এই লেখার আগে একটা ভূমিকা লেখা দরকার মনে করছি। ভেবে দেখলাম ছোট বেলা থেকে আজ অবদি আমার ব্যক্তিগত যে বিবর্তন তা কোথাও লেখা নেই! আজ যদি পুরোনো দিনের কথা লিখতে বসি, তবে অনেক কিছু কসরত করে স্মৃতি হাতিয়ে লিখতে হবে। আর সে লেখাতে আরোপিত আবেগ পাওয়া গেলেও ঐ সময়ের আমার আমিকে চিনবো না পুরোপুরি; যা জানবো সবি হবে জীবনের খন্ডিত ও আরোপিত আবেগের রুপ! তাই ঠিক করলাম, এখন থেকে জীবনের যে মোটাদাগেঁর বাঁক তা লিখে রাখবো সচল নামক আমার ব্যক্তিগত ডায়েরী’টার পাতায়। মাঝে মাঝে খুব কষ্ট লাগে আগের কতো শত পুরোনো কবিতা/শিক্ষাপদ্ধতির সংকস্কার নিয়ে তারুণ্যের গোড়ার দিকের মজার কিছু লেখা/ পোষ্ট মডার্ন বা উওর আধুনিক শিল্প নিয়ে নিজেই ঠিকঠাক বোঝার জন্য কিছু মজার বিশ্লেষনী লেখা/প্রিয় শিল্পী নভেরা’কে নিয়ে আমার ব্যক্তিগত প্রেমের দীর্ঘ চিঠিগুলি; কিছুই তার আজ চিহ্ন নেই, শুধু কিছু স্মৃতি ছাড়া! মাঝে মাঝে আজকের আমি খুব করে পুরোনো আমিকে জানতে চাই, কিন্তু পারিনা! এই অভাব বোধের তাড়নাটা মিঠোনোর জন্য ভাবলাম সময়টাকে কিছু চিহ্নের মধ্যে বন্দী করে দেখি ২০ বছর পর পড়তে কেমন লাগে (যদি বাচিঁ)!
কাগজে লেখা, ছবি আকাঁ ছেড়েছি অনেক বছর হয়ে গেল! এখন হাতেঁ বিশ লাইনের বেশী লিখলে ব্যাথাঁ অনুভুত হয়! তবে আমার কম্পিউটারে বাংলা লেখা আর বাংলা ব্লগিং-এর সুযোগ করে দিলো সচলায়ন নামের এই বাংলা ব্লগিং সাইট’টি। এর মেম্বার হওয়ার পর থেকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনটাকে এখানেই কিছু কালো/রঙ্গিন চিহ্নে বন্ধী করে তুলে রাখি; ভবিষ্যত জীবনের কোন এক সময়ে গিয়ে বসে বসে রোমন্থন করা যাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার চ্যাটিং, ব্লগিং বা লাইভ নেট জীবনের প্রতি ঝোক অত্যন্ত কম। তাই অনেক সাইটের নাম কা ওয়াস্তে মেম্বার হলেও ঠিক এ্যাক্টিভ হওয়া হয়নি কখনো। কিন্তু কি করে কোন ফাকেঁ যেন এই সাইটা আমার ব্যক্তিগত ডায়েরী হয়ে উঠলো!এখানে লেখা পোষ্ট করার আগে একবারের জন্যও ভাবিনা কে কি মনে করলো। শুধু এতটুকু জানা আছে; কোন বিশ্রী টাইপের অভিজ্ঞতা হবে না এখানে লেখাগুলো জমা থাকলে। এই এতটুকু জায়গা পাওয়াতে আমি যারপনায় খুশি! কিছু দিন আগে সচলের জন্মদিন গেল, আমার জীপ্সি জীবনের সূচনাতে মত্ত থাকতে বাধ্য থাকাতে সময়মতো অভিনন্দন জানানো হয়নি। কিন্তু একটু বিলম্বিত হলেও আমার এই প্রিয় ডায়েরী’টিকে জানাতে চাই, জন্মদিনের অশেষ প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন সচলায়তন; সবল ও মুক্ত হোক তোমার পদচারনা।
