ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন আমাদের জেনারেশনের কাছে ছোটবেলা থেকেই এক পরিচিত নাম! কিন্তু উনি লোকটা কেমন, তার দৈর্ঘ্য প্রস্ত্যের মাপ বা কথা বলার ধরন সম্পর্কে কোনরকম ধারণা ছিলোনা আমার! কাল যখন রিটন ভাইয়ের সাথে আড্ডা মারতে গেলাম তখন বুঝলাম উনি কি চিজ্! এরকম ভয়াবহ জীবনিশক্তি স্বম্পন্ন মানুষটিকে কি করে এদ্দিন ধরে চিনতামনা ভেবেই লজ্জা লাগছিলো (যদিও আমার লজ্জা নাই)!
যাইহোক, গতকাল ৫টা ৪১ মিনিটে কলাপাতায় গিয়ে দেখি রিটন ভাই, থার্ডু আর আরেকজন ছোটভাই ছাড়া কেউ তখনো আসেনি! এই অবস্থা দেখে নিজেই একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম (যদিও আগেই আমি বলেছিলাম আমার একটু দেরী হবে)! আরো বিস্মিত হলাম এই জেনে যে, রিটন ভাই ঠিক ৫টায় এসে হাজির ছিলেন, আর তখনো আমাদের কারো পাত্তা ছিলোনা! পরে অবশ্য এক এক করে অনেকে এসে গেলেন। কয়েকটি ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার লোকজন ছাড়া আর যেসব ব্লগার উপস্থিত ছিলেন তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলেন, শোহাইল মোতাহির চৌধুরী, তানভীর (থার্ডু), নিঝুম, জিফরান, সুবিনয়(জুবায়ের), সুশান্ত (প্রাক্তন সচল, বর্তমানে আমার ব্লগের মুডু), মাসুদা ভাট্টি এবং এই বদ! পরে অবশ্য মাসুদা সাহেবানের বাসায় যোগদেন রানা মেহের ও সন্ন্যাসী সাহেব (তিনি তার অক্টোপাসের মতো লম্বা গলাখানি সেল ফোনের ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে আমাদের আড্ডায় বাড়িয়ে দিয়েছিলেন! অনেক ধনিয়াপাতা তাকে!)।
কলাপাতার আড্ডায় রিটন ভাই হঠাৎ করে বলে বসলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। আমি ছোটবেলা থেকেই কবিদের দেখতে যেতাম। কবি জসিমউদ্দিনকে দেখতে গেছি কয়েকবার। আজকে আপনাদের এখানে এসে আমার তেমনি অনুভূতি হচ্ছে’। এই বিনয় সহ্য করা সম্ভব বলেন? তাই ভাইয়াকে বললাম, একটা ছোট কারেকশন আছে, এখানে জসিমউদ্দিন হলেন আপনি। যদিও আজকের জসিমউদ্দিন সবার আগে এসে উপস্থিত! (শেষের লাইনটা যদিও প্রকাশ করিনি, মনে মনে বলেছিলাম!) এভাবে এই মজার মানুষটির সাথে আড্ডা জমে উঠলো। একটু পরে বুঝলাম, উনার সাথে সমঝে কথা না বললেও চলবে। এরপর বোধহয় আড্ডার আর কোন বাধঁ ছিলোনা (রিটন ভাই, বেশী বকবকানির জন্য মাফ কইরা দিয়েন)! আড্ডার বিষয়বস্তু যখন ব্লগ, সচলায়তন, লেখালেখি, রাজনীতিসহ ব্যক্তিগত জীবনের নানান গলিতে ধাবমান, তখনি বাম হাত ঢুকিঁয়ে দিলো মহান থার্ডু! টিভি ক্যামেরা রেডি, লাইট অন, মাইক্রোফোন রিটন ভাইয়ের গোফঁ ছুই ছুই! থার্ড আইয়ের প্রথম প্রশ্ন, কেমন লাগছে আপনার এখানে এসে? দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ রিটন ভাই ঝটপট একের পর এক উত্তরদান শেষ করে ফেললেন। আমরা পাশে বসে তানভীরকে হুদাই খোচাঁনোর চেষ্টা করছিলাম। এমন সময় রিটন ভাই বললেন, দেখ আমি যা বলেছি তাতো মিথ্যে কিছু বলিনি। আমরা তাকে আশ্বস্ত করলাম, ভাইয়া যাস্ট ওর লগে ফাজলামি করছি। তবে এও ঠিক সাংবাদিকরা যেমন চাপাবাজি শুনতে অভ্যস্ত, বক্তারাও বলতে অভ্যস্ত! তবে আপনার সত্য ভাষণে সে নিজেও একটু অস্বস্তি পড়ে গেছে মনে হয়! রিটন ভাই বললেন, ‘দেখ মিয়া আমার চাপাবাজিরও একটা ভ্যালিড গ্রাউন্ড আছে’। ......হা হা হা...
