সুবর্নরেখা
--------------
শূন্যতার গল্প বলি;
কান পেতে শোন গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গের
উপচে পড়া মেঘ গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বেয়ে
সিরামিক বাটি
ঝাঁঝালো চানাচুর,
এবং গোলাপি নখ;
জল না হোক, যতটুকু মেঘ ঠোঁটের কার্নিশে
আমার শূন্য গ্লাসে ঢেলে দাও -
বৃষ্টির গান শোনাই।
মন্তব্য
আপনার প্রত্যেকটি কবিতা যেই জিনিসটা মিস করে তাকে বলে 'কোহেরেন্স'। কবিতার না থাকে কোন অর্থ, না থাকে কোন যোগাযোগ।
কবিতা সহজ, কঠিন, বোধগম্য, বোধগম্যহীন হতেই পারে, কিন্তু এমন ছাড়া ছাড়া শব্দ জুড়ে দিলেই সেটাকে কবিতা বলে না।
অন্যগুলোর মত এইটাও একদম ভালো লাগে নি।
আশা করি সমালোচনা গ্রহণ করার মতন মানসিকতা রাখেন।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
অবশ্যই; সমালোচনা গ্রহন করবো না কেন সানন্দে করলাম।
আপনার কাছে যেটা ছাড়া ছাড়া শব্দ, আমার কাছে না আর অর্থ থাকে না বুঝি? না কি আপনার কাছে কোন অর্থ নিয়ে যায় না বলেই সেটার কোন মানেই নেই?
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভাই সমালোচনা গ্রহণ করার মানে কিন্তু এই না যে "আচ্ছা বললেন শুনলাম ধন্যবাদ"। সমালোচনা থেকে ভুলগুলো শুদ্ধির শিক্ষা নেয়াটাই সমালোচনা গ্রহণ। আপনি দেখতে পাচ্ছেন আপনার কবিতাগুলোর অর্থ বেশিরভাগ পাঠক ধরতে পারছে না, তার মানে আপনার জনতার এন্টেনার উপযোগী কাব্য রচনা করা প্রয়োজন। এইটা হলো সমালোচনার শিক্ষা। "আমি লেখলাম, আমি অর্থ বুঝছি, আপনি না বুঝলে আমার কী" এগুলা ওপেন ফোরামে খাটে না। শুধু নিজের জন্য লিখলে ব্যক্তিগত ব্লগে রাখেন, প্রথম পাতায় দিলে অন্যরা পড়বেই, না বুঝলে/ভালো না লাগলে তেড়াব্যাকা কথাও বলবে, বিদ্রুপও করবে। (অবশ্য তেড়াব্যাকা কথায় আপনার কোন ভ্রূক্ষেপ নাই দেখছি ! পাঠকের মতামতকে একেবারেই পাত্তা না দিলে তো সমস্যা )
"অবশ্য তেড়াব্যাকা কথায় আপনার কোন ভ্রূক্ষেপ নাই দেখছি !" হাহাহাহা, তোড়াবাক্য কথায় আমি রিএক্ট করছি না, তাতেও আপনার আপত্তি?
"তার মানে আপনার জনতার এন্টেনার উপযোগী কাব্য রচনা করা প্রয়োজন।" তাই নাকি? প্রয়োজন্? জানতাম না,
ভালো থাকেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কিন্তু আপনার টা কিন্তু সমালোচনা হলো না; নিতান্তই আক্রমন।
"আপনার প্রত্যেকটি কবিতা যেই জিনিসটা মিস করে তাকে বলে 'কোহেরেন্স'। কবিতার না থাকে কোন অর্থ, না থাকে কোন যোগাযোগ। " অর্থ না থাকলে তো লিখতাম না বরং এভাবে বলা যায়, যে আমার লেখার অর্থ আপনি ধরতে ধরতে পারছেন না, বা আপনার কাছে অর্থবহ না, নিতান্তই আজেবাজে।
কবিতার কোন অর্থ নাই, কোহেরেন্স নাই, এটা মোটেও সমালোচনা না। তথাপি, আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনি তো আমার শত্রু পক্ষ না যে আপনাকে আক্রমন করবো। ভালো লাগে নি, সেটা স্ট্রেইটলি জানিয়ে গেলাম।
হ্যাঁ! দ্বিতীয় মন্তব্য পড়ে বুঝলাম কেমন সানন্দে গ্রহণ করলেন!!
তো সেটা কী ছিল? আপনার একবার বাংলা ডিকশনারি খুলে 'সমালোচনা' শব্দটির মানে বের করে দেখা দরকার মনে হচ্ছে।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এইটা তো আমার চাঁচাছোলা কিন্তু যৌক্তিক সমালোচনাই মনে হয়েছে। অর্থ নেই আসলেই মনে হলে পাঠকের দোষ কী? আরো অনেকেরই তো মনে হয়েছে দেখা যাচ্ছে। হয়ত আপনার নিজেরই মনের মাধুরীসঞ্জাত বলে মনে হয়েছে আছে, হয়ত আরো দুয়েকজন অনুপ্রেরণাদাতাও কিছু একটা মনে করে নেবেন, কিন্তু তাতে তো সমালোচনাটা মিথ্যা হয়ে যায় না।
অর্থ নেই মনে হলে পাঠকের কোন দোষ নেই।
"এই কবিতা একদমই কোন অর্থ বহন করে না" আর "আমার কাছে এই কবিতা কোন অর্থ বহন করে না" ২টা ভিন্ন কথা।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কবিরা মনে হয় একেকটি কবিতা প্রসব করা মাত্র একধরনের ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি পেয়ে যান, 'আপনাদের কাছে এই কবিতাটি বোধগম্য নয় তো কী হয়েছে, এই পৃথিবীর সুদূর কোণে একটি বান্টু-বালক এর রস গ্রহণ করতে পারবে না তা কী করে জানলেন? আপনার কাছে এই কবিতাটির অর্থ নেই তো কী হয়েছে, এই শস্যশামল ধরিত্রীর ওই পারে একটি কেচুয়া যুবতী এইটির অর্থ বুঝে যে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠবেনা এই কথা আপনি প্রত্যয়িত করতে পারেন?'
কথাটা কি সত্যি না? কে জানে কেই না কেই তো পারতেই পারে। আপনার কাছে মনে হতে পারে এটা কারো ভালো লাগবে না, আবার লাগতেও তো পারে। আবার ধরলাম কারো লাগলোই না.. তো?
কোথাও পড়েছিলাম (মনে নেই কো বইতে) যে, আপনার কপালে কেই লিখে দেয় নাই বা লেখা নাই যে আজ থেকে ১০০ বছর পর আপনপকে কেই মনে রাখবে না; সো ভাবতে দোষ কি?
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আই অ্যাম লুকিং ফর চরম উদাস। তিনি কি কোডিং বাবদ তার প্রাপ্য পেয়েছেন ?
আমার মনে হলো, এরচেয়ে আপনার আগের কবিতাটা অনেক ভালো হয়েছিল!
কবিতার অর্থ না, শুধু এই বাক্য দুইটার আক্ষরিক অর্থটা যদি বলতেন-
"কান পেতে শোন গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গের"
আমি কোনোভাবেই গঠনগত দিক দিয়ে এর অর্থ করতে পারলাম না। কাব্যিক অর্থ না কিন্তু।
আরও লিখলেন-
"উপচে পড়া মেঘ গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বেয়ে"
গ্লাসের কাচ? অনেকটা "ফল ফ্রুটস"-এর মতো হয়ে গেল। "গ্লাস বেয়ে বেয়ে" লিখলেই তো হতো। অবশ্য উপচে পড়া মেঘ যদি কাঁসা বা মেলামাইনের গ্লাস বেয়ে বেয়ে নামতে রাজি না হয়, তাহলে আলাদা কথা।
সবশেষে বলা যায়, এটা পুরাই একটা উত্তরাধুনিক কবিতা, যার আপাত কোনো অর্থই নাই। সব কবিতার অর্থ থাকতে হবে, তা না। তবে কবিতা পড়লে সাধারণত একটা দৃশ্যকল্প বা চিত্র ভেসে ওঠে মনের মধ্যে। সেখানেই ভালো কবিতার সার্থকতা। এটা পড়ে তার ধারেকাছে দূরে থাক, কিছু মনে করবেন না, বরং মনের উপর বাড়তি চাপ পড়ল!
অপ্র ভাইকে ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। জোহান্সবার্গে স্বর্নের খনি এর জন্য বিখ্যাত, তাই তরল জোহান্সবার্গ শুধু সোনালি রঙ টুকু ধরতে ব্যবহার করা। ধরে নিতে পারেন বিয়ার বা মদের কথা বলা হয়েছে যার রঙ সোনালি।
গ্লাসের কাঁচ বেয়ে .. , গ্লাস লিখলেও চলতো অবশ্যই। কিন্তু গ্লাস কি এলুমিনিয়ামের হয় না? গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বলে আমি ব্যাপারটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছি কেবল; উপচে পড়া মেঘ (ফেনাটুকু) অন্য গ্লাস বেয়ে নামতে রাজি হবে নিঃসন্দেহে, তবে ব্যাপারটা নির্দিষ্ট করে দেয়া আমার বোধহয় অন্যায় না। আর কোন বারে বা কোথাও বোধহয় কাঁচের গ্লাসেই সার্ভ হয়
ধন্যবাদ।
p.s- আপনারা নিশ্চিন্তে কমেন্ট করতে পারেন, আমি কিছুই মনে করছি না, বা করবো না।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
না রে ভাই, কাব্যিক অর্থ না, বাক্যের আক্ষরিক অর্থ জানতে চেয়েছিলাম। যদি লিখতেন,
"কান পেতে শোনো গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গ"
তাহলেও হয়ত বাক্যগঠন ঠিক হতো। কিন্তু "জোহান্সবার্গের" শব্দটা এখানে গোলমেলে লাগলো।
আর এক্ষেত্রে যদি লিখতেন "উপচে পড়া মেঘ কাচের গ্লাস বেয়ে বেয়ে", তাহলেও হতো। "গ্লাসের কাঁচ" আসলে জুতসই লাগে নি।
বছর দুই আগে একজনের সাথে মজা করে একটা "উত্তরাধুনিক" কবিতা লিখেছিলাম। হুট করে মনে পড়ল আজ সেটার কথা-
"সময়ের খাতায় একজন অশ্বারোহী খুঁড়ের আঘাতে নতুন ইতিহাস লিখে চলেছে। শুনেছ নাকি, ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতা বরাবরের মতোই শোকের আসর বসিয়েছে সেই ভয়াল অরণ্যে? ঘড়ির কাঁটার তীর্যক নির্দেশনায় স্থবির যখন মৃত্যু উপত্যকা, নীলচে অর্কিডে ছেয়ে গেছে সমস্ত মৃতদের কবর। তবুও বিষাক্ত বাতাস আরও ভারি হয় পরাজিতদের আর্তনাদে। আর মুখরিত মানুষগুলো ক্রমেই এগিয়ে যায় শুধুই পেছনে! ওপাড়ে বাষ্পগুলো গলতে থাকে তরল ক্রোধে। অথচ অস্পষ্ট দিগন্তরেখা কেবলই হাতের তালুর মতো প্রতারণা করে, রয়ে যায় দৃষ্টির বাইরে।"
পুনশ্চ. আপনার ইতিবাচক মনোভাবকে সাধুবাদ। আমাদের, পাঠকের, দিকটাও মাথায় রাখবেন। যাতে আমরা একটু "নিশ্চিন্তে" কবিতা পড়তে পারি। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। পাঠকের দিকটা মনে রাখি বলেই আমার মন্তব্য কিন্তু সহনশীল। আশা করি কোথাও আমার রাগটুকু বা ক্ষোভটুকু দেখবেন না। তবে পাঠকের সাধুবাদ পাবার জন্যে লিখিনা তো, হতে পারে সব পাঠকের কাছে এই লেখা নিতান্তই বাজে লেখা , বা অ-কবিতা। সব লেখা ভালোও তো হয়ে ওঠে না; সো আমি আমার মতো করেই লিখবো।
গ্লাসের কাঁচে, আপনার কাছে যুৎসই লাগেনি.. সেটা নাই লাগতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
দারুণ লিখেছেন...
জানেন, আমিও না একসময় কবিতা লিখতাম। কবিতাগুলো এতোটাই অসাধারন হতো যে কেউ বুঝতেই পারতো না এর মর্ম... সেগুলো এতদিন লুকিয়ে রেখেছিলাম তাই। আপনার কবিতা পড়ে মনে হচ্ছে আপনিই হবেন আমার কবিতার একমাত্র সমঝদার... তাই আপনার কবিতার মন্তব্যেই আমি সেগুলো পড়তে দেবো আপনাকে... রোজ, প্রতিদিন... কেমন?
প্লিজ একটু দয়া করে পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো?
বিষুব রেখা
....................
হাহাকারের গল্প বলি;
হাত পেতে দেখো ভরে যায়
গরল চট্টগ্রামে
নেশাখোর জোচ্চোর মানুষ হয়ে কবিতা লেখে
আরএফএল প্লাস্টিক
পোতানো মুরি,
এবং হলদে ইয়ে;
...............
বাকীটুকু হারিয়ে গেছে, খুঁজে পাচ্ছি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাইকে ধন্যবাদ বিদ্রুপটুকুর জন্যে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এই রকম বিদ্রুপ না করলেও চলত মনে হয়।
সবার সহনশীলতা তো একরকম না এবিএম ভাই।
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ফালতু কমেন্ট, একদমই ঠিক হইলো না।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বুঝি নাই, ভালোও লাগে নাই। একতারা দাগালাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
"ভগবান বসে আছে
বেগুন গাছের তলায়
সমুদ্র
তুমি কি চানাচুর?"
এই ভগবান আসলে ভূত, কারণ এটা দশচক্রের পরের কথা। দশচক্রে ভগবান ভূত হয়। সেই ভূত বেগুনগাছের নিচে বসে আছে, কারন সেন্ট মার্টিনে অনেক বেগুন গাছ। সেই গাছের তলায় বসে ভূত কোন কারণে আত্মহত্যা করতে চাইছে, তাই গোটা সমুদ্রটাকেই তার চানাচুর মনে হচ্ছে। কে না জানে সমুদ্রমন্থনে বিষ ওঠে, সেই বিষই তার কাছে চানাচুরের মত সুস্বাদু কারণ জীবন আজ এই চাটগাঁইয়া ভূতের কাছে অর্থহীন।
খুব স্যাড কবিতা শুনালেন দুর্দান্তদা।
..................................................................
#Banshibir.
