ফরিদ আমাকে টেনে নিয়ে গেল সেই বাড়িতে। যেতে যেতে বারবার বলে, দোস্ত, কেবল রাশেদ ভাই ছাড়া ও বাড়িতে সবকিছু সুন্দর। ওনার বাড়ি, ওনার ছাদ, ওনার পাঞ্জাবী, ওনার কাজের মেয়ে, ওনার বউ। সব!
-যাহ, শালা।
হেঃ হেঃ। ফরিদ কেলিয়ে হাসে।
না দোস্ত। বাড়িটা একটা দেখার মত জিনিস। গেলে বুঝবি। যতক্ষণ স্বপ্ন দেখবি, ততক্ষণে বরং বাড়িটাই ঘুরে দেখিস।
আমরা যখন বাড়িটার সামনে এলাম, দেখেই আমার ভালো লেগে গেল। আজকালকার বাড়িগুলোর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। লম্বার চেয়ে চওড়া বেশি। ধবধবে সাদা। মনে হয় কালই পেইন্ট করা। দোতলা বাড়ি। একতলাতেও ছাদ, দোতলাতেও ছাদ। অদ্ভুত স্থাপত্য।
এখান থেকে কি দেখছিস, ছাদে গিয়ে দেখিস। এখন ভেতরে চল।
রাশেদ ভাই সুপুরুষ টাইপের। মধ্যবয়স্ক, মাথায় চুল কাঁচাপাকা। সুন্দর একটা সাদা পাঞ্জাবি পরনে। হাতাটা গুটানো। আমাদের সাদর সমভাষণ জানালেন না। ফরিদ যখন বলল, অনেকদিন পর দেখা রাশেদ ভাই। আমার বন্ধুকে নিয়ে এলাম। তখন রাশেদ ভাই স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তারপর গম্ভীর হয়ে ফরিদকে বললেন - ফোন করে আসবে না?
আমি ভয় পেয়ে যাই। ফরিদের লজ্জাশরম কিচ্ছু নেই। হাসতে হাসতে বলল, রাশেদ ভাই, আপনার আর ভাবীর একটুও কষ্ট হবে না। আমরা যে থাকব আপনারা টেরই পাবেন না।
রাশেদ ভাই মুখ খুলে আরও কিছু বলতে নিচ্ছিলেন। ফরিদ এগিয়ে ব্যাগটা রাশেদ ভাইয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, নেন বস। এটা আপনার হেফাজতে থাকবে। বলে সে ভেতরে যেতে যেতে বলল, আয় ধ্রুব।
আমি রাশেদ ভাইয়ের মুখের দিকে না তাকিয়ে মাথাটা নিচু করে বললাম, দেন রাশেদ ভাই, ব্যাগটা আমার হাতে দেন।
একতলার ভেতরে আমরা। শত শত রুম। জ্যামিতিক-সুন্দর স্থাপত্য। শুধু বিশালত্বের কারণে গোলক ধাঁধাঁ মনে হয়। উঁচু ছাদ। প্রতিটা ঘরে আবার বড় বড় জানালা। পাখা না চালালেও সেই জানালা দিয়ে মিষ্টি বাতাস ঘরে ঢুকতে থাকে। সব ক'টা দরজায় অদ্ভুত সুন্দর সাদা পর্দা লাগানো। বাতাসের কারণে কেমন কাত হয়ে ঝুলতে থাকে সবসময়।
দেখলি, লোকটা কেমন কুৎসিত। ফরিদ বলে। আমাদের দেখে কেমন খেঁকিয়ে উঠলো। আমরা এলাম কতক্ষণ, বউটাকে একবার সামনে আনলো না। বউটাকে দোতলায় রেখে নিজে একতলায় পায়চারী করছে, আমাদের দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। সবকিছুতে ওনার সন্দেহ। ভাবীকে দেখলে তোর চক্ষু চরাক গাছ হয়ে যেত। এত সুন্দর মেয়ে মানুষ হয়! একচ্যুয়ালি আমি যদিও মিন করেছি সেক্সি। সুন্দর বললে বুঝবি সেক্সি মিন করতেছি। ওনার চালচলনও ভারি সুন্দর। মাঝে মাঝে সাদা একটা নাইটি পড়ে সারা বাড়িতে হেঁটে বেড়ায়। নাইটিটা যথেষ্ট শালীন। কিন্তু তোর মাথা অতক্ষণ আর শালীন থাকবে না।
থাম শালা। আমি বললাম। মাথাটা ভাজি করিস না। আমি একটু রুম থেকে রুমে চক্কর দেই। পায়চারী করে পুরো বাড়ি ঘুরে দেখতেই কতক্ষণ লাগবে কে জানে।