মাথা ভর্তি সিলকি চুলের আমার আতেল ভাইগ্না হঠাৎ করে আমারে বলে, একটু মোশাররফ রসুল সম্পর্কে উনাকে জিজ্ঞেস করেন না। যত নীচু স্বরে ও আমারে বল্লো তার চাইতে চতুর্গুণ উচ্চস্বরে রিটন ভাইরে বললাম, আপনাদের জায়গার ভবিষ্যত দখলদার এই ব্যাটা কি যেন জানতে চাই! রিটন ভাই শুরু করলেন মোশাররফ রসুল হরফে বুড়ো ভাই সম্পর্কে আড্ডা। র্যাংাকিন ষ্ট্রিটে বুড়ো ভাই আর বিপ্লব দাশের ঘরবসতি (ষাটের দশকের গে-পার্টনার বলে কথা!), আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাথে বুড়ো ভাইয়ের ইন্টেলেকচুয়্যাল রিলেশনশিপের মাজেজা, বুড়ো ভাইয়ের জ্ঞানের পরিধি এবং বুড়ো মারা যাওয়ার পর বিপ্লব দাশের বিপ্লবী সিদ্ধান্তসহ অনেক কিছুই উঠে আসে এই আলোচনায়। অনেক অজানা তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রিটন ভাই ।
এরপর বাম হাত ঢুকালো প্রিয় নিঝুম। আবার সেই হুমায়ুন! নিঝুমের ভালোবাসার শক্তি দেখে যেমন অবাক হই, ঘৃণা করার শক্তি দেখেও! চতুর্দিক দিক থেকে নানা মতের ভারে যখন সরব আড্ডা তখন বাধ্য হয়ে একটা বাজে উপমা টেনে বলতে হলো ভাই, আগে ক্যালকুলেট করেন ঐ লোকের জন্য এর মধ্যে কতো সময় ব্যয় করেছি আমরা, তারপর আলাপ করেন! যাইহোক নিঝুম বাজে উপমা বইলা ঐ যাত্রাই রণে বিরতি দিলো। (তবে নিঝুম আমি সত্যিই দুঃখিত আপনার মনবেদনার জন্য। আর যাইহোক আমি আপনাকে ছাগু ভাবিনা। আপনি আমাদের লোক, মন খারাপ কইরেননা প্লিজ!)
এরপর রিটন ভাই তার জমানো থলি থেকে একের পর এক চুটকি (সত্য ঘটনা অবলম্বনে) ছাড়া শুরু করলেন। প্রথমটা হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে, দ্বিতীয়টা সৈয়দ হকরে নিয়ে। অনেকে হয়তো জানেন বড় গোফঁওলা আমাদের রিটন ভাই পুরান ঢাকার মানুষ, সেই সূত্রে অনেক বিটকেলের সাথে তার যোগাযোগ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়! তো একদিন নাকি বই মেলায় ডঃ আজাদ তার প্রিয় প্রকাশনী সংস্থার ষ্টলে বসে একের পর এক অটোগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছেন...। অতচ তার নাকি মাত্র কিছুদিন আগে এই লোক অত্যন্ত বাজে মন্তব্য করেছিলেন লেখকের অটোগ্রাফ দেয়া নিয়ে! আজাদ সাহেবের এই দ্বিমূখী নীতি দেখে খুব স্বাভাবিকভাবেই পুরান ঢাকার এই টগবগে ছড়াকার মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে ফন্দি করে ডঃ আজাদের কাছে পাঠালেন মহল্লার এক পোলারে। ঐ পোলা নাকি ভীড় ঠেলে আজাদের সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করে বসে, ‘স্যার আপনার নাকি দ্বিতীয় লিঙ্গ বেরিয়েছে?’ স্যার বলে, ‘হুমম’। পোলা কয়, ‘ কই দেহি?’ ডঃ আজাদ তাকে তার দ্বিতীয় লিঙ্গ নিয়ে তুলে ধরেন। পোলা কয়, ‘না স্যার এইটা না, আপনার ......’। আজাদ সাহেব ঠান্ডা মাথায় বলেন, ‘তোমাকে কি রিটন পাঠিয়েছে?’ ঐ পোলা মরিপরি কইরা এক্কেরে ভোঁ দৌড়! দ্বিতীয় গল্পটা সৈয়দ হকরে নিয়ে। ঐটা আপাতত শেয়ার না করি। উনি এমনিতেই নাকি রিটন ভাইয়ের উপর ক্ষ্যাপা, আরো ক্ষেপিয়ে না তোলাটা শ্রেয় মনে করছি।