ওরে না !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মেরে ফেললেন পীরদা।
এ মাল রবি ঘোষের। সেই কবে দে-রে তে ঝেড়েছিল, অদ্যাবধি ভুলতে পারিনি।
আহা দে-রে, আবার যদি দেখতে পারতাম! অনলাইনে আছে কিনা কে জানে।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার অন্য পোস্টে এই মন্তব্যটা করেছিলাম, প্রাসঙ্গিক বিধায় এখানেও কপিপেস্ট করলাম।
উঁহু, এই ধারণাটা ভুল। অনেক সময়েই মডুরা অতিথি লেখকের এমন প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন যেগুলো বিতর্কের মধ্যে দিয়ে প্রচুর সমালোচিত হয়েছে। বস্তুত, তাঁদের একাধিক বার সচলপাঠকদের অনুরোধ করতে দেখেছি যে, তাঁরা যদি কোনো লেখকের লেখা (কবিতাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে) একতরফা ঘ্যাচাং চালিয়ে যেতে থাকেন, অনেক 'সরল' লেখক আছে যারা বার্তাটা বোঝে না যে তাদের মান আসলেই খারাপ, কেবলই উৎসাহভরে (কবিদের কাব্যপ্রতিভার অভাব থাকলেও কাব্যোৎসাহের কমতি থাকে না প্রায়ই) কবিতা পোস্টিয়ে পোস্টিয়ে মডুদের ব্যতিব্যস্ত করতে থাকে। তখন মডুরা দুয়েকটা কবিতা জনতার হাতেই ছেড়ে দেন, পাঠক কড়া সমালোচনার মধ্যে দিয়ে কবিকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের কথা হল, অনেক সরল কবির ক্ষেত্রে পদ্ধতিটা আসলে খাটে না, এই যেমন মনে হচ্ছে এই ক্ষেত্রে।
ধারনাটা আমার না, বরং ধারনাটা এখান থেকে পাওয়া, এবং ঘ্যাচাং হলেই যে সেটা ভালো না বা মানউত্তীর্ন না, আর ছাপা হলেই যে মানউত্তীর্ন সেটায় আমিও বিশ্বাস রাখি না; কিন্তু অতিথি তো, তাই মডারেশনের গন্ডি আমাকে পেরোতেই হয়। এবং প্রথম দিকে আমাকে তাই ধারনা দেয়া হয়েছে, যে "**" না লিখে "ভালো" কিছু লিখেন, তাহলে ছাপা হবে। সো সেখান থেকেই কথাটা বলা। যাক, আপনার কাছে আবার নতুন করে জানলাম, যে আঙ্গুলের "অনেক সরল" কবির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খাটে না। এনিওয়ে..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনার আগের একটা পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম, আমি কবিতা বুঝি না। সেইটা এখনো সত্যি, তবে অ-কবিতা মনে হয় বুঝি। এই পুরানো পোস্টে একটা লাইন পেলাম, "কবিতা লিখা শুরু করতে পারে হগলতেই, কিন্তু জায়গামতো লিখা থামাইতে পারে কবিরাই"। আমার আর কিছু বলার নেই।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
কথা সইত্য মনে লয়
ধন্যবাদ অ-কবিতা বুঝার জন্যে। কবিতা বুঝতে হলে কিছু কিছু অ-কবিতা তো বুঝতে হবে তাইনা? খারাপ জিনিসটা সম্পর্কে ধারনা না থাকলে বুঝবেন কেমনে যে ভালোটা ভালো?
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এই কবিতা ভক্ষণের পর আরাম লাভের জন্য
বদহজমের বড়ির (নির্লজ্জ) বিজ্ঞাপন
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মন্তব্য ঘ্যাচাং
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার কাব্যচর্চা দেখি এবং সমালোচকদের মন্তব্যগুলোও দেখি, কিন্তু মনে হয় যে সেটা একপাক্ষিক, আপনার তরফ থেকে কোনো দায়িত্ব আপনি নিচ্ছেননা আপাতত। বেশ কিছু লেখায় আপনার প্রতি মন্তব্য দেখে একটা জিনিস স্পষ্ট, আপনার মনোভাব কিছুটা এরকম, পাঠক বুঝলে বুঝুক, আপনি আপনার কবিতা (!!) এভাবেই লিখে যাবেন!! এর আগেও ব্লগার সত্যপীরের প্রশ্নের জবাবে আপনি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থ নিজের মতো করে বুঝে নিতে!! যাই হোক, আজকের লেখাটার কথা ধরি,
এই লাইনগুলো থেকে আমি যা ধারণা করলাম, একজন নিঃসঙ্গ মানুষ, সে বারে গিয়ে গ্লাসে মদ/বিয়ার/এলকোহলিক তরল ঢালছে। আপনি সেই মানুষটির নিঃসঙ্গতা এবং না বলা কথাগুলোকে গ্লাসের তরলের সাথে মিশিয়ে দিতে চাইলেন। আমি মদটাকে রূপক অর্থে ধরবো।
প্রথম লাইন থেকে বুঝলাম, বিয়ারের ফেনার কথা বলেছেন। যেটা ঢালার পরে কিছুটা উপচে পড়ছে। সাথে বার থেকে দেয়া ফ্রি'র চানাচুর। পাশে বসে থাকা কোনো নারীর অবয়ব।
এই দুটি অংশ থেকে একটা নিঃসঙ্গ মানুষের ধারণা পাই, এলকোহল এর মাঝে সঙ্গী খুঁজে নেয়ার চেষ্টা দেখি।
এটাকে শরীরী আবেদন বলবো কিনা জানিনা, তবে মনে হচ্ছে শারীরিক একটা আকাঙ্খা প্রকাশ পেয়েছে বৈকি। কিন্তু উপরের দুটো প্যারা থেকে সরাসরি এখানে কি করে চলে এলো সেটার ভাব স্পষ্ট নয় মোটেও।
আমি কবিতা বিশারদ নই, কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে গেলে আমি শাব্দিক অর্থগুলো আগে দেখি, তারপরে ভাবার্থ। এতে আমার কাছে আস্তে আস্তে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। কিন্তু এই কবিতা থেকে আমি শাব্দিক অর্থ যাই বের করিনা কেন ভাবার্থ কিন্তু শুন্য। আপনার কবিতার বিষয়বস্তুটাকে কিন্তু আপনি আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন, ছন্দবদ্ধ ভাবেও!! সেটা না করে, কিছু আলাদা আলাদা শব্দ একসাথে করে আপনি যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন অন্তত এই ক্ষেত্রে সেটা ব্যর্থ। কারণ আপনার চর্চাটি যদি একজন পাঠককে একটি গ্রহনযোগ্য ভাবার্থ নাই পৌঁছে দিতে পারলো, তাহলে সেটাকে কি সাহিত্য বলা চলে??
চাহিদার থেকে যদি যোগান বেশি হয় তাহলে যেমন বাজারে বস্তুর দাম কমে, তেমনি পাঠকের চাহিদার তুলনায় যদি অপরিনত সাহিত্যের যোগান বেশি থাকে তাহলে সাহিত্যিক এর দাম কমে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বলতে ভুলে গেছি..
"কিন্তু এই কবিতা থেকে আমি শাব্দিক অর্থ যাই বের করিনা কেন ভাবার্থ কিন্তু শুন্য। "
আমার প্রথম লাইনটা খেয়াল করেন অরফিয়াস ভাই, "শূন্যতার গল্প শোন".. অন্তঃসারশূন্য মুহুর্তটা শূন্য হতেই পারে। বা পড়া শেষে আপনার মনে হতেই পারে কোন মানে নেই। যদিও আপনার অনুবাদ করে নেয়োটা কিন্তু যখাযথ ছিল।
p.s- এই মন্তব্যটা পরের মন্তব্যের পরে. আগে এসে গেছে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
"আপনার তরফ থেকে কোনো দায়িত্ব আপনি নিচ্ছেননা আপাতত। "
এখানের কমেন্টগুলো দেখে কোথায় দায়িত্ব নিব বলেন? আপনি যেভাবে জিঞ্জেস করলেন, আমি যখাযথ ভাবে ইত্তর দিলাম। উত্তর আপনার মনমতো হবে কি হবে না সেটা পরের আলোচনায় দেখা যাবে।
প্রথম মন্তব্যে বলা হয়েছে "কোন মানেই দাড়ায় না.. " ; সেখানে াামি কি জোর করে মানে বোঝাতে যাবো? পাঠক কি চেয়েছেন বুঝতে মানে বা খটকা গুলো ক্লিয়ার করতে আপনার মতো? একটা কথা অনেকভাবেই তো বলা যায়, যেমন
এই লেখা আমি বিুঝ নাই, বা আমার কাছে কোন মানে নিয়ে আসতেছে না। আপনি কি একটু বলবেন মানে কি, বা কোন এঙ্গেলে পড়তে হবে? বা আমার এই যায়গায় খটকা লেগেছে.. ..? তখন না আমার একটা সুযোগ থাকে দায় নেবার বা ব্যাখ্যা করার যতটুকু সম্ভব।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
দেখুন, আসলে এতোটা দুর্বোধ্য ভাব যদি আপনি ছাড়া ছাড়া শব্দে প্রকাশ করেন তাহলে কোনো কোনো পাঠক যে খেপবেন না এটা তো বলা যাচ্ছেনা !! কিন্তু আপনার সব কবিতার মানেই যদি আমাদের, আপনার মতো করে বুঝতে হয় তাহলে তো সমস্যা।
আপনি হয়তো তীব্র সমালোচনায় কষ্ট পাচ্ছেন, স্বাভাবিক, কিন্তু দেখুন লেখক হিসেবে আপনার দায়িত্বটাও তো পালন করতে হবে ব্লগে। ব্লগের লেখায় যদি পাঠকের বদহজম হয় তাহলে এর দায় লেখকের উপরেও বর্তায়, তাই না?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অরফিয়াস ভাই@ আমি তীব্র সমালোচনায় কষ্ট পাচ্ছি না মোটেও। এখানে যতগুলো কমেন্ট তার মধ্যে সত্যিকারের সমালোচনা শুধু আপনি, অতন্ত্র প্রহরী এবং এরকম আর এক-দুইজনের খেকেই পাচ্ছি। এবং সমালোচনায় কষ্ট পাচ্ছি না মোটেও আপনাকে এনশিওর করছি। হ্যা, কষ্ট পেয়েছি, যখন দেখেছি আপনার সচল হবার কারনে যখন সবাই অভিনন্দন জানায় সাথে আমিও, আপিনি সবাইকেই রিপ্লাই দেন, শুধু আমাকে বাদে। অথবা আপনার লেখায় ৬০টা কমেন্টে যখন সবাই কে ধন্যবাদ জানান আলাদা করে, শুধু আমাকে বাদে.. তখন শুধু একটু মন খারাপ থাকে যে, এমন কোন ব্যক্তিগত রেষারেষি তো নেই আমাদের। যাক সে কথা..
ব্লগের লেখায় যদি পাঠকের বদহজম হয়, সেটা লেখকের উপর বার্তায়। মানলাম। তনে লেখাটা যদি অশ্লীয় হয়, বা ভুল তথ্যে ভরা থাকে, বা মূল্যবোধে আঘাত করে। লেখা কেই বুঝতে পারে নি সেটা থেকে বদহজম হলে সেটা পাঠকের সমস্যা না? না বুঝলে তো জিঞ্জেস করা যায়.. যেমন আপনি করলেন। হতে পারে আমি বোঝনোর পরো আপনার কছে আমার উত্তর গ্রহনযোগ্য না। সেটা তো পরের ব্যাপার ভাই। সেখান থেকে আবার বোঝানোর ট্রাই করা যেতে পারে।
"লেখা পড়ে বদহজম হইছে" - এরকম মন্তব্য যদি আপনি বলেন সমালোচনা, তাহলে আমার কিছু করার নাই। কবিতা দুবোর্ধ্য ভাব.. আপনার যে যায়গায় খটকা লেগেছে.. তার আগ পর্যন্ত আপনি যেভাবে বুঝেছেন লেখাটা বা যেভাবে বুঝে নিয়েছেন, আমার কাছে মনে হয় নাই যে, আপনার কাছে দুবোর্ধ্য মনে হয়েছে ততো। আর দুবোর্ধ্য হওয়া মানে আমি তার মানসিকতার সাথে কমিউনিকেট করতে পারছি না হয়তো। বা সে আমার বক্তব্য ধরতে পারছে না॥ এইটুকুই তো। সেখানে বদহজম হওয়ার কোন কারন তো নেই।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
না ব্যক্তিগত রেশারেশির তো প্রশ্নই ওঠেনা, হয়তো চোখ এড়িয়ে যেয়ে থাকবে !! নয়তো একসাথে সবাইকে জানানোর সময় ভুল করে কাউকে কাউকে জানানো হয়না। নয়তো সবার মন্তব্যের জবাব আমি দেয়ার চেষ্টা করি। আমার মনে হয় এর আগেও আমার লেখায় আপনার মন্তব্য দেখে আমি ধন্যবাদ/উত্তর জানিয়েছি। তবে ভবিষ্যতে আরো সচেষ্ট থাকবো। ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ব্যাপার না; মানুষের ভুল হতেই পারে ..
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
সমালোচনা মনে হয় একটু বেশী চলছে। তবে আপনার শুরু দিকের কবিতাগুলোর মতো চমৎকার কবিতা পড়তে চাই।
মুর্শেদ ভাই, সব লেখা একরকম না, সব লেখা সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় না, সমালোচনা চলুক, সমস্যা নাই। :)শুধু নজরুল ভাই হয়তো অতি এক্সসাইটেড হয়ে গেছে।
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ওই ডিপ্ল্যোম্যাটিক ইমিউনিটির দাবি আমরা আনমনে মেনেই নিয়ে থাকি সচরাচর, যে আমি না বুঝলেও হয়ত অন্য কেউ বুঝেছে। কিন্তু পাঠকের বিরক্তি জমতে জমতে একসময় ক্রিটিকাল মাস অতিক্রম করে তখন স্নোবল এফেক্টের মত সব ধপধপিয়ে নেমে আসে একসাথে। এবং লেখকের প্রতিক্রিয়া তাতে অনুঘটক থাকে বইকি।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
অরফিয়াস ভাইকে ধন্যবাদ এভাবে মন্তব্যের জন্যে। এটা অবশ্যই সমালোচনা । সত্যপীর ভাইকে আমি যেটা বলেছি, আপনি সেটা অন্য ভাবে নিয়েছেন। উনি যেসব খটকা এর কথা জিঞ্জেস করেছেন, আমি কিন্তু সবটাই তাকে আমার মতো করে উত্তর দিয়েছি। কোথাও এড়িয়ে যাইনি। যদি সময় হয়, ওনার প্রশ্ন আর আমার উত্তরগুলো দেখে নিবেন। নিজের মতো করে ভেবে নেয়া বলেছি ঐ প্রসঙ্গে, যে যদি কেই বলে হুবহু আমি কি ভেবে লিখেছি সেটা জানতে চায়, সেখানে হয়তো সেটা বলাটা একটু সমস্যা। কিন্তু কারো কোন খটকা থাকলে সেখানে সেটা কিভাবে পড়তে হবে বা অনুবাদ করতে হবে.. সেটা বলতে আপত্তি নেই। এবং সত্যপীর ভাইকে সেখাবেই বলেছি।
আপনার খটকায় আসি। গোলাপি নখ যখন এনেছি, আপনার ধারনা একদম ঠিক যে, সঙ্গী হিসেবে একজন নারী ছিল। জাম্প দিয়ে ওখানে কেন গেলাম.. সে প্রসঙ্গে আসি.. দুজন মদ বা বিয়ার পান করছে, কিভাবে পান করছে সে বর্ননা দেয়াটা দরকার না এখানে।
গোলাপি নখ .. মানে একজন নারী সঙ্গী.. মানে সেও পান করছে.. তারপর ..
