এটা হচ্ছে টা কি!! ব্যাটা রাবণ যে কিছুতেই মারা পড়ছে না। বেচারা রাম কত প্রকার অস্ত্র-শস্ত্রের নাম করে কতই না তীর ছুঁড়লে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। রাম যতই লাফিয়ে বলে “তবে রে এই পাষণ্ড ......... ” উল্টে হুংকার ছাড়ে রাবন “ তবে রে রাম ...... “
শেষ লড়াই চলছে রাম রাবনের মধ্যে, শত, হাজার, লক্ষ, কোটিবার এই যাত্রা পালা হয়ে যাওয়া কাহিনীর শেষ দৃশ্য সবাই জানেন। হবে অধর্মের পরাজয়, রাবণ মারা পড়বে আর তারপরই দর্শকদের হাততালি তে ফেটে পড়বে চারিদিক।
কিন্তু কোনো কিছুতেই রাবন মারা পড়ছে না, হটাৎ করে সব আলো নিভে গেল, ষ্টেজের পর্দা পড়ে গেল। মিনিট দুয়েকের নিরবতা, দর্শকরা কিছু বুঝে উঠার আগেই বা হাল্লাগোল্লা শুরু করার আগেই আবার আলো জ্বলে উঠলো, পর্দা উঠে গেলো
রামের একই তীরে রাবন বিকট চিৎকার করে মারা পড়লো।
দর্শকদের হাততালি আর চিৎকারে চারিদিক ফেটে পড়লো। যাত্রাপালা ভালোমতই সমাপ্ত হলো।
আয়োজদের যেনো ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো।
পরে শোনা গেছিলো, রাবণকে তার পুরো পেমেণ্ট (পারিশ্রমিক) না দেওয়াতেই নাকি সে এই কাণ্ড করেছিল।
*******************
আর এক বার এক যাত্রাপালায় পুলিশ গুলি করে মারবে চোরকে, তো ঠিক করা আছে যেই না পুলিশ বাবাজী গুলি করবে ঠিক সেই সময় ষ্টেজের পেছনে চকলেট বোম ফাটানো হবে গুলির আওয়াজকে জীবন্ত করার জন্য, মানে পটকার আওয়াজে গুলির শব্দটা আরো রিয়ালিষ্টিক হবে আর কি।
তা হয়েছে কি, পুলিশ বাবাজীর তিন রাউণ্ড গুলি চালানো হয়ে গেছে, কিন্ত পটকার আওয়াজ তো আর হয় না, বেচারা চোরও মরতে পারে না, অবশ্য এসবের প্রটেকশান থাকে, তাই থাকে খাবার টেবিলের উপরে সাজানো আপেলের গায়ে ছোরা গাঁথা ।
পুলিশ এবার বন্দুক ফেলে দিয়ে ছোরা হাতে নিয়ে চোরকে মারতে উদ্ধত হয়, আর যেই না চোরের পেটে ছুরি ঢুকিয়েছে অমনি শোনা গুলির আওয়াজ।
হাসিতে ফেটে পড়ে দর্শক। না চোর মারা পড়ায় নয়, ছোরা ঢুকালে গুলির আওয়াজ হয় বলে।
*******************
[b]***কটা দিন পাগলা কুত্তার মতো দৌড়াতে হলো বলে কিছু পোষ্ট করা তো দূরের কথা ঠিক ঠাক কিছু পড়া হয় নাই। আশাকরি সবাই ভালো আছেন ***[/b]
মন্তব্য
খাসা, বেশ মজাদার। এমন লেখা লিখতে থাকুন।
পুলিশের শেষ দিকটায় ভালোই তো হাসি পেলো!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
বাহ্
লিখে জান ভাই হাসতে ভালোই লাগে
নতুন মন্তব্য করুন