• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

বিচার নিয়ে আমাদের করণীয়

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব বর্ণন (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৫/২০১১ - ১১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিচার মানে কী? আমার চোখের সামনে সাক্ষাৎ যে খুনিকে খুন করতে দেখলাম, তাকে পিটিয়ে মারতে পারলেই কি বিচার? না কি পিটিয়ে ছেড়ে দিলে তখন গিয়ে বিচার? না কি কান ধরে ঘুরপাক খাওনো? বা পা কেটে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা? নাকি পুলিশকে দিয়ে পিটাতে থাকা? বা র‌্যাবকে দিয়ে পঙ্গু কিংবা ক্রসফায়ার করে দেয়া? না কি বিচার মানে এটাই যে আদালতের সামনে সাব্যস্ত হবে সে দোষী! মাপনী হাতে অন্ধ যে আইন, তার মুখ দিয়ে বলাতে পারা যে সে আসলে আইনের কাছে দোষী!

শেষে এসে যেটা বললাম, সেটা আইনের বিচারের উদাহরণ। বাদবাকিগুলা রাস্তার বিচারের উদাহরণ। রাস্তার বিচার বড় নির্মম! এতে ভিক্টিম তার উপর যে অন্যায় সংঘটনের দুঃখ, সেটাকে খুব সহজে ভুলে যাবার উপায় পায়। কিন্তু তার উপর অন্যায় সংঘটনের যে প্রকৃত হোতা, তার উচিত বিহিত হলো কি হলো না, সেটার নিশ্চিতি থাকে না। রাস্তায় যাকে পিটায়ে মারা হলো, সেই প্রকৃত হোতা না কি তাকে মারার উছিলায় প্রকৃত হোতাকে আড়াল করে দেয়া হলো, সেটারও নিশ্চিতি থাকে না। রাস্তার বিচার তাই ন্যায় বিচার না। রিমান্ডে যে বিচার, সেটা ন্যায় বিচার না। ক্রসফায়ারে যে বিচার, সেটা ন্যায় বিচার না। সে কারণে বিচার প্রক্রিয়াকে রাস্তা থেকে আদালতে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে সভ্য সমাজ। রাস্তায় উপস্থিত একদল মানুষ, বা অনুভূতিপ্রবণ ভিক্টিম জনতার বদলে বিচারক হিসেবে স্থির করা হয়েছে আদালতকে। আদালত বিবেচনাশীল। তাই আদালতের বিচার হলো ন্যায় বিচার।

সমাজে ন্যায় বিচার সংঘটনের জন্যে বিচারব্যবস্থার প্রতি সমাজের আস্থা থাকা প্রয়োজন। ধৈর্য্য থাকা প্রয়োজন। মানুষের যেসব উচ্চতর চিন্তার স্তর, সেগুলোর চর্চার প্রয়োজন। খুনের সাথে সাথে খুনিকে পিটিয়ে মারাটা চিন্তার স্তরের বিচারে অত্যন্ত নিম্ন স্তরের চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। পাশবিক অনুভূতির অবাধ প্রয়োগ। মানুষ পশু বটে। আবার মানুষ চিন্তাশীলও বটে। সরাসরি পাশবিক অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটানোকে বিলম্বিত করে উচ্চতর চিন্তাভাবনায় মনোনিবেশ করলে যে অধিকতর আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়, চিন্তাশীল মানুষ তা জানে। যেমন, খুনিকে খুনের সাথে সাথে মেরে ফেলার পরেও হতে পারে যে সমস্যার পুরো সমাধানটা হলো না। এটা হয়তো পরিকল্পিত খুন ছিলো। এর পেছনে একজন মূল হোতা ছিল এবং সে আরও আরও খুন করিয়েই যাচ্ছে অন্য অনেককে দিয়ে। খুনিকে সাথে সাথে মেরে ফেলার কারণে তাকে কখনো উদ্ধার করা আর সম্ভব হবে না।

খুনিকে আইন নামক একটা ব্যবস্থার হাতে সোপর্দ করার মাধ্যমে প্রক্রিয়াগতভাবে খুনের সকল নিয়ামক উদ্ঘাটনের যে সম্ভাবনা, সেটাকে চিন্তাশীল মানুষ দেখতে পারে বলে সে খুনিকে নিয়ে বিশাল পরিকল্পনা করে। মামলা, সাক্ষ্য, তদন্ত। কিন্তু এই উচ্চতর স্তরের চর্চা যার মধ্যে থাকে না, সে কিন্তু উপলব্ধি করে না যে মূল হোতাকে খঁোজার ফয়দাটা আসলে কী। ফলে সে যদি ঘটনাস্থলে খুনিকে পিটিয়ে নাও মারতে পারলো, পরবর্তিতে পুলিশ বা র‌্যাবকে উপর্যুপরি উৎকোচ দিতে থাকে, যাতে রিমান্ডে নির্যাতনে বা ক্রসফায়ারে যেন তার মৃত্যু হয়। এভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বহু খুন হয়ে গেছে। খুনের ভিক্টিমেরা যেন মূল হোতাদেরকে আড়াল করার জন্যেই অর্থকড়ি ঢেলেছে। ক্রসফায়ারকে মানসিক বিচার বলে মেনে নিয়েছে। বছর বছর খুন হওয়া স্বজনের কবর জিয়ারত করেছে ‘বিচার হয়ে যাওয়ার’ শান্তি বুকে নিয়ে। কিন্তু কোনো বিচারই আসলে হয় নি। যেটা হয়েছে, সেটা হলো অবিচার।

