আজকে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে দেখা গেল মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রায় ১১৮ জন শ্রমিককে প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো হলো। এই সমস্ত শ্রমিকভায়েরা ফেরত আসলেন আহত অবস্থায় এক কাপড়ে। দেখে মনে হচ্ছিলো কোন যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে তারা ফিরছেন। এসমস্ত শ্রমিকের মধ্যে অনেকে আবার বেশ বয়স্ক; এতো বয়স্ক কোন মানুষকে যখন বাচ্চার মতো কাদঁতে দেখি তখন বোঝা যায় কতটা অসহায় ইনারা! হায় আমার স্বদেশ, না দেশে না পরবাসে কোথাও কাজের যোগান তো দূরের কথা এতটুকু নিরাপত্তাও দিতে পারলেনা এসকল মেহেনতী মানুষগুলোর! উলটো বর্বর আরবরা তাদের দিয়ে দাসের মতো চাষ করালো নিজেদের মরু প্রান্তর, আর দিনশেষে ন্যায্য পাওনার দাবীর মুখে পশুর মতো বস্তা বন্ধী করে ফেরত পাঠিয়ে দিলো স্বদেশ! বছর শেষে না করতে পারলো এতটুকু সঞ্চয়, না আনতে পারলো নিজের পায়ের চটিজোড়া! যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে বেচেঁ থাকার লড়াইটা লড়তে গেছিলো দূর মরু প্রান্তরে সে স্বপ্নের অতি নিষ্ঠুর পরিসমাপ্তি ঘটলো! শূন্য থেকে শুরু করে এতোগুলো বছর পর আজ আবার শুন্যতেই দাড়াঁনো! হে অসহায় পিতা, আমার ভাইয়েরা তোমাদের অসহায়ত্ব আমাকেও অসহায় করে দেই; আমি বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিঁয়ে দেখি ষ্টীল আর ভিডিও চিত্রে তোমাদের অসাহয়ত্ব। আর কতো মানুষের জীবন কোরবানি হলে পরে আমার স্বদেশ থিতু হবে? আমাদের শাসকদের মেরুদন্ডখানা কতযুগ পরে সোজা হয়ে দাড়াঁবে? পৃথিবীর এতো এতো মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, শান্তির দূতেরা কোথায় আজ? এরা কিসের জন্য, কার জন্য, কার স্বার্থে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা খরচ করে মানবাধিকারের জন্য গলা ফাটায়? এদিকে তাবত দুনিয়ার প্রান্তিক মানুষেরা যুগ যুগ ধরে গোলামীর শেকল টেনে যায়! আশ্চর্য এই রঙ্গ!
এই নিয়ে বিস্তারিত পাবেন এখানে। সমকাল ১ , সমকাল ২ , প্রথম আলো
কর্পোরেটের পেটের চাহিদা মেটাতে গিয়ে যেন আমরা গোটা দুনিয়াটাকেই গিলে খাচ্ছি! এ নিয়ে বানানো কিছু ভিডিও আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। বড় বেশী অসহায় লাগে এইসব দেখে!
মন্তব্য
একলক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গাম্বর আর এতো এতো আসমানী কিতাব নাযিল হয়েও অসভ্যগুলারে মানুষ করতে পারলোনা, বাংলার শ্যামল প্রান্তরে তবু কেউ কেউ আরবের খেজুর ফলানোর জেহাদী স্বপ্নে মাতেন
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই কথাটাই আমিও বলি। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর পাঠিয়েও খোদ খোদা যেই আরবদের মানুষ করতে পারেনি, আমরা তাদের কাছেই ধর্মের সবক নেই, তাদেরই দেখানো পথে হাঁটি! নবীজী (স) মরার সময়ও আরবরা সভ্য হয়নি। প্রশ্ন উঠতেই পারে, খোদাও কি ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন আরবদের উপর?
