জিপ্‌সী জীবনের প্রথম অধ্যায় কিন্তু জীবনের তৃতীয় বে-সম্ভব প্রেম!

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৭/২০০৮ - ৯:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফ্রীডম, অনলি ফ্রীদম কেন্‌ মেইক য়ু হ্যাপি......

(গতকাল ছিলো আর্জেন্টিনার স্বাধীনতা দিবস, আমার এই ক্ষুদ্র লেখাটি আর্জেন্টাইন বীরদের জন্য উতসর্গিত। ১৮১৬ সালের ৯জুলাই আর্জেন্টিনা স্পেনিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়

লেখাটা লেখার আগে অনেকক্ষন ভেবেছি কাজের ফাকেঁ ফাকেঁ, রান্নার ফাকেঁ। ভাবছিলাম লেখা আদো উচিত কিনা? উচিত্যবোধ কিছু সময়ের জন্য তাড়িত করে ক্ষ্যান্ত দিলো। ঠিক করলাম লিখেই ফেলি তৃতীয় প্রেম কাহিনী এবং তাও লিপিবদ্ধ! তাছাড়া লিখতে এতো সাহস পাওয়ার বড় কারণ হলো সচলে যারা আমার লেখা পড়বেন তাদের কারো সাথেই আমার হঠাত দেখা হয়ে গেলে বাড়তি বিরম্বনায় পড়তে হবেনা! এই এক ভরসা এখানে লেখা পোষ্টানোর!

বার লং ষ্টোরি সর্ট (এক পাকি এইডা খুব বলে, আমার ওর যাবতীয় কর্মকান্ড কুতসিত লাগলেও এই ডায়ালগটা মনে ধরেছে!),আমি ফাইনালি আজ রিয়্যালাইজ করলাম এক আর্জেন্টাইনের প্রেমে পড়ে গেছি আমি। ওর সাথে প্রথম পরিচয় বৃক্সটনের এক ক্লাবে ojos de brujo-এর কনসার্টে। একটা অসম্ভব এনার্জেটিক মানুষ ফ্লামিঙ্গো নেচেঁ যাচ্ছে অনবরত! আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিঁয়ে থাকি...একটা সোনালী চুলের মেয়ে নেচেঁ যায় মাতালের মতো! সঙ্গীত ওর অঙ্গের প্রতিটি বাকেঁ বাকেঁ নেচেঁ চলে, আমি অবিভূত হই! পরে আবিষ্কার করি ও আমার বন্ধুদের বন্ধু। যাই হোক ওর লগে পরিচয় হইলো, প্রথম প্রথম ব্যাপারটা খুবই বিদঘুটে টাইপের ছিলো। আমি ওরে অনেক বাল বুঝাইতে চাইতাম, ও কিছুই বোঝে না, নট এ সিঙ্গাল ইংলিশ ওয়ার্ড! দেখলাম, আমার অতি আবেগ-রে তার ভুল বোঝার সম্ভাবনা বেশী, রনে ভঙ্গ দিলাম। ওর দিকে মনোযোগ কমাই দিলাম। কিন্তু মুশকিল হলো পরে এসে, ও আমার সাথে অনেক ছোট বাজেটের ফিল্মে কাজ করে এস আ অডিও ইঞ্জিনিয়ার। সে সুত্রে তার লগে বেশ ঘনিষ্টতা হয়ে গেল। আমার অলমোষ্ট বন্ধু হয়ে গেল। কিন্তু তাও আমি বুঝিনা ওরে কি করে বুঝায় যে ওরে আমি একটু বেশী পছন্ধ করি অন্য সকলের চেয়ে?