এভাবেই আড্ডা চলতে ফিরতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সাথে রিটন ভাইয়ের শেষ স্মৃতি দিয়ে শেষ হয় কলাপাতার আড্ডা।
এরপর আড্ডার ফিজিক্যাল প্লটের পরিবর্তন ঘটে। হঠাৎ করেই আমাদের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মাসুদা ভাট্টি সবাইকে তার বাসায় রাতের খাবারের দাওয়াত দেন (যদিও তিনি প্ল্যান করেই রান্না শেষ করে আড্ডায় এসেছিলেন)। যাবো কি যাবোনা করতে করতে চলে গেলাম। উইক এন্ড বলে খুব পান করতেও ইচ্ছে করছিলো। স্পেশালি চিল্ড বিয়ার (অনেকদিন পান করিনা!)। উনার বাসায় গিয়াতো হতবাক! বাথরুমটার ইন্টেরিয়র বেশ ভালো লাগলো (আরাম পেলাম), যদিও সবচেয়ে সুন্দর করে গোছানো ছিলো বসার ঘরটা। দেয়ালে ঝুলানো পিতলের উপর এনগ্রভ করা কাজটা দেখে চুরি করার তীব্র ইচ্ছে জেগেছিলো! তবে সবচেয়ে বড় চমক ছিলো সাহেবানের রান্না। এতো মজার রান্না অনেক অনেকদিন পর খেলাম! কতরকম আইটেম ছিলো তা দেখতে হলে থার্ডু বা হিরক’দাকে ধরতে হবে ছবিগুলো পোষ্টানোর জন্য। যাইহোক আরেক দফা জম্পেশ আড্ডা মেরে রাত ১২টার দিকে বাসায় যাত্রা শরু করি। এই আড্ডার বিষয় কি ছিলো তার বিবরণে আর না যাই...আমার হাত ব্যাথা করছে। অন্য কেউ যদি এখান থেকে শুরু করতে পারেন তো চালিয়ে নিতে পারেন! সব শেষে একটা বিগ থ্যাকস্ টু মাসুদা ভাট্টি ও তার বর ইসমির অসাধারণ অতিথিপরায়ণতার জন্য
আরেকটু কথা না বললেই নয়। গতরাতে আমরা পান করেছিলাম সুস্বাস্থ্যের জন্য; আর আমি বিশেষভাবে পান করেছিলাম রিটন ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও অশেষ জীবনিশক্তি অটুট থাকার জন্য! এই অসাধারণ প্রাণবন্ত মানুষটিকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের তার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য। আপনার মতো পূর্বসূরী পেয়ে আমরা গর্বিত, চিয়ারস্ ভাইয়া! আর সন্ন্যাসী হরফে মাসুদ ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ আমাদের সাথে টেলি আড্ডায় যোগদানের জন্য।
(নোটঃ কারো যদি ইচ্ছে হয় কিছু ছবি সংযুক্ত করে দিতে পারেন। গত কয়েক ঘন্টা সচলে লগইন করা যাচ্ছিলোনা!)
মন্তব্য
মুচমুচে হয়েছে! থ্রি চিয়ার্স টু রিটন ভাই। গতকালের আড্ডা অনেক অনেকদিন মনে থাকবে। আর আমি এখন সৈয়্দ হকের 'টেকো' উপন্যাসের জন্য ওয়েট করবো!
