গাড়ি থেকে নামতেই দেখলাম ৭ নাম্বার ট্রামটা একটু একটু করে বেরিয়ে যাচ্ছে। শালার মেজাজটাই গেলো বিলা হয়ে। পরেরটা কম সে কম ১৫ মিনিটের ধাক্কা। স্টেশনের দিকে আর না এগিয়ে ডান দিকে ঘুরে হন্টন প্রক্রিয়া শুরু করে দিলাম।
দুপুরটা একটু অন্যরকম না, বেশিই অন্যরকম লাগছিলো। আমি এর আগে মানহাইমে এতো সুন্দরী ললনা এক সাথে দেখিনি। খালাত ভাইয়ের ফোন ের মধ্যে, কিরে কই তুই?
বললাম হন্টাইতাছি। কয়, সেইটা কি জিনিষ? আমি বললাম, হাঁটি আবার কি? কয়, ওওও, আয় তাত্তাড়ি আয়।
হান্টাইয়া, ট্রামে চইড়া আধা ঘন্টায় পৌঁছালাম ঘরে। খাবার রেডি টেবিলে। ভাবী আমার বিদেশী হলেও খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে ভালোই। আমি গেলে তার পরিমান থাকে স্বভাবতই বেশি। দুইভাই খেয়ে এমন অবস্থা হয় যে ডাইনিং থেকে ড্রয়িং পর্যন্ত মোটামুটি গড়িয়ে এসে, তারপর কোনরকমে সোফায় পেটটা ঠেকিয়ে গড়ানো- এই হলো আমাদের রুটিন।
এর মধ্যে প্রধান প্ল্যান ছিলো, মামাত ভাই স্টপওভার করবে চব্বিশ ঘন্টার জন্য। সকালে দেশ থেকে ফোন এলো, প্লেন দুই ঘন্টা ডিলেইড। মানে দুবাইতে কানেক্টিং ফ্লাইট মিস। স্ট্যাটাস চেক করতে দেখলাম মামাতো ভাই আকাশে থাকতেই দুবাই থেকে তার জার্মানীগামি ফ্লাইট ডিপার্টেড। পরিশেষে কয়েক ঘন্টা উদ্বিগ্নতা, ইতিউতি ফোন, এবং দুবাইতে হোটেলে কথা বলে নিশ্চিত যে আমাদের সাথে পূর্বপরিকল্পিত যথেষ্ট সময় সে থাকতে পারবে না। অতএব ঠিক হলো পরদিন সকালে এয়ারপোর্টে যাওয়া হবে সদলবল।
রাতে ঘুম হলোনা ঠিক মতো। মাথায় নানা টেনশন ঘোরাফেরা, একেকবার ক্যাসল বানাই সেই ক্যাসল আবার ভাঙি, আবার অন্যভাবে বানাই।
পিটপিটানি চোখ নিয়ে এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখা হয় মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে। কিছু স্মৃতিচারণ, কিছু হাসাহাসি, কিছু গল্প, কিছু পারিবারিক ঝুট নিয়ে কথা বলতে বলতেই মামাতো ভাই জানালো তার ওঠা উচিৎ। এগিয়ে গেলাম, গেট অবধি। বুকে বুক মেলানো হলো কয় বছরের জন্য জানি না!
ফিরে আসার সময় খালাতো ভাই এমন ভাব করলো যেন কতো মজার একটা ব্যাপার হচ্ছে রাস্তায়। আমার মনে হচ্ছিলো কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টা। কারণ সবচাইতে বেশি সময় দেশে এই দুজনই কাটিয়েছে। দেখাও হয়েছে ৬-৭ বছর পর। দুজনেরই সংসার আছে, দুজনেই দুদিকে থাকে। ইচ্ছে হলেও দেখা হবার উপায় কম।
আমার কষ্ট লাগছে না। শুধু মনে হচ্ছে বড় না হলেই ভালো হতো। এখনো দুজনের মাঝে সেই পুঁচকে গোধূলি হয়ে থাকা যেতো!
মন্তব্য
শখ কি পোলার!!!
হন্টাইতাছি...নতুন শব্দ জানলাম।
__________________________________
ত্রসরেণু অরণ্যে
_____________________________
টুইটার
বাই দ্য ওয়ে, ঐ ভাবীর ছোটো বোন আছে?
শিমুল ভাইকে কি হিমুর রোগে ধরলো নাকি? ছোট বোন থাকলে লাভ কি? কামড় দিবেন? হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রোহী মহোদয়, হিমু ভাই কিন্তু 'যত্ন করে' উল্লেখ করে, খিয়াল কইরা - - -
- বেশ রঙেই আছেন মনেহয় বেবাকে?
আমি সেদিন দুপুরে খালাত ভাইরে জিগাইছিলাম, ভাইয়া মানহাইমে এতো সুন্দরী মাইয়া থুইয়া কেমনে আসি ঘরে? ভাইয়া কয়, "গাছের বেল পাকলে তাতে কাউয়ার কি? আয় তাত্তাড়ি, আয়"!
এই দু:খে আমার কইলজা কাঁপতাছে তিনদিন ধইরা। আর আপনেরা আছেন আমার ভাবীর ছোট বইনরে কামড়ানির তালে। আমার কপাল কি আর সাধে ফাটাইন্যা কই?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন...তাইরে নাইরে তাইরে নাইরে সারাটা জীবন...এরপরের লাইনটা জানি কি?
ইয়ে আপনার ভাবির কোন শ্যালক আছে?
দৃশা
থুক্কু শ্যালক না ভাবির ভাই...কি কইতে কি কইয়া হেলাই... ভুল-চুক মাফ বস।
দৃশা
নতুন মন্তব্য করুন