ভেংচি

দেবদ্যুতি এর ছবি
লিখেছেন দেবদ্যুতি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০২/০৯/২০১৬ - ৬:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ঘরটা আজ আরও বেশি করে নিশ্চুপ হয়ে গেছে। এমনিতেই এ ঘরে প্রাণের স্পন্দন তেমন কোনো সময়েই থাকে না বললেই চলে। এখন এই সকাল পেরোনো গণগণে রোদের বাড়ন্ত বেলায় এ ঘরে সুপারি ডালের মোটা চটায় বানানো চৌকির উপর চেপ্টে বসা তেল চিটচিটে বিছানায় তারও চেয়ে চেপ্টে শুয়ে আছে মুহুনি বুড়ি অথবা কোনো এক কালের মোহিনীবালা সরকার। আর সেই চটার চৌকির নিচে কালি পড়ে পড়ে হাঁড়ির তলার কুচকুচে কালো রঙের চেয়েও বেশি কালো রঙের হাঁড়ি-কড়াই, বালি কিচকিচ করা কানাভাঙা অ্যালুমিনিয়ামের দুখানা থালা, বড়বাড়ি থেকে ফেলে দেয়া কালসিটে হয়ে যাওয়া একটা মেলামাইনের গ্লাস, দুমড়ানো টিনের জগ আর গোটাতিন প্লাস্টিকের বাতিল ঢাকনা ছাড়া এ ঘরে আর আছে মুহুনি বুড়ির একটা একটা করে জমানো খড়ি অর্থাৎ লাকড়ি। ছোট এ ঘরটার অন্যপাশে কোমড়সমান উঁচু সুপারি ডালের একটা মাচা সে নিজেই বানিয়েছিল, আর তার উপর ঠেসে ঠেসে রাখা আম-জাম-পেয়ারা-হরিতকি গাছের ডাল, বাঁশের চিকন কঞ্চি আর পাটখড়িগুলো মুহুনি বুড়ির সারাদিন ধরে কুড়ানো- গাছ আর বাঁশঝাড়ের মালিকদের বিরক্তি আর প্যাঁচানো কথার ফাঁকফোকড় গলে সারাদিন ধরে একটা একটা করে জমানো। নিজের তেল চিটচিটে চ্যাপ্টা বিছানা-বালিশ, বাসন-কোসনের চেয়ে এইসব খড়ি মুহুনি বুড়ির কাছে কম নয়। এই খড়ি দিয়েই মুহুনির পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া ছোট্ট মাটির চুলাটায় সকাল সন্ধ্যা দুবেলা দুটো ভর্তা বা শাকভাত ফুটিয়ে নেয় মুহুনি। আর সত্যি কথা বলতে মুহুনি বুড়ি অথবা কোনো এক কালের মোহিনীবালা সরকারের জীবনে এই অতি অকিঞ্চিতকর জিনিসগুলো ছাড়া আর আছেটাই বা কী! মুহুনি বুড়ির কাছের মানুষগুলো সেই কবেই যে একটু একটু করে কাছ থেকে সরে সরে গেছে, সে খবর তারা যেমন রাথেনি, মুহুনি নিজেও তেমন অনেক খুঁজেও তার হদিস পায়নি কোনোদিন। এক বাড়িতে থেকেও আজ এ বাড়িতে একদম একা আলাদা মানুষ মুহুনি।

এই নিষ্প্রাণ নিশ্চুপ ঘরটা তাই কোনোদিন আরও একটু বেশিই চুপচাপ হয়ে গেলে কারও চোখে তা ধরা পড়বার কথা নয়। কিন্তু তবু মানুষের চোখ আর কানে ধরা না পড়লেও কেমন করে যেন অন্যরা ঠিকই বুঝে গেল খবরটা। তাই আর সব জায়গা রেখে একেবারে হাঁ-মুখ মুহুনির প্রাণহীন দেহটার মাঝ বরাবর চুপচাপ বিছিয়ে পড়ে রইলো একফালি রোদ আর সার বেঁধে তার গা বেয়ে নিঃসাড়ে উঠতে্ শুরু করল পিঁপড়ের দল। তারপর একসময় এ খবর ছড়িয়ে পড়ল মুহুনি বুড়ির এক সময়ের কাছের মানুষগুলোর মধ্যেও যারা আজকাল তার খবরটাও ঠিকমতো নিতে পারে না।