জল না হোক, যতটুকু মেঘ ঠোঁটের কার্নিশে
আমার শূন্য গ্লাসে ঢেলে দাও -
সেই নারী সঙ্গীর ঠোঁটে লেগে থাকা ফেনা (মেঘ) .. সেটা শারীরিক আবেদন ... ও চাওয়া বা একটা চুমুর আবেদন.. বা এই পানরত মূহুর্তটা তাদের কাছে বা যে চাচ্ছে তার কাছে কোন মানে থাকছে না বলে.. সেই চাওয়া.. বা অন্যকিছুতে কিছু খুঁগে নেয়ার বাসনা.. এইতো.. আর ওই পানরত মুহুর্ত.. ওই শূন্য গ্লাসের মতোই শূন্য.. তাই
আমার শূন্য গ্লাসে ঢেলে দাও..
পরের টা .. বৃষ্টির গান শোনাই.. মানে বৃষ্টি .. এই অন্তঃনারশূন্য মুহুর্ত থেকে বেরিয়ে যদি কোন আনন্দ বা সুন্দর মূহুর্ত তৈরি হয়..
-----
গোলাটি নখ থেকে ওখানে চলে আসাটা খুব বেশি জাম্প ছিল না; ( আমি ট্রাই করি আমার লেখায়.. তবে..কিন্তু.. তারপর.. এগুলো যতটা পারি এড়াতে)
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সমালোচনার জন্যে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কোন সফটওয়ার দিয়ে কবিতা টা বানিয়েছেন?
শব্দ বাছাই, একেকটা পংক্তির মধ্যে যোগাযোগ খুবি চমতকার হয়েছে।
শব্দগুলো কি আপনি সিলেক্ট করে দিয়েছেন নাকি সফট ওয়ার থেকে নিজে নিজেই.....?
শব্দগুলো খুব সাধারন কিছু শব্দ। লিখেছি যেহেতু আমি, সিলেক্টও আমার করা।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আমার কিন্তু সুন্দর লেগেছে। একটু টেলিগ্রাম টেলিগ্রাম হয়ে গেছে এই যা। তবে আমার মাথা একটু বেশি উর্বর, টুং করতে টাং বুঝে ফেলি। তো আমি যা বুঝলাম তা হলোঃ
"আদিম এক শূণ্যতার গল্প বলি;
কান পেতে শোন গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গের ফোঁটা; উপচে পড়া মেঘ
আমার গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বেয়ে।
আমরা মরে যাইনি আজো, তবু শত দৃশ্যের জন্ম হয়।
সিরামিক বাটি, ঝাঁঝালো চানাচুর, সোনালি মেঘ
এবং গোলাপি নখ?
জল না হোক, যতটুকু মেঘ জমে ঠোঁটের কার্নিশে
আমার শূণ্য গ্লাসে ঢেলে দাও উপুড় করে
আমি আজ তোমাদের আদিম এক
বৃষ্টির গান শোনাই।"
ধন্যবাদ আপনাকে। যে যার মতো করে লেখে সাবিহ আপু/ভাই। আপনি যেমন "আদিম" শব্দটা জুড়ে দিয়েছেন, আমি কিস্তু ছেড়ে দিয়েছি, শূন্যতা ও বৃষ্টিকে যে যার মতো করে সেটা অনুবাদ করুক। কারো কাছে শূন্যতা প্রিয়, কারো কাছে অসহ্য, কারো কাছে বৃষ্টি স্গ্ধি, কারো কাছে স্মৃতি.. কারো কাছে আনন্দ.. কারো কাছে আশা ও আকাঙ্খা। আবার আপনি তাকে নির্দিষ্ট একটা অবয়ব দিতে ট্রাই করেছেন। এই আরকি।
ধন্যবাদ আবারো পড়ার জন্যে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
চরম উদাসের ম্যাটল্যাব কোডে না লেখলে হয়তো কবিতাটা এইরকম হইতো
আমি অনেক কম জানি বলেই হয়তো আপনার কবিতার মর্মার্থটা বুঝতে পারিনি, মাথার একটু উপর দিয়েই গেল। তবে আরেকটা ব্যাপার নিয়ে আমি বেশ কিউরিয়াস। সেটা হল এই কবিতার ছন্দ-মাত্রার বিন্যাস। আপনি কি অনুগ্রহ পূর্বক একটু ব্যখ্যা করবেন যে এই কবিতাটা ঠিক কোন ছন্দে লেখা হয়েছে?? এর মাত্রা বিন্যাসটাই বা কেমন??
দেব মুখার্জি
[db.dev.m@gmail.com]
--------------------------------------------------------------
দেব এর উঠোন ॥ ফেইসবুক ॥ গুগলপ্লাস
কবিতাটা কোন ছন্দে লেখা না দেব ভাই। কোন ছন্দে যে লেখা লাগবে সেরকম কোন ব্যাপারও নেই। অলসো, স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত ও এর নিয়মকানুন সম্পর্কে আমার জ্ঞান একদমই ভাসাভাসা।
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আর কিছু না হলেও তো গদ্যছন্দে অন্তত লেখা হয়। এটা কি সত্যিই কোন পর্যায়ে পড়ে নি। আর না পড়লে কবিতা হয় কীভাবে?
দেব মুখার্জি
[db.dev.m@gmail.com]
--------------------------------------------------------------
দেব এর উঠোন ॥ ফেইসবুক ॥ গুগলপ্লাস
কবিতা হয় নাই তাইলে গদ্যছন্দ কি আমার জানা নেই।আপনি হয়তো গদ্যকবিতা মিন করেছেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ছন্দ থেকে মুক্তি নাকি ছন্দে থেকে মুক্তি ? যদি বলেন গদ্যকবিতা বা গদ্যছন্দ.. লাইন ব্রেক টা কিন্তু সেই লেখকের হাতেই থেকে যায়, কোথায় সেটা সে দিবে।
আগে একটা কথা ছিল "সুর বসানো কথাই হচ্ছে কবিতা॥" আধুনিক কবিতা চেয়েছে, কবিতার কথা তার নিজের পায়েই দাঁড়াক। যেকোন ছন্দই হোক না কেন.. এমনকি.. আধুনিক ছন্দ বা স্বাভাবিক ছন্দ.. লেখায় কোন ছন্দের নিয়ম করে লিখতে হবে বা লিখতে লিখতে সেটাকে শেয়ে এসে কোন নিয়মে বেঁধে য়েলতে হবে.. এমনতো না।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আমার মনে আপনার উচিত আরো সময় নিয়ে পোষ্ট করা। দু'টি পোষ্টের মাঝে কমপক্ষে ৪/৫ দিন গ্যাপ রাখা যেনো একটা কবিতার আমেজ শেষ হওয়ার পর পাঠক আরেকটি পড়তে পারে। কবিতা কম বুঝি তাই ভালো বা মন্দ সেদিকে যাবনা।শুরু থেকেই আপনার লেখা পড়ছি। আশা করি সামনে ধারালো লেখা পাবো আপনার কাছ থেকে। আর সমালোচনাই কিন্তু সচলের মূল শক্তি তাই একে হাসিমূখে গ্রহন করাই মঙ্গল।
ইশতিয়াক
হাসিমুখেই গ্রহন করছি ইসতিয়াক ভাই।অনেক পোস্টে স্মাইলি সাইন দেই নাই মানে এই না যে মনঃকষ্টে ভুগছি।
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেক কথা বলা হৈছে, জানিনা আপনি কিভাবে নিচ্ছেন। কৈতেছেন পজিটিভ হৈছেন। ভালো কথা। তয় এক্ষান কথা কই - কবিতার জন্য কবিতা নয়, মানে লেখার জন্য লেখা নয়, অন্যের জন্য লিখুন ( কবিরা তো নিজের জন্য লিখে ), দেখবেন সেই লেখা ভালো না লেগে পারবে না।
আমি কবিতা বিশেষজ্ঞ না, তবুও কবিতা ভালোবাসি। একসময় কলম কান্ধে নিয়া ভাবছিলাম আমি কবিই হমু, পারছি না। গিয়াঞ্জাম অনেক, কবিতার ভার বওয়া অনেক টাফ! উত্তরাধুনিক কবিতা নিয়া কথা কৈতে গেলে আগে আধুনিকতাবাদ নিয়া কথা কৈতে হৈব। আর আধুনিকতারে অতিক্রম কৈরা ঐখানে যাওয়ার লাইগ্যা শুধু 'ডিকশানারি' থেইক্কা শব্দচয়ন হৈলেই ছৈলত না ভাইডি, ছাড়াছাড়া আর ভাসাভাসা। আফনার কি কবিতা কোন লেংথে ফালাইতে পারলাম না, ফ্রন্টফুটে খেলতাম চাইলাম, হৈল না। এরপর ভাবলাম কাভারের উপ্রে দিয়া চালাইয়া দিমু, কট হৈলাম, সুইপ করতে গিয়া শট উরাধুরা হৈল, চাইরদিকে শূন্য হাতে প্যাভিলিয়ানে ফিরলাম। ...... বুঝতেই পারতেছেন।
আর একটা জিনিষ, বাস্তবময় শাব্দিক কবিতা আর কবিতায় বাস্তবতা নিয়া অনেক ঝামেলা আছে। এগিনি ইট্টু দেইখেন, ভালা বৈ খারাপ হৈত না কৈতারি। আমি জীবন বাবুর কথা মাইন্যা চলি অক্ষরে অক্ষরে - সকলে কবি নয়, কেউ কেউ। ইল্লেইজ্ঞা আপনেরে কৈতেছি না আপনি কবি হন কি নন, ব্যাপক অর্থে কৈছি।
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি কবিতা খুব পছন্দ করি। আপনার একটা কবিতা খুব ভালো লেগেছিলো! তবে বেশ কিছুদিন ধরে কবিতাগুলো তেমন মুগ্ধ করছে না।
সময় নিয়ে যত্ন নিয়ে শব্দ নিয়ে খেলবেন আশা করি।
শুভ কামনা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
"আমি একটি কাঁচপোকা ভালোবেসেছিলাম" হয়তো সে কবিতার নাম। সেটা অনেকেরই ভালো লেগেছে, কিন্তু দেখেন, আমার কাছে সেই লেখাটাই হয়তো ততো ভালো না। মুগ্ধতা, একেক জনের কাছে একএক রকম ভাবে আসে। আমি সময় নিয়ে যত্ন করেই লিখছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্যে।
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনার অনেক কবিতা ভালো লাগলেও এটা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনি। অক্ষমতা আমার, তাই বুঝিনি ঠিক কি বলতে চেয়েছেন। যদিও বেশিরভাগ মননশীলদের কীর্তি প্রথমে আমরা বুঝিনা, পড়ে ধীরে ধীরে তাদের জড়তা কেটে যায়। তারা পাঠকের জন্যেও কিছু সৃষ্টি করেন। পুড়ে পুড়েই যেমন খাঁটি সোনা মিলে, তেমনি পাঠকের অবোধ্য দু'একটি কবিতার মাধ্যমেই আপনার সৃষ্টি পাবো আমরা। keep it up....