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
আহা রে মুসলিম উম্মাহ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
প্রিয় হাসান মোরশেদ, এর সঙ্গে ইসলামের পয়গম্বর এবং বাংলাদেশের জেহাদী সম্পর্কের বিষয়টি একেবারেই বুঝলাম না। কোনো জাতির একাংশ বা তার শাসকশ্রেণীর জন্য গোটা জাতিকেই অমর্যাদা করাকে জাত-বিদ্বেষ বলে জানি। সেটা পাকিস্তানি, মার্কিনি, ভারতীয়, আরবিয় বা আফ্রিকীয় যে-ই হোক। সৌদিতে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত দাস প্রথা ছিল। তাদের প্রভু মানসিকতা তারা তাদের জাতির সাধারণ মানুষ এবং নারীদের ওপরও প্রয়োগ করে। আবার এই কাজ কিন্তু তারা ভারতীয় শ্রমিকদের বেলায় করতে পারে না, যা তারা আমাদের সঙ্গে করেছে। কারণ, ভারত রাষ্ট্র হিসাবে সবল এবং তা সৌদি-কুয়েতিদের থেকে অধস্তন নয়। তেলচোঁয়ানো রাষ্ট্রগুলো নাকি আমাদের রাষ্ট্রেরও নাকি প্রভু। এবং তাদের প্রভু মার্কিন রাষ্ট্র আমাদের দাদা-প্রভু।
ইউরোপও এই কাজ গোটা বিশ্বের সঙ্গে করছে এবং আজকে আমেরিকা ইরাক-আফগানিস্তান সহ অজস্র দেশে অজস্র কায়দায় করছে, তাহলে কি আমরা এ বলব তারা অসভ্য এবং তাদের তরিকায় যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মুক্তবাজারের স্বপ্ন দেখে তারাও অবান্তর?
আমি কেবল কার্যকারণ রিলেশনটি যথাযথ হলো কিনা তা দেখার অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশ নিজেও তার শ্রমিকদের সঙ্গে এ কাজই করে, যে প্রবাসী শ্রমিকরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচে বেশি অবদান রাখছে, তাদেরও তারা দাসরপ্তানি হিসাবেই দেখে। দাসের নির্যাতনে আমাদের প্রভু শাসকদেরও তাই কিছু যায় আসে না। আর আমাদের দূতাবাস কর্মকর্তারা যেখানে দেশি রিক্রুটিং এজেন্টদের ভায়রা ভাই লাগে, সেখানে তারা স্বজাতির শ্রমিকদের রক্ষার থেকে টাকা গোনায় বেশি পারদর্শি। ধ্রব হাসানের লেখার স্পিরিটটির সঙ্গে একমত।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ধন্যবাদ আপনাকে। যে কথাগুলো আপনি ব্যাখ্যা করে দিলেন এইটাই ছিলো আমার মূল বক্তব্য। গোটা বিশ্বের প্রান্তিক মানুষদের আজ এই দশা। তৃতীয় বিশ্বের শ্রমিকদের আয়ের সাথে একমাত্র তুলনা চলে দাসদের। দেখুন একসময় দাসদের মাসিক আয় না থাকলেও তারা মুনিব থেকে যা পেত ভরন পোষনের জন্য তার ভেল্যু যদি কর্নভার্ট করেন মুদ্রায়, তাহলে তা আজকের মজুরীর প্রায় সমান! কারন এই মজুরী দিয়ে যে জীবন তারা যাপন করেন তাকে কেবল দাস জীবনই বলা চলে। আর মধ্যপ্রাচ্যে (UAE ছাড়া) বাংলাদেশী শ্রমিকরা একরকম দাসত্বই করেন। টাকার অংকে তারা অল্প কিছু টাকা স্বদেশ থেকে বেশী পেলেও তাদের যেভাবে জীবন যাপন করতে হয়, তাকে এ যুগের দাস-জীবন না বলে কি বলা যায় তা আমি জানিনা! আমরা উন্নত পৃথীবির ওয়েষ্টেজে পরিণত হয়েছি; ওদের পুজিঁর চাকা ঘুরাতে তেল ও অন্যান্য জ্বালানীর পাশাপাশি আমাদের শ্রমিকরাও একধরনের জ্বালানী বৈ আর কিছুই নয়! আর অবস্থা থেকে সহসা মুক্তির কোন সম্ভাবনাও দেখছিনা; এমন কি বোল্ড্লী পাশে দাড়িঁয়ে কাধেঁ কাধ মিলিয়ে কথা বলার আন্তর্জাতিক কোন প্রতিষ্ঠানেরই অস্থিত্ব ঠাহর করতে পারিনা! তবে আমার বিশ্বাস এর পরিণাম আমাদের সকলকেই ভোগ করতে হবে; মাশুল দিতে হবে গোটা মানব সভ্যতাকেই!