খবরটা রটলো এ বাড়ির নতুন বউ চম্পার জন্যই অবশ্য। বেলা বাড়তে বাড়তে যখন সূর্য গণগণে রোদ বিছাতে শুরু করেছে, এ বাড়ির আর সকলে রান্না খাওয়া শেষে যখন নিজের মতোন কিছু না কিছু নিয়ে পড়েছে সেই তখনই নতুন বউ চাম্পা অর্থাৎ চম্পা রানী প্রথম খেয়াল করলো যে মুহুনি বুড়ি আজ এতক্ষণে মেলামাইনের কানাভাঙা থালায় ভাত খেয়ে দরজায় বসে বিড়বিড় করা তো দূরের কথা, এখনও শুকনো বাঁশের কঞ্চির দরজাটাই খোলেনি। বুড়ি দরজা ভেড়িয়ে কোথাও গেল কি না তা দেখতেই চাম্পা কঞ্চির দরজাটা সরিয়ে দিতে গিয়ে টের পায় দরজাটা সত্যি সত্যিই খোলা হয়নি এখনও। বিস্মিত চাম্পা সভয়ে ‘ঠাকু, ঠাকু’ করে কয়েকবার মুহুনি বুড়িকে ডাকাডাকি করে এবং সাড়া পায় না।

তখন সকালের খাওয়া সেরে কেবল একটু পাড়া বেড়ানোর মতলবে ছিল চাম্পার শাশুড়ি আর মুহুনির ছেলের বউ আয়না, বাইরে আমগাছের নিচে বস্তা বিছিয়ে বিড়িতে দুটো ফুঁক দেয়া কেবলই শুরু করেছে মুহুনির ছেলে যোগেশ আর রাতের ঘুমের ঘাটতি পোষাতে বিছানায় বারকয়েক গড়াগড়ি দিয়ে মাথায় কেবলই বালিশটা দিয়েছে চাম্পার বর সুকুমার। চাম্পা বারকয়েক ডাকাডাকি করেও যখন মুহুনি বুড়ি সাড়া দেয় না, তখন আয়েশি ভঙ্গি ছেড়ে সবাই একে একে হাজির হয় মুহুনির বাঁশের কঞ্চির বেড়া আর টিনের চালার দশ ফুটি ঘরটার সামনে। যোগেশও কয়েকবার মাকে ডাকে, কঞ্চির বেড়ার ফাঁকফোঁকড় দিয়ে দেখার চেষ্টা করে, তারপরও সাড়া না পেয়ে কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। ‘তোমরাগুলা এটে থাকি সারো তো’ বলে সবাইকে সরিয়ে রান্নাঘর থেকে কাটারি এনে আয়না তখন দরজালাগোয়া বেড়ার দড়ি কাটে, সুকুমার সেই বেড়া একপাশে ঠেলে দিলে ঘরে ঢুকে মুহুনির চেপ্টে যাওয়া লাশের সামনে দাঁড়ায় সবাই। কেবল যোগেশ যেন হঠাৎ করে একটা ভীষণরকম ঝাঁকি খেয়ে ঘরের বাইরেই দাঁড়িয়ে পড়ে তার লুলা পা নিয়ে।

