সওদাগর

দেবোত্তম দাশ এর ছবি
লিখেছেন দেবোত্তম দাশ (তারিখ: সোম, ১৫/০৯/২০০৮ - ১০:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটানা কেঁদেই চলেছে ছেলেটি। নয় কি দশ, বড়জোর এগারো হতে পারে। এই বেঁটে, অর্দ্ধনগ্ন, রাস্তার গরীব বাচ্চা গুলোর বয়স অবশ্য আন্দাজ করা মুস্কিল।

স্টেশনের পাকা করা চেয়ারে বসে ছেঁড়া শার্ট প্যণ্ট পরা বাচ্চা ছেলেটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ট্রেন আসছে, ট্রেন যাচ্ছে। এখানে বিনোদনের কিছু নেই বলেই বোধহয় যাত্রীরা যে যার পাশ কটিয়ে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া মহানগরীর মানুষ নিজেরাই দৈনিন্দন এতসব ঝামেলায় জর্জরিত যে তারা ঝামেলা এড়াতে পারলেই বাঁচেন।

আমিও যে এর ব্যাতিক্রম তা নয়, স্টেশন চত্তরে একজনের জন্য অপেক্ষা করছি। বেশ কিছুক্ষন দূর থেকে ছেলেটাকে দেখার পর কেন জানি মনে হলো ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে দেখি কি হয়েছে?

কাছে গিয়ে দেখলাম চারিদিকে ছড়িয়ে আছে বাদাম, এক পাশে উল্টে পড়ে আছে বাদামের একটা ঝুড়ি,

এইটকুন একটা ছেলে, দেখলে মায়াজড়ানো কষ্ট হয়। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করায় বললো, একটা লোক ট্রেন ছেড়ে দেবার পর তাড়াহুড়া করে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আর ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে বলে সেও লোকটাকেও আর ধরতে পারে নি। এখন তার কাছে একটি টাকাও নেই যে সে পাইকারিতে আবার কিছু বাদাম কিনে এনে বিক্রী করতে পারে।

টানাটানির সংসার আমার, উদয়াস্ত পরিশ্রম করে রোজগার করা টাকা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফু্রোয়, একা রোজগারী মানুষের এতোগুলো মুখের অন্নের যোগান দিতেই কালঘাম ছুটে যায়। তাও সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম কতো লাগে বাদাম কিনতে ?

তিন প্যাকেট আশি টাকা।

পকেট হাতড়ে দেখলাম বাহাত্তর টাকা পঞ্চাশ পয়সা মতো আছে। গুনে গুনে ছাব্বিশ টাকা পঞ্চাশ পয়সা দিয়ে বললাম তুই নাহয় এক প্যাকেট দিয়েই শুরু কর, শেষ হয়ে গেলে আবার এনে চালাবি। আর শোন চোঁখ পুছ, কেঁদে লাভ নেই, এই দুনিয়ায় কেঁদে কিছু পাওয়া যায় ন, লড়াই করতে হয়, জান দিয়ে লড়তে হয়, নাম কি তোর ?

পুঁটে, পরে টাকাটা নেবার সময় শুধু বললো পরে আপনার টাকা ফেরত দেবো কি করে ?

পুঁটেকে বললাম দুনিয়াটা অনেক ছোটো কিনা, তাই কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোদিন দেখা ঠিক হয়েই যাবে, নাহয় সেদিন পুঁটে টাকাটা ফেরত দেবে।

জানি হয়তো বা আর কোনদিন দেখা হবে না এই বাচ্চা ছেলেটার সাথে, হয়ত বা ফিরে পাওয়া যাবে না এই কটা টাকা। হয়তো আমাকেও কিছুদিন কষ্ট করতে হবে টাকাগুলোর জন্য ।
তবু এই কটা টাকা দিয়ে এতগুলো কান্নার সওদা করতে পেরেছি ভেবেই মন আনন্দে ভরে গেল।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

তবু এই কটা টাকা দিয়ে এতগুলো কান্নার সওদা করতে পেরেছি ভেবেই মন আনন্দে ভরে গেল।........................... সবাই এমন ভাবলে ভালই হত ।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

বলো কি ? সবাই এমন ভাবলে আমরা গল্প লেখার রসদ পাবো কোথায় ?
মজা করলাম, তবে আপনার কথাই ঠিক। সবাই এমন ভাবলে সত্যি ভালো হতো
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ভালো লাগলো দেবোত্তম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

জুলিয়ান ভাইএর মত লেখক কিছু মন্তব্য করলে আমি শিহরিত হই। থ্যাংকু জুলিয়ানভাই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

কীর্তিনাশা এর ছবি

অনুগল্প সুন্দর হইছে।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ঝরাপাতা এর ছবি