এইবার ফেরা যাক মূল কথায়। এই মাসের পয়লা তারিখ থেকে শুরু হলো আমার জিপ্সি জীবনের পদযাত্রা। সখ্ করে বা কোন সুখস্বপ্ন নিয়ে শুরু করিনি এই যাত্রা; এই যাত্রার অন্যতম কারণ হলো ব্যক্তিগত দেনা ও অভাব থেকে মুক্তি। গত মাসে কোর্স ফি আর আইজিএস(ইন্টার ন্যাশনাল গ্রেজুয়েশন স্কীমে)-এ এপ্লাই করতে গিয়ে অনেক দেনা হয়ে গেছে। আরাম করে বাড়ী ভাড়া দিয়ে থেকে খেয়ে আর দেশে নিজের পরিবারটাকে নিশ্চিন্তে রেখে ৩ মাসের মধ্যে আমার এই দেনা পরিশোধ সম্ভব না। তো ভাবলাম কি করা? যে কোন একটাকে আমার কেটে বাদ দিতে হবে। কিন্তু কোনটা সহজে কাটা যায়? অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত আয়েস। কিন্তু ভাবলেই তো হবে না, আমাকে এই লন্ডনে ব্যক্তিগত ফ্রিডম মাগনা দান করে কে ফ্রি থাকতে দেবে?
ঘটনা চক্রে এই শহরে আমার কাছের মানুষগুলো’র বেশীর ভাগ স্পেনিশ। আমার যে স্পেনিশ বন্ধুটা এই যাত্রাই আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলো অর্থ ঋন দিয়ে, সেই প্রস্তাব করলো তাদের ডেরা’তে তিনমাসের জন্য বা আজীবনের জন্য উঠতে। ভাবলাম তিনরাত......ভাবলাম তাদের জীবন কিরম হতে পারে!
আমার এই বন্ধু’র জীবনের একটা ভূমিকা দেয়া উচিত। ও এসেছে স্পেনের বাস্ক রাজ্যের বিল্বাও শহর থেকে। এই বাস্ক অনেকদিন থেকে মুক্তি সংগ্রামে রত স্পেনের সাথে (যদিও তা এখন প্রায় সহনীয় মাত্রায় দমিয়ে আনা হয়েছে)। এই রাজ্যের আরেকটা বিশেষত্য হচ্ছে, এখানে পাংক্ আর জিপ্সিদের আখড়া। এদের অনেকেই এই রাজ্যে নিজেদের শেষ বস্তিটা গেড়েছে। আমার এই মোটা দৈত্যকার বন্ধু’টার (খানিকটা ম্যারাডোনা আর ম্যাক্সিকান শিল্পী ফ্রিদা কাহ্লোর জামাই দিয়াগো রিভেরার সাথে মিল আছে; যদিও রিভেরার নারী প্রীতির সবটুকুই আছে ওর মধ্যে)জন্ম ঐ রকম এক জিপ্সি ফ্যামিলিতে। ওর শুধু মা আর বোনের সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগ আছে। মা এখনো বিলবাও থাকে তার বয় ফ্রেন্ড নিয়ে; দুইজনে মিলে একটা বইয়ের দোকান চালায় (ভিডিও দোকানের মত ভাড়া দিয়ে)। বোন পিয়ানো শিল্পী, ইদানিং কোম্পোজ করাও শুরু করেছে (মাদ্রিদে একটা অপেরা দলে কাজ করে)। বাবা সম্প্রতি তার দ্বীতিয় বউকে লম্বা একটা ছুড়ি নিয়ে খুন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে(ওর মতো করে আর কাউকে নিজের বাবাকে এত ঘৃনা করতে দেখিনি আমার জীবনে!)