দিনে দিনে বেলা অনেক গড়ালো, আজকে হঠাত সুযোগ এলো ওরে বুঝিয়ে দেওয়া যে আমি তারে অনেক অনেক চাই-ই! ও ভালো কথা, এই মানুষটারে তো আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই হলোনা। ওর বয়স কত আমি জানিনা, মাস আটেক হলো ও লন্ডন এসেছে। আর্জেন্টাইন, সোনালী চুলের মিষ্টি কিন্তু বেশী রাগী ও তেজী মেয়ে। আর্জেন্টিনা থেকে সিনেমাটোগ্রাফীর উপর অনার্স করে এখানে আবার এনএফটিএস(ন্যাশনাল ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন)-এ অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ছে। এই কয় মাসে কিছু ইংরেজী শিখেছে, তা দিয়ে মোটামুটি আমি এখন কমিউনিকেইট করতে পারি। তবে এটুকু ফিল করি ওর মাঝে যে আর্জটা আছে তা ওকে বহুদুর নিয়ে যাবে...। যাইহোক আজকে হঠাত করে ওর ছোট বোন এসেছে আর্জেন্টিনা থেকে। আমার বন্ধুরে ফোন দিলো মিট আপ করার জন্য। বন্ধু বল্‌লো আমাদের ভাঙ্গা ঘরে চলে আসতে রাতে ডিনার করার জন্য কারন আমি রান্না করছি। আমি শুধু ঐ প্রান্ত থেকে ওর চিল্লানি শুনলাম, বুঝলাম ও আসছে...।

ভাবছিলাম একটা ডিশ রান্না করবো (লাউ এর সাথে ডাল আর চিংড়ী), কিন্তু এখন হঠাত আমার সেক্স বেড়ে গেল! তরিঘরি করে বের হয়ে কিছু স্পাইস কিনে আনলাম আর কিছু মাংস (খাসির)। এই বাসায় আসার পর থেকে যে জিনিষটা আমি তীব্রভাবে মিস করি তা হলো ভাত খাওয়া! ভাত যে আমার এতো প্রিয়, তা আগে বুঝিনি! যাইহোক আমার নিজের সুবিধার্তে আর তাদের খুশি করতে বা মজা দিতে ক’দিন আগে চিংড়ী’র দো’পেয়াজা করলাম। ঐটা রান্না করে বুঝেছি কার কি সমস্যা স্পাইসে। আমার বন্ধু’র শত্রু হলো করিয়েন্ডার বা ধন্যেপাতা, তার এক্স গার্ল ফ্রেন্ডের ভাই-এর সমস্যা হলো স্পাইস আর আমার আরেক নতুন বন্ধু(?) আন্দ্রেস (ভেনিজুয়েলার প্রসিডেন্ট হুগো সাভেজের পার্ট টাইম পেইড উপদেষ্টা) ওর কিছুতেই সমস্যা নাই। তাই ঠিক করলাম আজকে তিনটা ডিশ করবো, একটি সবার জন্য কমন, একটি যারা একটু এডভেঞ্চারাচ তাদের জন্য এবং আরেকটি আমার জন্য (আমার মায়ের ধাচের রান্না)! প্রথমটি হলো-*লাউ-এর সাথে মশুর ডাল আর চিংড়ী (কোন স্পাইস ছাড়া), দ্বিতীয়টি হলো-*খাসির মাংসের দোপেয়াজা উইথ আলু (মিডিয়াম স্পাইসি), *তিন নম্বর হলো- কচুর লতির সাথে চিংড়ী (ছোট’টা) + প্লেইন আউড়া চাল বা সেদ্ধ চালের ভাত। ভাবলাম তাড়াতাড়ি এসব শেষ করে সেইভটা করে গোসলটা দিয়ে ফ্রেস হয়ে যাব। কিন্তু আমার ভাগ্যটাই একটু ভোতা ধরনের...ওরা একটু আগে ভাগেই চলে এলো। আর আমার এদিকে তখন রান্নাই শেষ হয়নি। আমার সোনালী চুল ঘরে ঢুকেই সোজা চলে এলো রান্না ঘরে, যত্ন করে আমার অপরিছন্ন দু’গালে দু’টো চুমু খেলো, তারপর পরিচয় করিয়ে দিলো ওর কালো চুলের ছোট বোনটিকে। ওর নাম এ্যামি, অনেক কিউট একটা বুদ্ধিদীপ্ত বালিকা। ও খুবই লজ্জিত কেন আমি এতো কষ্ট করে ওদের জন্য রান্না করছি। আমি ওরে বললাম, তোমার সোনালী চুলের বোনের জন্য। ও অবাক হয়ে কিছুক্ষন আমার দিকে তাকালো, তারপর দৌড় দিয়ে গিয়ে ক্যামেরা নিয়ে এলো। ক্যামেরা অন করে বলে, এখন বলো কি বলছিলা! আমার অবস্থা তখন একটু সঙ্গীন...আমি ওরে কইলাম, দেখো ও অনেক রাগ করবে যদি এসব দেখে। ও আমারে প্রমিস করলো, যদি সে রাগ করে তো ডিলিট করে দেবে মেমোরি থেকে। ওর আশ্বাস পেয়ে জীবনে প্রথম ক্যামেরার সামনে নিজের তৃতীয় প্রেম নিবেদন করলাম আমার প্রিয় সোনালী চুলের বন্ধুটির জন্য......।