অতি সুস্বাদু হাসের মাংস সমেত ডিনারের জন্য মাসুদাপাকে আবারো ধন্যবাদ। মালাইটাও স্বাদু ছিল। এখন মহামতি লীলেনের সাথে আড্ডার পালা। লন্ডন থাকার কত্ত মজা
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বড় হয়ে আমিও লন্ডনের সচলাড্ডায় যাব।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
বাঙালীর আড্ডা দুনিয়ার যে প্রান্তেই হোক মজার হতে বাধ্য। আর সেই আড্ডায় যদি রিটন ভাই'র মত মানুষ থাকেন তবে তো কথাই নেই......
লেখা দারুণ হয়েছে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দারুন আড্ডা হয়েছে ধ্রুব ভাই। রিটন ভাইয়ের পর পরই আপনার আড্ডা প্রানবন্থ ছিলো। আপনি না থাকলে আসলেই আড্ডা জমত না । আমার ব্যস্থতায় লেখা দেরী হয়ে গেলো এই জন্য দু:খিত, এই অবসরে সচলদের আড্ডার স্বাদ দিতে আপনার এই পোস্ট কাজে দিয়েছে। আপনার সাথে আমি ও একমত সত্যি রিটন ভাই এক প্রানবন্ত গল্পবাজ ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
দারুণ লেখা। ছবি থাকলে আরো ভাল লাগত। লীলেন ভাইয়ের সাথে আড্ডাটাও জমজমাট হোক, আরেকটা সচলাড্ডার সচিত্র পোস্ট চাই।
রিটন ভাইয়ের সাথে আড্ডা দেয়া - আসলেই একটি অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা। ভয়াবহ আড্ডাবাজ, সদাহাস্যময়। এবং তাঁর আছে অসাধারণ রসবোধ! আর এতো গল্প তাঁর ঝুলিতে! অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর আশাবাদী এক চিরতরুণ তিনি। অনেক তরুণ-বয়সে-বৃদ্ধ সচলের জন্য তিনি হতে পারেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত
মাসুদা ভাট্টির বাসায় উপস্থিত সব সচলের সার্বক্ষণিক উচ্চকণ্ঠের আড্ডার দাপটে টেলিফোনে প্রাণ ভরে কথা বলতে পারিনি সেদিন। আমি স্পষ্ট শুনছিলাম সবার কথা। তবে ওপাশে টেলিফোন-ধরা সচলরা প্রায়ই শুনতে পাচ্ছিলেন না আমাকে। তবু সবার সাথে কিছুটা সময় বাক্যবিনিময় করে দুস্বাঘোমেটানোর চেষ্টা করেছি।
শুরুতে মাসুদা ভাট্টির সঙ্গে "গালিগালাজ" বিনিময় হলো কিছুক্ষণ। আমাদের বন্ধুত্বটা এমন ধাঁচের যে, বহু বছর হলো আমরা দু'জন সুস্থ-স্বাভাবিক ভাষায় কথা বলতে পারি না পরস্পরের সঙ্গে
তারপর ফোন নিলেন ধ্রুব হাসান। আমাকে ক্ষুণ্ণ করে তিনি জানালেন, তাঁর বোহেমিয়ান জীবনযাপন আপাতত স্থগিত রেখেছেন
শোহেইল মতাহির চৌধুরী ফোন নিয়ে প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন আমার "দুর্বলতা" কেটেছে কি না। আমি বললাম, এই দুর্বলতা কাটবার নয়। থাকবে আমৃত্যু
রিটন ভাই যথারীতি তাঁর স্বভাবসুলভ অতি-প্রশংসা শুরু করলেন। বললেন, "আপনে মিয়া এইখানে এতো পপুলার যে, আপনেরে চিনি বইলা আমারে এক্সট্রা পেগ দিতেসে।"
তৃতীয় নয়ন অভিযোগ করলেন, আমার সেই কামরাঙা ছড়া তাঁর ভাগ্য পাল্টাতে সাহায্য করেনি একটুও।
সুবিনয় মুস্তফীকে জানালাম, আমি তাঁর লেখার ভক্ত। প্রতিক্রিয়ায় বুঝলাম, তিনি শুধু নামেই নন, আসলেও সুবিনয়ী। তারপর আমাকে বিস্মিত ও মুগ্ধ করে দিয়ে তিনি সবিস্তারে জানতে চাইলেন জুবায়ের ভাইয়ের পুত্র-কন্যা কেমন আছে।
