বাড়ীতে বসে মদ্যপান পান আর পাবে (মদের দোকানে) বসে মদ্যপানের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক।, ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে সেইসব যায়গায় অনেক সময় বহু জ্ঞানীগুনী জনেরও দেখা পাওয়া যায়।
এঞ্জেল পাব, বিলাতের এক বহু বিখ্যাত পুরোনো পাব, সেখানে এক ভদ্রলোক রোজ মদ খেতে আসে আর মদ খেয়ে খেয়ে মাতাল হয়ে বিশাল চিল্লামিল্লি করে। টনি ইয়াং নামের লোকটা পাবের মালিকের বন্ধু, তাই সে বেশীরভাগ সময়ই হাল্লাগোল্লা করে পার পেয়ে যায়। তবে টনি কারো সাথে ঝগড়া করে না, শুধু একটু চেঁচামেচি করে আর অদৃশ্য কাউকে গালাগালি করে।
তা একদিন আমি ইছা করেই টনির টেবিলে তার অনুমতি নিয়ে বসলাম। মদ খাওয়া শুরু করার আগে টনি পাক্কা জেণ্টলম্যান। আমাকে আদর আপ্প্যায়ন করে বসালো
পশ্চিমাদেশে কাউকে সাধারনতঃ আমাদের মতো অতি সহজেই কোনো ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয় না। তাই ঠিক করলাম টনির শর্টসার্কিট না হওয়া পর্যন্ত কিছু জিজ্ঞেস করব না।
বেশী সময় নিল না টনি, ওর দুই একটা কথায়ই বুঝতে পারলাম টনির এবার বিগড়াবার পালা। তাই পুরোপুরি বিগড়ানোর আগেই জিজ্ঞেস করলাম এত গালি কারে দেয় টনি?
আধা মাতাল টনি যা বলল তাতে বুঝলাম যে ওর বাড়ীতে একটি বজ্জাত মেয়েমানুষ আছে, যে এখনো কাগজে কলমে তার বউ তাকে আর টনি তাকে দুইচক্ষে দেখতে পারে না, কারন দিনরাত নাকি ওই মহিলার সাথে টনির সাথে খিটমিট লেগেই থাকে, ভীষন খারাপ ওই মেয়েমানুষটি। এখনো একই বাড়িতে থাকে বলে রোজ ওই বাজে মহিলার মুখ দর্শন করতে হয়। তাই সে রোজ রাতে মাতাল হয়ে খাবার দাবার বাইরে খেয়েই বাড়ী যায়। আর মদ খেতে খেতে নাকি ওই মহিলার কথা ভেবে ভেবে মন খারাপ হয়ে যায়, তাই ওই গালাগাল দেওয়া আরকি !! তবে পাকাপাকি ছাড়াছাড়ি হতে নাকি আর বেশীদিন বাকি নেই। তারপর থেকে টনির আর কোনো টেনশন নেই।
মদ খাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে গালাগালি। বুঝলাম টনির পুরাপুরি আউলা। এখন বসে মস্করা মারা মানে টনি আমার বাপ দাদা নিয়ে টানাটানি করতে পারে। তাই সামান্য শুভাচ্ছাটুকু (যা না জানালে নয়) জানিয়ে আমি হাওয়া হলাম।
তারপর থেকে পাবে টনির সাথে দেখা হলে কথাবার্তা শুধু হাই হ্যালোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
তার কিছুদিন পর থেকে টনিকে আর পাবে আর দেখতে পাই না। ভাবলাম বোধহয় বউ এর সাথে মিটমাট হয়ে গেছে বা অন্য কোনো পাবে যেতে শুরু করেছে, যাকগে ভাবলাম একমতে ভালই হয়েছে, বেমালুম ভুলেই গেলাম টনির কথা।
তার বেশকিছুদিন পরের কথা, হটাৎ করে রাস্তায় টনির সাথে দেখা, টনিই আমাকে ডেকে কুশল বিনিময় করল। আমি তো অবাক, চেহারা পত্তরও বেশ ভালো হয়েছে,।
টনি নিজে থেকেই বলল যে ওই বদ মেয়েলোকটির থেকে সে ছাড়া পেয়েছে, মহিলা বাড়ীছাড়া হয়েছে(মানে তাড়াতে পেরেছে), কিন্তু বোকা মহিলাটি নাকি বিচ্ছেদের সময় কিছুই নেয় নি। টনি জোর করেও নাকি কিছু দিতে পারেনি। সে শধু বিয়ের এ্যলবামটা চেয়ে নিয়ে গেছে। তা যাই হোক আপদ বিদেয় হয়েছে তাতেই টনি খুশী।