শেষ লাইনটা বেশ সুন্দর। গল্পটাতে আরো একটু মসলা মিশালে আরো উপভোগ্য হতো।

আমি কিন্তু এসব দরিদ্র মানুষের সততা দেখলে বিস্মিত হয়ে যায়। এদেরকে ১০ টাকার নোট দিয়ে যদি বলেন ৫ টাকা ফেরত দিতে। এরা ঠিক তা ফেরত দেবে। এক খোঁড়া ভিক্ষুককে সেদিন দেখলাম ১০টাকা ফেরত দেয়ার জন্য একটা গাড়ির পেছন পেছন সে কি দৌড়। অথচ সে চাইলেই না দিতে পারতো, গাড়ির মালিকও তার টাকার জন্য অপেক্ষা করছিলো না। আমি নিশ্চিত, গল্পের ছেলেটিও ঠিক একদিন সব দেনা শোধ করে দেবে।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ব্লগের লেখকদের থেকে পাঠকদের সময় আরো অনেক কম, তাছাড়া অনুগল্প হবে যথাসম্ভব বাহুল্যবর্জ্জিত।
চেষ্টা করেছি অযথা মসলা না মেশানোর।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ঝরাপাতা এর ছবি

ওহো, আমি তো অযথা মসলা মেশাতে বলিনি, আমি যথাযথ মসলা (দৃশ্যপটগুলো আরেকটু জীবন্ত করা আর কি) মেশানোর অনুরোধ করেছিলাম মাত্র।

এবার তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আসা যাক।

একটানা কেঁদেই চলেছে ছেলেটি। নয় কি দশ, বড়জোর এগারো হতে পারে। এই বেঁটে, অর্দ্ধনগ্ন, রাস্তার গরীব বাচ্চা গুলোর বয়স অবশ্য আন্দাজ করা মুস্কিল।

এখানে আপনি বেঁটে, অর্ধনগ্ন, রাস্তার গরীব বাচ্চা এই যে এতোগুলি উপমা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন সেখানে আমাকে হোঁচট খেতে হলো, বাহুল্য বর্জনের চেষ্টাতে শুধু মাত্র ছিন্নমূল শিশুদের শব্দটা ব্যবহার করলেই চলতো বোধ করি। রাস্তার বাচ্চারা গরীবই হবে, তারা তো দালানে থাকবে না, তাই এটাও অতি বিশেষণ দোষে দুষ্ট।

দ্বিতীয় প্যারার শুরুতে ষ্টেশনের পাকা করা চেয়ার না বলে পাকা চেয়ার বললেও চলতো বোধ করি।

কাছে গিয়ে দেখলাম চারিদিকে ছড়িয়ে আছে বাদাম, এক পাশে উল্টে পড়ে আছে বাদামের একটা ঝুড়ি,

এই জায়গায়াটাও একটু অসঙ্গত ঠেকেছে। তার কারণ যেহেতু ছেলেটি বাদাম বিক্রি করে এবং ধাক্কা লেগে বাদামগুলো পড়ে গেছে, অতএব ছেলেটা নিশ্চয় বাদামগুলো কুড়ানোর চেষ্টা করবে প্রথমে, অন্তত সে ঝুড়িটা সোজা করবে। আর তাকে নিশ্চয় বাদাম যেখানে পড়েছে অর্থাৎ প্লাটফর্মে বসেই কান্নাকাটি করার চিত্রে মানাত কিন্তু গল্পকার তাকে সিমেন্টর চেয়ারে তুলে দিয়েছেন কান্না করার জন্য। এটাও একটু অসঙ্গত বই কি!

টাকা দেবার সময়ও গুনে গুনে ছাব্বিশ টাকা দেয়াটা একটু কেমন যেন। সাধারণ মানুষ তিন চব্বিশ বাহাত্তুর হিসেব করে ২৫ টাকা দেয়াটাই ঠিক করতেন। যাহোক এ তো গল্পকারের ইচ্ছে, তার ইচ্ছেই সই।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আরে !!! এগুলো তো মাথায়ই আসে নি, খুব ভালো কয়েকটি পয়েণ্ট, ভীষন ভালো লাগল। মনে রাখার চেষ্টা করবো।

১। প্রথম প্যারায় বাহুল্য ইচ্ছে করেই বর্জন করি নি ছেলেটার ছবি আঁকতে গিয়ে, তবে একটা শব্দেও খারাপ হতো না বোধহয়।

২। প্রথমে প্ল্যাটফর্মে বসে সে নিশ্চয় কাঁদছিল, পরে সে চেয়ারে বসে কারণ ততক্ষনে অনেক সময় গড়িয়ে গেছে, আর তাছাড়া ব্যস্ত প্ল্যাটফর্মে আবার ট্রেন আসছে, সুতরাং তার এতটুকু যায়গা নেই যে সে প্ল্যাটফর্মে বসে কাঁদতে পারবে, সে অবশ্য বাদাম কুড়াতে পারতো এবং ঝুড়ি সোজা রাখতে পারত এটা অবশ্যই করা উচিত ছিল, গল্পকারের এখানে মনযোগ দেওয়া উচিত ছিল মানি। আর ঝুড়ি কারো পায়ে লেগে উল্টে গেলে লেখকের সেটা অবশ্যই বলে দেওয়া উচিত বলে মনে করি