তারপর আচমকাই যেন বিছানায় লেপ্টে থাকা নিষ্প্রাণ শরীরটা আজ সারা জীবনের শেষে অন্যদের কাছে মহা গুরুত্বের বস্তু হয়ে ওঠে, যার থাকাটা কেবল বিড়বিড় করে বলা খোনা কথা আর কাশির খুকখুক শব্দ ছাড়া এই মানুষগুলোর জীবনে আর কিছুই ছিল না অনেক বছর ধরে, সেই মুহুনি বুড়ির শুয়ে থাকা চিমসানো লাশটাই যেন জীবন পায় তাদেরই সশব্দ কান্নায়। বিমূঢ় যোগেশ আর উদভ্রান্ত নতুন বউ চাম্পাও এক সময় আয়না আর সুকুমারের গলার সাথে মিলিয়ে হাউমাউ করে ওঠে। ততক্ষণে পাড়ার লোকে মুহুনিদের ছোট্ট উঠানটা ভরে গেছে পুরোপুরি। মুহুনিবুড়ির মরে যাওয়ার খবরে তেমন কেউই দুঃখ পেয়েছে বলে মনে হয় না, চোখের কোণে জল চিকচিক করে না কারও। বাড়ির মানুষদের কান্নার শব্দও এতক্ষণে কমে এসেছে, কেবল নতুন বউ চাম্পা যে কিসের দুঃখে এখনও সমানে ফোঁপাতে থাকে তা বোধগম্য হয় না কারও কাছে।


সুনসান রাতটাকে এই মুহূর্তে আরও বেশি সুনসান লাগে চাম্পার কাছে। এ বাড়িতে ঘড়ি নেই, থাকার কথাও নয়- চাম্পা জানে না রাত ঠিক কত বাজে এখন। তবে এ ঘরের বাইরেই একটা মধুমঞ্জরির ঝাড় আছে বেশ পুরনো, সেই গাছে ফুল ফুটেছে নিশ্চয়ই, বাতাসে মিষ্টি গন্ধটা সময়ের সাথে সাথে ভারি হয়ে আসছে। চাম্পার চোখের ঘুম পালিয়েছে, এক মুহূর্তের জন্যও আজ ঘুমাতে পারেনি ও। সুকুমার সেই কখন থেকে অঘোরে ঘুমাচ্ছে। তা ঘুমাবে নাই বা কেন- এই প্রথম এরকম একটা শান্তির জায়গায় ঘুমাতে পারছে ও। বিয়ের পর থেকে চাম্পারা শোয় যোগেশদের ছোট গুমোট ঘরটায় আর যোগেশ আর আয়না সেই ঘরের দরজার বাইরে একটা বাড়তি চাটাই লাগিয়ে বারান্দার মতো করে নিয়েছে। তা ঘরের বাইরে হলে কী হবে, জায়গা তো সেই একটুখানি। তার উপর যোগেশের বারোমাসি ঠাণ্ডার ধাত, চাটাইয়ে ঠাণ্ডা আটকায় না তেমন, শিরশিরানি বাতাস খেতে খেতে যোগেশ প্রতি রাতে খুক খুক করে কাশতে থাকে অনবরত। লজ্জ্বায় আর আত্মগ্লানিতে চাম্পা কাঁটা হয়ে শুয়ে থাকে প্রতিরাতে। কতদিন করে সুকুমারকে বলেছে না হয় তারাই বাইরে থাকুক কিন্তু সুকুমার সে কথা কানেই তোলেনি একটা বারও। বিয়ের মোটে মাস দুয়েক হলো- হাতের আঙুলে গোনে চাম্পা, দুই মাস সাত দিন। শাশুড়িকে বলতে পারেনি তাই কথাটা। তবে প্রতিরাতেই শ্বশুরের খুক খুক কাশির শব্দ শুনতে শুনতে নিজেকেই কেমন অপরাধী লাগে চাম্পার। ইস! তার নিজের বাবা যদি এভাবে না ঘুমিয়ে সারারাত কাশতে থাকত! চাম্পা শুনেছে মাঝেমাঝেই শ্বশুরের বুকে হাত ডলে দিতে দিতে শাশুড়ি বিড়বিড় করে দুর্ভাগ্যের বয়ান করতে থাকে।