কিন্তু আজকাল তার পাবে না আসার কারণ জিজ্ঞেস করায় টনি জানালো যে তার নাকি এক নূতন বান্ধবীর যোগাড় হয়েছে এবং সে নাকি বিশ্বের সবথেকে ভালো আর সুন্দরী মহিলা, সে শুধুই ভাবে কেন যে এই মহিলার সাথে তার আগে যোগাযোগ হয়নি। এতো ভালো তাকে এর আগে কেউ বাসেনি, যাইহোক, খুব শীঘ্রই সে তাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে। আর তার নূতন বান্ধবীই নাকি তাকে আজকাল আর পাবে আসতে দেয় না।
এতো ভাল খবর শুনে টনিকে অগ্রিম শুভেচ্ছা-টুভেচ্ছা জানিয়ে সেদিনের মত টনির থেকে বিদায় নিলাম।
স্বাভাবিক নিয়মেই আবার টনিকে ভুলে গেলাম।
টনির কাহিনী এখানে শেষ হয়ে গেলে বোধহয় ভালই হতো, কিন্তু আজ আবার সেই পুরোনো পাবে নূতন টনিকে পুরোনো মেজাজে দেখে এক্কেবারে থ হয়ে গেলাম। ভয়ে আর পাশেই গেলাম না। কিন্তু যেখানেই বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। টনি আমাকে ঠিক চিনেই ফেলল।
মাতাল টনির কথা থেকে যা বুঝলাম তার সারমর্ম হচ্ছে এই যে, তার নূতন বান্ধবী তাকে তার টাকা পয়সা নিয়ে রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছে। তার নাকি কপালই খারাপ।
বেশীক্ষন আর দাঁড়ালাম না।
প্রথমে নিজে বউটাকে লাথি দিয়ে বের করেছে, এখন নিজে লাথি খেয়ে বেরিয়েছে।
সুখে থাকতে ভূতে কিলোয় আর কি !!
হা হা হা, ভালো বলেছেন .... ডাইরেক্ট মানে ফাইবার লিংক তো ওখানেই শেষ। কপার ওয়্যার বা ওয়্যারলেস দিয়ে বার্তা ঠিক মত পৌছায় না, প্রচুর ডিসর্টসন কি না !!
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
নিঃসন্দেহে প্রথম বউটাই তাকে ভালবাসতো।
তবে সত্যিকার ভালোবাসার মর্যাদা কে দিয়েছে কোনকালে?
"তার প্রেমে ছিলো প্রতারণা, তাই তার লাগি এতো টান" -
কবিতাখানি মাহবুব লীলেনের।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুল বোন,
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম যে অনেকেই বোঝে না।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আমি ভাবি অন্যকথা... লোকটার পাবে আসার জন্য বউ তাড়াইতে হয়, নাকি বউ তাড়ানের জন্য পাবে আসতে হয়?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজুভাই, বড়ই জটিল প্রশ্ন, টনির লগে আবার দেখা হইলে জিগামুনে, তয় আমারে মারতে আইলে কিন্ত আপনার ঠিকানা দিয়া দিমু।
টনির কিই বা আর দোষ, মাইনষে নেশা করনের লাইগা নিত্য নতুন কতই না ফন্দি আঁটে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
হুমম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এতো আরো কঠিন মন্তব্য, বুঝলাম না রে দিদি।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
মন্তব্য
হাহাহা... প্রথম বউটা তারে আসলেই ভালবাসতো... বেক্কল হালার...
আমারো তাই মনে হয়, প্রথম বউটাই আসলে তারে ভালবাসতো , মানুষ কেন যে এতো বেকুব হয় !!
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
তুলনীয়: বাড়িতে বসে ইবাদাত আর মসজিদে গিয়ে ইবাদাতের মধ্যেও সওয়াবের বিচারে আকাশ-পাতাল ফারাক। (আস্তাগফিরুল্লা...)
.......................................................................................
Simply joking around...