(এর মধ্যেই একদিন গত হয়েছে) কটু আগে ওর বাসা থেকে ফিরলাম। ভীষন ভয়ে ছিলাম ও কি মনে করে ভেবে! কিন্তু না ওরে আজকে বেশ স্বাভাবিকই লাগলো, আমারে অনেক টিজ করলো কেন আমি এতো সুটেড বুটেড হয়ে গেছি। ওরে বুঝাইলাম দেখ আমি যেভাবে থাকি ঐ ড্রেসে আমাকে পার্লামেন্টের ভেতর ঢুকতে দেবেনা, তাই এই ভুষন। যাইহোক, রাত ৯টায় সাংবাদিকতার কর্ম ছেড়ে প্রায় দৌড়ায় গেলাম ওরে দেখতে কারন ভোরে ও চলে যাবে স্পেনে একটা ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে (প্রায় মাস খানেক দেখা হবেনা)। গিয়েই একটা ভেজালে পড়লাম, কারন তার ইমোশন দেখে বোঝার উপায় নেই সে ভিডিওটা দেখেছে কি দেখে নাই! আমি দ্বিধায় পড়ে ঢকঢক করে কয়েক পাইন্ট বিয়ার গিলে ফেললাম। একটা সময় ও পাশে এসো বসলো, দেখলাম বেচারী বেশ ক্লান্ত। আমারে বললো প্রচন্ড দাতঁ ব্যাথা করছে (আক্কেল দাতেঁর কারণে)। এর মাঝেও আমি তার সোনালী চুল নিয়ে খেলা করা শুরু করলাম। মাতাল হয়ে উঠার এই একটা সুবিধে, সাহস নিয়ে ভাবতে হয়না! তাও একটু ভয়, এই না ও রাগ করে! কিন্তু ও রাগ না করে বরং মাথা থেকে ক্লিপটা খুলে নিয়ে বলে, এখন এলোমেলো করো ইচ্ছে মতো......।

দেখলাম অপর প্রান্ত থেকে আমার বন্ধু তীর্যক নয়নে তাকিয়ে আছে। আমি হেসে দিলাম। আমার সোনালী ক্যাট’রে বললাম, দেখো কি মুশকিল ঐ বেটাও তোমারে পছন্দ করে, এখন আমি যাই কই বলো তো? ও মুচকি হেসে বলে, সময় তোমাকে সাহায্য করবে, চিন্তা করো না। আমি চিন্তা বন্ধ করে ওর চুল দিয়ে একটা গম্বুজ বানালাম।

