২.Four Eyed Monsters: যে সিনেমা সম্ভাবনার কথা বলে।।

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: শুক্র, ১১/০১/২০০৮ - ১১:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Four Eyed Monsters

ধারা বর্ণনা

সিনেমার শুরুতেই ভূমিকা। ভুমিকা শুনে ও দেখে বুঝতে পারি এটি এক থেকে তের এপিসোডের একটি ফিল্ম যার প্রথম পর্বটি আমি দেখছি। ছবির শুরুতেই উদাত্ত আহবান, ‘পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যারা সিনেমাটির প্রদর্শনী করতে চান তারা মোষ্ট ওয়েলকাম’! এরকম আরো কিছু আহবান দিয়ে শুরু ছবিটি। একেবারে ইনফরমাল বা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ঘরানার বাইরে দাড়িয়ে বানানো ছবি ‘ফোর আইড মোনস্টারস্‌’।

NEW YORK এর BROOKLYN শহরের স্টক ফুটেজ শট দিয়ে শুরু, তলে ভয়েস ওভারে বর্ননা নিজেদের অরিজিনের।কাট টু একলা এক তরুন, আমার আর আপনার মতো ঘুড়ে বেড়ায় ভিবিন্ন ব্লগে; কিছু একটা খোজেঁ সে, হয়তো নিজের মতো করে কাউকে!

কাট টু ব্যস্ত শহরের মানুষের কোলাহলের দৃশ্য > বিভিন্ন পাবলিক পরিবহনে হরেক রকম প্রেমিক-প্রেমিকাযুগলের মিড ক্লোস শট......না ঠিক এসব টাইপের প্রেম পছন্দ নয় ছেলেটির। কিন্তু কি আর করা খোজাঁতো আর থামানো যায় না! লন্ড্রিতে-রাস্তায়-ষ্টেশনে নারী শরীরের আবেদন তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। রাতে ঘুমোতে গিয়ে পাশের ফ্লাটের নর-নারীর বিচিত্র সঙ্গমের চিতকারে তার ঘুমতো আসেইনা বরং মাথা অস্থির করে তোলে আরো (এই জায়গাটার ওডিও এডিটিং দারুন)। তো কি আর করা আবার খোজা শুরু অনলাইনে একজন রক্তমাংসের পার্টনার। দেখতে থেকে সে তার পুরোনো তিনজন বান্ধবীর ভিডিও ক্লিপস্‌। বোঝা যায় অরিন (ছেলেটির নাম) কুমার নয়।

partner searchpartner searchকাট টু নতুন টার্গেট। এখানে মজার বিষয়টা হলো যখন মেয়েটা তার সম্পর্কে বলছে সাথে সাথে মেয়েটির বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ভিডিও ক্লিপস্‌ দেখছি আমরা।ব্যাপারটা হঠাত করে এক ধরনের সংযোগহীনতা তৈরী করতে পারে ক্ষনিকের জন্য, কিন্তু গুড টেকনিক।

সুসান,বয়স ২৩, উচ্চতা ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি, সোনালী চুল-নীল চোখ, বর্তমানে ব্রুকলিনের বাসিন্দা। সুসানো এসেছে অরিনের মতো ছোট্ট একটি শহর থেকে, যেখানে সে মডেলিং+বিএফএ(ব্যাচেলর অফ আর্টস)কমপ্লিট করেছে। তার উচ্চতর আর্টিস্টিক বিকাশের জন্য ব্রুকলিন আগমন, কিন্তু জীবিকার জন্য বেছেঁ নিতে হয় বারে বা ক্যাফেতে ওয়েটারের চাকরী।কাজ শেষে বাসায় ফিরে একা একা বিরক্ত হয় সে, ছবি আকাঁর চেষ্টা চালিয়ে যায়, ঘরের ষ্টীল লাইফগুলোকে অবলম্বন করে আকাঁর চেষ্টা করে। একটার উপর আরেকটা সাবজেক্ট ওভারলেপ করে একের পর এক পেন্সিল ভাংতে ভাংতে একে যায় সুসান। যত ক্ষোভ তার আছঁড়ে পড়ে যেন কাগজের সংকীর্ণ জমিটুকুর উপর!......না আমাকে দিয়ে হবেনা, নিজের উপর এমন ক্ষোভ থেকে বেড়োয় দু’টি বাক্য, ‘Fuck me’......ছিড়ে যায় কাগজ... ‘Blow me’।susan

