আজ অনেক দিন পর প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা টানা ঘুম দিলাম। মুখহাত না ধুয়েই পিসি খুলে সচলেও ঢুকলাম অনেক দিন পর! লাস্ট ঠাকুর নিয়ে আমাদের মির্জা সাহেবের পোষ্টখানা পড়ে মনে হলো এ সম্পর্কে কিছু বলা উচিত। যদিও এই ছবির সাথে গোড়া থেকেই নানাভাবে নিজেও জড়িত থাকার কারনে আরো কিছুদিন পরে সচলে বিস্তারিত জানাবো ভেবেছিলাম! কিন্তু এখনি কিছু তথ্য জানানো জরুরী মনে হলো। এটি প্রথম বৃটিশ বাংলাদেশী চলচ্চিত্র এবং বাংলাদেশের প্রথম হাইডেফিনেশনে বানানো ছবি! ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা বিশ্বখ্যাত ডিস্ট্রিবিউটর কম্প্যানী আর্টিফিশিয়াল আই এবং এন এফ টি এস। আর সহযোগী প্রযোজনা সংস্থা হলো এইম ইমেজ (কেমডেন স্টুডিও), ব্রেক থ্রু, ফিল্মস্ ফোর এবং স্ক্রিমিং গার্ল (এডকম, বাংলাদেশ)। তবে মজার ব্যাপার হলো এই ছবি দিয়ে আর্টিফিশিয়াল আই প্রথম বিশ্ব বাজারে তাদের ছবির ব্যবসা শুরু করলো! সেই বিচারে এটি তাদের প্রথম ফিচার ফিল্মও বটে! তবে এখানে এইম ইমেজের দুঃসাহসী প্রচেষ্টারও প্রশংসা করতে হয়। ছবিটির কস্টিউম ডিজাইন ও প্রথম দিকে ছবিটির সম্পাদনার কাজ করতে গিয়ে এইম ইমেজের প্রযোজক আতিফ’কে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করি, কেন তোমরা এরকম একটি প্রজেক্টে ইনভেষ্ট করতে গেলে! যে দু’টি উত্তর পাই তাতে আমার মন ভরে গেছিলো। এক. যদি লন্ডনের অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থা আর্জেন্টিনাসহ ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোতে ফিল্ম বানাতে পয়সা ইনভেষ্ট করতে পারে তবে বাংলাদেশে নয় কেন? তাছাড়া যুক্তরাজ্যে বিপুল পরিমানে বাংলাদেশীসহ দুই বাংলার বাঙ্গালী বসবাস করার কারণে একটা ছোটখাট বাজারো তৈরী হয়ে আছে। দুই. লো-বাজেটের একটা ছবির এক্সপেরিম্যান্ট হিসেবে বাংলাদেশ একটি ভালো প্লাট ফর্ম (১১০-১২০ হাজার পাউন্ডের বাজেট বলে কথা!)।
যাইহোক এবার আসি ছবি বানানোর শুরুর দিকের পটভূমিতে। বাংলাদেশে এই প্রোডাকশনটি সফলতার সাথে শেষ করতে যে কম্প্যানিটি বিশাল পরিমানের সাপোর্ট দিয়েছে তার নাম ‘স্ক্রিমিং গার্ল’। এটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এদকম লিমিটেডের একটি সিস্টার অর্গানাইজেশন। আর পুরো ব্যাপারটা মানে বাংলাদেশ ও লন্ডনের যোগাযোগের ব্যাপারটার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রুনি খান। তিনি এর সমন্বয়কের দ্বায়িত্ব পালন করেন। ফারহান ভাইয়ের নামও উল্লেখ করতে হয় তার সর্বাত্বক সহযোগীতার জন্য। তাছাড়া ছবিটির পরিচালক সাদিক আহমেদ’কে যে ছেলেটি সারাক্ষন এসিস্ট করেছিলো সে আমার প্রিয় বন্ধু পিপ্লু। আবার ছবি বানানোর গোড়াতে ফেরা যাক, প্রথম দিকে সাদিক’কে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো অভিনেতা অভিনেত্রী নির্বাচন করতে গিয়ে। এমন কি তারেক ভাই প্রথমদিকে রাজি হয়েও উলটে যান ক্যারেক্টার’টা পড়ে! পড়ে অবশ্য ছবিটির মূল চরিত্রে তিনি এমনভাবে ঢুকে পড়েন যে, সত্যিই হয়ে উঠেন ‘শেষ জমিদার’! ছবির পুরো শুটিং শেষ হয় গত বছরের নবেম্বর-ডিসেম্বররে (কোরবানি ঈদের সময়)। সাদিকের যে ব্যাপারটা সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো তা হলো পুরো ফিল্মটাই ছিলো ওয়ার্কশপ বেইজড্ এবং ব্লক ব্লক করে শুট করা (যদিও এর বেশ কিছু বাজে দিকও বের হয়েছে)। প্রায় মাস-দেড়েক অভিনেতা-অভিনেত্রী সবাইকেই ঢাকার জগত থেকে আক্ষরিক অর্থেই বিচ্ছিন্ন রাখা হয়, তাদের সেল ফোনও বন্ধ রাখা হয়। ঢাকার বাইরে ব্রাক্ষন বাড়িয়ায় নির্মাণ করা হয় ছবিটির সেট। এ সম্পর্কে পড়ে আরো বিশদ লেখার ইচ্ছে আছে, তবে এটুকুই বলি ছবিটির গল্পে অনেক দুর্বলতা থাকলেও শুধুমাত্র অসাধারন অভিনয় দক্ষতা ও অনন্য সুন্দর সিনেমাটোগ্রাফির কারনে এই ছবি নির্ঘাত বেশ কিছু পুরস্কার ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছে! এই ছবির মাধ্যমে এই প্রথম বিশ্ব-দর্শকের সামনে আমরা প্রমাণ করবো, আমাদের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিশ্বমানের! এদের দক্ষতা অনন্য! এমনকি মিরপুরের যেসব সাধারন মানুষ অভিনয় করেছেন তাদের অভিনয়ও দেখার মতো!
‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’ সম্পর্কে অনেক কিছুই লেখার আছে আমার। তবে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত বিশদভাবে কিছু বলতে চাইনা। মজার ব্যাপার হলো গত মাসে বাফটাতে ছবিটির প্রথম প্রাইভেট স্ক্রিনিং ছিলো ছবির ক্রু ও বিশেষ ব্যক্তিদের নিয়ে, দূর্ভাগ্যক্রমে ঐ স্ক্রিনিং-এর প্রথম বাঙ্গালী মিডিয়া কাভারেজ করতে হয় আমাকে। এ টি এন ইউরোপ সংবাদে এর উপর প্রথম সংবাদ প্রচারের পর সবাই দেখি বেশ আগ্রহী হয়ে উঠতে (যদিও এ সম্পর্কে অনেকেই আগে থেকে জানতেন!)। তবে সামান্য একটু দুঃখ পেয়েছিলাম এটিএন বাংলার (বাংলাদেশ) এক প্রখ্যাত রিপোর্টারের ভূমিকা দেখে! তাকে সমস্ত ফুটেজের যোগান দিয়ে দেখি তিনি আর সংবাদটি প্রকাশ করেন না। জিজ্ঞেস করলাম ভাই কি ব্যাপার, ইচ্ছে না করলে বলেন আমি অন্য জায়গায় দিয়ে দিই। তিনি আমার ঐ শেষ মেসেজের কোন উত্তরও দেয়ার প্রয়োজন মনে করলেননা; তবে এর আগের উত্তরে জানালেন, এখন বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বেশ হইচই এখন এই ব্যাপারটা প্রচার করা যাবেনা!...হা হা হা...হাসলাম কতক্ষন। যাক বাফটার প্রদর্শনী নিয়ে করা এটিএন ইউরোপের সংবাদটা এখানে দিলাম সবার জন্য। তাছাড়া এনটিভি গ্রেট ব্রিটেনের দর্শক স্কাই ৮৩৪-এ গেলে দেখতে পাবেন এর ট্রেইলর’টা। চেষ্টা করছি আগামী বছর বাংলাদেশে ছবিটি যাতে সকল শ্রেনীর দর্শকের জন্য মুক্তি পায় সে ব্যবস্থা করতে। কথাবার্তা চলছে দেখা যাক কি হয়।
(নোটঃ এই রিপোর্টিতে কিছু সংশোধনী আছে। যেমন ছবিটির এ বছর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও মুক্তি পাচ্ছে মূলত আগামী বছর।)
Synopsis of The Last Thakur
প্রতিশোধ আর ব্যক্তিগত আইডেনটিটি খোজাঁর পটভূতিতে নির্মিত প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ফিল্ম ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’। ৭১এর যুদ্ধ পরের সময়, বাংলাদেশের একটি মিথিক্যাল গ্রামের নাম দৌলতপুর, এরকম একটি গ্রামে হঠাত একদিন লম্বা চুলের এক তরুন হাতে রাইফেল আর একটি মলিন জীর্ন বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হয় তার আইডেনটিটি খুজঁতে! কালা নামের এই চরিত্রটি ছবির এন্টি হিরো হলেও চরিত্রটিতে পাওয়া যাবে এমন এক বিষন্নতা ও গভীরতা যা সত্যিই হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মতো! কালা তার আইডেনটিটি খোজাঁর মাধ্যমে মূলত পেতে চাই তার জন্ম অধিকার। ইন্ডিয়ান সিনেমার বুহল পরিচিত এই গুনটি বা থিমটি দ্বারা ছবিটি বেশ প্রভাবিত। ছবির সেট দেখে মনে হবে মডার্ন কোন এক ওয়েস্টার্ণ সেট স্থাপন করা হয়েছে বাংলার কোন এক গ্রামে। যার ফলে ছবিটি বাংলায় নির্মিত হলেও এতে পাওয়া যাবে ওয়েস্টার্ণ ছবির ছাপ; বিশেষভাবে ডার্ক ওয়েস্টার্ন গড ফাদার ফিল্মের স্বাদ!