। শুধু কয়েকমাস আগে ও যখন বিলবাও থেকে ফিরে এলো, তখন খুব আগ্রহ করে আমার কাছে গল্প করতে এলো তার বাবার নতুন বউয়ের অসম্ভব সেক্সী মেয়ের কথা! আমি বলেছিলাম, হেই ম্যান, মাইন্ড ইউর থিঙ্কিং! ইউ ওয়ানা ফাক ইউর স্টেপ্ সিস্? ও আমারে বুঝাইলো তার সাথে কোন রক্তের সম্পর্ক যেহেতু নাই তো অসুবিধা কি (ঐ মেয়ে তার আগের বাপের)! তাছাড়া সেই তো ফ্লাট করছিলো, এমন কি তার বাপও নাকি তাকে ইন্ধন দিচ্ছিলো! আমি দমে গেলাম......কতক্ষন চুপ থেকে বললাম, এই মাইয়া লোকই তোরে শেষ পর্যন্ত ডুবাবে। ও হেসে বলে, নো ম্যান সী ইজ গরজিয়াস্, নেক্সট্ টাইম আই উইল টেইক মাই চান্স্! এই হলো আমার হাফ জিপ্সি বন্ধু। হাফ বললাম এই কারনে যে, ওর স্কটল্যান্ডে আবার নিজের ফ্লাটও আছে।
যাই হোক ও বা এই গ্রুপটা যখন প্রথম লন্ডন এলো, দেখলো এখানে সবচেয়ে খরচ হয় বাড়ী ভাড়ায়! অথচ স্পেনে তাদের বাড়ী ভাড়াই দিতে হতোনা! তো তারা ঠিক করলো যত পরিত্যক্ত বাড়ী বা স্পেস পড়ে আছে তা রাতের আধাঁরে প্রয়োজান অনুযায়ী দখল করে নেবে। যেই ভাবা সেই কাজ, লন্ডনের বিভিন্ন পরিত্যক্ত কাউন্সিল ফ্ল্যাট উদ্ধার করে, নানা সংস্কার করে বসবাস শুরু করে দিলো! সাধারনত পাচঁ থেকে ছয় মাস পর কাউন্সিল থেকে নোটিশ আসে, ‘তোমরা অন্যায়ভাবে এখানে আছ, তোমাদের শিগ্রী এই বাসা ছেড়ে দিতে হবে’। কিন্তু দেখা যায় মামলা কোর্টে গড়াতে গড়াতে ওরা প্রায় বছর খানেক থাকার সুযোগ পাই। পরে সিফট্ করে চলে যায় অন্য একটি পরিত্যক্ত বাসায়। আবার নতুন করে শুরু করে নতুন সংসার। এটারে তারা বলে স্কুয়াডর্ন; সাধারনত পরিত্যাক্ত বাড়ীর জানালা ভেঙ্গে ঢুকে এসব জায়গা দখলে নেয়া হয়। এরকম একটি বাসায় থাকে আমার এই বন্ধু। সম্প্রতি তার দু’বছরের পুরোনো গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়াতে মানষিকভাবে ও একটু মুষড়ে পড়েছে (যদিও তার নিয়মিত নারীবাজি বন্ধ নেই)। তো আমি এই রকম একটা অবস্থায় তার পরামর্শে গিয়ে উঠলাম ঐ বাসায়; উদ্দেশ্য মাসের শেষে যে বাড়ী ভাড়া বাচঁবে তা দিয়ে শোধ করা যাবে আমার ব্যক্তিগত লোনের একটা বড় অংশ। জীবনে কখনো রুম শেয়ার করিনি; গিয়ে উঠলাম বন্ধুর পাশের রুমে ওর এক্স গার্লফ্রেন্ডের ছোট ভাইয়ের রুমে। ঐ বেটা গুনে গুনে দু’তিনটা ইংরেজী শব্দ জানে, সারাক্ষনই কি সব বলে আর হাসে যার কোন মানেই আমার বোধগম্য নয়!
