবর্তী গ্রহ। মাত্র সেদিনই ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখে প্লুটো আবার তার বহির্ভাগে ফিরে আসে, আর আগামী ২২৮ বছর সেখানেই থাকবে।
প্লুটো যদি সত্যিই গ্রহ হয়ে থাকে তবে নিশ্চিতভাবেই একটি উদ্ভট গ্রহ। এটা খুবই ক্ষুদ্র: পৃথিবীর আয়তনের ১শতাংশের চারভাগের এক আয়তনের। আপনি যদি এক ধরে আমেরিকায় উপর বসিয়ে দেন তবে তা আটচল্লিশটি রাজ্যের অর্ধেকও ঢাকতে পারবে না। এই একটি কারণই একে ভীষণ রকম অস্বাভাবিক হিসাবে প্রকাশ করে: তারমানে আমাদের সৌরজগতের প্রথমভাগে চারটি পাথুরে গ্রহ, বহির্ভাগে চারটি গ্যাসীয় দানব আর একটি ক্ষুদ্র নিঃসঙ্গ বরফের গোলক। উপরন্তু সেই একই এলাকায় আরও বড় বরফের গোলক পাওয়ার অনেক যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা রয়েছে। তখন কিন্তু আমরা সমস্যায় পড়বো। ক্রিস্টির প্লুটোর চাঁদ আবিষ্কারের পর জ্যোতির্বিদরা সেই এলাকা আরও বিশদভাবে চষে বেড়িয়েছেন এবং ২০০২ সালের ডিসেম্বরের প্রথমভাগ পর্যন্ত আরও ছয়শ ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তু খুঁজে পেয়েছেন যাকে প্লুটোনিয়ন বলে ডাকা হয় অনেক সময়। ভারুনা(এখনও স্বীকৃত নাম না) নামের একটি প্রায় প্লুটোর চাঁদের মতই বড়। জ্যোতির্বিদরা এখন ধারণা করেন যে এ ধরনের আরও বিলিয়ন সংখ্যক বস্তু থাকতে পারে। এগুলোকে খুঁজে পেতে একটাই সমস্যা যে এরা বড়ই অন্ধাকারাচ্ছন্ন। সাধারণভাবে এদের আলোক প্রতিফলন হার মাত্র ৪শতাংশ যা একতাল কাঠকয়লার সমান আর এই কাঠকয়লাগুলা আমাদের থেকে ৪বিলিওন মাইল দুরে অবস্থিত।
ডিসক্লেইমার: প্লুটোর কপালে সুখ বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। ২০০৫ সালে পালমর মানমন্দিরে মাইক ব্রাউন এর নেতৃত্বে প্লুটোর চেয়েও ২৭শতাংশ বেশী ভরের এ্যারিস আবিষ্কৃত হয়। ফলশ্রুতিতে ২০০৬ সালের আগস্টের ২৪ তারিখে ইন্টারন্যাশনাল এস্ট্রোনোমিকাল ইউনিয়ন কর্তৃক এর গ্রহ মর্যাদা বিয়োজিত করে নতুন প্রণীত "ডর্ফ প্ল্যানেট" এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে একে "মাইনর প্ল্যানেট" বিভাগে তালিকাভুক্ত করা হয় আর এর জন্য বরাদ্দকৃত সংখ্যা হল ১৩৪৩৪০।
মন্তব্য
বেশ ঝরঝরে অনুবাদ হচ্ছে!
বিল ব্রাইসন এমনিতেই আজকাল আমার প্রিয় লেখক। ওঁর ভ্রমণ কাহিনীগুলো পড়েছেন আপনি? দুর্দান্ত লেখেন ভদ্রলোক!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যাবদ ওডিন ভাই।
আজকে পড়া শুরু করবো ওঁর "আ ওয়াক ইন দি উডস্"। এর পরের তালিকায় আছে "ইন আ সান বানর্ড ক্রান্ট্রি" আর "নোটস্ ফ্রম আ স্মল আইল্যাণ্ড"। লেখার ধরনটা আমার খুবই পছন্দের।
love the life you live. live the life you love.
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
love the life you live. live the life you love.
বস। রিয়েলি অসাম...
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ আপনাকে।
love the life you live. live the life you love.
বস, একটা কথাই শুধু বলার আছে---
অনিকেতদা শুধু শুধু লজ্জায় ফেলে দেন!
love the life you live. live the life you love.
বেশ
একটা অনুরোধ করি, লম্বা বাক্যগুলোকে ছোট ছোট করে ভেঙে দিলে পড়তে আরাম পাই। মূল লেখায় যা একবাক্যে বলা হয়েছে তা অনুবাদেও একবাক্যে বলতে হবে তেমন তো আর নয়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার সাজেশনটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অনার্য'দা।
love the life you live. live the life you love.
অসম্ভব ভালো অনুবাদ হচ্ছে, একদম পাঁচতারা!
love the life you live. live the life you love.
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
love the life you live. live the life you love.
আমি খুবই কম জ্ঞানসম্পন্ন একজন জ্যোতির্বিজ্ঞান ভক্ত। একটা প্রশ্ন করতে চাই।
নক্ষত্রগুলো যেভাবে আবিষ্কৃত হয় তার মধ্যে একটা পদ্ধতি হল "অতিক্রমণ" পদ্ধতি। এই একই পদ্ধতিতে কি আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো আবিষ্কার করা যায় না? অর্থাৎ সেক্ষেত্রে পটভূমিতে থাকতে পারে অন্য কোন নক্ষত্র!
উইকির এটাতে চোখ বোলাতে পারেন। অনেকগুলা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে।
মন্তব্য রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ জোনাকীপোকা।
love the life you live. live the life you love.
নতুন মন্তব্য করুন