ধন্যবাদ আপনাকে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আমার কাছেও আপনার প্রথম দিকের কবিতাগুলো বেশি ভালো লেগেছে।
তবে এখন যখন দেখছি অনেকের সাথেই আমার মনে হওয়াটা মিলে যাচ্ছে, তখন মনে হচ্ছে আমার মনে হওয়াটা একদম ভিত্তিহীন নয়।
আমিও যে খুব বেশি কিছু কবিতা বুঝি তা নয়।
তবে একটা কথা ঠিক, যখন অনেকেই একই রকম কথা বলছেন আপনার একটু ভেবে দেখা দরকার। আসলে কবিতা শুধু পাঠকের জন্যেও নয় আবার শুধু কবিতার জন্যে তাও নয়। উত্তর আধুনিক কবিতা বিমূর্ততার মধ্যে থেকে বোধকে মূর্ত করে। একটা কবিতা সবার বা বেশিরভাগের ভালো লাগতেই হবে তা নয়। কিন্তু ওপেন ফোরামে লেখার ক্ষেত্রে একটু দায়িত্ব থেকেই যায়।
এখানে যাঁরা মন্তব্য করেছেন তাঁদের অনেকেই নিয়মিত উত্তর আধুনিক কবিতা পড়েন এবং তাঁদের মোটামুটি একটা ধারণা আছে। আপনি যদি যে কোন খোলা আড্ডায় কবিতাটা বলতেন হয়তো অনেক তীর্যক মন্তব্য আসত। কিন্তু সেইরকম আড্ডায় অনেক মহান কবির অনেক মহান কবিতাকেও হয়তো একইরকম আক্রমণের সম্মুখীন হতে হত। কিন্তু সচলায়তনের পাঠকদের ওপর আপনার বিশ্বাস আছে বলেই তো আপনি এখানে লেখেন, তাই না। তাই তাঁদের অনুভবকে এবং কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশিরকম তীর্যক মন্তব্যকে নিরপেক্ষভাবে গ্রহণ করে একটু ফিরে ভাবুন।
কবিকে কোনও উপদেশ দেবার ক্ষমতা আমার নেই। কিভাবে লিখলে তা বেশিরভাগের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তাও জানিনা। আমি শুধু আপনার হাতে ছেড়ে দিলাম একবার নিজেকে নিয়ে, নিজের কাব্যভাষা নিয়ে, কবিতার প্রতি বিশ্বাসকে নিয়ে আত্মসমীক্ষার কথা।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ আপনাকে সাহা ভাই। কবিতা তার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেকেরই দেখা যাচ্ছে কবিতাটা ভালো লাগে নাই। সেইটা না লাগার পূর্ণ অধিকার সবার আছে এবং জানানোর অধিকারও আছে। ওইটুকু পর্যন্ত আমি কোন সমস্যা দেখি না।
কিন্তু যেই অংশে আমার আপত্তি আছে, সেইটা হইতেছে আপনাদের অনেকের আপত্তির গ্রাউন্ড। আপনারা অনেকেই যেইভাবে ভাষা ধইরা, শব্দ ধইরা কবিতারে দাঁড়িপাল্লাতে তুলতেছেন, সেইভাবে কবিতাকে মাপা যায় কিনা, এইটা একটা মিলিয়ান ডলার কোশ্চেন, যেইটার উত্তর সম্ভবত অজানা।
কিছু অভিযোগ অনেকটা অ্যাবস্ট্রাক্ট ব্যাপার যেমন তারানা বলেছেন তিনি কবিতায় কোহেরেন্সের অভাব পেয়েছেন- এই অভিযোগের আসলে সঠিক কোন জবাব নাই। কোহেরেন্সের সঠিক সংগা কবিতার কনটেক্সটে আসলে কী, সেইটা কেউ বলতে পারবেন ? আমার জানা নাই, কেউ জানলে আমাকে আলোকিত করতে পারেন। আবার কিছু অভিযোগ স্পেসিফিক- যেমন অপ্র ভাইয়েরটা। অপ্র ভাই স্পেসিফিকালি কিছু পয়েন্টের দিকে আঙ্গুল তুলছেন, যেমন বাক্য গঠণ ঠিক নাই, শব্দের ব্যবহার ঠিক নাই ইত্যাদি। এইখানে আমার একমাত্র প্রশ্ন হইতেছে, এই ব্যাপারগুলি কবিতার ক্ষেত্রে এতো সোজা সাপ্টা বলা যায় কিনা। 'গ্লাসের কাঁচ' নিয়ে প্রশ্নটা করলেন, একই রকম প্রশ্নে বোধহয় পৃথিবীর অনেক কবিতাই কাটা পড়ে যায়- সচলের কবিরা আরো ভালো বলতে পারবেন। তবে অপ্র ভাইয়ের মন্তব্যের যে অংশের সাথে আমি সবচে বেশি দ্বিমত জ্ঞাপন করেতছি-
সব কবিতাই কি দৃশ্যকল্প জাগিয়ে তোলে? সম্ভবত না। এক ধরনের কবিতা জাগিয়ে তোলে, কিন্তু সব কবিতা জাগায় না। এবং দৃশ্যকল্প তৈরি কবিতার জন্য আবশ্যক কোন ব্যাপার না। অন্তত আমার জানাশোনা এমনই। কাজেই দৃশ্যকল্প কেন জাগলো না সেইজন্য কবিকে দোষারোপ করা, আমার দৃষ্টিতে অনুচিত ব্যাপার। কারো ব্যক্তিগত পক্ষপাত থাকতে পারে দৃশ্যকল্পের জন্য, কিন্তু কবিকে সেভাবেই লিখতে হবে, এমন দায় আমি কোথাও দেখি না।
আর দায়ের কথাতেই আরেকটা প্রসঙ্গ উঠে আসলো- কবির দায়, পাঠকের বোধ্য কবিতা লেখার। এইটা সম্ভবত কবিতা কিংবা সাহিত্যেরই সবচে বিতর্কিত একটা প্রসঙ্গ, যার উত্তর আমার জানা মতে অনির্ধারিত। তবে আমি ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে লেখকের এমন কোন দায় দেখি না। লেখক তার মতো লিখবেন, পাঠক পড়বেন। ভালো কিংবা খারাপ যাই লাগুক- পাঠক সেটা সবিস্তারে (কিংবা কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই) জানাবেন। এবং পাঠকের খারাপ লাগার কারণ লেখক তার বিবেচনা অনুযায়ী গ্রহণ করবেন, কিংবা করবেন না। কোথাও-ই আমি কোন পক্ষের দায় দেখি না। পাঠকের অধিকার আছে যে কারো লেখা ছুড়ে ফেলে দেওয়ার, সে ক্রেসিডাই হোন আর রবীন্দ্রনাথ- কোন জবাবদিহিতা ছাড়াই।
অনেকেই আবার দেখলাম,এই কবিতাকে শুধুমাত্র দুর্বোধ্যতার কারণে কিংবা অন্য কোন অজানা কারণে উত্তরাধুনিক বলে অভিহিত করছেন।এই ব্যাপারটাও আসলে খুব ক্লিশে। যা কিছু দুর্বোধ্য, তা কিছুই উত্তরাধুনিক- এইটা একটা চলতি মকিং হইতে পারে, কিন্তু যখন সিরিয়াসলি আপনি একটা কবিতারে কাঁটাছেড়া করতে বসছেন, তখন বোধহয় এতো সহজে বলা যায় না। যদি উত্তরাধুনিক বলতে হয়,তবে অন্তত কোন কোন ক্রাইটেরিয়াতে তাকে উত্তরাধুনিক বলছেন, সেইটাও বলা দরকার।
মন্তব্য ম্যালা লম্বা হয়ে যাচ্ছে, শেষ করা দরকার। এতো লম্বা কথার শেষে নিজের মতটুকু দেই- পাঠক হিসেবে আমি শুধু এইটাই বলবো, আপনার কবিতাটা আমার খুব একটা ভালো লাগে নাই। একান্তই ব্যক্তিগত মত- মানা না মানা আপনার উপর। আরেকটা ব্যাপার, যেইটা হয়তো অনেকেই ভাবছেন কিন্তু বলছেন না- আপনার কবিতার ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেশি। একজন লেখক, তিনি যতোই ভালো লেখেন না কেন- প্রতিদিন তার লেখা নীড়পাতায় দেখলে মানুষের মধ্যে একটা স্বাভাবিক বিরক্তি চলে আসে। আমার মনে হয় আপনার এই দিকটাও ভাবা দরকার। নীতিমালা যেমনই থাকুক, কিছু সেন্স নিজের থেকে অ্যাপ্লাই করা মনে হয় দোষের না।
অনেক কথা বললাম। ভালো থাকেন। আশা করি ভবিষ্যতে আপনার লেখা সচলায়তনে দেখতে পাবো।
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কবিতা হোক বা যেকোনো লেখা, বাক্য গঠন বা শব্দচয়ন গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই। এই মানদণ্ডে অনেক কবিতাই বাদ পড়ে যায় মানে যে এগুলা নিয়ে যত্নবান হওয়া যাবে না, তা তো না। দৃশ্যকল্পের ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত মত হলো, ভালো কোনো কবিতা পড়লে এরকম অনুভূতি হয়। সব কবিতাতেই যে এমন হয়, তা না। "সাধারণত" হয়। তবে অবশ্যই এ ব্যাপারেও ভিন্ন মত থাকতেই পারে, থাকবেই। সবশেষে, আপনার শেষ থেকে ২য় প্যারাটাই হলো আসল কথা।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনার এই কবিতাটা (আমি একটি কাঁচপোকা ভালোবেসেছিলাম) পড়ে এতো ভালো লেগেছিলো যে আশান্বিত হয়ে উঠেছিলাম, চমৎকার একজন কবির আগমন ঘটলো। কিন্তু আপনি ক্রমান্বয়ে হতাশ করতে থাকলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে অদ্ভুত সব শব্দ-বাক্য-বন্ধ হতে থাকলো, অর্থ-ভাব-যুক্তিত্ব হারাতে থাকলো। এখন আপনার কবিতা ৩০/৪০ শব্দের প্রোগ্রাম্ড কোড হবে দাঁড়িয়েছে।
আমি আপনাকে এই কথা অবশ্য বলতে পারি না। কারণ আমারও ১৭ (সঠিক নাও হতে পারে) খান হাবিজাবি কবিতা সচলে প্রকাশ পেয়িছিল, এখন আর পায়ই না। তবে আপনার অন্তঃত একটি ভালো কবিতা আছে, আমার তাও নাই, আমার সবই ফাউল।
প্রতি ১০ পোস্টের পর কবিতা দেওয়া আপনার মনে হয় রোগ হয়ে গেছে। অনেকের কথায় মনে হলো এতেও তারা বিরক্ত। সচলের অভিরুচি সম্বন্ধে জানতে এই ভোটিংটা দেখতে পারেন যে সচল একজন (সুস্থ)লেখকের কাছ থেকে বছরে কয়টি কবিতা আশা করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো মাসে দুটো কবিতা দিন, অনেক অনুশীলন চালান, একবার লিখেই প্রকাশ করবেন না। অর্থসহতা গুরুত্বপূর্ণ মনে করুন। আমি বিশ্বাস করি আপনার প্রতিভা আছে। একটু যত্নবান হলে আমরা আপনার কাছ থেকে চমৎকার কবিতা পাবো।
এ অংশটুকু পড়ে খুব মর্মান্তিক লাগলো। একজন কবির কবিতা লেখার আগে ন্যূনতম এই ব্যাকরণটুকু জানা উচিৎ বলে মনে করি। এই বিষয়ে আর কিছু বলার নাই।
_____________________
Give Her Freedom!
" একজন কবির কবিতা লেখার আগে ন্যূনতম এই ব্যাকরণটুকু জানা উচিৎ বলে মনে করি।" ছন্দের ব্যাকরনটুকু জানা জরুরি সেটা আপনার মতামত। আমার না; মতভেদ থাকবেই।
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনি বানানের ব্যাকরণ মানতে উন্নাসিক তথা মানেন না, বাংলা ভাষার বাক্যগঠনরীতি মানেন না, কবিতার বেসিক ছন্দ জানার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন না। খুব অদ্ভুত লাগলো। আসলে আপনি অনেক বড় একজন লেখক তথা কবি, আপনি অবশ্যই এগুলোর উর্ধ্বে। মানার দরকার নাই।
যাই হোক, ছোট মুখে দুটো বড় কথা বলিঃ আপনার প্রথম ৩ টি কবিতায় দেখবেন এখানে যারা কড়া সমালোচনা করেছে তাদের প্রত্যেকেরই সুন্দর সুন্দর মন্তব্য রয়েছে। আসলে আপনি নিজে তাদেরকে অত্যুচ্চে তুলে ইদানিং প্রতিদিনই পাতালে আছাড় মারছেন। তাই তারা উচ্চকণ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার দিকে একটু গুরুত্ব দিলে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করলে দেখবেন আবার সব ঠিক হয়ে গেছে। একটা পোস্ট দিয়ে একটু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করুন নতুন পোস্ট দেবার আগে।
সমালোচনায় বা কখনো প্রশংসায় আছি পাশে। ধন্যবাদ।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্যে। আমার লেখায় সবসময়ই আপনার মন্তব্য পাই, সেজন্যেও অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্যে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
১) কবিতা বুঝিই কম, বিশেষ করে কঠিন গুলা তো আরো না। কিন্তু রবীন্দ্র-নজরুল-জীবনানন্দ-রুদ্র-শামসুর উনাদের কবিতা বুঝতে সমস্যা হয়নাই কখনো।
২) আপনার কাছে আমিও ১-২ বার মানে বুঝতে চাইসি আগে, আপনার মনে আছে মনে হয়। এবারেরটা এতই দুর্বোধ্য ছিল যে আর জিজ্ঞেস করার সাহস হয়নাই, বা আগ্রহ হয়নাই এটাও বলা যায়। কালকে থেকে মন্তব্য গুলা দেখতেসিলাম।
৩) মানুষ বিদ্রুপ করসে, তীর্যক কথাও বলসে, সেটা হবেই। কিন্তু ' বুঝলে বুঝেন নাইলে না বুঝেন '- আপনার এই প্রবণতা দেখে একটু খারাপ লাগসে।
কোন উপদেশ দিমুনা, দেওনের মতন পাকনা এখনো হইনাই
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনিও দেখলাম অভিযোগ করলেন "বুঝলে বুঝেন নাইলে না বুঝেন " বলেছি। কোথায় বলেছি সেটা যদি আমাকে দেখাতেন খুশি হতোম। বরং যারা যেখানে যে খটকা আমাকে প্রশ্ন করেছে, আমি সেটা জবাব দিয়েছি।
জীবনানন্দ এর কবিতা বোঝার না, অনুভবের বিষয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভাই হুবুহু বলসেন তাতো বলিনাই, বরং মনে হইসে আপনার এ্যটিচুড ওরকম। আর আমরা এতগুলা মানুষ একই জিনিস ভুল বুঝলাম!!! সেটা একটু বেশিই কাকতালীয় হয়ে যায়না??
হায়রে, আপনারেই কোট করি 'সেটা আপনার মতামত। আমার না।'
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ভাই, ভুল বা কাকতালীয় এর তো ব্যাপার না; যদি মনে করেন যে বলে ফেলেছি একবার, তো আর বদলানো যাবে না, কি করার আছে? আর আমার এ্যাটিচুড নিয়ে আপনার ভেবে নেওয়া ইমেজ, সেটা তো এই মাত্র কয়েক মাস, আর কিছু পোস্ট এর খাতিরে; একজন মানুষের মন-মানসিকতা মাপার জন্যে বা পুরোটা জেনে যাবার জন্যে তো যথেষ্ঠ না। যাক সে কথা, আপনার বলার কাজ আপনি বলছেন। এখন সেটাকে সাপোর্টের জন্যে এ্যাটিচুড টানবেন, বা ....