ছবির অন্যান্য মূল চরিত্র হলো, গ্রামের চেয়ারম্যান এবং ঠাকুর। মূলত ঠাকুর আর চেয়ারম্যানের দ্বন্ধকে ঘিরে গোটা ছবি আবর্তিত। ঠাকুর একসময় ঐ গ্রামসহ অত্র এলাকার মালিক হলেও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তার সমস্ত জমি ও ক্ষমতা চলে যায় চেয়ারম্যানের হাতে; যদিও যুদ্ধে চেয়ারম্যানের ভূমিকা ছিলো পাক বাহিনীর পক্ষে! এদিকে ঠাকুরের গোটা পরিবার ওপারে চলে গেলেও ঠাকুর থেকে যায় বাংলাদেশে নিজের ভিটে মাটি আকঁড়ে ধরে। সে তার প্রিয় মানষীর স্মৃতি নিয়ে দৌলতপুর গ্রামে নির্মাণ করতে যায় একটি মন্দিরের; যাতে দেবীর মূর্তি হিসেবে মূলত স্থাপন করতে চায় নিজের মানবীটিকে।
‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’ ছবিটির উল্লেখযোগ্য দিক হলো এটির সময়কাল মাত্র একটি দিন। যার ফলে ছবিটি ভোর ৬টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যে ৭টায় শেষ হয়। একই দিনে কালা’র দৌলতপুর গ্রামে প্রবেশ, ঠাকুরের মন্দির নির্মাণ এবং চেয়ারম্যানের ঠাকুরকে খুনের পরিকল্পনা সবি আগায় একই তালে। দিনের শেষে দেখা যায় কালা তার বাবা’কে খুজতে গিয়ে ঠাকুরের বুকে রাইফেল তাক করে। তার ধারনা ঠাকুরই তার মায়ের শীলতাহানি করে যুদ্ধের সময়। কিন্তু যখন সে জানতে পারে ঐ বার্থ সার্টিফিকেটে নামের যে দু’টি আদ্যখর (A…..R…) এখনো মুছে যায়নি তার সাথে যেমন মিলে ঠাকুরের নাম, ঠিক তেমনি তা মিলে যায় চেয়ারম্যানের নামের সাথেও। ছবিটির শেষ দৃশ্যের এই নাটকীয়তা বেশ উপভোগ্য! এই নাটকীয়তার মাঝেই জন্ম নেয় নতুন এক চরিত্রে; উঠে দাড়াঁয় আরেক নতুন নেতা!
THE LAST THAKUR
Running time: 80 minutes
Language: Bangla
Shooting format: High Definition
Delivery: HDCam
Aspect Ratio: 1:2:35
CREW
Writer/Director/DOP: Sadik Ahmed
Producers: Atif Ghani & Tasnim Lyons
Co-writer: Heather Taylor
Designer: Byron Broadbent
Camera Operator: Matt Fisher
Sound Recordist: Ayush Ahuja
Editor: Hugh Williams
Sound Designer: Kieron Teather
Composers: Birger Clauser & Kishon Khan
Bangladesh Production Consultant: Runi Khan
Associate Producers: Ahmed Ahmadzadeh, Nazim Farhan Choudhury, Hugh Welchman
Executive Producers: Philip Knatchbull, Nik Powell, Daniel Chamier
Cast
Thakur: Tariq Anam
Kala: Tanveer Hassan
Chairman: Rubel Ahmed
Mustafa: Jayanto Chattopadyahay
Tarun: Anisur Rahman Milon
WRITER /DIRECTOR - SADIK AHMED
Writer, director and cinematographer Sadik Ahmed’s short film Tanju Miah was screened in the official selection of Toronto and Sundance Film Festivals and brought him to the attention of Artificial Eye. The film went on to win a Royal Television Society Student award and the NAHEMI/Kodak Prize for Cinematography, and was nominated for Amsterdam Int. Doc Festival, Grierson Doc. Awards, Satyajit Ray Awards, Munich Festival of Film Schools. The film was screened at Curzon Soho and was also shortlisted for the Film Four MyMovieMashup competition. Sadik is a trained cinematographer and fine artist,
studying at the prestigious National Film & Television School under Brian Tufano and at Central Saint Martins School of Art and Design. He works in features, music videos and commercials and has also received several awards as a cinematographer including Best Cinematography for the Kodak Student Commercial Awards 2006.
নতুন তথ্যঃ
এই ছবির ভবিষ্যত যাইহোক সাদিক ইতিমধ্যেই তার দ্বিতীয় ছবির গল্পের কাজ শুরু করেছে। ঢাকার পুলিশ আর চাইল্ড ট্রাফিকিং তার পরবর্তী ছবির বিষয়বস্তু। আমি ভীষনভাবে আশা করছি ও তার দ্বিতীয় ছবিতে আগের ছবির অনেক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে। তাছাড়া এই ছবির বাজেটও বেশ ভালো। দেখা যাক কি হয়...