আজ শ্রাদ্ধশান্তি চুকে গেছে। মুহুনিবুড়ির তেমন কেউই আর বেঁচে নেই, চাম্পার বাবা-মা আর যোগেশদের পুরনো অল্প কয়েকজন আত্মীয়স্বজন এসেছিল। শ্রাদ্ধ শেষে সবাই ফিরে গেছে সেই বিকেলেই। এ ঘরটা ধুয়ে মুছে সাফসুতরো করা হচ্ছে কদিন থেকে। শ্রাদ্ধের পর শাশুড়ি ওদের জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়ে গেছে, চৌকির নিচে মুহুনি বুড়ির কালো কালো আয়রনে ভরা হাঁড়িকুড়ি-বাসনের বদলে এখন চাম্পার একটা ছোট ট্র্যাংক আর গোটা দুই কাপড়চোপড়ের ব্যাগপত্র আছে। আজ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আবার পুরনো ঘরে ফিরে গেছে। ঘুম না আসায় অনেকক্ষণ কান পেতে ছিল চাম্পা, না হঠাৎ এক আধবার ছাড়া শ্বশুরের কাশির শব্দ পাওয়া যায়নি। শাশুড়িও নিশ্চয়ই আজ চাপা গলায় নিজের দুর্ভাগ্যের বয়ান করতে বসেনি আর। এপাশ ওপাশ করতে করতে চাম্পা টের পায়, শ্বশুরের কাশির জন্য নিজের অপরাধবোধটা ফিকে হতে শুরু করেছে একটু একটু করে।

সুকুমার একটা লম্বা শ্বাস ছেড়ে পাশ ফিরে শুলো। আজ এত আরামে শুয়েছে মানুষটা! অন্ধকার সয়ে আসা চোখে ছোট ঘরটার অন্যপাশের খড়ির মাচাটার দিকে তাকায় চাম্পা। ঘরটা পরিষ্কার করার সময় শাশুড়ি এই খড়ির মাচাটায় হাত দেয়নি, আর বাইরে ওগুলো রাখার জায়গাও নেই। চাম্পাও কিছু বলেনি এ নিয়ে। চাম্পার ঘুমহীন চোখ উঁচু হয়ে থাকা একটা ঢিবি ছাড়া আলাদা করে কালো কালো খড়িগুলোর অস্তিত্ব বুঝতে পারে না। মুহুনি বুড়ি ওই খুত্থুরে শরীরটা নিয়ে এত খড়ি কী করে যোগাড় করেছে ভাবতে অবাক লাগে চাম্পার। অন্ধকারে ঢিবির মতো উঁচু মাচাটা দেখতে দেখতে আচমকাই চাম্পার মনে পড়ে- রাতে অন্ধকার বিছানায় কাঁটা হয়ে থাকা ওকে অনেকবারই সুকুমার বলেছে, চাম্পা, বুড়ি মইরলে ওই ঘরখানোত হামরায় থাকির পাইনো হায় রে! কথাটা মনে পড়তেই এ ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকা সুকুমারের পাশে শুয়েও আবার কাঁটা হয়ে যায় চাম্পা। মাচার দিক থেকে পাশ ফিরে ঘুমন্ত সুকুমারকে জড়িয়ে শুতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে ও। বন্ধ চোখ সুকুমারের পিঠে ঠেকিয়েও চাম্পার মনে হয় খড়ির মাচার উপর থেকে মুহুনি বুড়ি ওদের দিকে তাকিয়ে দাঁতভাঙা থুত্থুরে মুখে বিশাল এক ভেংচি কাটছে।


মন্তব্য

সোহেল ইমাম এর ছবি

অপূর্ব !! আপনার লেখনীর ক্ষমতা যে সামান্য নয় তা আজ আরেকবার উপলব্ধী করলাম। আপনার কি এর মধ্যেই কোন বই প্রকাশিত হয়েছে। হয়ে থাকলে জানাবেন।