শুধু উপরে যাস নে এখন। উপরে ভাবী আছেন। রাশেদ ভাই আমাদের সন্দেহ করছেন অনেক। এখন উপরে যেতে নিলে ওনার জানটা বের হয়ে যাবে। তুই এক তলাটাই ঘুরে দেখ। আমার খুব মাথা ধরেছে। এই কে আছিস। আমাকে চা দিয়ে যা।
আমি পাশের রুমে গেলাম। একই রকম সব রুম। একইভাবে সাজানো। একই রকমভাবে সাদা পর্দাগুলো কাত হয়ে ঝুলছে। আমি তার পাশে রুমে গেলাম। একটা একটা করে রুম এগিয়ে গেলাম। সবগুলোর এক দেয়ালে বড় জানালা, উলটো পাশের দেয়ালে বড় করিডরে যাবার দরজা। অন্য দুদেয়ালে এক রুম থেকে আরেক রুমে যাবার দরজা। যে ঘর থেকেই করিডরে উঁকি দেই, দেখি উপরে ওঠার একটা সিঁড়ি।
একটু পর একটা হল ঘরের কাছে এসে পৌঁছলাম। হল ঘরটা অনেক বড়। সেই ঘরের ভেতরে আরেকটা ঘর। ভেতরের ঘরের পাশাপাশি দেয়ালের দুইটা দরজাই এই হল ঘরের সাথে লাগানো। একটা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে রাশেদ ভাই। আরেকটা দরজার কাছে শাহরুখ খান। একজন আরেকজনকে দেখতে পাচ্ছে না। ভালো করে দেখলাম, ভেতরের ঘরে ফরিদ, একটা মেয়ের সাথে হাত ধরে কথা বলছে। - জনা, রাগ করিস না জান আমার। 'এই কে আছিস' কথাটা আমি তোকে মিন করে বলি নাই, বিশ্বাস কর। তোর জন্যেই না শ্যান এলাম। বন্ধুটাকেই না ভাবীর রূপের লোভ দেখিয়ে এত লম্বা স্বপ্নটা দেখাচ্ছি। কিন্তু আমি তো শুধু তোকেই ভালোবাসি। মেয়েটার অন্য হাতে একটা ঝাড়ু।
ওরা বুঝতে পারে নি, তাদের যে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমি যে সবাইকে দেখছি, তাও কেও জানে না। শাহরুখ খান মহাব্বতে ছবির মত দূর থেকে মিটিমিটি হেসে আবালের প্রেম দেখছে। অন্য দরজা দিয়ে রাশেদ ভাই চোখ কুঁচকে দেখছে, অসীম সন্দেহ নিয়ে।
হঠাৎ দেখলাম, রাশেদ ভাইয়ের পেছনে একটা কুৎসিত লোক হাতে ছুরি নিয়ে পা টিপে টিপে রাশেদ ভাইয়ের দিকে এগোচ্ছে। রাশেদ ভাই টের পায় নি।
এই তো সুযোগ উপরে যাবার! আমি আস্তে আস্তে করিডর হয়ে সিঁড়িতে চলে গেলাম। তারপর পা টিপে টিপে চলে গেলাম ছাদে।
হ্যাঁ। সত্যিই দারুন ছাদ। অদ্ভুত। গোলক ধাঁধার মত দেয়াল দেয়াল করে রাখা আছে। টপকে টপকে দেখতে হচ্ছে। কিনারে এসে দেখি একটা বড় দোলনা। ইচ্ছে করলেই এটা চড়ে দোতলার ছাদ থেকে একতলার ছাদে চলে যাওয়া যাবে। কিন্তু জোরে গেলে পড়ে যেতে হবে বাইরে।
আমি চড়ে বসলাম। একতলার ছাদে যাওয়া যায় কিনা। আমার ভারের চাপে দোলনাটা সাঁই সাঁই করে এগুতে থাকলো। একতলার ছাদ ফেলেও সামনে এগিয়ে গেল। আমি ছিটকে পড়লাম নিচের উঠানে। দূর থেকে নিজেকে দেখতে পেলাম, মৃত। ফার্স্ট লাইফ ডেড। আরো দুটা লাইফ আছে।
দোলনাটা ধরে আবার রেডি হলাম। রাস্তায় দুটো লোক কথা বলছে শুনলাম - এই বাড়িতে কি হইছে জানছ? একটা খুনী ঢুকছিল। ঘরের গেরস্থের জান লইতে নিছিল। গেরস্থের সুন্দর বউডা পিছন থেইক্যা আইসা খুনীডারে ধইরা ফালাইছে। পতির জান বাঁচাইছে। সুন্দর কইতে আমি "ভালো" মিন করতাছি আরকি। কি সুন্দর না বউডা?