শালার অনুরাগ এক অদ্ভূত জিনিষ! ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা এতোটা সহজও নয়। একটা জিনিষ বুজে গেছি, কারো দেহ পাওয়া যত সহজ, মন পাওয়াটা ঠিক ততোখানিই কঠিন! এই সোনালী চুলের সাথে ফ্লামিঙ্গো নাচতে নাচতে মাতাল হয়ে কতবার না চুমু খেয়েছি; কিন্তু তাও ঠিক বোঝাতে পারিনি কতোটা ভালবাসি! এমন কি এই কিছুদিন আগেও যখন তার উনিশ বছরের এক পিচ্ছির সাথে রিলেশন ছিলো তখনো তাকে ভালবাসতে একটুও দ্বিধা করেনি আমার। ব্যাপারটা একটা অদ্ভুত ঠেকে বৈকি! আরো অদ্ভূত ঠেকে, যখন দেখি ওকে আমি চাই ঠিকই কিন্তু কোন পযেশন পাওয়ার তাড়না বুকে কাজ করে না (লাইক, ও শুধুই আমার ঐ টাইপ আরকি)! আমরা দু’জনেই ফ্রি বার্ড, কিন্তু যখনি আমরা একসাথে হই; দু’জন একসাথে বসতে, খেতে, আড্ডা দিতে ভালবাসি। আর ঠিক এই কারনেই মনে হয় ওরে আরো ভাললাগে। এখনো আমার সারা শরীরে ওর সোনালী চুলের গন্ধ লেগে আছে, এই গন্ধটা থাকতে থাকতেই ঘুমাতে চাই আজকের মতো......। আমার সোনালী বন্ধুটা যেন সহিসালামতে ফিরে আসে তার সফর শেষে, এই কামনায় করি (আহা একমাস, বড় দীর্ঘ এই সময়!)। আর একটা ছোট্ট নিবেদন তার জন্য.........

ফ্রীডম কেন্‌ অনলী চয়েচ, নাথিং এলস্‌......

‘শব্দ চিহ্নে বন্ধী আমাদের যে ভাষা
আমি তারে ভেঙ্গে ছুতেঁ চাই তোমার হিয়া!
গ্লোবাল এই দুনিয়ায় সবকিছুই আদতে বড়ই লোকাল!
এই লোকালিটির সৌন্দোর্য এতো তীব্র যে আমি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি তোমার কাছ থেকে বাড়ে বাড়ে......। আমি আমার এই অসহায়ত্ব নিয়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা খুজে পাই না............ তবুও এই অসহায়ত্ব বুকে নিয়ে গড়তে চাই এক নয়া দুনিয়া! আদিঁঅস বন্ধু......তোমার ঘাড়ের টাট্টুটা যেন আমায় চিরকাল টানে.....’।

(পরে কিছু ছবি আপলোড করবো সময়টাকে ধরে রাখতে, আজ এটুকুই।)


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আপনার অকপট বর্ণনা খুব ভালো লাগছে ... সফল হোন হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

ধ্রুব হাসান এর ছবি

হা হা হা ...থাংকু ভাইয়া।

তীরন্দাজ এর ছবি

খুব ভাল লেগেছে আপনার লেখা। প্রেমের ব্যাপারে শুভকামনা সবসময়েই থাকে আমার।

রান্নার বিড়ম্বনা বেশ ভায়াবহ। ঝালের প্রশ্নে এতো বেশী আলাদা অনেকে, একটা মধ্যপন্থা নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধ্রুব হাসান এর ছবি

কি যে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় এই রান্না নিয়ে। কষ্ট করে রান্নার পর যদি কেউ তা খেতে মজা না পায় আমি ভীষন বিসন্ন হয়ে পড়ি। মনে শালা মানুষটারে ঠিক মতো খাওয়াতেও পারলাম না। ধন্যবাদ দাদা মন্তব্যের জন্য।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বে-সম্ভব অবশ্যই সম্ভব হোক... আপনার সোনালী চুলের বন্ধুটা ফিরে আসুক সহি সালামতে... আমেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধ্রুব হাসান এর ছবি

দেঁতো হাসি

দৃশা এর ছবি

ফ্রেম রোগ কঠিন রোগ সহজে তা কাটে না...কুনু ডাক্তার এই অসুখের ঔষধ দিতে ফারে না............শুভ প্রেমময় জীবন।

দৃশা

ধ্রুব হাসান এর ছবি

হুমম তা বটে...কিছু সুখের লাগি কিছু রোগ থাকা দরকার চোখ টিপি

অনিন্দিতা এর ছবি

প্রেমে পড়লে মানুষের সাহস বেড়ে যায় জানি।
আপনার অকপট লেখা তার প্রমান।
চমৎকার!

