অ্যাবস্ট্রাক্টঃ স্বদেশ ছেড়ে মরার দেশে পড়ে থাকা পোড়া কপাইল্যা বলে একটা বিশেষ যে প্রজাতি আছে, তাদের মধ্যে অমাবস্যা-পূণ্যিমায় তথা চান্দে চান্দে বিবিধ ফান্দে পতনের কথা ছন্দে ছন্দে মাথার নানান রন্ধ্রে রন্ধ্রে জানান দিয়া থাকে। এমনতর শত শত ফান্দোপাদানের মাঝে শ্রদ্ধেয় শ্রীমতি ভাপা পিঠা অন্যতম। বিগত দশটি বৎসর যাবত এই শ্রীমতির ভাজ খুলে, আনন্দ দেখে, প্রেমের তর্জমা করার নিমিত্তে বহু দিনমানরজনী অতবাহিত হয়েছে। অবশেষে হপ্তাব্যাপি যথেষ্ট হাদুমপাদুম প্রদর্শনের পর বিগত শেষ রজনীতে তন্দ্রাযোগে পাওয়া সিস্টেমে শ্রীমতি ভাপা পিঠার চুনরি ম্যায় দাগ লাগানোর উপায় খুঁজে পেয়েছি। তার চোলি কে পিছে ক্যায়া হ্যায়, সে রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছি। তারই মহিমান্বিত বয়ান হবে আজকের মাহফিলে। সবাই বলেন আমিন।
ডিসক্লেইমারঃ শিরোনামটা নিয়ে ভাবছিলাম, কী হতে পারে! অথবা কী দিতে পারি! খানিকক্ষণ ঘিলুহীন মাথা ঘাটানোর পরেও কোনো ধনাত্বক সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে শুরু করে দিলাম। এরমধ্যে যুতসই একটা শিরোনাম খুঁজে পেলে টানিয়ে দেবো, আর না পেলে, সম্মানিত পেয়ারের পাঠক (এবং ততোধিক পেয়ারের পাঠিকা), আপনাকে একটু কষ্ট করে শিরোনামটা চিন্তা করে নিতে হবে।
আরজ গুজার- জনাবে আলা আল ধুগো।
মার্চের এক তারিখে আমরা ঘোষণা দিয়ে ভারত বনধ পালন করেছি। অনেকেই এর সাথে মতৈক্যে আসেননি, আবার অনেকেই তীব্র সমর্থন জানিয়েছেন। সচেতনতা তৈরী করেছেন। ভারত বনধ পালনের কারণ, সীমান্তে বিএসএফ এর বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা এবং এই ব্যাপারে ভারতীয় সরকারের রহস্যজনক নীরবতা- প্রচার করেছেন।
হাবিবুরের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের। সেই যে, যাকে উলঙ্গ করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জোয়ানরা উষ্ণ চায়ে সুড়ুৎ সুড়ুৎ চুমুক দিতে দিতে পিটিয়ে ছিলো একটা পশুর মতোন। সেই হাবিবুর, যার সাথে 'ম্যানেজ'-এ বনিবনা না হওয়ায় যার জননাঙ্গে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছিলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী'র জোয়ানেরা। সেই হাবিবুরের কথাই জিজ্ঞেস করছি। আমি জানি আপনারা জানেন এই হাবিবুরের কথা।
বছরের শুরুতেই যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে কোঁকাচ্ছিলাম, আমার ফ্লোরমেট খোঁজ-খবর নিয়ে যাচ্ছিলো হরদম। তো একবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম তার এই খোঁজ-খবর করার মাহাত্য কী! উত্তরে সে জানালো, আমি এর মধ্যে মরলাম কীনা, এটা নিশ্চিত হতেই সে বারবার এসে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছে!
স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ঘটনা আংশিক ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে গেছে। কিছুতেই সেই অংশগুলো আর মনে করতে পারি না এখন। ভাবলাম স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ব্যাড সেক্টরে পড়ে যাওয়ার আগেই কয়েকটা ঘটনাকে ডিজিটাল ডায়েরীতে টুকে রাখি ডিজিটাল বাংলাদেশের অ্যানালগ নাগরিক এই আমি! এটা তারই উদ্যোগ...
'ওয়াই ইউ আড় লুকিং লাইক ড্যাট! আইয়েম গেটিং ম্যাড়িড'— কথাটা শুনেই মনে পড়ে গেলো তাসনীম ভাইয়ের সেই বিখ্যাত উক্তি। 'চেহারায় চোর চোর ভাব' থাকলে কপালে খারাবি আছে! হাতের কাছে কোনো আয়না না থাকায় বুঝতে পারছিলাম না, চেহারায় আসলেই চোর চোর ভাব ছিলো, নাকি এইটা কেবলই মিডিয়ার সৃষ্টি!
আবঝাব এক্সপ্রেস ডট কম
'বিষণ্ণতা একটা রোগ'— সিবা গেইগি'র বিজ্ঞাপনে এরকম একটা বিলাতি রোগের কথা থাকলেও আমার এই রোগ হয় নি। হয়েছে কষা রোগ। তবে রোগের ধরণের নামের কারণে যে ব্যাপারটা আপনার মাথায় প্রথমেই আঘাত করেছে, এটা মোটেও সেই রোগ নহে! 'নে-লেখা রোগ', লেখ্যকাঠিন্য যাকে বলে আরকি! আপনি অন্যকোনোকাঠিন্য বুঝে থাকলে, আপনার দিলে ময়লা। বাবলা পাতার কষ। সার্ফ এক্সেলেও এই ময়লা উঠবে কি-না, এই নিশ্চয়তা আপনাকে খোদ ইউনিলিভারও দিতে পারবে বলে মনেহয় না।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ওয়ার্মআপ ম্যাচগুলো সম্প্রচার করার ব্যাপারে আইসিসি'র নেয়া একটা প্যাথেটিক সিদ্ধান্ত দেখা গেলো। কেবলমাত্র ভারতের ওয়ার্মআপ ম্যাচগুলোই সম্প্রচার করা হবে। আর বাকি খেলাগুলো ফি-সাবিলিল্লাহ। দেখালে সবগুলোই দেখানো হোক, না দেখালে একটাও বা দেখানোর কি দরকার? আর এটা কোন ধরণের ছাগলামী, যেখানে বাংলাদেশ হোস্ট হয়েও নিজেদের ওয়ার্মআপ ম্যাচ সম্প্রচার করার অনুমতি পায় না!
সেকাল, একাল এবং আকাল...
গরমের দেশের মানুষ আমি। মাথায়, পিঠে সূর্যের প্রখর তাপের আদর নিয়ে বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি। এই আমাকে হঠাৎ করে চৈত্র মাসের কড়া রোদ থেকে তুলে নিয়ে ডিপ ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে কেমনে সহ্য হয়! আর প্রকৃতিও, মশকরা করতে বড় ওস্তাদ। সারাজীবন শুনে আসলাম, এই শহরে তুষারপাতের রেকর্ড খুব নগণ্য। হয় না বললেই চলে। পঞ্চাশ বছর আগে নাকি জম্পেশ তুষারপাত হয়েছিলো।
তো আমি মনে মনে এ ...