যেসব গল্প কেউ জানে না-১
------------------------------------
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি তে ভর্তির আগে আমার ধারনা ছিল যে, ওখানকার সব বড়লোকের ছেলে-মেয়ে; আমি কিভাবে মানিয়ে নেব। কিন্তু ভর্তির পর দেখা গেল যে, আমার মতো যারা বাসা থেকে পাওয়া মাত্র ৯০০টাকা হাত খরচ দিয়ে মাস চালাতে হয়, এরকম ছেলে-মেয়ের সংখ্যাও খারাপ না। ভর্তি হবার পর হয়তো ওই ৯০০ টাকা হাত খরচের সাথে যোগ হতো টিউশনির টাকা। সেটা তো আর সবসময় থাকতো না। তবে এটাও ঠিক, যে খুব বড়লোকের ছেলে-মেয়ে, যাদের হয়তো দিনেই ৯০০টাকার ২/৩ গুন টাকা খরচ করার সামর্থ্য থাকে, সে সংখ্যাও কম না। যাক, মূল প্রসঙ্গে আসি। যাকে নিয়ে গল্প, সে ঐ দিনে ৯০০টাকা এর ২/৩ গুন খরচ করার দলে পড়ে।
প্রতিটা গল্পের একটা নায়ক থাকে। নায়িকা থাকে। এখানে গল্পের নায়কের নাম নক্ষত্র। নামটা রূপক অর্থে কেননা এই গল্পগুলো হয়তো আমার বলা সাজে না, নক্ষত্রের বলা সাজে। কিন্তু তার বলার কোন উপায় ও নেই, বা থাকলেও সে বলতো না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তাই নামটা পাল্টে দিলাম। নক্ষত্রের নায়িকা জোৎস্না বা চাঁদের সাথে মিল রেখে কাউকে আনা যেত। তবে এখানে সেটা আনছি না; এ গল্প নায়িকাবিহীন গল্প। একজন সম্পূর্ন মানুষের অসম্পূর্ন গল্প।
নক্ষত্রের পোষাক-আষাকে বা চলা-ফেরায় তার আভিজাত্যের টের পাওয়া যেত সবসময়। সেটা হয়তো তার পারিবারিক অভ্যস্ততার ফল। শুধু তার মনমানসিকতা ছিল আমাদের অনেকের মতো টং এর দোকানে আড্ডা দেবার মতো। কখনো সে অন্য অনেকের মতো ক্যাফেটেরিয়ায় জলের মতো টাকা খরচ করে ফুসকা, চাটপটি, বার্গার বা কফি কিনতো না। প্লাষ্টিকের মতো মেয়েদের (অতি সাজুগুজু ও পাউডার মাখা মেয়েদের অনেকে প্লাষ্টিক বলতো) পেছনে টাকা নষ্ট করার মেতা অধেল টাকা থাকলেও নক্ষত্রকে কথনো সেই আকাশে দেখা যায় নাই। তাই, নক্ষত্র আকাশে থেকেও অনেকটা সবার টেলিস্কোপের আড়ালেই থাকতো।
আমাদের সময় কাটতো টং এর দোকান গুলোয়, বা কথনো বেসমেন্ট এ টেবিল টেনিস খেলে। বেসমেন্ট এ যেতে যে ঢালু অংশ তার শুরুতে এক মামা সিগ্রেট বেঁচতো। তাই ওই প্লেসটা খুব জমজমাট ছিল। কারন একটা ক্লাস গ্যাপ এর পরের আরেক ক্লাস শুরুর মাঝের যে টাইম, তার মধ্যে একটু দূরে টং এর দোকেনে যাওয়া থেকে মামার কাছ থেকে কিনা সহজ। স্বভাবতই, যেখানে একটু ভিড় বেশি, সেখানে সবসময় কিছু খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পড়া পথ শিশু পাওয়া যায়। অথবা কোন মেয়ে যাদের বয়স ৮ থেকে ১২ এর মধ্যে। ক্ষেত্রবিশেষে বেশি। এরাও খুব পপুলার সবার কাছে, কারন যখন ইচ্ছে হালকা কিছু কাজ করিয়ে নেয়া যায়, বিনিময়ে ফেরৎ আসা খুচরা কিছু পয়সা বা টাকা ধরিয়ে দিলেই চলে।
অন্য সবাই যেভাবে আচরন করতো ওইসব বিত্তহীন, অসহায় ছেলে-মেয়ে গুলো সাথে , নক্ষত্রের আচরন সেরকমই ছিল। তার মধ্যে বাড়াবাড়ি কিছু ছিল না, বা চোখে পড়ার মতো। সেও হয়তোবা কোন পেপার ফটোকপি করা লাগবে, তো বেসমেন্টের শুরুতে সিগ্রেট টানতো আর কোন বাচ্চাকে ডেকে ফটোকপি করতে পাঠাতো। ফেরৎ যদি আসতো ২২টাকা তো সেখান থেকে ২টাকা দিয়ে দিতো।
