গতকাল সকালে ব্রেকিং নিউজ দেখলাম বৃটেনের সর্ব বৃহৎ টেলিকম সংস্থা তাদের ১০০০০ (দশ হাজার) কর্মী ছাটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই মুহুর্তে এরা শুধু মাত্র কণ্ট্রাক্টে নেওয়া কর্মীদেরই ছাঁটাই করবে বলে বলছে, কিন্তু তারা আগামীতে যে পার্মানেণ্টদেরও ছাঁটাই করতে করবে না তার কোন গ্যারাণ্টী কেউ দিতে পারছে না। অবস্থা কেরোসিন
হ্যাঁ বৃটেনে সত্যি সত্যি রিসেশন এসে গেছে। বলা হচ্ছে বৃটেনে এবারের অর্থনৈতিক মন্দা বেশ লম্বাই হবে। আমেরিকা, ইউরোপের প্রথম সারির সব গুলো দেশের অবস্থাই খারাপ। সারা বিশ্ব জুড়েই চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। আগুনের আঁচ থেকে কেউই রেহাই পাবে না, যতদুর মনে করা হচ্ছে তুরুপের তাস এখন তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির হাতে, এরাই নাকি এখন খেল দেখাবে।
বৃটেন বিগত চারশ বছরে তার অধিকার করা দেশগুলো থেকে যা কিছু রোজগার, নাঃ বলা ভালো লুট করে এনেছিল তা কি মাত্র কয়েক দশকে ফুরিয়ে যেতে বসেছে। কথায় আছে বসে খেলে রাজার ভাঁড়ারও একদিন ফুরায়।
মুস্কিল হচ্ছে এই দেশ এখন আর কিছুই তৈরি করা না। এমনকি নব্বই এর গোড়ার দশকেও এখানে প্রচুর কারখানা ছিল। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও অধিকার করা দেশগুলো থেকে কাঁচা মাল এখানে আসতো, তার পর সেটা ফাইনাল প্রডাক্ট হয়ে সেই দেশগুলোতেই আবার বিক্রী হতো, তাতে মুনাফা কয়েকশগুন। এখন আর কলোনী নেই, কাঁচামালও কিনতে হয় তারপর সেটা দিয়ে ফাইনাল প্রডাক্ট করতে অনেক খরচা।
সেই জিনিসই এখন অনেক কমদামে অন্যরা বানিয়ে ফেলছে। Production Cost এখানে এতো বেশী যে তার থেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলি থেকে অনেক সস্তায় সেসব কেনা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কতদিন এভাবে সম্ভব ? সবথেকে বড় সমস্যা হয়েছে Globalisation হবার পর। কমদামে ভালো জিনিস অন্য জায়গায় পাওয়া যাবে তো এখান থেকে এতো দাম দিয়ে কেনবে কেন। কিছু কম দামে কেনো, তারপর ব্যবহার করো, খারাপ হয়ে গেলে ফেলে দাও। চীন আমাদের এটা শিখিয়েছে।
যাঃ আবার কি সব ছাইপাশ লিখতে শুরু করেছি, আমি আদার ব্যাপারির জাহাজের খবর নিয়া কাম কি ? এসব নিয়ে গবেষক, অর্থনীতিবিদ রা চর্চা করবেন, লেখালেখি করবেন। আমার মত ছাপোশাদের এসব মানায় না।
যেখানে আগের পর্ব শেষ করেছিলামঃ-
নীলোৎপলের বসের সাথে আলাপচারিতা শেষ হয়ে গেলে যখন আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ডেবস্, হি ইজ নাউ অল ইয়োরস্” তখন মনে মনে ভাবছিলাম আমাকে আর এর মধ্যে জড়ানো কেন?
যাইহোক, তবুও এদেশে এসে বিদেশীদের মতই ভীষন রকম প্রফেশনাল হয়ে যাওয়া আমি, মুখের কৃত্রিম হাসি অব্যাহত রেখে বললাম, মিঃ নীলকে তো আবার এমনিতেই আসতে হবে, তখনই না হয় বাকী সব জিজ্ঞেস করা যাবে তাছাড়া আমার তেমন কিছুই জিজ্ঞেস করার নাই।
ঠিক আছে তা হলে, মিঃ নীল তোমার সাথে পরিচয় হয়ে আমাদের খুব ভালো লেগেছে। তোমার পরবর্তি রাউণ্ড ইণ্টারভিউ কবে হবে সেটা তোমাকে এজেন্সি জানিয়ে দেবে, আর হ্যাঁ কবে নাগাদ তুমি জয়েন করতে পারবে ?
