জীবন সত্যই বড়ো সুন্দর, সত্যই জীবন বড়ো আশ্চর্য। কতই না ভালোলাগা ভালোবাসা নিয়ে আমরা বেঁচে আছি। আমরা কতই না ভাগ্যবান। আমরা নাকি সৃষ্টিকর্তার সবথেকে উৎকৃষ্টতর সৃষ্টি। আসলেই কি! নাকি তার সৃষ্ট সবকিছুই আমাদের মানদণ্ডের পরিমাপের বাইরে।
আমার এক বন্ধু বলে, “ভাই আজকের এই দুনিয়াটা হচ্ছে সারভাইবেল অফ দ্য ফিটিষ্ট এর দুনিয়া”। আমি উত্তর দিই না যদিও বলতে ইচ্ছে হয় ভাইরে এই লাইনটা দুনিয়া শুরুর মুহুর্ত থেকেই প্রযোজ্য, কথা বাড়াই না, কি দরকার কথা বাড়িয়ে!
আরেক বন্ধু বলে শালা রাজনীতি আর ধর্মই আমাদের শেষ করে দিল। ইচ্ছে না হলেও মুখ ফস্কে বলে ফেলি, “কেন অর্থনীতি কি দোষ করলো”। কথা সেখানেও আর বাড়ানোর কোন মানে নেই দেখে ক্ষান্ত দিই।
তবু জীবনের কাছে সবকিছুই হার মানে, মানতে বাধ্য হয়। এই যে আমরা বেঁচে আছি তার থেকে আশ্চর্যের আর কি হতে পারে। তার থেকেও বড় আশ্চর্যের এই যে, একদিন আমাদের সবাইকে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে, এই কথাটি জেনেও কিন্তু আমরা এই কথাটি মেনে নিতে চাই না না।
আমি যেমন ন্যায় করি অন্যায়ও কম করি না। অনুশোচনা হয় না তা নয় কিন্তু নিজের ভেতরেরই রাক্ষস মাঝে মাঝেই সেই অনুশোচনাগুলির গলা টিপে মারতে চায়। তবু মাঝে মাঝে নিজের অজান্তে নিজের অগোচরে দু এক ফোঁটা জল গড়ায়। নিজেকেই আবার সান্তনা দিয়ে বলি আমি তো মানুষ
নিলে কি আর ... কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। কথায় কথা বাড়ে, মন্থনে বাড়ে ঘি ...
আমি বাংলায় বলি, আমি বাংলায় গাই, আমি গর্ব করে বলি আমি বাঙ্গালী, তবে মাঝে মাঝে বলতে ভুলে যাই আমি মানুষ।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা রইলো
মন্তব্য
সুন্দর লেখা
নুসদিন।
বেঁচে থাকাটাই বড় উপভোগ্য।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
নতুন মন্তব্য করুন