আমি তৃতীয়বারের মত দোলনায় চড়ে বসলাম। লাস্ট লাইফ।
...
(২০০৭-এ দেখা একটি স্বপ্নে-প্রাপ্ত গল্প)
মন্তব্য
- বিরাট কঠিন গল্প! তবে স্বপ্নে যে প্রাপ্ত হইছেন, সেইটা অবশ্য আন্দাজ করতে পারছিলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাঙ্কু!
ভাই, কামডা কি ঠিক করলেন? স্বপ্নে একাই রাশেদ ভাই-এর বউ রে দেখলেন। ব্লগ লেখার সময় চাইপা গেলেন। বঞ্চিত বোধ করতাছি ...
ভাল্লাগছে। ভিন্ন সোয়াদের।
আপনার মিয়া নজর খ্রাপ! ভিন্ন সোয়াদ পাবার পরেও আপনার মন ভরে না।
ধুরো মিয়া, স্বপ্নেই যখন তখন এত কমে ছাড়লেন ক্যান?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বেশিই তো!
তাপ্রে?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
তাপ্রে আমিন!
নাহ গল্পটা অসমাপ্তই রয়ে গেল। স্বপ্নের বাকী অংশ দেখেননি আর?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনি চাইলে দেখতে পারি !
ভাল্লেগেছে... প্রবহমানতার ভংগিমা চিত্তাকর্ষক, শুভকামনা
_____________________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
থ্যাঙ্কস!
স্বপ্নে একসময় প্রেমের সিনেমা দেখতাম, একসময় যুদ্ধের। স্বপ্নগুলো এত জীবন্ত হতো যে সেগুলোকে গল্প হিসেবে লিখে ফেলার তাড়না ভর করতো প্রায়ই। কিন্তু এই কাজটি করতে গিয়ে কখনোই সফল হতে পারি নি। স্বপ্নে যেটাকে ঘটনার লজিক্যাল গাঁথুনি মনে হয়েছে, গল্প লিখতে গিয়ে সেটাকে বাস্তবে জোড়াতালি দিতে গিয়ে নোতুন ঘটনা আবিষ্কার করতে হতো। স্বপ্নের মধ্যে যে চার্মটা থাকতো, গল্পে এসে সেই চার্মটা হারিয়ে যেতো। এটা স্বপ্নের প্রতিই অন্যায় হতো।
আপনি সেই অন্যায়টা অনেকাংশে এড়ি্যে একটা ভালো গল্প লিখেছেন, এটা ক্রেডিটের। গল্প বলার ভঙ্গিটাও ভালো লাগলো। শেষটায় পাঠকের কাছে গল্পের নায়কের সাথে গল্পের বউয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়; কিন্তু গল্পটা সেই আগ্রহকে না মিটিয়ে অন্য একটা মোঁচড় দিয়ে শেষ হয়। এই স্টাইলের কারণে অনেক পাঠক ক্ষুব্ধ হলেও আমার কাছে ভালো লেগেছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হাতে প্রচুর সময় থাকলে যেটা হয়, স্বপ্নের মত অত্যন্ত অগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা ঘুম থেকে উঠে দীর্ঘক্ষণ মনে রাখার চষ্টা করতাম। আর স্বপ্নের ব্যাপারটাও অদ্ভূত, যতই মনে করি, ততই হারিয়ে যায়, যত বেলা বাড়ে, ততই ভুলে যাই। ফলে বেলা বাড়ার আগেই লিখে রাখার চেষ্টা করতাম। ২০০৭ এর একটা সময় হাতে এতটাই সময় ছিল।
আরো দু একটা লেখা ছিল - ওগুলো আরো surreal। এই স্বপ্নগল্পগুলোর উদ্দেশ্য হলো স্বপ্নের চার্মটাকে জেগে থাকা সময়টাতে উপভোগ করা, শেয়ার করা। সবাই নাকি এরকম গল্পযুক্ত স্বপ্ন দেখে না। দেখতে পছন্দও করে না। আপনার ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম।
শেষের দিকে কেমন জানি গেম গেম ব্যাপার লাগল; বর্ননা আরেকটু ব্যাপক হইলে আনন্দ লাগতো ...