এনিটাইম এনিডে, আই এম এভেইলএভল দিস ডেইজ।
ওয়াণ্ডারফুল, তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আমার তরফ থেকে তোমার জন্য রইলো অগ্রীম শুভেচ্ছা।
আমাদের দুজনকেই ধন্যবাদ জানিয়ে নীলোৎপল সেদিনের মতো বিদায় হলো।
শেষ দুজনের ইণ্টারভিউ নিয়ে আমাদেরও সেদিনের মতো ইণ্টারভিউ নেওয়া শেষ হলো। বুঝতে পারি না, আমার বস কি করে এত বকবক করতে পারে। মনে হয় আমার বসের এই কোম্পানীতে কাজ না করে কোন এক সেলস টীমের বস হওয়া উচিত ছিল।
********************
একটু দেরী হয়ে যাওয়ায় তেরোতলার ক্যণ্টিন থেকে লাঞ্চ নিয়ে একসাথে আমি আর আমার বস বসে পড়লাম, বসের হাতে আজকে ইণ্টারভিউ নেওয়া সবার সিভি। দুটো ভাগ করা হচ্ছে।
বুঝলাম কাদেরকে সেকেণ্ড রাউণ্ডে ডাকা হবে তার প্রস্ততি হচ্ছে। কি ভীষন এনার্জী এই মহিলার। আমার এক কলিগ একদিন আমাকে কোন এক কথা প্রসঙ্গে বলছিল সাদা চামড়ার জন্য এরা বড় বড় পোষ্টে তাড়াতাড়ি কাজ পেয়ে যায় আর উন্নতিও দ্রুতগতিতে হয়।
কথাটা নিতান্ত ভূল না হলেও আমার বসের ক্ষেত্রে একদম খাটে না। এতো পরিশ্রমী, সৎ আর বিনয়ী, বস হওয়া একেই মানায়।
সি ভি বাছাই করে ছয়টা সিভি আমার হাতে দিয়ে বস বললেন “হ্যাভ আ লুক আণ্ড টেল মী ইফ উই নিড টু কল এনি ওয়ান এলস?”
সিভি গুলো হাতে নিয়ে না দেখেই বললাম তুমি যখন দেখেছো তখন আর দেখার কিছু নেই, আমি বরং এদের নাম এজেন্সি কে জানিয়ে দিচ্ছি।
ডেবস্ তবু একবার দেখে নাও, আমি জানি টেকনিক্যাল ইণ্টারভিউটাই ক্রশিয়াল, তবু আমি সিওর হতে চাই, আসল কেউ যেনো বাদ না পড়ে। আর খুব সম্ভবতঃ সামনের মাসের প্রথমেই এদেরকে জয়েন করতে বলা হবে। প্রজেক্ট শুরু হতে আর বেশী দেরী যে নেই।
ঠিক আছে বলে, নামমাত্র একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম, ইচ্ছে করলে এখনি এখান থেকে আরো দুজনকে বাদ দিয়ে দেওয়া যায়, তবে আমি জানি বস সেইফ সাইডে থাকার জন্য এই দুজনের সিভি যোগ করেছে।
ডেবস্, তুমি লাঞ্চ করো, আমার আবার একটা কনফারেন্স কলে যেতে হবে, তোমার সাথে পরে দেখা হচ্ছে।
হাত তুলে মুখে কিছু না বলে ইশারায় জানান দিলাম ঠিকাছে।
********************
সেণ্ট্রাল লণ্ডলের চৌদ্দ তলা বিল্ডিংয়ের তেরো তলার ক্যাণ্টিনের এক কোনে বসে আছি (যেখানে বসে লণ্ডনের প্রায় সব বড় বড় বিল্ডিং দেখা যায়, সে এক মনোরম দৃশ্য)। ওয়েষ্টমিনিষ্টার থেকে লণ্ডন আই সব কিছু দেখা যায়। হাল্কা কিছু খাবার কাঁচের বাইরে দিকে তাকালাম।
নিচে তাকিয়ে দেখলাম বিরাট এনাকোণ্ডার মত ইউরো-ষ্টার (লণ্ডন থেকে ফ্রান্সে যাবার সেই বিখ্যাত ট্রেন) এঁকে বেঁকে চলছে।
অন্যমনষ্ক ভাবে ল্যপ্টটপে গুতাতে গুতাতে কি সব আগপাশতলা ভাবছিলাম কে জানে, কি ভাবে এটা ঠিক আমি যোজন মাইল দুরে আমার অতীতে পৌঁছে গেছিলাম। আমি জানি আমার কেন এরকম হচ্ছে।
আমি আমার থেকে হারিয়ে গেলাম। থম মেরে আসা দুঃখী মনের অতল থেকে যেন আপনা আপনি দীর্ঘনিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো, অতীতের স্মৃতি এসে ভীড় করলো হ্রদয়-সত্তা জুড়ে।
ভালো হোক, মন্দ হোক, সুখ হোক আর দুঃখই হোক, অতীত বোধহয় সবার বুকেই একটা চিনচিনে ব্যথা তৈরী করে। বর্তমানের কষ্টগুলোকে করে তুলে আরো অসহনীয়।