এর মধ্যে নক্ষত্র একটা পার্টটইম জবে জয়েন করে। বেতনও ভালো। আমি একদিন জিজ্ঞেস করলাম যে, তুই পার্টপাইম জর করছিস যে ক্লাসের পর? সে হাসতো, কিছু বলতো না ক্লিয়ার করে। আমাদের টং এর দোকানের নিয়মিত সার্কেলের কেউ কেউ একটু বিরক্ত হতো। যে তাকে আড্ডায় পাওয়া যাচ্ছে না। অবার কেউ কেউ বলতো যে, এতো টাকা ওর বাবার, তারপরো তো তার টাকা কামানো লাগবে এখুনি পার্ট টাইম জব করে। এভাবেই দিন চলছিল। নক্ষত্র জবে জয়েনের কিছুদিন পর অমাদের একটা সমস্যা হতে লাগলো। সেটা হলো, ক্লাস শেষে বেসমেন্টের শুরুতে আমরা আর দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই অসহায় ছেলে-মেয়েগুলো কে দেখতাম না। দেখতাম, শুধু দেখতাম না ২/৩টা চেনা মুখ। ওদের দেখা যেত বিকেলের দিকে। তখন অবশ্য আমাদের ক্লাশ নেই। অতএব বেসমেন্টে বা তার ধারে কাছে দাঁড়ানো লাগতো না; বা ওই ছেলে-মেয়েগুলোকেও দরকার পরতো না। নক্ষত্রের জবের সাথে সাথে তারও পার্টপাইম জব পেল কিনা, এ নিয়ে হাসাহাসি চলতো।
এভাবেই দিন কাটতে লাগলো, মাস গড়ালো.. বছর গড়ালো। আমাদের আড্ডায় খুব একটা পরিবর্তন এলো না; শুধু নক্ষত্র আরো অনিয়মিত হয়ে পড়লো। পার্ট টাইম জবের পাশাপাশি সে টিউশনিও করতে লাগলো। একটা সময় আমাদের আড্ডায় তার অনুপস্থিতি খেয়ালই করতাম না।
তারো ২ বছর পর.... ..... কোন একদিন আমি গুলশান-১ এ সন্ধ্যাবেলা দাঁড়িয়ে যদি বাস পাই। হালকা বৃষ্টি, যার কারনে অনেক ভিড়, বাসে ওঠা যাচ্ছিল না; ভাবলাম মহাখালী এর দিকে হাঁটা ধরি। মহাখালী যেয়ে বাস পাবো। হাটতে হাটতে যখন তিতুমির কলেজের সামনে এলাম, ভাবলাম হোসেন বেকারী তে একটু ঢু মারি। হোসেন বেকারী (নামটা ঠিক আছে তো? মনে নেই) তখন অনেক পপুলার। শুনেছি এখনো আছে। ঢু মারতে যাবো, তখন দেখি ভিতরে নক্ষত্র দাঁড়িয়ে। ওকে দেখে খুশি হয়েই ডাকতে যাবো, আবারো থমকে দাড়ালাম। দেখলাম , ওর আশেপাশে ইউনিভার্সিটি এর ওই অনিয়মিত একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। বেশ ফিটফাট ড্রেস। আমার একটু কৌতুহুল হলো। তাই ভিতরে না ঢুকে রাস্তা পার হয়ে দোকানের অপর সাইডে হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলাম। আর লক্ষ্য রাখলাম দোকানের দিকে।
৩০মিনিট পর ওরা সবাই দোকান থেকে বের হলো। হয়ে রাস্তা পার হয়ে আমার দিকে আসতে লাগলো। যদিও আমাকে দেখেনি। আমি আর একটু সরে গেলাম। নক্ষত্র রিক্সা নিল। রিক্সায় উঠে একটা বাচ্চা পাশে, ও একটা বাচ্চা নক্ষত্রের কোলে। আমি আর একটা রিক্সা নিয়ে ফলো করতে লাগলাম। ওয়ারলেস গেট থেকে বনানী আসার একটা রাস্তা আছে। রিক্সা সেদিকে চলতে লাগলে। মাঝে এটা ঝিলের মতো পড়ে; তার আশেপাশে কিছু বস্তি আছে। ওদের রিক্সা সেখানে থামলো। একটা দূরত্ব রেখে আমিও থামলাম। ওরা বস্তির দিকে গেল। আমি রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে রইলাম। মন বলছিল, বের হলে এই রাস্তা দিয়েই বের হবে। প্রায় আরো ৩০ মিনিট অপেক্ষা করলাম। কিন্তু নক্ষত্রের দেখা পেলাম না। বিরক্ত হয়ে আমি কাকলি এর দিকে রিক্সা নিলাম। বাসায় এসে ঠিক করলাম, পরের দিন ওই ছেলে-মেয়ে দুটোকে জিজ্ঞেস করবো।