কাট টু অরিনের ছোট্ট প্রোডাকশন হাউস, যার উপরে মাচা বানিয়ে থাকে সে। বিয়ের ভিডিও থেকে মিউজিক ভিডিও, নানা রকমের ছাগলামী প্রোজেক্ট করে সারভাইভ করে অরিন, স্বপ্ন একদিন ছবি বানাবে। কাজের শেষে ফ্লাটমেটের সাথে যায় পাবে, না, ভালো লাগে না তার। ফিরে আসে নিজের ছোট্ট কাজের জায়গাটিতে। বসে বসে আবারো অনলাইনে সঙ্গী খোজেঁ সে, ১১২ জনকে ইতিমধ্যে মেসেজ সেন্ট করা শেষ বাট নো রিপ্লে ব্যাক, ইনবক্স ০। এই জায়গার এডিটিং, ফ্রেমের উপর ফ্রেম, স্টিলের সাথে ভিডিও-র ওভারল্যাপ এক চমতকার দ্যোতনা তৈরী করে। অনেক্ষন সময় নষ্ট হওয়ার পর একটা মেসেজ, ‘আমি বেহুদা সময় নষ্ট করতে চাইনা, তুমি যদি দেখা করতে চাওতো চলে আস আমি যে ক্যাফেতে কাজ করি ওখান্টায়। ভালো লাগলে তারপর দেখা যাবে’। পরদিন পরিচয় হলো দু’জনের কিন্তু ওয়ার্কাউট করলোনা।

কিন্তু অরিন নাছোড়বান্দা, তার মাথয় খেলা করে ভিন্ন চিন্তা। সে লুকিয়ে ফলো করতে থাকে সুসানকে।এই ফন্দিটা আখেরে কাজ দেয়। তারা মিলিত হয় প্রথম ডেটিং-এ। না এতে অরিনের মন ভরে না, মাথায় চাপে নতুন ভূত! ও সুসানকে প্রস্তাব করে, টিপিক্যাল ডেটিং-এর মতো তারা একে অন্যের সাথে কথা বলবে না। যে কথা সে কাজ, কথা বলে ভাব প্রকাশ বন্ধ। বিকল্পমাধ্যম হিসেবে আসে চিরকুট!শুরু হয় লেখার মাধ্যমে ভাব আদান-প্রদানের খেলা। এই জায়গায় ঘটনা বর্ণনার ঢংটা চমতকার। টুডি এনিমেশনের ব্যবহার, আরো খুলে বললে বলতে হয় লাইন ড্রইং বেইজড এনিমেশনের ব্যবহার, যা দেখলে মনে হবে ডায়েরীর পাতাগুলো কথা বলছে। নতুন এ্যপ্রোস! এসব বহুমাত্রিক অবিনবত্বই সিনেমা বা ফিল্ম মিডিয়াটাকে করে তুলেছে এতো ইন্টারেস্টিং, এতো মহান!

ঘটনা এগিয়ে যায়। ডায়েরী পাতায় লিখে লিখে তাদের প্রনয় পাখা মেলে আকাশে।ডায়েরী পাতায় খুদিত অক্ষরগুলো নেচে উঠে, নেচে উঠে আচরগুলো, রুপ নেয় বিভিন্ন ফর্মে! অসাধারন এক্সপ্রেশন। এই পর্যায়ে দু’জনের অতীত জীবনের বর্ণনায় দ্বি-মাত্রিক এনিম্যাশন যে অপূর্ব দ্যোতনা যোগ করে তা না দেখলে বোঝানো মুশকিল। এনিম্যাশন যেন এক অপার সম্ভাবনার দুনিয়া। এই টেকনিক যেমন ডিরেক্টরের সামনে খুলে দেয় অপার সম্ভাবনা তেমনি বাচিয়ে দেয় অনেক প্রোডাশন কষ্ট। যাইহোক অরিন আর সুসানের জীবনে বয়ে যায় মনোরম সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা, রাত এসে বন্ধ করে দেয় তাদের লেখা/আকাঁ। তখন কলমে কলম, হাতে হাত আর শরীরে শরীর ছুতে ছুতে এক হয়ে লীন হয়ে যায় তার; যেন দু’টো জৈবিক ফর্মের সংগম দৃশ্য, দু’টি রঙের মিশ্রনে তৃতীয় কোন রং তৈরীর চেষ্টা!