মন্তব্য
আপনার লিখার জন্যেই অপেক্ষা করতেসিলাম। আপনার বো রোডের অফিসে বইস্যা আপনি এইটার এডিটিং করবার সময় যখন দেখসিলাম, তখনই খুব অন্যরকম লাগসিলো...
গত পরশু আপনার কথা শুনে অবশ্য হালকা দমে গেসি... আর, মির্জা ভাইয়ের লিখাটাও খুব অসম্পূর্ণ মনে হইসিলো...
এখন আফসোস হইতসে, পান্ডুলিপি অনুবাদটা বিনা পয়সাতে কইরা দেয়া উচিত আসিলো... হাহাহা...
পোস্ট ভাল লাগলো...
হুমম, দেখতে হবে।
আপনাকে একটা আইডিয়া দিই। মেলাঘর নিয়ে দেখুন একটা সিনেমা বানানো যায় কি না। কতগুলি তরুণ, যারা শুধু জানে তাদের ফেলে আসা গ্রাম আর শহর আর দেশ আক্রান্ত, এবং তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে তাকে রক্ষার জন্যে, শত্রুমুক্ত করার জন্যে, যারা হয়তো আগে কেউ কখনো অস্ত্র ছুঁয়ে দেখেনি, তারা মেলাঘরে গিয়ে জড়ো হচ্ছে ট্রেনিঙের জন্যে, তাদের প্রত্যেকের মধ্যে কী অসহ্য ক্রোধ ... যুদ্ধ নয়, কেবল এই যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপর একটা সিনেমা বানানো যায় না? যাঁরা মেলাঘর থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আর বেঁচে নেই, সময় থাকতে এমন একটা সিনেমা কি তৈরি করা যায় না? আমি এর যে কোন রকমের কাজে ভলান্টিয়ার করতে রাজি আছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
গালাগালি কইরেন না , এই মেলাঘরটা কি আগে একটু বলেন (আমি আসলেই জানিনা)। শুনে তো মনে হচ্ছে সমরেশের গল্পের কোন কাহিনী! তবে আইডিয়া হিসেবে চমতকার।
গাইল না, মাইর দিমু! মেলাঘরে '৭১ এ ট্রেনিং ক্যাম্প ছিলো মুক্তিবাহিনীর। যতদূর জানি মেলাঘর ত্রিপুরায়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মাফ কইরা দেন, গায়ে প্রচুর চর্বি জমে গেছে, এইবার দেশে গেলে কমাতে হবে। আমার কাছে ওর উপর একটা ছোটখাট রিপোর্টও আছে। খুজেঁ বার করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। তবে কি জানেন এ্যাকশধর্মী ছবির বাজেট যদি ভালো না হয় তবে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তাই আপাতত ঠিক করেছি একটু আবেগী ছবি নিয়া কাজ করবো
বুড়া হইয়া যাইতেছি অতছ কামের কাম কিছুই করতে পারলাম না আজও। দোয়া রাইখেন।
- 'মেলাঘর' নিয়া ছবি করলে সেইটা এ্যাকশনধর্মী হইবো না, বরং আবেগিই হবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্লটলাইন, অভিনয় আর চিত্রগ্রহনের কথা শুনে মনে হচ্ছে সিনেমাটা খুবই ভাল হবে। কিন্তু দেশে তো এখন দেখার উপায় নাই। বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার প্রথম দিনই দেখে ফেলবো।
সাদিক আহমেদকে ধন্যবাদ অভিনব সব প্লট নিয়ে আসার জন্য। বাংলাদেশের কাহিনীতে ডার্ক ওয়েস্টার্ন আর গডফাদার সিনেমার স্বাদ শুনে তো আমি অভিভূত। বাংলা ছবিতে অনেক স্বাদই যুক্ত করা উচিত।
বাংলাদেশীর সিনেমার উত্তরণ দেখে খুব ভাল লাগছে। সম্প্রতি আমরা অনেক ভালো ভালো পরিচালক ও অভিনেতা পাচ্ছি। এই ধারা বজায় থাকুক। বাংলা সিনেমার বন্ধ্যাত্ব কেটে যাক।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বাংলাদেশে যারা থাকি তারা কি এই ছবি দেখতে পাড়বো??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
তথ্যগুলো জানা দরকার ছিলো। ধন্যবাদ। রিলিজ পেলেই দেখে ফেলবো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
সিনেমার সাথে জড়িত সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। খুব ভাল লাগল বিস্তারিত জেনে। অবশ্যই দেখব ছবিটা। প্রচুর আগ্রহ জন্মালো। আমিও আশা করি, বাংলা ছবির উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটুক।
_______________
বোকা মানুষ
হুম...... এই লেখা পড়ার পর তো সিনেমাটা দেখার জন্য চোখ নিশপিশ করতাছে ।
নিবিড়
রিপোর্টটি সংযুক্ত করা হলো। ধন্যবাদ সবাইকে
সিনেমার কাহিনীসূত্র পড়ে মনে হলো আকিরা কুরোসাওয়ার ইয়োজিম্বো থেকে খানিকটা হলেও অনুপ্রাণিত। ইয়োজিম্বো যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের অনেক পরিচালককেই অনুপ্রাণিত করেছে। সের্জিও লেওনে এটা থেকেই বানিয়েছেন "ডলার্স ট্রাইলজি"। আ ফিস্টফুল অফ ডলার্স তো হুবহু ইয়োজিম্বোর অনুকরণে করা। বলা যায় সেটা ছিল ইয়োজিম্বোর সামুরাইকে ফিস্টফুলের ওয়েস্টার্নে নিয়ে আসা।
বাংলাদেশেও কুরোসাওয়ার প্রভাব চলে আসায় খুব ভাল লাগছে। যদিও সিনেমাটা দেখিনি বলে এখনও নিশ্চিত নই, আসলেই প্রভাবটা এসেছে কি-না। তারপরও মনে হচ্ছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের চিরন্তন থিমগুলোর সাথে বাংলা সিনেমার মিলন ঘটছে। আশার কথা।
সিনেমার সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের কাছ থেকে কুরোসাওয়া বা সের্জিও লেওনের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। আশাকরি জানাবেন।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ইয়োজিম্বোর কাহিনীর সাথে আমি তো কোনো মিল দেখতে পাচ্ছি না। আপনি কোন জায়গাগুলোয় মিল দেখতে পাচ্ছেন?