পরের দিন অপেক্ষা করছি ওদের জন্যে। যদিও সকাল থেকে ওদের পাওয়া্ যায় না আর । ওদের দেখা মিললো বিকেল ৩টা দিকে। আমি ওদের ডেকে টং এর দোকানের দিকে গেলাম। আমি চা খাচ্ছি; ওদের জন্যে কলা নিলাম। টং এর দোকানে ওদরে দেবার মতো কলা ছাড়া আসলে কিছুই ছিল না। যাই হোক, ওদের কাছ থেকে অনেক প্রশ্ন করে, আদর করে যেটা বের করতে পারলাম সেটা আমি বা অমরা কখনো ভাবিনি। ওরা যা জানালো, নক্ষত্র ওদের একটা ভালো স্কুলে
ভর্তি করে দিয়েছে। তাই সকালে ক্লাশ থাকে বলে, তারা এখন আর সকালে আসতে পারে না। নক্ষত্র প্রায়ই ওদের নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে আনে; আর সন্ধ্যা বেলা বাসায় দিয়ে আসে। আর প্রতিদিন সন্ধ্যার পর তাদের ২ঘন্টা করে পড়ায় বাসায় যেয়ে। ওদের বাবাকেও একটা রিক্সা কিনে দিয়েছে নক্ষত্র, সেটা ওদের কাছ থেকেই শোনা।
এরপর আমি ভেবেছি নক্ষত্র এর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবো। যদিও বলা হয়নি। আমি মনে মনে ধরে নিয়েছি, যে সে হয়তো তার বাবার টাকায় এটা করতে চায়নি বলেই তার পার্ট টাইম জব ও টিউশনি করা। হয়তো কোন একদিন তাকে এ ব্যাপারে কথা বলতাম্, সময় পাইনি। আমি ব্যাপার টা যখন জানি, তারো ৮ মাস কি ১০ মাস পর, এক রোড এক্সিডেন্টে নক্ষত্র মারা যায়।
আমি ফেসবুক ইউজ করা শুরু করি অনেক অনেক পরে। ইচ্ছে ছিল না ওখানে নিবন্ধন করার। তবে বন্ধুদের ক্রমাগত কথার জন্যে একসময় ব্যবহার শুরু করি। সপ্তাহে প্রায় অনেকদিনই ফেসবুকের ডান পাশে নক্ষত্রের নামটা ফ্রেন্ডলিস্ট সাজেশন হিসেবে ভেসে ওঠে। ব্যাপারটা আমাকে অসম্ভব একটা অনূভুতির সামনে দাঁড় করায়। যদি এড ও করি আমি, জানি ওপাশ থেকে কেউ আর এক্সেপ্ট করবে না॥
নক্ষত্র চলে যাবার পর ওদের দায়িত্ব কারা নিল, কি হলো, সে প্রসঙ্গে গেলাম না। তবে, একটা পথ তৈরি হয়ে গেলে, সে পথে অনেকেই হাঁটে। সে পথের নাম নির্মাতার নামে হোক বা অন্য কোন নামে, পথ কখনো পথিকের অভাব বোধ করে না।
আমার প্রোফাইলে একটা লেখা আছে, যার শুরুটা এভাবে-
"দীর্ঘদিন পর তোকে লিখতে বসা, দীর্ঘদিন পর আবারো খোদাই করা অক্ষরগুলো সাদা কাগজের করতল স্পর্শ করবে। আমার প্রতিটি বাক্যের মাঝে যে হাহাকারের মরুভূমি, তার দহনটুকু ক্ষমা করে দিস।"
লেখাটা নক্ষত্রের জন্যে।
মন্তব্য
এটা কি স্বরোচিত স্মৃ্তি জাতীয় কিছু? (ক্য়াটাগরি দেখে বিভ্রান্ত, তাই প্রশ্ন)
এটা একটা সত্য ঘটনা, শুধু নামটা সঠিক না। ক্যাটাগরি নির্বাচনে আমি বরাবরই খুব এলোমেলো। বুঝতে পারি না, কোনটা দিলে ঠিক হবে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
স্মৃতিচারণ হলে সেটাই লিখবেন। নামগুলো পালটে দিয়েছেন ফুটনোটে বলে দিলেই হলো। গল্প আর স্মরণ তো একসাথে যায় না।