susan & arinএকসময় সুসান আর কথা না বলে থাকতে পারেনা। ও অরিনকে মেসেজ পাঠায় কথা শুরু করার জন্য। এদিকে অরিনের শুরু হয়েছে নতুন সমস্যা, সে তার শরীরে আবিষ্কার করে এস.টি.ডি., ছুটে যায় হেলথ্‌ অফিসে। এর জন্য সন্দেহ করে সুসানকে, তাকে নানাভাবে গিজ্ঞেস করে সে কোনভাবে ইনফেক্টেড কিনা।সুসান আপসেট হয়ে জানায়, ‘আই ডোন্ট হেভ এ্যানি...’...এই জায়গার সাইলেন্স ডায়ালগুলো বেশ মজার।

কাট টু ব্যস্ত শহর, শহরের নানা আবর্জনা/কাট>সুসান, ও আর্ট রেসিডেন্সির জন্য এ্যপ্লাই করছে কিন্তু কিছুতেই যেন মন নেই তার; ভেঙ্গে পড়ছে তাদের সম্পর্ক। কাট>অরিন, চার্চে শুয়ে রাত কাটায়। কাট> সেক্স অরিয়েন্টেশনের বর্ণনা। কাট>সুসানের রেসিডেন্সির জন্য ব্রুকলিন ছেড়ে যাওয়া, যেন একটু স্বস্থির খোজঁ করা।

susanভরমোন্টে আসার পর সুসান আর অরিনের মাঝে শুরু হয় অডিও ভিজুয়্যাল মেইল আদান প্রদান।তবে পুনপ্রতিষ্ঠিত যোগাযোগে অরিনের মূল কনসার্ন হলো সুসানের পূর্বে কোন যৌনরোগের সিনট্রম ছিলো কিনা! একপর্যায়ে এসে তারাও অন্যান্য কাপলের মতো কনভেনসনাল আরগুম্যান্টে জড়িয়ে যা একে অন্যের সাথে।সুসান একধরনের ডিপ্রেশনের ভেতর রিকল করার চেষ্টা করে তার পূর্বে ঘটা সেক্সুয়াল রিলেশনগুলোর কথা। মনে পরে শেষ ব্লাড টেষ্টেও তার রেজাল্ট আসে ক্লীন, কিন্তু না, কিছুতেই সে মন থেকে সরাতে পারেন অরিন করা ইঙ্গিত।দেখা যায় আবারো সে টেষ্ট নিতে যায়। এদিকে রেসিডেন্সি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ছবি আকাঁ দূরে থাক একটি আছঁড়ও সে দিতে পারেনি, চরম হতাশায় ডুবে যায় সুসান। ও রিয়্যালাইজ করে তার শিল্পী হওয়ার সম্ভাবনা ০, তাকে আবারো ফিরে যেতে হবে ওয়েটারের চাকরীতে।

থাক ৭০ মিনিটের এই ছবির শেষটা আর নাই বলি।তবে এ এক অতি সাধারন গল্প, আমার আপনার চারপাশে নিয়ত ঘটে চলেছে এই ঘটনা। কিইবা হবে উপসঙ্গহারে! তারচেয়ে চলুন দেখে ফেলি ছবিটা

সিনেমাটির অসাধারন দিক হলো, এটি ভিডিওতে বানানো হলেও আপনার কোথাও একে নাটক বলে মনে হবে না।শুধু তাই নয় এর সাথে মিশেল ঘটানো হয়েছে লো রেজ ফুটেজ, সিম্পল এনিমেশন এমন কি ওয়েবক্যাম ফুটেজেও; যা ছবিটির টোটাল এক্সপ্রেশনে এনে দেয় নতুন দ্যোতনা!

এই ছবি দেখার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে ভীষন প্লিজড্‌ এই ভেবে যে, যে কেউ ঠিক এই মূহুর্তে তার যা কিছু আছে মানে যত সীমাবদ্ধতা আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লেই বানানো যায় সিনেমা বা তার নিজের শিল্পকর্ম! আজকের পোষ্টমডার্ন দুনিয়ায় ফরম্যাটটা আর গুরুত্বপূর্ন নয়, গুরুত্বপূর্ন হলো আপনার প্রকাশিত এক্সপ্রেশনটি। এটা প্রকাশ করতে বেছেঁ নিতে পারেন যে কোন টুল বা টেকনিক। আমি সকল নতুন উদ্যোমী নির্মাতাদের এই আহবান জানাই, ছবিটা দেখুন, মজা পাবেন; উদ্ভূদ্ধ হবেন। যে সমস্ত সফটওয়ার পোষ্ট প্রোডাকশনে ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবই সহজলব্য; মূলত নতুনদের জন্য কাষ্টমাইজড করা এসব। এখানেলিংক দেয়া আছে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত।