কোনো এক কারনে আমি পিছিয়ে গেছি প্রায় এক যুগ, টগবয়ে তরুন যুবা আমি সবে তখন চাকুরী জীবন শুরু করেছি, বয়েসও তেমন হয় নি, পলকা মন তখনো হোঁচট খায় নি, শক্তই বা হবে কি করে? চারিদিকের সবকিছুই তখন রঙ্গীন, সবকিছুতেই ভালো লাগার ঘোর। সবে মাত্র পড়াশোনা শেষ করেই চাকরী পেয়ে যাওয়া আমাকে তখন আর পায় কে!
আমি এখন শাহেনশাহ
কোম্পানীর জন্ম আর আমার প্রথম চাকরী প্রায় একসাথে, লড়াইটা তাই জমল ভালোই, জান-প্রান লড়িয়ে দিতে লাগলাম, শুরুতে মোট এম্পলয়ীর সংখ্যা বড়োজোর আটত্রিশ থেকে উনচল্লিশ ছিল। পদের দিক থেকে কে বড় কে ছোট বোঝার উপায় নেই। ছোট্ট কোম্পানী, পাঁচ, ছয়টা কিউবিক্যাল, আর মাঝখানে একটা বিরাট ফুটবল মাঠের মত খালি জায়গার চারদিকে দেওয়ালের গায়ে গায়ে লাগানো টেবিলগুলোর উপরে ছোট, মাঝারি সাইজের কম্পুউটার। সবে শুরু হওয়া আর ছোট্ট কোম্পানী বলেই ম্যানেজিং ডাইরেক্টার থেকে শুরু করে ট্যকনিক্যাল সাধারণ কর্মী সবার সাথেই সবার তখন ভালো সম্পর্ক। সবাই সবাইকে হ্যলো বলে, সবার সাথে সবার মুখ দেখা দেখি হয়, সবাই সবাইকে হাসি ফেরত দেয়, মোটকথা হিংসা, দ্বেষ, মারামারি তখনো শুরু হয় নি।
অনেকেরই এটা ছিল প্রথম চাকুরী, সবাই জান লড়িয়ে দিচ্ছে তখন সদ্য পাওয়া কাজে। জীবনের প্রথম চাকরী বলে শুধুই নিজেকে প্রমান নয়, সদ্যজাত কোম্পানীকে দাঁড় করানোরও একটা অদম্য ইচ্ছা সবার মধ্যে চেপেছিল। আমরা নূতন যাকে বলে ফ্রেশ ব্লাড ছিলাম বলে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলছিলাম।
তখন প্রফেশনালিজমের থেকে ইমোশোন বেশী ছিল বলেই বোধহয় এতো পরিশ্রম করার পরও আমাদের গায়ে তেমন একটা লাগতো না। কত যে দিনের পর দিন অফিসে পড়ে থেকেছি তার ইয়ত্তা নেই, চান-খাওয়াদাওয়া কিছুরই ঠিক ছিল না সেইসময়।
কোম্পানীর ম্যনেজিং ডাইরেক্টার জো সিল্ভা (গোয়ায় জন্ম/ পরে মুম্বাইয়ে চলে যাওয়া) অত্যন্ত অভিজ্ঞ, বুদ্ধিমান। প্রায় রোজই ভোরবেলা ভদ্রলোক নিজের গাড়ী চালিয়ে আমাদের জন্য বাইরে থেকে প্রাতরাশ কিনে নিয়ে আসতেন। একটা কোম্পানীর মালিক হয়ে নিজের কর্মীদের জন্য এরকম দরদ আমি খুব কম দেখেছি। ভদ্রলোক খাটা খাটুনীও করতে পারতেন খুব।
ক্রিস রেবেলো, জো সিল্ভা'র স্ত্রী, বিশাল ধুরন্দর আর উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারিনী। একা সব কিছু সামলান। মুখে সর্বদা অমায়িক হাসিটি লেগেই আছে।
জো আর ক্রিস সম্পূর্ণ আলাদা চরিত্রের। এদের মধ্যে মিলের থেকে অমিল খোঁজা অনেক সোজা। তবু তাদের মধ্যে অকৃত্তিম ভালোবাসা আর নিজেদের মধ্যে ব্যাপক বোঝাপড়া সহজেই অনুমেয়। আমার মনে হয় দুজনেই দুজনের শক্তি আর দুর্বলতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। একজন আরেকজনকে কিছু বোঝাবার জন্য কেউ কাউকে ইশারা অবধি করেন না। যেনো কোন এক অদৃশ্য ইশারায় একজন আর একজনের মনের কথা বুঝে নেন। কোনো এক অদৃশ্য তরঙ্গের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বার্তা। এটাকেই বোধহয় টেলিপ্যথি বলে।