গত দেড় মাসে তিন থেকে চারবার মাত্র ভাত খেয়েছি। এখানে উঠার পর আর কবে খাওয়া হবে জানিনা! তবে পরশু রাতে কলাপাতায় গিয়ে শুধু চার-পাচঁ রকমের ভর্তা দিয়ে পেট পুরে খেয়েছি; পুষিয়ে নিয়েছি জেবতিক ভাইয়ের লগে ঢাকা বিরিয়ানীর খাইস্ট্টা টাইপ বিরিয়ানী খাওয়ার জঘন্য ফিলিংস (ঐদিনের বিরিয়ানী আর শেষের রাইডের মতো জগন্য আর কিছু হতে পারেনা!)। যাইহোক এখানে উঠার পর দু’দিন গেলো শুটিং-এর কাজে, ভাবলাম পরের দিন থেকে বাসায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে। কিন্তু তৃতীয় দিন হলো উল্টোটা! আমার চার পাচঁদিনের অবসন্ন ক্লান্ত শরীরটা একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে ঐদিন। সময়টা ঠিক ঠাহর করতে পারিনি, মনে হয় ভোরের দিকেই হবে! হঠাত আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল দু’পা আর দু’হাতের চাপে! একে তো আমি রুম শেয়ার করিনি জীবনে, তার উপর বেড শেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমি ভয়ে ধরমর করে উঠে গেলাম, দেখি অপরিচিত এক মেয়ে (মুখ দিয়ে বকবক করে এ্যালকোহলের গন্ধ বেরুচ্ছিলো) আমার শরীরটা তার দু হাত’পা দিয়ে স্বঝোরে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে! আমি কি করবো বুঝে উঠতে না পেরে উঠে পড়লাম, সোঝা গেলাম বন্ধুর রুমে। গিয়ে তো আমার অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার দশা, দেখি রুমের দড়জা হা করে খোলা। এক খাটের উপর শুয়ে আছে তিনজন (দু’জন পুরা নুড, একজন হাফ)। ফিরে এলাম নিজের অর্ধেক রুমের অর্ধেক বেডে। পাশের বেডে বন্ধুর এক্স শালা মৃদু নাক ডাক্ছে, আর আমার বেডে এই মাল! আমি কোন রকমে ঘুমানো চেষ্টা করলাম এবং এক সময় ঘুমিয়েও গেলাম। পরের দিন কোন এক ফাকেঁ বন্ধুরে জিজ্ঞেস করি, মামা এইডা কি হইলো। তুমি তো প্রতি রাতে এইসব ঘটবে আমারে আগে কউ নাই, আগে জানলে যত কষ্টই হোক তোমার এইখানে উঠতাম না। বন্ধুর সাফ জবাব, ম্যান হোয়াট ডু য়্যু ওয়ান্ট ইন এ স্কুয়ার্ডন হাউস? আমি দমে গিয়ে আস্তে আস্তে কিন্তু শক্তভাবে বললাম, তুমি আমার লগে আসো বা না আসো আমি সেপ্টেম্বরে নর্থে বাসা নিয়ে চলে যাব। ও হেসে বলে, মেইট ট্রাই টু এনজয় য়্যুর টাইম। আমিও হেসে বলি, আই উইল ট্রাই মেইট, আই উইল...।
মন্তব্য
যাযাবর জীবনটা তাহলে এনজয় করছেন না তেমন! নিয়মিত আমাদের জানান আপনার জীবন পঞ্জি। একটা রেয়ার অভিজ্ঞতা জানতে পারব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঠিক করছিনা বলাটা ঠিক হবে না। অভ্যেসটা হঠাত বদলানো একটু কষ্টকর বৈকি!
দারুণ লাগলো পড়ে। আপনার জিপসি জীবন নিয়ে আরো পোস্টের অপেক্ষায় আছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন পাঠক পেয়ে আমারো ভালো লাগছে
জিপসী জীবন... ভাবতেই দারুন একটা মন তৈরি হয়...
অভিজ্ঞতা বটে... ডায়রিটা চলুক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার জিপসি জীবনকাহিনী একেবারেই অভিনব লাগছে। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার বহু বছরের পরিচিত এক ইউক্রেনীয় আমার জীবনযাপন পদ্ধতি দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিল, "তোর শরীরে জিপসি রক্ত নেই তো?"
আমি বললাম, "তা হবে কেন?"
