(গল্পটি দু’টি সত্য ঘটনাকে অবলম্বন করে লেখা। যারা সবসময় সুন্দরের পূজা করবেন বলে ব্রত নিয়েছেন জীবনে এবং খারাপ যা কিছু ঘটে চলে চারপাশে তা মিথ্যে বলে এড়িয়ে চলেন, তারা দয়া করে লেখাটি পড়বেন না। পুরো লেখাটা পড়ার পর বদ হজম হতে পারে; ঐ বদ হজমের জন্য লেখক কোন ভাবেই দায়ী থাকবেন না।)
প্রতিদিনের মতো আজও রোজমেরি চিঠির খোজে ঘুম থেকে উঠেই গেলেন দড়জার কাছে। মাথাটা নুয়ে কয়েকটা চিঠি হাতে তুলে নিলেন। চিঠি গুলো কোত্থেকে আসলো দেখতে দেখতে পা বাড়ালেন রান্না ঘরের দিকে। নাহ্, সবগুলো চিঠিই বোরিং; কোনটা পানির বিল, কোনটা বা ইনসিওরেন্স কোম্পানি থেকে আসা। চিঠিগুলো তুলে রাখতে যাবেন তখনি হাতে পড়লো একটা ব্যক্তিগত চিঠি, যার শিরোনামে লেখা ‘টু ডিয়ার মাদার’! রোজমেরি থমকে দাড়াঁলেন, তার হাত ক্ষনিকের জন্য কেপেঁ উঠলো; তিনি অস্থির হয়ে খুলে ফেললেন চিঠিখানা, “ আমাকে খুজেঁ বৃথা সময় নষ্ট করোনা মা। আমাকে আমার মতো থাকতে দাও, একটু শান্তিতে থাকতে দাও। ......আমার তিনটে সন্তান তোমার জন্য রেখে গেলাম দড়জার সামনে, পারো তো দেখে শুনে রেখো অথবা ছুড়ে ফেলে দিও আমাদের পাড়ার বড় ডাষ্টবিনটাতে। বাবাকে বলো পুশিলের কাছে বারবার না যেতে। তোমরা ভালো থেকো। ......ভালোবাসা নিও, তোমার এলিজাবেথ”। মা ছুটে গেলেন বাড়ির সদর দড়জার দিকে, একটানে খুলে ফেললেন দড়জা! রোজমেরির দুনিয়াটা যেন চোখের সামনে ভেঙ্গে পড়ছে......তিনটে প্রায় সমান বয়সী বাচ্ছা (যাদের বয়স ১ থেকে ৬ এর বেশী নয়) দুটো ট্রলিতে ডুবেট মুড়ি দিয়ে ঘুমুচ্ছে!
রমজান মাস সেহেরী খেয়ে ঘুমুতে গেল নাফিয়া, সারা দিনের দখলে তার আর শরীর চলেনা। সে শুয়ে শুয়ে মনে করার চেষ্টা করলো আর কোন কাজ বাকী আছে কিনা। না, আজকের মতো সব শেষ, একটু আগে বাবাকে ওজুর পানি দেয়ার কাজটাও যত্নের সাথে শেষ করে ঘুমোতে এসেছে সে। গত তিন চারদিন থেকে ঘরের সমস্ত কাজ তার একাই সামলাতে হচ্ছে। তার ছোট চার বোনসহ মা গেছেন দেশের বাড়ীতে ঈদ করতে; বাবা তার কি একটা কাজে আটকা পড়াতে থেকে গেলেন। ফলে বাবাকে দেখাশোনার জন্য, বিশেষ করে এই রোজার মাসে তার যেন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে থাকতে হলো তাকে। এখন কাজের চাপে তার মাথা নষ্ট হওয়ার দশা! মা যে কি করে এতো কাজ করতো তা তার মাথায় ঢুকে না! এসব ভাবনার অতলে গিয়ে সে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো নিজেও জানেনা। তার ভাবনা ধীরে ধীরে রুপান্তরিত হলো সুখস্বপ্নে......। চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতি তৃতীয় বর্ষের মুহিদুলের চেহারাটা মনে পড়ছে ওর; কি দুষ্টু ছেলে এমনিতে কোন কথা বলেনা অথচ এখন এসে সরাসরি গায়ে হাত! নাফিয়া বারবার মুহিদুলের হাত সড়িয়ে দেয়া চেষ্টা করছে, অবশ্য মনে মনে তো সেও চাই মুহিদুল তাকে ভালোবাসুক। মুহিদুলের একটা হাত নাফিয়ার গালে খেলা করতে থাকে, আরেকটা হাত এগিয়ে যায় চুল ছেড়ে কোমরের দিকে। নাফিয়ার শরীরটা ঝাকুঁনি খায় একটু......বাম হাতটা গাল থেকে দ্রুত নেমে আসে তার উন্নত বুকে। ওর শরীরটা এবার প্রচন্ডভাবে ঝাকুঁনি দিতে থাকে! ডান হাতটা কোমরের কামিজের গিটটা দ্রুত খুলে এগিয়ে যায় নিন্মাঙ্গের দিকে......এবার যেন নাফিয়া আর সহ্য করতে পারেনা...তার উরু দু’খানি প্রবলভাবে ঝাকুনি দিতে থাকে...আগুনের তাপ যেন বিদ্যুত বেগে শরীরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে থাকে...নাফিয়া ঠিক সহ্য করতে পারেনা এই দহন! ২৬ বছরের জমানো কামনা যেন গিলে খেতে চায় মুহিদুলের হাত! অস্ফূট কন্ঠে সে মুহিদুলকে বলে চলে, ‘...না, না, এখনি না, প্লিজ মুহিদ...প্লিজ’। কিন্তু চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনি, ডান হাতটা নাফিয়ার তপ্ত অঙ্গে প্রবেশে উন্মুখ...! নাফিয়া ঘুম থেকে লাফ মেরে উঠে বসে, ধাক্কা মেরে স্বঝোরে সড়িয়ে দেয় ডান হাতসহ লোকটাকে। এক নিমিষে তার ঘুমটুম কেটে যায়...ও আল্লাহ্!...এ কে? নাফিয়া চিতকার করে বলে, ‘বা... ...’? বাক্যটা শেষ করতে পারেনা সে......একটা হাত স্বঝোরে চেপে ধরে নাফিয়ার মুখ!