মানুষের কাছে রাস্তার বিচারের ডিমান্ড আছে, যে কারণে রাষ্ট্র ওই ডিমান্ডের বিপরীতে সাপ্লাইয়েরও ব্যবস্থা করেছে র‌্যাব পুলিশের মাধ্যমে। বহু বহু অনুভূতি প্রবণ মানুষের তাৎক্ষণিক বৈচারিক শান্তির জন্যে মোতায়েন আছে র‌্যাব পুলিশ। র‌্যাব নিয়ে কিছু বলে দেখুন, রাস্তায় বা বাসে জনগণের লাথি না খেয়ে যদি বাঁচতে পারেন তো মঙ্গল। মানুষের সস্তা উপশম দরকার, রাষ্ট্রেরও দরকার মানুষকে ঠাণ্ডা রাখা। ফলে রাষ্ট্র সস্তা উপশম সাপ্লাই দিচ্ছে মানুষকে। এটা কোনো কল্যাণকর, ন্যায়-বিচারমুখী রাষ্ট্রের কর্ম না। এটা সামন্তবাদী রাষ্ট্রের ম্যানিপুলেটিভ কর্ম। তবে এটা দুপক্ষেরই অংশগ্রহণের ফলাফল বটে। এখানে সস্তা উপশম দিয়ে রাষ্ট্র মানুষকে নেশাক্ত ও লোভী করে রাখে। মানুষ আবার বিনিময়ে সস্তা উপশম দাবি করে রাষ্ট্রকে তার সস্তা উপশম সাপ্লাইয়ের ব্যবসার ডিমান্ড নিশ্চিত করে দেয়। ভিক্টিম ও তার তাবৎ সহানুভূতিশীল সমাজ যতবার রিমান্ডে আসামির নির্যাতন দাবি করে, ততবার ম্যানিপুলেটিভ রাষ্ট্র উপলব্ধি করে যে বিচার করার প্রয়োজন নেই।

কেউ হয়তো বলবে এটাই কল্যাণকর। জনগণ যদি ন্যায়বিচারের চাইতে রাস্তার বিচার আর ছদ্ম-বৈচারিক শান্তি বেশি কামনা করে, তাকে সেটা দেওয়াটাই তো কল্যাণকর! আমি সেখানে বাগড়া দেবার কে? আমি বাগড়া দেবার সকল শক্তির অধিকারী, কারণ আমি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে এমন ন্যায়বিচারশূন্য, রাস্তার বিচারপূর্ণ সমাজের আমি বিনাশ কামনা করি। আমি আমার থাকার সমাজকে এমন দেখতে চাই না। ফলে জনগণের সস্তা উপশমের বিপরীতে ন্যায়বিচার চাওয়াটা আমার একটি বৈধ অধিকার। এখন আমি নিশ্চিত নই, আমি কোনো ন্যায়বিচার চাইলে চ্যালাকে ক্রসফায়ারে ফেলে হোতাকে বাঁচিয়ে দেয়া হবে কিনা। আমি এটাও চাই না যে আমার অভিযুক্ত আসামি বিচারের সম্মুখীন হবার বদলে দিনের পর দিন পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে দিন গুলজার করুক। আমি চাই ন্যায়বিচার। রাস্তার বিচার নিয়ে মানুষের নেশা আর রাষ্ট্রের ব্যবসার ভিড়ে আমার ন্যায়বিচারের অধিকারগুলো এখন শঙ্কিত ও লংঘিত। ফলে মানুষের এই নেশাক্ততার বিরুদ্ধে বলার অধিকার আমার জন্মায়। রাষ্ট্রের বিচার ব্যবসার বিরুদ্ধে আমাকে উচ্চকিত হতে হয়।