তখন থেকেই জানলাম বা ভাবতে শিখলাম, স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা হতে গেলে দুজনের মধ্যে যে মারাত্মক মিল থাকতে হবে তার কোনো মানে নেই। যেটা থাকতে হবে সেটা হচ্ছে একজনের আর একজনকে বোঝার মানসিকতা। থাকতে হবে ধৈর্য্য, থাকতে হবে পারস্পারিক শ্রদ্ধা। ভালোবাসা এমনি এমনি আসে না, ভালোবাসা পেতে গেলে ভালোবাস্তে জানতে হয়। যাদের মধ্যে বোঝাপড়া যত ভালো তাদের মধ্যে ভালোবাসাও তত প্রগাড় হয়।
মনের মিল আর মতের মিল না থাকলে সারা জীবন একসাথে কেন, এক বিছানায় শুয়েও হাজার যোজন দূরত্ব থেকেই যায়। জৈবিক চাহিদা তো পশুরাও মেটায়। শুধু শৌর্য্য আর বীর্য্য হলেই হয় না, থাকতে হয় আরো অনেক কিছু।
********************
আবার কি সব উল্টোপাল্টা বকতে শুরু করেছি! কি লিখতে কি সব লিখছি ? তা যা বলছিলাম, তখন আমদের অফিসে মাঝে মাঝেই মিটিং হত। কয়েকজন ছাড়া মোটামুটি সবাইকে নিয়েই মিটিং হয়, কতকিছু যে আলোচনা হয়। প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব কিছুই আলোচনা হয়, মিটিংএর মাঝে আসে চা, বিস্কিট, কখনো বা চপ আলুকাবলি, এমনকি ডালমুট পেঁইয়াজ দিয়ে মুড়ি মাখা। এখন ভাবলে হাসি পায়। কিন্তু তখন সে কি জোস। এই করতে হবে, কেই করতে হবে, কতকিছু যে করতে হবে তার ইয়ত্তা নেই, শেষ নেই কাজের।
বেশীদিন গেল না, প্রচেষ্টার তো একটা ফল থাকবে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো আমাদের কোম্পানীর নাম। না কারো একক প্রচেষ্টায় নয়, কোম্পানীর সবার সম্মেলিত প্রচেষ্টায়ই এটা সম্ভব হয়েছিল। সামগ্রিক প্রচেষ্টায় একটা স্বপ্ন কি ভাবে বিশাল আকারে সাফল্য পেতে পারে তা আমার জীবনের প্রথম চাকুরী আমাকে দেখিয়ে দিল।
কয়েক কোটী টাকার কোম্পানী মাত্র চার বছরে কয়েক হাজার কোটী টাকার হয়ে গেল। ৪৬ জন কর্মচারী থেকে প্রায় আড়াই হাজার কর্মী হতে সময় নিল কয়েকটা মাত্র বছর। শুরু হয়েছিল কলকাতায়, ছড়িয়ে পড়ল সারা ভারতবর্ষে।
আমরা প্রথম দিকের সৈনিকরা এবার এক একজন সেনাধক্ষ্যে পরিনত হলাম। শুরু হলো আমাদের জয়যাত্রা। অস্বীকার করতে এতটুকু বাধা নেই, আমার সেই প্রথম কোম্পানীই আমাকে জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছিল, আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান।
জীবনের প্রথম চাকুরীই আমাকে স্বপ্নপুরনের আশা দেখিয়েছিল। আজো সেই দিনগুলোর অভিজ্ঞতাই (যেটাকে আমরা বলবো বেসিস্ক) বেঁচে খাচ্ছি। স্বপ্ন সেদিনও দেখতাম আর আজো দেখি তবে তার মধ্যে ফারাক বড় বিস্তর।
যাই হোক কোম্পানী বড় হচ্ছে আমরাও বড় হচ্ছি, আমাদেরও লেজ গজাচ্ছে। নিত্য নতুন টেকনোলজি আসছে, আর আমরা তরুন তাজা রক্তে সেগুলো সিক্ত করে নিচ্ছি। বিশাল বিশাল সার্ভার ইনষ্টল হচ্ছে, মাইক্রোসফট, সিসকো, থ্রীকম, সান সোলারিস, এইচ পি, কেউ বাদ নেই। হেড অফিসে এগুলো ইনষ্টল হচ্ছে আর আমাদের ইনষ্টল করতে হবে অন্যান্য শহরে গিয়ে। তাই আমাদেরও রাত দিন বলে কিছু নেই, নোটবই নিয়ে পড়ে আছি, যা যা দরকার সব নোট নিয়ে ছিচ্ছি, মাঝে মাঝে টিপসও পাওয়া যাচ্ছে।