@হাসান মোরশেদ, আপনার কিছুদিন আগের যৌক্তিক মন্তব্যঃ
আর আজকের একটা জাতি সম্পর্কে জেনেরালাইজড্ মন্তব্যঃ
এর কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা কি আছে আপনার কাছে? কোথায় তথাকথিত পুজিঁর নোংরামি তথা শ্রমিক নির্যাতনের কথা হচ্ছে তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন জিহাদ, মোল্লাবাদ আর জাতিগত আক্রমন! কি সুন্দর করেইনা মানুষের দৃষ্টি ঘুরানো রপ্ত করেছেন! সেলুট জনাব।
এই পোস্টটার জন্যই লগড ইন হলাম।
জানোয়ারগুলো মানুষ হলনা।
আচ্ছা এইসব বিষয়ে আমাদের সরকার বাহাদুর কি করবেন? দৃষ্টি রাখবেন? মিনমিনা প্রতিবাদ করবেন? না এইসব অর্বাচিন শ্রমিকদের দোষ খোঁজে বের করতে একটা তদন্ত কমিটি করবেন?
তদন্ত কমিটি হলে এর প্রধান কে হবেন? সাবেক বিচারপতি? দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কোন কর্তা? নাকি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ?
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নাজমুল ভাই,বড় শক্ত প্রতিবাদ করলে কি হবে??? যারা আছে তাদেরও ফেরত পাঠিয়ে দিবে,এবং এই দাদা মিয়ার মতো চোখ মুছতে মুছতে দেশে ফেরত আসবে। গরীবের শুধু হাত আর পা না, সাথে মুখ আর পেটও বাধা।
ফারুক ভাইতো বাকীটা বলেই দিলেন। তবুও আমি বলবো আরবরা জানোয়ারদেরকেও অতিক্রম করে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হুমম...
বর্বররা কখনও মানুষ হয় না...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
এই পোস্টটা ঘন্টা ছয়েকের জন্য স্টিকি করলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ছুটানো হইল
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দানব কখনো হয় না মানুষ......
------------------------------------
জয় বাংলা ব্লগিং! জয় সচলায়তন!!
------------------------------------
জয় বাংলা ব্লগিং! জয় সচলায়তন!!
রাজনৈতিক ট্যাগিং সমৃদ্ধ সচলায়তনকে তেল মারা সিগনেচারের জন্য আপত্তি জানাচ্ছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
অসভ্যতা আর বর্বরতা ছাড়া যাদের জাতিগত ইতিহাসে আর কিছুই নেই, তাদের কাছে আর কী আশা করা যায়?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আগে ইতিহাস বইয়ে পড়তাম, "আরবের লোকেরা তখন অসভ্য ছিলো"। সেই স্তর যে তারা আজও পেরিয়ে আসতে পারেনি, তা প্রমাণিত সত্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ঘৃনা, ধিক্কার ঐ বর্বরদের প্রতি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কী বলব। বিডিনিউজের পুরো খবর পড়ে শেষে গিয়ে দেখি এসব লোকদের বেতন ৮ থেকে ২০ ডলার পেত। সরকারী নিয়মে সেটা বাড়িয়ে ১৫১ডলার করেছে। মালিকেরা এটা দিবে না, নিশ্চিত। এটা ঘণ্টাপ্রতি, না দিনপ্রতি - শেষে গিয়ে দেখি মাসিক! হায়রে। পুঁজিবাদ কতভাল, অন্তত মাসে ১৫০ডলারের রসিকতা করে না।
পুঁজিবাদের শুরু আদিম লুন্ঠনে, আরবের শেখরা সেই স্তরে কেবল প্রবেশ করেছে। আর বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের আশি ভাগই কিন্তু ওই বেতনই পায়, এবং তা দেয় তাদের পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী বায়াররা। ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের প্রথম যুগে দেখুন, তারা বিদেশি কালো-বাদামি শ্রমিক-দাসদের তো বটেই, স্বদেশি শাদা চামড়ার শ্রমিকদের সঙ্গে এর থেকেও নিকৃষ্ট আচরণ করেছে।