যাক, আরো একবার ট্রাই করি, যদি তাতে আপনার ভুল ভাঙ্গে- আপনার কথামতে আমি হুবহু বলি নাই, কিন্তু আপনি কিন্তু এ্যাটিচুড খেকে ধারনা নিয়ে হুবহু ঐ কথাটাই বলে গেলেন। আমি সেটা বলতে চেয়েছি, যে.. আপনি যদি আমাকে বলেন যে "ক্রেসিডা .. তোমার এই উদ্ভট কবিতা আমি মোটেও বুঝতে পারি নাই, যাদ বলো এর মানে কি, বা আমি এই পর্যন্ত পড়ে, এই প্লেসে এসে আটকে গেছি, এটাকে আগের লাইনগুলোর সাথে কিভাবে লিঙ্ক করা যায়, বা কেন এল"/// সেই উত্তর কিন্তু আমি কোথাও এড়িয়ে যাইনি। কিন্তু, যদি কেই বলে হুবহু আমি কি ভেবে লিখলাম, সেটা বলাটা একটু ঝামেলা। তার থেকে যেকোন জিনিস হোক, কথা হোক, বা কবিতা বা গল্প.. অনেক এঙ্গেল থেকে বলা যায় বা দেখা যায়.. আমি সেখানে সেটুকু বলতে পারি বড়োজোর।এখানে বুঝলে বুঝেন না বুঝলে নাই.. এরকম এ্যাটিচুড নাই রে ভাই। এ্যটিচুড থাকলে, তার প্রকাশও থাকতো।
ভালো থাকেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এত চমৎকার একটা কবিতার অর্থ বোঝে না কেন লোকজন, তা-ই বোধগম্য না।
কবিতা-অবুঝদের জন্য একটা লাইন বাই লাইন অর্থসহ ব্যাখ্যা দেই:
সুবর্নরেখা = এখানে হয়তো বানান ভুলের জন্য পাঠকের অবোধগম্যতা ক্ষমা করা যায়। সুবর্ণ অর্থ সুন্দর বর্ণ। তবে রেখা অর্থ কি, তা বর্ণের অর্থের ওপর নির্ভর করে। বর্ণ যদি অক্ষর হয়, তাহলে রেখা সরল রেখাও হতে পারে, বক্ররেখাও হতে পারে। তবে বর্ণ অর্থ যদি রঙ হয়, তাহলে কবি বলিউডি এক্স-নায়িকা রেখার গায়ের রঙকেই এখানে ইঙ্গিত করেছেন।
শূন্যতার গল্প বলি; = শূন্যতার অর্থ শূন্যের অবতার। এখানে শূন্যের আবিষ্কারক আর্যভট্টকে রূপকার্থে শূন্যের অবতার বলা হয়েছে। অনেকেই সরল রেখা, বক্ররেখা আবিষ্কার করতে পারলেও শূন্যের ধারণা আর্যভট্টের আগে কারো মাথায় আসে নি। এই মহামানবের জীবনের গল্প ইন্ডিয়ানা জোন্সের মতোই বিস্ময়করভাবে কবি বর্ণনা করতে যাচ্ছেন।
কান পেতে শোন গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গের = বার্গ অর্থ পাহাড়, যেমন টাইটানিক ধাক্কা খেয়েছিলো আইসবার্গের সাথে, অর্থাৎ বরফের পাহাড়ের সাথে। জোহান নামের একজন একটি পাহাড়ের মালিক ছিলো। সেখানে আর্যভট্টকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিলো তরল পান করতে। তখনকার যুগে শুকনা (গাঁজা) আবিষ্কৃত হয় নি, তাই তরলসেবনই ছিলো ভাবোদ্দীপনার একমাত্র মাধ্যম। চিয়ার্স বলে বলে আর্যভট্ট আর জোহান যখন তরল সেবন করে চলছিলো, তখন নেশা ভালোমতো লাগার পরে গ্লাসের ঠোকাঠুকির শব্দ শুনে আর্যভট্ট ভাবে কী ব্যাপার! শব্দ হয়; কিন্তু কিছুই দেখি না!! অর্থাৎ এমন জিনিসও থাকতে পারে, যার নিজের উপস্থিতি নাই; কিন্তু প্রভাব বর্তমান। এখান থেকেই মূলত শূন্যের ধারণাটা আসে।
উপচে পড়া মেঘ গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বেয়ে
সিরামিক বাটি
ঝাঁঝালো চানাচুর, = এই অংশটা মূলত অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বুঝেনই তো! কবিতায় কবি যা বলতে চায়, তা দুই তিন লাইনেই বলা হয়ে যায়। কিন্তু একটু এদিক ওদিক না চোখ দিলে তো শব্দসংখ্যা বাড়বে না। এখানে উপচে পড়া মেঘ অর্থ বৃষ্টি হওয়া। মেঘ থেকে পানি উপচে পড়ছে, তারপর সেটা জানালার কাচ বেয়ে বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। প্রকৃতি এখানে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে, কোনো রাখঢাক নাই। পানের টেবিলে অবশ্য একটা বাটিতে ঝাল দেয়া চানাচুর অবশিষ্ট আছে। বুঝেনই তো তরলে যখন পেয়ে বসে, তখন কী আর চানাচুর ভক্ষণের মুড থাকে! তবে চানাচুরের সাথে মুড়ি ছিলো কিনা, কবি বাহুল্যবর্জনপ্রয়াসে তা স্পষ্ট করে বলার প্রয়োজন বোধ করেন নি।
এবং গোলাপি নখ; = এখানে গোলাপি নখ বলতে ময়লা দাগধরা নখকে বুঝানো হয়েছে। পান করতে করতে কখনো হয়তো কোনো বোতল থেকে পানীয় আর্যভট্টের হাতে পড়ে যায়। তখন দাগ ধরে যায়। নেশার ঘোরে তিনি রঙ ঠিকমতো বুঝতে পেরেছেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। রেড ওয়াইন খেলেও নাহয় গোলাপীর কাছাকাছি রঙ হওয়ার চান্স আছে।
জল না হোক, যতটুকু মেঘ ঠোঁটের কার্নিশে
আমার শূন্য গ্লাসে ঢেলে দাও - = আর্যভট্ট এখানে তার তরলে জল না দিয়ে একদম র পান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। জল খাওয়ার দরকার হলে তিনি একবারে মেঘ খাবেন। কিন্তু তরলের ভিতরে কোনোরকম ভেজাল দেয়া চলবে না। তার শূন্য গ্লাস পূর্ণ করতেই হবে।
বৃষ্টির গান শোনাই। = এরপর আর্যভট্ট ও তার বন্ধু জোহান মিলে পুরোপুরি নেশাতুর অবস্থায় হেঁড়ে গলায় অর্থহীন গান গাইতে গাইতে সেই বৃষ্টির মধ্য দিয়ে হেঁটে যান।
নামকরনের সার্থকতা: এতোক্ষণে কবিতার নামকরনের সার্থকতা বুঝতে পারা উচিত। এটা স্পষ্ট যে, সুবর্ণরেখা বলতে কবি নায়িকা রেখাকে বুঝান নি; বরং রেখার জ্যামিতিক অর্থকেই ইঙ্গিত করেছেন। কবিতাটি মূলত আর্যভট্টের শূন্য আবিষ্কারের কাহিনী। সুবর্ণরেখা অর্থ শূন্য। শূন্য লিখতে গেলে রেখা আঁকতে হয়। আর শূন্যের চেহারাটাও মাশাল্লাহ খুব সুন্দর, একদম সিমলেস।
কবিতায় পঞ্চতারা খচিত করা হইলো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
টুইটার
সত্য সত্য সদ্য কুয়া থেকে আগমন। আর সকলে যেমন সশস্ত্র, ভয় না পেয়ে উপায় নাই।
যাই হোক, কবির নাম মনে নাই সেই যে বলেছিলেন ' না কোন শুন্যতা মানি না'।
কিন্তু আপনার কবিতা পড়ে মনে হচ্ছে, সব টুকু শুন্যতা আমার হোক।
শুভকামনা
মিনাশিক
--------------------------------------------
বুকের গহীণে জমা যতটুকু জলজ প্রয়াস, অপেক্ষার সমূহ শিশির
মিলায় মিঠাকড়া রোদের মায়ায়
যথারীতি ব্যতিক্রমধর্মী ।
শুভকামনার পরসমাচারে
কতিপয় আব্দার / অনুরোধ
সব্যসাচী হওয়া যায়না?
অনুর্ধ-১৮ দের জন্যও লিখুন।
আপনার নামতা আমার রুপকথা
কয়দিন পর স্কুলে যাবে,
বন্ধুদের কাছে গল্প বলবে
তাদের বাবা-চাচা একজন কবি।।
তাদের সমবয়সী বন্ধুমহলের জন্য
নয়তোবা আগামী বইমেলার জন্য
একটি শিশুতোষ কবিতার বই চাই।
সদ্যকেনা সুকুমার রায়ের পাশে
একটু যে জায়গাটা দেখছেন ঐ শেল্ফে
সেটা পুরণ হওয়াটা আপনার হাতে।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুজন ভাই। যদি কোনদিন হয ..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনার কবিতাটি আমার খারাপ্ও লাগেনি আবার ভালোও লাগেনি যেহেতু কবিতাটির কিছুই আমি বুঝতে পারিনি। আমি নিতান্তই একজন কাব্যবোধহীন মানুষ। ছড়া টুকটাক ভালো লাগে পড়তে যেহেতু শেষে মিল থাকে।
সচলে যারা কবিতা পড়ে তারা কবিতা বোঝে বলেই কবিতা পড়ে, এটা আমার বিশ্বাস। এখানে যারা আপনার কবিতা পড়ে, তারাই কিন্তু আবার শাহীন, জলিল, আখতার, সবুজ বাঘ, রোমেল, ওলি, মনিকা, তানিম, প্রমূখের কবিতা্ও পড়ে এবং মন্তব্য করে থাকে। একটু কষ্ট করে যাদের নামোল্লেখ করলাম, এদের কবিতাগুলোতে ঢুঁ মেরে এসে দেখতে পারেন যে তারা সেখানে কি মন্তব্য করছে এবং আপনার কবিতায় কি মন্তব্য করছে। একটু গবেষণা করে দেখতে পারেন এই ভিন্নধারার মন্তব্যের কারণগুলোকে।
আরেকটা বিষয়- আপনি যেভাবে কবিতার বোধগম্যতার প্রশ্নে তারানা এবং কৌস্তুভের মন্তব্যের উত্তর দিলেন তাতে আমি নিজেই সন্দেহের জালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি যে হয়তো আমি নিজেই একটি ভূলের আবর্তে বিচরণ করছিলাম। আমার ধারণা ছিলো যে প্রতিটি কবিতার একটি ইউনিভার্সাল বোধ থাকে। আমি বিশ্বাস করি যারা কবিতা পড়ে তাদের প্রায় সকলেরই কবিতার সেই বোধো্দঘাটনের যোগ্যতা আছে বলেই তারা কবিতা পড়ে এবং কবিতার রসাস্বাদনের চেষ্টায় মগ্ন থাকে। এথন একই কবিতা যদি কবির কাছে এক ধরণের অর্থবহ হয় এবং ভিন্ন ভিন্ন পাঠকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে, অথবা কারো কারো কাছে অর্থহীন বলে প্রতীয়মান হয়, তবে তা বোধ করি খোদ কবিরই কাম্য হয়না। এবং এটা নিয়ে যদি সমালোচনার সৃষ্টি হয়, কবি তাকে কোনও যুক্তি দিয়েই উড়িয়ে দিতে পারেনা। একটা সঠিক ব্যাখ্যার চাহিদা পুরন করার দায়ও কবি এড়াতে পারেনা।
যে কোনও লেখা পড়তে পাঠক যে সময়টুকু ব্যায় করে থাকে সেটা তার সময়ের একটা মূল্যবান বিনিয়োগ। এই বিনিয়োগের বিনিময়ে প্রত্যাশা থাকে তৃপ্তি। লেখক যদি পাঠককে সেই তৃপ্তিদানে অক্ষম হয়, তবে লেখক কিন্তু সেই দায় এড়াতে পারেনা। ব্লগে লেখার অন্যতম একটা সুবিধা হচ্ছে এটা লেখক এবং পাঠককে কাছাকাছি নিয়ে আসে। এখানে লেখক দ্রুততার সাথে তার পাঠকের অনুযোগের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারে এবং অভিযোগগুলোকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে পরবর্তী লেখাগুলোতে তার প্রতিফলন ঘটাতে পারে যেটা মুদ্রণমাধ্যমে অত্যন্ত দূরুহ। এবং এই সুবিধাটা সকলেরই নেওয়া উচিত।
আমার মন্তব্যে আপনি আহত বোধ করলে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আপনাকে এটুকু বোধকরি বলতে পারি যারা আপনার লেখার সমালোচনায় মূখর হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই আপনার পাঠক এবং আপনার কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশা অনেক উচ্চ। নাহলে হয়তো তারা কেবলমাত্র আপনার লেখা পড়ে চুপ করে থাকতো এবং ভালো না লাগলে পরবর্তীতে আপনার আর কোনও লেখা পড়তো না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনাকে ধন্যবাদ রাতঃস্মরনীয় ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
""আপনি যেভাবে কবিতার বোধগম্যতার প্রশ্নে তারানা এবং কৌস্তুভের মন্তব্যের উত্তর দিলেন তাতে আমি নিজেই সন্দেহের জালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি "" আমি কিন্তু কবিতার বোধগম্যের প্রশ্নে তাদের উত্তর দেই নি। সমালোচনা বা আলোচনা বা নিতান্তই কমেন্ট করার জন্যে আপনি যদি লেখেন এখানে, যে .. "কিচ্ছু হয় নাই/ বা ধুর কি লিখছেন, বা আমার কাছে ভালো লাগে নাই, ০ তারা থাকলে সেটাই দাগাইতাম.." সব কিছু কিন্তু এক্সসেপটেবল। কিন্তু আপনাকে শুধু কিন্তু আপনার অনুভূতির কথাই বলতে হবে। তারানা আপু কিন্তু বলে নাই যে কবিতা তার কাছে কোন অর্থ বহন করে না, বলেছে, "এই কবিতা কোন অর্থই বহন করে না", কথাটায় মনে হয়েছে সব পাঠকের রিপ্রিজিনটিটিভ করছেন তিনি।
"প্রতিটি কবিতার একটি ইউনিভার্সাল বোধ " এই বোধটা ভাই অনুভবে। অর্থে না। কবিতা সবসময়ই এক এক জনের কাছে এক এক রকম অর্থ নিয়ে যায়। যেমনটা রোমান্টিসিজমের বেলা। রোমান্টিক মানে কি নয়? অনেক কিছু... যেমন.. কল্পনাপ্রবন, স্বপ্নময়, সৌন্দর্যপ্রিয়.. লম্পট ও প্রেমিক.. আরো অনেক কিছু..
