ওখানে দাড়িঁয়ে ভদ্রমহিলার সাথে আলাপ করার মত সময় তখন ছিল না। দাসত্ব পালনে যেতে হবে কি না!! কৃতদাস প্রথা আজো চলছে, পুরোনো আইডিয়াকে নয়া মোড়কে বাঁধাই করে বাজারে ছাড়া হয়েছে, বোঝার কোনো উপায়ই নাই, বোতলের ছিপি খুললেই পুরোনো গন্ধ বেরিয়ে আসে। সবাইকে কোনো এক অদৃশ্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। আরো কঠিন, আরো নিষ্ঠুর,আরো নিঃকৃষ্ঠ সেই বাধন,না হলে কি বাপ মা দুজনকেই তাদের অবুঝ সন্তানকে অন্যের ভরসায় রেখে প্রভুর দাসত্ব করতে যেতে হয়!! কে বলে দাসপ্রথা আজ অবলুপ্ত ?
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার (রাণীর) রাজত্বে কথাটা যেনো সত্যি বড়ই বেমানান
প্রয়োজনে ভদ্রমহিলা যেনো আমার সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করেন এই বলে ওদের থেকে বিদায় নিয়ে রোজকার মত ছেলেকে নিয়ে চললাম। অফিসে পৌঁছেই ভাবলাম খবরটা বিথীকে অবশ্যই জানানো দরকার, টুক করে একটা ইমেইল করে দিলাম (বেচারী আমার অনেক আগেই ওর অফিসে চলে যায় কিনা, তাই ভাবলাম ব্যাপারটা নাও জেনে থাকতে পারে), অনেক্ষন পরেও ইমেইলের উওর না পেয়ে বুঝলাম ম্যাডাম নিশ্চয়ই মিটীং এ ব্যস্ত, আমিও সারা দিন অফিসে প্রায় হাঁসফাঁস করে কাটালাম। দাসত্বের বোঝা বড়ই ভারী, তাই দাসত্বের দাবী মেটাতে মেটাতে ভদ্রমহিলা আর উনার বাচ্চাদের কথা মনে পড়লেও করার আমার কিছুই ছিল না(বলে রাখা ভালো উনাদের কোনো যোগাযোগ নম্বরও আমার কাছে নেই, রাখার কোনো কারণও ছিল না, তবে বিথীর কাছে থেকে থাকলেও থাকতে পারে)।
একই নিয়মে চলতে থাকা গতানুগতিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত বিদ্ধস্থ আমি কাজের শেষে সারাদিন চাইল্ডমাইণ্ডারের বাড়ীতে টিভি দেখা খেলাধুলো করা অবিন্যস্ত ছেলেকে নিয়ে বাড়ী ফিরলাম।
বিথী ততক্ষনে বাড়ী ফিরে রোজকার মত রান্নাঘরে, কিছু বলার আগেই আমাকে ইশারা করে বললো হাত মুখ ধুয়ে আসতে।
চা হাতে নিয়ে বিথীকে কিছু বলতে যাবো, অমনি আমাকে থামিয়ে যা শোনালো তাতে বুঝলাম, আমাদের প্রতিবেশীদের হোমলেস (বাংলায় গৃহহীন) সংস্থা থেকে কথা দিয়েছে উনাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। তবে ওরা পরামর্শ দিয়েছে উনারা যেনো এখন যেখানে থাকেন সেটা অবশ্যই ছেড়ে দেন, এটা ছেড়ে দেওয়ার পরই ওরা কিছু করতে পারবে। উনাদের থাকার একটা হিল্লে হয়ে গেল ভেবেই মনটা চাঙ্গা হয়ে গেল।
আক্কা, আন্নার দিয়ে যাওয়া অনেক খেলনা নিয়ে একমনে খেলে চলেছে আমার পুঁচকে ছেলে, মুখ দিয়ে বুম বুম শব্দে চলছে খেলনা গাড়ী। আমি সোফায় বসে রেডীওর বাপ টিভি দেখছি, আসলে দেখছি না তাকিয়ে আছি, মনের মধ্যে চলছে অন্য এক ছায়াচিত্র, ভাবছি আমার প্রতিবেশী মহিলার একক যুদ্ধের কথা। (কথাগুলো বোধহয় মহিলা কোন এক দুঃখের মুহুর্তে বিথীকে বলেছেন)
ব্যবসায় মার খাওয়া জীবন যুদ্ধে পর্য্যুদুস্থ স্বামীর মস্তিষ্কে যখন গোলমাল, সসাগরা সমুদ্র যখন চারিদিকে, কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছে না, হার না মানা লড়াকু মহিলা তখন ধরার চেষ্টা করছিলেন সংসারের হাল। কিন্তু কোনো রকম কাজ না জানা, শুধুই বাড়িতে বাচ্চাদের মানুষ করা মহিলার পক্ষে কাজ পাওয়া কি এতই সোজা? তবু বেরুলেন কাজের যোগাড় করতে, বলতে হয় বেরুতে হলো।
হাল ছেড়োনা, হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে তোমায় আমায় দেখা হবে ......