ইয়োজিম্বোর কাহিনী সংক্ষেপের লিংক:
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
কাহিনীর মিল আছে সেটা কিন্তু বলিনি। আমি বলেছি থিমটা ইয়োজিম্বো বা ডলার্স ট্রাইলজি ঘরানার। ইয়োজিম্বোর মাধ্যমে আকিরা কুরোসাওয়া সামুরাই সিনেমায় একটা নতুন ধারা নিয়ে এসেছিলেন। এটা পরবর্তী অনেক ওয়েস্টার্ন সিনেমায় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
ইয়োজিম্বোর কাহিনী ছিল, এক নামবিহিনী (man with no name) সামুরাই অস্ত্র হাতে মধ্যযুগীয় জাপানের এক গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে দুই প্রতিপক্ষ ছিলো। দুই পক্ষই তাকে ব্যবহার করে জেতার চেষ্টা করে। সামুরাই দুজনের ডাকেই সুবিধা বুঝে সাড়া দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বোঝা যায় সামুরাইয়ের আসল লক্ষ্য চূড়ান্ত মঙ্গল প্রতিষ্ঠা। এভাবেই এন্টি-হিরো থেকে হিরোতে বদলে যায় সামুরাই চরিত্রটি।
এবার দ্য লাস্ট ঠাকুরের দিকে লক্ষ্য করুন। বিএফআই এর ওয়েবসাইটের একটা লাইন থেকেই অনুপ্রেরণার বিষয়টা বোঝা যায়:
আ লোন গান-ম্যান রাইড্স ইন্টু টাউন, এই থিমটাই কিন্তু কুরোসাওয়ার উদ্ভাবন। থিমের মিলগুলো হচ্ছে:
- এখানেও এক গান-ম্যান শহরে প্রবেশ করে। যদিও তার একটা নাম আছে (কালা)। ইয়োজিম্বো বা ফিস্টফুল অফ ডলার্সে কোন নাম ছিল না।
- যে শহরে আসে তাতে দুই প্রতিপক্ষ আছে (চেয়ারম্যান ও ঠাকুর)
- দুই প্রতিপক্ষই তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে।
- একসময় বোঝা যায় কালার অন্য উদ্দেশ্য আছে। সে এসেছে প্রতিশোধ নিতে।
সিনেমাটা না দেখেও যতটুকু বোঝা যাচ্ছে ততটুকু বললাম। এটা কিন্তু আমি নেতিবাচক অর্থে বলছি না। জাপানী সামুরাই আর হলিউডী ওয়েস্টার্নকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিয়ে আসার কাজটা দুর্দান্ত হয়েছে।
অবশ্য আমি নিশ্চিত না। যারা সিনেমাটা দেখেছেন বা সিনেমার সাথে কাজ করেছেন তারা এই প্রভাব সম্পর্কে কিছু বলেননি। নিছকই আমার অনুমান। দেখার পর বুঝতে পারবো।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
একটি সুন্দর ছবির প্রত্যাশা করছি । সচলায়তনের সাথে এই ছবির এডিটিংয়ের একধরনের মাসতুতো যোগাযোগ আছে , ( মানে ধ্রুব এডিট করেছেন , এবং তিনি যেহেতু সচলায়তন সদস্য .. ) এ জন্য আনন্দ লাগছে ।
তবে ,বুড়বকির জন্য অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি প্রশ্ন করি । ছবির নাম নিয়ে একটু চিন্তায় পড়লাম । ঠাকুর নিয়ে কিছু হিন্দী ছবি দেখেছি যেগুলো দেখে জানতাম যে লড়াকু জমিদার ঠাকুররা আসলে ভারতের বিহার অঞ্চলের দিকে জন্মায় । ( আমার দৌড় হিন্দী সিনেমা পর্যন্তই , আগেই বলে ফেলি ) ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাড়া জমিদার কিংবা ভূস্বামী জাতীয় ঠাকুরের বাংলা অঞ্চলে উপস্থিতি মনে করতে পারছি না ।