তবে, আমি মনে করি এ ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক স্তরে আইএলওসহ আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্ট থেকে শুরু করে সবখানে প্রতিবাদ করা উচিত। তারা যদি তা না করে, তাহলে সৌদি-কুয়েতি ঐ বদমাশগুলোকে গালি দিয়ে কী লাভ। বাংলাদেশ যদি তার নাগরিকদের রক্ষা করতে না পারে সেটা প্রথমত আমাদের রাষ্ট্রের ব্যর্থতা।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
@ফারুক ওয়াসিফ, ধন্যবাদ আপনাকে। যে কথাগুলো আপনি ব্যাখ্যা করে দিলেন এইটাই ছিলো আমার মূল বক্তব্য। গোটা বিশ্বের প্রান্তিক মানুষদের আজ এই দশা। তৃতীয় বিশ্বের শ্রমিকদের আয়ের সাথে একমাত্র তুলনা চলে দাসদের। দেখুন একসময় দাসদের মাসিক আয় না থাকলেও তারা মুনিব থেকে যা পেত ভরন পোষনের জন্য তার ভেল্যু যদি কর্নভার্ট করেন মুদ্রায়, তাহলে তা আজকের মজুরীর প্রায় সমান! কারন এই মজুরী দিয়ে যে জীবন তারা যাপন করেন তাকে কেবল দাস জীবনই বলা চলে। আর মধ্যপ্রাচ্যে (UAE ছাড়া) বাংলাদেশী শ্রমিকরা একরকম দাসত্বই করেন। টাকার অংকে তারা অল্প কিছু টাকা স্বদেশ থেকে বেশী পেলেও তাদের যেভাবে জীবন যাপন করতে হয়, তাকে এ যুগের দাস-জীবন না বলে কি বলা যায় তা আমি জানিনা! আমরা উন্নত পৃথীবির ওয়েষ্টেজে পরিণত হয়েছি; ওদের পুজিঁর চাকা ঘুরাতে তেল ও অন্যান্য জ্বালানীর পাশাপাশি আমাদের শ্রমিকরাও একধরনের জ্বালানী বৈ আর কিছুই নয়! আর অবস্থা থেকে সহসা মুক্তির কোন সম্ভাবনাও দেখছিনা; এমন কি বোল্ড্লী পাশে দাড়িঁয়ে কাধেঁ কাধ মিলিয়ে কথা বলার আন্তর্জাতিক কোন প্রতিষ্ঠানেরই অস্থিত্ব ঠাহর করতে পারিনা! তবে আমার বিশ্বাস এর পরিণাম আমাদের সকলকেই ভোগ করতে হবে; মাশুল দিতে হবে গোটা মানব সভ্যতাকেই!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ওদরে দোষ আছে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
এক জায়গায় এতো এতো আসমানী কিতাব আসার দরকার ছিল বলেই নিশ্চয়ই এসেছিল......ওদেরই প্রয়োজন ছিল বেশি বেশি......তবু লাভ হলো কই!!!!!
-টিকটিকির ল্যাজ
এইসব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এতো বড় মানুষকে কাঁদতে দেখে ভালো লাগছে না।
আমাদের এতো কাঁদতে হয় ক্যানো?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
শ্রমিকদের পাওনা মজুরি। শ্রমিকদের থাকার আবাসস্থল। মালিকের অত্যাচার। অদক্ষ শ্রমিকদের কাজের মাত্রাত্রিরিক্ত পরিশ্রম সবকিছূ ক্ষেপেয়ি তুলেছে তাদের। তাদের কিন্তু এসব সমস্যা কুটনীতিক বিষয় আমাদের সরকার আগেই নজরে এনে একটা সমাধানে আনা উচিত ছিল। তা না করায়। আমরা বাধ্য হয়েছি আমাদের শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে কাদে নিতে।
আমাদের দেশে যারা বিদেশে যায় তারা এতটাই অদক্ষ যে এমবেসি পর্যন্ত তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে না।
এমবেসিও কোন খোজ খবর নেয় না। এটা প্রবাসীদের লেখা বিভিন্ন অভিযোগে পেয়েছি।
সরকারে এই মুহুর্তে উচিত সংশ্লিস্ট দেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ করে শ্রম বাজার ঠিক রাখা কোন অবস্থায় এই বাজার হাত ছাড়া করা ঠিক হবে। একই সাথে সমস্যা খুজে বের করে সম্ভাব্য সমাধানের উপায় বের করা।
এবং নতুন করে বিকল্প শ্রম বাজার খোজ করা।
বিষয়টি মর্মান্তিক। আজকে একটি ওয়েবসাইটে বাংলাদেশী শ্রমিকদের উপর কুয়েতি পুলিশের নির্যাতনরত অবস্থার একাধিক ছবি দেখলাম। আপনাদের জন্য লিংকটি এখানে দিয়ে দিলাম:
http://www.dw-world.de/dw/article/0,2144,3529009,00.html
নতুন মন্তব্য করুন