"একটু গবেষণা করে দেখতে পারেন এই ভিন্নধারার মন্তব্যের কারণগুলোকে।" তারা কিন্তু আমার চুমু, বা আমি একটা কাঁচপোকা ভালোবেসেছিলাম এও মন্তব্য করেছেন। এটা বলছি এই জন্যে যে, সব লেখা সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে তা তো না, আবার সব লেখা (কবিতা) যে লেখা (কবিতা) হয়ে উঠবে তাও না; আর কাইকে নিশ্চই বেছে বেছে তার সেরা লেখাগুলোই প্রকাশ করতে হবে না। কারো কাছে বা সবার কাছে লেখাটা গ্রহনযোগ্যতা পায়নি, বা পাবে না.. এই সচেতনতা থেকেই কিন্তু আমর সহনশীলতা। আমি কিন্তু কোথাও বলছি না যে কি কন ভালো লাগে নাই কনে? লাগতে হবে। পাঠকের ভালো লাগে নাই, সেটা নাই লাগতে পারে। এবং অবশ্যই যদি কখনো মনে হয় আমার যে, আমার লেখার ধরন বা স্ট্যাইল পাল্টাতে হবে, তো সেটা অবশ্যই পাল্টাবো, তবে সেই চিন্তাটা যদি আমার ভেতর থেকে আসে। আর সব কলম থেকে্ই সময়ের সাথে আলাদা আলাদা একটা ষ্টাইল দাড়িয়ে যায়, আবার সেটা ভেঙ্গে নতুন করে গড়ে ওঠে লেখা। সেটা স্বাভাবিক একটা বিষয়; জোর জবরদোস্তির বিষয় না।
আপনার কি মনে হয় পাঠকের দায় কি? আপনার এখানে কিছু পাঠকের মন্তব্য ছাড়া বাকি সব মন্তব্যকে সমালোচনা মনে হয়? তারপরো কিন্তু আমি পাঠকের পাঠ ও মন্তব্যকে স্বগতই জানাচ্ছি। কেই হয়তো "পোতানো মুড়ি ও হলদে ইয়ে" লিখে বিদ্রুপ করে একধরনের আত্নতুষ্টিতে ভুগবে, সে আনন্দ পাক আমার কামনা সেটাই। এনিওয়ে... যারা কবিতা পড়েছে তাদের প্রত্যাশা আমার থেকে উচ্চ, সেটা হয়তো আমি মেটাতে সক্ষম হইনি, বা সামনে অনেক সময় হবো না, আবার কোন কোন সময়ে হবো। এইতো .. মূল কথা কিন্তু এটাই।
আমার মন্তব্যে আপনি আহত বোধ করলে ক্ষমাপ্রার্থী।>> আমার লেখা না হোক, আমার মন্তব্য যদি আপনি ফলো করে থাকেন কখনো, আমি অসম্ভব সহনশীন ও বন্ধুতভাবাপূর্ন একজন ছেলে। সো, ওধরনের বিনয় আমার কাছে কাম্য নয়। আহত বোধ করার কোন প্রশ্নই আসে না।
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আমি ঠিক করেছিলাম আর কোন মন্তব্য দিবো না। কারণ আমি সকলের মন্তব্যের উত্তরে আপনার উত্তর গুলা পড়ে যেটা বুঝলাম সেটা হচ্ছে আপনি দ্বিতীয় আরেকটা জিনিস পারেন না, সেটা হচ্ছে যুক্তি দিয়ে তর্ক করা।
উপরে যে '' '' এর ভিতর কোট করলেন, দয়া করে একটু দেখাবেন আমার প্রথম কমেন্টে এমন কথা আমি কোথায় দেখিয়েছি? না দেখাতে পারলে মিথ্যা কথা বলার জন্য অবশ্যই স্যরি বলবেন! আর ভবিষ্যতে আন্দাজের উপর কোট মারবেন না। সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে যা মনে চাচ্ছে তা লিখবেন না প্লিজ।
আপনি তো আর শিশু না যে 'তারানা_শব্দ' থেকে কমেন্ট পেয়েছেন আর এটা বুঝবেন না যে তিনি তার নিজের মনের কথাই নিজের একাউন্ট দিয়ে প্রকাশ করছেন? সচলের সকল পাঠকের মনের কথা বলার প্রয়োজন/ ইচ্ছা কোনটাই আমার নাই। আমি আমার কী মনে হয়েছে সেটা বলেছি, পাঠকের সেই স্বাধীনতা অবশ্যই আছে।
তারানা_শব্দ থেকে যদি এমন কোন মন্তব্য পেতেন ' সচলের অন্য সবার মতন আমিও মনে করি----- আপনার প্রত্যেকটি কবিতা যেই জিনিসটা মিস করে তাকে বলে 'কোহেরেন্স'। কবিতার না থাকে কোন অর্থ, না থাকে কোন যোগাযোগ।
কবিতা সহজ, কঠিন, বোধগম্য, বোধগম্যহীন হতেই পারে, কিন্তু এমন ছাড়া ছাড়া শব্দ জুড়ে দিলেই সেটাকে কবিতা বলে না।
অন্যগুলোর মত এইটাও একদম ভালো লাগে নি।
আশা করি সমালোচনা গ্রহণ করার মতন মানসিকতা রাখেন।
তাহলে আপনি বলতে পারতেন আমি সচলের সব পাঠিক-পাঠিকার রিপ্রেজেন্টেটিভ হয়ে কথা বলেছি।
না জেনে যা মন চায় তা লিখে কবিতাও হয় না, তর্ক ও হয় না। আপনার উপর খুবই বিরক্ত হলাম। আশা করি আরেকটি অনর্থক যুক্তি দিতে আপনার খুব একটা দেরি হবে না!!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনি যখন জেনেই গেছেন বা বুঝেই গেছেন যে, যুক্তি দিয়ে তর্ক করা আমি পারি না, সো আর উত্তর দিয়ে কি লাভ?
পোষ্ট টা আপনার একাউন্ট থেকে এসেছে, সো আপনার পোস্ট তো অবশ্যই। এর আগের পোস্ট এ ভুল করে " " ব্যবহার করা। শব্দগুলো নয়। সো, " " ব্যবহার করার জন্যে "সরি"।
"আপনার প্রত্যেকটি কবিতা যেই জিনিসটা মিস করে তাকে বলে 'কোহেরেন্স'। কবিতার না থাকে কোন অর্থ, না থাকে কোন যোগাযোগ। " "প্রত্যেকটা?"- যাই হোক আপনার কাছে মানে নাই থাকতে পারে। আপনি পাঠক, তাই বলার অধিকার রাখেন। "কবিতার না্ থাকে কোন অর্থ না থাকে কোন যোগাযোগ" ... রিপ্রেজেন্ট এখানে করছেন। বরং , আপনার কাছে না থাকে কোন অর্থ না থাকে কোন মানে... >> এটা কথাটা বেশি ভালো ।
সমালোচনা এক্সেপ্ট করার মানসিকতা রাখি বলেই তো সহজ ও সরল ভাবে উত্তর দিয়ে যাচ্ছি। যুক্তির কথা বলছেন? " ছাড়া ছাড়া শব্দ জুড়ে দিলেই সেটাকে কবিতা বলে না। " তাহলে কোনটাকে বলে? সবার একি স্ট্যাইলে লেখা লাগবে?
"সকলেই কবি না কেউ কেউ কবি" জীবনানন্দ এর এই লাইনটা অনেকেই বলে যায় এরকম কোন আলোচনায় বা বিদ্রুপের দরকার পড়লে । এটা তার "কবিতার কথা" প্রবন্ধের লাইন। একি প্রবন্ধে তিনি আরো একটা কথা বলে গেছেন- "কবিতা সকলের জন্যে না।" সবাই সব কবিতার পাঠক না। কোন এক কবিতা উৎসবের মূল স্লোগান ছিল - "কবিতার পাঠক হয়ে উঠুন" ।
ভালো থাকেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
মুখটাই তিতা হয়ে গেল। নিজেরে ভাবেন কি?
ঠিকাছে আমি রামছাগল পাঠক দূরেই থাকি, আপনি থাকুন আপনার শাদ্দাদের বেহেস্তে।
..................................................................
#Banshibir.
১০০ হইছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাই আপনারা কোথায় থামতে হবে.. সকলেই কবি না.. একরে পর এক বলে গেলেন, আর আমি ঐ একি প্রবন্ধের আর একটা লাইন লেখায় মুথ তিতা হয়ে গেল? আপনারা অন্য ব্লগারের ব্লগের লিঙ্ক দিয়ে গেলেন বিদ্রুপ সরূপ, অন্য ব্লগারের কোথায় থামতে হবে কবির বা কবিতা লেখকের সেটা বলে গেলেন একের পর এক, আমি শুধু জাতীয় কবিতা উৎসবের একটা স্লোগান এখানে তুলে ধরলাম আর মুখ তিতা হয়ে গেলে? ভালো থাকেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ইনি উপরেও বলেছেন,
অবস্থা দেখে সাড়ে চুয়াত্তর ছবির একটা ডায়লগ কেবল মনে পড়ে যাচ্ছে, শেয়ার করার ধৃষ্টতা সামলাতে পারছি না -
"কুঁজোরও ইচ্ছে হয় চিৎ হয়ে শোবার, আর গামছারও ইচ্ছে হয় ধোপাবাড়ি যাবার..."
কি অহংকার বাপ রে।
..................................................................
#Banshibir.
ভাই কেউ বড় হবে একদিন বা কিছু একটা হবে .. বা এরকম কোন স্বপ্ন দেখা অহংকার নাকি?
যাকগে, এই থ্রেডে হুদাই এখন কথা ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না; সো এই থ্রেডে আর কোন মন্তব্য করছি না, বা ফলো করছি না; যা ইচ্ছে বলতে থাকেন
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অহংকারের ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলছি।
আপনি বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন যে আপনি কি ভেবে কবিতা লিখেছেন তার জবাব দিতে বাধ্য নন, অথবা মাত্রাজ্ঞান থাকা লাগবে এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন এটা পাঠকের মতামত, অথবা কোন পাঠক "বুঝি নাই" বললে বলেছেন বুঝেন নাই তাতে কি এর মানে ঠিক আছে, অথবা বলেছেন সবার জন্য কবিতা না, অথবা পাঠককে বলেছেন বোঝেন নাই তো আরো কবিতা পড়ুন, একদিন ঠিক মানে বুঝবেন।
আপনার বাক্যগুলো কোট করে দিতে পারতাম, কিন্তু আপনার জন্য এত খাটনি পোষাবে না। কারণটা বলি।
হয়ত আপনি একজন চমৎকার মানুষ। আমি জানি না। কিন্তু আপনি একজন অহংকারী মানুষ। এবং পৃথিবীতে আপনিই প্রথম অহংকারী কবি নন, অনেক নামকরা লিখক কবি অহংকারী। ব্যাপারটা হল, অহংকারী মানুষের বার্নিং আপ দ্য ব্রিজেস বিহাইন্ড জাতীয় সমস্যা থাকে। যত দিন যায় তত অহংকারী মানুষের বন্ধু কমে আসে, অহংকারী লিখকের পাঠক কমে আসে। আপনি ধরেছেন ঠিক, কবিতা আমি তেমন বুঝি না। হয়ত আপনি সত্যই একদিন খুব উঁচুদরের কবি হবেন, কে বলতে পারে। সেইদিন কিন্তু আমি আপনার কবিতা পড়বো না। কবি ক্রেসিডার কবিতা আমি আর কখনোই পড়বো না কারন কবি ক্রেসিডা আমাকে একদা বলিয়াছিলেন কবিতা আমি বুঝি না।
তাই বলছিলাম আপনি অহংকারী। আপনি পাঠক হারাচ্ছেন ঘন্টায় ঘন্টায়। এবং জাত অহংকারী মানুষের তাতে কিছুই যায় আসে না।
..................................................................
#Banshibir.
সত্যপীর ভাই@ আমি আপনাকে কোথাও বলিনি আপনি কবিতা বোঝেন না। বরং আমি সবসময়উ বলি, যে, কবিতার কোন ভুল ব্যাখ্যা নেই। আপনি কবিতার অর্থ যেভাবে বের করে নেবেন, সেভাবে আপনার ভালো লাগবে , কবিতা সেরকমই।
"আমি কি ভেবে কবিতা লিখেছি তা বলতে বাধ্য নই" আমি মোটওে কথাটা সেভাবে বলি নাই। বলেছি, আমি একদম সেটা ভেবে লিখেছি কবিতা সেটা বলতে গেলে কবিতার অর্থ যে এক একজনের কাছে এক এক অর্থ নিয়ে যায়, সেটার পথ টা আটকে যায়, বন্ধ হয়ে যায়। বরং সেটা করা যায়, সে সেটা কোনভাবে পড়লে বা কিভাবে ভেবে পড়লে কি ভর্থ দাঁড়ার তার একটা ঈঙ্গিত দেয়া যায়। তারপরো না হলে, অন্য এঙ্গেলে সেটা নিয়ে আবার অলোচনা হরা যায়। একটা ছোট্ট উদাহরন দেই, জীবনানন্দ এর সুরঞ্জনা..ঐখানে যেয়ো নাকো্.. বলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে" // এখনে যুবককে শুধু যুবক হিসেবে পড়ে নিলে কিন্তু কেনা ক্ষতি নেই। কবিতার ভাবের কোন ক্ষতি হয় না। আবার এক কবিতার একদম শেষ লাইন.. "তোমার হৃদয় আজ হয়ে গেছে ঘাস" (কিছু ভুল হয়ে থাকলে সরি, মুখস্ত নেই).. এই শেষটায় এসে এই "যুবক" কে "মৃত্যু" দরে নিলে কবিতা আবার অন্য মিনিং দাড়ায়। তাতেও ক্ষতি নেই। রোমান্টিকতা কিন্তু একি থেকে যায়।
আপনি পড়বেন না, বা আপনি ইগনোর করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আপনার ব্লগে অবশ্যই দেখা হবে। কথাও হবে। কোনদিন দেখা হলে সামনে, কোলাকুরিও হবে। কবি বা আপনার মতে অহংকারী কবি ক্রেসিডাকে আপনি অনায়াসে ইগনোর করতে পারেন, যদিও মানুষ "রাজীব" কে আপনি সেটা কখনোই করতে পারবেন না।
আপনি আমার লেখা না পড়েন, বা ইগনোর করেন, সেটা আপনার ইচ্ছে। সেখানে আমি কিছু বলবো না। শুধু এইটুকু বলি, আপনি যদি আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন, অফেনডেড ফিল করে থাকেন, সেটা আমির কমিউনিকেশনের দোষ। আমি সেজন্যে আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থি। আশা করি আমার এপলজি আপনি একসেপট করবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
উপরের কথাটা স্যার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইদ এর "বিসস্ত্র জার্নাল" (বই এর নামের বানানটা ভুল হতে পারে) এর ওনার বলা। সো, আপনার শেয়ার করার ধৃষ্টতা ওখানেও দেখিয়েন কখনো সুযোগ পেলে। আমি ভাই স্বপ্ন যখন দেখবো সীমাহীন ভাবেই দেখবো। সত্যি হতেই হবে সব স্বপ্ন তা তো না; না হলেই বা কি! চাঁদ তো আর সত্যিকারের ধরা যায় না, তবুও রোজ রোজ মেয়েকে ঘুম পাড়াতে যেয়ে চাঁদ পেড়ে আনি। আর কুঁজোর চিৎ হয়ে শুতে ইচ্ছে হলে সমস্যা নাই ভাই। সেও মানুষ; স্বপ্ন দেখতে কার্পন্য দেখা্য় না।
এইসব মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসেন।
ভালো থাকেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনি জীবনানন্দ থেকে আব্দুল্লাহ আবু সাইদ এঁদেরকে এমনভাবে টেনে নিয়ে আসছেন যে আমাদের মনে হচ্ছে যেন নিজেকে বা নিজের সৃষ্টিকে পরোক্ষে এঁদের পর্যায়ে ধরছেন আপনি। আর পাঠকদের যখন সেরকম মানসিকতা চোখে পড়বে তখন তাদের যে প্রতিক্রিয়া হবে তা বলাই বাহুল্য। তা ওনারা যদি এই পর্যায়ের বিরক্তিকর কবিতা লিখতেন তখন তাঁদের সঙ্গেও ধৃষ্টতা করতাম নাহয়।
যথাযথ বলেছেন বদ্দা (শুধু আমার নামখান মনে হয় অতিস্নেহে ভুল করে দিয়ে ফেলছেন। )। একজন কবির নাম মিস হয়ে গেছে বদ্দা, ফকির লালন; আমার কাছে উনি সচলের প্রধান কবিদের একজন। ক্রেসিডা আপনি উনার কবিতা পড়ুন, বারবার, মুগ্ধতা গ্রাস করবে।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ লিঙ্ক-এর জন্যে। পড়বো অবশ্যই। আপনার নাম কোথায় ভুল করলাম ঠিক বুঝলাম না, তবে ভুল করে থাকলে সেটা অনিচ্ছাকৃত। সরি।:)
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনাকে বলি নাই ভাই, বদ্দাকে (রাতঃস্মরণীয়) বলছি।
তাহলে আমার আগের মন্তব্য ঘ্যাচ্যাং
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ক্রেসিডা, আমি আপনার কবিতার একজন নিয়মিত পাঠক। সব না হলেও আপনার অনেক কবিতায় আমার ভালো লেগেছে। পাঠককে আনন্দ দেয়াই নিশ্চয় আপনার লেখার উদ্দেশ্য। আপনার শুরুর দিকের কবিতাগুলো সত্যই অসাধারণ ছিল। সেগুলো যথেষ্ট আনন্দ প্রদানেও সক্ষম ছিল। কিন্তু আপনার বিরামহীন এই পরপর লেখার কারণে হয়তো সেইরকম আবেদন বা সাড়া আগের মতো দিতে পারছে না। তাই আশাকরব আগের মত অনেক ভালো কবিতায় আবার আমাদেরকে উপহার দেবেন। মনে রাখবেন যে আপনার জত বেশী সমালোচনা করবে বা ভুল ধরিয়ে দেবে সে নিশ্চয় আপনার কাছ থেকে আরও বেশী ভাল কিছু আশা করছে। সমালোচনার সেই দিকটি মাথায় রেখে লিখুন আমার মনে হয় আরও ভাল লেখা বের হবে।
শুভকামনা আপনার জন্যে। আরও ভাল লেখা দেখতে পাবার প্রত্যাশা করছি। ভালো থাকবেন।
আপনাকে ধন্যবাদ বন্যা।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ক্রেসিডা ভাই, আমি আগেও একবার কমেন্ট করেছিলাম এই পোষ্টে। উপরের সব তর্ক বিতর্ক পড়ে আবার আসলাম। আপনার শব্দ ভান্ডার ভালো। অন্তঃদৃষ্টিও অসাধারন। কিন্তু একটা কথা ভাই কবিতা যতই উত্তরাধুনিক হোক না কেন তার একটা ব্যকরন থাকা দরকার। অনেকটা ভুল গ্রামারের ইংলিশের মত। যদিও আমি কবিতার ক'ও বুঝিনা, তবুও কবিতা পড়তে আসলে ধরার চেষ্টা করি এটা কি মাত্রায় লেখা। কেননা মাত্রা না থাকলে কবিতার কোহরেন্স পাঠক ধরতে পারেনা। আপনার কবিতার ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। যেহেতু আপনি কবি, আপনি ঠিকই ধরতে পারছেন কবিতার অর্থ, কিন্তু আমরা সাধারন পাঠকরা ধরতে পারছিনা। আর উপরেতো বলেছিই মাত্রা ছন্দহীন কবিতা আসলে পাঠকের কাছে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনা। আপনি মাত্রা , ছন্দ এগুলো নিয়ে একটু পড়াশোনা করুন, দেখবেন নিজেই ধরতে পারছেন। আর যেহেতু আপনার লেখার হাত বেশ ভালো, যার পরিচয় আমারা আগের কিছু কবিতায় পেয়েছি, সুতরাং মাতা আর ছন্দের কারুকায আপনার কবিতায় ঢুকাতে পারলে আপনার লেখা অসাধারন হবে।
এখানে কিন্তু সবাই আসলে যারা কমেন্ট করছেন তার আপনার কবিতার নিয়মিত পাঠক। তারাও চান আপনার কাছ থেকে আরো ভালো ভালো কবিতা আসুক। সময় নিয়ে, ধৈয্য নিয়ে লিখতে থাকুন, দেখবেন আপনার কবিতা কোথায় উঠে গেছে।
ইশতিয়াক
আমি সচলায়তনে আসি অন্য কাজের ফাঁকে একটু রিলিফ নিতে। এ কারণে অনেক সময় আমার প্রতিক্রিয়া খুব কর্কশ হয়। কারণ আমি মিষ্টি করে বললে আমার কথা অনেকেই শুনতে চান না। আমি আপনাকে এর আগে একবার মোটামুটি কর্কশভাবে পরিস্থিতিটা বোঝাতে চেয়েছিলাম, আজকে মিষ্টি করে বলে দেখি, আপনি সময় নিয়ে বিবেচনা করে দেখুন।
সচলায়তনে অনেকেই লিখতে চান। আমরাও অনেকের লেখা পড়তে চাই। আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, মন্থরগতির নেটকানেকশনের কথা ভেবে আমাদের নীড়পাতায় মাত্র ১০টা পোস্ট রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওদিকে পাঠকের বিচিত্র স্বভাব হচ্ছে, সে সাধারণত দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে পেছনের পোস্ট পড়তে চায় না। ফলে, নীড়পাতা থেকে সরে গেলে একটা পোস্ট পাঠক হারায়।
তাই বলে আমরা তো আর থেমে থাকতে পারি না, তাই না? প্রতিদিনই একটা ভালো পোস্ট অন্য আরেকটা ভালো পোস্টকে পেছনে পাঠিয়ে সচলের নীড়পাতায় জায়গা করে নেবে, এটাই পাঠক হিসেবে আমাদের চাওয়া। আমরা তারপরও দেখবেন, কিছু পোস্টকে বেশিদিন ধরে পাঠকের মনোযোগে রাখার টুকিটাকি ব্যবস্থা রেখেছি দুই পাশের দুই কলামে।
আপনাকে তাই মনে রাখতে হবে, আপনার লেখা কবিতা আপনারই আরেক সহলেখকের শ্রমসাধ্য একটি পোস্টকে ঠেলে জায়গা করে নিচ্ছে। আপনার নিজেরই নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, আপনি যে লেখাটি নিয়ে পাঠকের সামনে আসছেন, সেটি আরেকটি ভালো লেখার কস্ট অব আউটেজকে পুষিয়ে দিতে পারছে কি না। এই বিবেচনা মডারেটরদের হাতে দেয়ার আগেই এই কাজটা আপনাকে করতে হবে।
আপনি পাঠকের জুতোয় নিজে পা রেখে দেখুন। আপনি দৈনিক কবিতা লিখছেন (কিংবা সঞ্চিত কবিতার স্টক থেকে পোস্ট করছেন)। সচলের এই সামান্য ১০ পোস্ট ধারণক্ষম নীড়পাতায় কি আপনার দৈনিক কবিতার জন্যে জায়গা তৈরি হয়েছে? আপনার একটা কবিতা মডারেশনে আটকা পড়লে আপনি সাথে সাথে আরেকটা দেন, সেটা আটকা পড়লে আরেকটা, সেটা আটকা পড়লে আরেকটা, সেটা আটকা পড়লে আরেকটা, এবং আগে বাদ হয়ে যাওয়া একটা কবিতাও আবার ঢুকিয়ে দেন। এটা ছেলেমানুষি। আপনার মেয়ে নামতা এরকম করলে আমরা হাসিমুখে মেনে নেবো। আপনি প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষ কেন একটা কমিউনিটিতে এমন কনুই মেরে জায়গা করে নিতে চাইছেন?
আপনার রোজই কবিতা লেখার অধিকার আছে। কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন, আপনি যে রিডারশিপের কাছে কবিতা প্রেজেন্ট করছেন, তারা সেটার জন্যে প্রস্তুত কি না। অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমি কবিতাপাঠক। আমাকে প্রতিদিন আপনার মতো আরো কুড়ি-পঁচিশজন কবিতালেখকের মুখোমুখি হতে হয়। আমি নিশ্চিত, তারা প্রত্যেকেই নিজেদের কবিতা নিয়ে সংবেদনশীল, এবং পাঠকের মুখোমুখি হতে তাদের আগ্রহ আমাদের যে কারো মতোই। কিন্তু তারা নিজেদের কবিতা অন্যকে জাজ করতে দেয়ার আগে নিজেরা জাজ করছেন কি না, সে সন্দেহ আমার থেকেই যায়। কবিতার "কবিতা হয়ে ওঠা" খুব জরুরি। সেটা যদি কোনো কারণে না হয়, কবিতাটা যদি পাঠককে স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়, জিনিসটা সবার জন্যেই পীড়াদায়ক হয়।
কবিতা লবণের মতো, পাতে এক চিমটি থাকলে ভালো লাগে। কিন্তু লোকমায় লোকমায় দিলে খাবার বিস্বাদ হয়ে যায়। আপনি এই যে প্রতিদিন কবিতা পোস্ট করছেন, এটা অন্যের জন্য পীড়াদায়ক। এটা আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি নয়, এই পোস্ট থেকে এই অনুসিদ্ধান্তে এলাম। আমরা সচলায়তনে যারা আসি, একটা ভালো লেখা পড়তে আসি, তাই না? এই ভালোর বিচারটা প্রত্যেকদিন আমাদের হাতে না দিয়ে আপনি নিজে করুন। আপনি সপ্তাহে আপনার লেখা সাতটা কবিতা থেকে ছয়টাকে স্ক্র্যাপ করুন, আপনার চোখে সেরা কবিতাটা সচলে দিন। এতে করে পাঠক আপনাকে প্লেজ্যান্ট সারপ্রাইজ হিসেবে নেবে, আপনি নিজের হাতে নিজের "তত-ভালো-নয়" কবিতাগুলোকে স্ক্র্যাপ করতে শিখবেন, আর সর্বোপরি আপনার সহলেখকদের প্রতিও আপনি একটা চমৎকার বন্ধুসুলভ জেশ্চার দেখাতে পারবেন।
আপনি সবাইকে বলছেন "কবিতার পাঠক হয়ে উঠুন" স্লোগানের কথা। আমি একটা ছোটো সন্দেহ পোষণ করে যাই, আপনি নিজে কবিতার পাঠক কি না। আপনি নিজে কি অন্যের কবিতা পড়েন? আমি এ পর্যন্ত আপনাকে বা অন্য কোনো দৈনিক কবিকে দেখিনি নিজের প্রিয় কবি বা কবিতা নিয়ে দুই ছত্র লিখতে। দৈনিক কবিরা নিজের কবিতা পোস্ট করতে আর সেটাকে ডিফেন্ড করতেই ব্যস্ত থাকেন বেশিরভাগ সময়। আপনি গুণে দেখুন, কয়েক হাজার শব্দ আপনি এই কবিতায় পাঠকের সাথে একঘেয়ে তর্ক করতেই ব্যয় করেছেন। এই সংঘর্ষ এড়ানো খুবই সম্ভব হতো যদি আপনি নিজের কবিতার বিচারক নিজেই হতেন, এবং দৈনিক কবিতা পোস্ট করে মডারেশন কিউ জাম না করে নিজেকে আরেকটু সময় দিতেন।
যারা সচলায়তনে উৎসাহ নিয়ে লিখতে আসেন, তাদের আহত করা কখনোই আমাদের অভিপ্রায় নয়। কিন্তু সচলায়তনের আবহাওয়াটা তারা বুঝতে চেষ্টা করবেন, এটা আমরা অবশ্যই আশা করতে পারি। আপনি পণ করেছেন আপনি রোজ একটা কবিতা সচলায়তনে প্রকাশ করে ছাড়বেন, এটা খুব একটা বিবেচনাপ্রসূত চিন্তা নয়।
সচলায়তনে যাদের কবিতা সমাদৃত বা প্রার্থিত, একটু গিয়ে দেখবেন, পাঠক তাদের কীভাবে নেন। আপনাকে কেউ তাড়িয়ে দিতে চাইছে না, কেউ নিয়ত ঝগড়াও করতে চাইছে না, শুধু চাইছে ইউ গিভ আ ড্যাম অ্যাবাউট দ্য ক্লাইমেট। আপনি সেটা করছেন না। ওপরে দেখুন এতো লোক এতো গরম গরম কথা বলছেন, সবই এই অযোগাযোগের কারণে। সচলায়তন শুধু একটা লেখা পোস্ট করার জায়গা না। শুধু একটা কবিতা মানুষকে পড়ানোর জায়গা না। আপনি সচলের পালস ধরতে না পারলে এরকম স্কার্মিশ চলতেই থাকবে।
আমি কবিতার মনোযোগী পাঠক। ভালো কোনো কবিতা পড়লে আমি তার অংশবিশেষ নোট করে রাখি, নিজের কোনো লেখায় উদ্ধৃতি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। সচলায়তনের কারণে আমাকে গত পাঁচ বছরে হাজার হাজার বাজে কবিতাও পড়তে হয়েছে। আমি সেই কর্পাস মাথায় রেখে বলছি, আপনি যদি চান সচলায়তনের পাঠক আপনার কবিতা পড়ুক, আপনার সেরা লেখাই তাদের দিন। আপনার প্রতিটি লেখা কখনোই ভালো হবে না, কাজেই যা সচলের পাঠককে পড়াতে চান, তা আগে নিজে পড়ুন, আপনার স্ত্রীকে পড়ান, বন্ধুকে ফোনে শোনান, সেগুলো করতে গিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করুন, সেই কবিতায় কোনো খুঁত থেকে গেলো কি না। যদি আপনার নিজের কাছেই আর ভালো না লাগে, সচলায়তনের পাঠকের কাছে কি লাগবে? পিক দ্য বেস্ট চেরিজ। এমন কবিতা লিখুন যেটা আপনার পাঠক তার বন্ধুকে রাতের বেলা ফোন করে ফিসফিস করে শোনাতে পারে, গোপন মেসেজে তার দুয়েক লাইন উদ্ধৃত করতে পারে, হঠাৎ একদিন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফেরার পথে নিজের মনে আবৃত্তি করতে পারে। কবিতার শক্তি ঐখানেই, ইট স্টিকস, ইট হার্টস, ইট ড্রিলস ইটস ওয়ে টু দ্য হার্ট। যদি সেরকম কবিতা লিখতে না পারি আমরা, কবিতা লিখে কী লাভ?