কাহিনীর পটভূমির সাথে তাই এটাকে কিভাবে মেলানো হয়েছে তা দেখতে আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করলাম ।
আমি যা জানি বলি।
"ঠাকুর" শতভাগ বাঙলা ব্রাক্ষ্মণ পদবী।
একই ধরণের হিন্দী পদবী পাওয়া যায় "ঠাকার", "ঠাকরার", "ঠাকহুর", ইত্যাদি। তবে এগুলো ঔপনিবেশিক সামন্ত পদবী, ব্রাক্ষ্মণ পদবী নয়। হিন্দীতে "ঠিকহানা" মানে সেই জমিন যা "ঠাকার", "ঠাকরার" কিংবা "ঠাকহুর" শাষণ করেন। এদের স্ত্রীর নামের শেষে বসে "ঠাকরাণ"।
তারমানে আরিফ ভাইয়ের সন্দেহ অমূলক নয়।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
কাহিনী শুনে ধারনা হচ্ছে এই সামন্ত পদবীগুলোর রূপ হিসেবেই লাস্ট ঠাকুরকে চিহ্নিত করা হয়েছে । যদি তাই হয় , তাহলে চিন্তিত হচ্ছি । কারন বাঙলা মুলুকে এমন সামন্ত পদবীর প্রচলন স্মরণ করতে পারছি না ।
ধন্যবাদ শিক্ষানবীশ। দুইটা ছবির গল্পের তুলনা করে তৈরি আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো।
সেইসাথে মনে পড়ে গেলো, সিনেমার গল্প নিয়ে আমার লেখা গল্পের কল-এর কথা।
বোতাম টিপে কীভাবে এক গল্প থেকে আরেক গল্পে যাওয়া সম্ভব তা নিয়ে একটা লেখা পোস্ট করেছিলাম।
কিন্তু সামাজিক প্রেক্ষাপট ছাড়াই সামুরাই বা ওয়েস্টার্ন যোদ্ধার বিষয়টি নিয়ে আসাটা কতটা স্বার্থক হবে বা বিশ্বাসযোগ্য হবে সে নিয়ে একটু সন্দেহ রয়ে গেল মনে। আরিফ জেবতিকের মন্তব্যের সাথে একমত - এমন সামাজিক পরিস্থিতি বাংলাদেশে ছিল না বলেই জানি।
ধ্রুবকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। ছবিটি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ঠিক ঠিক, ছবি দেখলেই সব বোঝা যাবে। আমার মনে হচ্ছে দেখার পর একে মোটেই অনধিকার চর্চা মনে হবে না। কারণ, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়স্টার্ন নিয়ে আসায় সফল না হলে তো এ সিনেমা নিয়ে এতো আলোচনা হতো না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সামুরাই বা ওয়েস্টার্ন নিয়ে আসার জন্য সাদিক আহমেক একেবারে পারফেক্ট পটভূমি বেছে নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরপর এমন একটা পরিস্থিতি ফুটিয়ে তোলাটা খুবই সম্ভব। আর সিনেমা আর গল্পের প্রয়োজনে তো অনেক কিছুই উদ্ভাবনের ক্ষমতা পরিচালকের আছে। সেই উদ্ভাবনী শক্তিটুকুকে বাহবাই দিচ্ছি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
টিভি রিপোর্ট আপলোড হয়েছে?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
@অমিত,দুঃখিত ভাই, আপলোড করে লিংকও দিয়েছিলাম (ঘন্টা চারেকের জন্য ইউটিউবে ছিলোও) কিন্তু সাদিকের অনুরোধে পরে তা মুছে ফেলি। দয়া করে কারন জানতে চাইবেননা; ও লোক চক্ষুর আড়ালে থাকতেই মনে হয় পছন্দ করে!