ও ভালো কথা শেষ করার আগে কিছু জরুরী ইনফরমেশন দিয়ে যাই।

Four Eyed Monsters

প্রোডাকশন নোটস্‌

‘ফোর আইড মোনস্টারস্‌’ Arin Crumley আর Susan Buice এর আত্বজীবনকেন্দ্রিক সিনেমা। ২০০২ সালে তারা দু’জন প্রথম মিলিত হয় অনলাইনে পরিচয়ের পর এবং তারা সত্যিই ৪ মাস একে অন্যের সাথে কথা না বলে চালিয়ে নেয় নিজেদের সম্পর্ক। ভালবাসা বা দু’জন নরনারীর সম্পর্ক জিনিষটা কি তা জানতে বা বুঝতে তারা তাদের এই সম্পর্কটিকে নেয় একটা এক্সপেরিম্যান্টাল প্রকল্প হিসেবে, সে অনুজায়ী তারা তা ডুমেন্টেশনও করে নানাভাবে এবং ফাইনালি তারা একে ছবি হিসেবে রুপ দান করে।

ছবিটি শেষ করতে পরিচালকগণ ১৪টি মাস নিজেদের অস্তিস্থ ঠিকিয়ে রেখে ছিলেন ক্রেডিট কার্ডের উপর ভর করে! যাইহোক ২০০৫ সালে ছবিটি প্রথম প্রিমিয়ার হয় স্লামডানস্ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এবং পরে মাই স্পেস আর আইটিয়ুনের স্পনসরে ছবিটির টোটাল ৮টি এপিসোডের অনলাইন প্রিমিয়ার হয়। শুধু তাই নয় ছবিটির প্রথম পর্বটি উমুক্ত করা হয় সকলের জন্য, যে কেউ ছবিটি তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সরাসরি দেখতে পাবেন।তাছাড়া পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের মানুষ যদি চায় ছবিটি ফ্রি স্ক্রিনিঙ্গের জন্য তবে তারা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায়। এ পর্যন্ত ১ মিলিয়ন মানুষ ছবিটি ফ্রি দেখেছেন; এরপরও শুধুমাত্র মাইস্পেস আর আইটিয়ুনের স্পন্সর থেকে তারা আয় করেছে ৫০,০০০ ডলার! ছবিটি শেষ ৫ এপিসোডের কাজ শেষ হবে মার্চ ২০০৮-এ। এপ্রিল থেকে টোটাল ১৩টি এপিসোডি দর্শকের জন্য বাজারে ছাড়া হবে।

নির্মাণ

৭০ মিনিটের এই ফিচার ফিল্মটি নির্মান করা হয় সম্পূর্ন ভিডিওতে। সাধারন মানের হান্ডিক্যাম ভিডিও ফুটেজ, ওয়েবকেম ফুটেজও ব্যবহার করা হয়। কাহিনী দাবী অনুযায়ী মিশেল ঘটানো হয় দ্বিমাত্রিক এনিম্যাশনের, এমন কি স্কেচ্‌ আর পেইন্টিঙ্গেরও অসাধারন ব্যবহার দেখা যায়! ছবির ব্যয় কমাতে স্টক ফুটেজের ব্যবহারও চমতকার! ছবির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো অডিও-ভিডিও এডিটিঙ্গের নান্দনিক কাজ। একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে সমস্ত সফটওয়ারে সম্পাদনার কাজ করা হয়েছে তা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল মানের নয়! মোদ্দা কথা হলো আজকে ২০০৮ সালে এসে ফিল্ম আর ৩৫ মি.মি.-এ বন্দ্বী নয়। যে কোন মানুষ তার সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৈরী করতে পারেন নিজের ফিল্ম। এটি সত্যিই এক অপার সম্ভাবনার সময় (টেকনিক্যালি)! Four Eyed Monsters যেন সে সম্ভাবনার কথায় বলে আমাদের!!

এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক দেয়া হলো আগ্রহী পাঠকদের জন্য।
Awards , Credits, Festival & Screenings History এবং Watch the Film


মন্তব্য

থার্ড আই এর ছবি

গুল্লি
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধ্রুব হাসান এর ছবি

কি ভাইজান এত ভায়োলেন্স কেন?

জিফরান খালেদ এর ছবি

একটা জায়গা হেভী মজা লাগসে...

এতো মহান!

হা হা... (জাস্ট কিডিং...)

থার্ড আই ভাইয়ের মন্তব্যটা বোঝা গেলো না...