(চলবে...)
মন্তব্য
চলুক... অপেক্ষায় রইলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ পড়ার জন্য...............।
বদহজম হওয়ার কিছু নেই - আসলেই তো বিরল হলেও এমন মা আর বাবার কি আর অস্তিত্ব নেই নাকি?
আপনাকে একটু তামাদি হয়ে যাওয়া ধন্যবাদ দিই - বেশ আগের একটা পোষ্টে ক্যারোলী শ্নীম্যান কে চেনানোর জন্য
সবার পাকস্থলীর গড়ন তো এক হয়না তাই ঐ সতর্কবানী।
আপনার ধন্যবাদ সাদরে গৃহীত হলো।
হুম! ঠিকাছে..............................
কি মাঝি? ডরাইলা?
ডাকু সর্দার যখন কইলেন ঠিক আছে তো আশা করি যাত্রা বাড়ী পর্যন্ত গাড়ী যাবে...।
একটু আগে একটা মন্তব্য দিলাম, সেটা গেল কই?
রীতিমতো ঝাঁকুনি দেয়া গল্প। তবে ওই যে লিখেছেন বিরল হলেও অস্তিত্বহীন নয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ভাই আমি সারাদিন কামলা দিয়া একটু আগে আসলাম, সো জানিনা আপনার ম্যন্তব্য গেল কই ! খারাপ কথা কইছিলেন নাকি?
পড়া আগে শেষ করুন তারপর না হয় বইলেন ঝাকুঁনির মাত্রাটা কিরম ছিলো!
বিঃদ্রঃ আপনার পরামর্শ অনুযায়ী ভুল বানানটা শুদ্ধ করে দিলাম। বানান নিয়ে আমার সমস্যা সেই বাল্যকাল থেকে। চিন্তাটা এতো দ্রুত দৌড়াঁয় যে শব্দের গঠন প্রায় খেয়াল করিনা! ধন্যবাদ আপনাকে।
হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেলো...পরবর্তী অংশের অপেক্ষায়..
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
একটু ধৈর্য ধরেন ভাইজান.........। থাঙ্কু পড়ার জন্য।
ও ভুল হয়ে গেল......জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে...Cheers Man!
কঠিন সত্য!
-নিরিবিলি
- ইউটার্ণ- একটা সিনেমা আছে জেনিফার লোপেজের।
সম্প্রতি অস্ট্রিয়াতেও আবিষ্কৃত হয়েছে এমন এক ঘটনা।
আমি এমন একজনকে চিনতাম যে নিজে আমার কাছে বর্ণনা করেছে তার বাবা কর্তৃক লাঞ্ছিত হওয়ার কাহিনী।
সো, নতুন না। বিরল হলেও অস্তিত্বহীন না।
লেখা এগিয়ে গেলে পড়বো হয়তো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইউ-টার্ন? মারাত্নক মুভি !!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
এই গল্পের দু'টো অংশের মধ্যে একটা কিন্তু ওই অস্ট্রিয়ান ঘটনাটিই...
পড়ছি... বিরল প্রজাপতিদের কাহিনী আসলেই অস্তিত্বহীন নয়।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
বালটা প্রজাপতি না... প্রজাতি... প্রজাপতি বললে কেমন জানি একটা ভাল ব্যপার স্যাপার চলে আসে...
হ... আসলেই ভালো ব্যাপার স্যাপার চইলা আসে। সবদোষ সুভদ্র কিবোর্ডের, আমি তো বেলেহাজ বিড়াল... তারপরও আপনে মিয়া ধইরা বসলেন?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
শেষ হোক, তারপরে মন্তব্য।
ব্যাপারগুলো এত অবিশ্বাস্য লাগে !
ভীষন মন খারাপ হলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন