বৃষ্টির জলে অশ্রুজল মেশার পরও নোনতা লাগে; আমি দ্রুত রাস্তাটা ক্রস করি, ছাতাটা নেমে এসেছে আগেই। ট্রেনের দু’টি বগির যেখানটায় জোড়া, পাতালে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখা যায়না ঐ জায়গায় দাড়ালে; আমি দম নিতে মাঝে মাঝে দাঁড়াই ওখানটাই, নোনতা জল ফুরালে ফিরে আসি আবার। অথবা ছোট ভাইটার জলে ভেজানো বার্তা যখন সেকেন্ডে ব্লিংক করে যন্ত্রটিতে, আমি হাসতে হাসতে নিমিষে নোনতা জলের স্বাদ পাই; বন্ধুরা বলে “গেছে ব্যাঁটা গ্যাঞ্জাখোর”।
কিংবা কোন এক প্রিয়ার উষ্ঠযুগল তীব্র অনুরাগে যখন সিক্ত করে যায়, তখনো হঠাৎ কোন এক অন্যমনস্কতায় নোনতা জলের স্বাদ পাই! আমরা শুয়ে থাকি নিজেদের আলাদা করে......অদৃশ্য এক দেয়াল জেগে উঠে আমাদের মাঝে! শরীরের ক্ষতগুলোতে নোনতা জল লেগে জ্বালা করে খুব, আমি চুপ করে পড়ে থাকি......নিঃশব্দ গোঙানির ভেতর একটি শব্দ বেরুতে চেষ্টা করে অবিরাম......“বাবা”...। নোনা জলেও শীত করে খুব; আমি পাশ ফিরে শুই। কবরে কি সব কিছুই আলোহীন? হিম, হিম??
মন্তব্য
কিছু জায়গায় মনে হইলো জুম করসেন।
কবিতা বুঝিনা, তারপরও বুঝি - কঠিন জিনিস হইসে, বস!
নতুন মন্তব্য করুন