--শফকত মোর্শেদ
ভালো বলেছেন। আগে শুনতাম জীবনটা একটা গেম। এখন দেখা যাচ্ছে স্বপ্নটাও একটা গেম। বর্ণনার দায় খুঁটিনাটি মনে না থাকার।
স্বপ্নের মতই ধোঁয়াটে হয়ে গেল শেষেরটুকু....
--------------------------------------------------------------------------------
রাজকন্যা
--------------------------------------------------------------------------------
স্বপ্নগুলো ঞারায় না ফিরে আসে বার বার,
এক ফুঁয়ে উড়ে যায় বেদনার হাহাকার।
তবে সার্থক বোধ করছি
ভাল্লাগসে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থ্যাঙ্কস!
হি হি ভাল লাগল বর্ননাটা।
আনন্দিতবোধ করছি!
জোস গেইম, গ্রাফিক্স ভাল - একশন, রোমান্স, স্পীড সবই আছে
-----------------------------------------
ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর ...
-----------------------------------------
এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে
বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, তোমার অপেক্ষায় ...
আ-সি-তে-ছে! সম্পূর্ণ রঙিন!
অদ্ভুত সুন্দর গল্প!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অনুপ্রাণিত!
দুঃখ করবেন না, ভালো লাগেনি...
স্বপ্নের গল্প বলেই হয়তো এতটা এলোমেলো। তবে সাধনার জন্য এমন খোলা মাঠ উত্তম। চালিয়ে যান, ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো পূর্ণতা পাবে নিশ্চয়।
zic2010@yahoo.com
"খোলা মাঠে সাধনা" করেও কি আসলে হবে? স্বপ্ন যদি নিজেই পাঠকপ্রিয় না হয়। ওটার উপর তো আমার হাত নেই। ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলোর পূর্ণতার গ্যারান্টিও তাই দিতে পারছি না।
ভাল্লাগলো।
অদ্ভুত লাগলো, স্বপ্ন যেমন লাগা উচিত
ভাল্লাগলো জেনে
ভাই গল্প পইড়া ব্রাট মজা পাইলাম... আপনি বিড়ালের সামনে দুধ আইনা যেমনে তার পেটে কইষ্যা লাত্থিডা মারছেন ... একদম জবর!!! খাইতেই পারলাম না ... এইবার আমি আপনারে আপনারই স্বপ্নের শানে নুযূল কই... ( হেইওও...)
আমি মোটামুটি আন্দাজ করতেছি আপনি স্বপ্ন দেখার ১০-১৫ দিন আগে আপনি কোন জায়গা থেইকা বেড়াইয়া আসছেন। ঐখানে একটা খারুস টাইপের ব্যটার সাথে আপনার মোলাকাত হইছে। আর এই স্বপ্ন দেখলেন যেই রাতে তার আগের সকালে আপনি কোন বুইড়া-বুড়ি জুটি দেখছেন। আর এইটা নিশ্চিত স্বপ্ন দেখার ২ ঘণ্টা আগে আপনি তিন লাইফওয়ালা কোন ফার্স্ট পারসন শ্যুটিং গেম খেলছেন যার মধ্যে একটা চেকপয়েন্টে আসার পর আপনারে লাফ দিতে হয় , আর আপনি ঐ জায়গাটাতেই মইরা যান...
কেমন লাগল আমার শানে নুযূল??? আরও একটা কথা কইতে চাই...
যদি আপনি বিবাহিত হইয়া থাকেন, তাইলে আপনি আপনার স্ত্রীরে অনেক বেশি ভালা পান। আর যদি আপনার GF থাকে তাইলেও আপনি উনারে অনেক বেশি ভালা পান । ( সংযুক্ত : উভয় ক্ষেত্রেই তেনারা গল্পের ভাবির থেইক্কা অধিক সুন্দরী ( সুন্দরী কইতে আপনি যা মিন করেন তাই সই)... ।)
হিমাগ্নি
আপনার কমেন্ট পইড়া হাসতেই আছি। আপনি দুধ খেতে পাননি দেখে দুঃখিত বোধ করছি। কিন্তু তারপরেও হাসতেই আছি।
আপনি তো দেখি সেইরকম স্বপ্ন-বিশারদ। আপনার শেষের প্যারাখান আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। থ্যাঙ্কস!