@শিক্ষানবিস, এক কাহিনী বা গঠনের সাথে অন্য অনেক কিছুরই মিল পাওয়া খুবই সম্ভব; ব্যাপারটা অনেকটা আর্টের মতো, একটি মাত্র চিত্রিত বিষয়কে বহুরুপে বহুভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এবং তাতে মনে হয় শিল্পের বহুমাত্রিক সম্ভাবনাই তৈরী হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনেষ্ট আগ্রহের জন্য।
আরিফ ভাই বা শোহাইল ভাই যে বাস্তবতার কথা বললেন তা কি সিনেমার বাস্তবতার জন্য খুব জরুরী? এই বিষয়ে আর কথা আপাতত বাড়াতে চাইনা। ছবিটা আগে সবাই দেখুক।
তা ঠিক, এক ছবির সাথে থিমের দিক দিয়ে অন্য ছবির মিল থাকতেই পারে। ব্যাপারটা সত্যিই আর্টের মতো।
কিন্তু আপনি একটা কাজ করতে পারেন। সাদিক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন, আসলেই ছবি করতে গিয়ে ইয়োজিম্বো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন কি-না। আপনি আত্ম-পরিচয় অনুসন্ধানের বিষয়টাকে ইন্ডিয়ান সিনেমা দ্বারা প্রভাবিত বলেছেন। আমার কিন্তু মনে হচ্ছে, এই সিনেমায় ইন্ডিয়ান আত্ম-পরিচয় সন্ধানের চেয়ে ইয়োজিম্বোর প্রভাবই বেশী।
তাই অনুরোধটা করলাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
এখানে ভোর ৫টা বাজে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম, আপনার কমেন্ট দেখে আবার লগিন করতে হলো। ও যখন প্রথম আমাকে স্ক্রিপটা পড়তে দেই তখনি জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাপারটা, ওর সরাসরি উত্তর ছিলো, যা লিখেছি তাই। এমন কি আরো স্পষ্টভাবে ও উল্লেখ করেছিলো কয়েকটা হিন্দী সিনেমা ও একটি ফ্রান্স সিনেমার নাম। সে যাইহোক, ছবিটা বাজারে আসার আগে এসব কথা বলে আর নিজেকে আতেল বানাতে চাইনা। মাফ করে দেন কিছু দিনের জন্য (পরে আবার এই বিষয়ে আলাপ হবে)। আবারো ধন্যবাদ।
ওকে, আপাতত অফ গেলাম। সময়মতো কিন্তু আবার ধরুম!
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আচ্ছা থাক তাহলে। পরে সুযোগ হলে দেখে নেবোখন।
আপনার সাথে আমি একমত। বাস্তবতা সব সিনেমাতে জরুরী নয়।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আমি আসলেই দুঃখিত, এই শনিবার প্রথম প্রিমিয়ারে দেখা হলে আমি সুপষ্ট কারনটা ওর কাছ থেকে জেনে নেবো। ব্যাপারটা আমারো কেমন জানি লাগছে। সরি।
আগ্রহী ছিলামই। আরো আগ্রহী হয়ে রইলাম। জানি না কবে কোথায় দেখা পাবো লাস্ট ঠাকুরের। তবে, এই পোস্টটি যে কাম-অ্যাক্রস করলাম, তাতেও ভালো বোধ করছি।
ধন্যবাদ ধ্রুব ভাই।
আপনাকে এবং ছবির সাথে জড়িত সবাইকে আগাম অভিনন্দন দিয়ে রাখলাম ছোট মুখে। অত কিছু জ্ঞান নেই আমার। তবে ফিল্মের অপ্রাতিষ্ঠানিক শিশু-ছাত্র হিসেবে এই পোস্ট এবং তার নিচের কমেন্টাকমেন্টি থেকেও কিছু জ্ঞান পেলাম।
আগ্রহী ছিলামই। আরো আগ্রহী হয়ে রইলাম। জানি না কবে কোথায় দেখা পাবো লাস্ট ঠাকুরের। তবে, এই পোস্টটি যে কাম-অ্যাক্রস করলাম, তাতেও ভালো বোধ করছি।
ধন্যবাদ ধ্রুব ভাই।
আপনাকে এবং ছবির সাথে জড়িত সবাইকে আগাম অভিনন্দন দিয়ে রাখলাম ছোট মুখে। অত কিছু জ্ঞান নেই আমার। তবে ফিল্মের অপ্রাতিষ্ঠানিক শিশু-ছাত্র হিসেবে এই পোস্ট এবং তার নিচের কমেন্টাকমেন্টি থেকেও কিছু জ্ঞান পেলাম।
_ সাইফুল আকবর খান
ছবিটি সম্বন্ধে আগেই পড়েছিলাম। এই পোস্টে আরো কিছু জানলাম। ছবিটা দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।
মূর্তালা রামাত
প্রথম " বৃটিশ বাংলাদেশী ফিল্ম " যদি "হিন্দী সিনেমা" প্রভাবিত হয় , তাহলে আর কীই বা বলার থাকতে পারে ?
