১) ঈশ্বর ও তার প্রচারক দু’জনেই মূলত নাস্তিক। ঈশ্বরের নাস্তিকতা প্রকাশ্য, কিন্তু প্রচারকের নাস্তিকতা সদা গোপন থাকে।
২) একজন বিশ্বাসী সাধারণত তার বিশ্বাসের প্রচারকের চেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়।
৩) নিজের যাপনেই যে ভণ্ডামি সীমিত, সে তো সাধুতাই! পরেরে শেখানো সাধুই মূলত ভণ্ড।
৪) ধর্মাচার ও মদ্যপানে জোরাজুরি নাই।
৫) যে পান করে, তারে করতে দাও। যে করে না, সে পানকারীরে বাঁচতে দাও। (অনুবাদ)
৬) নৈতিক আধিপত্যে নাস্তিক আস্তিক ভাই ভাই।
৭) মৃত্যুর পর দেখলাম - মিথ্যা কথা বলার জন্য সকল ধর্মপ্রচারক জাহান্নামে গ্যাছে। আর সত্য কথা বলার জন্যে আমি নাজিল হয়েছি বেহেস্তে।
৮) প্রতিটি গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের রয়েছে একটি করে কাউন্টার ন্যারেটিভ।
৯) প্রতিটি কাউন্টার ন্যারেটিভের রয়েছে একটি করে গ্র্যান্ড কাউন্টার ন্যারেটিভ।
১০) বদ্ধঘরে লাগাতার হস্তমৈথুনের সমাপনী শিৎকারধ্বনি ঘরের বাইরে যেতে দেয়াকে অনেকে লেখালেখি মনে করে।
১১) রাজনীতির সরল সংজ্ঞা হলো একের খায়েশ দশের উপর বিস্তারের প্রয়াস। দশের খায়েশ বলে মৌলিকভাবে কিছু নাই।
১২) ঘটনার হেতুমূলক সকল বয়ান বানানো হয় ঘটনা ঘটে যাবার পরে। কিন্তু বলা হয় এমনভাবে, যেন বয়ানটা আগে তৈরি হয়েছে, ঘটনাটা ঘটেছে পরে। ফলে অত্যাচারী অত্যাচারের পরে অত্যাচারিতকেও অত্যাচারী সাব্যস্ত করে নিজের অত্যাচারকে হালাল করতে চায়। আর ধর্ষক ধর্ষণের পর বিশ্বাস করে, ধর্ষক-ধর্ষিতার মধ্যে সঙ্গমাবস্থায় পারস্পরিক ভালোবাসাবাসি ঘটছিল।
১৩) মিথ্যুকেরা অত্যাচারিতকে অত্যাচারী বানায়, কেননা সকল অত্যাচারই বিশ্বাসযোগ্য। কিন্তু মিথ্যুকেরা ধর্ষিতাকে ধর্ষিকা বানাতে পারে না, কেননা নারীর ধর্ষিকা হয়ে ওঠা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ফলে মিথ্যুকেরা ধর্ষণকে প্রেমের আখ্যান বলে বয়ান করে।
১৪) মিথ্যুকেরা ধর্ষণকে প্রেম বলে, আর অমিথ্যুকেরা ধর্ষণকে ভুলে যায়।
১৫) নারীর ধর্ষিকা হতে না পারা হলো প্রকৃতির সবচেয়ে বড় অবিচার।
১৬) পৃথিবীর ইতিহাস হলো পুরুষের কীর্তির ইতিহাস। কেননা পৃথিবীর গোটা ইতিহাস মূলত ধর্ষণের ইতিহাস।
১৭) নৈতিকতা বলে কিছু নেই। নৈতিকতা মানবসৃষ্ট। নৈতিকতা ঈশ্বরসৃষ্ট হলে নারীরা অন্তত বেহেস্তে পুরুষদের ধর্ষণ করতে পারতো। কিন্তু বেহেস্তেও পুরুষরাই নারীকে ধর্ষণ করে। আর মিথ্যুক ফেরেশতারা তখন প্রেমের কাওয়ালি গাইতে থাকে।
১৮) মানুষ ঈশ্বরকে তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই ঈশ্বর বেহেস্ত তৈরি করতে পারে নি। বেহেস্তও মানুষই তৈরি করবে। মানুষ প্রতিদিন যে ঈশ্বরকে ঠক ঠক করে সেজদা দেয়, ধূপধুনা দিয়ে পূজা করে, সে প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যতের মানুষ।
১৯) পরম বলে কিছু নেই। সকল পরম বিপদগ্রস্ত।
২০) একমাত্র অনস্তিত্বই অস্তিত্বশীল। আমি নাই বলেই আমি আছি।
মন্তব্য
মারাত্মক!
১৮ নং।
সবাই এই সত্যটা বলার বা বোঝার সাহস রাখেনা।
ম্রাত্মক লিখছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইটা পড়ে সবচেয়ে বেশি মজা পাইলাম
ভাল লাগল।
২ নাম্বারটা বুঝি নাই।
৭ নাম্বারটা সবচেয়ে ভাল লাগসে।
বাহ্! দারুণ!
love the life you live. live the life you love.
অনেকগুলোই বেশি ভাল লাগসে। কয়েকটা ভাল লাগে নাই। আরেকটু বেছে দিলে মনে হয় পুরোপুরি ভালো লাগতো।
তবু খুব ভালো লাগষে।
৪,৭,১৮,১৯ - খুব ভালো লেগেছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নতুন মন্তব্য করুন