দিনান্তের মাতলামি ও আমার বন্ধুতা!

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৭/২০০৮ - ২:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খানে এখন লন্ডন টাইম ভোর ৬টা বেজে ১৯ মিনিট। এই লেখা শেষ করতে করতে হয়তো ৭টা/৮টা বেজে যাবে। যাইহোক আজকের ভোরের শুরুটাই না হয় শুরু হোক মাতলামি দিয়ে। কিন্তু কোত্থেকে শুরু করবো, যেখানে জীবনের প্রতি মিনিট একেকটা অনবদ্য গল্প! গতকাল দুপুরে লর্ডসের বাউন্ডারির ভেতরে মূল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পাশে ছোট্ট গ্রাউন্ডে বসে মেট পুলিসের সাথে ওয়েষ্ট মিনিষ্টার কাউন্সিলের বাঙ্গালী তরুনদের খেলা দেখছিলাম। আসলে দেখছিলাম না বলে বলা উচিত দেখতে বাধ্য হচ্ছিলাম; এতো বাজে টাইপের ফ্রেন্ডলী ম্যাচ জীবনে এর আগে দেখা হয় নাই! এক বাংলা ভাইও যদি একটা ক্যাচও ধরতে পারতো! কতক্ষন পর পর খালি পানি গিলে। ১০ ওভারো যায়নি এর মধ্যেই পুলিশ বাহিনী করেছে ১৯৭ রান! মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল এই বাল মার্কা ম্যাচের রিপোর্ট করতে এসে। এমন সময় এক স্বনামধন্য কাউন্সিলর এসে শুধাইলেন খাওয়া-দাওয়া হয়েছে কিনা, উদ্দেশ্য ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আমারে আটঁকে রাখা। আমি একটু ভেবেই বলে বসলাম, আমার ভীষন তৃষ্ণা পেয়েঁছে, এক পাইন্ট চিলড্‌ বিয়ার যদি দয়া করে এনে দিতেন! তার চোখ প্রায় কপালে গিয়ে ঠেকার দশা; এমন সময় ফোন এলো বন্ধু এদওয়ার্দো-র। প্রায় একমাস পর ব্যাটা ফিরেছে হলিডে থেকে। আমি খুশিতে উচ্চ্বসিত হয়ে তারে শুধাইলাম, হাউ আর য়ু মাদার ফাকার? আমার প্রশ্ন আর আবদার শুনে ততক্ষনে কাউন্সিলর মুরুব্বি উলটো পথে হাটাঁ শুরু করলেন। আমি ইশারায় তারে গুডবাই বলে এগিয়ে গেলাম লর্ডসের প্রিয় বারটির দিকে, একগ্লাস চিলড্‌ বিয়ারের আশায়। কারলিং এক্সট্রা গোল্ড নিয়ে যখন এক পুলিশিনির পাশে গিয়ে বসলাম, ততক্ষনে বুঝে গেছি আমার এখান থেকে দ্রুত কেটে পড়া উচিত।
কিংস ক্রসের মোড়ে দাড়িঁয়ে আছি শুয়োরটার জন্য; পেটে প্রচন্ড ক্ষিদে। আধ্‌ঘন্টা পর ঐ ব্যাটা ফোন দিয়ে বলে, বন্ধু আমার আরো আধঘন্টা লাগবে আসতে। আমি জিগাইলাম, কেন তুই তো ইষ্ট লন্ডনেই ছিলি, আমি এতো তাড়াতাড়ি আসতে পারলে তুই কেন পারবিনা? এদওয়ার্দো আমারে কয়, তোরে পরে বুঝাই কমুনে, আগে মাল্‌টা কিনা লই। বুঝলাম ব্যাটা স্কাংক কিনতে গেছে ফ্যারিংডনে(ঐখানে একটা জোশ জায়গা আছে, দুনিয়ার হেন কোন জিনিষ নাই যে পাওয়া যায় না)। এই ফাঁকে ভাবলাম খেয়ে ফেলি। বেশ আরাম কইরা হাফ ডান করা ল্যাম্ব শিশ খাইলাম তুর্কির দোকানে; ঐটাই ছিলো আমার গতকালের ব্র্যাকফাষ্ট (বিকেল ৬টায়)। এক সময় বন্ধু আসলো প্রায় ১০০পাউন্ডের স্কাংক নিয়ে। আমি তো দেখে থ বনে গেলাম এরকম খোলা নিয়ে আসাতে! আমি তারাতারি তুর্কির কাছ থেকে একটা পলি ব্যাগ কিনে লুকাইলাম। শালার নতুন মেয়রের যুগ সবে মাত্র শুরু আর এর মধ্যেই যদি পুলিশের হাতে ধরা খায় তো মহা মুশকিল!

সারা জীবনেই বোধহয় বাইরে থেকে চকচকে জিনিষ দেইখা ভেতরে ঢুকে টাশকি খাই! এবারো তাই হলো, বাইরে থেকে মনে হলো জোশ পাব্‌, কিন্তু ভেতরে ঢুকে দেখি জাষ্ট ফাউল। মনে হয় গে ক্লাবে ঢুকে পড়েছি ভুলে। জলদি করে এক পাইন্ট স্টেলা মেরে খুজঁতে শুরু করলাম একটা কুল পাব, যেখানে বসে মজা পাব। এদওয়ার্দো হাটঁতে হাটঁতেই জিনিষ বানাই ফেল্‌লো। ওর লগে মাল খাওয়ার বড় ফজিলত হইলো, বানানো নিয়া নো চিন্তা। অবশ্য আমার কোন নেশায় ঠিক ততটা তীব্র নয় যে নিজে কিনে আবার নিজে বানাতে হবে। তবে কেনাবিস’টারে আমি সত্যিই ভালবাসি, এই একটা জিনিষ দুনিয়াতে সর্ব প্রথম হালাল করে দেয়া উচিত। এতো এতো মানুষ সিগ্রেট খায় প্রকাশ্যে আর এইটা টানা নিষেধ! বড়ই অদ্ভূত এই ক্যারিকেচার! আজকের জিনিষটা বেশ, সরাসরি উগান্ডা থেকে এসেছে। তবে আমার কেন জানি আফগানিস্তানের জিনিষ বেশী ভালো লাগে, তারপর অবশ্যই মরক্কান। যাইহোক পাড়ার কোনায় বেশ ঘরোয়া টাইপের একখানা পাব্‌ পাওয়া গেল, কিন্তু গাঞ্জাটা শেষ করার জন্য দাড়ালাম ফুটপাতে। যেই বুকটান করে শ্বাস নিতে আসমানের দিকে তাকালাম, হঠাত দেখি দ্বীতল ভবন থেকে এক সঙ্গমরতা চাবি মহিলা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে! আমি বন্ধুরে ধাক্কা দিয়ে দেখাতে দেখাতে দেখি ঐ মহিলার বয়ফ্রেন্ড আমার দিকে শেন দৃষ্টি এনে নিজ কর্মে মনোনিবেশ করলেন। আমিও চোখ নামিয়ে ঢুকে পড়লাম পাড়ার পাব্‌টিতে। যাইহোক যে কথা বলতে গিয়ে এতো ভূমিকা টানলাম তা হলো, আমরা যখন বাইরের বেঞ্চে বসে পান করছিলাম, তখন হঠাত করে বন্ধু বলে উঠলো, যদিও আমি তোরে খুব বেশী দিন হয় চিনিনা কিন্তু তবু আই শুড সে......। আমি ওরে থামালাম। আমার চোখের সামনে দু’টো ইমেজ ভেসে উঠলো, এক. আমার অসম্ভব প্রিয় চলচ্চিত্রকার স্ট্যানলী কুব্রিকের আইজ ওয়াইড সাট-এর একটা দৃশ্য (নিকোল কিডম্যান হঠাত গাজায় টান দেয়ার পর যে প্রশ্নটি করে বসেন টম ক্রুজকে মানে তার ডাক্তার জামাইকে!)। দুই. নাজলী লায়লা মনসুরের পেইন্টিং (ওনার একটা কাজ আছে, যে ছবিতে জানালা দিয়ে বসে এক মেয়ে দেখে নীচের চলমান জীবনের ছন্ধ; পেইন্টিংটার নাম ভুলে গেছি)। আমি মনে করতে চেষ্টা করলাম আমার কয়টা বন্ধু আছে এখনো অবশিষ্ট! ছোট বেলা থেকে ফুটবল খেলার সুবাদে জেলায় জেলায় বন্ধু গড়ে উঠে। তারপর একটু বড় হলে পর রাজনীতি-কেন্দ্র আর চলচ্চিত্র সংসদের কল্যানে সে সংখ্যা নিদেন পক্ষে পাচঁ’শোরও বেশী ছাড়িয়ে যায়; যাদের মধ্যে অন্তত শ’তিনেক বন্ধুর চৌদ্দগোষ্ঠির ঠিকুজিসহ জানা! কিন্তু আজ এত বছর পর আমার এতো এতো বন্ধুরা সব হারিয়ে গেল বা আমি হারিয়ে গেলাম তাদের জীবন থেকে! আমি জানি এখনো যদি এদের কোন একজনের সামনেও পড়ি তবে সেই আগের উষ্ণতায় পাবো ওদের কাছ থেকে। কিন্তু আমার উষ্ণতা? না, কি করে যেন সব প্রান হারিয়ে গেল; গুটি কয়েক বাদে! আর এই বিলেতে আশ্চর্যরকমভাবে এই ছেলেটার সাথে আমার আত্বিক হৃদ্যতা গড়ে উঠলো, যা অনেকের সাথেই দশ-বারো বছরেও গড়ে উঠেনি! যে মানুষটিকে একসময় পাগলের মতো ভালবাসতাম তাকেও কিছুদিন আগে ফাক অফ বলতে বাধ্য হলাম তার মাত্রাতিরিক্ত ভালোমানুষী টাইপ সুশীল কথাবার্তার জন্য। যাক সেসব কথা, এদওয়ার্দোর ঐ এক লাইনে আমার এতোসব চিত্রকল্প একঝটকায় মনে পড়ে গেল!

আমরা তৃতীয় পাব্‌টাতে ঢুকলাম। রাত বাঝে ১টা। উইক ডে’তেও রাতজাগা ফাউলরা সব একসাথে হয়েছি! গোটা পাব্‌ চিতকার চেচামেঁচিতে মাশাল্লা ভরপুর। আমি বন্ধুরে জিগাইলাম তুইনা কইলি তোর হৈহুল্লর খুব ভালো লাগে, এখন কেমন লাগছে? ও আমার দিকে প্রথমে খটমট করে তাকিঁয়ে পরে হেসে বলে, ঐটাতো মোটর রেসের শব্দে কথা বলেছিলাম (শালা এমনি ফাউল, ক’দিন আগে দুশো ষাট পাউন্ড দিয়ে ফর্মূলা ওয়ানের অগ্রিম টিকেট কিনেছে!)। আমি কান চাপা দিয়ে পাইন্ট নিয়ে সরে পড়লাম পাবের একেবারে নির্জন কোনায়। ওমা ওখানে গিয়ে দেখি আমার চামড়ার এক তন্বী চুটিয়ে প্রেম করছেন আরেক সাদা সুশীলের সাথে। কি আর করা পেছন ফেরার অভ্যেস আমার কোনকালেই ছিলোনা যেহেতু তাই ওদের সামনের এক টেবিলে বসে পড়লাম। মেয়েটা এতো চমকদার ছিলো যে চোখ চলে যাচ্ছিলো বার বার। একসময় দেখলাম ঐ মেয়েও বেশ মজা পেয়ে গেল। চোখাচোখি ফ্লার্টিং শুরু হয়ে গেল। বয়ফ্রেন্ড বেচারা মনে হয় অনেক্ষন চেপে রেখেছিলো বেগ, এবার সে উঠে গেল টয়লেটে। দেখলাম সুন্দরী স্ট্রেইট তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে। আমিও সুযোগটা লুফে নিলাম। বললাম, তোমারে দেখতে সে’রম লাগছে এই ড্রেসে। ও বেশ মজা পেল। পালটা প্রশ্ন (বেশ সাউথ এশিয়ান টাইপ প্রশ্ন!), তোমরা দু’জন কোথাকার? যাইহোক নিশ্চয়তার পালা শেষে যেই শুরু করলাম জমিয়ে আড্ডা, তখনি ওয়েটার আর তার বয়ফ্রেন্ড এসে হাজির! টাইম শেষ এক্ষুনি উঠতে হবে আমাদের। কি আর করা, ওরে টাটা দিয়ে এগুলাম অক্সফোর্ড স্ট্রিটের দিকে। একটু আগানোর পর হঠাত আবার দেখি ঐ বান্দারে। ও হাসে, আমরা দু’জনেই চিতকার দিয়ে বললাম, ‘য়ু লুকস্‌ সো কুল’। ও তার ছোট্ট মিনি কুপারটাতে ছ্যাবড়াটাকে নিয়ে উঠে গাড়ি ষ্ট্রার্ট দিলো। আমরা আমাদের চতুর্থ ও আজ রাতের শেষ গন্তব্য বাসায় যেতে বাস ষ্টপের দিকে পা বাড়ালাম।

রাস্তার ধারের হট ডগ আমার খুব প্রিয়। এদওয়ার্দো এর নাম দিয়েছে ডার্টি হট ডগ। ও রাস্তার ধারে হট ডগের বান্দাটারে দেখেই আমার দিকে তাকাঁয়। আমিও ওরে কিছু বলার প্রয়োজন নেই ধরে নিয়ে এগিয়ে গেলাম। ও দোকানদাররে বললো, ‘মাই ফ্রেন্ড ওয়ান্ট আ ডার্টি হট ডগ’। ও যাতে না খেপে তাই তাড়াতাড়ি বললাম, ‘বাট য়ু নো, আই লাভ ইট’। দোকানদার খুশি হয়ে মাষ্টারড্‌ মাখিয়ে আমারে একটা হট ডগ আগায় দিলো। ততোক্ষনে আমার বন্ধু ফাউল গেল করপোরেটের হা করা মুখের দিকে (ম্যাকডোনাল্ডে)। ও বার্গার আর আমি ডগ খেতে খেতে বাসস্টপের দিকে যাচ্ছি, এমন সময় দেখি বব মার্লের গান বাজছে রাস্তার ধারে ফুটপাতে,


Could you be loved and be loved?

Don't let them fool ya,
Or even try to school ya! Oh, no!
We've got a mind of our own,
So go to hell if what you're thinking is not right!
Love would never leave us alone,
A-yin the darkness there must come out to light.

Could you be loved and be loved?
Could you be loved, wo now! - and be loved?

(The road of life is rocky and you may stumble too,
So while you point your fingers someone else is judging you)
Love your brotherman!
(Could you be - could you be - could you be loved?
Could you be - could you be loved?
Could you be - could you be - could you be loved?
Could you be - could you be loved?)

Don't let them change ya, oh! -
Or even rearrange ya! Oh, no!
We've got a life to live.
They say: only - only -
only the fittest of the fittest shall survive -
Stay alive! Eh!

Could you be loved and be loved?
Could you be loved, wo now! - and be loved?

(You ain't gonna miss your water until your well runs dry;
No matter how you treat him, the man will never be satisfied.)
Say something! (Could you be - could you be - could you be loved?
Could you be - could you be loved?)
Say something! Say something!
(Could you be - could you be - could you be loved?)
Say something! (Could you be - could you be loved?)
Say something! Say something! (Say something!)
Say something! Say something! (Could you be loved?)
Say something! Say something! Reggae, reggae!
Say something! Rockers, rockers!
Say something! Reggae, reggae!
Say something! Rockers, rockers!
Say something! (Could you be loved?)
Say something! Uh!
Say something! Come on!
Say something! (Could you be - could you be - could you be loved?)
Say something! (Could you be - could you be loved?)
Say something! (Could you be - could you be - could you be loved?)
Say something! (Could you be - could you be loved?)

এক কালা ভাই বগলে এক মাতাল তরুনীকে নিয়ে নেচেঁ যাচ্ছে। আমরা গোল হয়ে যোগ দিলাম নাচেঁ......গাইতে থাকলাম সুরে সুরে “সে সামথিং......”। মেয়ের নানি আর খালা এসে এক ঝটকায় নিয়ে গেল সুন্দরীটারে। ও যেতে যেতেও নাচঁছে...হা হা হা। হঠাত আমার মাথায় একটা প্রশ্ন এলো হঠাত, এই মার্লে জানি কেমনে মরেছিলো? বন্ধুরে কইলাম তুই জানিস? ও কয় ভুইলা গেছে। আমি কালা ভাইরে জিগাইতে গেলাম। বন্ধু আমার হাত ধইরা একটানে নিয়া যায় অন্যদিকে। বলে করছ কি তুই! ও বেচাঁরা মনের আনন্দে গান শোনাইতেছে আর ভিক্ষা করছে, এর মধ্যে তুই যদি গিয়া জিজ্ঞেস করস্‌ মার্লে কখন মরছে, তো ব্যাপারটা কেমন দ্যাখাই না? আমি ক্ষান্ত দিয়ে শেষে রাস্তায় যারে পাই তারেই জিগাইতে থাকলাম একের পর এক, কিন্তু কোন ব্যাটা বা ব্যাটিই আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়না। বুঝলাম, মাতালের প্রশ্নের দাম নাইক্কা! নাইট বাস ধরে সোজা বাসায় এসে নেট। আমার খালি একটা তথ্যই মনে ছিলো, মার্লে মারা যায় ৩৬ বছর বয়সে, কিন্তু কিভাবে তা বেমালুম ভুলে গেলাম! কি করে পারলাম ভুলতে, অতছ এই লোকই গাজাঁ খাওয়াটাকে একটা রিলিজিয়াস পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো (লালন সাঁই-ও এই দলের)! যাইহোক, অনেক ধন্যবাদ প্রযুক্তি তোমায়! তুমি কেড়ে নিয়েছো অনেককিছুই কিন্তু দিয়াছো যা, তাও নিতান্ত কম মূল্যবান নয়। এই অসাধারন প্রতিভা মার্লে মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে বুকে ও মাথায় মেলানোমা কান্সারের সর্বশেষ আক্রমনের কারনে ১৯৮১ সালের ১১ মে ভোরে মায়ামীতে মারা যান। আহা কি অসাধারন লিখতো এই ব্যাটা! এখনো ওর গানটা মাথায় ঘুরছেতো ঘুরছেই... Could you be loved and be loved? Say something! Say something!
আমি নিজেই নিজেকে সান্তনা দিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করি, ‘আর ক’টা বছর সবুর করো বাচাঁধন, তারপর তুমি আস্তানা গাড়তে পারবে তোমার স্বপ্নের শহর আমষ্টার্ডামে’। আমি সেদিনের জন্য, সে মুক্ত শহরের মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নেয়ার জন্য হাসিমুখে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করি......। বাহ্‌ এখন দেখি সকাল নয়টা বেজে কুড়ি মিনিট!


মন্তব্য

জিফরান খালেদ এর ছবি

আপনার ড্রাঙ্কেন জার্নাল বিস্রস্ত হলেও অসাধারণ হচ্ছে...

লিখে যান।

ফারুক হাসান এর ছবি

মাতাল পোষ্ট!

সবজান্তা এর ছবি

নয়টা বিশেই ক্ষান্ত দিলেন ? লিখলে কিন্তু মন্দ হইতো না, বেশ ভালোই লাগছিলো পড়তে।


অলমিতি বিস্তারেণ

ধ্রুব হাসান এর ছবি

শরীরের উত্তাপ কমাতে ঘুমাইতে বাধ্য হইছিলাম ভাই।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হা: হা: হা: আমস্টার্মডাম...?
দারুণ লাগলো পড়তে ধ্রুব...
শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বেশ সাবলীল ভঙ্গিতে লিখে যাওয়া। ভালো লাগলো এই আকালের দিনেও। চালিয়ে যান কিস্তির পর কিস্তি। পড়তে মন্দ লাগে না।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

......তবে মন্দ একসময় লাগবেই ব্রাদার।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- স্কাংক যদি ভোলানাথের সিদ্ধি হয় তাহলে বলবো আমস্টার্ডাম হলো বেস্ট। স্পেশালী বললে "দ্য হোয়াইট উইণ্ডো"। জিনিষই একটা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ধ্রুব হাসান এর ছবি

তাইতোরে ভাই তক্কে তক্কে দিনাতিপাত করে চলেছি; সুযোগ বুঝে দৌড় লাগামু...।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ফাটাফাটি হয়েছে ।

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বোহেমিয়ান‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ জীবনের গল্প শুনতে আমার সব সময়েই ভালো লাগে। বড়োই চমেত্কার, ধ্রুব হাসান।

সারা জীবনেই বোধহয় বাইরে থেকে চকচকে জিনিষ দেইখা ভেতরে ঢুকে টাশকি খাই!

খুবই সত্য কথা।

... রাতজাগা ফাউলরা ...

আমারেও ফাউল কইলেন? চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধ্রুব হাসান এর ছবি

ধূর ভাই সন্নাসীরে ফাউলের কউনের সাহস আমার এখনো হয় নাইক্কা। নিজেরেই আমি সবচেয়ে বেশী গালাগাল দেই।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আমি তো, ভাই মশকরা করসি! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

থার্ড আই এর ছবি

একেতো নাচুনি বুড়ি তারপর আবার উৎসাহ কারী কারী।
একটু রয়ে সঁয়ে, আমরা ববমার্লে হারিয়েছি। ধ্রুব হাসানকে অন্তত ৬৩ বছর চাই।
------------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আপনে মিয়া বেশী জলদি বুড়া হইয়া যাইতেছেন! একটু রয়ে সয়ে বুড়া হন, বুড়া হওনের টাইমতো পইড়াই আছে, কি কন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।