তো, মামু, চমতকার লিখেছেন, আমার একটু বোরিং লাগসে যদিও, তবে, সেটা আপনি যা লিখসেন তার বেশিরভাগের সাথেই এসোশিয়েটেড না বলেই...

সে যাক, সামনের সপ্তাহে ফিয়ার এন্ড লোথিং আসতেসে...

ধ্রুব হাসান এর ছবি

এখন শব্দ নিয়ে আপত্তি তুললে তো বড় মুশকিল! কথা বলার ঢংটাও তবে এই বুড়া বয়সে এসে পরিবর্তন করতে হবে।

বোরিং লাগাই স্বাভাবিক, এত লম্বা লেখা, তাও যদি আবার না দেখে পড় তো আরো বিরক্ত লাগবে। আমার লেখার উদ্দেশ্যই ছিলো ছবিটা যাতে একবার আগ্রহীরা দেখে, আর যাদের একটা অন্তত হ্যান্ডিক্যাম আছে তারা ভেবে দেখতে পারে কিছু করা যায় কিনা! এই...

ছবি আসতেছে ভালো কথা কপি করছো তো??

অতিথি লেখক এর ছবি

লাভফিল্মে তো খুঁইজা পাই না। কেমতে দেহুম ?

ধ্রুব হাসান এর ছবি

লাভ ফিল্মের কথা যখন কইলেন তার মানে আপনি উকেতে থাকেন। আমিতো লেখার শেষে লিঙ্ক দিয়েছি ভাই, একটু কষ্ট করে দেখে ফেলুন (বাফার হতে একটু টাইম নিতে পারে, যদি নেট স্পীড কম হয়)।

কনফুসিয়াস এর ছবি

টুডি এনিমেশান এখন অনেক মুভিতেই ব্যবহার হয়, বিশেষ করে স্বপ্নদৃশ্য বা কল্পনা যেখানে স্পেশাল এফেক্টের প্রয়োজন পড়ে। খরচ বাঁচায় বোধহয়, তবে দেখতে ইন্টারেস্টিং লাগে, সন্দেহ নাই।
কাহিনি এবং পেছনের কাহিনি দুটাই ভাল লাগলো। এবং আপনার লেখাও।
অনেককেই আগ্রহী করবে মুভি বানানোয়, বুঝতে পারলাম। তা আপনার কি অবস্থা? কবে বানাচ্ছেন প্রথম মুভি?

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জিফরান খালেদ এর ছবি

আমারো একি জিজ্ঞাসা...।

আমার নিজের কাছে ধ্রুব মামার তিন চারটা স্ক্রিপ্ট ছিলোবেশ কিছুদিন...

তো, প্রায় সময় বলেন, একটা নতুন আইডিয়া আসছে, স্ক্রিপ্টটা একটু পড়ো, ...

কিন্তু ফিল্ম আর হয় না... তবে, সর্বসাম্প্রতিক সময়ে আশাজাগানিয়া একটা খবর শুনলাম... আসলেই হয়তো এবার কিছু হবে...

ধ্রুব হাসান এর ছবি

@ জিফরান দেখা যাক আখেরে কি আছে......!

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আপনার কথা খাটিঁ, তবে এই ছবিটা ভালোলাগার পেছনে একমাত্র কারন হলো বলতে গেলে প্রায় ০ বাজেট থেকে নিজেদের অল্প যা কিছু রিসোর্স আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে পরিচালকগণ। আসলে যা কিছুই ছবিতে ব্যবহার করা হয় তা প্রয়োজনেই এবং সামঞ্জস্য রেখে, আর যাদের বাজেট খুব লিমিট তারা আরো নানা টেকনিক বের করে ছবির গুনাবলী ঠিক রেখে আরো কি করা যায় যা একেধারে কসট্‌ ইফেক্টিভ + নান্দনিকভাবেও কাজের। যাইহোক ধন্যবাদ কষ্টকরে দীর্ঘ লেখাটি পড়ার জন্য। আর ভাই আমার কথা না টানলে একটু কম বিব্রত হই, এতো লিমিটেশন, পিছুটান নিয়ে যে কি করবো জীবনে জানিনা! তবে চেষ্টা করছি...শুভ কামনা রাইখেন।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

বুদ্ধিটা কি কন না কেন তাইলে আমিও ফিওচারে দীক্ষা নিতে পারতাম।

মির্জা এর ছবি

ধ্রুব আর কামরুল সবসময় এত কঠিন কঠিন সিনেমা নিয়া আলাপ করে .........যাই হোক ধ্রুবর লেখার কারনে হইলেও এই কঠন সিনেমাটা দেখে ফেলবো ভাবছি!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।