বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ (১৯৪৩-১৯৭১)ঈষ্ট পাকিস্থান রাইফেলসের ল্যান্স নায়েক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। ১৯৪৩ সালের ৮ মে ফরিদপুর জেলার মধু্খালী উপজেলার (সাবেক বোয়ালমারী উপজেলা)সালামাতপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৬৩ সালের ৮ মে তিনি বিডিআর এ যোগদান করেন। তাঁর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৩১৮৭। তাঁর মাতার নাম-মকিদুন্নেছা, পিতার নাম- মুন্সি মেহেদী হাসান। মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর কর্মস্থল ছিল ১১ উইং চট্টগ্রাম। তাঁর সর্বশেষ যুদ্ধস্থল বুড়িঘাট চিংড়ি খালের পাড়, মহালছড়ি,পার্বত্য চট্টগ্রাম। তিনি ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে শহীদ হন।
শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ তৎকালীন ঈষ্ট পাকিস্থান রাইফেলস এ সৈনিক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে ৮ম ঈষ্ট বেঙ্গলের একটা অংশ এবং তৎকালীন পাকিস্থান রাইফেলস এর কিছু সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধকালে মুন্সী আব্দুর রউফ কোম্পানীর মেশিন গানার হিসাবে রাঙামাটি মহালছড়ি নৌ পথে প্রহারত ছিলেন। কোম্পানীটি বুড়ি ঘাট চিংড়ি খালের পাড়ের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিল। ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ শত্রুপক্ষের ২য় কমান্ডো ব্যাটলিয়নের ১টি কম্পানী, ৬টি ৩ ইঞ্চি মর্টার ও ৩ টি লঞ্চ নিয়ে প্রতিরক্ষা এলাকায় ঢুকে পরলে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ তাঁর নিজের অবস্থান থেকে একাই শত্রুপক্ষের ২ টি লঞ্চ ও একটি স্পীডবোট পানিতে ডুবিয়ে দেন। আচমকা বিপক্ষ মর্টারের গোলার আঘাতে নানিয়ার চড়ের বপকছড়ি নামক স্থানে তিনি শাহাদৎ বরণ করেন। তাঁর অপরিসীম বীরত্ব,সাহসীকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্ব্বোচ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে। শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ার চড়ে। স্বাধীনতা অর্জনে মহান এই বীরের আত্মত্যাগ চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র ২ মিনিটের পায়ে হাটা পথ এই মহান বীরের বাড়ির দূরত্ব। আমাদের গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ নামে একটা কলেজ আছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ঢাকার পিলখানায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ নামে আরও একটা কলেজ আছে। আছে সাভার ক্যান্টঃ এ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ নামে সুন্দর একটা ত্বোরণ। আরও আছে রাইফেলস স্কোয়ারের কাছে (পিলখানার ভিতরে) বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ ভিআইপি রোড।
নিজের গ্রামের নাম বলতে সবারই গর্ব হয়। আমার, আমাদের গ্রামের নামের সাথে গর্বটা মনে হয় একটু বেশিই হয়।
মন্তব্য
অরূপ,
আমার শেষ লেখাটা আমি ১ম পাতায় প্রকাশ করতে চাইনি। সিলেক্ট করার সময় নিজের ব্লগে ক্লিক করেছি, কিন্তু তারপরেও কেন ১ম পাতায় গেল বুঝতে পারলাম না।
একটু সাহায্য করা যায় ১ম পাতা থেকে সরিয়ে দিয়ে? শুধু আমার নিজের ব্লগে থাকলেই হবে।
অগ্রীম ধন্যবাদ
এই লেখা প্রথম পাতায় না দিবেন না মানে?
আব্দার?
স্টিকি করার জন্য কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
ভালো লেখা ১ম পাতায় গেলে কি ক্ষতি?
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
অন্তত কয়েক ঘণ্টা জন্যে স্টিকি করে দেওয়ার প্রস্তাব করছি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমাদের গর্ব।
আমাদের গর্ব।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমার জানা মতে বীরশ্রেষ্ঠের নাম আব্দুর রব। ক্ল্যারিফাই করা যায় কোন ভাবে?
-------------------
প্রবাসী,ছাত্র,দুস্থ,দেশপাগল
-------------------
সেলিম ভাইয়ের বানানটাই ঠিক।
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফকে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক স্টিকি করা হল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই ব্লগের অধিপতিরা লোক ভালোই মনে হয়। প্রস্তাব পেশ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কবুল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
স্টিকি করার জন্য ধন্যবাদ।
লেখাটার দ্বিতীয় পর্ব চাই ।
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভিডিওটা বানিয়েছিলাম গত বছর অক্টোবরে, ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী সংগঠনের বাৎসরীক অনুষ্ঠানে দেখানো হয়েছিল।
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমরা কোনদিন ভুলবনা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ সহ সকল শহীদদের অত্মত্যাগের কথা। কোন দিনও না।
নতুন মন্তব্য করুন