পুনঃশ্চঃ- হাবিজাবি অনেক কিছুই লিখে চলেছি, অনেকেরই ভালো না লাগার কথা। কেন জানি না স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে কোথায় যেনো হারিয়ে যাই। কোথায় জানি পড়া স্মৃতি সততই দুঃখের, তা সে আনন্দের হোক আর কষ্টেরই হোক। তবুও যেনো মনে হয় আজকে আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা, মনে মনে।
এখন আমি চললাম অমৃতের সন্ধানে, চলবেন নাকি আপনার আমার সাথে ? আবার দুইদিন ছুটি, দেখা হবে সোমবার ..... “ওকে গুড পিপল, ক্যাচ ইউ অল অন মানডে এগেইন”
(চলবে ...)
আগের পর্বগুলি পড়তে চাইলেঃ-
মন্তব্য
সিরিজটা ভালো হচ্ছে। লিখে যান... দেখা হবে সোমবার...
প্রহরীভাই, আই এম ব্যাক
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আপনার লেখাট ফলো করতে একটু অসুবিধা হল। কারনটা আপনি নিজেও জানেন। এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে লাফিয়ে যাওয়া এবং আবার ফিরে আসা। আমার মনে হয় আরেকটু ছোট আকারে কিন্তু ফোকাসড ব্লগ হলে চমৎকার এই সিরিজটা আরো চমৎকার হয়ে যাবে।
আপনাকে শুভেচ্ছা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
চেষ্টা করবো মুর্শেদভাই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
বিশেষজ্ঞ অভিমত আগেই পড়ে যাওয়ায় আমি হাঁ না কিছুই বললাম না। তবে চলতে থাকুক। ভালো লাগছে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধুর মিয়া! নিজের ভালো লাগা/মন্দ লাগা জানাইলাম। নিজেই লিখতে পারিনা, বিশেষজ্ঞ হই কেমনে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কেন ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আপনি ব্রিটিশ অর্থনীতি নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট দেন না ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দিলেন তো ভয় পাইয়ে ? যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। তবে চেষ্টা করবো, সময় নিয়ে তথ্য জোগাড় করাই মুশকিল, ফাঁকিবাজ বলে খ্যাত কি না ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আপনার লেখাগুলো কি দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে? নেটে কেনো একবারে পড়ার ধৈর্য রাখতে পারছি না?!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
ঠিক আমারো মনে হয় আরো একটু ছোটো করতে হবে। ব্লগে লেখা ছোট হলেই বোধহয় ভালো লাগে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
হা হা হা
আপনার এই পর্বটা পড়তে গিয়ে পরীক্ষার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো, দেবুদা।
বই খুলে পড়তে থাকা...একটু পর পর মন যে কোথায় কোথায় চলে যায়, আবার ধরে নিয়ে এসে জায়গামতো বসানোর চেষ্টা।
ভালো থাকবেন, ভালো মানুষ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভালো ছিলাম, তোমরা সবাই কেমন ছিলে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
ভাল জিনিস, কিন্তু কাহিনীক্রম অনুসরন করতে পারনি।
এক আছাড়ে না মেরে, স্লো পয়জনিং-এ মারুন, প্লিজ।
দোষটা আমারই, স্লো পয়জনিং কথাটা মনে ধরেছে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
নতুন মন্তব্য করুন