গল্পের প্রথম অংশটা পড়তে পড়তে আমার দাদীর কথা মনে পড়ছিল। দাদীর নিজের ছোট্ট ঘরটা অনেকটা এমনই ছিল। তবে পরিবারের অনাদরে নয় দাদী একলা থাকতে পছন্দ করতেন। সংসারে সাত ছেলে আর ছেলে বউ আর তাদের ছেলে মেয়েদের উপস্থিতি সত্ত্বেও দাদী একলাই নিজের খাবার রান্না করে খেতেন। শেষ বয়সে অবশ্য একরকম জোর করেই তার একাকীত্ব ঘুঁচিয়ে সংসারের সবার মধ্যে তাকে নিয়ে আসা হয়। তার মৃত্যুর সময় পরিবারের সবাই তার পাশে ছিল। কিন্তু এই একা থাকার ব্যাপারটা আমার কাছে দারুণ লাগতো। আপনার মত শক্তি থাকলে হয়তো দাদীর কথাই লিখতাম কোন সময়।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

দেবদ্যুতি এর ছবি

আমি মোটেই এত প্রশংসার যোগ্য নই। আপনার দাদীর শেষ জীবনে আপনারা যে তাঁর একাকীত্ব ঘুচিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগছে। একবার লিখেই ফেলুন না দাদীকে নিয়ে।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

এক লহমা এর ছবি

দ্যুতিদিদি, তোমার লেখায় ভাঙ্গা চোরা জীবনের ছবি যেভাবে ফুটিয়ে তোল তুমি সেটা ভালো লাগে। আর সেই ভাল লাগা থেকেই দুটি কথাঃ
(১) উপমা দেয়ার সময় উপমান ও উপমিত ভিন্ন না হলে উপমা অর্থহীন হয়ে পড়ে।
“হাঁড়ির তলার কুচকুচে কালো রঙের চেয়েও বেশি কালো রঙের হাঁড়ি-কড়াই” এই ছবি রচনায় সেই ভিন্নতাটা যথেষ্ট মনে হয়নি।
(২) আর কেউ খোঁজ করুক না করুক, ‘চাম্পা' তার ‘ঠাকু'-র খোঁজ-খবর রাখত। তার নরম, সহমর্মী মন মুহুনী-কে বিরূপ চোখে দেখতনা। তাই মুহুনীর তাদের দিকে তাকিয়ে ‘ভেংচি’-কাটার কল্পনা-কে আরোপিত লেগেছে। আমার অনুভবে সমাপ্তিতে গল্পের সুরটা তাই কেটে গেছে।
পরবর্তী গল্পের জন্য সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দেবদ্যুতি এর ছবি

থ্যাংকু, লহমাদা'। উপমাটা সত্যিই কেমন লাগছে এখন দেখলাম, জুতসই কিছু পেলে সম্পাদনা করে দেবো। আর গল্পের শেষটা নিয়ে বলি। চাম্পা যে মুহুনির অনেক খোঁজখবর করত বা তাকে ভালোবাসত ব্যাপারটা তা নয়। আসলে মুহুনির মৃত্যুটা ওকে ভাবিয়েছিল। আর সেই রাতে সুকুমারের কথাটা ওর মনে পড়েছিল যে মুহুনি মরলে ওই ঘরটায় ওরা থাকতে পারত। এই কথাটা মনে হয়েই চাম্পা আসলে ভেংচিটা দেখতে পায়।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আমার ভালো লেগেছে তোমারই মতো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

দেবদ্যুতি এর ছবি

ভালবাসা, প্রিয় মেয়ে।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই গল্পটিতে মানুষের জীবনের চরম একটা অপ্রিয় সত্যকে প্রকাশ করা হয়েছে। এই সত্যগুলো বাস্তবে অনেক পরিবারেই বিরাজমান। জীবনটা কিছু কিছু মানুষের জন্য খুবই নিষ্ঠুর একটা ব্যাপার হয়ে যায় শেষ সময়ে গিয়ে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দেবদ্যুতি এর ছবি

কিছু কিছু মানুষের জন্য জীবন খুব অন্যরকম।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।