কথা হলো নিঝুমের সাথে। সচলায়তন নিয়ে তাঁর তীব্র অভিমান টের পেলাম। এমন অবস্থায় তাঁকে কিছু বলা সহজ ছিলো না আমার পক্ষে। তবু বললাম, সচলদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে সেটি তো অন্তরায় হচ্ছে না, হবেও না, আশা করি।
জিফরান খালেদ ফোন হাতে নেবার আগেই সবাইকে জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, কবে তাঁকে ভিন্ন ভাষার সিনেমায় ইংরেজি সাবটাইটেল যোগ করার পদ্ধতি বাতলে দিয়েছিলাম, সেই কথা। তাঁর সাথে কথা বলতে অস্বস্তি হচ্ছিল ভিন্ন একটি কারণে। সেই কারণেই এক সময় ক্ষমাপ্রার্থনা করলাম তাঁর কাছে।
রিটন ভাইয়ের সাথে কথা বাকি ছিলো কিছুটা। কথা শেষে জানতে চাইলাম, আর কে আছেন, যাঁর সঙ্গে কথা হয়নি আমার। তিনি বললেন, "রানা মেহের। তিনি যে মেয়ে, আপনি তা জানেন?" আমি "হ্যাঁ" বলতেই উপর্যুপরি প্রশ্ন তাঁর, "এই রহস্য উন্মোচন করলেন কীভাবে?" বললাম, "আমি যা কিছু এবং যেভাবে উন্মোচন করি, সেসব কথা কি সব জায়গায় বলা উচিত?"
ইশ! সশরীরে হাজির থাকতে পারতাম যদি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
স্থগিত শব্দটা মনে হয় বলিনি; বলেছি ট্রানজিশন টু আদার ফেইস অফ লাইফ......হা হা । ভালো থাকুন।
আহা, রানা মেহেরকে পুরুষ ভেবে কত কী ভেবেছিলো যে সব বালিকা বা রমণীরা, তাঁদের কী হবে এখন...!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সুলভ মূল্যে, অথবা বিনামূল্যে, তাদেরকে আপনি আপনার কাঁধ ভাড়া দিতে পারেন।
রিটন ভাই আর আমিরুল ভাইয়ের আড্ডার যুগলবন্দীর কথা এই জীবনে ভুলবো কেম্নে? আর যদি সঙ্গে থাকে আরেক ছড়াকার আসলাম সানী... উফ...
কী সব দিন ছিলো একসময়...
লন্ডনে চমক আছে বিসাকের... তার কাছ থেকা শুনলেও অশেষ নেকী হাছিল হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই ত্রিরত্নের পরে আর তেমন আড্ডাবাজ ছড়াকার এলো না এই দেশে । আমাদের জেনারেশনেরগুলো , যেমন আনজীর লিটন , ওবায়দুল গনি চন্দন , রোমেন রায়হান থেকে হালের ফয়েজ রেজা , আকতার , লীনা পর্যন্ত ; কেমন যেন নিরীহ গোছের ।
তবে, একটা কথা হইলো, ধ্রুব মামার লগে আড্ডানোটাও ব্যাপক মজার। বিশেষ কইরা সুশীলতার বেড়া যেভাবে ফালায়া ফালায়া ডিঙ্গান।
আমার চুল লয়া যখন হেভীসে আমারে সবাই পাইয়া বসলো, মাসুদাপা আর রানাপু যখন ইন্সট্রাকশান দিতাসেন কিভাবে কি করলে ভাল হয়, তখন, রিটন ভাইও কইলেন ওনার এককালীন লাম্বা চুলের কথা। ওনার এখনো বেশ চুল, তাও সন্তুষ্ট না দেখলাম। তখন রানাপু বললেন, আপনার সব চুল নাকের নিচে এসে জমা হইসে, তাই... রানাপুর কন্ঠস্বর এত বেশি অন্যরকম আমি বলে বসছিলাম, আপনি কি ঘটি বাঙ্গালী?
আমি আশা করতেসি, কারণে বা অকারণে মাসুদাপু হাঁসের মাংসটা আবার খাওয়াবেন। আর, ধ্রুব মামাকে কলাপাতার ট্রিটের জন্যে বিপ্লব।
পরবর্তী খানা পিনার জন্যে অধীর আগ্রহে...
ওরে ভাই ধ্রুব, এই লেখাটা তো আমাকে আলাদা পোস্ট দিতে প্রবল ভাবে অনুপ্রাণিত করলো!
আহারে লন্ডন, আহারে সচলাড্ডা!!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নতুন মন্তব্য করুন