নামটা পাল্টে দেয়া, সেটা লেখার মধ্যে শুরুতেই আছে। "নামটা রূপক অর্থে, হয়তো এই গল্প আমার বলা সাজে না" এখানে। হয়তো আরো একটু ক্লিয়ার করা যেত, যদিও ভাবি নাই এই বিষয়টা বড় হয়ে দাঁড়াবে।
ট্যাগে "স্মরন" কথাটা আছে। স্মুতিচারন এড করে দিচ্ছি।
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভালো লেগেছে। নক্ষত্ররা আশেপাশে থাকে বলেই আমরা তাদের আলোয় পথ চলি। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ আপনাকে। শিরোনামহীন এর একটা গান আছে, তার কিছু লাইন এরকম - (যদিও গানটা অন্য পটভূমিতে লেখা)
"এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে
কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা
জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা ।।"
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভালো লাগল পড়তে। এরকম পোস্ট আরও আশা করব আপনার থেকে।
"জিঞ্জেস" বানানটা বরাবরই ভুল হচ্ছে আপনার। আগের পোস্ট আর মন্তব্যতেও দেখলাম। যদি অভ্রতে ফোনেটিকে টাইপ করেন, তাহলে jigges লিখলেই "জিজ্ঞেস" পাবেন। আর যদি বিজয়ে টাইপ করেন, তাহলে জ+ঞ লিখলে "জ্ঞ" পাবেন।
ট্যাগ ব্যবহারে আরেকটু যত্নবান হওয়ার অনুরোধ করব।
ধন্যবাদ। বিজয়ে টাইপ করি। "জিজ্ঞেস" বানানে আমার বারবার ভুল হয়ে যায়। খেয়াল রাখবো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভালো লাগলো ক্রেসিডা ভাই। মন খারাপ করে দিলেন। যদি সত্য ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে সেকেন্ড অনুচ্ছেদ এর দরকার ছিলো না মনে হয়।
ইশতিয়াক ভাই ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। সেকেন্ড অনুচ্ছেদ এজন্যে যে, আরো কিছু গল্প আছে, যাদের নায়ক- নায়িকা এখনো নক্ষত্র হয়ে যায়নি। তাদের নিয়ে কথনো লিখবো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেক মন খারাপ হল।
নক্ষত্রের দায়িত্বটা যারা কাঁধে নিয়েছে তাদের জন্য অনেক শুভকামনা।
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনার কাছ থেকে ব্যাতিক্রমি লেখা পেয়ে ভাল লাগল, লেখাটাও ভাল লেগেছে। সাত সকালে মন খারাপ করিয়ে দিলেন।
তবে নক্ষত্রকে ফলো করার ব্যাপারটা স্বাভাবিক লাগেনি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ফলো করাটা নিতান্ত কৌতুহুল বসে; আরো একটা কারন ছিল হয়তো, আমি শিওর না আসলে ছিল কিনা, ওই রাস্তা দিয়ে ফলো করলে আমাকে আমার ফেরার রাস্তা চেঞ্জ করা লাগে না, বরং একটু সুবিধাই হয়। যেমন ওই পথটা দিয়ে ইউনিভার্সিটি এর দিকেই যায়, মানে বনানী। তার কাছেই কাকলী। আমি থাকিও ক্যান্টনমেন্ট। সো, ওখান থেকে বাস পাওয়া যায়, অথবা রিক্সা নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এ শর্টকাট মারা যায়। যেটা মহাখালী থেকে রিক্সা পাওয়া সম্ভব না।
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভাল লিখেছেন। নক্ষত্র না থাকলেও তার আলো বেঁচে থাক চিরকাল।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সেই আলো আলোকিত করুক সবাইকে..