কাজ একটা পাওয়া গেল অনেক কষ্টে, তবে পার্ট টাইম। যেহেতু এদেশের কোনো পড়াশোনা নেই, জোড়াতাপ্পি দেওয়া ইংরাজী, তাই কাজ হলো আলু ভরতে হবে বস্তায়। তাইই সই, শুরু হলো লড়াই, কিন্তু এই রোজগারে কি আর চলে ? যে করেই হোক আরো কিছু একটা কাজ চাই যে ?
যোগাড় হলো আরো একটা পার্ট টাইম কাজ। নিজেরই ছেলে মেয়েদের স্কুলে আয়ার কাজ। কাজ হচ্ছে একদম পুঁচকে ছেলে মেয়েদেরকে হাগু মুতু করানো, প্রয়োজনে পরিষ্কার করা। হাতে আসমান পাওয়া গেলো, মনেহলো এইবার বোধহয় বাচ্চাদের নিয়ে খেয়ে পরে বাঁচা যাবে।
এসব আকাশ পাতাল ভাবছি, ঘোর ভাঙ্গলো বিথীর ডাকে, খেতে বসেছি মনে হলো দরজায় কেউ টোকা দিচ্ছে। দরজা খুলে দেখলাম আমার প্রতিবেশীনী দাঁড়িয়ে আছেন। ফোলা ফোলা চোখ দুটো লাল, মনে হলো প্রচুর কান্নাকাটি করেছেন, ভাবসাব ভালো ঠেকছে না। ভেতরে আসতে বললাম।
ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরাজীতে উনি যা বললেন তাতে বুঝলাম সমস্যার সমাধান কিছুই হয় নি বরং বেড়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে সবাই এখন রাস্থায়, মহিলা নাকি সারাদিন ধরে কিছু খাবারো সময় পান নি।
মহিলাকে ডেকে ভেতরে এনে বসালাম, বাচ্চারা কোথায় আছে প্রশ্ন করে জানলাম স্কুলের এক দিদিমনি উনার বাড়ীতে বাচ্চাদের আজকের মতো থাকতে দিয়েছেন।
মহিলা যা বললেন তাতে বোঝা গেল আজ সারাদিন হোমলেসে থেকেও নাকি কিছু হয় নি। গলা ধরে আসা মহিলা কথা শেষ করতে পারলেন না, কান্নার চাপে বাকি কথাগুলো চাপা পড়ে গেলো।
ঝরঝর করে কেঁদে ফেলা মহিলাকে বিথী খাবার টেবিলে নিয়ে গেল। অপ্রস্তুত আমি হতভম্ব। এদিকে ছেলে আমার খাওয়া শেষ করে আক্কা আন্নার খেলনা নিয়ে আবার খেলতে বসেছে।
(মনেহয় চলবে)
পুনশ্চঃ -ধুর, ভালো লাগে না আর এসব লিখতে, বিষন্ন মন আমার ... কান্না কাটির, হল্লা হাটির সময় কেনো যায় না যে হারিয়ে? আমাকে বসে থাকতে হবে উনাদের কি হলো জানার জন্য, অবশ্য আপনারা আর শুনতে না চাইলে .........
মন্তব্য
লেখাটা শেষ করেন স্যার
লাইভ টেলিকাষ্ট হচ্ছিলো লীলেনভাই, আর এটা আমার মন গড়া কাহিনী নয়, প্রতি মুহুর্ত রঙ পাল্টাচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার ফারাকে আমার ব্রডকাষ্টিং চলছিল। নিজেও জানি না কি হতে পারে বা কি হতে চলেছে।
তবে হ্যাঁ অতীত আর বর্তমানের মিলমিশ একটা হচ্ছে বটে, ভেজালও খুব কম মেশাতে হচ্ছে।
এখন মনে হচ্ছে বরং অপেক্ষা করে দেখি কি হয় তারপর নাহয় একেবারে শেষ করেই পোষ্টাবো।
অফটপিক ঃ – বরাক উপত্যকার ডঃ তপোধীর বাবুর সাথে আপনার পরিচয় কোথায় কি ভাবে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আমাদের এখন বিষণ্নতার অনুভূতি কমে গেছে... আমরা এখন আর এসব দেখে বা শুনে খুব একটা বিষণ্ন হই না। শহর ভর্তি গৃহহীন মানুষকে পাশ কাটিয়ে ১৮৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটে থাকি।
বিষণ্নতা আমাদের মানায় না।
চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কথা ঠিক, আমাদের অনুভুতি গুলো সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে, ভোঁতা হয়ে থেঁথলে যাচ্ছে। সুরসুড়ি নয়, খোঁচা দিয়েও কিছু হবে না।
তবে নজু ভাই এখানে বিদেশ বিঁভূইয়ে প্রায় কাউকেই গৃহহীন দেখতে পাওয়া যায় না, তার মধ্যে চেনাশোনা একটা পরিবারকে কষ্ট করতে দেখলে খারাপ লাগে বৈকি, বিশেষ করে তাদেরকে যদি প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়, যেখানে চামড়ার রঙ মুখ্য হয়ে ওঠে, ভাষা প্রাধান্য পায়, গায়ে লাগে বটে, হেস্তনেস্ত একটা হতেই হবে।
আমার জায়গায় আপনি থাকলে হয়তো কিছুটা বুঝতেন বা আমার ভাষার অক্ষমতায় আমি ঠিক বুঝাতে পারছিনা তাদের কষ্ট।
আমি অবশ্য ঠিক করেছি এর শেষ আমি না দেখে ছাড়বো না, যা হবার তাই হবে। আপনারা শুধু সবাই আমার সাথে থাকুন
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
হুমম, দেশে লোককে রাস্তায় শুয়ে মরতে দেখলেও খারাপ লাগে না, চোখ অভ্যস্ত জন্মের পর থেকে কিন্তু এখানেই লাগে, কি বিচিত্র এই সেলুকাস।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
একটু অন্যরকম হয়েগেলো নাকি রে দিদি।
এটা কি সত্যিই ঠিক, আসলেই কি আমাদের খারাপ লাগে না! কোনো কষ্ট বোধ হয় না, মনে কি একবার হয় না কি করলে এদের সাহায্য করা যেতে পারে, কি করলে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম একটু ভালো থাকবে, কেন আমাদের মানুষদের এই অবস্থা বলেই কি আমরা তর্ক জুড়ে দেই না ?