আমার নিজের ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের নিশ্চিতির বাইরে বিচারসংক্রান্ত আমার আর যে গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া, তা হলো যুদ্ধাপরাধের বিচার। আমি এখানে ন্যায়বিচার নিয়ে রাষ্ট্রের আগ্রহের ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দিহান। বর্তমান সরকারি দল সাংগঠনিকভাবে মোটেও এ বিচারে আগ্রহী নয়। কারণ এটা তাদের সাংগঠনিক তৎপরতার অংশ কখনো ছিলো না। তেমনটা হিসেবে যুক্ত হয়েছে মানুষের দাবীর কারণে। এটাকে আমি মানুষের চাওয়ার বিজয় হিসেবে দেখতে চাই। কারণ মানুষ অন্যায়ের এক মহাযজ্ঞকে চল্লিশ বছর পরেও ভুলে যায় নি কোনো সস্তা উপশমের ছলে। তারা সত্যিকারের বিচার চেয়েছে। আদালতের কাছে! ন্যায় বিচার চেয়েছে তারা। মর্মে মননে ন্যায়বিচারের চাহিদা তৈরি হওয়াটা হলো উচ্চতর মানবিক গুণাবলির প্রকাশ। এটার অন্তরে অত্যাচারিতের ব্যথিত অনুভূতি থাকলেও এর উপরে রয়েছে চিন্তা ও চেতনার অঢেল আস্তরণ। ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং সেখান থেকে প্রসূত পরিকল্পনা। মানুষের যে তাৎক্ষণিক অনুভূতিগত প্রতিক্রিয়া, সেটা দিয়ে এসব অর্জন করা যায় না। তাই অনুভূতিকে যত বেশি পরিকল্পিত চিন্তা দ্বারা আস্তরিত করা যায়, ততো বেশি উন্নত ও আকাঙ্ক্ষিত হয় তার ফলাফল।

ফলে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা যখন একটা দেশের নির্বাচনের প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়, তখন আমি আশাবাদী হয়ে উঠি। উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে দেখতে পাই। তবে বিজয় বলে উদ্যাপন করতে চাই না। কারণ এখানেই শেষ নয়। মনে রাখতে হবে, আমাদের রাষ্ট্র তার চরিত্রে ম্যানিপুলেটিভ। সে আমাদের প্রত্যাশাকে ব্যবহার করার এবং ধীরে ধীরে সেটাকে তার ব্যবসার উপকরণে কাজে লাগানোর চেষ্টায় বহাল থাকবে। এর বিরুদ্ধে পাহারাটা আমাদেরকেই দিতে হবে। আমার খুব সন্দেহ হয়, রাষ্ট্র এই বিচারের ক্ষেত্রেও তার সস্তা উপশমের উপাদান ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।

ন্যায়বিচার বেশ কঠিন কাজ। একটা ম্যানিপুলেটিভ, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র ধরে ধরে মানুষকে ক্রসফায়ারে দিয়ে দিতে পারে বলে ভাবার কোনো কারণ নেই যে চাইলেই সে মুহূর্তে ন্যায়বিচারের সরঞ্জামও করে ফেলতে পারবে। ন্যায়বিচার বড়ই কঠিন কাজ। ক্রসফায়ারই বরং সহজ। রাষ্ট্র কর্তৃক খুন হলো দুর্বল শক্তিশালী কর্ম। দৃশ্যত সে শক্তিশালী, কিন্তু মূলত সে দুর্বল। পরিকল্পনাপ্রসূত যেকোনো ‘প্রকৃত শক্তিশালী’ কর্মকাণ্ডে তার বিশাল মাপের ব্যর্থতা প্রায় অনিবার্য। ফলে সেই রাষ্ট্রের হাতে যখন একটা গণহত্যার অন্যায়ের ন্যায়বিচার করার ভার পরে, তখন আমি গালে হাত দিয়ে বসে থাকি। আমি চিন্তিত হই। এই দুর্বল শক্তিশালী রাষ্ট্র কী করে এই পরিকল্পনাপ্রসূত কর্ম সম্পাদন করবে? আমি সেখানে ঘোষণা দিয়ে দিতে চাই না যে এই রাষ্ট্রের দ্বারা এই কর্ম ঘটা সম্ভব না। কিন্তু আমি জানান দিতে চাই, এখানেও নিয়ামক মানুষ। জনগণ। আমি। আমার প্রত্যাশা ও পরিকল্পনার মাত্রাই নির্ধারণ করবে এই বিচারের সাফল্য।

ফলে আমাকে, জনগণকে পরিকল্পিত হতে হবে। এটা একটা দাবা খেলার মতো। এখানে প্রতিটা ভুল চালের জন্যে পস্তাতে হবে। যুদ্ধাপরাধী যারা বিচার চায় না, তাদের সাথে সাথে রাষ্ট্রও প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করছে আমাদেরকে ভুল চাল দেওয়ানোর। কারণ রাষ্ট্রও তো মূলত এই বিচারটা চায় না! রাষ্ট্র তো ছদ্মবিচারের ব্যবসা করে। ফলে তারা যে নানারকম ধরপাকড় ক’রে, খবর সৃষ্টি ক’রে আমাদেরকে সস্তা উপশম সাপ্লাই দেবার চেষ্টা করবে, সে বলাই বাহুল্য। কারণ রাষ্ট্র জানে যে সস্তা উপশম বা ললিপপ মুখে দিয়ে জনগণকে ফিরিয়ে দিতে পারলে বা বশে রাখতে পারলে আর বিচার করা লাগবে না। আর ললিপপ গছানোর চেয়ে সত্যিকারের বিচার করা বহুত বহুত কঠিন।