সে বললো, "ভাবেসাবে তো তা-ই মনে হয়। উড়নচণ্ডি জীবন বাদ দিয়ে বিয়ে-থা করে থিতু হলেই তো পারিস! কিয়েভে কতো সুন্দরী মেয়ে!"
আমি উত্তর দিলাম, "সে-কারণেই তো বিয়ে করি না"।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
শুরু করে দিন লেখা, পরে বুড়ো বয়সের এক চিলতে সুখ হিসেবে কাজে আসবে
ধ্রুব হাসান - এরকম বোহেমিয়ানপনা বইতে পড়া এক আর ভার্চুয়ালী পরিচিত সচলের হলে সেটা একেবারেই অন্য - মানে অনন্য! লিখছেনও যে যত্ন করে বোঝা যায়। অর্থাৎ আপনার নিজের লেখার তাগিদেই ঘন ঘন কিস্তি পাবো আশা করছি আর আমাদের তাড়া তো রইলোই
@সন্ন্যাসী মহাশয়, বিভিন্ন মন্তব্যে আপনার বর্ণময়, না না বলা ভালো বর্ণ'বহুল' জীবনের আভাস টাভাস পাওয়া যায়। নিতান্তই গুরুপাক না হলে ছাড়বেন নাকি দু'একটা কাহিনী?
স্নিগ্ধা মহাশয়া, আপনার মন্তব্য পড়ে আমি রীতিমতো টাশকি খেয়েছি
আমার কোন কোন মন্তব্যে আপনি কী কী বর্ণের আভাস পেলেন, সে-আভাসটি দিলে আমার বুঝতে সুবিধে হতো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এহেম সন্ন্যাসী মহাশয়, কিছু আর বললাম না মাথা ঘোরা থামলে হয়তো আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আমার মত তুশ্চু প্রাণীর আভাস দেয়ার দরকার আর হবে না
ধনিয়াবাদ মাডাম।
পড়ে মজা পেলাম। আপনার জিপসি জীবনের উপর পরের পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম।
অল্প বিস্তর মজা তাইলে আমিও দিতে সক্ষম! মজা তো!
চিন্তার কিছু নাই। অভ্যস্ত হইয়া উঠবেন ঠিকই- টের পাইবেন না।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ঠিক কইসেন...এছাড়া গতি নাই।
আপনার এই লেখা পড়ে আমার বহু বছরের পুরনো পাহাড়বাস (মেঘালয়ে) এর কথা মনে পড়ে গেলো । দিনগুলো কেটেছে এমন!
চাপগুলো কেটে যাবে একসময় । তখন এইগুলো বেশ মজার স্মৃতি হয়ে জমা থাকবে । টুকটাক এইসব লিখে রাখুন ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
............তাই ভাবছি
একসময় রাতবিরেতে আড্ডা দিয়ে বাবার ভয়ে আর বাড়ি ফেরা হতো না, কখনো বন্ধুর বাড়িতে, কখনো ছোট কাকার তাঁতঘরের শ্রমিকদের সাথে শুয়ে পড়ে রাত কাটিয়ে দিতাম। ধ্রুবদা আপনার জিপসি জীবনের গল্পতো আমার সেইসব দিনের কথা মনে পড়ে গেল।
খারাপ সময় কেটে যাক আপনার তাড়াতাড়ি, আর এরকম ভাল ভাল আরও লেখা লিখতে থাকুন।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আপনার ভালো লেগেছে দেখে আমিও প্রীত। তবে সব যে ভালো লাগবেনা এই গ্যারান্টি এখনি দিতে পারি। ধন্যবাদ।
আহা একদা স্তেপের যাযাবরদের সঙ্গে থাকবার সাধ হয়েছিল। আহা!
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
দোয়া কইরেন যাতে কোমড়টা শক্ত কইরা পুরাদমে জিপসিদের খাতায় নাম লেখাতে পারি। আহা দুনিয়া'টা একবার দু'নয়নে দেখার বড় সখ আমার (টুরিষ্টের রঙ্গিন চশ্মা ভেঙ্গে রেখে)!
নতুন মন্তব্য করুন