নাকি আমাদের কিছুই করার ক্ষমতা থাকে না বলে আর নজু ভাই যেভাবে বলেছে লক্ষ হাজার গৃহহারাদের দেখে আমাদের চোখ সওয়া হয়ে যায়। খারাপ লাগলেও কিছু করার থাকে না। খারাপ আমাদের লাগে, কষ্টও হয় বটে, তবু চোখ বুজে থাকি, একরাশ কষ্ট বুকে নিয়ে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
দাদা, সত্য বই মিথ্যে বলব না, খুব ছোট বেলায় খারাপ লাগত, এখন অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আবার এখান থেকে গেলে প্রথম কয়দিন লাগে পরে আবার অভ্যস্ত হয়ে যাই। নিজের মেয়ে হওয়ার পর থেকে তীব্র খারাপ লাগে শুধু বাচচাদের জন্য। গাড়ির জানালায় যখন লুসনী নিয়ে দাঁড়ায় মনে হয় আহারে ওদেরও তো জীবনের কাছে কতো কিছু পাওয়ার ছিল। কিন্তু দাদা সত্যিই কি কারো খারাপ লাগে??? তাহলে কি লোকগুলো রাস্তায় পড়ে মরতে পারত? রাজনীতিবিদদের কথা বাদ দেন, আমাদের জন সাধারনের শক্তিওতো কম না, কিছুই কি আমরা করতে পারি না??? ইচ্ছে যদি আমাদের থাকতো, উপায় নিশ্চয়ই হতো।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সহমত আমি তোমার সাথে, কিন্তু দেখো তোমার মেয়েকে দেখলেই অন্য বাচ্চাদের জন্য তোমার কষ্ট হয়। তোমার মেয়ে নাহলে কি এতটা কষ্ট হতো না, না বোধহয়। তাই তোমার কথা মাঝেই লুকিয়ে আছে রহস্য, কথায় আছে না নিজের উপর পড়লেই বুঝা যার বোঝা কত ভার।
আর জন সাধারনের শক্তি বলছো, ঠিক যায়গায় শক্তির প্রয়োগ হচ্ছে কি। সমস্যার মূল কারন কি আমরা খুঁজে বের করেছি । মনে হয় আলাদা একটা পোষ্ট করতে হবে এই নিয়ে ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
এভাবে এত ছোট খন্ড পড়লে পড়ার গতিতে ছেদ পড়ে। শেষ হলে পরে একসাথে পড়বো। চলুক।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ঠিকাছে অমিতভাই, আমিও একেবারে শেষ করে পোষ্টাবো
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
চলতে থাকুক....
ঠিক আছে প্রহরীদা, চলবে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
এগুলোই জীবনের গল্প। একেবারে গভীর বাস্তব থেকে তুলে আনা। এগুলো লিখবেন না তো লিখবেনটা কী শুনি !
লিখে যান। মহাকালের স্মৃতিকোষে জমা হয়ে থাক। কেউ না কেউ খুঁজে নেবে আবার, কোন মহতি পরিবর্তনের তাগিদে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদীপমদা,
মনে হচ্ছে রুঢ় বাস্তব বলে বোধকরি আমার লেখা কিছুটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। লেখাগুলো কি একটু বেশী আবেগপূর্ণ হয়ে দীর্ঘাকার হয়ে যাচ্ছে না?
হোক গে যা কিছু একটা, শেষটা তবে দেখেই ছাড়বো।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
খুব মনে লাগছে আপনার লেখার ধরনটি। দয়া করে পুরোটা লিখে শেষ করবেন। মন ভার হোক না কেনো, সত্যটি জানা দরকার।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, ভীষন ব্যস্ত ছিলাম এই কয়দিন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগছে, আপনার দারুন লেখার ভক্ত আমি। ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
নতুন মন্তব্য করুন