আমি কবিতা লিখতে পারি না। এই কারণে যারা পারেন, তাদের আমি চেরিশ করি। আমার ধারণা, আমার মতো আরো পাঠক আছেন সচলে। আপনি তাদের ধমক দিয়ে কবিতার পাঠক বানাতে পারবেন না। একটু সময় নিয়ে লিখুন, আরেকটু যত্ন নিয়ে লিখুন, এবং "সচলায়তনে প্রকাশ করতে হবেই" এই জেদ না ধরে লিখুন। কী লিখবেন কীভাবে লিখবেন সেটা পুরোই আপনার বিবেচনা, কিন্তু সেইসাথে পাঠকের সাথে কানেক্ট করার দায়টাও একান্তই আপনার। পাঠকের ফুটো গলে আপনাকে বেহুলার লোহার বাসরের সাপ হয়ে ঢুকে পড়তে হবে। আর পাঠকের ফুটো নিয়ে পাঠকও কিন্তু সংবেদনশীল। আপনি যা খুশি তাই সেই ফুটোতে ঢুকিয়ে দিতে গেলে তর্ক বাড়বে।
আমার কোনো লেখা কারো খারাপ লাগলে আমি পরের লেখাটা আরো ভালো করে লেখার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি। আপনি নিশ্চয়ই শুধু নামতার মায়ের সাথেই মিষ্টি করে মিথ্যা কথা বলেন না? আসুন সবাই শান্ত হই।
পাঁচতারা দেয়া গেলে মন্তব্যে পাঁচতারা দিতাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মন ছুঁয়ে গেল হিমু ভাই।
আপনার মন্তব্যটা সত্যিই অসাধারণ।
চমৎকার বললেন!!
ভালো বলেছেন। এখানে আসলেই অযথা তিক্ততা বাড়ছে। আশা করি পাঠক এবং লেখক উভয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন| আমরা ভবিষ্যতে লেখকের পরিনত লেখার আশা করছি|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই কমেন্টটা সচলায়তনে "সচলে লিখতে হলে"-র কোথাও বা "কী লিখবেন" "কিভাবে লিখবেন" "কেন লিখবেন"- এরকম একটা ট্যাব করে ওখানে থাকা উচিত।
এই কথাগুলো এত গুছিয়ে হিমু ভাই আর কখনো কোথাও বলেছেন কি না আমি জানি না, নিজে অন্ততঃ পড়িনি।
এটা একটা হওয়া উচিত ছিল। আলাদা একটা পোস্ট যেটা চাইলেই খুঁজে পড়া যাবে, কারো কাছে পাঠানো যাবে।
সচলায়তনের মডারেশন যে কী কঠিন একটা কাজ তা আমরা কেবল ভুলে যাই!
ভাল থাকুন আমাদের মডারেশন প্যানেল, ঋদ্ধ হোক সচলায়তন!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হিমু ভাই@ এই থ্রেডে মন্তব্য করবো না বলে যে কথা উপরে লিখেছি, সেটা শুধু আপনার পোষ্ট দেখে আসা ও আবারো লেখা। আপনার লেখা ভালো লাগে, সো আপনার পোস্টের রিপ্লাই না দেয়াটা অন্তত আমার নিজের বিবেকের কাছে বাঁধবে।অনেক দীর্ঘ পোষ্ট, সময় ও যত্ন নিয়ে লিখেছেন। আমি জবাবটা ছোট করবো যতটা পারি, সেটা শুধু এভাবে গুছিয়ে লেখার অক্ষমতার কারনে।
আপনার পোষ্টের প্রধান পয়েন্ট হচ্ছে, খুব কুইক কিছু লেখা পোষ্ট দেয়া। ওয়েল, সেটা আমার ভুল হতে পারে বোঝার, বা সচলের নর্ম আমার ক্যাচ করতে একটু টাইম লাগতে পারে, যেহেতেু আমি নতুন। কেউ হয়তো আগে ধরে ফেলে কারো হয়তো ধরতে একটু টাইম লাগে, এইটুকু পার্থক্য। আমার এই লেখার ঠিক আগের লেখায় (মানে আগের কবিতায়) মন্তব্য করেছিলাম আমি যে, এখন পর্যন্ত যা দেয়া সব আগের লেখা। এর পর থেকে নতুন লেখাই দিব। সো লেখা পোষ্ট দেবার রেট অবশ্যই কমে আসতো। দৈনিক কবিতা লেখার সময় কোথায়? যাক সেটা বিষয় না, যেহেতু আমার ব্যাপারটা ধরতে দেরি হচ্ছে, বা আমার কুইক পোষ্ট করাটা বিরক্তির উদ্রেক করছে, সেটা কেই বললেই হতো। হ্যাঁ, এই থ্রেডে এসে সেটা কয়েকজন বলেছে। আমার লেখাটা কিন্তু অলরেপি ২য় পেজে চলে গিয়েছে। এবং তাদের কথা বুঝেই কিন্তু আমি আর কোন নতুন লেখা এখনো পোষ্ট দেই নাই (এমনো না যে, পোস্ট দিয়েছি, মডারেশনের খড়গে অটকে গেছে।)।
""দৈনিক কবিরা নিজের কবিতা পোস্ট করতে আর সেটাকে ডিফেন্ড করতেই ব্যস্ত থাকেন বেশিরভাগ সময়। আপনি গুণে দেখুন, কয়েক হাজার শব্দ আপনি এই কবিতায় পাঠকের সাথে একঘেয়ে তর্ক করতেই ব্যয় করেছেন। এই সংঘর্ষ এড়ানো খুবই সম্ভব হতো যদি আপনি নিজের কবিতার বিচারক নিজেই হতেন,""" > এই ডিফেন্ড করার কথা বলতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন আমি জানি না। আমি বোধহয় কাথাও কোনভাবেই কোন ইঙ্গিতেও বলি নাই যে, আমার কবিতাটা খুব ভালো হয়েছে, বা খারাপ হয়েছে। যদি কেই বলে থাকে মন্তব্যে যে "কবিতা বুঝি নাই, ভালো লাগে নাই" তখন আমার মন্তব্য "ধন্যবাদ; ভালো থাকবেন" এই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থেকেছে। যদি বলেন জীবনানন্দ এর " সকলের জন্যে কবিতা না" বলাটা ডিফেন্ড করা, বা জাতীয় কবিতা উৎসবের মূল স্লোগান " কবিতার পাঠক হয়ে উঠুন" বলাটা ডিফেন্ড করা, তহলে তো পাঠকের অনেক মন্তব্য এখানে " সকলেই কবি না, কেউ কেউ কবি" বা "সকলেই কবিতা লেখে, শুধু কবিরাই থামতে পারে" সেটা পাঠকের ডিফেন্ড করা।
তথাপি "পোতানো মুড়ি ... হলদে ইয়ে." বা এরকম আরো কিছু মন্তব্য আমি কিন্তু চুপ থেকেছি। আমি শান্তই আছি। ছিলাম। ছাপানো বই এর পাঠককে কাছ পাওয়া যায় না, ব্লগের লেখককে পাওয়া যায়। তাই তাকে অনেক কিছুই জিঞ্জেস করা যায়। তাই জিঞ্জেস করাটাও সেভাবে হতে হয়। তাহলে উত্তর দেবার জায়গাটুকু থেকে যায়। "হলদে ইয়ে" এর মন্তব্যে সে জায়গাটুকু থাকে না। কিন্তু অরফিয়াস ভাই এর জিঞ্জেস করা মন্তব্যে আলোচনার সুযোগটুকু থাকে। বা "অপ্র" ভাইয়ের মন্তব্যে যে জায়গাটুকু থাকে। দেখেন, একটা লেখার মূল ভাব যদি কেই ধরতে না পারে (বিশেষ করে কবিতার বেলা) অন্য ভাবে সেটা ভেবে নেয়া যায়। কবিতার অর্থ তো একএকজনের কাছে এক এক রকম ভাবে যায়। আমি এটা বলছি না, মূল ভাব বুঝতে পারেননি, তো অন্য ভাবে বুঝে নিন। আমি বলতে চেয়েছি, যে "আমি বুঝতে পারিনি একদম লেখাটা কি নিয়ে" বা " আমি ধরতে পারছি না, লেখাটা কিভাবে পড়তে হবে", তখন আলোচনার স্পেসটুকু থাকে। কিন্তু, আমি বুঝি নাই... সো ব্যর্থ.. ব্যর্থ....ব্যর্থ... বদহজমের বড়ি লাগবে, সেখানো তো আর বলা যায় না, সে আসেন আমি বুঝাই। যে বুঝতে চাইবে তাকেই বোঝনোর বা নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করার ট্রাইুটুকু করা যাবে।
আপনাকে একটুকু এনশিওর করছি, যে .. (যেহেতু এগুলো সব আগের লেখা) একজন লেখক/কবি যখন লেখে, সাথে সাথে তার মনে হয় আহা কি দারুন লিখলাম। কিন্তু লেখাটা কিছুদিন ফেলে রাখার পর তার মনে হয় ধ্যুর কি লিখছি। তখন ঐ লেখাটা আবার কাঁটাছেঁড়া হয়। তারপর আবার। আমি নিজেও এই অপেক্ষার প্রাকটিস করি। সেভাবেই লিখি। এটা বলছি না, যে এভাবে লিখার পরো যেটা টিকে যায় সেটাই উত্তম। পাঠকের কাছে নিঃসন্দেহে সেটা বাজে একটা ব্যার্থ প্রয়াশ মনে হতেই পারে। পারে বলেই "ভালো লাগে নাই" মন্তব্য আমি সানন্দে গ্রহন করি। কিন্তু, লেখাটা যখন পোষ্ট করি , সেটা নিজের ভালো লাগা থেকে্ই, নিজের ভালো লাগে বলেই লেখাটা পোস্ট করা। নিজের অসম্ভব ভালো লাগা এর সাথে পাঠকের ভালো লাগা এর পার্থক্য কখনো থাকবে কথনো থাকবে, কথনো থাকবেনা। এটাই স্বভাবিক। সবার ভালো লাগা তো এক না।
আপনার সন্দেহের কথায় আসি, যে আমি পড়ি কিনা। সে উত্তর দিচ্ছি না। আমি আশা করি যে, আপনি নিজের আশা করেননা যে, সে উত্তর দেব। ব্যাপারটা এরকম যে, কেউ যদি জিঞ্জেস করে, "ভাই আপনি দেশের জন্যে কি করেন?" তখন যেমন ফিরিস্তি দেয়াটা অদ্ভুত আর অড শোনায় যে আমি হেন করি...তেন করি...সো.. এটার উত্তর দিলেও সেরকম শোনাবে। এতটুকু বলতে পারি শুধু " শুধু বই পড়ি না, চেষ্টা থঅকে বইয়ের ভেতরে ঢোকার, গল্পের হোক বা কবিতার", আর চেষ্টা করি পাঠক হয়ে ওঠার।
রেনডম বা খুব কুইক একটা পোস্ট এর পর আর একটা পোস্ট দেবার প্রবনতা কমে আসবে। ব্যাপারটা অবশ্যই আমার মাথায় থাকবে এখন থেকে। আমি ভেবেছিলাম যে, ৯টা পোষ্ট শেষে গেলেই আর একটা দিয়ে দেব, কিন্তু ব্যাপারগুলো এভাবে দেখি নাই, সেটা নিতান্তই আমার পরিনত বয়সে অপরিনত আচরন ও নতুন হবার কারনে না বোঝার ফলাফল। সো, সেটা নিয়ে অবশ্যই আপনাদের কখনো আর অভিযোগের সুযোগ অবশ্যই থাকবে না।
p.s- আপনার কটু ভাবে বললেও আমি বুঝতাম। এভাবে বলার জন্যেও ধন্যবাদ।
ভালো থকেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কবিতা বুঝি কম। কবিতা আমার কাছে সেই জিনিস, যেইটা মানুষ দ্বিতীয়বার পড়ার জন্যে খোঁজে। যেমন জীবনানন্দের ‘যেদিন সরিয়া যাব তোমাদের কাছ থেকে’
তবে এই পোস্টে এতো এতো ফেইসবুক লাইক বা শেয়ার থেকে কি এর পাঠকপ্রিয়তা সম্বন্ধে কিছু আন্দাজ করা চলে?
আমি এবং বেশ কয়েকজন ফেসবুকবন্ধু এই পোস্টটা শেয়ার দিয়েছি এটায় চলা বিতর্কটা বন্ধুদের চোখে পড়ানোর জন্য, বলতে পারেন মজা করে অকবিতার নমুনা দেখানোর জন্যও। অতএব ফেসবুক শেয়ারটা কিন্তু এক্ষেত্রে "ভালো লেগেছে" অর্থে নয়।
হু আমি লিখতে চাচ্ছিলাম ব্যাপারটা। শুধু আপনি না কৌস্তভদা, যাদেরকে আমি শেয়ার করতে দেখেছি সবাই মোটামুটি সেই সেন্সেই শেয়ার করেছেন, অ্যাটলিস্ট আমার দেখা বেশ কয়েকটা শেয়ার/লাইক সেই সেন্সেই দেখলাম। সো শেয়ার নাম্বার দেখে পাঠকপ্রিয়তা সবসময় আন্দাজ নাও কয়রা যেতে পারে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভালো করেছেন জানিয়ে। এরকম একটা সন্দেহ হচ্ছিলও। কিন্তু বিতর্কের কারণে একটা পোস্টে ৬৬টা 'লাইক' পড়তে পারে বিশ্বাস হচ্ছিল না। করসেনটা কী?
নতুন মন্তব্য করুন