ধ্রুব হাসান এর ছবি

কথাটা মনে হয় পুরোপুরি ঠিক না, আমার আবার কোন কালেই সাহসের খুব একটা কমতি ছিলো না। বরং ভয় কি জিনিষ তা ইদানিং বুঝতে শিখছি।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমারও আপনার অকপট বর্ননা ভালো লাগলো। আপনার প্রেম সফল হোক।
-------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

থাংকু...

স্নিগ্ধা এর ছবি

ধ্রুব হাসান - প্রেমে পড়ার জন্য আপনাকে চলুক চলুক
দেখলেন তো কি চমৎকার একটা ব্যাপার ঘটলো আপনার জিপসী জীবনে?

চিরস্থায়ী হোক অবশ্যই, কিন্তু স্থায়িত্ব যতটুকুই হোক না কেন, সেটুকু সময়ই যেন আপনাদের ভালো কাটে -

আপনার সোনালী বন্ধু এবং আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো হাসি

ধ্রুব হাসান এর ছবি

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। তবে জিপসী জীবনের কারনে ঐ চমতকার ব্যাপারটা ঘটছে বলে মনে হয়না; ওর সাথে তো আগে থেকেই বন্ধুত্ব ছিলো। যাইহোক দোয়া রাইখেন, সব ঠিকঠাক চললে সামনের সেপ্টেম্বর থেকে এক লগে থাকা শুরু করুম; তখন হয়তো প্রতিদিনের হাহাকারটার একটা বিহিত হবে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ ফুটেছে যখন, সোনালী আভা তার লেগেছে যখন, তার প্রতি নত হও হে তরুণ।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

চলুক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধ্রবদা, লেখাটি অতি প্রতু্ষে পড়িয়াছিলাম, মন্তব্যও দিতে চেয়েছিলাম, কী যেন একটা। কিন্তু কাজের তোড়ে আর সারাদিনে ঢুকতে পারি নি। এখন মনে পড়ছে না, কী মন্তব্য দিতে চেয়েছিলাম।
যাউকগা, আপনার সোনালী চুল ফিরে আসুক, জীবন ভরে উঠুক প্রেমময়।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

থাংকু দাদা

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আহা রে সোনালী বন্ধু রে
শুনে যাও মোর কথা
হাছন রাজার হৃদ কমলে
তোমার ওইরূপ গাঁথা...

চমৎকার! চলুক

তবে লেখাটি কথ্যভাষায় না হলে মনে হয় আরো ভালো হতো। অবশ্য এটি আমার ব্যক্তিগত পাঠরুচির সীমাবদ্ধতাও হতে পারে।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ধ্রুব হাসান এর ছবি

হা হা হা, হাছন রাজার এই গানের সাথে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে দাদা। থাক সে ঘটনা আপাতত না বলি। তবে গানটা আমার দারুন পছন্দের।

আর লেখার ব্যাপারে যা বললেন অতো তো ভেবে লিখতে পারি না। আর এই অপারগতা মনে হয়না সহসা কাটবে জীবন থেকে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কাল রাতে যান্ত্রিক গোলোযোগের কারনে যে মন্তব্য পোস্ট করতে পারিনি:

আপনার মধুর প্রেমের বর্ণনা পড়লাম। প্যাপিলন না কি যেন একটা উপন্যাস পড়ছিলাম, সেবা থেকে অনুদিত। পড়তে পড়তে খানিকটা সেই রকম মন হচ্ছিল।

তবে আরেকটু টুইস্ট আর আরেকটু নাটকীয়তা ঢুকিয়ে দিয়েন। নিজের গল্পই লিখেন, কিন্তু একটু বেশী স্পাইসী করে লিখেন আরকি। চোখ টিপি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অনবদ্য লাগছে পড়তে। এই সিরিজের পাকাপোক্ত ভক্ত হয়ে গেলাম।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।