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
লেখাটা ভাল লেগেছে। অনেকদিন পর নিজের ভার্সিটির কথা মনে পড়ে গেল।
কয়েকটা বানান ভুল দেখে মনে হল লেখাটা জমা দেওয়ার আগে একবার প্রুফ দেখে নেন নি। আশা করি পরের বার এমন ভুল্গুলো থাকবে না।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ধন্যবাদ তারানা আপু। প্রুফ রিড করেছি একবার পোস্ট এর পরপর। এরপরো কিছু ভুল থেকে গেছে। সামনে আরো মনোযোগী হবো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ জানবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেক ভালো লিখেছেন। নক্ষত্রের জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেল।
ভালো থাকেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনার প্রোফালের লেখাটুকু বেশ সুন্দর।
ধন্যবাদ ওটা যেয়ে পড়ার জন্যে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
খুব খুব ভাল লাগল বস!
এমন লেখা আরো আসুক আপনার কাছ থেকে
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
ধন্যবাদ বস!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভাল লেগেছে লেখাটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
নক্ষত্ররা বেঁচে থাকুক- পথ দেখাক...
কড়িকাঠুরে
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভাল লাগল ক্রেসিডা
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
নক্ষত্র নেই, তবে নক্ষত্রের আলো তো এখনো আছে।
আর নক্ষত্রের শুরু করা কাজ টেনে নেবার জন্য ক্রেসিডা আছে না।
অনেক শুভ কামনা রইলো।
সেই পুরোনো ক্যাম্পাসটার কথা মনে করিয়ে দিলেন। কত স্মৃতি আছে ওকে নিয়ে। কিন্তু ভার্সিটি আর ওখানে নেই।
দেব মুখার্জি
[db.dev.m@gmail.com]
--------------------------------------------------------------
দেব এর উঠোন ॥ ফেইসবুক ॥ গুগলপ্লাস
হু, নতুন ক্যাম্পাসের ফি দিসি, মাগার নতুন ক্যাম্পাসে যাইতে পারিন নাই দোকানের চা.. সস্তায় ডিম-ভাজি আর পরাটা.. সব স্মৃতি!!
টেনে নেবার মতো অনেক শক্তি থাকলে ভালো হতো! যাকগে.. ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভালো লাগলো লেখাটা।
ডাকঘর | ছবিঘর
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কবিতা আমি একটু কম বুঝি। তাই আপনার অন্যরকম একটা লেখা পড়ে খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভাল লেগেছে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেক ভাল লেগেসে গল্পটা।
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অসম্ভব মন খারাপ হয়েছে, ক্রেসিডা ভাই!
ভাবি নক্ষত্রেরা এভাবেই চলে যায় কেন? অকাল প্রস্থানের কোন অমোঘ নিয়তি রয়েছে এদের জন্য যে, তা ছিন্ন করা সম্ভব হয় না? আমার চারপাশের অনেক নক্ষত্রকে এভাবেই চলে যেতে দেখেছি! অথচ এই নক্ষত্রেরা বেঁচে থাকলে, কত অন্ধকার গহবরে নিমজ্জিত মানুষ আলোর মুখ দেখতে পেত, কত মলিন মুখ ঝলমল করে উঠতো রৌদ্র করোজ্জল দিনের মত!
একদম ঠিক কথা! নক্ষত্রদের কাজ বুঝি আলোক দেখানো, সেজন্যই বুঝি তারা চলে যায় উদাহরণ তৈরি করে!
সত্যি, এ এক অসম্ভব অনুভূতি! ফেইসবুকে যখন একজন মৃত বন্ধুর জন্মদিনের মেসেজ ভেসে আসে, তখন কি যে এক অনুভূতি হয়, তা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না!
ধন্যবাদ মামুন ভাই। নক্ষত্ররা আকাশেই থাকুক। আমাদের দরকার এমন কিছু মানুষ। আমার কাছে হয়তো আরো কিছু গল্প আছে, যারা এখনো নক্ষত্র হয়নি। যদি পারি বলবো।
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কবিতা কি পড়তে পারবো না এই কয়দিন?
কবিতা আসবে কবে জানি না, কারন পুরনো লেখা থেকে আর পোস্ট করছি না, নতুন কিছু লিখলে দেব। যদিও শেষ ২ বছর প্রায় একটা লাইনো লিখা হয় নাই। তবে, ধরন হয়তো একি থাকবে।
ধন্যবাদ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভালো লাগলো আপনার লেখা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
লেখাটা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। নক্ষত্ররা কেন বেঁচে থাকে না শেষ পর্যন্ত?
ভালো মানুষ শুনেছি বেশিদিন বাঁচে না। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় আমি বোধহয় খারাপ মানুষ!!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
চোখ ভিজে আসে , বিধাতার নির্মম পরিহাসে
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
নতুন মন্তব্য করুন