আমাদেরকে, জনগণকে প্রস্তুত হতে হবে রাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে যে ললিপপে আমাদের চলবে না, রাস্তার বিচারে এবার কাজ হবে না। দু’চারজন চিহ্নিত আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে বার পাঁচেক নির্যাতন করলেই বিচার নিয়ে দমে যাবার পাত্র আমরা নই। (আশা করি যে আমরা সত্যিই দমে যাবার পাত্র নই।) এসবে রাষ্ট্রকে পিঠ চাপড়ে দেবার সাথে সাথেই কিন্তু রাষ্ট্রকে এই সিগন্যালই দেওয়া হবে যে এ বিচারের ব্যাপারেও সস্তা উপশমের বেশ ডিমান্ড আছে মানুষের কাছে। এই সিগন্যাল দিলেই ভুল চাল দেয়া হবে। পরিকল্পনা করে খেলতে হবে। অনুভূতির দাবী অনুভূতির কর্ম দিয়ে মেটে না। আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে অনুভূতি লাগে। আকাঙ্ক্ষা মিটাতে লাগে পরিকল্পনা।

বিচার যারা চায় না, তারা কিন্তু মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। তাতে জল্লাদ, কসাই, বহুজাতিক পুনর্মিত্রতা, রথী মহারথী, বাঘা বাঘা আইনজীবী, মোড়ল বিশ্বমোড়ল সবাই উপস্থিত। এরা সবাই কিন্তু দাবার ছকে আমাদের বিপক্ষ রঙে খেলছে। রাষ্ট্রও আমাদের বিপক্ষ রঙেই কিন্তু খেলছে। এতগুলো প্রতিপক্ষের মধ্যে একমাত্র নিয়ন্ত্রণযোগ্য প্রতিপক্ষ হলো কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র। একমাত্র তাকেই আমরা সরাসরি প্রভাবিত করতে পারি। আমাদের ঘিরেই সে টিকে আছে বলে একমাত্র রাষ্ট্রই পরিশেষে গিয়ে আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে। আমাদের আইনজীবীরা লড়ছেন আমাদের বিপক্ষ রঙের কূটচালগুলোকে নস্যাৎ করে দিতে। আমরা সাধারণ জনগণের জন্যে যে চালগুলো রয়ে গেছে, তা রয়েছে রাষ্ট্রের তরে। রাষ্ট্রের সস্তা উপশম সাপ্লাইয়ের যেকোনো প্রকার প্রহসনে আমাদের পা দেয়া চলবে না। রাষ্ট্রের কানের কাছে এসে আামদেরকে চিৎকার করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবী জানাতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, একে পুঁজি করে রাষ্ট্র চালানোর ব্যবসা করা বারবার আর সম্ভব হবে না। গতবার তারা বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আগামীবারের আগে সে বিচার সমাধা না হলে সে প্রতিশ্রুতির খেলাপ ঘটবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসা তখন দুর কি বাত। রাষ্ট্রকে ম্যানিপুলেটিভ হওয়ার আসন থেকে সরিয়ে জনগণকেই রাষ্ট্রের ম্যানিপুলেটর হতে হবে। রাষ্ট্রকে ক্ষমতা হারানোর ভয় দেখিয়ে এই বিচার আদায় করতে হবে। দুঃখের সাথে বলবো, মানুষের মাঝে যুদ্ধাপরাধের বিচার সংঘটনের এক ধরনের নিশ্চয়তা এসে গেছে, বিচার ঘটার সত্যিকারের কোনো আলামতের সন্ধান ব্যতিরেকেই। এটা আশংকার কথা। অন্যদিকে এতক্ষণে দাবার ঘরে বিপক্ষ রঙের পরিকল্পনা কিন্তু এগিয়ে গেছে বহুদূর। অনুভূতিতে আমাদের কমতি নেই। এবার তাই দরকার সুচিন্তিত পরিকল্পনা। সরকারকে আল্টিমেটাম দিন। যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীতে আবার সবাই সরব হন!


মন্তব্য

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

সরকারকে আল্টিমেটাম দিলাম। সকল যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের নামে পুতুল পুতুল খেলায় আমরা আর আশ্বস্ত হতে পারছি না। আমরা ন্যায়বিচার চাই। এবং সেটা এখনি চাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।