৩। তবে, টাকা দেবার সময়ও গুনে গুনে ছাব্বিশ টাকা দেয়াটার পেছনে একটা ফ্যাক্টর আছে।
তিন প্যাকেট বাদামের দাম আশি টাকা। সুতরাং ছাব্বিশ টাকা পঞ্চাশ পয়সা দিয়ে ছেলেটি এক প্যাকেট কিনতে পারবে।

ফাঁকে ফোঁকরে বসে লেখা, জোড়াতাপ্পি দিয়ে চালানো আর কি, তবে চেষ্টা করে যাবো, আর বিশ্বাস করুন ভালো লেগেছে আপনার প্রত্যেকটি কথা, ভালো থাকবেন এবং আমার প্রত্যেকটা লেখার এরকম সমালোচনা করবেন বলে আশা রাখছি

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ঝরাপাতা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সমালোচনাকে (আমি ঠিক সমালোচনা বলতে চাইছি না, এটা বাস্তবিকই গল্পটি পড়ার সময় আমি যেরকম চিত্রকল্প দাঁড় করাতে চেয়েছি এবং সেটা করতে গিয়ে যেখানে দ্বিধাগ্রস্থ হয়েছি তার প্রতি আলোকপাত) ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন বলে।

আমিও প্রথমে আপনার মতোই "বেঁটে, অর্দ্ধনগ্ন, রাস্তার গরীব বাচ্চা" এই উপমাগুলি দিয়ে ছেলেটার একটা চিত্র দাঁড় করালাম। কিন্তু পরে এসে দেখলাম আপনি উল্লেখ করেছেন "ছেঁড়া শার্ট প্যণ্ট পরা বাচ্চা ছেলেটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে"। এখানে এসে একটু থমকে দাঁড়ালাম। যেহেতু ছেলেটা শার্ট-প্যান্ট পড়ে আছে তাহলে সে অর্ধনগ্ন হলো কিভাবে? সে ছিন্নবস্ত্র হতে পারে কিন্তু অর্ধনগ্ন তো নয়। তখন আমি ছেলেটার একটু আগে যে চিত্রটা আকঁলাম সেটাকে খারিজ করে দিলাম। আগের চিত্রটাকে আমি রাস্তাঘাটে যেরকম ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের দেখি তাদের দিয়ে প্রতিস্থাপন করে নিলাম। এক্ষেত্রে একটা সুবিধা হলো- এই ছেলেটিকে আমি আলাদা করে নিতে পারছি। কারণ রাস্তার অন্যান্য শিশুদের চেয়ে সে আলাদা, সে নিজের শ্রমে অর্জিত টাকায় জীবন ধারণ করে। আমি আরো বেশি একাত্ম হতে চাই তার কষ্টগুলোর সাথে।

আরেকটা ব্যাপার ছাব্বিশ টাকা পঞ্চাশ পয়সার ব্যাপারে। আমি ভেবেছিলাম আপনি তিন ভাগের একভাগ টাকা দিচ্ছিলেন ছেলটাকে। যাহোক সেটা ভুল আপনার প্রতিমন্তব্যে জেনেছি। কিন্তু তারপরও একটা খটকা পাঠকা মনে থেকেই যায়। তিন প্যাকেট বাদামের দাম যদি আশি টাকা হয় তবে সেক্ষেত্রে এক প্যাকেটের দাম ছাব্বিশ টাকা আট আনা থেকে সামান্য কিছু বেশি পড়ে। কিন্তু সেটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্টর না। যেটা ইম্পর্ট্যান্ট মনে হয় সেটা হলো, যে কোন জিনিস যখন একসাথে তিন প্যাকেট কেনা হয় তার দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু যখন এক প্যাকেট কেনা হয় তার দাম একটু বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে গল্পকার যদি ছাব্বিশ টাকা আট আনার পরিবর্তে সাতাশ টাকা বা তার বেশি দিতো তাহলে হয়তো এরকম প্রশ্ন আসতে না পাঠকমনে। যাহোক, গল্পে এ ব্যাপারটা তেমন একটা মুখ্য না।

আবারো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো দুর্দান্ত গল্পের আশায় রইলাম।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আরো দুর্দান্ত গল্পের আশায় রইলাম।

অভ্র ভাই, এইবার টেনশন খাইলাম।
তবে আপনার মন্তব্যের সাথে আমি সহমত।
একটা কথা মনে হছে আমাকে আরো একটু সময় নিয়ে লেখতে হবে, সময় হয় না যে একদম।
আমাকে এবার মরিয়া প্রমাণ করিতে হইবে আমি মরি নাই

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।