উদ্যোগের শুভকামনা । কোথাও থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে এটা আনন্দের ব্যাপার । সাফল্য কামনা করি ।
সিনেমার সাথে বাস্তবজগতের মিল থাকা উচিত কি না , এই প্রশ্নটি ধ্রূব তুলেছেন । সিনেমাপোকারা ভালো বলতে পারবেন । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে এ ব্যাপারে এমন ব্লগার শোহেইল ভাই কিংবা লীলেন ভাই আছেন ফোরামে , এই লাইনে কাজ করছেন ধ্রূব সহ এমন হাফডজন ব্লগার আছেন আমাদের , তাই এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় তাদের মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম ।
আমজনতা দর্শকের সারি থেকে বসে আমি মনে করি , যে কিছুটা প্রয়োজন আছে । কাহিনী থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করা যেতে পারে , কিন্তু কাহিনীকে একেবারেই আরোপিত করে কাজ করাটা দর্শকদেরকে ভুল মেসেজ দেয় ।
আমার দেশের গ্রামের রাখাল গরু চরানোর সময় বাঁশি বাজায় , কিন্তু তাকে যদি গীটার কিংবা স্যাক্সোফোন বাঁজিয়ে গরু চরাতে দেখি , কিংবা কোমরে সিক্সগান ঝুলিয়ে কাউবয় হ্যাট মাথায় দিয়ে সে যদি ভাওয়াইয়া গান গাইতে গাইতে গরু চরাতে যায় , ফিল্মের ব্যকরনে সেটা হয়তো কিছু একটা হয় , কিন্তু দর্শক হিসেবে আমার মনে খুঁতখুঁতানিটা রয়েই যাবে ।
সত্যি কথা বলতে, প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সিনেমা হিন্দি ছবি দ্বারা প্রভাবিত শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। কষ্টটা আরও বেড়েছে ইয়োজিম্বোকে এভাবে এড়িয়ে যাওয়ার কারণে।
ছবির থিম দেখে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, এটা ইয়োজিম্বোর অনুসরণ। তারপরও সাদিক আহমেদ কেন এটাকে ভারতীয় সিনেমা প্রভাবিত বলছেন বুঝতে পারছি না। এনএফটিএস থেকে পাশ করা নির্মাতা ইয়োজিম্বো দেখেননি এমনটা তো হতে পারে না। উনি যদি কোন হিন্দি ছবি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে সেই হিন্দি ছবিটাও ফিস্টফুল অফ ডলার্স বা ইয়োজিম্বোর অনুকরণ। এখানেই কিন্তু দ্য লাস্ট ঠাকুরের শক্তি কমে যাচ্ছে।
আশার কথা হচ্ছে, সবাই বলছেন এটা পাশ্চাত্যের ওয়েস্টার্ন সিনেমার আদলে করা। তার মানে উনার প্রভাবটা পাশ্চাত্য থেকেই আসার কথা। অর্থাৎ কি-না সের্জিও লেওনের ডলার্স ট্রাইলজি।
একবার বলছেন পাশ্চাত্যের ওয়েস্টার্ন থিম, আবার বলছেন হিন্দি সিনেমা প্রভাবিত। এটা কোন কথা হলো?
হিন্দি সিনেমা দিয়ে প্রভাবিত হয় ক্যাম্নে? গত কয়েক দশকে তো হিন্দি সিনেমা তেমন কোন মৌলিকত্বই দেখাতে পারেনি। তাদের সবই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ছবির অনুকরণ। বিশ্ব চলচ্চিত্রে হিন্দি সিনেমার মৌলিক অবদান আনুপাতিক হারে অনেক অনেক কম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আমি আগের কথাটা আবার রিপিট করছি, ছবিটা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কথা বলা ঠিক নয় বলেই আমি মনে করি। আপনার সাথে আমার আলোচনা তখনি একটা ভালো জায়গায় পৌছাতে পারে যখন দু'জনেরই ছবিটা দেখা থাকে। তাছাড়া আমি আমার লেখাই যা লিখেছি তা আমার লেখা ও আমার অভিজ্ঞতা মাত্র। সাদিক কোন অফিসিয়াল মন্তব্য করেনি, অফিসিয়াল আলাপের বা ইন্টারভিউয়ের জন্য মনে হয় আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করা উচিত। তাছাড়া কোন সিনেমা যদি হিন্দী সিনেমার ফর্ম বা স্টাইল এমন কি সেট বা কস্টিউম যে কোন কিছু দ্বারাই প্রভাবিত হোক না কেন, দেখা দরকার প্রভাবটা কেমন...স্থুল না মার্জিত? যাইহোক এই বিষয়ে কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যাবে, শুধু শুধু আন্দাজে ছবির ষ্টোরি লাইনের উপর নির্ভর করে ছবির চুলছেরা বিশ্লেষনে যাওয়াটা ঠিক হচ্ছেনা।
তাছাড়া প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দু'টি থেকেই যে কোন ছবি অনুপ্রেরনা পেতে পারে। এবং তা একসাথেই ঘটতে পারে বৈকি! আর কিছু বলার নাই।
দুঃখিত ধ্রুব হাসান। আমি আসলে ছবিটা না দেখেই একটু বেশী বলে ফেলেছি। আসলে ঐ হিন্দি সিনেমার কথা মনে হতে পরের কমেন্টটা না করে থাকতে পারলাম না। আমি আবার একটু হিন্দি সিনেমা বিদ্বেষী।
যাহোক, ছবিটা দেখার পর কথা হবে। এখন আর নয়।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
মুভিটা নিয়ে সবার আলোচনা পড়লাম। আমি হতাশ। এগুলা কি? এপরিশিএট না করে উলটো পালটা বলাবলি, এটা ঠিক না।
উলটো পালটা কী দেখলেন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
জাহানারা ইমামের ছেলে শহীদ রুমি মেলাঘরে প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই ছবির থেকে বাজে ছবি কম দেখছি , তবে ঝক্ঝকে ছাপা
নতুন মন্তব্য করুন