আগে কবিরা কত বুদ্ধিমান ছিলেন, সুর আর ছন্ধে টইটুম্বুর ছিল তাদের কবিতা। আমার এখনো মনে আছে - বাংলা সাহিত্যের ক্লাসে তারা উচ্চারিত হতেন তরুণ তরুণীদের কম্পমান কন্ঠে। বেশ লাগতো বা লাগে শুনতে! কতোটা ভাবতেন তারা শব্দ ফলানোর আগে; আহা! চিরন্তন হয়ে উঠার সেকি খায়েস ছিল তাদের!
আর এখন? শব্দেরা টুপটাপ মুখ বা মগজ থেকে পড়ে মাত্র গরুর বাঁছুরের মতো দাঁড়িয়ে যায়। পালে পালে বেজন্মা বাচ্চাদের মতো ছুটে আসতে থাকে আমার দিকে ...... আমি পুরো দৃশ্যটিকে জুম আউটে কল্পনা করে ব্যাঙ্গের মতো দাড়াই, লম্ফ দেয়ার জন্য। সন্তানেরা আমার শরীরের প্রতিটি অংগ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে মুখে পুরে দিতে থাকে একে অন্যের; ছন্দ-তাল-লয়হীন এক ছন্ধে। আমার প্রাণ আর দেহটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে ওদের দাঁতে দাঁতে।
বাতাসের সাথে গা ভাসিয়ে আমার আত্মাটা বার্ডস্ আই ভিউ পজিশনে গিয়ে হাসতে থাকে খুব; খোদার আরশ কাঁপানো সেই হাসি...!...হা হা হা হা হা...... আমার সন্তানেরা বোকা বোকা চেহারা নিয়ে তাকিয়ে দেখে আমায় আকাশ পানে; তখনো অবশ্য দাঁতে লেগে আছে রক্ত আর আমার শরীরের অবশিষ্ট অংশবিশেষ!
ভোর ৬:৪০, রেডব্রীজ, লন্ডন
সেপ্টেম্বর,২০০৭
মন্তব্য
আগেই পড়েছি। এবং পুনঃপাঠে আবারো বলি - পাঠের অনুভূতি দুর্দান্ত রকমের অস্বস্তিকর।
ধন্যবাদ জিফরান আবারো পঠনের জন্য......এই পাঠের কষ্টটা হয়তো আরো অনেকদিন তোমাকে সহ্য করতে হবে, কি আর করা।
আর "পাঠের অনুভূতি দুর্দান্ত রকমের অস্বস্তিকর " হওয়াটাই স্বাভাবিক নই কি? কারণ অনুভূতিটার জন্মইতো দুর্দান্তরকমের অস্বস্তির ভেতর......তাছাড়া অস্বস্তিকর পরিবেশেইতো জন্ম আমাদের - অস্বস্তি নিয়েই বাস - আবার অস্বস্তি নিয়েই মরে যাওয়া, তবুওতো অস্বস্তিবোধ পিছু ছাড়ে না, তবে মজার ব্যাপার হলো ভিন্ন ভিন্ন পাঠে ভিন্ন ভিন্ন বোধের জন্মটা !
ভয়ংকর!
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
বাহ!
................................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
নতুন মন্তব্য করুন