তবে আমি গেইম খেলা ছেড়েছি ১৯৯৮ তে, ফিফা ৯৮ খেলে। লাস্ট এবং বেস্ট ফার্স্ট পারসন শুটার গেইম ছিল ডুম ২, তাও ১৯৯৫এর কথা!
শেষের প্যারার জন্য আবারও ধন্যবাদ। সাথে আমার অনুমান হলো, আপনার নিজের এখন একটা গতি করা দরকার এই ব্যাপারে, কি কন, ভুল কইলাম?
ধন্যবাদ ... কিন্তু ভাই আমার যে এখন পর্যন্ত কোন গতি হয় নাই, তা বুঝলেন ক্যামনে???
কত সাধ , আপনার স্বপ্নের ভাবির মত GF একটা হবে!!! সাধটা মনে স্বপ্নই থাইকা যাবে...
আহা স্বপ্নের পোলাউএ ঘি বেশী দিতে হয় এই নীতি ভুলে গেলে চলবে ক্যাম্নে?
ভাল্লাগসে!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কি করব বলেন, আমি যে দিবাজগতেই রসনাতৃপ্ত থাকি
থ্যাঙ্কু আপু
ইরাম স্বপ্ন দেখতে মঞ্চায় !!!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দেইখেন, লাস্ট লাইফটাও আবার স্বপ্নেই খুয়াইয়েন না, রিয়েলিটির জন্য একটা লাইফ রাইখেন।
বাড়িটার বর্ননা ভাল লেগেছে, শুধু এই টুকুই। তাও খুব ভাল লাগেনি, কারন সাদা বাড়ি, সাদা পর্দা, সরকারী হাসপাতালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, তবে যদি না সেখানে শেত পাথরের মেঝে থাকে, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। বাড়ির কর্তাকে ব্যাগ হাতে দেয়াটা খুবি খারাপ দেখিয়েছে, অবশ্য পরের লাইনেই সেটা ঠিক হয়ে গেছে।
বন্ধুটা কাজের মেয়ের সাথে কথা বলছিল, সেটা বোঝাই যাচ্ছিল, হাতে ঝাড়ু বলাতে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বোঝানো হয়েছে। পাঠক হিসেবে আমার কল্পনা করার কিছু থাকল না।
একটা হূমায়ূন আহমেদ ভাব আছে বর্ননায়, ওটা ছাড়িয়ে যেতে পারলে অনেক ভালো লাগতো পড়তে।
বেনজিন যৌগের গঠন কেমন হবে তা স্বপ্ন দেখার পর নিশ্চিত August kekule পর্যন্ত বলেছেন, 'উল্টোপাল্টা স্বপ্ন না দেখে, ঠিক কীভাবে স্বপ্ন দেখতে হয় সেটা শিখে নিও। তা হলে অনেক সত্যকে আবিষ্কার করতে পারবে।’
স্বপ্নবিশারদ গারফিল্ড এরমতে, ‘মানুষ যখন জেগে থাকে এবং কোনও একটা বিষয়ের ওপর নিয়মিত চিন্তাভাবনা করে তখন তার অবচেতন মনেও সে সম্পর্কে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে। ফলে মানুষ যখন ঘুমায় তখন সেসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সামগ্রিক রূপটা স্বপ্নে প্রকাশ পায়।’
তোমার এই স্বপ্নের কোন অর্থ আছে কি নেই, সেটা নিয়ে বলতে চাই না, তবে এটা বলতে চাই যে, তার প্রকাশ আরো সুন্দর হতে পারত। খুবি অপরিপক্ক লেখা, হঠাত করে শাহরুখ খান স্বপ্নে এসে মিটিমিটি হাসলেও গল্পে তার উপস্থিতি বেমানান, তুমি হয়ত বলবে, এটাতো স্বপ্ন, তোমার হাত ছিল না এগুলো দেখার, আমি বলব, লেখাটাকে ভালো করতে পারতে চিন্তা শক্তি দিয়ে। সচলায়তন তো আর স্বপ্নে পাওয়া ঔষধ বিক্রির জায়গা না।
তথ্যগুলো পেয়েছি সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকা থেকে।
নতুন মন্তব্য করুন